সমন আাঙ্গোম্ম তাড়া স্পত্জঞঞ্স

প্রথম ভাগ

তত্বাংশ ] -পরবীনীি

“একালের ধনদৌলত অর্থশান্ত্র-প্রণেতা

শ্রীবিনয়কুমার সরকার,

কলিকাতা বিশ্ববিষ্ঠালয়ের ধনবিজ্ঞানাধ্যাপক

চক্রবত্তাঁ, চাটাজ্জ্ি এণ্ড কোং লিমিটেড, পুস্তকবিক্রেত প্রকাশক ১৫) কলেজ স্কোয়ার, কলিকাতা ১৯১৩২

মূল্য ঢই টাকা আট আন]

_.. প্রকাশক-- শ্রীরমেশচন্দ্র চক্রবর্তী এম্‌. এস্‌-সি. ১৫, কলেজ স্কোয়ার, কলিকাতা

প্রিপ্টার- শ্রীরবীন্দ্রনাথ মিত্র স্রীপতি প্রেজ ৩৮, নন্দ্কুমার চৌ ধুরী লেন, কলিকাতা

উত্তর

১৯৩২ সনে বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে যে সকল শিশুর জন্ম তাহারা যখন আঠার বংসর বয়সে পদার্পণ করিবে সেই সময়কার যুবক-বাঙ্গলার হাত-পা জোর আর মাথার জোরকে উদ্দেশ্য করিয়া! এই গ্রন্থ উৎসর্গ করিলাম

শ্রীবিনয়কুমার সরকার

কলিকাতা, ১৪ এপ্রিল, ১৯৩২।

সূচীপত্র

প্রথম ভাগগ- ভন্জাইস্ণ

প্রকাশকের নিবেদন

নবীন দুনিয়ার সুত্রপাত ব্যাঙ্ক-গঠন দেশোন্নতি ব্যাধি-বার্ধকা-দৈব বীমা মজুর-ছুনিয়ায় নবীন স্বরাজ *** ধনোৎপাদনের বিষ্তাপী আথিক জগতে আধুনিক নারী যৌবনের দিগ্িজয়

ত্যাদড়ের দর্শন

বৃহত্তর ভারত কাহাকে বলে?

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ১। কাউক্সিল-বাছাইয়ের খরচ ২। বেঙললগ্ভাশগ্তাল ব্যাঙ্কের পতন ৩। হিন্দুমুসলিম প্যাক রাষ্টরসাধনায় হিন্দু-জাতি

পৃষ্ঠা . ১৭ ১০১৫

১৬৪২ ৪৩ ৬৭ ৬৮-প১৬৩ ১০৪স৮১২৫ ১২৬স১৪৩ ১৪৪-৮১ ৭৭ ১৭৮-২১২ ২১৩স্৮২৪১ ২৪২৫২

২৫৩স্২৬৫ ২৬৫৭ ৭৫ ২৭৫---২৮খ, খত. ৩০৫

19 «

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক

১। ভারতবাসীর জাপান-গবেষণা .*'

২। একালের চীন

৩। চীন-তত্বের বনিয়াদ

৪। চীন, জাপান যুবক ভারত ... ইতিহাসের আথিক ব্যাখ্যা

১। কাল্‌*মাক্স্‌ ফিড রিশ, এঙ্গেল্স্‌

২। পোল লাফার্গের গ্রন্থ রঃ *বর্তমান জগৎ*-রচনার আবহাওয়া

১। আমেরিকা প্রবাসের কথা

২। বিশ্বশক্তির ত্রি-ধারা

৩। ইতালি-ভ্রমণ প্ৰর্তমান জগৎ” আমার নাম ১৯০৫ সন,--আমার নাম

যুবক এশিয়। রী পরিশিষ্ট 3 বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনৃষ্টিটিউটে সম্বর্ধনা

পরিশিষ্ট :-_বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদে সম্বপ্ধান। বর্ণানুক্রমিক সুচী

৩৩৬--৩১২ ৩১২---৩১৫ ৩১৬-৮৩১৮

৩১৯----৩৩২

৩৩৩--- ৩৫৪

৩৫৪---৩৬৮

৩৬০৯ -৮৩৭৬ ৩৭১---৩৭৭ ৩৭৭----৪০১

৪৩২----৪২৩

৪২৪---৪৪৫

৪8 ৭-”৪8৪৮

৪৪৯---৪৫৩ ৪৫ ১--”৪৫৭

ডি 452 ।.:০..১.১৯১০০ 2 & ৬. 2৫,৫2০ (১৮. ৪1 ০৪৩. 0৫15219 ঢঠ

প্রকাশকের নিবেদন

যুক্ত বিনয়কুমার সরকার প্রণীত “নয়! বাঙলার গোড়া পত্তন” ছইভাগে প্রকাশিত হইতেছে প্রথমভাগে * সতরটা রচন৷ স্থান পাইয়াছে। তাহার প্রায় বার আনা বক্তৃতা শ্টহাগ্ডের সাহায্যে বক্ততাস্থলে কথাগুল! ধরিয়া রাখা হইয়াছিল অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বক্তৃতার সারমর্ম মাত্র সংগৃহীত হইয়াছিল। পরে গ্রস্থকারের ₹শোধন সহ এই সব রচনা মাসিক বঙ্গবাণী”, “আত্মশক্তি”, “নবশক্তি*, “আনন্দবাজার”, “শিক্ষা সাহিত্য”, প্উত্তর1”, “ম্থব্ণ বণিক সমাচার”, “জীবনের আলো”, “সওগাত”, পবাঙ্গলার কথা”, “আর্থিক উন্নতি”, “অঞ্জলি” ইত্যাদি মাসিক, সাপ্তা/হক দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়। বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষ এই যে, পত্রিকাগুলা সবই নয় বাঙ্গলার” সাহিত্যমৃত্তি। ১৯১৪-১৮ সনের পুর্বে ইহাদের একটারও জন্ম হয় নাই। প্রবন্ধগুলার কোনো কোনোটা একাধিক পঞ্জে বাহির হুইয়াছে। ম্বতন্ত্র পুভ্তিকার আকারেও একাধিক প্রবন্ধ পুনমুদ্রিত হইয়া প্রকাশিত হইয়াছে সর্বপ্রথম বক্ততার তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ১৯২৫ | বর্তমান গ্রন্থে প্রকাশের জন্য বক্ততাগুলার স্থানে স্থানে গ্রন্থকার কর্তৃক বাড়ানো কমানো হইয়াছে

প্রথমভাগের অন্তর্গত চারটা রচন! গ্রন্থকার-প্রণীত অন্ঠান্ত গ্রন্থের ভূমিকা গ্রস্থগুলা সবই বিদেশে লেখা মাত্র একট! ভূমিকা দেশে

8 ঙ্ট

* প্রথমভাগের প্রধান কথ! “জ্ঞানকাওড”, '“থিয়োরি” বা তন্বাংশ। দ্বিতীয়ভাগে প্রধানতঃ কর্্মকৌশল আলোচিত হইয়াছে।

(২ )

ফিরিবার পর লেখা হইয়াছে অন্ঠান্তগুলা! ১৯২৫ সনের সেপ্টেম্বর মাসের পূর্ধববন্তী এই ভূমিকাগুলার সঙ্গে বর্তমান গ্রন্থের প্রধান প্রধান বক্তব্য সমূছের আত্মিক যোগ আছে বলিয়! সেই সমুদয় পুনমু'দ্রিত করা হইল। অধিকন্ত কয়েকখান। বই বাজারে আর পাওয়া যায় না

“বিদেশ-ফের্তার় অতাচার” প্রবন্ধ ইতালিতে লেখা হইয়াছিল। ইহাই গ্রস্থকারের প্রথমবারকার প্রবাস-জীবনের শেষ বাঙ্গলা রচনা (১৯২৫ সনের মাঝ।মাঝি |

অবশিষ্ট রচনা গুলার সন তারিখ যথাস্থানে লেখা আছে।

১৯২৫ সনের সেপ্টেম্বর হঃতে আজ পথ্যস্ত বিনয়বাবুর সঙ্গে বোম্বাই, এলাহাবাদ কলিকাতার বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিনিধির সঙ্গে নানা প্রকার কথাবার্ত। অনুষ্ঠিত হইয়াছে এই গুলার সবই ইংরেজিতে

প্রকাশিত। তাহা ছাড়! নান! প্রতিষ্ঠানে তাহাকে নান। উপলক্ষ্যে

রী

ইংরেজিতে বক্ততা করিতে হইয়াছে এই সকল ইংরেজি কথাবার্তা বক্ত.তার বেশী-কিছু বর্তমান গ্রন্থের জন্ত অনুদিত হয় নাই “গ্রীটিংস্‌ টু ইয়ং উত্তিয়” (যুবক ভারতের নিকট সম্ভাষণ ) নামক ইংরেজি গ্রন্থে ( কলিকাতা, ১৯২৭) তাহার কিছু কিছু প্রকাশিত হইয়াছে।

বিদেশে দুইবারে চোদ্দ বগুসর

বিনয় বাবু প্রথমবার ভারতবধ ত্যাগ করেন ১৯১৪ সনের এপ্প্রিল তারিখে প্রায় সাড়ে এগার বৎসর পর ৯২৫ সনের ১৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে তিনি বোম্বাই সরে পদার্পণ করেন। দ্বিতীয় বার ভারতবর্ষ ত্যাগ করেন কলম্বোর ১৯২৯ সনের ১৩ই মে,__ফিরিয়। আসেন বোম্বাইয়ে ১৯৩১ সনের ২এ অক্টোবর ছুই বারকার সমবেত চোষ বৎসরের প্রবাস-জীবনের সঙ্গে তাহার সাহিত্য-চ্চা সুজড়িত

( )

“নয় বাঙলার গোড়াপত্তন” গ্রন্থের রচনাগুলা, কয়েকটা বাদে, ১৯২৫ সনের সেপ্টেম্বর হইতে ১৯২৯ সনের মে পর্য্যস্ত পৌনে চার বৎসর আর ১৯৩১ সনের অক্টোবর হইতে ১৯৩২ সনের এপ্রিল পথ্যস্ত ছয় সাত মাসের লেখা এই সওয়া চার বৎসরের চিস্তাপ্রণালীর উপর প্রবাসের চোদ্দ বৎসরের অন্ুসন্ধান-গবেষণা অনেক প্রভাব বিস্তার করিয়াছে এই কারণে প্রবাস-জীবনের লেখাঁপড়। অন্তান্ত আবহাওয়ার কিছু পরিচয় বর্তমান গ্রন্থের ভূমিকায় প্রাসঙ্গিক বিবেচিত হইবে

“বর্তমান জগ্াৎ”

বিনয় বাবুর বিদেশ-1বষর়ক গবেষণার ফল বাঙ্গল! ভাষায় নিয়লিখিত পুস্তকগুলিতে প্রকাশিত হইয়াছে, যথা £--(১) কবরের দেশে দিন পনর ( মিশর 1 (১৯১৫১ ২০০ পৃষ্ঠা) (২) ইংরেজের জন্মভূমি ' ১৯১৬, ৫৮৬ পষ্ঠা ) (৩) বিংশ শতাব্দীর কুরুক্ষেত্র (১৯৯৫, ১৩০ পৃষ্ঠা) (৪) উয়াঙ্ষিস্থান বা অতিরঞ্জিত ইয়োরোপ ( ১৯২২, ৮২৪ পুষ্ঠা ) ! ; নবীন এশিয়ার জন্মদাতা জাপান (১১২৭, ৫১০ পৃষ্ঠা) (৬) বর্তমান বুগে চীন সাম্রাজ্য (১৯২৮, ৪৫০ পষ্ঠা) ৭) স্থইঈটসালণাণ্ড (১৯৯৯, ৭৫ পৃষ্ঠা), (৮) ইতালিতে বারকয়েক ( ১৯৩২, ৩০১ পৃষ্ঠ। )।

মন্ান্ত পুস্তকের অন্তর্গত বিষয়গুলি বিভিন্ন পাত্রকায় বাহির হইয়া গিয়াছে এবং বর্তমানে বইয়ের আকারে বাহির করিবার জন্ত ছাপান হহতেছে। এই সমস্ত পুস্তকে নিম্নলিখিত দেশগুলিসন্বন্ধে আলোচনা করা হইয়াছে থা :₹--(১) প্যারিসে দশ মাস ( প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠা ) (২) পরাজিত জাম্মানি অস্ট্রিয়া ( প্রায় ৩০৯ পৃষ্ঠা )

ওমকা? এই দশখানি পুস্তকে কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান, 'শক্ষা, সাহিত্য, কলা

0৪)

এবং সমাজসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বর্তমান কালের গতি কোন্‌ পথে চলিতেছে তাহ বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছেন

এই সময়কার আর একথানি পুস্তক ফরাসী, জাম্মাণ ইতালিয়ান নজির অবলম্বনে একালের আস্তর্জীতিক লেনদেন সম্বন্ধে লিখিত পুস্তক খানির নাম “ছুনিয়ার আবহাওয়া” ( ৩২০ পৃষ্ঠা, ১৯২৬)। “নবীন রুশিয়ার জীবন প্রভাত” নামক একখানা গ্রন্থ প্রবন্ধের আকারে পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়া গিয়াছে ইহাতে বোলশেভিক বিপ্লবের তের চৌদ্দ বৎসর পূর্বেকার কথা আলোচিত হইয়াছে এই দুইখানা বই

অবশ্ব ভ্রমণ বৃন্বান্তের সামিল নয়। এই বারখান। বইয়ের মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪*** এর কিছু উপর “বর্তমান জগৎ” গ্রস্থাবলী সভ্যতা- বিজ্ঞানের এক বিশ্বকোষ বিশ্ষে।

চীনা সভ্যতা যুবক ভারত

আরও পাঁচখান! বাংলা বই বিদেশে প্রবাস কালেরই রচনা. সেই সবও ভ্রমণ-কাহিনীর অন্তর্গত নয়। একখানার নাম “চীনা সভ্যতার অ, আঁ, ক, খ* (২৫০ পৃষ্ঠ!) এই বইখানি ১৯২৩ সনে ছাপান হহয়াছে। প্রাচীন চীনের সভ্যতা সম্বন্ধে বাঙ্গালীর লেখা বই বোধহম়্ এই প্রথম। এই বইস্সের আলোচ্য বস্ত তাহারই প্রণীত “বর্তমানযুগে চীন সাম্রাজ্য" হইতে সম্পূর্ণ রূপেই পৃথক “চীনা সভ্যতার অ, আ, ক, খ* ভারত- পর্যটক ঝুয়ানুআ-ঙের নামে উৎসর্গ করা হইয়াছে। আর “বর্তমানযুগে চীন সাম্রাজ্য” কাঁড-যু-ওয়ে লিয়াউচি-চাও এই দুইজন আধুনিক চীন-নায়কের নামে উৎসর্গান্কত।

চীনের বহু পঙ্গীতে এবং নাঁন৷ সহরে বিনয়বাবু মোটের উপর এক ব্খসর ( ১৯১৫-১৯১৬ ) “কাটাইয়াছিলেন। বর্তমান এবং প্রাচীন

€॥ ৫)

চীন সম্বন্ধে তাহার গবেষণা! অনুসন্ধান একাধিক ইংরেজি গ্রন্থে প্রকাশিত হইয়াছে আজ বাংলা দেশে চীনের কথা শুনিবার জন্ত এবং বুঝিবার জন্য আগ্রহ দেখা যাইতেছে বাঙালীর লেখা চীনবিষয়ক চাক্ষুষ গ্রন্থ বাঙালী পাঠকগণের বিশেষ কাজে আসিবে বিনয় বাবুর যে সকল ইংরেজি বইয়ে চীন বিষয়ক রচনা বাহির হইয়াছে এই সঙ্গে সেই বইগুল] নিয়ে উল্লিখিত হইল £--

১৪ চাইনীজ রিলিজ্যন থ, হিন্দু আইজ. (হিন্দু চোখে চীনা ধর্ধ ) , শাংহাই, ১৯১৬, ৩৬৩ পৃষ্ঠ। )। চীনের পররাষ্ট্রদূত ডক্টর তিং-ফা এই গ্রন্থের ভূমিকা লিখিয়াছেন। এই গ্রন্থে চীন, জাপান এবং ভারতবর্ষের সমাজ, ধর্ম র।ষ্ব যুগের পর ষুগ ধরিয়া একসঙ্গে আলোচিত হইয়াছে ৬ার * 12 সঙ্গে ইয়োরোপের নানা যুগের তথাও তুলনায় বিশ্লেষণ করা হইয়াছে

২) “দি ফিউচারিজম. অব ইয়ং এশিয়া” (যুবক এশিয়ার ভ'বব্যনিষ্ঠা ) : লাইপৎসিগ্‌ ৪১৯ পৃষ্ঠা, ১৯২২)। এই গ্রন্থের ১৯* পৃষ্ঠায় বর্তমান চীনের আর্থিক রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক অবস্থা বিবৃত আছে। অধ্যায়গুলা আমেরিকার নান] বিশ্ববিগ্ভালয়ে গ্রস্থকারের প্রদভ বন্তৃতাবলীর সারমন্ত্ন। 'আমেরিকার রাষ্ট্রবিজ্ঞান-বিষয়ক পত্রিকায় এই সকল অধ্যায় বাহির হইয়াছিল

৩। দি পলিটিকস্‌ অব বাউগারীজ (সীমানার রাষ্ট্রনীতি ) ( কলিকাতা ১৯২৬, ৩৪০ পৃষ্ঠ )। এই গ্রন্থের তিন অধ্যায় চীন, জাপান সিঙ্গাপুরের বর্তমান সমস্ত! লইয়া লিখিত। ফরাসী, জার্মান এবং ইতালিয়ান নজির ব্যবহৃত হইয়াছে

৪: প্গ্রীটিংস্‌ টু ইয়ং ইও্ডিয়া” (যুবক ভারতের নিকট সম্ভাষণ )

( )

(কলিকাতা, ১২৮ পৃষ্ঠা; ১৯২৭ )। এই গ্রন্থে ১৯১*-_২৭ সনের চীন- সমস্তা আলোচিত হইয়াছে !

চীন-কথাকে ভারতীয় চিস্তামগ্ডলে সুপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস বিনয় বাবুর বাংল! ইংরেজি গ্রন্থের (মোটের উপর প্রায় ১২০০ পৃষ্ঠ! ) অন্ঠতম লক্ষ্য দেখিতে পাই। ১৯১৫--১৬ সনের দেড় ছুই বৎসর ধরিয়া জাপান, কোরীয়া, মাঞ্চুরিঘা উত্তর চীনের বিভিন্ন সমাজে তিনি যে সকল অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন সেই সমুদয়ের ফলই এই সকল গ্রন্থে সন্নিবেশিত হইয়াছে "চীনাধন্ম” বিষয়ক ইংরেজি গ্রন্থের কিয়দংশ বিলাতী “রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি” নামক পরিষদের শাংহাই-শাথার বক্তৃতারূপে বাহির হঈয়াছিল। এই পরিষদের তিনি আজীবন স্ভ্য নির্বাচিত হইয়াছেন প্চীনা ধর্ম” গ্রন্থ শাংহাইয়ের “ন্যাশনাল রিভিউ” নামক বিদেশী-পরিচালিত ইংরেজি পত্রিকার আগাগোড়। বাহির হইয়াছে

চীন। সাহিত্য-সেবী শিক্ষা-প্রচারকদের বিভিন্ন পরিষদে তিনি বন্ততা করিবার জন্য নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন। পিকিঙের বিশ্ববিস্তালয় হইতে নিমন্ণ আসিয়াছিল। তাঁহার (কানে! কোনো বক্তৃতা চীন! হুধীদের সম্পাদিত চীনা প্তিকায় প্রকাশিত হইয়াছে ' মার্কিন পণ্ডিত গিল্বার্ট রীড. প্রতিষ্ঠিত “ইণ্টারন্তাশনাল ইন্ট্টিটিউট্‌” সভায় তিনি অনেকবার বক্তৃতা করিবার জন্ত আহুত হন। উচ্চশিক্ষিত চীনা সমাজের ভিতর ভারতীয় চিস্তাধার৷ তাহার ফলে নুবিজ্তৃত রূপে প্রবেশ লাভ করে। ত্রীহাকে কেন্দ্র করিয়া যুবক চীনের বিজ্ঞান, সাহিত্য শিক্ষ1 বিষয়ক নান! প্রতিষ্ঠান চীনা সমাজে এশিয়ার প্রাচীন বর্তমান সভ্যতা সম্বন্ধে পঠন-পাঠনের স্থারী ব্যবস্থা করিতেছিল। কিন্তু পাক বন্দোবস্ত ঘটিয়া উঠিবার পূর্বেই বিনয় বাবু চীন পরিত্যাগ করেন !

( ) হিন্দুজাতির রাষ্ট্র-সাধন!

“চীন। সভ্যতা” বিষয়ক বইয়ের মতনই “হিন্দু-রাষ্ট্রের গড়ন” (৩৮২ পৃষ্ঠা) বিদেশ প্রবাসের সময় প্রণীত। কিন্ধু এট বই বাহির হইয়াছে বিনয় বাবুর স্বদেশে ফিরিবার পর (১৯২৬)। প্রকাশক জাতীয়-শিক্ষা- পরিষত। হিন্দু সমাজ রাষ্ট-শাসনে কিরূপ দক্ষতা লাভ করিয়াছিল তাহা! বাংল! ভাষার সাহায্যে জানিবার উপায় এই প্রথম। প্রত্যেক খুটিনাটি বুঝাইবার জন্য গ্রীক, রোমান, মধ্যযুগের ইয়োরোপীয়ান এবং বর্তমান পাশ্চাত্য সমাজের আইন, দগুনীতি, রাজন্ব-ব্যবস্থা, নগর-শাসন, পল্লী- স্বরাজ, সমর-বিজ্ঞান, সাআজ্য-নিষ্ঠা ইত্যাদি সব £কিছুই খুলিয়া ধর! হইয়াছে ভারতীয় “গণ” (রিপার্রিক ) তন্ত্রের বথার্থ মূর্তি বিশেষ - রূপে বিবৃত আছে

তিনখান। ধনবিজ্ঞানবিষয়ক বঙ্গানুবাদ

সময়ের মধ্যেই বিনয় বাবু ধন-বিজ্ঞান সম্পর্কিত নিয়লিখিত ) বইগুলির বঙ্গাজবাদ রচনা করিয়।ছেন 2

(১) জান্দমান ধন-বিজ্ঞানপপ্ডিত ফ্রেডরিক লিষ্ট প্রণীত “ম্বদেশী ধনবিজ্ঞান” গ্রন্তের ধতিহাসিক অংশ অনুবাদ গ্রন্তাকারে ( ২৫০ পৃষ্ঠা ) বাহির হইল (১৯৩২ )। নম “শ্বদেশী আন্দোলন সংরক্ষণ-নীতিশ। এই অনুবাদের প্রথম কয়েক অধ্যাযস ! ১৯১৩--১৪ ) সনের পুর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় বাহির হুইয়াছিল।

(২) ফরাসী ধন-বিজ্ঞান-পণ্ডিত লাফার্ণ প্রণীত গ্রন্থের তর্জমা “ধনদৌলতের-রূপান্তর” নামে বাহির হইয়াছে ( ২৫০ পৃষ্ঠা, ১৯২৭ )।

(৩) জান্মান ধন-বিজ্ঞান-পণ্ডিত এঙ্গেল্দের বই "পরিবার, গোষ্ঠী রাষ্ট” নামে অনুর্দিত হইয়াছে (৩৪৯ পৃষ্ঠা, ১৯২৬ )। ধনবিজ্ঞান বিস্তায়

(৮ 0

যুগাস্তর সৃষ্টি করিয়াছিলেন জান্মীন পণ্ডিত, সমাজ-সেবক এঙ্েল্স.॥ তাহার গ্রন্থ পৃথিবীর সকল বড় বড় ভাষায়ই পাওয়া! ষায়। বাংল ভাবায় তর্জমণ প্রকাশ করিলেন বিনয় বাবু। এই বটটা পড়িলে বর্তমান জগতের ধনোৎপাদন মজুর-সমন্তা সম্পূর্ণরূপে বুঝবার সাহায্য পাওয়। যাইবে

"নিগ্লোজাতির কর্্মবীর”

এই তিনখান। ধন-বিজ্ঞান বিষয়ক বই ছাড় বিনয় বাবুর লেখা আর একখানা বাঙ্গলা অন্ববাদ-পুস্তক আছে নাম “নিগ্রোজাতির কর্মবীর” দেশে থাকিবার সময়েই তর্জম। শেষ হয় কিন্তু গ্রস্থকারের এই অক্কবাদ, প্রথম বাহির হইয়াছিল ১৯১৪---১৫ সনে।

বিশ্বসভ্যতা সমাজ-বিভ্ঞান বিষয়ক ইংরেজি গ্রন্থাবলী

প্রথমবারকার বিদেশ-প্রবাসের সময় যে সকল বাংলা বই লিখিত হইয়াছিল তাহার মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রায় ৫১৫৯ | এই সময়ের ভিতরই বিনয় বাবু কতকগুল| ইংরেজি বইও লিখিয়াছেন বইগুল। চীন, জাপান, ইংলও্, আমেরিকা জান্মীনি এই পাঁচ দেশে প্রকাশিত হইয়াছে। কোনে। কোনোটা ভারতবর্ষেও বাহির হইয়াছে এই বইগুলার ভিতর ভারতীয় জীবন-কথা এশিক়র সভ্যতার নান অঙ্গ বিশ্লেষিত আছে। কিন্তু প্রত্যেক রচনাই তুলনামূলক দেশ-বিদেশের তথ্য প্রত্যেক গ্রন্থেই অনেক স্থান অধিকার করিতেছে কাজেই এই সমগ্র ইংরেজি রচনা! বিশ্বসভ্যত। সমাজ-বিজ্ঞান বিষয়ক সাহিত্যের অস্তর্গীত |

বইগুলার নাম নিয়রূপ £--

(১) “হিন্দু চোখে চীন! ধণ্্প (“চাইনীজ, রিলিজ্যিন থ, হিন্দু আইজ» (১৯১৬, শাউহাই, ৩৩৬০ পৃষ্ঠা)

(৬৯ )

€২) “হিন্দু সাহিত্যে প্রেম-কথা” (ল্যভ, ইন্‌ হিন্দু লিটরেচ্যর ) (১৯১৬, তোকিও, ৯৫ পৃষ্ঠা

(৩) “হিন্দু সভ্যতায় জনসাধারণের জীবন” ( দি ফোক-এলিমেপ্ট ইন্‌ হিন্দু কালচ্যর ) ( ১৯১৭, লগ্ন, ৩৭২ পৃষ্ঠা )

(৪) “ভৌতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে হিন্দুজাতির কৃতিত্ব” ( হিন্দু আচীভ.- মেণ্টস্‌ ইন্‌ এক্জ্যাক্ট, সায়েন্স) (১৯১৮, নিউইয়র্ক, ৯৫ পৃষ্ঠা )

(৫) “হিন্দু জাতির স্ুকুমার-শিল্পে মানব-নিষ্ঠা আধুনিকতা” (হিন্দু আর্ট; ইট্‌স্‌ হিউম্যানিজম. আযাণ্ড মডাঁনিজম.) প্রবন্ধ (১৯২০, নিউইয়র্ক, ৬৫ পৃষ্ঠা )

(৬) “হিন্দু সমাজ-তত্বের বাস্তব ভিন্তি” (দি পজিটিভ, ব্যাকগ্রাউও অব. হিন্দু সোসিওলজি ) ২য় খণ্ড (রাষ্ঈ-নৈত্তিক ) প্রথম ভাগ ( ১৯২১ পাণিনি আফিস্‌, এলাহাবাদ, ১২৬ পৃষ্ঠা)। প্রথম খণ্ড ১৯১৪ সনের প্রথম দিকে বাহির হইয়াছিল

(৭) “হিন্দুজাতির রাষই-প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র-র্শন” ( দি পোলিটিক্যাল ইন্ঠিটিউশ্যন্স্‌ খআ্যাণ্ড থিয়োরিজ অব দি হিন্দু) (১৯২২ লাইপৎসিগ.» ২৬৩ পৃষ্টা | |

(৮) “যুবক এশিয়ার ভবিষ্যনিষ্ঠা' (দি ফিউচারিজম. অব ইয়ং এশিয়া ) (১৯২২, লাইপৎসিগ. ৪০৯ পৃষ্ঠা )

(৯) “যুবক ভারতের স্বকুমার শিল্প” (দি এস্থেটিকূস্‌ অব ইয়ং ইপ্ডিয়া ) (১৯২৩, কলিকাতা ১২০ পৃষ্ঠ )

(১) “হিন্দু সমাজ-তত্বের বাস্তব ভিভ্ি” (দি পজিটিভ, ব্যাক্‌ গ্রাউও অব হিন্দু সোসিগলজি ) ২য় খণ্ড, ২য় ভাগ ইতালিয়ান ভাষায় প্রাচীন হিন্দু রাষ্ট্রনীতি সম্বন্ধ যে সকল আলোচনা আছে তাহার বিবরণ এই গ্রস্থের পরিশিষ্ট ( ১২৯ পৃষ্ঠা এলাহাবাদ, ১৯,৬)।

(১০ )

ইংরেজিতে লেখা তুলনা-মূলক সমাজ-তত্ব বিষয়ক বইগুলার পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রায় ২০** | সবই প্রথমবারকার প্রবাসের সময়ে বিদেশে লেখা এই সকল বইরের বহুসংখাক সুদীর্ঘ সমালোচনা ইংরেজি, মার্কিন, ইতালিয়ান, ফরাসী জান্মাণ দৈনিক, বৈজ্ঞানিক পরিষৎ-পত্রিকার প্রকাশিত হইয়াছে। তুলনা-যূলক সমাজ-বিজ্ঞানে বিনয় বাবু হিন্দু এশিয়ান সভ্যতার তরফ হইতে যে সকল বিশেবত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাখ্যা প্রচার করিয়াছেন সেই দ্রিকে বিদেশী পণ্ডিতদের দৃষ্টি আকুষ্ট হইয়াছে বিদেশী পত্রিকাসমূহে বিনয় বাবুর রচনাবলী সম্বন্ধে যে সকল আ.লো5ন। বাহির হইগ্াছে, সেই সব একত্র করিলে একথানা পাঁচ ছয়শ+ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ বই প্রকাশিত হইতে পারে এই সকল সমালোচনা-লেখকদের মধ্যে অনেকেই জগত-প্রসিদ্ধ বিশেষজ্ঞ | তাহাদের মতামতের ভুএক ংশ বিনয় বাবুর “দি পোলিটি কাল ফিলজফীজ. সিন্স ১৯৯৫” (১৯-৫ সনের পরবতী রাষ্ট্র-দর্শন সমূহ) নামক ইংরেজি গ্রন্থের (মাদ্রাজ ১৯২৮, ৪০০ পৃষ্ঠা। মেজর বামনদাস বন্থু কর্তৃক লিখিত ভূমিকায় স্থান পাইয়াছে। ইংরেজিতে কবিতা -পুস্তক বিনয় বাবুর কয়েকটা ইংরেজি কবিতা! ১৯১৭ সনে আমেরিকার মাসিক পত্রিকায় বাহির হইয়াছিল পরে ১৯১৮ সনে “দি ব্লিস্‌ অব. মোমে্ট” মেহুর্তের আনন্দ) নামে তাহার একখানা গ্রন্থ বষ্টনের *পোয়েট-লোর” কোম্পানী কর্তৃক প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থ পাঁচ অংশে বিভক্ত মোটের উপর ৭৫টা কবিতা মাছে প্রথম সংস্করণ অনেক দিন হইল নিঃশেষ হইয়া গিয়াছে প্ৰষ্টন ট্র্যান্স্ক্রিপউ” এবং নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন পত্রিকায় এই গ্রন্থের বিশেষত্বগুলা সবিশেষ আলোচিত হইয়াছিল

( ১. ) ফরাসী. জান্মাণ ইতালিয়ান রচন!

বিনয় বাবুধ জাশ্মাণ ভাষায় লিখিত একখানি গ্রন্থের নামণ্ড়ী লেবেন্স্‌- আন্শাউও ডেস্‌ ইগ্ডাঁস” 'হিন্দু জাতির জীবন দর্শন) (লাঈপ খসিগ, ১৯২৩, পষ্ঠা'। ফর।সী ভাবায় লিখিত তাহার কোনো কোনে রচন! “সেআ'স ভ্রাভে! দ্যলাকাদেমী দে সিআস মরাল পোলিটিক্‌” নামক ফরাসী রাইঈ-বিজ্ঞান-পরিষৎ-পত্রিকায় মন্তান্ত পত্রিকায় বাহির হইয়াছে সকল লেখা এখনও প্রকাশিত হয় সাই॥। রচনাগুলা গ্রন্থাকাছ্ুর বাহির হইবে হতা'লয়ান ভাষায়ও বিনয়বাবু ইতালিয়ান ধনবিজ্ঞন-পাজ্কায় প্রবন্ধ লিখিয়াছেন | ফরাসী, জান্মীণ ইতালিয়ান ভাষার বিন বাবুর রচনা সংখ্যা ১৯২০-২৫ এর যুগে ১ট1 আর ১৯৩০-৩১ এর যুগে ৩৫টা

যুদ্ধের পরবত্তী অর্থ, রাষ্ট্র জ্ঞানবিজ্ঞ।ন-বিষয়ক তিনখানি পুস্তক

প্রথমবাধকা বিদেশে অবস্থানকালে বিনয়বাবু একালের ছুনিয়। সম্বন্ধে তিনখানণি বহ ইংরেজিতে 'লাখয়াছেন “একখানি গ্রন্থের নাম “সীমান।র রাঈনীতি আস্তজ্ঞ'তিক লেনদেনের ঝোঁক” (“দি পলিটিকৃস্‌ অব পাঁউগারাজ ম্যাও্ টেগ্ডেন্পীজ, ঠন উণ্টার-ন্যান্তনাল রেলেশ্ঠনস্‌্” (কলিকাঁ' ১৯৬, পুষ্ঠ।) | ছিত'য় খনির নাম “গ্রস্থাবলী জ্ঞান-বিজ্ঞান” ( বিবলি৪গ্র্যাফিকাল. কাল্চ্যর্যাল আযাণ্ড এড়কেশন্যাল শিউজ ফ্রম আমেরিকা, ফ্রান্স,জান্মীণি আগ হতালি ৩৫০ পুষ্ঠা।। তুতীর খানির নাম “নয়। ছুনির আর্থিক ক্রমবিকাশ” (ইকদমিক ডেভেলাপমেপ্ট, আ্নাপশাটজ্‌ অব ওয়াল্ড” মুভমেণ্টস্‌ ইন কমাস? ইকনমিক্‌ লেজিস্লেশ]ান, ইয়ালিজম্‌ আও টেকনিক্যাল

(১২ )

এডুকেশ্যান) (মান্াজ, ১৯২৬, ৪৫৯ পৃষ্ঠা) | প্রথম তৃতীয় বই ছুখানি ইতিপূর্বেই বাহির হইয়াছে। দ্বিতীয় বইখানির অনেকাংশ কলেজিয়ান (কলিকাত।) পত্রিকায় বাহির হইয়াছিল। অন্তান্ত অংশও নান পত্রিকায় বাহির হুইয়! গিয়াছে ' বালিনে “কমাশিয়াল নিউজ”-সম্পাদক এই প্রসঞ্গে উল্লেখ কর! দরকার যে বিনয়বাবু ১৯২২ সাল হইতে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত জান্মীণির বালিনস্থ পকমাঁশিয়াল নিউজ* ( খাণিজ্য সংবাদ ) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারতের স্থযোগ ্ুুবিধ! প্রচার করা পত্রিকাখানির অন্ততম মুখ্য উদ্দেশ্ত ছিল। “ইপ্ডো-অযরোপেয়িশে হাগ্ডেলস্‌ গেজেল শাফ.টত নামক বণিক-কোম্পানীর তত্বাবধানে এই পত্রিকা প্রকাশিত হইত। কাশীর হিন্দি “আজ” পত্রিকায় প্রবন্ধ বিদেশে ভ্রমণকালে বিনয়বাবু তাহার বন্ধু, কাশীর শ্রীযুক্ত শিবপ্রসাদ গুপ্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “আজ” নামক হিন্দি ধনিক পঞ্জিকায় নিয়মিত 'চিঠি লিখিতেন। রচনাগুল1 ১৯২১ সনের প্রথম হইতে ১৯২৫ সনের মাঝামাঝি পথ্যস্ত “হামারী য়োরোপকী চিঠি” নামে বাহির হইয়াছে এইগুলা "স্বতন্ত্র গ্রস্থাকারে প্রকাশ করিবার ব্যবস্থা হইতেছে ॥। কয়েকটা মাত্র নিজের হিন্দি লেখা অন্তগুল! তাহার বাংল] হইতে তর্জম]। প্রবাস-জীবনের কয়েকটা নিদর্শন

বিনয়বাবু বিভিন্ন বিদেশী সমাজে কোথায় কিরূপ কাজ করিয়াছেন তাহার কয়েকটা নিদর্শন নিয়ে বিবৃত হইতেছে এই সমুদয় হইতে তাহার প্রবাস-জীবনের নানাবিধ অভিজ্ঞতার “কছু কিছু পরিচয় পাওয়া স্বাইবে।

( ১৫ ) অধ্যাপক ডুরী জেলিগ.ম্যানের ইস্তাহার

কলাম্বিয়। বিশ্ববিদ্ালয়ের অধ্যাপক ডুয়ী একালের দশন-জগতে . অন্ততম ধুরন্ধর। তাহার সহযোগী, অধ্যাপক সেলিগয়্যান নিজ বিদ্া- ' ক্ষেত্রে ধনবিজ্ঞান বিষ্ভা জগত্প্রসিদ্ধ। বিনয় বাবুর গবেষণ' বন্ততাবলী গ্রন্থ-প্রবন্ধাদিণ আলোচনা-প্রণালী এই ছুইজন মার্কিন পণ্ডিতের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিষ্ঠ।লয় পরিষৎ সমুহে তাহাদের সমব্যবসায়ী পণ্ডিতগণের নিকট অধ্যাপক ডুয়ী সেলিগম্যান একখান] ইস্তাহার জারি করেন। ইন্তাহারখানির কিয়দংশের বঙ্গানুবাদ নিম্নরূপ £-- কলাম্বিয়। বিশ্ববিছ্থ।লর়, নিউ ইয়ক। ৪ঠ1 জনুয়ারী ১৯১৮।

“নিম্নে ধাহাদের ন।ম সহি রহিল তাহারা পরম পরিতোষের সহিত এই দেশে শ্রীযুক্ত খিনয়কুমার সরকার মহাশয়ের অবস্থান সম্বন্ধে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের কর্তৃপক্ষের নিকঢ নিবেদন কারত্ছেন। বিনয় বাবু একজন বিশি ভারতীয় সধী। তিনি রাজনীতি, ধনবিজ্ঞান, সমাজতদ্ব, শিক্ষা ধন্ম সম্বন্ধে প্রাচ্য পাশ্চাত্য উভয়বিধ তথ্যমূলক কতকগু।ল প্রসিদ্ধ গ্রন্থ প্রণয়ন কারয়াছেন ভাহার একটা প্রবন্ধ “পোলিটিক্যাল সায়েন্স কোয়াটারলি” নামক র/ষ্র-বিজ্ঞ।ন |বষয়ক ত্রেমা- সিক পত্রিকায় সত্বর প্রকাশ করিবার জন্ত লওয়া হইয়াছে প্রাচা দেশীয় রাষ্ট্র-দর্শন সম্বন্ধে কলাঘিয়। বিশ্ববিদ্ভালযে এবার বসস্তকালে তনি ছইটা বন্ততা দান করিবেন। ক্লাক বিশ্ববিস্তালয়ে তিনি ছুইটা বক্ত.ত। দান করিয়াছেন গর প্রতিষ্ঠঠনের অধ্যাপক শ্রীযুত হানকিন্স মহাশয়ের লিখিত মন্তব্য হইতে আমরা নিয়ে কিছু উদ্ধৃত কাঁরতেছি £--

(১৬)

"বহুদিন ধরিয়া আমি এমন সুন্দর জ্ঞানগর্ত বক্তা শ্রবণ করি নাই এই ব্যক্তির পাণ্ডিত্য খুব ব্যাপক স্থুনিয়ন্ত্রিত। তিনি একাধারে ধার্শনিক, কবি এতিহাসিক | %* & যে সমস্ত বিষয়ে আমেরিকার আরও অনেক বেশী জ্ঞান থাকা উচিত সে সমস্ত বিষয়ে ইনি বাশ্ুবিকই প্রন্তর তথ্যের অধিকারী এই ব্যক্তির বীর্যযপূর্ণ ব্যক্তিত্ব আছে, আর ইহার ধরণ-ধারণও সুন্দর। এইজন্য ইনি লোকজনের সম্মান দখল করিতে সমর্থ হইবেন ।”

উপরোক্ত কথাগুলি যে খাঁটী সত্য সে সম্বন্ধে আমর! আমাদের প্রত্যক্ষ জান হইতে শ্বীকার করিতে পারিতেছি বলিয়া আমর! আনন্দিত। বিশেষতঃ ললিজকালকার এই গোলযোগের সময় বখন প্রাচ্য পাশ্চাত্য এই উতর পরম্পর সন্বন্ধ নির্ণয় বিষয়ে অধিকতর জ্ঞানের দরকার তখন আমরা কুষ্ঠাশুন্ঠ চিত্তে বিদ্যাপ্রতিষ্ঠান সমূহের কর্তৃপক্ষদিগকে সনির্বনধ অন্থুরোধ করিতেছি যেন তাহার! প্রাচ্য দেশীয় জ্ঞানরাজ্যের এই খ্যাতনামা প্রতিনিধির সংস্পর্শে আসিবার জন্য তাহাদের ছাত্র দিগকে অবসর দান করেন রক +

(স্বাক্ষরিত ) জন ডুয়ী দর্শনের অধ্যাপক এড ইন, আর, এ, সেলিগৃম্যান ম্যাকৃভিকার প্রোফেসর অৰ পোলিটিক্যাল ইকনমি।?

€( ১৭ )

আন্তর্জাতিক পত্রিকায় সম্পাদক

১৯১৯ সনের জুন মাসে আমেরিকার ক্লার্ক বিশ্ববিষ্ঠালয় হইতে বিনয় বাবুর নিকট নিম্নলিখিত পত্রথানি আসে £-_ “উপ্সটার ম্যাসাচুসেটস ৯ই জুন, ১৯১৯

“প্রিয় অধ্যাপক সরকার,

“আপনার অল্পকাল পূর্বের প্রবন্ধগুলি দি জার্পাল অব্‌ রেস্‌ ডেভেলাপ.মেণ্ট পত্রিকায় প্রকাশ করিয়া আমরা এতই আনন্দ লাভ করিয়াছি যে সম্পাদক মহাশয়গণ আপনাকে এই পত্রিকার একজন প্রবন্ধ লেখক-সম্পাদকের পদ গ্রহণ করিতে আন্তরিকতার সহিত আমন্ত্রণ করিতেছেন এইটা! লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন ষে, প্রেসিডেপ্ট ষ্ট্যান্লি হল আমার হাতে বর্তমানে পত্রিক! প্রকাশের সমস্ত দায়িত্ব রহিয়াছে।

“এই আমন্ত্রণ যদি আপনার মনঃপৃত হয় তাহা! হইলে অনুগ্রহ করিয়! আমাকে জানাইবেন। আমার বিশ্বাস, আগামী জুলাই সংখ্যায় আপনার নাম পত্রিকার সহিত.সংশ্লিষ্ট করিবার এখনও সময় আছে।

আপনার অকপট মিত্র, ( ম্বাক্ষরিত ) জি, এইচ, ব্রেক্স্লি।”

ইতালিয়ান অর্থশান্ত্রী সেনেটার পাস্তালেঅনির পত্র

১৯২০ সনের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালির রোম হইতে বিনয় বাবুর নিকট 'আমেরিকাঁয় নিম্নলিখিত পত্রথানি আসে। ধনবিজ্ঞানাধ্যাপক সেনেটার পাস্তালেঅনি এই পত্রের লেখক

(১৮ 0

রোম, ১০ ফেব্রুয়ারী ১৯২০ ভিয়া জুলিয়।

“প্রিয় অধ্যাপক মহাশয়,

"শল্ী বণিক শ্রেণী”? বিষয়ক আপনার প্রবন্ধটি পাইয়াছি। পাইয়াই তৎক্ষণাৎ উহা জ্যর্ণালে দেলি একনমিস্তি নামক পত্রিকায় প্রকাশ করিবার জন্ত আদেশ প্রদান করিয়াছি।

"আপনি যে আমাদের কথ। ভাবিয়াছেন সেজন্ত আপনাকে ধন্যবাদ দিতেছি। আপনার লেখনী প্রস্থুত যে কোনো! প্রবন্ধ আমরা আনন্দের সহিত প্রকাশ করিব

“আপনার বর্তমান প্রবন্ধট আমার বিবেচনায় জ্যর্ণালের মতন খাটা বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় প্রকাশ করা সর্ধশ্রেষ্ঠ। যদি আপনি রাজনীতি সম্বন্ধে প্রবন্ধ (রাজনীতি এখানে বিস্তৃতভাবে বুঝিতে হইবে ) প্রদান করিয়া আমাদিগকে ক্ৃতার্থ করিতে চান তাহা হইলে আমি পলিতিক। অথবা ভিত! ইতালিয়ানার মতন রিভিউয়ে ছাপিবার ব্যবস্থা করিতে পারি।

আপনার-_ ( শ্বাক্ষর ) মাফেঅ পাস্তালেঅনি”

ফরাসী ধনবিজ্ঞান-পরিষদের চিঠি

১৯২১ সনে প্যারিসের “সোসিয়েতে দেকোনোমী পোলিটিক” নামক ফরাসী ধনবিজ্ঞান পরিষদ তাহাদের দ্বিতীয় সভাপতি সেনেটার রাফায়েল জজ লেভির মনোনয়নে বিনয় বাবুকে তাহাদের সভ্য নির্বাচিত করেন। এই উপলক্ষ্যে তাহাদের প্রথম সভাপতি শ্রীযুক্ত ঈভ গীয়ো! তাহাকে একখানি চিঠি দিয়াছেন। প্র চিঠিতে তিনি ভারতীয় অর্থশাজীদের

( ১৯ ).

সঙ্গে ফরাসী অর্থশাক্সীদের নিয়মিত চিস্তা-বিনিময়ের কথ। আলোচন। করিয়াছেন চিঠিখানির বাংল! তঙ্জম! নিম্নরূপ £-_ প্যারিস, ২০ ফেব্রুয়ারী ১৯২১

প্রিয় সহযোগী মহাশয়,

আমরা আপনাকে ফরাসী ধন-বিজ্ঞানপরিষদের সভ্যরপে পাইয়! বিশেষ আনন্দিত হইয়াছি। ধন-বিজ্ঞান-বিদ্া একটা আন্তর্জাতিক শান্ত্। পাঁটাগণিত এবং জ্যামিতি যেমন সনাতন *ও সার্বজনীন, অর্থশান্্ও সেইরূপ | কোনে। দেশের সীমানা দ্বারা এই শান্ের সত্যসমূহকে গণ্ডীবন্ধ কর] ষায় না। যে সকল সত্য এই বিগ্তার অধিরুত অথবা যে সকল সত্য অধিকার করিবার জন্য এই বিস্তার গবেষকের! চেষ্টিত তাহার কোনোটাই সীমাবদ্ধ নহে এই বিদ্ভা সম্বন্ধে এইরূপ বল! সম্ভব নয় যে পিরিণীজ পাহাড়ের এপারকার যা কিছু সবই সত্য আর ওপারের সব হইতেছে অসত্য। প্যারিসে যা সত্য তাহা বোম্বে এবং কলিকাতায়ও সমান ভাবে সত্য।

অষ্টাদশ শতাব্দীর ফরাসী ফিজিঅক্রাৎ অর্থাৎ প্রকৃতিনিষ্ঠ ধনতত্ববিদ” গণই অর্থশান্ত্ের যথার্থ প্রতিষ্ঠাত। | ইংরেজ দার্শনিক হিউম আভ।ম শ্মিথ নিজ নিজ চিন্তাধারার ভিতর ফরাসী প্রকৃতবাদীদের প্রভাব অন্বীকার করেন নাই। ফরাসী পণ্ডিত জাবাপতিস্ত সে, বান্তিয়া, ল্যরোআ-ব্যোলিয়ো এই প্রক্কৃতিবাদীদের প্রদশিত পথই রক্ষা করিয়া আসিয়াছেন। আমাদের প্যারিসের ধনবিজ্ঞানপরিষদও সেই ধারাই বজায় রাখিয়া চলিতেছেন। আমর! ভারতীয় ধনবিজ্ঞানবিদ- গণের সঙ্গে নিয়মিত আদান-প্রদান চাঁলাইতে পারিলে যারপর নাই সুখী হইব। আমাদের বিশ্বান এই আদান-প্রদানে যে চিস্তা-বিনিময় সৃষ্ট হইবে তাহাঁর ফলে ধন-বিজ্ঞান-বিজ্ঞার উন্নতি হইতে পারিবে

(২০ ) ছনিয়ায় সম্প্রতি যে সব ঘটন] ঘটিয়া৷ গেল তাহাতে বেশ বুঝ।ইয়া দিয়াছে যে ধন-বিজ্ঞান-বিদ্ভার দাম আরো! বাড়িতেই থাকিবে একালের ছুনিয়ায় ষে সব ছৃধ্যোগ উপাস্থত হুইয়াছে তাহার অধিকাংশই অর্থশান্ত্রের আবিষ্কৃত সত্য সমূহ সম্বন্ধে অজ্ঞত! হইতেই প্রস্থৃত।

ইতি ভবদীয় ঈভ-গীয়ে ধনবিজ্ঞানপরিষদের সভাপতি

প্যারিস বিশ্ববিস্ভালয়ে রক্ত ভা

১৯২১ সনের ফেব্রুয়ারি মাসে প্যারিসের বিশ্ববিগ্ভালয় বিনয় বাবুকে বন্ততা দিবার জন্ত আহ্বান করিয়াছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্তালয়ের আইন ব্ভাগে ফরাসী ভাষায় ছয়াট বক্ততা দেন। যে সরকারী চিঠির জোরে তাহাকে বক্তুূতা দিবার অধিকার দেওয়া হয় তাহার কিয়দংশ অপুদিত হইতেছে £--

“প্যারিস বিশ্ববিস্ভালয়, “আইন ফ্যাকাণ্টি, প্যারিস, ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯২১

“অধ্যাপক মহাশয়, বিহিত সম্মান পুরঃসর আপনাকে জানাইতেছি ষে, প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্ত্রণাসভা আপনাকে এই বৎসরের ফেব্রুয়ারী মার্চ মাসে নিম্নলিখিত বিষয়ে বক্ত ত। করিবার অধিকার দিয়াছেন £-_- হিন্দু জাতির ' সার্বজনিক আইন-প্রতিষ্ঠান, প্রাচীন ভারতের রাষ্শাসন বিষয়ক আলোচনা

( ২১ ) ১৮১৭ সালের ২৯ জুলাই তারিখের ফরাসী আইনের ৭ম ধরা অনুসারে এবং আইন ফ্যাকাপ্টির আদেশ লইয়৷ আপনাকে এই চিঠি পিখিলাম

ইত্যাদি, ১80/188: 8050:5)1 $1)11 টি ধু ণ্ঠ 0 টা

চিনি ২০.3802৮ পি ফ্যাকান্টির সেক্রেটরী -**ভৌ মহাশয়ের প্রতিনিধি )” |

৮, 91 500. 010] ১0৯]

প্রেসিডেন্ট জানৈলের বাণী

ভারতবর্ধার পপ্ডিতমগ্ডলীকে ফরাসী শিক্ষিত জনম্গুলীর সহিত সহযোগিতা 'করিবার জন্ত আহ্বান করিয়া প্যারিস বিশ্ববিদালয়ের প্রেসিডেন্ট আপেল্‌ বিনয় বাবুকে একথানি পত্র প্রদান করেন। সেই পত্র বঙ্গানগবাদে নিম্নরূপ £-- “বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির দপ্তর “৯ই ফেব্রুয়ারী ১৯২১

“প্রিয় বিনয়কুমার সরকার

হদয়ের অন্তঃস্থল হইতে আমি ভারতবর্ষের পণ্ডিত এবং ছাত্রমণ্ডলীর নিকট প্যারিস-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিক্ষার্থীদের আন্তরিক সহানুভূতি জাপন করিতেছি। আমরা তাহাদের সঙ্গে মানব সভ্যতার উন্নতিকল্পে একত্রে কাজ করিব এই সভ্যতা এখন হইতে ম্বাধীনতার স্ৃবিচারের পরিপুষ্টিতে নিযুক্ত থাকিবে।

আপেল ফরাসী ইনৃষ্টিটিউটের সভ্য প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘভাপতি ৷”

11658010721 7:93 10187

(২২)

2৮৮৬০, শট ৮৮৮৫250

দু শত 4 2০:4৮ 2০ 898৫806 6১6 30120685 10৩:9165 85 &./১০৯-৫৪০৫: রা 2 সপ টা ৫1 8115 98176682150 পাস পশে 1241 নি % 7০ €7 77৫৮৬ /%

স্শ91509 08800 1181 187854০5851811014 15571685545 95 (৮8586886895 . নি 45816 802819804৬৩ 4818 শশা ৫৮ লঃঃ ৫4 টিটি 72768

)188565 $1811685 নি $ উঠি তর £6প4৮ ০০৮ ৬১4০: রান 2. 7” ) +৮৫- 5৭ সে ভি পল লা পপ 1 29০ 2৮ /৯..417

2 //.4 রে

সাত 820৮1784- হি ] ] রর ৫৪77512518 22৩ & [পা

68955754006 5887 65800108 82618 বে রি

66888988618 প্রঃ 30678 8188455০৮1৫ টি বিনা পেন সপ & ৮৮ ৪৫169080৩০৬ টা 615৫5 শি শা শপ গু? ৪৩18 তপতি 888 59998840258 86০৬, 2) 118850৮১১০১, ৪৩৪65 610 হধ€, 8৪8 66 661 টপ 96১19189181 ত। 28816 01715157581 570011068101% এস লট পি 949198195 10৫38891৩115 ৪৪ ৫98$ 0৫6 (1৮06 2731255865 টবাগে্ টশিশা (9৪৫৩ 9 88178018106 & (৪০১৪, [8৭058 9550, 871758075 067151 ্ট 99165081882 01080 %৬ 1606557858 ৭৩ (৪:০৪ 09019911505 ৫25 নিও বাসস €ট ৪৬+ 1১৪ খা, 1) 55855. 81129,)5, 02269 76788 1) (১8586, 88385711917 ৫৩ ৫6118175 916752107985 0$ পে 86৪ 48 81155 ৫৫ ৪1001791880 1155198454৮ 12

তার (2861 5841) পভ 11110166218 প)55805 ওলা £$68 36 হ5 11780858018 14. 25008 10198 ৪৮9 ঠা 00৮ উড 698. 705 09108 ১5550৫78 07500 018 খাসা 1 8190)1102 ৪৪ 250877 ৫75110050৮2 10506887505 -95 0০94৫1165- 160৮09১8105 0098, 56০,১06 1117796358৫ 7 26 29777 (৭0৭

৫11565818)65111809 915 €৫81১0 91৮ “6০71 1

72 সী / 758188909 0886 রা 51 ? 49918988888 ৫6 86৪ 61৮00 ৩৮ 065 8115 06 8 06085108 ৩১৮ 1105) স্পা 97 88198 88758৫111৩৬ €0, ৪1918 ৭০৩ ৩৪/৬। 5 101১6110615 0 (৮০৮৪ শপ 886 ৪৫71 চ৪5

8০5১80701)018 081 114514৬৩--4৫ 1) 1959151 ৫98$ 1 8101101671029 ০০৮৪ ০1৬:০ 10 5 48978৫.04 01৮ ৬8118৮44016 16 | 91070084 , ২. ১০৪৬ ৫০৯ ৩৫1),০০ £91511578 এপ 85106 81৮ ৪, ৪+95.1887 40002510155 07 04107 ৩1 94৪১ 66019 860785 11:171190024, ৫3১ 110125 ৩৫ ভর 089020৮1425 550:5091 15721৩5 088 15689 ০০ ০৮০৪৪০০১৮09 99)9708$ 818 68817501556 ৭৮৩ 051)5 05 ০0১01153589 [এ ৪5120 10015 ৫৩. 1১৫90008০ 1 ৭19 86885155 0৫2. 7220)111068 ২1765081885 65 ১:9)015010158 6595 ৫01586 998 9190848 7১2176871 ৫৫8. 81865 ("৫8৩ 4৪ 0২876 ,300800880476, 10 0088৮ 855 (৬ 2587৬. (51800:৩০) 0৬ 2551810750৮ ০৬ ৫581৩ &0০৩১০৪৪/ট

০11১, ১০৬০) ---. *০ুই৯ প্যারিসের ছই আকাদেমীতে বিনয়াবুর ফরাসী ভাষায় বতুতা (২ জুবাই ৯» জুলাই, ১৯২১ ), “দেবা” দৈনিকে বক্ত তার আলোচনা

( ২৩ )

দুই ফরাসী আকাদেমীতে বক্ত তা

প্যারিসের ছুইটী আকাদেমী বা পরিষদে বিনয়বাবু ছুইবার অত্যািত হইয়াছিলেন। এই উপলক্ষ্যে তাহাকে প্রত্যেক পরিষদের “চল্লিশ অমরের" নিকট ফরাসী ভাষায় বক্তৃতা করিতে হইয়াছিল। প্যারিসের “দেবা” নামক দেনিক পত্রিকায় সম্বন্ধে যে বৃত্বাস্ত বাহির হইয়াছিল তাহার ছুইটী ফটোগ্রাফ মুদ্রিত হইতেছে (পৃষ্ঠা ২২)। এই সঙ্গে আকাদেমী দে বোজ-আর নামক স্ুকুমারশিল্পপরিষদের সম্পাদক সঙ্গীত-গুরু শ্রীযুক্ত শার্লভিদর তাহাকে যে নিমন্ত্রণ চিঠি লিখিয়াছিলেন তাহারও একটা ফটোগ্রাফ মুদ্রিত হইল।

বালিন বিশ্ববিষ্ভালয়ে বক্ত,তা

১৯২২ সনের ফেব্রুয়ারী মাসে বালিন বিশ্ববিগ্ভালয় বিনয়বাবুকে বক্তত৷ দানের জন্য আহ্বান করেন। জার্মমাণ ভাষায় বক্তত৷ অনুষ্টিত হয়। এই উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক যে ইস্তাহার জারি করা হইয়াছিল তাহার প্রতিকৃতি পরবর্তী পৃষ্ঠ। প্রদত্ত হইল

বালিনের ইন্পীরিয়াল লাইবে,রীতে বিনয় বাবুর কণ্ঠধবনির যন্ত্রলিপি

বাঁলিনের সরকারী গ্রস্থশালায় কধবনির সংগ্রহালয় আছে। এই সংগ্রহালয়ের কর্ম্মকর্তী বিনয়বাবুর একটি বক্ত.তা যস্ত্রের সাহায্যে ধরিয়! রাখিয়াছেন। এই উপলক্ষ্যে বাঁলিন বিশ্ববিগ্ঠালয়ের অধ্যাপক আলোআ! ব্রাগুল তাহাকে ষে চিঠি লিখিয়/ছিলেন তাহার কিয়দংশ ইংরেজিতে নিম্নরূপ £--

[81651096185 01517 ৪. 25018211922, হা01555 12 1017 6.

চি

79016555017 82170৬ 16817121 52118021

0151561017 067 85206177116 587111 হা 80809850 881191160 265 820575197 6/21াচাগচোডা5 8686 5888%

৯৮

পা সণ 2:১৬ (৪২ )

টু

[নিও চি

5011110051010071001 | 621101801 010 ||

81675881 8 095 %815090880095

1 শিপ

'বপউিল সি

চি 10880515807 55 350৯৮ %%

ঢু এ+: 5 তি 182. এব না হিরা & ০১241 তি)? পা রি %০+ চা %7 টি তি & চা ভিলেজ হত) উপল ভিতর ভগ্ন টি, চেন উিটি

বার্লিন বিশ্ববিস্তালয়ে বিনয়বাধুর জার্দ্াণ বক্ত তা,-_৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৯২২ (বিশ্ববগ্ঠালা কর্তূ প্রক'শিত বিজ্ঞাপনের ফটো গ্রাফ )

(২৫ 0)

“বালিন বিশ্ববিদ্বালয়ের ইংরেজী গবেষণা বিভাগ, ২১ নভেম্বর, ১৯২২ “বিশেষ সম্মানিত অধ্যাপক মহাশিয়,

“সেদিনকার আপনার বক্ত.তা যাঁরপর নাই চিত্তাকর্ষক হুইয়াছে। এই বন্ততার জন্য বি্ববিদ্তালয়ের ইংরেজি সেমিনার আপনাকে কেবল ধন্যবাদ এবং আনন্দসুচক বিন্ময় জ্ঞাপন করিতেছেন তাহা নহে। আপনার বস্তু তা যাহাতে শবে রূপে চিরস্থায়ী হইতে পারে তাহার ব্যবস্থাও করিতেছেন। আমাদের ট্টাট-স্বির্রিওটেক্‌ বা সরকারী গ্রন্থ শালার ধ্বনি-বিভাগের পরিচালক বিজ্ঞানাধ্যাপক ড্যেগেন আপনাকে ৮ই মার্চ আমার সেমিন'র-ভবনে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিবার জন্য অনগরোধ করিতেছেন (এ দিন ষর্দি আপনার পক্ষে সম্ভবপর হয়)। সেই সময় আপনার বক্ততার প্রধান অংশ তিনচার মি'নটের ভিতর ওডেঅন নামক ধ্বনি-যস্ত্রের ভিতর বলিয়া! যাইতে হইবে, সেই সঙ্গে আপনার

ফটোগ্রাফও তোল। হইবে--ইত্যাদি ভবদীয়

আলোআ ব্রা ল্‌॥ এই পত্রের জবাব ম্বরূপ অধ্যাপক ড্যেগেনের ল্যাব্রেটরীতে ওডেঅন “যন্ত্রে বিনয়বাবু তাহার বাণী পাঠ করিয়াছিলেন। বক্ততার বঙ্গা্বাদ নিষ্বে প্রদত্ত হইল। “যুবক ভারতের বাণী

“বিগত কয়েক দশক ধরিয়। জলবায়ু রক্ত ধর্ম বিষয়ক কত কগুলি তথাকথিত ভূয়ো বৈজ্ঞানিক মতবাদের প্রভাবে স্থকুমার শিল্প বিষয়ক আলোচনা-গবেষণ। যারপর নাই দুষিত হুইয়া রহিয়াছে সমালোচনা- শান্তর শিল্পদক্ষতার একট! ভূগোল আবিষ্কার করিয়া বসিয়াছে। ভৌগোলিক বিভিন্নতা হিসাবে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রকারের শিল্পকলা

€( ২৬ )

কলার আদর্শ বা উতৎপ্রেরণা ইত্যাদি আবিফাঁর করা আজকালকার সমালোচকদের বাতিকে দাড়ায়! গিয়াছে।

*শিল্প-সাহিত্যের গতি লক্ষ্য জগতের বিভিন্ন রেখায় বিভিন্ন প্রকারে দেখা দেয়, লোকজনকে এইরূপ চিন্তা করিতে শিখানো এই সকল সমালোচকদের হ্বধন্ম সুকুমার শিল্পের ক্ষেত্রে মানুষে মানুষে এইরূপ ভাগাভাগি কর! সব চেয়ে নিল্লজ্জ ভাবে দেখিতে পাই একট! তথাকথিত পাশ্চাত্য প্রাচ্য মহলের মধ্যে বিভিন্নতা প্রচারে

“কিন্তু জগতের মহা মহা গ্রস্থগুলি পরীক্ষা করিলে আমর! কি দেখিতে পাই ? আমব! দেখিতে পাই যে, হিন্দু পুরাণের বিশ্বামিত্রগণ গ্রীক সাহিত্যের প্রমেথেয়সগণের মতই ছুনিয়াগ্রাসী বিরাট সংগ্রামে লিপ্ত। আর নেই সংগ্রাম চলিতেছে জগতের হর্তাকর্ত। বিধাতাদের বিরুদ্ধে

“অথর্ব্ববেদে পুরুষ নিজ উচ্চাকাজ্ফা! বিবৃত করিয়া পৃথিবী সম্বন্ধে বলিতেছে £-_

“অহমম্মি সহমান উত্তরোনাম ভূম্যাম. * অভীষাড়ত্বি বিশ্বাষাড় আশামাশাং বিশাষহি ।” পরাক্রমের মুর্তি আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নামে আমায় জানে সবে ধরাতে জেতা আমি বিশ্বজয়ী জন্ম আমার দিকে দিকে বিজয়কেতন উড়াতে।

“এর চেয়ে বেশী তেজন্বী বা বিজিগীষাপুর্ণ কথা ইয়োরোপের কোনো যুগ-ধর্মে বাহির হয় নাই। ল্যাটিন ভাঙ্জিলের ঈনীডে এবং হিন্দু কালিদাসের রঘুবংশে বিশ্বসাহিত্যের বসিকেরা একই প্রকার দার্শনিক

[3 ড় 889

€॥ ২৭ )

তত্ব বা মতবাদের সাক্ষাৎ পাইবেন আর এই মতবাদ জ্াতীয়-সবার্থ- সাধন সাত্রাজ্য বিস্তারের জন্ত আত্মস্তরিতায় পরিপূর্ণ

“ইংরেজ এডমাও্ ম্পেন্সার প্রণীত “ফেয়ারি কুইন” কাব্যগ্রন্থের

হম-ন্তোত্রে, ফরাসী মলেয়ার প্রণীত “লেতুর্দি” নাট্যের রঙ্গরসাত্মক

রচনায় বা জার্মাণ গ্যেটে প্রণীত “ফাউষ্ট* মহা কাব্যের “নাস্তিক অন্ুসন্ধিৎসায়” খাঁটা পাশ্চাত্য বলিয়া এমন কোনো পদার্" নাই। ফান্সের প্রেঁভাস প্রদেশের ক্রবাছবরগণ, মধ্য যুগের জান্্ীন মিনে- সিঙ্গারগণ, ইংলগ্ডের মিনষ্টেল কবিগণ, ভারতের রাজপুত-মারাঠা! চারণ-যোদ্ধা-ভাটগণের সহিত একাসনে বিবার যোগ্য

“আমি আপনাদিগকে এই উপদেশ দিবার জন্ত আসি নাই যে, জাশ্মানির পক্ষে ভারতবর্ষ প্রাচ্য জগৎ হইতে প্রস্কৃতির বাণী আমদানী কর! আবশ্তক আমি একথাও আপনাদিগকে শুনাইতেছি না যে, ভারতীয় নরনারীর জীবন বা চিন্তার ধারা, পাশ্চাত্য জীবন চিস্তাধারার চেয়ে অধিকতর নীতিনিষ্ঠাময় বা আধ্যাত্মিকতা-পূর্ণ ছিল।

“আমার একমাত্র কাধ্য হইতেছে একটা মোটা তথ্যের প্রতি আপনাদ্দের মনোযোগ আকর্ষণ করা। শিল্পজগতে বিপ্লব সাধিত হইবার পূর্ব্বে অর্থাৎ ওয়াশিংটন, আভাম্‌ শ্মিথ.ও নেপেোলিয়ানের সমসাময়িক যুগ পর্যন্ত, পাশ্চাত্য জগতে এমন কোনো রাষ্্নৈতিক, আর্থিক বা বিচার সম্বন্ধীয় অনু ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ছিল না যার প্রায় সমান সমান অথবা এমন কি একদম দোসর বা জুড়িদার.অন্ুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ভারতবর্ষেও দেখিতে পাওয়া যাইত না।

“আমি জগতের সমক্ষে এই কথা! ঘোষণা করিতেছি যে, সমাজ-তন্ব শান্সের সংশোধন একমাত্র তখনই সম্ভবপর হুইবে যখন প্রাচ্য পাশ্চাত্য এই উভয়েই ষে জীবন ব! আদর্শ হিসাবে মূলতঃ এককপ বা সমান এই

( ২৮ )

সত্যটি সকল প্রকার বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রথম শ্বীকাধ্য বলিয়া গৃহীত হইয়াছে ।” (বাল্লিন, ২২ মার্চ, ১৯২২)।

বাঞ্িনে নব্য ভারতীয় চিত্রশিল্প গ্রদর্শনী

প্রসিয়ার সরকারী শিল্পসচিব-দপ্তরের তত্বাবধানে "বালেনে বর্তমান ভারতীয় চিত্রশিল্প-প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় (ফেব্রুয়ারি ১৯২৩)। এইজন্য ক্রোনপ্রিণৎসেনপালে নামক ন্তাশন্তাল গ্যালারী-ভবন ব্যবহৃত হুইয়াছিল। কলিকাতার ইগ্ডিয়ান সোসাইটা অব ওরিয়েণ্টেল আর্ট নামক শিল্পসমিতি হইতে চিত্রগুলি বালিনে পাঠান হয়। এই উপলক্ষো বিনয় বাবুকে যে সব কাধ্য করিতে হইয়াছিল তাহার বৃত্তান্ত “বেলিনার টাগেব্রাট”” নামক দৈনিকে বিবৃত হইয়াছে

ভারতীয় সুকুমার শিল্প সম্বন্ধে বিনয় বাবু যে বিবরণ সমালোচন। লিখিয়াছিলেন তাহা সম্বন্ধে জান্মাণ শিল্প-সমালোচক ক্রিটস্‌ ষ্টাল দৈনিকে একটা মন্তব্য প্রকাশ করেন। সমালোচনার ফটোগ্রাফ নিম্নে সুক্রিত হইতেছে (৭ ফেব্রুয়ারী ১৯২৩)। (পৃঃ ২৯)।

ইভালিতে প্রথম বার

' ইতালিতে ত্রেন্ত সহরের প্লিব্যার্তী” নামক দৈনিক বিনয় বাবুর সঙ্গে

বর্তমান ভারতের সাহিত্য, সুকুমার শিল্প ইত্যার্দি সম্বন্ধে মোলাকাৎ | করিবার জন্য একজন অধ্যাপককে পাঠাইয়াছিলেন। কথোপকথন (তাহাদের সম্পাদকীয় *স্তত্ভে ছাপ! হয় (২৯ জানুয়ারি ১৯২৫ )। সেই | স্তম্ভের ছুই কলাম ফটোগ্রাফে মুদ্রিত হইতেছে (পৃঃ ৩* )

৮২০

£160851৫ 10161969€ ৫1015,

৪) 86৫ 20969550-512526.

2818 065 17081050127) 290096876 0৫০ 21৯25 চা: 280) ০106 20015017828 0 016 88716 0৫. 9101)67 ০6:10), প0516০৮ 30770) হি মনা ০669, ১৫০ ১৫7 %০10199 61711051161. ৪0০, 1600 16161) 81 016 80100616 5510068178079 17 ১6: 06:112)6% 96100080306 101৮. 201 16116 9৫5 5160660)8 60008 66101711160 007811506], জট 00 9616711১607 06: 58106111766 1811) 0৫৪ 23010116062, 0৩: $0111006) 2)25372. 2026 মগ ১৫০ 716960167)110967 ৫৫7) ৫11৮1110061 20016061, 01৩ 2751 গুট[৪া। 127) 20210016067 ৮৮ 16816720161 0৫219, হত) 1 6 062 19. 30 10807156118 0610005. 0185 £1701006167) 10 016 00186 61101018110 ১6৫৮ 76167617301 01711011615 61016 (17171018176, 88 ১৫৮ 06০১৫ 108 ১91১2 ৯»:০ 5961161118628870 060 991110)67 931010 হোত (02262 2210 2০11.

£)6165 161067১6 81779619 06 0690 06518161, 8827165 9718616 0 098 27180576067 2008 1661 17; 01015 89512019191 12) 21215120067 2018 8869 61896010068 20671106006] ১010: 88) 06061. 621 (0017 81111610210 068 21011811077 1911 10160658817 17000007117 101201 016 88200৫87011, 565 9:61 00 016 6106716 2)61001700211)611 80000, :62961116 (88) 068 811১110)6 (70681611 100 গ%11000111060, 01961 00) ০66 0০00) 67 61716 27100৮67 9616 00) 213 06721190168, 01180) ১67) 06180111110967 005196051 ০06৮৭ 273১60168 থুতাসগত০01621, 20170 1 11120 2৮৫2৮ 20060016167, 1০27060 2617171. 1066 1010 0142. 00162, ১০0৪ 0012)00 2111১ 1661 0610)109£. 81108 09 00167] 296092710866 21504110068, 66198898585 01921111099, 272৯ 80000 2, 0০071 ১০7) 80101176516611 230100655 219 24 ১6: 01012101065 25৮171958৫6 27 0৫71 গ্যু 20901765. 81110 01611 202) 01016172106) 00160 8:195019.

08001 (০77 2২০০ 0 8৮০০ 9161৩ 20811205710 7120001500 100060, 65 22051 0011 12106 06796160১০3 01৩ 0:213)৩0 295৮6 06৫220৮89১6, 912 88111 গি৫:906100 0৫021106895651 805608, তা 21108 80654166518) 2610 8615 16167 260861277104 82067, ১০ ১০ 01800 88169, 90£1122, 91858 (0 177160060000155-296116 66110610% 80৮00657 গো 2626 চা 2 06 £1668667 ১০: 0010 29199101205 ডি 1921262) 40). 0616 22809206185 71001101611, 061 61716 06১6$67196 0521859101250 617116266 এদহাত 0৫ ১2৪ 04003 8 1098169685 2958 ০১30) 010) 056 £8080650 ১04) 19: 29981100926 885 265511618 38$02১69 90$, 6016 62 ০081 ১1 €111195009651067 9057106 885016060 759 0৫14হটি 21898 09202519672

117 67 20061099 06 (6 9652 09500251061. 206 ৮৩16 21706 8610671 ১৫. 66551671606 76৮ টিএত6ল্রাতিত 180012০৮০৮5 ৩৫০ 1501816 61010076 32627886066 7808 20106520168 1040865882৫ 992)1061. 820 016 108618096 59106 9১16 0০৮৮6. 22. 016. 21621 66 আর 10 :1)6100 21010859028 1ঠি 85011 5161 55 0591 67 9955 $0াহ০6৮ 009 উপল মাত 22 9০৩টহায আত 00166 29982 96691 10. 0900 09996 058 97071180160 350807- 056৮৮ টি 082 86116 89480701816, (১ 9৬ টে) ১০:81 07700191567 06 01:25 টো 8০ ০৫092) 22016 6৮ 500959898 £7084 ১০579601065 8616560 8০8 হাট 80101106965 061, . 81165 56888

বানের টাগেরাট নামক জাশ্মাণ দৈনিকে হুকুমার শিল্প সন্থন্ধে দিনয়বাবুর মতামত ত1লোচন। ফেব্রুয়ারি, ১৯২৩ )।

নভল)

টিওারীতে

" দৃারেশউ, পতাওহী 28 0809818 1628 চছ মেডাম, নত, সব 02 . 5৩৩85 মি

রি চি (865/58 ৫৩৩৪ :821) 59 ৬. ৪-88৩ হি গু হ852688৩ 29 552 8৬ ৪5৭৭

টি 10118. রাঃ

ধা 2৫1৮০ 9১1০ €5৩ ৫4580. 55. 2৬ ভি ডেরওও ০৪৪০০ ভহতেশ ওয়ে 1]188 ৫১০২০ ঘভ 195 06817 8০ 935088 শত 7180০ 82, 22517901548 12£০1০ 2০15 ০7110 ৪8242 8৫ হাড23০ ৫8 «4 8500154518-355 228682-১:80 ০৩ 15000) £5071)81 ৯৭। [0 & 2 16116766877 1 8161105 ৩$ হাহিসহল। 1057৮715 লযাততি ২) ঢিগর 9 বঘাটছ কেদে 6 508 5763 হ১ পে 02830 £8522515 8881321565 00670585১১5 ০5৪৪5৪ 8 9 $22]981800 91100915510 5০৫27 2 [ঞাাহহটাশটে 01 42072588611 উদিত 21086 ৫1. 22৩ ,495819550 8001 150) 72)2 ৩. 70172810৫16 21০৯৫ 080581185 25088 88 4110151115251: ঠা 1ম 70082270০42 08860. 2776545 পতিত ৫11 5858 011 3,000, নট 819 0825 05 31-7750ততে হু 5৭ 882 (2০০ ৪9 79819 015588122 81010 5 2 88750688১6৪ 80122 পতিত 5:08101 প৯ত৩ “-188888 ব0তহো50105015 [রাও 2] 5251161 হ% সপ 88৪ 700056. 78101784020 08658571278 50৩ 88850 ১16898৫/8 41 €16] [যা ১৪৪৭৮ তি 1565 26 রগছঃ সত 26০ 5815০ 2১৯ হত উম্টোতেদ ধক ভা 2 লি ট8081065 2 2:518750 ৫15 78688019250 2০205, 5 ' 85608-2988108) 550৮৯ ৩০ ৬৮০5185819৫ ৫১5 5 হা ডচহ এ. ঢু হমণে 18 15825813 এশা বরাক [জজ [০10 হাছচাঠালিত ৩35২7652 মভাও ছে দই ।ছহঠে0085 ৬7৪ 98 66802 2566 ৬৫35১ ৮18০ ৯770০ 08 215625 5০8817771289 এজ ৮0 ০:21 2 01816581825 6585 বীর 8158 58081882185 518 [558৬2 2েত 0 হু 88291" 200২ ১৩০ 1965 2৮0৪৩ ৩০, পু, ৩7 ৪৩ 70) 1৩ 015 180 786915080১০ সো 6৩ হিরঠ পো ত280105 00 20215 058 ৪2 189071৩0৭71 [18 25০5০০ চ। চ0ছতিইও & 028 5৬ 81003185445 0098 505০ ৪১1০ ৪558) 80188098971 ৭20 ৩155১0 ড০াখ 0 222 ছছে 816 88 00117819286852হর ৮5৫5 2025382 ২8810 5 0315590288৮ 81১৫। ৫5১৫০ 8887 56 5২8510 15505465 5 ও086 5880৭ ৫74৮ 557৮ 28113015505 112 & ভাজা 559০৫০১2৫১ তর টি চনাডি হজ 2) ততবার ০১৫ 58 ০৫০ (চ (১1090 ভর ৮৭০7০ ধা 28008 8, 1 হাত 22 োঠত 2 20610 হেরে শি চা ঞ। ৮১84: 1:67 0150 2 009৮৮ 51 ৪৫:০৮ প্র 980 54 80958508193 581% জা 6 €৮56 8১8 406৫5 ব্াঙর101115 ধুর ভিত্তি হাট গত চ65560 8১০ ফতেযেচ৫১হ৭5 হীিডা [চটি ১৫7 এসে 5৫৮৬৮ (৮৫6৫ দি ডিরনাশ 0১০ ৭8 1১5৯১০8৫৮৮৮ কহ 9০ 8986 দর 2১৮১৭ 4 47895705৪৫৪ সুমন ওতে হছে €08389028 £ 2 2পতে 5 হি) কত জহচা মচ91124০ 89৮06, ইত [1 5030858709০ 35 1525100 0585-5215০ 15 8 55955) 561৫85২3585 5৪৫25 উন 1288 পট 0৮6 ৪8 হও রাগ ডছগে ৩৩৮ 155 9585 তি ঠাছে তউযাররিশটে 2800 0] 1েনিতি 8০ ০8330 415৫5 2 চে ই২৮1565 2 5৫5 ০১ ২55 882809 হার 06 2504 হ42 হর দ02জ888ত 2850156৮ এমএ, 388167710% 155%৫১০8৭ 23২৭৮ 3০3187 %০1০১৯৮1218 57১০ হয, ২৯ হাািজলাকী হেচুওচত আত উলটা ভীত 25008485142 ৬০ 51৭৬ 8 ৫৬৪৪ 5৩হ508 আুতিলত ৪, 00848 15556985558855- 5 ৪: ৩6518885507 5 5২ হণ হত 08০ ৫7 25655 রও 0১১ -টটলত 7:5৩ 5 )০82 28 ০৩০5 20012551055 তে সেচ 8৩ জিও এতে €6501102 উ২50 5509 595 ০450 0৮ বাতি ইহা 8) টিক?

২3০৪18০50০০: গাতএ 00967288515 000) তি শু . £0 20] 55525185 5 উপ্গ্ছা হাতাটে হা ৪50 আরা00000705:9 82382৯০0553 ৭6 25820 ওহ চ০৪ছণে 2:09 5115815 (005 হত 5 চাও 27046. (হাতত 813 41৭) [72 নক ততেশি চাহি 206 ০০০ 7 0১07915৫555 355ল85ত15 এব ১৪6৯ হে 165 ০1৮) 70৫, ০৯ 58) 2:7-৮1চ6৮ চু 1 5৩০7 ৪70৬ পি ৮৪45 €য় স্ব পাশ রিলাচা লা লিও 5০ হৃদ 4 চে 25 5 2205116 ঘতাওত ১৮২৩০ সই এই ছিপ ৮১ 855 2 তত 5৮৮৯ 211500852562586507-8- $52682০ শু] ৪২ 02051276 ইতঘালি তে হাহানটে ৪৮৬ 1০5৮ট 857 3 এই ০৫৩ 52 8028 2 উঠতি চে ক) ভান দু হয টকা [5 পল হেত হাতত পভ তলা 2 তহভিন 1157৮ 6 25129 280 50534৮ হো 2৮৫210 সত

06৬51017216 05 ৮৫৯৫4588266 501224-8 হালা হত 28151 4% 85801355 05 12771151815 উটিন্িলত 3358 (৫07 5৭) 417 বড 11282552185 তারার 535) ৯৬-1-021767059 (117 ৮11218৭৫218 26 0817 2শিিপত 9 তিনশ 0৮66৮ হাতে 2৩808180024 হত 5 521712 1৬ ]ৎ 029 রাহ, 9 0 খা 2 5১825585৮০০ 167 0০885 করল হছে ২৭৪৫১৪৪৫২6১ 0528880 ৫০57 ২58. ১৮১০1৮28 হব 1::7১1555-5 স্ঘও 00৮2185579-8020 071 81959 $2২ ১১1৮ ২0০ | 59৮55658180 [72158001181 (৫ 102 (0০ 15৩২ -৮৫৩ তুগেসেও কট 2৩2৭19855২৫ | তে 5 [৮৭১12 চা ৬19 ৯2 ১046০ (5 গুগালহও 48 হত প্রতি 0৮ শুিিহাতঃ 806025% 55501 5 ছি গজ ইত 27০ শী 265 ২০৯৪ 01০ বটি ০02 ১8 তত 5০ ৮38 এরহ৯ত2 51865751555 শুন 6০৫ ৫552, 05226৯8হ ওি উ9হ মানা সহ ৩055৩ ৯5০০ হাক ওযহ$৫চ ৪ঠচর্ড তত ৮055৫ 12 হয রি লও উট ০0 28 5০৫০ 5৮৩ 2525 সপ ছে কলার ৫285 20025185 ৫] ওটত খন তে উহা 8৫২1 53354 দা & চেন্জ 2: 221855 এত ৪2৮০ 52 হত 359 ০৬ (৫ £চ10৬ ৫৬ ৫7০ 8)04507 06 0170 00558 42515500205 1 পি ₹৯০8৭ 10 ট্রাসত তত] 2716121150 $016012102 1 26] 3511. ১50 [নত কি 27545 থে (5২. আন হও তরিবুলাতে হত চাটতে 9 ২-১০৪ ৪6536857127 ধা এহহখহহ হে 3112 2588৭ ৮2. 35৫0৮8781৭০ আটোারই পরা চাও 30৫ (৮০ ₹৫যাহ হাটি তক ত205৮ ১৯৪ 5 এ৯[১০ ছল ফিএতপল। শি শত 1 যানি 1327. | চাও 712৬8 27 5রি05858, ঞ্ গো টান

সপ সক

২৮৯] পদ ভশা১52 হে ছাত 2 (080৭০ 30" ১81১:,৬ 9 380৫৩ 552580030776 তর ১৪0০৫845825 হম 2 হখাত। 19610 7802 ৫5৮6 20-৯ ট১৩ত 8৩ হেড 185 18981 ৩* 405 £501-৯ 28 ০] [ছক 120৩555018৫ তত তু ১৩40] কি হত 7551৩ ০:45 05855 তৈ 21 পি 8৫ 108 0 470411 )1৩রস্প « €ম হালে ৮৫541 878) গু হল ইং 872৩8 8৩ €076 টিতে বট চাও হচাজিত্নো 25 হিল 1১. *৮90৮৮ ভুত হতে 0165 18৮ হজে 585৫4৮ 1 88028 6৮০ 80 558867,৬০ 201185- হাহা হুর 77৮ 4 908158৬০715 ইত 058201৯ বাহক সএসিক পচ 20৩ উতত বিযোওও 2১ সতত, ৯৫০ 0৬ কিন ২৬০৩ 5 025 ৩ততঞা হত 5৫ তক, তে ১০ ৮৫৪৫ বা শট 57০0০১4৮0৮৬ হওক দহ [0০ [চত5। হাই 20৮৮ 51৩008৬6 ছহ ৮1255 2 ০187 এত্ত 2৩2 আহ £6858650 ৩০২২০৮ 65 ভজন মাও হজ ৩৫2৩ 30502587558 87515278426 ৯১০9৬ ৮২৪ 7708558 25 পুসপ্রেহ2252210 ধুতে 0 ৮৭৮0৮ 828850858 পে) শত হাটতে হঠাত জেতে 2565৮ 15 থ্ু8০128 585৫ ৬2880 ১০০ 3৩ আও (ভরে০০০ ২৮৫51908820তরয ৭3৮ জু হোপ 1012৬ চারু ছেরে 7) 57552550758 1525 শু আনি ই74505 21শপহে শু চলন উচ ৪:552 চাও 05) 770৮51061155100ত- ০৫ রিহহাগেনে শত 5০) পোছলদ [মাতরাজত 17558 দি তথ 5528575505095 5৫5150281৩৮ $8৬5:০5৩০৩ নুভ)। 5০০০৪ ০5৩০)দ:85 ৫6115 ৩৫৮

“লিব্য্ভ” নামক ভ্রমর ইতালিয়ান দৈনিকে বিনয়বাবুর জীবন মতামত সন্বক্ষে আলোচন! (২৯ জান্গ্াক্ষি, ১১২৫)

( ৩১ )

প্রথম ইতালিয়ান রচনা

বিনয় বাবু কিছুকাল উত্তর ইতালির বোল্ৎসানো৷ সহরে কাটাইয়া- ছিলেন। এই জনপদের প্রাকৃতিক দৃশ্ঠ সম্বন্ধে প্রবন্ধ রচনা করিবার জন্য তাহাকে “রিভিস্তা দেল আল্ত আদিজে” নামক মাসিক পত্রিকা অন্থরোধ করে। তিনি ইতালিয়ান ভাষায় একটি প্রবন্ধ রচনা করেন। ১৯২৫ সনের এপ্রিল সংখ্যায় তাহ! ছাপ। হইয়াছে। এই উপলক্ষ্যে সম্পাদকের! কলিকাতার “বঙ্গবাণী” মাসিকে প্রকাশিত, বিনয় বাবুর ইতালি-বিষয়ক সচিত্র প্রবপ্ধের এক পৃষ্ঠার ফটোগ্রাফও ছাঁপিয়াছিলেন। সেই প্রবন্ধে আদিজে উপত্যকার বিবরণ পাওয়া যায় রিভিস্তা পত্রিকার প্রকাশিত ইতালিয়ান রচনার কিয়দংশ ফটোগ্রাফে মুদ্রিত হইল। এই অংশে “বঙ্গবাণীর” সচিত্র পৃষ্ঠাটার ফটোও দেখা যাইতেছে ( পৃঃ ৩২ )।

বিদেশী পত্রিকাসমূহে রচনাবলী

১৯১৭ হইতে ১৯২৫ পর্য্যন্ত বিনয় বাবুর যে সকল রচনা আমেরিকান, ফরাসী, জার্মান ইতালিয়ান পত্রিকায় বাহির হইয়াছে নিয়ে তাহার তালিকা প্রদত্ত হইল £-- |

১। ১৯১৭, ১৪ই এপ্রিল £ *ওরিয়েশ্টাল কাল্চার ইন্‌ মডার্ণ পেডাগজিকৃম্” ( আধুনিক শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রাচ/ সভ্যতার স্থান ) (স্কুল আযাও. সোসাইটি, নিউইয়র্ক )।

২। ১৯১৮, জুলাই £ “দি ফিউচারিজ মূ অভ, ইন্রং এশিক্সা”, (যুবক এশিয়ার ভবিষ্যনিষ্ঠ।) (ইন্টার ন্তাশান্তাল জর্ণাল অভ. এখিকস্‌ শিকাগো বিশ্ববিস্তালয় )

৩। ১৯১৮ জুলাই “ইন্প্ুয়েন্দ অব ই্ডয়া ইন্‌ মডার্ণ ওয়েস্টার্ন

টি (১গ প্রথা ডি টি নে পা রগ, ০৮ রঃ টু , 315 প্রদান (08 16 গা, হস মাএ |৪ বহর 4 10102 59 চ্ী 1 দিত: & ০১০ গান? না চা 8০০1 ৫3801 824৭ 12 ্‌ ৯৪+-- লে রি রর একী ১) 1, ১. রা ++ রী র্‌ রর রা দ্ধ ছি 1৮, ঠু রঃ নে লি 4 রশ 7) শি শি 5 8 ] ি। রি £ এছ শট রং কাল রখ ] গা টা রি নর শত লা টা না রর আঃ নং রি চি রি টি] রর

34 বি ফিশ নত খবাউ হাত সার নি মিল শ্হাদিল্র লি

কু রিক্সা

(5 4 ০৬ ঠতী ইগজাজার গর পাও গাইবে :.

[২

পন স্প্রদসুদ

লেন জে

এ. বালান রি গুঙান ঝি দজিলেট পাশ, ৩, খ্মিউী,ও হল্যাজ কও) কা বেত আহ রাগ লহ হর গেপিযা হে৭ ২1. -- বা জাগা নী পভ অিগে রি ঈয়ঙিপ্টার ' জারুছে হে, ছদরগো '৪্াক হেযাসেছু হিযাডাই ওই], ৮৯ আশ শপদাি মদন হকি ঝরজর (- পুলনেক্ক জদ ; চাট হাজত সি রাখ আও লী ছার পপ. ছিট সু

শি শি

রে সশাপ জানার পি জে? $ শিলুরেত দিস পাননি গেজ”, জনি, কোগেনরা দশ «বরের সারা কোলে “লালে শে পালাদো 3 বেশে অগলীও শানে পপ চাল গাই আছে'। জর উপ

চিপ পর -. ৫. ৮০2০ চস কে দিন গার দা শু একেক জপরছিকে করিব খাতির ইনদিংশ চি ইন্ধন সাজে হাটা, জগ্র শি

হে দশ, দি শা, £ শী নি পচ চসান্ানেক্

] রর স্ রে চর এইই তিতা

টে ০,

বুনি ৯৯৮

“রিভিন্তা দেঙ্গু আল আদিজে” নামক বলৎসান হইতে প্রকাশিত মানিকে বিনয়বাবুর ইতালিয়ান রচনা ( এপ্রিল, ১৯২৫)

( ৩৩ ) সিবিলিজেশ্ঠন্” ( আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতায় ভারতের প্রভাব ) (জাণ্যাল অব রেস ডেহ্বেলপমেণ্ট )

৪1 ১৯১৮, নভেম্বর £ “ডেমক্র্যািক থিয়োরীজ, আযাগু রিপাবত লিকান্‌ ইনষ্টিটিউশানস্‌ ইন্‌ এনশেপ্ট. ইণ্ডিয়” ( প্রাচীন ভারতবর্ষের গণ- নীতি গণ-প্রতিষ্ঠান ) ( আমেরিকান্‌ পোলিটিক্যাল সায়েন্স, রিভিউ )।

৫। ১৯১৮, ডিসেম্বর £ “হিন্দু পৌলিটিক্যাল ফিলজফি” (হিচ্ছু জাতির বাষ্ট্রদর্শন ) ( পোলিটিক্যাল্‌ সায়েন্স, কোয়ার্টারলি, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নিউইয়র্ক )

৬। ১৯১৯, জানুয়ারি £ দি ডেমক্র্যাটিক ব্যাক্গ্রাউও অভ. চাইনিজ, কাল্চার" (চীনা সভ্যতায় গণশক্তি ) ( দি সায়েন্টিফিক্‌ মস্থলি, নিউইয়র্ক )

৭। ১৯১৯, জুলাই £ দি রিশেপিং অভ. দি মিডল্‌ ইষ্ট (মধ্য প্রাচ্যের পুনর্গঠন ) (জর্ণাল্‌ অভ. রেস্‌ ডেহ্বেলাপ মেণ্ট )

৮। ১৯১৯, আগষ্ট £ “আমে রিকানিজেশ্তন্‌ ফ্রম দি ভিউপইণ্ট অভ. ইয়ং এশিয়া” ( মাকিনী-করণ, যুবক এশিয়ার তরফ হইতে সমালোচন। )

( জার্ণাল অভ. ইন্টার স্তাশান্তাল রেলেশানস্‌, ক্লার্ক ইউনিভাপ্সিটি )

৯। ১৯১৮, আগষ্ট £ঃ দি হিন্দু ভিউ অভ. লাইফ, ( হিন্দুজাতির জীবন-দর্শন ) ( ওপন্‌ কোট, শিকাগে। )

১০1 ১৯১৯, আগষ্ট; “হিন্ধু থিয়োরি অফ. ইণ্টার স্তাশন্তাল রেলেশানস্‌” (আস্তর্ঞাতিক লেনদেন সম্বন্ধে হিন্দু রাষট্রদশন ) (আমেরিকান পোল্িক্যাল সায়েন্স প্রিভিউ )

১১। ৯৯১৯, নভেম্বর; “কনফউশিয়ানিজম্‌, বুদ্ধিজম, আযাও ক্রীশ্চিয়ানিটি" ( কনফিউাশয়ান-নীতি, বৌদ্ধ ধর্ম খৃষ্ট-তত্ব) ( ওপন কোর্ট, শিকাগে। )

১২। ১৯১৯ ডিসেম্বর “আযান ইংলিশ হিষ্টরি অভ. ইগডয়া”

(৩৪ )

(ইংরেজ লিখিত ভারতবর্ষের এক ইতিহাস গ্রন্থ) (পোলিটিক্যাল সায়েক্স কোর়া্টারলি )

১৩। ১৯২০ এপ্রিল; “গিল্দে দি মেস্তিয়ার গিল্দে মার্কাস্তিলি নেল ইন্দিয়া আস্তিক” ( প্রাচীন ভারতের শিক্পিশ্রেণী বণিকশ্রেণী ),__- (জ্যর্ণালে দেলি একনমিস্তি রিভিস্তা দি স্তাতিস্তিকা, রোম )।

১৪। ১৯২০, এপ্রিল; “দি থিয়োরি অফ. প্রপার্টি, ল, আও, সোশ্তাল অর্ডার ইন্‌ হিন্দু পোলিটিক্যাল ফিলজফি” ( হিন্দুরাপ্ট্রদর্শনে সম্পতি, ধর্ম বর্ণাশ্রম ব্যবস্থা ) (ইণ্টার স্তাশন্তাল জ্যর্ণাল অভ. এথিকৃস্‌ )

১৫। ১৯২৯১ জুন, রিভিউজ. (সমালোচনা) ( পোলিটিক্যাল সায়েক্ম কোয়া্টীরলি )

১৬) ১৯২০ জুলাই ; দি জয় অফ. লাইফ ইন্‌ হিন্দু সোশ্তাল ফিলজফি” (হিন্দু সমাজ-দর্শনে জীবন-নিষ্টা ) (এশিয়ান্‌ রিভিউ, তোকিও )

১৭। ১৯২০, ৩র1 জুলাই "মুভমেন্টস্‌ ইন্‌ ইয়ং ই্ডিয়া” (যুবক ভারতের নান! আন্দোলন ) ( দি নেশন, নিউইয়র্ক )

১৮। ১৯২০, ২৮ জুলাই £ "ইগিয়ান স্তাশগ্তালিজম থ, দি আইজ অভ. আযান ইংলিশ. সোশালিষ্ট (ভারতের রাষ্ট্রসাধনা, ইংরেজ সোশ্বালিষ্টের সমালোচন! ) ফ্রী ম্যান্, নিউইয়র্ক )

১৯। ১৯২০ আগষ্ট, ডিসেম্বর £ “লা তেওরী দ' লা কন্তিতুসিঅ ধা ল! ফিলোজোফী পোলিটিক আ্যাছ” (রাষ্ট্র-শাসন সম্বন্ধে হিন্দু দর্শন ) (রেছিবি দ্য সাথেজ. ইস্ডোরিক্‌, প্যারিস )।

২০। ১৯২৯, ১৩ই অক্টোবর £ “দি লিডারস্‌ অফ. মভার্ণ ইও্ডিয়া” ( আধুনিক ভারতের জননায়কগণ ) (ফ্রীম্যান্, নিউইয়র্ক )

২৯। ১৯২০, অক্টোবর “দি পেন্‌ আযাও দি ব্রাশ, ইন্‌ চায়না” (চীনাদের কলম তুলী ) (এশিয়ান রিভিউ, তোকিও )।

0৩৫)

২২। ১৯২১» জাঙ্ুয়ারিঃ “দি ইন্টারন্যাশনাল ফেটারস্‌ অভ, ইয়ং চায়না” (যুবক চীনের আস্তর্জাতিক শুঙ্খলসমূহ ) (জর্ণাল অভ. ইণ্টার স্তাশানাল রেলেশানস্‌ )

২৩। ১৯২১ ফেব্রুয়ারি 2 “্ল! ফাঁস লাযাদ্‌ (ফ্রান্স ভারত ) (লযাত্রযাজিশ'?, প্যারিস)।

২৪। ১৯২১, মার্চ “দি হিষ্টরি অভ. ইও্ডয়ান্‌ স্তাশনালিজ.ম্‌» ( ভারতীয় জাতীয়তার ইতিহাম ) (পোলিটিক্যাল সায়েন্স. কোয়াটারলি)।

২৫। ১৯২১, মার্চ £ '“দি হিন্দু থিয়োরি অভ. দি গ্রেট (রাষ্ট্র বিষয়ক হিন্দু দর্শন ) ( পোলটিক্যাল সায়েন্স,কোয়ার্টারলি )1

২৬। ১৯২১ ভুলাই__ আগষ্ট £ “লা দেমক্রাসী আ্যাছ” (হিন্দু জীবনে চিন্তাধারায় সাম্যনীতি ) (সেআস ত্রাভে। ঘ্ক লাকাদেমী দে সিআস্‌ মরাল পোলিটিক, আ্যান্ডিতিউ দ্য ফাস, প্যারিস )।

২৭ | ১৯২১ সেপ্টেম্বর “দি পাবলিক ফিনান্স, অভ. হিন্দু এম্পায়ারস্” (হিন্দু সাম্রাজ্যের রাজন্ব ব্যবস্থা )

(আযানালস্‌ অভ, দি আমেরিকান আ্যাকাডেমি অব. পোলিটিক্যাল আযাগু. সোশ্তাল সায়েন্স, ফিলাডেলফিয়! )

২৮। ১৯২২ জানুয়ারি £ ডী লেবেন্স্অ!ন্শাউড, ডেস ইগ্ডার্স” ( ভারতবাসীর জীব্ন-দর্শন ) ( ভ্য়চে রুগুশাও, বালিন )

২৯। ১৯২২ মাচ্চঃ “পোলিটিশে ষ্রোয়মুর্দেন ইন ড্যর ইগ্ডিশেন কুপ্ট,র” ভারতীয় সভ্যতায় রাষ্্রনৈতিক জীবনধারা! ), (ড্যয়চে রুগুশাঁও, বালিন )

৩০ ১৯২২ এপ্রিল £ প্ডী সোতৎসিআলে ফিলোজোফী ুঙ. ইণ্ডি- য়েন্স্‌” ( যুবক ভারতের সমাজ-দর্শন ) (ভ্যয়চে রুণ্ুশাও, বালিন )

€& ৩৬ )

৩১। ১৯২২ সেপ্টম্বর “ইগ্ডিয়াজ, ওভারসীজ ট্রেড” (ভারতের বহির্ববাপিজ্য ) ( এক্সপোর্ট আও ইম্পোর্ট রিভিউ, বালিন | )

৩২। ১৯২৩ ফেব্রুয়ারি; “মডার্ণে ইণ্ডিশে আকোআরেলে” (বর্তমান ভারতের জল-চিত্র ) (্টিম্মেন ডেস ওরিয়েপ্ট স্‌)

৩৩। আগষ্ট: "আইন ড্যয়চার বেরিখট. ক্ল্যিবার ভাস হয়টিগে ইণ্ডিয়েন” ( আঞ্জকালকার ভারত সম্বন্ধে একটা জান্মাণ বিবরণ ) ড্যেয়চে আলগেমাইনে ৎসাইটুঙ, বালিন )

৩৪। ১৯২৪ অক্টোবর ভী ইও,স্ীয়ালিজীরুঙ, ইগডিয়েন্স্‌” ( ভারতবর্ষের শিল্পোন্নতি ), (.ফারাইন্‌ ভ্যয়চার ইঞ্জেনিয়রে নাখরিখ.টেন বালিন )। *

৩৫। ১৯২৪ অক্টোবর £ “ডী আরবাইটার বেহ্বেগুঙ. ইন ইণ্ডিয়েন” (ভারতের মুর আন্দোলন ) (হ্বেপ্ট হিট শাফ.ট.লিখেস্‌ আর্খিভ,, যেনা )

৩৬। ১৯২৫ এপ্রিল: “প্যেসাজ্জ্য আতেজিনা” ( পল্লী দৃশ্ত ) রিহিবস্তা দেল্‌ আল্ত আদিজে, বোল্ৎসানে!।

“আধিক উন্নতি” যুগে

কলিকাতায় আসিব! মাত্রই বিনয় বাবু ডক্টর নরেন্দ্রনাথ লাহাঃ শ্রযৃক্ত তুলসীচরণ গোস্বামী, নলিনীমোহন রায়চৌধুরী, সতাচরণ লাহা, গোপাল- দাস চৌধুরী ইত্যাদি জমিদার বন্ধুগণের আন্কূল্যে ১৯২৬ সনের এপ্রিল মাসে “আর্থিক “উন্নতি” নামক মাসিক পত্র প্রতিষ্ঠিত করেন ( বৈশাখ ১৩৩৩)। বর্তমান গ্রন্থের কোনো কোনো অধ্যায় এই পত্রে বাহির হইয়াছে “আর্থিক উন্নতি”্র জগ্জা লিখিত অন্তান্ত রচনার কতকগুলা

(৩৭ )

একত্র করিয়। “একালের ধনদৌলত অর্থশান্ত্র” (প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠা ) নামে গ্রস্থাকারে প্রকাশিত হইতেছে তাহার প্রথম খণ্ড ইতিমধ্যে বাহির হুইয়। গ্রিয়াছে "( ১৯৩১ )। বঙ্গভাষায় অর্থনৈতিক গব্ষেণ! অর্থশান্্র বিষয়ক বাংল! সাহিত্য পুষ্ট করিবার জন্য ১৯২৮ সনের অক্টোবর মাসে তিনি বঙ্গীয় ধনবিজ্ঞান পরিষৎ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। কয়েক জন উচ্চ শিক্ষিত গবেষক তাহার সঙ্গে একযোগে এই বি্ভার ক্ষেত্রে অনুসন্ধানে ব্রতী আছেন। তাহাদের মধ্যে কেহ কেছ ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য বই লিখিয়া বাঙ্গলাভাষার সমৃদ্ধি সাধন করিয়াছেন

১৯২৬ সনেই বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমাস” নামক বঙ্গীয় স্বদেশী বণিক-ভবনের উদ্যোগে বিনয় বাবুর সম্পাদকতায় কৃষিশিল্পবাণিজ্য বিষরক ইংরেজি ত্রৈমাসিক প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্থৃত্রে তাহাকে যেসকল অর্থনৈতিক প্রবন্ধ রচনা! করিতে হইয়াছে সেই সযুদয়ের কোনে কোনোটা “ইকনমিক ব্রোশুর্স্‌ ফর ইয়ং ইগ্ডিয়া” নামে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হইয়াছে ইতি মধ্যে ২০।২৫টা পক্রোশ্তর” বা পুস্তিক1 বাহির হইয়! গিয়'ছে। জার্্নাণির *হ্বেপ্ট, হ্বি্শাফ টল্খেস্‌ আখি, ইতালির “জ্যর্ালে দেলি একনমিস্তি”, আমেরিকান ইকনমিক্‌ রিভিউ, প্যারিসের জুর্ণাল দেজ একোনোমিগ ইত্যাদি পত্রিকায় এই সকল ব্রোশুরের উল্লেখ অছে।

১৯২৮ সনে “দি পৌঁলিটিক্যাল ফিলজফীজ. সিন্স, ১৯৫৮ ( ১৯০৫ সনের পরবন্তঁ রাষ্ট্রদর্শন সমুহ ) নামক ইংরেজি গ্রন্থ বাহির হইয়াছে ( মান্ত্রাজ, ৪০৯ পৃষ্ঠা)! ভূমিকা লিখিয়াছেন মেজর বামনদাস বন্থু।

১৯২৯ সনের মে মাসে “ইন্ডিয়ান কমার্স আও ইগ্াস্রি” নামক ইংরেজি মাসিক পত্র সম্পাদনের ভার তাহার হাতে আসিয়াছিল।

0 ৩৮ 0)

এইখানে উল্লেখ কর! কর্তব্য ধে, প্রথমবারকার প্রবাসের পর দেশে ফিরিয়া আসামাত্রই বিনরবাবু কলিকাতা! বিশ্ববিষ্ভালয়ের কর্তৃপক্ষীয়গণ কতৃকি ধনবিজ্ঞানশান্তরে অধাপনার জন্য আহুত হন। ১৯২৬ সনের গোড়ার দিকে তিনি এই পদ গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় তাধার জন্ত এই পৃদ স্ষ্টি করিয়া একটি সর্বজনপ্প্রিয় কার্যই করিয়াছিলেন বিনয়বাবুও নানা উপায়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্য/লয়ের উপর দেশ-বিদেশের স্ুধীমণ্লের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছেন

দ্বিতীয়বারকার ইয়োরোপ-প্রবাস

( ১৯২৯---৩১৯ )

১৯২৯ সনের মে মাসে বিনয বাবু, কলম্বো! হইয়া, দ্বিতীয় বার বিদেশ- যাত্রা করেন পধ্যটনের ক্রম ছিল নিম্নরূপ £-- ইতালি, সুইট জালণাণ্ড, অধ্বিয়া, সুইট সালণাও, ফ্রান্স, ইংলগু, ফ্রান্স, জাশ্মীণি,*চেকোঙ্লোভাকিয়া, অ্রিক্লা, জান্্মাণি, সুইট.সালঢাও, ইতালি, অষ্রিয়া, জাশম্মাণি, অষ্টিয়া, জান্মীণি, ইতালি, জান্মাণি, অস্রিয়, ইতালি। ইফয়োরোপে কাটে আড়াই বৎসর।

সুইটসালাণ্ডের জেনীভা নগরে ছিলেন মাস চারেক লীগ অৰ নেশ্যন্সের প্রত্যেক বিভাগের কর্ম-গ্রণালী তন্ন তন্ন করিয়া বুঝিতে চেষ্টা করিয়াছেন। এই সম্বন্ধে তাহার অন্থসন্ধানের বৃত্তান্ত “জেনীভা কম প্লেক্স ইন্‌ ওয়ালড ইকনমি” (বিশ্বব্যবস্থায় জেনীভা-চক্র ) নামক ' প্রবন্ধের আকারে বাহির হইয়াছে, -*জার্ণযাল অফ দি বেঙ্গল ন্যাশন্তাল চেম্বার অব কমাস” ্রমাসিকে (জুন ১৯৩১ )। “ইহার ভিতর জেনীভার জন্তান্ত প্রতিষ্ঠানের বৃত্বাস্তও আছে ' মোটের উপর ৯৬টা দেখাস্ডন! ইহাতে বিবৃত আছে

( ৩৯ )

1)10 30186721810 |01810 গিনা॥18 880171109 881 11818

৪91 885০ ৮৪7৪৪ ৪8 865৯5

11 10711001703 101310787 58188018111 8078 1611 13011160 ৫। 6০701718061 18620 818. & 01 ৬৪11 10181) 6৫০0 পেঃ)৩। 06) 886 ৪৪6, $ 0৯0 41080 ৫) 06636 ৬৪1০ ৮৪) 07 ০571858602৩ 07 87878 &/01104 616 138 950109 81179 010 8510186 067৮. 98715 (8৮০1016 81)108)18

বি019 1761 1891 189158081 & 081609888 851 1665, 151 197 07. 80868 0098 66প৩ রা হি প্পুশকন 16৮6াগাশিজ, 00118176৪৩৭ 9101088%৮ 66010171-16, : 5৪ ৫1007081706

51 ০৬681611111 1066 5 7001516 )] ০০15 01810 ঘট 65 9011 9৮৪ 88810: 0৮1০ 801 6391 ৪৮১৫। 81970 (তন 8০ 6100 0) 68076713755 6 ৫1 208 রর] 05780171110 08৮8০ ৩) 1) রা €৫1084 88 274016710 [খ্রা'800111 81111 808 5188 2 ৬182] 41 120৬6818871006, 061. 1" 28/625 76116 57710771110, 8] গি৮6 01170০ ভন্ড 16118401118181176 ও) ৯০৫11 ঞ/ | শি 08 007915510 চাটি 18140৮110817801578 ৬৭11 5001 কাওঞ্রর) 6৪1) 18. ৪9000 2১০ ৫৪

1) 187768 107 €1610 71 60701261155 8118 8088276. 81, 01. 5৩186৮-0 পথও ন6581%0 19116 কপি 1416 ৮01৮0176809 01 ₹৪1$1পাক্ষ 11161782177816 81 পা ০018" মাপেে5 ৭7] 006শা18 88১৭7056817 16118. 75667118 1 2০6পভ)18 6 €১01750 3862869 নু

[1 1818 01 266, হজরত শিপন ভান ইহা 8860108 ড918, 6: 0০7) 11170170 562756 ৫০8 067 0811816 0118 &18%118 ৫51 17 9616 1810 861)8 11700151-71158851076 86). 4115018 ৫/51শ

5০ 18 18 81007018276 ৫91 (0128 0628 806 60111776758 ৫15 ৬10 101818889, [8 0008710 & 0:0176 81710156176 0788০0181৩0 1105919 1192.151678 1+88881009 6৫008)1 88168 01119 16 818618)1 ৪৬18 88211811079 ৫61 8 (10018510176 17018778178 7600108 01676 ০6 1818 170শশা ৪ম ০889018. 10 % 4181 1867 61 পেস€া 11 6০1 ১৪৪৫৮ [7৩০ ঢ0৭৭1 11718191৬7 1915 66৮1,88108 8118176 11816-11780181া? এটি? | জি 11 0706 লা 9061খ10 )9 7600186 িএ হ$| 6০118111০18 146৫ 18 ১817 8) সশিক্চ8117115 শশা 6৮11:%16 ৫) 50195119611 ৫০7718 9081079685 18 ৪11 061 70076 19165, 670 0881 110 ওল 8৬০1৩ 01 68৮81051 60008814716 81110175816 ৫6৩৪ 80166 18 808 81815108 নি] ৫8709 66911011100 6 0017189610181৬, 89817810 0) 71670) 1) 108৫. 11) 8098 ৩৬০

18, 1 07:0878170)8 0118 1 818 078 ৪.

03110

60 ৪1 707৪ 6166 ঠি 06৩৮0 171816, 818

7581718 চাও, 81৭78 6081 85

11 চ৭ [৮1 071)183]1, ৪1 শিধা2৩ 87018 8

৪1৩ ৮1901 ৫০171716106 11101707

18) 0018151111011 ১৮ 18 6010

8111 ক৪৮ 08119710, 2০ 811৭5

51 ০8191 ?ল ০9৮১০728 £18710 8৫৮০ ঘালাল। 9 শট 78656 [১ ঘা 8118প-6 জদঃআশনরথন €*997ি17)107 + 71111160 18118 ভে ৮৪1৭-8 188111 শাণ170৩ -

+17005$1181228210176 06111111018),

লা, 9116 01 17, 11 3৮8৪0 0৩ 1 বাতা, পা এত 2 0615 কব? ৪৫০ ৩0৫8 ৫0 জ্দকশ)9. টেট 10 17040651117.

8355101৯ গণ 1018 77000৩1শ6 19518916587

চাপ [সপ্ত ৬৩6 91709প,

মুন পাত 08 8৪717801518 ডা 6014016,

।: 1611 5768৮ 208 00512 17 1851 টে ৪০

হা 67010881165 তাত) ৮218

হা 9|পদ 9 শশ€ 60210, 75156008198 ১90 01711 ৫১7 (4 ৫051018 ভাটি হাঠ15 06] চাপা শো সত 1718৫, 08. চা11181শ 2247 তে 18175171265 10৩কাপতত 5 টপ 7776 গা জাগসওশহ ভোগ পদ €216 হক [0 €০0তাখলা2১61৮ ৪1 জারী দান188 0, তত. 1. 011 17টিগেোজ 21001 82111160101 লা ধ81 ৭90 551 লালা) [08 10878 (শা বাজার 17408178) 078 86507868010 78 লগগ্ঞগতাণ দাও ইগা৩282 ॥315676. পট ট্া। 8৫. চি শি)।11 [] াশন০88 চ011881 ৪75৩ 6৮ ল811 শা ন6 |িপসাশ, 91178 | শ্িকাশাল্সাশ) আতাগানিলিখ্।1) নে 2০০০ ড৪ঠান্ডি বা ৪পতাশ [210 শ্রগা্িা?

বী তথ 3০1, ৪1 দিত 3808 ৫9018০

চাদ2%, 16 ০8108৭77015 81291800519,

পাদহ্বা বিশ্ববিষ্ঠাল্রে বিনয়বাবুর ইতালিয়ান ভাষায় বক্তত৷ উপলক্ষ্যে ভেনিসের প্গ্যাজেতিন ভেনেৎসিয়া" নামক দৈনিকে বক্তার জীবন কর্ণ সন্বদ্ধে আলোচন।

(২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩, )

(৪০ )

স্থইস ইতালিয়ান বিশ্ববিস্ভালয়ে বক্তৃভ৷

জেনীভার বিশ্ববিষ্তালয়ে বক্তৃতা করিবার জন্তও নিমন্ত্রণ আসিয়াছিল। এইখানে ফরাসী ভাষায় তিনি ছুইটা বক্তৃতা দিয়াছেন ( নভেম্বর ১৯২৯, জানুয়ারী ১৯৩*)। প্যারিস হইতে প্রকাশিত ”স'যাথেজ, ইস্তভোরিক” মাসিকে একটা বক্তৃতা বাহির হইয়াছে স্থইটসালাণ্ডের নানা ফরাসী অন্ঠান্ত পত্রিকায় বক্ত,তা ছুহটার সারমন্দ্ব প্রকাশিত হইয়াছিল।

ইতালির মিলান আর প্যাড়ুয়া বিশ্ববিস্ভালয়েও ছুইটা করিয়া বক্ততা দিয়াছেন (ফেব্রুয়ারী ১৯৩*)। সবই ইতালিয়ান ভাষায় মিলানের বন্ধনি বিশ্ববিস্তালয় হইতে সম্পার্দিত "অনালি দি একনমিয়।” নামক বার্ষিক পত্রিকায় বক্ততাগুল! প্রকাশিত হইয়াছে। ১৯৩১ সনের মার্চ মাসে রোম বিশ্ববিগ্তালয়ে বক্ত.তার জন্য তাহাকে জান্ম্মাণি হইতে আসিতে হয়। এই বক্ততাও ইতালিয়ান ভাষাই দেওয়া হুইয়াছিল। রোম হইতে প্রকাশিত “কমার্চ” মাসিকে এই বক্ততা ছাপা হইয়়াছে। ইতালিতে অন্ুসপ্ধান কার্য্যের বিবরণ “কণ্টাকৃট স্‌ উইথ ইকনমিক ইটালি” (আর্থিক ইতালির সঙ্গে ছে! ছু অি) নামে পূর্বোক্ত "জার্ণটালে”্র ছুই সংখ্যায় বাহির হইয়াছে ( ১৯৩১--+৩২ )। ইহার ভিতর গোট? শ'য়েক মোলাকাৎ পর্যবেক্ষণের বৃত্তান্ত আছে।

মিউনিকের টেক্নলজিক্যাল বিশ্ববিস্তালয়ে অধ্যাপন। (১৯৩০--৩১)

জেনীভায় থাকিবার সময় বিনয় বাবু “ডয়চে আকাডেমী” ( জান্ম্মীণ পরিষৎ ) হইতে মিউনিকের টেখংনিশে হোখ.শুলেতে ( টেকৃনলজিক্যাল বিশ্ববিদ্ভালয়ে ) অধ্যাপনার কাজে আহত হন। ব্যাভেরিয়ার শিক্ষা-

নি ৪9৪ 0৪ 99১100080171808৩ 873 989151500৩19608৩ ০015510111617068৮ গুজে শত পয ৩৩০138509৩1) 11005৫48881 915,880 87&

₹০701115000185176

“উ ড107665756106566হ 6950/58 ৪৪7 গছ 54৫718848 ৬৪৫] ৪৭১৫ শা 8৮৩৮ [1507৩1%

71655586 (৩15052গহংণয, 600৩ ৫101৩ 0610৫5গতাহত৫

৪১ )

7১৫5768 1737655 ৮8 45881 515 86৫6৪ ৪৩ 0৫5৩০ আ08৩৬ €/৫০ এও 0,

৫7৫68 806৩

ইরা ওশ্রা রিতা (804185112) এলাচ 77588885 এক 08০ 808 ৬৫৫ প্রত লি০৬/রল

1167৮191106 80605-757061816 0৩: 7৪৩ 9৩৭ ৩৬ ৫০৮ গা

৪) 0715৫% (7586 11680805105 018). 57595818118৩8 জা) 6 (০৬৩ ত৫০০৫ 10

2৫7 সি 06 55281710518 5168 0১57 ০191০ 2৮৫৬1 1476, ভান ৮৩1৫ ৬।115088816154৩ 564251586: 6৬

হাওর16 তাতে 8080181, ২976 96680881859 ০64 শি৩০০১৩৮ 1950,

7354:১-৮151 $7:9151529

11০7 06 1917৩1- 86111 8৩ ০5৫1৮ ৩৪0 ৩5৮০

রা 0680856৩চ 18101গ-. 9৪965711113) ও, 28, শি ৩01১৫৫ 1050

81৫75 চল 017 675৬57০1617 চাওলা ২৮৮ 01 নিত 13 ৮৭ ০1১৬ (956 8৮52০158155 (5890515585

198678৮, ৬২75851)6]10 জুতা 22 00650191দা 1৩

$38978১1180886 দ্ধ ৮০১৪ 1৫6 বব ত1821দলয 0160958881৩ 0106 17৬8 001816118২৬ কওবাহ0158৭) ০17

1৮ 55665 866 356165.

বা [বাহ (7089 হ১৫৮। 70) 500 5108 উধা?টা রাত 0677৫810601 ঘা ঘি লগে 18085 00118. হেত ৮৮1৮) 74৫ ৭110৬ বির 80011117011 লও ৫, টি) দিত চস) ৮৫84051649২ ভা0৪7 488৫ িভ ৪৬৭৭ পদ ছক লা ওটি | ৮, খশশেশে 10818511788 এজ আঃ মাজত | 2 51221 (ই লেতরা [হানি তু

108 21718088817 01 পীর

সরাতে রঃ জলধাররযাও র্‌ মা ঠা টে রে শর

01512 5 356911111 ৭৪1 হয।হ। 5 5১584 5 5 আটটি হিঃ ০] হত১রজ 881 8016 সপ

খে €০ িতা। 0৮৮৮7 0608 ৫50 চ্11110, 11 1০141 45880 661101161৫1 টো? সনি $১ 71726০87876) 61718 ৪০৫ টা 33318 01) 8৫ লী [0 19128501186 ০৪ 81৬ পি 1012 হাত) 8 ৮০০ 6171£008৫ ০০৪ 8009, ৪৭ ৫? 1 ৪7181811656 (৬6 91806 1১00618 ৫51৫ ইলা 5788 865 19 28887 1154) 5৬৪০৭ ৪৫৯ জি রিহ। ভর 0 80171160765) ্রাত। (1201৫ ৪৮৫ ০০ ৪1৬ রেখ ধুজীর 16167 01577116077 13516278 0018 আত হারিগ্রাঃতাছে ছল পি 88611 ড0010118, (৩17 210081711৫৭ লট 281 0 [7৫8 6710908714110661, 3৮ ১2827 পরও তক 6৮6 বিহারী 56, 6০7 067 তত 70781111171 8115 8৫ লাহ10011 12 ডা) 96107 41ট 61686478501 82. ড018775 07717811055, 0৪৮ 29711 0 সীতীাধ 070161ক17116147 ৫0181910616 ২৩ (2, কখও হও (৫ ট৪। সি ৪০৭ 115 20েগরও 05081 08৩ বাত 3৬৮৬০ 6৪ চওহাাএরাছি) ৬৪17, [2 0৫18 টা ২718 17 1805 মল দচাছ। উিতা ₹1)1) 084৫ 010 দি 0০7৮৫ ২৬০ 8871115688৫ রধা (25101512080) 0 হল টু রর দশ পা 1801? ৪৮ সপ রস্ রি 1818 188 হাহা না) ০175 তত, 06 88 উংলার উিআরত। 00 [হলহ পাতা 602) প্রীত চলা ভাত হাল ল৪186৭0157 ৫7181501875 উতর 6 আট আল 2176 তি 10315 পি লরিলীনও শা ৪৪৫198791৫1 06111001558 5485 গল

এল আর 108 এআ [বার 0617 78 7016৮ 9170৬ 6 9:21081 15291188০1৮ 116001, তত ডু 017৯50)1 ওল যার0িট 2016 0৫ ৫818558108৭ ২০৫2167৬216 098815 81188100৫18 ₹971 ভি কল লি চির ড৪১৩৮০ ৮7৯8৫ দ৫9, (তে 5188201২6 (জ ভরি ৬৭১ ভীত যুগ ভাট ধারা ছং ৪২৬ নও রি পর সপ মক ০৬ মু

্। রী

জি ০০ £ জজ হত ডিএ তেও এলজি হুট ইক আল আস [০০১০০ ০০ ষ্ঃ এপ দন

5:৭৪ 681৬ 7৮8 2৩৫: ৫০49৮1ল১বাদ 881167 ত3$ (8017 ৮৮৪১৫ 0৫9 ঢ0186140 টিা 16৫ সপ সপ

স্একাক্ী ০4 ৪7 ন*-শশ শর সপ

| শ্প 1৫ তে 9৮ 29৫ 8 85056৮0 চান

রাত সপ পপ সস দার কাজ রঃ 4১৫

শল্ পট 8৫৪ 086৫19508৫5 তালি] 0 কী

টা 67 ৫1122.

৮০০০৮০০০০৮০ 8৭ 810 ৬১

উিশওঠা। 18858 60106815৭ শর টি ানেশ

21 তু তি তি এপস উট তে 06875 ৬/০1৬/170102011016 06561190104116 ৬,

জনও 88৮8 ১০৪০০ ৮৮

(8961 নাও 2046) 11075091 26৬ তঞ্*

উ85 ভ8৫29 08825

ও8)015)8615১1 বি১8 6 278882 ₹7081087% হঠ10)8006 ৩::31181081 10 প্রা খংজা 2366 স্পা হে জর চু ছার &ছ। 88৮৮ ৯০০৪১ সপ জন হন তত সঞজজন্ত হর ভাজ 11 ই, ১৮৫ 86 পিছ 11 89177615710 2415001 ৫£ 59658 21618048 জলাপ্প্া 15282 ৬06 (45528 01607415733 আস 9 77552, 9৫0 01 88111 ৮৮ /51০০7৫প. ১৫158: 488৫5 9৫৩

«৫3558 5201671ক 8) 0০0৫8 চারা ১9108016508 8 রি হা হেল 0? অঃ ক্রীহ। 85৫8 4০৯৩ স্উা91৫ ধস 815 ৮৮6 আদ) ৪10পা৮াত (59570110091 1881 £ 16801. ঢ8/৮0 958. 2 % 1) 10746 এতে ₹8926 828207608819551161) মা. 017 0098৭ 381724785 প্রজ্ 2068 5190 গেছ) করাত বত 1] তা সী হত শী লা উপর রা সী তি 175, চা % 8 ৮১৪৪ আঃ স্ 0 চর লি. 5 নর &108810677 2, 41181 প্রযত সু সপ শানাস্কাযা পা স্ব ইশ 1 উ6 8056 চপ খ। | শা কস [পট 2) বুট 5৪ প্/18০% 88188 শর সি রি পয 009 এজ জনক, ৫6 1৫3৫ 085 গাঙে পজাহিরএত 1 3198011 10800801052 জর 158 7 ৭৮০ 2 26 যি ব্রত 217৫1 বি ৮৬ পয ২৫০৬ রিনি রি সে স্বীতেও ০১8 বাত এছও হ5059 48, 825 ৮9780 74 আত 1৬৮ল€ পাঠা প্রজা নেটে এ) চারা! (65 উপরজি 89 এরি [পুন ৪1 ওভার 1৫7 হাউ 191 9 এত হাছন 5 লরি ঃলর। ৫। লগত টা সি 11425 [০২০ পাশ রি রা » 508৮৪ 8৮75 সের 5 ॥॥ 1 রঃ 811 008 মতা 2108উ। ০৫০৮ লিন ওঠ তি আটটি টিসি 51187 খর + ।17*-1-1, হনে নত. ২১ ভিলা জা (৫7 (816 সর) সহ এনা] ৭৫ পম বিল টিক্রিনািপ ৮.০ জজ তর হও হা হউক লরি নিজ ৬৫) লব কে হু রাত 1৪৪ জার হর নিত ছা তত

নি

475 ৫০১ 1//51/ চৈ £68277? 8 £১৮512ঘ7 5 £ রি &/৯6)6 £7477১0/50

৪৪1 ১188

77715 £7 ৮৫570 0 £ 00146567177 7115 157)15

(নে 218 2৯455/5150782

৮০/7/4 07 477 £8/55 ০4 110) 8047757 $১/4৬৮

২৪৫৯9114115 (11785105580 5

21453, 2৭ এল প86ল। 75107 106 545447 107) 8840 ৮৮৫7৫561801) 2০5 £7181408167760

ৎ৫৯07০85তর 8051455 $74 25/071হ12 067 2284015৮757 51145415177 (05147 গর 5712 ০৩০৬১20০৫19 49৩ 2৩০10410515 5754 1০710701580177 1157 1175৮

85৪৪ 17615114677 15১16

₹৮০ 44৯5111156১ ৯০71 45 17574151157551/। 15 351 84458££ ₹৬৭414651 15

স্8 28)

/)7:£90 ৮52০5 5 অর 01. 7)/58 21৯028161) 557,1 1//7807134111107

পপ পিপিপি

17710 6854770 ঢ8৫

43188 38 21808৮88898819 885

10610150076

৬/৩1।/৬/11(5018111076 05591150791 ₹. ৬.

11715.0115 2০৮7 00851688535805855556ত

ধরে সিত৪ঃ50গ) (305254৩৮অন]হ আর 1181525850৩ ৩1

৯৬৩ 1351 10556 21 গত (0)

চারজন 0677) 22৩ সি ৩2115৩71930, 205৩2201% £& €))8 2১717718101

5877815688.-1850165 78 শাক গোছের ওজর

পি শেপ 20০1855৩ হইত 1১91 [161,715 52581 88870515515 (7518 ৬০1৮1 আচ প্রজা 955৫8 11050551501 1000৩1৮5911)

[০ 0.1 8808৩১৬165-7558157 (815৭)

957540200১8 চু [৩8208080198 টি চা

আপের, 31 20, 848162৩ 95৬1

টিক 80855 উপ ওক লিজ জপ চে পরকর টেন (36 0খাজজাড | চা জ্ঞতজ প৯ আহজক ড- 0. 036 জাগা ও। পপওযা। রা লি পজ হা পসিত পরত ৯২০৫ ৫118 উতর জিউতাহিজত

উর ০৯৬ ০০০০৬ শখের 8৮6 056 2৬০ গতির আত টিত ভাট শশা: (১ 0৬ 8৭১৮

শাকিশাজচনকর 0

টির থাহ ও. এপ শন উর

উগার্ট, ইন্সক্রক, ভিয়েনা বাপিনে বিনর়বাবুর আনিক ভারত বিশ্বদৌলত- বিষয়ক জান্দাপ বক্ত,তাবলীর বিজ্ঞাপন (অক্টোবর নবেশ্বর, ১৯৩৩ )

(৪২ )

001. 601) 611 ২1০617100 5011 থা) 0110 [0106 662 ? £0080011) টা রা 600 লা পাল নশ রণ 10016111001, 20০77 06৮17011096 ৭:21609 8 ৫৪ 8 0৪ 710)6716 101) ১৫০০10867১6 00060016, 01600816701 ৭016 ভপ6ট গিয়ার ৪181 27 টি 1932 177 9011810 86৮০1লা, 66৫০! €. ০০ £&া 21671 1001বগো গালিতািমাতী 005 21001511910 01 6666 ২511৯/51, ি] 0 2৩টাশো 00091161111) লে 676 60106 217000101৬5 €119)60071 016 ৮2:01101:810166810 চা 0110 (00050011010 আাটোতোত। 201৭080160001508080 011. 12051 380 টগ *শা | উর, 107060 5 5001051876 079 ₹10 ২০111817৩১৮ 00২1010) 515 00 28৫15 095 00176:708 1101১: ২0111 6010, 9010 18016 1৫) 10167 চ৪ €100110 70108100-0 ৮৪০ হোশি! থা ঢা বু] 1817, 7 61100010 0186 301089016১৫: টিচাআা। 2) 008১0 28101 7006, 995 0610 50111101 01)1006 50810 85 1৮৮,০। 800117191এটামাা 00105 20501) 99141 হট 1010 27 0৫ 01085252011 00080700166 07৫ 00710911100 21070151001 101 া0111:111 01000015 ,00১1101) 810 15)10101 2012১014815 18 1111 015 1022 ৫0 30710: 01 (িশারটিএাতাদোতা, 01 11১07160011 090 নিত চৈ 92011716 0৫1 ডি হণ, 0: 011019010 5011111 2 ২1010101806 6 15010 30101010170 177 (017121, ৮০ প০111৫71075 2-111010 6000010, ঢা 60 ভিত, ঢা হান, 206৫7, ১৭11, [1 0০ ১0070100116 719 10 200,81 (6170 91611 0]. ডা 101) 00৮ 701041101৭৭ 1010 10160, 20 ২117,90111110167 0০ [গাথা গুড: 15707) 5018 58 20901৫810০2 ০01, (1 1010 90101011) 01016 হিখেন? ০৮ 30101012016, /৮৫11000 2০16 0৫৫00001৫01) 1" ১1 ০1016077671 ১651 ৮৬ (7015 1115 23001010106 818 5107 টি পস৭ 06 3201. 11)111থা 00005 চিএ 6৫812 81900106167 099 6৫ ৭1160 টি [ঘা তৃয়110)011501 00001 মা9 0119 9০ 191 ৮০ 80021110307 59001000017 59:1017 521 195 1১৫৮ ঠা) (01950, 191 01911 07 0.0) ২1771067111016 2০] 1986 (20016) 091 77 05 10060888 ১৪: টা 21105] 79060)177810 11 শ্যা07/7010106010]]1তো, ৮3075 ১০)09;0; 516 05 076 ১070৮7716 11606 সি 1 ১৫7 ০০001090 4111900101016) 1 ₹2% 1111 1010 চো. 19981101470 00) 2916 665. 010৮06হ 2945 1১9060100 51009111110061/ঘ (4০ 80161 01867, 016 05191011001 7061 26৮1 ৫5: 9161 22 ত৮, ঞাটি 92115 1031 60107171110 100 2)। 00111101707 ১১001001701 2916৮ 019 916171011511116 00181 09 5৫811068 1:59৫)016 3১70৮ 01 2000101007 ২6100 5 001 710, 616 মা?! 51001 80) ৫117 84 001 60501 কে ভ৭৫৫৭1 এম $50108114 111 001 (5০080 07) 1609776 605 0০1)189111006 1677611007১ 2910 ৮৫৫ 06 3607:1156 ১০৫৮1 (১01811006৩0, 2১6 019196 5418: উ০0ো মাগো? 51370811605 01616 ১০. 8০০01010701 9610706, 00 1001 171 20100] 10510 0150০০070০7 015701106৫0 076310 109৫1 6৯4০ ৮6 (687010200 885 006 ৮7162610320 ঠা, টতেতা 10 ৮তোা 26৫6 01710906071 5101 0৫7947)10৮ ঠং & রী রঃ সত 01 নয শি 50768 89১ স্পা (51007 5%1 1 নিয়া বং ১৯141188104 ৩) [0710165 (41107060010 0২ 5৫ মিরা হি থএ10710016 ১৩৮ 0৮ ৭01 ০৭110002000 9144 901৮ 020 ৪0040258161] 20010 রিনস১ ৮৪5 0৮7,095 (01196 81191978605 287১3598965 ৮৪১ 101), 2১9 চে 6৮ ২১০০০1০1110 (0) ১1010গা011, *7০6119075 11 3701), [019৫2 ৫20 খু 91111001117. ৮৫ 81. 6166৮ 09014955 018৫৫ 000 1001 0905 50 8১৫ (31171018706 1. 20001107079 1018 71009001050 95 1:101010010000 90767 2419101 ৫৮9 কতর[স৫05 5676৫100188 31901001606 0৫ তু 9৮107 2800107 8690117 ৭001010৮ নান৮ 69510 5১0807081৮1 810, ভা 27 0076 606 21 99 (61700) (৮ 0 61 8009 14708 160৮ 10717019062 2১11111/5 10711061886 06620 89908চ1101- 610196 8৮ 1500006980167 ট্রেন, ১০: ৮৪, তো 865 00101111001 ৫৮৫)৬, 7:15০7১01, 1010, হতো, 611 রি ই৫9472000 20০001070 (277৮ 7180, 8166 206৫ 011৮0 90811031275 005: 60516 1097001696 ঠা. ২০৮ 10:55) 17. 20021601861 ৫৮0৮ 64 এট 12758 19%11671 8697 2৫90৩ 7100. 67167 00867 83101 (07 1 টড 611 08107005 92111111021 0৮5 ১৮ হাতি 101001, ঠ16 100৫7 গ্যুোরাত ১০৮ 28106 85৪ 2৪ 58786050478 09 0019 20111975 01961 ৮০০ 6৫5 0১০1৫ 21667 01026৬2 পুী & (1 থয07৫7 200: 0106 060: 005 ১০০/০1৫ ধু [106 019৮5 9০ 90৫070৫:+ হাঃ 91866

বাাভেরিয়্ার শিক্ষাসচিব কর্তৃক ভারতীয় অধ্যাপক নিয়োগ সম্পর্কে “ভিড ডক্চে ধুষান্টাগগ্‌ পোষ্ট” নামক মিউনিকের সাপ্তাহিকে বিনরবাবুর জীবন অর্থশস্্রবিষ়ক খভামত আলোচন। (৬ এপ্রিল, ১৯৩ )।

(৪৩ )

সচিবের অন্ুমোদনে এবং “হোখশুলেশর বড় ছোট সেনেটের সর্বসন্মতি- ক্রমে এই পদ তাহার জন্ত ছুই *সেমেষ্টার” অর্থাৎ এক বৎসরের জন্ত নৃতন স্যষ্টি করা হয়। ১৯৩* সনের মে মাস হইতে ১৯৩১ সনের ফেব্রুয়ারী মাস পধ্যস্ত তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহে চার ঘণ্টা করিয়৷ গা" প্রোফেসর (অতিথি-অধ্যাপক) রূপে রীতিমত ক্লাস পড়াইয়াছেন। আইন. অনুসারে অধ্যাপকদের যে সকল দায়িত্ব কর্তব্য জার্মাণির শিক্ষা সংসারে প্রচলিত আছে অতিথি-অধ্যাপক হিসাবে তাহার দায়িত্ব এবং কর্তব্যও সেইরূপই ছিল | সর্ধসমেত একাশীট] বক্ত তায় এই অধ্যাপনা সম্পূর্ণ হইয়াছে জার্ম্াণ তাষায়ই বক্ততা করিতে হইত। আলোচ্য বিষয় ছিল একালের আর্থিক ভারত বিশ্বদৌলতের সঙ্গে তাহার যোগ।যোগ

মিউনিকের অতিথি-অধ্যাপক হিসাবে জাম্মীণি অস্রিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হইতে তাহার নিকট বক্ততার জন্য নিমন্ত্রণ আসিয়াছিল। তাহা ছাড়া বণিক-ভবন, শিল্প-পরিষৎ, সাহিত্যসভ1 ইত্যার্দি প্রতিষ্ঠানও তাহাকে বক্ত,তার জন্য আহ্বান করিয়াছিল। কীল, &টগার্ট, বালিন, ইন্স্ক্রক ( আই্ট্রা), কালপ্রুহে, ন্যি্ণব্যর্গ, হুব,াৎস্বুর্গ, লাইপৎসিগ ড্রেসডেন এই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা! কর! হুইয়াছে। যেনা, বিলেফেল্ড, সোলিঙ্গেন আউগ স্বুর্গ ইত্যাদি কেন্দ্রেও বক্ত,তা অনুষ্ঠিত হইয়াছে বালি'ন এবং অন্যান্য কেন্দ্রে তাহার জন্য অধ্যাপনার কথঞ্চিৎ দীর্ঘতর ব্যবস্থা করা! হইতেছিল। জার্ম্মাণির বহুসংখ্যক পত্রিকায় বিনয়বাবুর তুলনামূলক শিল্পনিষ্ঠ-বিষয়ক গবেষণা মতামত স্ুবিস্তৃত রূপে আলোচিত হইয়াছে

মিউনিকে ছুইবার “রাডিও” (বেতার) বক্ততার জনা তাহার ডাক পড়ে একবার তিনি টেলিফোনে বক্ত,ত। করেন (২৪ অক্টোবর ১৯৩৯ )।

(৪৪ )

সেই বক্ত,তা৷ টেলিফোনের মারফতে হিবয়েনায় চাঁলান করা হয় হ্িয়েনার বেতার আঁফিস তাহা! অশ্রিয়ায় চেকোগ্লোভাঁকিয়ার বিতরণ করে। আর একবারকার শ্রোতৃমগ্লী ছিল গোট! ব্হ্েরিয়! দক্ষিণ জার্মাণির নরনারী (৩* অক্টোবর ১৯৩০ )। বক্ততা ছুঈটা পরে পত্রিকায় ছাপা হইয়াছে।

জান্মর্ণণির বিভিন্ন জনপদে তাহার জন্য ফ্যাক্টরি, ব্যাঙ্ক,বীমা-কোম্পানী, মজুর-পরিষৎ, কৃষিব্যবস্থা, বাণিজ্যভবন, পুদর্শণী-ক্ষেত্র, বণিক-পরিষৎ্, সর- কারী কম্ম কেন্দ্র, ধনবিজ্ঞান-গবেষণাসমিতি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হইত। এই ধরণের দেখাশুনা গুন্তিতে প্রাপ্ধ চারশ”। পইত্াষ্বিয়াল সেপ্টাস আযাও ইকনমিক ইন্ট্টিটিউশন্স্‌ ইন্‌ জান্ম্মাণি” (জার্মানির শিল্প-কেন্্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান ) নামে তাহার মোলাকাৎ পধ্যবেক্ষণগুল! “জাণ্যালে” ( সেপ্টেম্বর ১৯৩১) ছাপা হইয়াছে

ইভাল-ভারভীয় পরিষৎ-্প্রতিষ্ঠার স্বল্প

ঘ্বিতীয়বারকাঁর ইয়োরোপ প্রবাসের সময় তাহাকে চারবার ইতালিতে যাওয়া আসা করিতে হইয়াছিল। তীহার ইতালি পর্যটন ইতাঁলি- বিষয়ক গবেষণার বৃত্তাস্ত ইতালির বহুসংখ্যক পত্রিকার প্রচারিত হইম়|ছে। ইতালিয়ান গবর্মেণ্টের ষ্ট্যাটিট্টিক্স-বিভাগের সঙ্গে সম্মিলিত হইয়া গবর্মেপ্টের অন্তান্ত বিভাগ এবং বেসরকারী শিল্পবাণিজ্য-প্রতিষ্ঠান আর্থিক সমিতি সমূহ বিনয়বাবুর নিকট *ইস্তিতুত ইতল-ইন্দিয়ান"(ইতাল- ভারতীয় পরিষৎ) গড়িয়া তুলিবার বৎসর ছুয়েকের জন্ত তাহা পরিচালন। করিবার প্রস্তাব করেন।

বর্তমান ভারতের আর্থিক তথ্য অঙ্ক সম্বন্ধে ইতালিয়ান নরনারীকে বিজ্ঞান-সম্মত প্রণালীতে শিক্ষিত করা প্রস্তাবিত ইন্তিতুত'র উদ্দেস্থ

(8৫ )

নি৫০৬৪ ৬16 ০81 [৩ ৩০11৬ 11 50005551510

01181010 181810 1810 81101018111

1) 008 96001616028 ৫1 000 51001050 1001800

2 891০1 96105 1687781 98100565 ৫০ ৫1830, & (56010 98100 5 6781006 80887175107 ৫6119105৪10 ৫050. জেটি 1 1101 1117৮00111 %15861 5৫ 1 6101 8০. & 89এ। ০০711710881 15611615052 01888, 870561 ₹. ০10 9৮00009 ৫৪৬০01504$ 00311 ৮1 09 00056282 8981000 51850৩ 5 093607/08 ৫5] 509 996৬7

[8189 544 ঢা) ঠা) 18915 88 & (9112 091089106 ৫) (৭01৮০ 11910 11701702200 50910478011 08 হা 06706. 005 750৮728 2৪ 101 ০19338)

81) 81075527011 পাবা 6৮006 1৮ টিন! ৩৭ 18105150 পাগ, 71102 890 ৪৫টি 8০

8১৮9৮ 1] 05797 প্খে 0০৮৭ 0০০৩৫ ৮5 001) 18৮1৮ 18 2111081530 নি) 1১25105215 1611 (116010 081714781 1

5১8615৫1801 মাহ1100 06-০970980৭ 1286

(11771016061 17110৮11764 ৫8 001 1 58০

10118101550 89111090506 2) 000৫2),

28711

থলি (07190117091 হতগা 10500950006 ৫৮1118056৫0 08০0 ২1116 পন 0৬০

161 41 01210015716 80014 11801151 শ০ )) 6৩. 87)101015 সত 00 00501521016, 05152115971 1187) 5) ৭1610 1১114510116 20181211781 ছটে11]1 61) 1৮116 2101019০0৩০ 58178158410 06060] 48010 017াশও (007078867) 44] [এজ 0০৫2) 0 0108 1”

86740 01785. 59076

£7৫2800:07611015 বাল 5 ] ৫7 50) খত 0:৩9 16 01 ০8] ৭৫1 চা)

00601 07060 8011 10. 589

10010 01 10117157510 8.212001952 41 01%11৩ লিপ 810) 61151751720) 00000105116 581 857 173 %172618117 1010008 7101 ৯. ঠায় নি0078 চে আটটার 0৩177 00217121017] 50501 07001151059 5010 1৫01 16 19 2শ 141 8 50162 16 ৪0 01%25278121707) চিতা6006 শএহা।10 01 1) 00555180015 411 421, জো বচছ180117 বেগ ৮1761020 11) হনব) দহিগা121)1)

1৭0] 1925 1) তি 92 বে টা 4% 8035)1411126 10214 (16 ও৫]017 তান ও।%৬ 0০০0) ৫1 78171810 ৮) ন্00080 41] 8120) 10075650 1৯50055, 057851900 11 07 02110 56৮৮) ৫০11 21105 16118015115 051 1%909010 15081

"্জ্যর্ালে দিতালিয়া" নামক রোমের দৈনিকে বিনয়বাবুকে ইস্ডিতুত ইতল-ইন্দিয়ান নামক পরিষদের ডিরের নিয়ে!গ করিষার প্রস্তাব সম্বন্ধে আলোচন! (১৮ মার্চ ১৯৩১)

451)50119 গা চস) বরাত ৪851 (4৭ 13001167810 ৮50111700৩5

বোট 1ম1121067 7 ০20801085

157 511 00000114175 ৫007 ৪77৫1

1180 01117 18601855317 04 61210 ৮৮04 1109 05010745511 2174 10171 5 ৫1770

1৮0 5৬৮ এাপসগাহ)81) 0 07181006

91421702111 015 ওসা1দ পশ ৪67101069 (0

111১০০-ধামাতেত 1654] ৭7 0 মাটি 0018 ৮৫5 80 তিগিএশ)াক 1 01514 00500এতা৮ 15৮0 8185 ৮76১01 ১000941- 85008105 2 102 ৪৫20559 মু 01015501

৫8115115716 1181004৮5 ঘা 10515284101 10:21212

4) 07185110522216 1 ৮018

8/ চার 00700570 020658108 881) ,8110117ঘ5 86117015048)

০) পল 00015 001) পেযেতে 0 ১০080503215 75111510069 5855০, ঢা 810 778 8136 01515 (50৮8, 6110 090705৫1০08

( ৪৬ )

ছিল। তাহার ব্যবস্থায় রোমের ইতালির অন্তান্ত বিশ্ববিদ্তালয়ে আঘথিক ভারত সম্বন্ধে বক্তত! করাও পরিচালকের কর্তব্যের মধ্যে গণ্য হইত। এই প্রচেষ্টায় ইতালিয়ান সরকারের তরফ হুইতে অগ্রণী ছিলেন ট্যাটিরিক্‌স্‌ দগ্চরের প্রোসডেণ্ট ধনবিজ্ঞানাধ্যাপক করাদ জিনি। কিন্ত দেশব্যাপী দুনিয়াব্যাপী আর্থিক হুয্যোগেগ জন্ত প্রস্তাব কাধ্যে পরিণত হইতে পারে নাহ। ইতালির বিভিন্ন সহরের নান। সংবাদপত্রে এই বিষয়ে স্থবিস্তীত আলোচন। বাহির হইয়াছে বলা বাহুল্য স্বয়ং মুসলিনি এই সঙ্কল্পে খুব উৎসাহী ছিলেন

আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের অন্যতম সভাপতি (১৯৩১ )

১৯৩১ সনের সেপ্টেম্বর মাসে রোমে “আন্তর্জাতিক লোকবল কংগ্রেসের” ( কংগ্রেন্স ইস্তাণাৎসি অনালে পর লি স্দি ুন্ধ! পপলাৎ- সিঅনে'র) আধবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে পৃথিবীর সকল দেখ হইতে শ'চারেক প্রাণতত্বাব, চিকিৎসক, হ্থপ্রজনন-শাস্ত্রী, বৃতত্ববিৎ, সমাজবিজ্ঞানসেবী, অর্থশান্জী ষ্ট্যাটিঠিক্‌সের পণ্ডিত উপস্থিত ছিলেন। প্রায় তিনশ" প্রবন্ধ পঠিত অথব! পঠিত বলিয়া গৃহীত হইয়াছিল। এই কংগ্রেসের ধনবিজ্ঞান-শাখায় বিনয়বাবুকে অন্ততম সভাপতি রূপে নিমন্ত্রণ করা হয়। অন্তান্ত সভাপতিদের ভিতর জানম্মীণ ' সাম্রাজ্যের ষ্ট্যাটিষ্টিকস্-মবিভাগের প্রোসডেণ্ট অধ্যাপক হ্বাগেমান, '্রাপানী ষ্ট্যাটিহ্িক্দ্‌নবভাগের ডিরেক্টার হাসেগাওয়া, প্যারিস বিশব- “বিজ্ঞালয়ের ই্রযাটিহ্িক্স্অধ্যাপক লুসিজী! মার্চ রোম বিশ্ববিদ্ভালয়ের

( 8৭ )

11 00766259 1008171821005)6 06 610 88৫1 ৪4118 70701858076

81000 0001001 || (10180001810 001] | |]]1 00 |

810 তা 20 8530 শ৮] টেন 25 খাত ৪০০2) ৫11 19 8নদশি/) ৩) (1685888) ৭) প)51000 এন ১8) ছিটা ৫০৮11585018) ৬৫ 506০ 8 ৪৪7৮0507891 ৭1 888) ৫08 80808 ৫৮৭58. ৫4788675 70৪, ৫৫1 চ]1 1148 0611 8/104) ৫6118 01014 €াশ]। 91401 (01511 661 081010815 ৭? ব7টগ5 06) 6408180 ৫₹) 8০55860, 02

28/8% 2541 017127৩5760 48 78488 17010167001) 1170) (04810) ৭18 3016184 এগালে শহি। হ6 ৫6106 11188911586 1088 1 1118 6 081 17701700 ৪101121 ৭0111 1174 & টু নিট (6 97510587080)

88৮৪

6. £. 14 0990৩ (৮ নি 10 তা 827 8471 পা 92 চি কতা]

টাল 5 উ/7050187 শুনি 870

/০%৫-

//৫% £74%

₹[দ0 ৭1) 51) দা2102 95 শ185 21 থান লি হলারা1) 11 115 6717

11 20711718719 ৫8118 00101821076

1৭ ৭52101% 1 চিবিএএামি।।8 79105

5৯৫0818 811817)%150181)8 187 01500185। েদমটখাা। 8৮102 খটাগসেএজাগা0 11171046708 17115 ৫21৭1015011 10 1 810+581৮1 071 ব870081

80000 171 টো খর 58 1011910

শা 00811 0১1 6821108)10 8২510115 ৮800108 31116 5001 001870 87811010811110 1

01 081)1 71106৭ 01117 £।)।

80080 ৪] 011

1171 11181

* 3৮161605510) 06109818111 10৫ 1191শ2হ1715 :011৮1811 7 ৮৮1৯৮111118 ১) 81181781006 ৫8114101010 0116 ৪7" 80৫৪ 11 60018118127 সি8০৮ 018 1৮৬৮ ৫01561৭8777 8 0111 7701801080 11 101 00117580811 11 961) কি1015, ৮76 180১ টি 810601৮ ৮0011801197741000 5111 1910) 18110011511 61৫) 11 55111012017 15108

1117411081511011511)15 8০11%গ7

15551011115 150176181)4) 418 তি6

৫৫, /-৮০৮5- ? ৫5৫/1/

রোমে অন্থষ্ঠিত

$1)। 184

16 80176 1710 1115

68 ৬৪৪৪৫ £61828078 ৫1] €81101৮ 89150 [এটি 8)0016 059814851950 491 80117 1) 0101 85188) 1৩. শাখা, মির 9০1 (0১14 11), 86০11 1018 0101 171471)7

6115 (80111871408 1081) 21018 1 8100 118118017৭৮ (৯10171678৫0 810911 (811 08070 ৫৯- 081516) 19) 03015 1)0% 018810 কি €80011 1 851019 0 ছার

মা)0/41)7

16008864888 7008৩048198 15 নিউ 11 0082001 605 07৩58788৫61 সে 98135/ 81) 0401701 01 2718118 ৫। 890৮ত200 188001516৫6] চট 1১০)82007 16]717015 75710888706 8898) 998 131 5016 ৫0102 006 10701 0৮৮7 দে)5 ৫51 0100 61 90৬ 9৮708400701 1010075৫811 010 ০3061891000 পোল 118 টি 0 ৫1৮ 11809100 05100081108, 807 1 09 »*-10898109 18 217981158, 7101৮ ৫৬ রে 171761 1) 6010797 2) 8

7000010 0 &০070,

7457 ০৫. 45%%. 7৩৫০ /73/

আন্তর্জাতিক লোকবল কংগ্রেসের অর্থনৈতিক বিভাগে বিনয়বাবু অন্ততম সভাপতি

ছিলেন। তিনি ইতালিয়ান ভাষায় বন্তত! করিয়াদিলেন।

“ল! ব্রিবুনা”য় তাহার বৃতাস্ত ( ৭.৯ সেপ্েম্বর ১৯৩১)

“জার্পালে দিতালিরা"

(৪৮ )

ধনবিজ্ঞানীধ্যাপক বেনিনি, আমেরিকার কর্ণেল বিশ্ববিষ্ভালয়ের ধন- বিজ্ঞানাধ্যাপক উইলককৃস্‌ ইত্যাদি পপ্ডিতগণের নাম উল্লেখ করা যাইতে পারে। বিনয়বাবু ইতালিয়ান ভাষায় বক্তুতা করিয়াছিলেন অন্ঠান্ট প্রতিনিধিরা বক্তুতা করিয়াছিলেন নিজ নিজ মাতৃভাষায় বনয়বাবুর বজ.তা বড় বড় আশী পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ গ্রশ্থের আকারে (নয়টা কার্ভ-চিত্রসহ ) প্রকাশিত হইয়াছে। ইতালির বাভন্ন পত্রিকায় এই বক্তত। সম্বন্ধে বিশেষ উল্লেখ হইয়াছিল

ফরাসী, ইতালিয়ান জার্নাণ পত্রিকায় প্রবন্ধ ( ১৯৩০-৩২)

দ্বিতীয়বারকার ইয়োরোপ গ্রবাসের সময় আড়াই বৎসরের ভিতর বিনয়বাবুর লেখ! তেইশটা প্রবন্ধ ফরাসী, ইতালিয়ান জার্মান পত্রিকায় প্রকাশি হইয়াছে পত্রিকাগুলির স্বদেশী বাংল! নাম এবং প্রবন্ধ প্রকাশের সন নিম্নে প্রদত্ত হইতেছে £₹--

১। ডয়চে রুগুশাও (জার্মীণ সমালোচন ), বালিন, ১৯৩।

২। ফস্তঙেন উও্তফটশ্রিট্রে ( গবেষণা ), বাঞ্সিন, ১৯৩০।

৩। রেভ্যি দ' স্যাথেজ, ইস্তভোরিক্‌ ( এঁতিহাসিক সমন্বয়-সাঁধন) প্যারিস, ১৯৩০

৪০৫ | আনালি দি একনমিয়! ( ধনবিজ্ঞান ), মিলান, ১৯৩০।

৬। বায়ারিশে ইওুস্ী উও. হাগ্ডেল্স্‌ৎসাইটুঙ.( শিল্প বাণিজ্য ) 'মিউনিক, ১৯৩৪

৭। হবপ্টহ্বির্শাফট ( বিশ্বদৌলত ), বালিন, ১৯৩*।

৮। হিবর্টশীফ টলিখে নাখরিখটেন ( ধনদৌলত ), হ্বিয়েন! ১৯৩০।

৯। বেরিখ.টে ফ্্িবার লাওংহ্বিটশাফ.ট. ( ক্কষি ), বালিন, ১৯৩১।

115 রঃ 5) নি পি

শানু 8৪ 1

৭১8 2.7 পি

রর নল সি শর হি

মং. জিতল

শু তি গর কই শপ কনা

রী কী ছু সু

শর রং (সস, , তু,

প্রসের প্রতিনিধিবর্গের ভিতর বিনযবাবু (রোম সেপ্টেম্বর, ১৯৩১)

মাস্তর্জা তক!লোকবল

( ৫০ )

১০। নয়মান্য্‌ ৎসাইটশ্রিফ ট. ফ্যির ফাজিখারুংস-হেবজেন (বীমা): বালিন, ১৯৩১।

১১। বাঙ্কহ্বিস্সেনশাফট ( ব্যাঙ্ক-বিজ্ঞান ), বালিন, ১৯৩১।

১২। ৎসাইটশ্রিফট ফ্যির গেওপোলিটিক (জনপদমাফিক কর্ম কৌশল ), বালিন, ১৯৩১

১৩। মাশিনেন-বাও (যন্ত্রনিন্মাণ ), বালিন, ১৯৩১।

১৪। কালপ্রুহার আকাডেমিশে মিটটাইলুঙেন (পারিষর্দক সংবাদ )১ কাল স্রুহে, ১৯৩১

১৫1 মাগাংসিন ড্র হ্বির্টশাফট (আর্থিক জীবন), বালিন,১৯৩১।

১৬। আল্গেমাইনেস্‌ ষ্াটিষ্টিশেস্‌ আর্থিভ, (তথ্য অঙ্করাশি বিষয়ক বিজ্ঞান ) য়েনা, ১৯৩১

১৭। কমার্চয ( বাণিজ্য ), রোম, ১৯৩১

১৮। আউদলাগুলিখে ফোট্রেগে ভ্যর টেখনিশেন হোথস্তলে & টগার্ট (ষ্ট টগার্ট টেকনলজিক্যাল বিশ্ববিষ্ভালয়ের বক্ত.তাবলী) ৯টগার্ট ১৯৩১ |

১৯। এস্সেনার ফোক্ষস্‌ ৎসাহটুঙ ( সার্বজনি ), এস্সেন ১৯৩১।

২০। ক্যেল্নার ৎসাইটশ্রিফট ফ্যির সোৎসিগলোগী (সমাজবিজ্ঞান) কোলোন, ১৯৩২

২১। আর্থিভ ফ্যির কুল্টুর-গেশিষ্টে (সভ্যতার ইতিহাস ), লাইপৎনিগ, ১৯৩২

২২। কমিতাঁত ইতালিয়ান প্যর লস্তদিঅ দেই প্রবলেমি দেলা পপলাৎসিঅনে (লোকবল 1, রোম, ১৯৩২

২৩। আর্থিভ ফ্যির ফাগ্রণইখেণ্ডে রেখ টস্-হ্বিসেসনশাফট ( আইন- কানুন ) বালিন ৯৯৩২

৫১ 0)

অন্তান্য অর্থনৈতিক রচন] .১৯৩০-৩২)

এই সময়কার ছুইট। ইংরেজি রচনাও উল্লেখযোগ্য

১। দি রেলওয়ে ইগ্ডাত্রি আও কমার্স অব ইগ্ডিয়া ইন কমপ্যারে- টিভ রেলওয়ে ষ্ট্যাটিষ্টিক্স্‌ ( ভারতের রেলশিল্প বাণিজ্য, আস্তর্জাতিক রেলতথ্যের মাপে )।

২। *“র্যাশন্তালিজেশ্ন ইন ইও্ডয়ান কটন-মিল্স্‌, রেলওয়েজ, টাল ইপ্তাপ্রি আও আদার এপ্টার প্রাইজেস্‌” (ভারতীয় তুলার কল, রেল, ঈম্পাত-শিল্প ইত্যাদিতে যুক্তিযোগ )।

ছুইটাই জার্ণ্যাল অব দি বেঙ্গল ভ্তাশন্যাল চেম্বার অব কমাসে বাহির হইয়াছে ( ডিসেম্বর ১৯৩)।

দ্বিতীয়বারকার ইয়োরোপ-পর্যটটনের সময় মাত্র একট! বাংলা রচনা লেখা হুইয়াছিল, যথা! “একালের ধনদৌলত অর্থশান্ত্র” বইয়ের ভূমিকা উহা “আর্থিক উন্নতিতে বাহির হইয়াছে ( ১৯৩০ )।

এই সঙ্গে আর একটা অর্থনৈতিক বাংল! রচনার উল্লেখ করা যাইতেছে নাম "ফ্রীডরিশ লিষ্ট৮। উহ! দেশে ফিরিবার পর "শ্বদেশী আন্দোলন সংরক্ষণ-নীতি” নামক অন্থবাদ-গ্রস্থের ভূমিক! ম্বরূপ প্রণীত (১৯৩২ )।

“প্রবুদ্ধ ভারতে” গান্ধী বনাম সরকার ( ১৯৩০-৩১) বিনবাবু যখন বিদেশে ছিলেন তখন পপ্রবুদ্ধ ভারত” নামক ইংরেজি মাসিকের আমন্ত্রণে “ধনবিজ্ঞানে সাক্রেতি*-প্রণেতা শ্রীযুক্ত শিবচন্ত দত্ত মহাত্মা গান্ধী বিনন্নবাবুর অর্থনৈতিক মতামত সমূহ তুলনার আলোচন! করেন। শিববাবুর রচনাগ্চল1 ১৪-১৫ট। প্রবন্ধের আকারে *প্রবুদ্ধ ভারতে”র বিভিন্ন সংখ্যায় বাহির হইয়াছে €( ১৯০০-৩১ )।

(৫২) স্বদেশে প্রভ্যাবর্তনের পর (১৯৩১ অক্টোবর )

১৯৩১ সনের ২১শে অক্টোবর বিনয়বাবু বোন্বাইয়ে নামেন। তখন হইতে আজ পধ্যস্ত ছয় মাসের ভিতর তাহাকে নান? কর্শকেন্দ্ে সভাপতিত্ব, ব্ততা আলোচনায় যোগ দিতে হুইয়াছে। বিভিন্ন সংবাদ পত্রে সাহার সঙ্গে মোলাকাৎও বাহির হইয়াছে। এই সকল উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে গোটা চষ্লিশেক রচনা প্রকাশিত হইয়াছে মজুর-মুরি, ছনিয়ার আর্থিক ছুয্যোগ, বেকার-সমস্তা, শিক্পনিষ্ঠা, রবীন্দ্র-জয়ন্তী, বিবেকানন্দ সম্বর্ধনা, ওয়াশিংটন-স্বৃতি, গ্যেটে-তিথি,* দ্বিতীয় শিল্প-বিপ্লব, বীমা, জন্মমৃত্যুর হার, ব্যাঙ্কসম্পদ, ”বন্কান-চক্র” ইত্যাদি বিষয় এই সকল রচনার আলোচ্য বস্ত

“আত্তর্জাতিক বঙ্গ”-পরিবৎ ( ১৯৩২ এপ্রিল )

কয়েক সপ্তাহ হইল তিনি “আস্তজ্জাতিক বঙ্গ”-পরিষৎ নামে এক অনুসন্ধান-সমিতি প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন ( এঁপ্রল ১৯৩২ )। এই পরি- ষদের তদ্দবিরে ছয়জন “গবেষক” নিয়মিত ব্ধূপে লেখাপড়া করিতেছেন | বাংল! ভাষায় সমাজ-বিজ্ঞান, আইনকানুন শাসনপ্রণালী আলোচন। করা এই পরিষদের উদ্দেশ্য সকল তথ্যেই জগতের নানা দেশের সঙ্গে বাঙ্গালীর যোগাযোগ বিশ্লেষণ করা এই গবেষণার অন্তর্গত “বিশ্বশক্তি” নামক মাসিক পত্তিকা পরিচালনার ব্যবস্থা হইতেছে। বঙ্গীয় ধনবিজ্ঞান পরিষ আর "আস্তর্জাতিক বঙ্গ”-পরিষৎ ছুইয়ের গবেষণা-প্রণালীই একরূপ। উভয়ে ভম্মী-প্রতিষ্ঠান রূপে চলিতেছে।

প্রাকম্প্রবাস বাংল! রচনাবলী (১৯০৬-১৪)

এই সকল বাংলা, ইংরেজি, হিন্দী, ফরাসী, জার্মীণ ইতালিয়ান রচনাবলীর আবহাওয়ার ভিতরই “নয়া বাঙ্গলার গোড়াপত্তন" বাহির

( ৫৩ ) হইল এই কথাটা জানিয়। রাখিলে গ্রন্থের প্রতিপাস্ঠ বিষয়গুলা কিছু নৃতন আলোক পাইতে পারিবে

অধিকস্ত বর্তমান গ্রন্থ বিনয়বাবুর পঁচিশ-ছাব্বিশ বৎসরব্যাপী লেখাপড়! অন্ুসন্ধানগবেষণার ফল। কাজেই প্রথমবারকার বিদেশ ভ্রমণের ( ১৯১৪ এপ্রিল ) পূর্ববন্তী কালের সাহিত্য-চ্চাও এই উপলক্ষ্যে কিছু কিছু উল্লেখ করা যাইতেছে

১৯৯৬ সনে যখন “বঙগদেশস্থ জাতীয় শিক্ষা পরিষৎ” প্রতিষ্ঠিত হয় সেই সময় বিনয়বাবু এই প্রতিষ্ঠানের দিকে বাংলা ইংরেজি সংবাদ পত্রের সাহাধ্যে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই শুত্রে বাংল! ধরেজি রচনার এক সঙ্গে আরম্ভ হয়।

১৯০৭ সনের জুন মাসে তিনি বিপিন বিহারী ঘোষ, রাধেশচন্দ্র শেঠ ইত্যাদি স্থানীয় জন-নায়কগণের সাহায্যে মালদহে জাতীয় শিক্ষা সমিতি প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন বাঙ্গলায় ম্বদেশী আন্দোলন চলিতেছিল। সমিতি প্রতিষ্ঠার উপলক্ষ্যে তিনি বঙ্গে নবযুগের নৃতন শিক্ষা" নামক প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন। তাহার সঙ্গে “নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্বন” গ্রন্থের আত্মিক যোগ লক্ষ্য কর। কঠিন নয়। একালের মত সেকালেও তাহার রচনাবলী প্রথমে পাত্রকায় পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হইত। ১৯১* সনে এই সমুদয় রচনা গ্রস্থাকারে বাহির হুইতে সুরু করে। বাংলা বইগুলার নাম নিম্নরূপ £--(১) শিক্ষা! বিজ্ঞানের ভূমিক1 (৪৮ পৃষ্ঠা ১৯১) হীরেন্ত্র নাথ দত্তের ভূষিকা সমন্বিত। (২) প্রাচীন গ্রীসের জাতীয় শিক্ষা (১৭৫ পৃষ্ঠা ১৯১১), প্রকাঁশক বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ, অধ্যাপক বিনয়েক্জ্র নাথ সেনের ভূমিকা সমন্বিত। (৩) ভাষা শিক্ষা ( ১২০ পৃষ্ঠা ১৯১২ ), (৪) সংস্কৃত শিক্ষা ( ৩২০ পৃষ্ঠা ১৯১২ ) (৫) ইংরেজী শিক্ষা (২২* পৃষ্ঠা ১৯১২ )। (৬) এঁতিহাসিক প্রবন্ধ (১২৫ পৃষ্ঠা, ১৯১২ ), রামেন্জর সুন্দর

(৫৪ )

ব্রিবেদীর ভূমিকা সমস্িত। (৭) শিক্ষা-সমালোচন! ( ১৫০ পৃষ্ঠা, ১৯১৩) বরদা চরণ ,মিত্রের ভূমিকা সমন্বিত (৮) সাধনা (২০০ পৃষ্ঠা ১৯১৩) অক্ষয় চন্দ্র সরকারের ভূমিকা সমন্বিত (৯) রবীন্দ্-সাঁহিত্যে ভারতের বাণী (১৯১৩, ১৫০ পৃষ্ঠ )। (১০) বিশ্বণক্তি ( ১৯১৪১ ৩২৫ পৃষ্ঠা )।

একালে “নর বাঙ্গলার গোড়৷ পত্তন” গ্রন্থে সে সকল সমন্তা আলোচিত হুইতেছে, প্রায় সেই ধরণের সমস্তাই সেকালের পসাধনা” “শিক্ষা-সমালোচনা” “এঁতিহাসিক প্রবন্ধ” “বিশ্বশক্তি” এই চারখানা গ্রন্থের আলোচ্য বিষয়। ছুই সাহিত্যেরই কথা-বস্ত_“দেশ ছুনিয়।”, তবে চিন্তা কর্মম-গণ্ডীর প্রভেদ বিস্তর। আর, একালের ধনবিজ্ঞান- চর্চা ধনবিজ্ঞান-পরিষৎ এবং “অন্তঞ্জাতিক বঙ্গ”-পরিষত প্রতিষ্ঠা সেকালের শিক্ষাবিজ্ঞান চচ্চা, জাতীয় শিক্ষা সমিতি প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির অন্থক্ধপ। অধিকন্ত সেকালে “গৃহস্থ” নামক মাসিক পত্রের সঙ্গে বিনয় বাবুর যেরূপ সম্বন্ধ ছিল সেইরূপ সম্ন্বই দেখা! যাইতেছে একালের “আিক উন্নতিশর সঙ্গে।

প্রাক্‌-গ্রবাস ইংরেজি রচনাবলী ( ১৯০৬-১৪ )

স্বদেশী জাতীয় শিক্ষার যুগে বিনয়বাবু বাংলার সঙ্গে সঙ্গেই ইংরেজিতে নান। লেখাম্স মনোনিবেশ করেন। ১৯*৬ সনে অমৃত- বাজার পত্রিক৷ 'বেঙগলী ইত্যাদি দৈনিকে বঙ্গদেশন্থ জাতীয় শিক্ষা পরিষৎ সন্্ধে তাহার রচনা বাহির হয় ১৯*৭ সনে মালদছে জাতীয় শিক্ষা সমিতি প্রতিঠিত হইয়াছিল। সেই বৎসর আগষ্ট মাসে এই সমিতির শিক্ষা পরিচালনা-প্রণালী সম্বন্ধে তিনি শ্রীযুক্ত সতীশ চন্দ্র

(৫৫ )

মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত “দি ডন আযগু দি ডন সোসাইটিজ ম্যাগাজিন" নামক মাসিক পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখেন

সেকালের ইংরেজী রচনা সমূহের ভিতর উল্লেখ যোগ্য “এইভ.স্‌ টু জেনার্যাল্‌ কালচার” নামক “বিশ্ববোধ সহায়ক” গ্রস্থরাজি (১৯১*-১২)। এই গ্রন্তাবলীতে ছয় খানা বই প্রকাশিত হইয়াছিল £_-(১) ইকনমিক্স্‌ ( ধনবিজ্ঞান, ১৯৩ পৃষ্ঠ1), (২) পোলিটিকাল সায়েম্ন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৮৪ পৃষ্ঠা), (৩) কন ্রিটিউশ্তন্স্‌ (রাষ্ট্র শাসন প্রণালী ১৩১ পৃষ্ঠা ), (৪) এনন্রেপ্ট, ইয়োরোপ (প্রাচীন ইন়োরোপ ১০ পৃষ্ঠা ) €৫) মিডীভ্যাল ইয়োরোপ (মধ্যযুগের ইয়োরোপ, ১৬৫ পৃষ্টা ), (৬) হিষ্টরি অব ইংলিশ লি্টরেচার (ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস ২৩২ প্ুষ্ঠা ।॥ তখনকার দিনে বাহারা বি, অনার বা এম পড়িতেন তাহাদের অনেকের পক্ষে এই সব বই কাজে লাগিয়াছে। তাহা ছাড়া নিয্ললিথিত গ্রন্থগুল' এই যুগের ইংরেজি রচন! £--

(১) “দি সায়েন্স অব হিষ্টরি আযাণ্ড দি হোপ. অব ম্যানকাইণ+ (ইতিহাস-বিজ্ঞান মা নবজ।তির আশা, প্রকাশক দারা গ্রীণ আযাগু কোম্পানী, লগ্ন, ৮৪ পৃষ্ঠা, ১৯১২ )

(২) ইট্টোভাক্শ্ন টু দি সায়েন্স অব এডুকেশ্ন (1শক্ষ। বিজ্ঞানের ভূমিকা, লংম্যান্স্‌ লগ্ডন, ১৭৩ পৃষ্ঠা, ১৯১৩, মেজর বামনদাস বহর ভূমিকণ সমন্থিত।

(৩) ষ্ট্েপস্‌ টু ইউনিভাসিটি :- কোর্স অব ইন্টেলেক্চুয়াল কাল্চার আযাডাপটেড. টু দি রিকোয়ারমেপ্টস্‌ অব বেঙ্গল (শিক্ষা সোপান কলিকাতা, ৬৪ পৃষ্ঠ] ১৯১৩ )।

(৪) পেডাগজি অব দি হিন্দুজ (হিন্দু সমাজের শিক্ষা নীতি, ৪৮ পৃষ্ঠা, ১৯১৩ )।

( ৫৬ )

(৫) শুক্রনীতি (সংস্কৃত গ্রন্থের ইংবেজি অনুবাদ, ৩০৬ পৃষ্ঠা, ১৯১৩, এলাহাবাদের পাণিনি আফিস হইতে প্রকাশিত )।

(৬) দি পজিটিভ ব্যাকগ্রাউও সব হিন্দু সোসিঅলজি ( হিন্দু-সমাঁজ জীবনের বাস্তবভিত্তি ) প্রথম খণ্ড, অ-রাসত্ীয় (৩৯০ পৃষ্ঠা ১৯১৪, প্রকাশক পাণিনি আফিস)। ডকুটর স্যার ব্রজেন্র নাথ শীল লিখিত কতিপয় প্রবন্ধ এই গ্রন্থের পরিশিষ্ট স্বরূপ প্রথম প্রকাশিত হইয়াছিল

প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সমস্যা

“নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পণ্ভন" গ্রন্থের অন্যতম আলোচ্য বিষয় প্রাচ্য- পাশ্চাত্য সমস্তা এই গ্রন্থে এই বিষয়ে যে সকল মত প্রচার কর! হইয়াছে তাহার পশ্চাতে একট! ক্রম-বিকাঁশের ধারা আছে বোস্বাইয়ের “ইন্ডিয়ান ডেলি মেল” কাগজের মোলাকাতে (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫) বিনয়বাবু এই চিন্তাধারার কথা উল্লেখ করিয়াছেন। “গ্রীটিংস, টু ইং ইপ্ডিয়া” গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ে সেই কথোপকথন উদ্ধৃত হইয়াছে তাহ! হইতে নিয়ের অংশ উদ্ধত করিতেছি

গ্রন্থকার বলিতেছেন £--

"কি প্রাচ্য কি পাশ্চাত্য অন্ঠান্ত সকল লোকের মতনই, আমিও-_ যখন জীবন সুরু করি তখন, প্রাচ্যের আদশকে পাশ্চাত্যের আধর্শ হুইতে পূরাপুরি পৃথক্রূপে শ্বতঃসিদ্বের মতন ম্বীকার করিয়া লইয়াছিলাম। এই স্বতঃসিদ্ধ কতটা টেকসই যুক্তিপূর্ণ তাহা স্বাধীন ভাবে যাচাই করিয় দেখি নাই। কিন্তু পরে ছুনিয়ার সভ্যতার গতি গড়ন সন্বন্ধে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করিবার ফলে এই মত বদ্দলাইতে বাধ্য হুইয়াছি। যুগের পর যুগ ধরিয়া জীবন-যাত্রার দফায় দফায় গভীরতর আলোচনা করিতে করিতে বুঝিতে পারিয়াছি যে, কোনো কোনে বিষয়ে সপ্তদশ

৫৭ )

/0419617-1775006 061 50015150751 1 50110150191 11001506019

219055501 52170৬ 1688র7721৮

৩131৫ 21

' 015910007 355 99190115011) 1715018965 101 ৬/17501065-৬/155917501061 01601650660

17011 17) 61101228052 05171 50170150191 119০75০0415 শা 815101701019102 20091505 5) 83178” (9199749 ৬০1৮59৪:

88116001৫৪1) 1. 811:

1. [015 51000101091 80170 /1155010001017617 617110100179517 4155 11701501191 ৬০115 |) (01181 0191 170199917011501617 11001.

₹1-5120, 0518 3. 38888.

2. 1915 17005019119) 0010 1601116121911911 ৬/০7010179917 1) 10500931 11701617.

1808701-80- 885৮ 68598) 60৪-৫৪০৪8 (জী, ৪...

০৪০৬৪৪৭5886 17) 091" 88686058728 516৩088 (88865888585886888580 €2082৩585 &: (08878886788 81578100015 2 155 970 09) 0217 80805 8581855588 067 5 6916888860585৩89 8805018606588897 81577811016 012812 18 00790 116117)1)0112501569 6.

ড9৪85886 606৪ €58888৪-8858.80৪869 8085088 ৪০ 809 80665808855

ভে,সডেনের টেক্নলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনরবাবুর জানা ভাবায় বক্তা (১ জুলাই ভুলাই, ১৯৩১), বিশ্ববিদ্ঠালয় কর্ত গ্রকাশিত বিদ্ঞাপন।

(৮ ৫৮ ) শতাব্দীর “রেণেস স” বা নবাহ্যুদয় পব্যস্ত আর অন্তান্ত বিষয়ে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগের শিল্পশবিপ্লব পর্যান্ত প্রাচ্যের ধরণ-ধারণে আর পাশ্চাতোের ধরণ-ধারণে কেনে। প্রভে? ছিল না। যে ধরণের তথা- কথিত প্রভেদ দেখানে! একালের স্ুুধীসমাজের দস্তর তাহার কোনে। ইতিহাস-প্রতিষ্ঠিত বস্তনিষ্ঠ ভিত্তি নাই।

*্বিদেশে বসবাসের সময়ে নানা কেন্দ্রের লব্ব-প্রতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়, পণ্ডিত-সঙ্ঘ পরিষৎ-পন্রিকার পরিচালকগণের নিকট হইতে মানব- সভ্যতা বিষয়ক আমার প্রচারিত এই নূতন ব্যাধ্যা-প্রণালী সম্বন্ধে বক্তৃতা করিবার প্রবন্ধ লিখিবার স্যোগ জুটিয়াছে |”

থুটিয়। খুঁটিয়। “দফায় দফায়? বিশ্লেষণ, গভীরতর আলোচনা, “ইণ্টেনসিভ * ইনভেষ্টিগেস্টযন্স ইত্যাদি শব্দে বিনয়বাবু যাহা বুঝিতেছেন, তাহার সর্বপ্রথম পরিচয় তাহার অনুষ্ঠিত সংস্কৃত শুক্রনীতির অন্থবাদ ( ১৯১২-১৩ ) এবং এই অনুবাদের ভূমিকা শ্বরূপ “পজিটিভ, ব্যাকগ্রাউও অব হিন্দু সোসিমলজি” (হিন্দু সমাজ তত্বের বাস্তব ভিত্তি, ১৯১৩-১৪ ) নামক গ্রন্থ রচনা বই ছুইটা তাহার দেশে থাকিতে থাকিতে বাহির হইয়াছিল। প্রাচ্যে- পাশ্চাত্যে সাম্যসাদৃশ্ট-বিষয়ক যে মত এই “নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্বন” গ্রন্থে জোরের সহিত প্রচারিত হইতেছে সেই মত তিনি বিদেশ হইতে আমদানী করেন নাই। ম্বদেশেই এই মতের স্থত্রপাত। সংস্কৃত সাহিত্যই, হিন্দুর নীতিশান্ত্রই বিনয়বাবুকে প্রাচ্যে-পাশ্চাত্যে সাম্য- সাদৃশ্তের খুঁটীগুল আরবষার করিতে উদ্ধদ্ধ করিয়াছে। পরে ভূয়োদর্শনের ফলে এবং ঘটনাচক্রে দেশ-বিদেশের নর-নারীর সঙ্গে নিবিড় বিস্তৃত লেনদেনের ফলে এই মত আরও পুষ্ট হইয়া বর্তমান আকারে দেখ! দিয়াছে।

(৫৯ )

গ্যাছে! 1930

৫5565888886

শে 199

চ018867) 668 গ78165)0671.

8186 885886868888115 238616756 ভা,

111 08686236161 156111 6৫5 17191166 নীড14৫8 ৮৮টি চ৮6৫67166 ছঃ51 2৫898 98218: উ৪৪£ ৬৪ 8001806 1 £:800625 ৪. 881 (82196888 টি 68261116017 05100582£916668760. 82847 2৫ 88) 9811) 01111 11766116888 8৪2 6৫1 ছ6০১৫]16 218 05011, :5160158 পট ৮:06৫5 42১50108866 29016088068 86৫৫ 17510102 £091687928167811 8৫2 (52862585878 62

তি ৫01৩ €0০016115 111001 05118019017 তোর ৮৫6 220 £0060 106 10 60001 (38101275080) 08881606816) 97101178 (406188665 0৮11671 19116111016 ৮0518109111 পা 6628 (1006 1১৭ গু ৪০) ৪০6 81081107 (95208617900 061 কাট 96606 ০৩ 15896501100 %118165001 (64 077) 0০771

॥:69100% ছ12100148চা 60 658 6011618 00:06501৫চ 610৫8 605 016৬7 ঠ05 10181719011 811) 74860101016 %6:0106111110116710617 81) 91111710718 79968 811১0578086 হাতা সু30006 78, ৯৪৮0161২116 ধু 11া2েহ তেখিহাছে 0161৭701198, 671 2058

» হিং 1110111010115190 তা 21 (6016 ৮২810011115 381 101688, ৮৫৬ 68116 00111110) 11) 181011060011110)71811611610 2৭ 26070811886 20105 006 ৮৬ 0050907196 $1101411 গ৩রযাযর 28৫8 টি68816 0০৮ তপতি ডিপো জগ) 12101 10 00118118711 0৫5 10087-7 11 8118 6০ ৩9611 610) £9৫807171067818100 7৮ 100617 6077 ১0:41) 8৮ থ্1ট1111015 টাযাত €100 0৫7 (28986, [০ (দা 816 00011810681 30:10 00) 0৫1:62001 0078101606110 9807 11106 আন 81110626 পা1600028010ন৬ তে 0000৮ 03110161) 7001শোথাতেতা লহ ওটা শোর গ্রাও 23107016চ হাটিত6 0৫86 ভেযোতে 101: 6017 161৭2 191561090181528611 00019 (07101001872 ডি 80100 7৮701 0112 09106017117 1716 06৪7 (ড096060101) 201ট 2000৫11 তে 1681৩ 9411 0 1061 ৬১117

গু।51৮১৮0 [0০0 06 1806015 51৫ 05800 ১৫: 4৪০ হতে 055 105881058 01616 0(04:১৫811, ড2৮6 80 019810) 9: 110902 ১6 0561881 61671 যা 81011১৫0 €6110128 1০1681 16005 ১61৫1 00017106ত ৪চা ০৫0 16106 291008611105506হ 0009 062:0000 8611 1008 2 2011679৫ 0941 61167 ০০01৪ 80161 106015 7967185176 $80116৫11 প্রত 30৩17 01001172161] 301 521017 011686116 ১৮111 (চে টাত ৪6 27011161806: ঠ0186716125156 (6108) 1৫) 11401৮65000 066 001 80715 ৮60062ি060 27)01140615 95081687206

2)) 8 10068 €10676 হী011 110680ঘ 11)৩ 10) 68, ১০৪ ০৫1০৫ 3001101 0৮০ জা 960৫2551510 (81 9) 08০ 1প886ঘ11 যা1 105061 02160510621 ওহ ৮0৩10) ৮৩০ 8.1001 068108, ততো? ত02 (00016010767 016 9১৩ 01৮ শর ছি 86008818৫08 তাত 20000964916 ইতি ৪?

খত [চিরেসিতাচ। 59১) ১6705696116 8106560 5৫15618, 020671৮ 06 61771870106007011067- 800 ০65 85111108- ১১4৫7675071 81 দাত সিএ 0৫৪ 2৩068 81) ১৫৪ 266 যত এপ (৫0156 1857108611 (ঠা আট 23৩0867৮- 12৫8. 500180 থিন দঃ পরত দত 55067105 8০101 201658 ৮1) 8009595 58188 ডগ ০9116 ১০৪ বা6চ৮ মাত আযা১ ৯৫6 গ7518610010656 চ5 চা 016 262 23521 8৫6৫৮ 06108 8006050051 12881 05616 ত8296585256 ৪0 00180001058 16১৮ 41167110166 ৮০৫ সরা ১৫৮ 016 (87710505875 06৫8 £0162৬ [28 ০৫010705557 6৩৫ ৯৮৬ 20০7910150৬ স০:শ৫ 101807 801929685 11 ৫5 062986, 85118181241 201৭ 01105 1705101580067 ড155152 ঘট তান (০৬৬পাণা 001 টলা (06161৮02372, 55166818, দি 058 3012715 ঘু:601 জিও 55) ১০৪ ভ০81216 ৫1168 01৫1 টিগাঠতাযে। ১৩০ ছিিত হয গত৫20৫61 ডেল, 87০81, চজছেট 3512705- 871 চতত সত ভারতও পা, ২০০০7, 0৫৫৫, প্যনি110061- ড0105 ড০7 6510 2১৩৮2, (973, £61660105, ডিও পিঠ ভাত হাচ 2612 হ)1711 দেহ াতেট। 8 02:6501 হয়া 28191081656 1 2 উ০প 7৫596 ধিঘেউতে ৫66০৫ গজাতে 0 ৮৮০০171124১ (61 191 97080 002111 মহট 61616 53৫5098118৫. 80 ১৮৫০:৮০ রা 71771 0815ভাতে ৮28 ডি ঘ71658816, ৮6হ

“ম্যিন্চেনার ৎসাইটুঙ” নামক মিউনিকের দৈনিকে বিনয়বাবুর রচনাবলী কর্মাবিষয়ক আলোচনা ১৩ থে» ১৯৩০ )।

0082 06866 016167 25১৫, 86 69. 2111 ৩2511001১০৬ €৪ 2662 2009 61৫1 ৪৮ 06627. 8691. 2:80) 882) ০80167, 6৩1 €0104৫11 810 0611 £3615615 1:6117716 618 645 61178178 0 ট্াচালান নথিতে 81065. ডিএ ইল আহ [তাহা টিতোশে (8107960 মা) 60801871808 ৮1৮16৮। 2672611671106980109471 015 26515 010196606 ১৪টি 02160170 আ০ 2০501591216 01118000916) 10 ১৫ 005019916 218) ১৩ 81 10৫15 ইট (18606 78160181896 665 809৮ 2৮৮ 25119510 ঠ৬হত) 20850816782 5৫169 2 2188510186111686 2101655318110216 859 06127 226৩ 20628 52১ ৮৩6৬ £০1801118611 08100608, 016 00:081087198568115%77 10821) 16121৭ (0216010867 00081015067 00৫৮৮ (061 50108021127 2614 8৮৭) 07 5৫৫ 20161 0110816916 1581 দি 56 081 5000 2255 পেন 0161 03161070516 865 29:18011801811710671 11094 2085 হা 86111710012 1161 22610786511 0967 (5111216, 167662 পারনি 27016হ7010111062 ডছমাত)16 50121017618. 206 5৫7 পাশ £০9777061) 060 £)01া/শ 70010017167 206: 28৫11761556 হী: 07680611 1001 8৮17: 61867৮77016) 201031186£ 1111161068189 ॥ত 50০7 ১০ 01101618710 2000101৫0৩7 2906 6111. 2১16 01111061) 51166 5100৫567 গা (806 201811050111106618 দে, ৪7717981100, 0৫6 060005005 51710811101007167 0 01111৩6 ১৫: 89611009016 ১6৫ গাল লি) 66 ৮281 20056 1570 206 0181 91৩ 217188115691676281779 আগে 98/1 201101617 5762. 2 36119611491 110০3 21100109610 116 ৮0101016860 3188০ 060112067 2062. 2০118179১6৪ 856170107065 2008৮ 2001১168 88৯ 0৫1 01867115709 201 ৩৫270] 61000160- হিতে ০8৫21 23:01 2): 101723106৩1 06 ৫11100701110 068 70116 5/৫150018688 801 05166: %:69977107 ১9০0101816 08560889106 ৮9601100018101) চারা 811 ঠ5100061785160608 সাঃ 2১614107660 887 00606158 106:0৩15 1967৫ 06 07176710026 016 071146 091181017::141016 6৫7: (৫৮ 96717001218 16018110 গ্রতো 00910619011 66 2916 202180 1:8৫ ডেঠাগা পাতার 66৫ 20101816162 51 80062৫70৮৫7 01081 606 (65 ১৩০ 0008100167 ৭0622085০৫5 হউ1৫০ 01211090117

2০৬ 10 008 17111996 93:০6/০ল্রহ, 1506 6৫8, (58 হট তা22518 8৩৮ চি0৮6৮181076 20180650118, 10 01110688. 822 প্রুহাও 4616 20৩11 নও 0৬ 2106675 21011018 02 096555 22৮ উ0াাত 21008060178 2৫011071279 821 (হা (81০ হাটে 260৫7161011 6691 30 2600186 008206% [তাজা 100156085611010687 51010 £5147108- হাট 218 চা: 0০88 10111 ১6৮ 19801$010117614া0 2৫708676, ১8৫ 121 22100522 সভেলাচ০ 00: 09 061, 26285200616 202. 167066 ৫7৩ 921556162 700101811265 ৪৮৮ 101511501112097 8:৫5০11, 819 2৫780111168 20541100[থঘেদ ১০৪ 25 010 $81৫৪ 206 10. 8০011667 প্৫011810 6৫1 উলটোততা ৫6৩, ৮6৩ 21217111067

2০৮, ১৫6 51220050118 008 চি 0106 1017670001111456 গ্র8011010170085৮656 016 060 10606 1701156 06126082161 108 876 066৮ 06264841108590 ডে চু এল 01৩ প্রএটিতহ1618 965 21161109011110827 208 2৮1 05

»116066172িয়ারহা0208 ১৫ 10675 870 6116:8 5৫4 168 896 07986 59822)800110 06107062298 236: ড805৫

60516715016 হহাট 22667 20165 1940 (21562

256595595576- ৪ঠাচাআা। 56090917085 878 6 206 লহ ০০ ৯৮ 9৩96 পাঠিত ত/12105ত0 হট তা 8511 06967) 2১16 61067011606 261:00011171980616 গুতা, নোভা 30611167 শ্রা ৪110 ভীদ1101হ00022 601609288 হতেন 219 0 ৮৫910, ৫£12712768 (6670, 0৫2 00065 9867 015 01070711166 86111511667 65018716666 ৮০ 84601889 ৩৪) ৮০৪ 76170010109)6 761156 [ত 920110700580167805 880 20618০ চ০হ1000101501616 (৪ [66716771 0177৫ 25 225৩৮ হাতা, প1ঠ শাহ £৩717708706ত 550৮ 2190511612 (. হি হাঃ উঠত তত আহ 2368110ধ2 807060 না6,

9১৩৪ 06176 ড1054551 00 80৩ 2061862 28৩ উচ 185 ১০৪ ড91:7৫া00100 21১066 808 066৮16 হা হত ১৬] 6৫107761- তা 88011865৬1১ চতনি)৩18162৩ 87১ 101801058

18611 তা 11৬১ ৯৫০ €11702৫7 $6৫৮01ত)ট প্র

(৬০ )

“সাধনা”, “উতিহাসিক প্রবন্ধ” *শিক্ষা-সমালোচনা” গ্রন্থাবলী ( ১৯*৭---১১) আর গ্গ্রীটিংস্‌ টু ইয়ং ইও্ডয়া” “নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন” (১৯২৭-__৩২ ) রচনা সমূহের ভিতর আত্মিক পুল শ্বরূপ বিরাজ করিতেছে "শ্ুক্রনীতি*-“পজিটিভ, ব্যাক্গ্রাউ্ড”-"বিশ্বশক্তি” গ্রন্থরাজি (১৯১২--১৯১৪ )। “বর্তমান জগৎ” এবং প্রবাসে লিখিত বাংলা, ইংরেজি অন্তান্য গ্রন্থাবলীর ভিতর এই পুল পার হ্ইয়! যাইবার পরবর্তী অবস্থা ধাপে ধাপে মূর্ি পাইয়াছে “ফিউচারিজম্‌ অব ইয়ং এশিয়া” (যুবক এশিয়ার ভবিব্যনিষ্ঠা, লাইপৎসিগ্‌ ১৯২২) গ্রন্থে এই জীবন-দর্শনের যুক্তিশান্ত্র স্পষ্টরূপে ধরিতে পারা যাঁয়।

প্রাচীন মধ্যযুগে প্রাচ্যে-পাশ্চাত্যে আদর্শগত বা জীবনগত প্রভেদ ছিল না। বর্তমান কালেও নাই অতএব যতদূর দেখা বায়, ভবিষ্যতেও থাকিবে ন।। সুতরাং ইয়োরামেরিকাঁয় বিগত ৬*1৭৫।১*০। ১২৫ বৎসরের ভিতর আর্থিক, রাষ্টিক সামাজিক কর্ম চিন্তাক্ষেত্রে যাহা কিছু ঘটিয়াছে, এশিয়ায়৭ আগামী ৩০1৪৫।৬৫ বৎসরের ভিতর তাহার প্রায় সব কিছুই ঘটিবে। বলা বাহুল্য ভারতেও সেই সব দেখিতে পাইব। এই হইতেছে বিদেশে লিখিত “ইকনমিকৃ ডেহ্বেলপ মেণ্ট” ( আর্থিক ক্রমবিকাশ ) গ্রস্থের (১৯২৬ ) শেষ সিদ্ধান্ত।

আধ্যাত্মিকতার চিন্তায় বা কশ্মে পাশ্চাত্য (খুষ্টিয়ান) নর-নারী প্রাচ্য ( হিন্দু-বৌদ্ধ-মুদলমান ) নরনারীর চেয়ে কোনে দিন খাটে নয়। আবার বৈষয়িকতা'র বা সংসার-নিষ্ঠর চিন্তায় বা কর্মে প্রাচ্য কোনে দিনই পাশ্চাত্যের চেয়ে খাটো ছিল না। উনবিংশ শতাবীতে পাশ্চাত্য ছনিয়। খানিকটা আগাইয়া৷ গিয়ছে। তাহার পিছু পিছু ছুটিয়া তাহাকে পাক্ড়াও করিয়া তাহার সমান হইতে চেষ্টা করাই বিগত ৫*৬*।৭৫ বৎসর ধরিয়। প্রাচ্যের সাধন! দেখা যাইতেছে ইহাই সঙ্ঞানে অজ্ঞানে

( ৬১ )

আরও কিছু কাল পরথ্যস্ত সমগ্র প্রাচ্যের আদর্শ লক্ষ্য থাকিবে। ভারতবর্ষ “সঙ্ঞানে” এই আদর্শ লক্ষ্য অনুসারে চলিতে থাকুক

এই ধরণের ধূয়াই “নয়! বাঙ্গলার গোড়াপত্তন” গ্রন্থের সর্বত্র ছড়াহিয়া রহিয়াছে।

শিল্প-নিষ্ঠায় সাময-সন্থন্ধ

বর্তমান কালে কোন্‌ দেশ কতট। আগাইয় গিয়াছে তাহা ষ্ট্যাটি- স্িকসের আকজোকের সাহায্যে মাপিয়। জুকিয়া আলোচনা কর! বিনয় বাবুর একালের বিজ্ঞান-সেবার অন্ততম বিশেষত্ব “দি ইকুয়েস্তন্স অব কম্প্যারেটিত ইগ্া্ট্রিয়ালিজম* নামক স্ুবৃৎ ইংরেজি গ্রন্থ প্রকাশিত হইতেছে তাহার ভিতর শিল্প-নিষ্ঠার তুলনাসাধন সাম্য-সম্বন্ধ আলোচিত হইয়াছে

ইয়োরামেরিকা ব। পাশ্চাত্য জগতের সকল জনপদই সমান উন্নত নয় | এই সকল জনপদের অনেক অংশই এখনে! প্রাচ্যের বহুসংখ্যক জনপদের সমান অবস্থায় রহিম্নাছে। ইংল্যও, জান্মাণি আমেরিকা এবং বেলজিয়াম, স্থইটসাল ও, ফ্রান্স ইত্যাদি দেশ ভারতবর্ষের চেয়ে যত উন্নত এবং কাল হিসাবে যত অগ্রসর ইতালি, রুশিয়া, স্পেন ইত্যাদি দেশ তত উন্নত বা তত অগ্রসর নয়। বিনয় বাবুর মতে পৃথিবীর নিম্নলিখিত জনপদ মোটের উপরে বর্তমান ভারতের অবস্থায়ই রহিয়াছে £--(১) বন্ধান-চক্র £_-রুমেণিয়া জুগোক্সোভিয়াঃ বুল্গেরিয়া, গ্রীস, তুকী, হাঙ্গারি, চেকোঙ্সোভাকিয়৷ পোল্যাণ্ড। (২) পুর্ব ইয়োরোপ £-_(ক) বাণ্টিক জনপদ (খ) রুশিয়া। (৩) ল্যাটিন আমেরিকা (৪) চীন এবং এশিয়ার অন্যান্ত জনপদ (জাপান বাদে ) ভারতবর্ষের চেয়ে কিছু অবনত পশ্চাদ্‌ বর্তী। ইতালি জাপান,

( ৬২ 9)

ভারতের চেয়ে অল্প মাত্র উন্নত। খানিকটা তাহারই ভাষার গ্রন্থকারের মোঁট। কথা৷ এইরূপ

বৈদেশিক বিজ্ঞানস্পরিবদে সন্ধর্ধন!

“নয়৷ বাঙ্গলার গোড়াপত্তঃ* গ্রন্থের রচয়িতাকে কোনো নির্দিষ্ট এক “বিষ্ভার বেপারী” বিবেচনা করা সম্ভবপর নয়। তিনি বিজ্ঞান-সেবক হিসাবে বিস্ভারাজ্যের বছ শাখা-প্রশাখা গবেষণা করিয়াছেন করিতেছেন। এই সকল গবেধণা দেশবিদেশের উচ্চতম সুধী-পরিষদে এবং পরিষৎ-পত্রিকায় সমাদৃত হইয়াছে তাহাতে বাঙ্গালীর, ভারত- বাসীর এবং এশিয়াবাসীর ইজ্জংও বাড়িয়াছে। বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা আর বিদেশী পব্রিকার় প্রবন্ধ-প্রকাশের সন তারিখ গুল! লক্ষ্য করিলেই বুঝা যাইবে যে, বাস্তবিক পক্ষে বিনয় বাবু অনেক ক্ষেত্রেই পথ- প্রদর্শক এবং কোনো কোনে ক্ষেত্রে আজ পর্য্যস্ত তিনিই একমাত্র বাঙ্গালী, ভারতসস্তান অথবা এশিয়ান

১৯১২ সনে বিলাতের লংম্যানস, কোম্পানী কতৃক লগ্নে তাহার এক বই প্রকাশিত হয়। বিদেশে গ্রন্থ-প্রকাশ বিষয়ে তিনি ভারতের অন্ততম অগ্রণী তখন তাহার বয়স ২৫ বৎসর মাত্র লংম্যান্স্‌ কোম্পানী তাহার লেখা চারখান। বই প্রকাশ করিয়াছেন

১৯১৫---১৬ সনে [তনি রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির নর্থ চায়না ্র্যাঞ্চ কতৃক বক্ত,তার জন্য আহুত হন বক্ত.তাবলী গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইয়াছে পুর্বেই বলা হইয়াছে তিনি এই সোসাইটির আজীবন সভ্য নির্বাচিত হইয়াছেন

১৯১৭ সনে নিউ ইয়র্কের "স্কুল আযাণ্ড সোসাউটি” পত্রে এবং ৯৯১৮ সনে শিকাগে। বিশ্ববিষ্ভালগ্ন হুহতে প্রকাশিত “ইশ্টার্ণ্যাশন্তাল জার্াল অব

৬৩ )

216 87066 56%8.

০7 7091- পু: 28৫8 জী 22518286128,

2০7 1267 ১৫ 636 0৫810121561 পহত 118 পলি ৪:৮1116610. ৫0) (10861718 ৬০% চে ১০১৫০ 9৫84 মাটি ড4ল06118060 উতে চিএ

& ৫9 ঠোট 01757950188 2 ৫1110112147 050তা08 12860 তারা 255৪ ৫০০৫০ 9৮107, লী11101 শিশগ বপ01115 18 5৮097157011 15 851882 হয া0187090 যার 828 হাত22 টিগ১ত। গ্রা। প্রুা৫ £৫ 4 শেল দকিভদিরল টব কস বৈ 1.:1971148 ইসিযা। 201110গা, 1918 71091 2159 16161 (॥011172 ুড়ানত পাটা ০৪৬ 6086 0470 8৮ 811১ 87 51900625906 [ঘা ৪৮881 206 62৫ বু818108৭18 5 0৩: 6৭16% 0477161 ৮1 8৫11207 8৫1 (লো 1191 (0011106167 বোর (লিরাতা? ৮৮ 9 30৮1111185৬ 008 1002 2 116 6০5865861 চশ9যাযাতা! (90170 চি তা চিঠি, ৪" রিল তা ৪2 31160, [28715 7501 মানার খ্যনো। রা পণ চলি 28921, এাডেলন 20110 পাও প্রতি লারা 7 [05 08811668৭61 8৫8 শিশু, 01 01 06 ১৩০: 80.03011 (61100140721 শির জি ১003 617৮ (01106 2641)0041 2 যা 1৮০ 12181811011 টে 066 বা পি চা98০ [3 0০৫১ ৪১ 288৬৩ ৩৮১১ এত ৫১ ৩০৩ 70111101110 7100 01619671৪৮৫ ৫010৮, 7861 আত 7)40855191যালিত 09৫08285050 ৮7০ ৩০৫ কা 1/11105% 8101৮58600 8৮, না

১7172, ভিখারি হাট হি 01 খু এলো 006

80711070511, 1৮ 0 াতি। হটতালে] 017 18000210151 ৫0৭

1157 5 5৫০ হা7৮% চা সরি শত 88118100188।175 ছটা উতাতো ছত০৯০11115, 1801 9/1601601110% 78118801167 801 208110 )5089চ07 2001 0050, 17162ত1 ত1

টি সা6006 চি লি! 350৮৫ ৫ম 8 8 011714 সপ হঠ16718711

97111878180, 18৮111101611 ডেল 1

স্াাা 1060 08:০6 [0 0) ০০001011121 ৪৫ ০১01 1) চাট 5৭ 0০11 00586117710 30011]গ এগ 47 হ001086 55628108691 90118 0 57 210111%1 £11 &রিগো 879 806600. ৪৮৫ 6,

তা 9৮ গং: 0ঠযো £ 0 2০০৭ €011761717161

30011107171 9106 0০ 8৫ 1711675, 1 17৩1 11978

160110208৮1 তে 00011100010071611 হ.৫0£ 9. 881৮ ৩0 1 9০ ঘাট - শি .11০ কুতদ তে ৫৫1)1071067

124 01011160-20118101110 মা 90 ০] ২:৫11066 ৪19 ₹-)10167110 রি হথহাঠোঠি। ঢ00 617 1917 101 ইটা হা? ২0167016%8

নাঃ [হট 6170116110৮

* জীন ॥। $ 71018 (00170) 6011 611017)26

2১০৫ 0৫৮ 27010178107 6৬ হ39115118770110661- 2৫

20471811877 মিলা 1চ116111156 দিলা লট 2 শো 1 80018্1]৮0)0-7786া 871) হী] (চা 17071322010 ঈনিঘি 11 00011 6৫107)৩ দিশা

৪681০0৫10 29116$ এনা 05:54)

11 ৪৫91 058 টৈ৫ 01508106) প্র ১৭ রশ 010 1101 705

10076500615 7) হাল! ২(811810011851011011158 £11 ॥:060160 15136719611 871 038 4১৮ 0৩ পি তহঘহ6৫5ত 6 শা শঞাও 1৯০ 8 আছ ১৭ 0096 6 হাতত 84 শত 1৫ ছে 19131 এটি ৪৮৪৫ হতে 5117 2: শী ড+ এছ

ছি হয 0০810 211 ণ19018 [শ। 81615271086 87710810116 11 0৩ 2৮608818077 ১6৪ 2 চ01-6116, 7525 ৮৭ হার 9104 81316) €চা (21618 ইখী) 65 জলাঃ), ৮0701 প্রত” 26 192 বীজ রা দু” 8080010101086 56001800১86: 061 স্ট11110110767 2)26508161 বিফ ধি লা 2৫1 টা দু শেশুশ 08571579 মা) 01110 অটনাগ +২701178 সৈয ভাতা জা হাতা তশিউ তর উইশ 84: নর [5 ৮৫1 2₹80100 রা [হাত 661ল1১770 80161 তারিন 26016009801 0281510077 ডে 0015 910/21৫5 17 278671 অনা 10161 ভু 194) 66" 1)080187 66288616হ চ017191111 পশু 18111 ঠা 58 হল 59567 ৯৫) 5 1208 ১7 26৭ 6118 065 222 87 ৪7585 8৪

8৫ 8৫11718৫ ১৩৪ £81100674888 /ত18 খু ইশ হয: ৪11৫, 9791 804 পট ৪110৫ মনত শি ভা৪01 ৪8 ভ8151011708189 ৪1 ৯৫ ঠ৩০৫ ০8৫৪ কাতলা! ৪6 চি9১০06৮ 0৮7 81৫ পু যাডি০)1 ১৫00৫ পিস উপ1805 [88.07. 0৮101010862 ত100750-1610847 শ্চা স্প (0 £৫াাকা। টাটা আগতে উ7900068 7 আগা 0৮ তাস 5 016৮ 567৫৮ 59819 08 £1য) ৫7116182716 টি ডেগোজ। 2৩006811801 ৮2015058108 58818, [69 টি 6111861 688 বু 61179 মতা জরে 87061 বসত উহার? 838104088 না08)া বিএস জরা কয সাদাত আও (10৫ শুডিদ। কি 1141 »৮-৮6065 হও 21৮ 08:276৮০ত 21614৫0149৮ চা৩916, 11 চৈ 808816 ইলা শিাশে। (076৮ 16000 তীত ৫6লাটা ১110 স০11।ব1067 1101% 80106110601 পাও হিল হাত 85011811, ছঠো হা পরায় 811) এডিলেতহাতোত0 ০, ঘা: 018 0৫6 €$ 1৮170 805৮৭161৫৫1 26] 31127 020 হি তা ৫6৫ চ2 18 টপ খু9৮1)6 16 লা 18026827868 )07181161787), 0011৭ 11061 10318161820 10111701811 ভিজা

তারা, নে ৮১২০ মা) 21 সি শি ১০ চলা (12৮৮ ওহ 06 উিহদিতালা আংটি ঠুলাট01191" 9 218325704111721618 সৈতে প8৫৮ প্রতট উহ ঠচ18 গা? পয আট 01500) 2106 9207 6৫ পা (টিতে ৪৮৯ বের 01110110000 2টি €171050 061065লাত ০1 আট 0716 0901]7111 188016516706 02071101091 প্রি) 2 হো, 0 608 আহি 01111021127 111 8৮458) 12185 পি ৪007 16? চে 81881 58185 8567888856 68186 বজজচছ দা €ীেতায) 0 08106112161 60181 সৈপা 80৫0 এড [৭ টা 87) 176 7০001 1816) (161 এ৯

গু

সি 117 01 রত ৫0990-187 066৫7 266৫7 ৮৮7 টা বলটি টা সু £া (0011 10271167111 টা

৮1555127 এসিও 5ল ৮0108) পর ১০ 7৪711 হা 70167 হুম ৬৫ 8106 6256 2874 11678. 808 আতকে তে৫৬ 46 01৫ 258881867 11011667. 21 17) ইল” 11 72218011110 (1 চ61771১01 (পগভালো। 079 06111019661 96980278 পেশ টি৫61 01716 50 $৫07

উঠাদ ঢা. 66:11207017767106 24৫৮৪ নিনিংযাঘদিশ ৫৪ 000110650৮1 তা [লহ শি শি

টা ত8তাতা ভা ৮010771116 তি যা ০: হমীণা]। 56097 চ01011 তা 015 টাল £ 8০11 ছে নীচ গীত 0017) 2466 [স্প্" পপ

17101107190 পো 11০ তি ৮. 8011471 | পিপিপি রা টিসি 6 8: র্‌ নিত তি 2 20161 ৫11 গা রি 8088 হা 21৫ 85086 06 ৫৪ 1610807100867 99০68184111

শক প্র ন্প পয 2 08:0150151 7, 14 948 পে পিসি 811)1868

সির [ শত ৮) পি 38/818188 জু শা? তি

প্ুম। £811 তর 83/ 117167 11201761115 স্পা 1৫12 82. 7১ £1011601া) প$ টিত

810৫11811 শা €া116 সা নি... শী 1001 2016 স্পরশ পা স্পশে 816811018 810, ধুর 87007 ৫8 ৫0) ৫181৫

আয 37116 2 18৫01 [681 810/818,161 4] 01121 বি 9০1 ৮৫০718100. 0৫7 08. ০১ ০১৫৮ ৮৮ পিন $1% ৪489৫ [89116160840 110 ১১8 0711 (ঠা 090 1৫01) 89211069118 ৪৫০ 0৫2 রি মি রর রড (608 88118111180” 101600616৫1 $011810, 28:021270178. 17 €৮তা পি পশ টা ০6 (81811110767 পন 2৫৪ 01671 41 রা 19167112161110612117115 81111907187) ৪1 সারা 61101 51811181100 দি ঞঞ্ারিলা আত) 08 809৫8961% 84197716৯৫০ (1 রা

চো1016 রা পর টির 21071 84807 শত ৮৪ তা 10 জা!

৫91 71078 7061161 তত ৪1৪ 081 1 থলি পে

সুদে 1101118 185%961151ঠ00 চদা! 4710 8998

1.ঢ সাও নস 808080081 €7 (01850888

প্র 6410, 861 (81000 0৮

85/4 8 ৮0012817008 888

ভাত ৯৮ 1৮ রিটা 085 10216187606 10062 প্র

1836 0৫5 808৫6৫14 88৮11986150 981 ট৫তা সম চিত

91161 £10)01$ত8 £4/1878০। ১৭

260160665 88৫৪ 01৫) 859৫, 0 হি 218 24$ 2820 ১৮800 চিনি িহৃ কা 2 ১78 নি 734 742 জা

87৮1151482 7868011 ৪1১, 3) 001618077 9 পা 1 ভীতি পেধ১ 451

2 গি ) 3] 1815, ছা পর 08 পু টি পর 11৮ 90৫ 6৪৪1 609 11286 8৮606

3.৫ ৪2টি লে 8১516 9 তত 0160 ডেম মাং ট০% 2866 হ9£ 75 812 8৫080615115) 5600৫7 প্রা 61 84181 (16651087967 85 পা প্রচার ছিল ১৫1] 80 ৬০:2১, 6 06, ৫011 8৫ 01০ 2111 6৪8৫ 06 10 75 418 1101228671৮ 05 1010003 খা 1 957 1 €ট সপ 6৮ 59028 00 69012 ঘটে টাক & 066 ঢা 21018 117) 17381110118 রা গা, 75 টা কপ প৫6 তো] 178 ৪07৫ 8৫ ৭8 পা, চি % হি 25 025০0 রা 0 01 টা রাও 48 ০১2

(৮১৫৫০০৯10৮৬, 14 ১০ পু €. 4৮4

(728

্থার্ণবার্গ হইতে প্রকাশিত “ক্লোক্কিশার কুিয়ার" বৈনিকে অধ্যাপক রুন্ফ, কর্তৃক বিদয়বাবুর অর্থশান্ত্র নম বিজ্ঞান বিষয়ক. রচনাবলীর নমালোচন! (৮ এপ্রিল, ১৯৩১ )।

( ৬৪ )

এখিকৃস-” ভ্রেমীসিকে তীহার রচনা প্রকাশিত হয়। তাহার পর হইতে 'আজ পর্্যস্ত আমেরিকান, ফরাসী, জান্মাণ ইতালিয়ান পত্রিকায় তাহার লেখ ৫৬টা সন্দর্ভ বাহির হইয়াছে ধনবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান আর বাষ্ট- বিজ্ঞান ইত্যাদি বিস্তার ক্ষেত্রে পত্রিকাঁগুল! সর্ধবোচ্চ শ্রেণীর অন্তর্গত।

১৯১৭-_-২০ সনে তিনি আমেরিকার বহু বিশ্ববিদ্ভালয়ে বক্ততা করিয়াছেন

১৯২১ সনে প্যারিসের বিশ্ববিদ্তালয়ে ফরাসী ভাষায় ছয়ট। বক্ত,তা। দেওয়ার কথা পূর্বেই উল্লেখ কর! হইয়াছে তাহা ছাড়া ছুইটা ফরাসী আকাদেমীতে ফরাসী ভাষায় বক্ততা করা আর ফরামী ধনবিজ্ঞান পরিষদ্দের সভ্য নির্বাচিত হুওয়া,এসবও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অত্যুচ্চ সম্ব্ধনা-প্রাপ্তির পরিচায়ক এক জগদীশচন্দ্র ছাড় এরূপ সম্বর্ধনা! ১৯২১ সনের পূর্বে বোধ হয় আর কোনো ভারত-সন্তান পান নাই

১৯২২ সনে বালিনের বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তান্ত পণ্ডিত-পরিষদে তিনি জান্মমাণ ভাষায় বক্ত তা করেন। ১৯৩*-_৩১ সনে তিনি মিউনিকে জার্্মাণ অধ্যাপকদের সমপদস্থ রূপে অধ্যাপন। করিয়াছেন এই শ্রেণীর পদ কোনে। এশিয়ান পূর্ব্বে কখনো জান্ীণিতে পাইয়াছেন কিন! সন্দেহ

১৯৩* সনে তিনি ইতালিয়ান ভাষায় প্রথম বক্ততা করেন, মিলানের বন্ধনি বিশ্ববিদ্যালয়ে

১৯৩১ সনে রোমে অনুষ্ঠিত লোকবল বিষয়ক আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের অর্থনৈতিক শাখায় তিনি অন্যতম সভাপতি ছিলেন। কোনো আন্তজ্জাতিক বিজ্ঞান-সম্মেলনে কোনো ভারতসম্তান ইহার পূর্বে সভাপতি নির্ধাচিত হুইয়াছেন কিন! জানা নাই।

(৬৫ )

বিনয় বাবুর প্রথম ফরাসী লেখা বাহির হয় ১৯২১ সনে, প্রথম জান্মাণ লেখা ১৯২২ সনে, আর প্রথম ইশাপিয়ান লেখা ১৯২৫ সনে

তাহার ইংরেজি, ফরাসী. জাম্মাণ ইতালিয়ান রচনাবলী সম্বন্ধে দেশবিদেশের সব্বোচ্চ শ্রেণীর বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় বহুসংখ্যক স্ুবিস্ৃত সমালোচন। বাহির হইয়াছে নৃতত্ব, ইতিহাস, ধনবিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইত্যা বিদ্যার প্রবীণতম প্রতিনিধির! নিজ নামে এই সঞ্ল সমালোচনা ছাপিয়াছেন। তাহার প্রচারিত সিদ্ধান্তগুল। একালের বিজ্ঞান-জগতে একটা নূতন চিস্তাধারা সৃষ্টি করিয়াঙ্ে। এই সকল কথা জানা থাকিলে বাঙ্গলার উদীপ্পমান লেখক-পবেষকেরা উতন।হের সহিত নিজ নিজ আলোচ্য ক্ষেত্রে অনুসন্ধান চালাইতে প্রবৃত্ত হুইতে পারিবেন বিনয় বাবুর বিজ্ঞান-সাধনা আমাদের অনেকের পক্ষে বথে উদ্দীপন। জোগাতে সমর্থ

বিদেশী গুণগ্রাহীদের মধ্যে নৃতত্ববিং ম্যারেট ' লগ্ন ), ল!ওফার (শিকাগে। ) হাউসহোফার (মিউনিক , সমাজতত্বাবৎ হবছ।উস ( লগ্ন» প্যাট্রক গেডাঁজ ( এডিনবার। ), সরকিন ( হার্ভাড+), স্পান ( ভিয়েন! ), বুগ্লে 'প্যারিস) বার্ন ( নিউ ইয়ক ), অর্থশান্ত্রী মার্শাল (কেন্বিজ), টাওসিগ (হার্ভার্ড), দেলিগৃম্যান ( নিউ ইয়র্ক) ইভ-গীয়ে৷ (প্যারিস ', পাস্তাঁংলঅনি ( রোম), মর্ভীরা (মিলন), শুমাখার (বাঁলিন ), রাষ্ট্রবিজ্ঞানাধ্যাপক বার্কার ( লগুন, অক্সফোর্ড কেন্বিজ ), গার্ণার (ইলিনয়),» হাসহাগেন (বন্‌), ভারততত্ববিৎ য়োলি (হ্বতপবুর্গ ।, হিল্পেব্রা্ট (ব্রেসলাও ), ম্যাকডোনেল ( অক্সফোর্ড গাইগার (মিউনিক), গ্রীক সাহিত্যাধ্যাপক গিলবার্ট মারে ( অক্নফোর্ড ।, ইংরেঞ্জি সাহিত্যাধশাপক আলো! ব্রাগুডল্‌ (বার্লিন ), দার্শানক ভয়ী (নিউইয়র্ক), অয়কেন

( ৬৬ )

(য়েন। , রাসেল (কেস্বিজ , শ্রাঙ্গার ( বালিন ইত্যাদি পণ্ডিতগণের নাম উল্লেখ কর! যাইতে পারে রামেক্দ্রনুন্দর, অক্ষয়চক্দ্র, হরপ্রসাদের বাণী

বিশ বৎসর পুর্বে রানেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী বিনয়বাঁবুর “গ্রতিহাসিক প্রবন্ধ" গ্রন্থের ভূমিক1 লিপিতে যাইয়! নিযস্থ মন্তব্য প্রকাশ করিরাহেন -_

“অদ্ধশত বৎসরের উপর হইল, ই*রেী বিশ্ববিদ্ভালয় এদেশে স্থাপিত হইয়াছে ...কিন্ত এই ইতিহাস বিদ্যার প্রতি শ্রদ্ধা কখনও আমাদের মধ্যে আসে নাই |...

স্বদেশের বিদেশ্র অতীত কথা আলোচন1 করিয়া! তাহা হইতে শিক্ষা লাভের চেষ্টা দেখি না। এদেশে শিক্ষিত ক্তিকে এজন্য ব্যাকুল হইতে দেখিয়াঠি বলিয়। মনে হয় না। কেবল একটী উদাহরণ মনে পড়ে, সে শ্বর্গগত ভূদেব মু'খাপাধ্যায় ।.-*বাঙ্গালা দেশে একটী ভূদেব বই জন্মিল না। হায় বাঙগল! দেশ ! |

.*-ভ্রীমান্‌ বিনয় কুমার সরকার উৎসাহশীল অধ্যবসারশীল যুব! ই'হার অন্তরে আকাঙ্খা আছে, ভাবপ্রবণ হৃদয়ে অন্নরাগ আঁছে। এই তরুণ বয়সে ইহার উদ্ভমের পরিচয় পাইয়া আশার সঞ্চার হনব ইনি হ্বদেশের 1বদেশের অতীত কথা আলোচনা করিয়াছেন» সেই তুলনামূলক আলোচায় ষে উপদেশ পাওয়া যায তাহার অর্জনে উদ্যম করিতেছেন ।”

ফান্তন, ১৩১৮)

সেই সময়েই বিনয় বাবুর “সাধন!” গ্রন্থের ভূমিকার অক্ষয়চজ সরকার লিখিয়াছেন 2 _

«এই গ্রন্থ একটি বিরাট সাধনা ** এমন গুরুতর বিষয়ে এমন সর্ধজনের প্রয়োজনীয় বিষয়ে এমন আড়ম্বরশৃন্তা অলঙ্কারশূহ্য নিরেট ভাষায় এত কথার আলোচনা, বোধ হয় বাঙ্গালায় আর নাই।

( ৬৭ )

“বান বস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বদ্ধ বিচারে" নাই, “অনুশীলনতদ্বে' ন।ই, পিক্তিযোগে নাই, বোধ করি আর কোথাও নাই” (১৩ আবণ ১৩১৯ )।

বঙ্গ'য় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক অনুষ্ঠিত বিনয়কুমার-সন্বর্দনার উপলক্ষো (১৯২৭ ) মহামহোপাধ্যার হরপ্রসাদ শান্্ীও রামেন্ত্র সুন্দর আর অক্ষয় চন্দ্রের বাণী উদ্ধৃত করিয়াছেন। বাংলা সাহিত্যে বাঙ্গালী সমাজে বিনয়বাবুর স্থান সম্বন্ধে হরপ্রসাদ যাহা বলিয়াছেন হা দেশবাসীর অনেকেরই অন্তরের কথা ( পরিশিষ্ট দ্রষ্টব্য )।

“নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন” সম্বন্ধে আমরা শুধু এইটুকু বলিতে চাই যে, রামমোহনের “নয়! বাঙ্গলা"র পর বিদ্ভাসাগর-মধুক্পন-বঙ্কিম-ভূদেবের নয়া বাঙ্গলা গড়িয়া উঠিয়াছিল। একালে বিবেকানন্দ রামেন্ত্রসুন্দর সেই ভিত্তির উপর যে “নঘ। বাঙ্গল।” গড়িতেছিলেন বর্তনান গ্রন্থকারের “নয়। বাঙ্গলা” বাঙ্গালীর জীবন-ধারায় তাহারও পরবন্তী ধাপের ইঙ্গিত প্রদান করিতেছে।

বিনয়বাবুর সঙ্গে আমাদের প্রকাশ-্ভবনের একটা ব্যক্তিগত সম্বন্ধ? আছে। সেই শ্বদেশীর যুগে আমরা যখন বইগ্নের তোকান খুলিতে অগ্রসর হই তখন তাহাকে আমাদের অন্তরঙ্গ বন্ধুবর্গের অন্যতমরূপে পাইয়াছিল।ম আজ বিশ বাইশ বৎসর পরে তাহার লেখা “নয় বাঙ্গল।র গোড়া পন্ন* আমাদের তদবিরেই বাহির হইল এই জন্য আনন্দ বোধ করিতেছি।

কলিকাতা) ১*ই মে, ১৯৩২

সম্ন। শাজুলাম্ব 6গ্গাড্ডা-স্ভন্

নবীন ছুনিয়ার সূত্রপাত * দুনিয়ার মাপে ভারত

পশ্চিমা সমাজ সভ্যতার সঙ্গে পূরবী সমজ মভ্যতার তুলন। সাধন করা৷ দেশী-বিদেশী সকল চিস্তাশীগ লোকেরই দর্শন-আলোচনার অন্ততম অঙ্গ। কিন্তু তুলগার় সমালোচন। চালাইতে হইলে যে মাপকাঠি দরকার হয়, সেই মাপকাঠি লইয়া প্রান মকল লেখক এবং বক্তাই গোলে পড়িয়া থাকেন.

পশ্চিমের ভাবুক মহল একট রব উতিয়াছে বে, পাশ্চাত্য সভ্যতা পঞ্চত্ব পাইতে বসিদাছে। এই রব শুনা যা প্রধানতঃ সোশ্ঠালিষ্ বা কমিউনি্ কিন্বা এই সকল শ্রেণ-থেশী সমাজ-সংস্কররকের মহলে মহলে। এই স্থত্রে বূশ-পর্ডিত ক্রোপছঁকন এবং ফরাসী স!হিত্যবার মম বণ 1 ইত্যাদির নাম ভারতে স্থপরিচিত।

আমাদের দেশেও পশ্চিমা ভাবুকদের এই মভটা বেশ চলিতেছে বিগত মহা লড়ইয়ের সনয় বোধ হয় ভারতের লেখক এবং বশুশরা এই সম্বন্ধে আর কোনে। সনদেহই রাখেন নাই। আমাদের সাহিত্যসেবী,

* বেঙ্গল টেক্নিক্যাল ইনৃষ্টিটিউটের ছাত্রবৃন্দ করুক অনুষ্ঠিত ( ১৬ ডিসেম্বর ১৯২৫) নধদ্ধনার উত্তরে প্রদত্ত বন্ত ভার দারমন্ম। গরিশ্ জ্টব্য।

নয়া বাঙলার গোড়া-পত্তন

দি কমি তাস স্ি্ির্স্ি প্ শর সরি রি এলি লো বত

সাংবাদিক, দর্শনাধ্যাপকঃ বাস্রিক, সমাজ-সমালোচক, ধধ্মপ্রচারক, সকল আসরেই পশ্চিমের পঞ্চত্ব-প্রাপ্তি এক প্রকার প্রথম শ্বতঃসিদ্ধবূপে শ্বীকৃত হুইয়। গিয়াছিল।

পাশ্চাত্য সভ্যতাকে, পশ্চিমের আদর্শকে এবং ইয়োরামেরিকার সমাজকে কেওড়াতলায় পাঠাইয়াই ভারতীয় দার্শনিক-বৈজ্ঞানিক- পণ্ডিতের নিজ নিজ আলোচনা খতম করেন না। সঙ্গে সঙ্গে ছনিরার বাজারে বাজারে প্রাচ্যকে, পুরবী “আদর্শকে, এশিয়ার সভ্যতাকে একচ্ছত্র রাজত্ব ভোগের দলিল দেওয়াও আমাদের অন্রুসন্ধান-গবেধণার একট] বিশিষ্ট লক্ষণ। এশিয়া ছুনিয়াকে চালাইবে,_ আর এশিয়ার ব্রাহ্মণ যে ভারতসম্তান সেই ভারতসস্তানই বিশ্ববাসীকে মাস্ছষ করিয়া তুলিবার ভার পাইতেছি, এইরূপ চিন্তাপ্রণালী ভারতীয় নরনারীর ঘাটিতে ঘাটিতে যাঁরপর নাই প্রবল আকারে দেখা যায়।

কিন্ত কি পশ্চিমা সভ্যতা-সংস্কারকের কর্্পনিষ্ঠ আদর্শবাদ ভাবুকতা, কি ভারতীয় সভ্যতার দাবী-প্রচারকের আঁকাশকুন্গম-কল্পনা, --উভয়েরই পশ্চাতে একট! বিপুল গোঁজামিল হযবরল বিরাজ করিতেছে এই গোঁজামিল হযবরল”র দরুণ পশ্চিমা আদর্শবাদীদের বেশী কিছু ক্ষতি বুদ্ধি হয় না। কেননা,_-সংস্কারকের চাবুক খাইয়া খাইয়া ইয়োরাঁমেরিকার নরনারীর1 সর্বদা সজাগভাবে নিজ নিজ সমাজ, রাষ্ট্র, আধিক ব্যবস্থা ধর্মকর্ম শুধরাইয়া লইতে বদ্ধপরিকর কিন্তু ভারতে আমরা পশ্চিমের নিন্দা, ছুর্ণতি এবং তথাকথিত সর্বনাশের সংবাদ প্রচার করিয়। অতি মাত্রার আলম্ত এবং নিশ্চে্টতার প্রশ্রয় দিতেছি মাত্র। “ছোট মুখে বড় কথা” যে বস্ত আজকালকার ভারতসন্তানের পক্ষে বিশ্ববাসীর উপর গুরুগিরি চালাইবার কথা! আলোচন৷ কর! তাহার চেয়েও খারাপ কিছু যুবক ভারতের চিন্তা কর্দ্মকে একদম জাহান্নমে

পে তা পাটি লি কিস পো তিক তিলক সশিস্ লঁ ছল লী লি পা ছি লাস পসকাশা্ঠ শী সি পিসি ছি রশি এলি শখ বাধ পা লী পিষ্ট লহ লিরিক ৩৭

নবীন ছুনিয়ার সৃত্রপাত

পাঠাইতে ধাহারা চান, একমাত্র তাহাদের পক্ষেই পশ্চিমা সভ্যতা আদর্শের গঙ্গাধাত্র। প্রচার করা শোভা পায় কোনো কোনো পশ্চিমা আদশবাদী পশ্চিমের নিন্দা প্রচার করিয়াছেন। তীহাদের কথাগুলি পূরবী আমর! বিনা বিচারে বেদ- বাক্যের মতন গিলিয়া ফেলিব কেন? সভ্যতার প্রত্যেক ধাপে, ধুগে আর স্তরেই স্থ-কু ছুইই থাকে। কাজেই প্রত্যেক অবস্থায়ই সমাজ- স্কারকেরা কু”র অখ্যাতি রটাইতে বাধ্য, এবং তাহার ঠাইয়ে নতুন কিছু কায়েম করিবার জগ্ত উঠিয়া! পড়িয়া লাগ! তাহাদের পক্ষে স্বাভাবিক পশ্চিমের পরিবার, পশ্চিমের সামাজিক লেন-দেন, পশ্চিমের দেশ-শাসন, পশ্চিমের মজুর-কিষাণ আজ যে অবস্থায় আসিয়! ঈীড়াইয়াছে, সেই অবস্থায় সেখানকার ঘরে-বাইরে নানা অসম্পূর্ণতা থাকিতে পারে, এবং আছেও নিশ্চয় পশ্চিমের শ্বদেশ-সেবকেরা নিজ নিজ দেশোন্নতির জন্য চৌপর দিনরাত নয়া নয়। মে।সাবিদা' করিবে ইহাতে আশ্র্য্যের কি আছে? কিন্তু পশ্চিমে আজ ১৯২৫ সনে যে-যে গলদ দেখ দিয়াছে তাহার বরুদ্ধে পশ্চিমাদের নালিশগুলা শ্বাভাবিক বলিয়! কি প্রাচ্যের নরনারীও _আহাম্থুকের মতন বুঝিয়া-না-বুঝিয়া,-পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রাচ্যের বর্তমান “কোঠ” হইতে এই সকল তিরস্কার বেম।লুম চালাইতে অধিকারী ? বদি কোনে পশ্চিম দার্শনিক কে।নো পুরবীকে পশ্চিমের উপর গালি- গালাজ করিবার এইরূপ অধিকার দিয়! বসেন, তাহ! হইলে বুঝিতে হইবে যে, দার্শনিক মহাশয় তুলনামূলক সমালোচনার মাপকাঠি সম্বন্ধে আনাঁড়ি। আধুনিক পশ্চিমের সভ্যতা, জীবনধাত্রা-প্রণালী এবং আধ্যাত্মিক ধরণ- ধারণ, আজকালকার গ্রাচ্যসমাজ, আদর্শ আধ্যাত্মিকতার অনেক ধাপ উপরে অবস্থিত,--এই কথাটা তাহার অজানা, অথবা জানা থাকিলেও

নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন

তাহার জ্ঞান এই সম্বন্ধে নেহাৎ অস্পষ্ট ধোয়াটে। কাজেই তাহার চিন্তাপ্রণালীতে গণ্ডগোল অথব। হেয়ালিময় ভাবুকতাপুর্ণ বস্তনিষ্ঠাহীন মিথ্যারাশি প্রবেশ করিয়াছে পশ্চিমা মিথ্যার উপর ভর করিয়া ভ।রতীয়েরা গ্লোজ।মিলে-ভরা অসংখ্য বুজরুকি চালাইতেছেন মোটের উপর, ছুনিয়ার চিন্তাক্ষেত্রে একটা গোলক-ধ ধার চক্রান্ত চলিতেছে

ধর] যাউক যেন, আমি পাঠশালায় ভন্তি হইয়! ছু-ছুগুণে চার, চার- ছুগুণে আট ইত্যাদি মুখস্থ করিতে করিতে হয়রাণ হইয়! পড়িলাম,। তাহার পর আর অগ্রসর হইতে পারিলাম না। কিন্তু এটুকু দখল করিতে করিতেই “ইচড়ে পাকা” হুইয়া বসিলাম। আর আমার মুখে “বাণী” বাহির হুইল,--“আঃ ! দুনিয়া কি অনন্ত ! জ্ঞান-বিজ্ঞান কি অসীম! জগতের কিনারা পাও! কি মুখের কথ ?” ইত্যাদি ইত্যাদি

এই “অসীম”-তত্ব প্রচার করিয়া আমি হয়ত একটা প্রকাণ্ড সত্যই প্রচার করিলাম সন্দেহ নাই সঙ্গে সঙ্কে হয়ত খানিকট] নিজের নম্রতা! এবং জ্ঞানে মৌনং”ই বা জাহির করা হুইল কিন্তু নিউটন যখন নিজকে জ্ঞান-সমুদ্রের কিনারার মাত্র অবস্থিত দেখে, আর অপীমের ইঙ্গিত করে, সেই বিনয় কি আমার শট্কে মুখস্থ করার পর অনাগ্স্ত দুনিয়ার অসামতা প্রচারের সমান? অথবা আইনষ্টাইন আজ গণিত আর পদার্থ-বিজ্ঞানের যে কোঠার দীড়াইয়া বলিতেছেন যে, “ছুনিয়ার সীমানা! এখনে। চোখে ঠেকিতেছে না, চিন্তাও কল্পন। করিতে পারিতেছি না* সেই কোঠার অসীম-তত্ব আর নিউটনের অসাম-তত্ব কি একহ বস্ত ? না, আমার ছু-ছুগুণে চার, চার-ছুগুণে আট ইত্যাদির দৌড় আর আইনষ্টাইনের আক কষা একই আখড়ার মাল? নিউটনের অসম্পূর্তা দেখাইতেছেন কোনে। কোনো পশ্চিমা সুধী আবার কেহ কেহ ব। . আইনষ্টাইনেরও গলদ বাহির করিতে লাগিয়া! গিয়াছেন। কিন্তু তাহ।

নবীন দুনিয়ার সূত্রপাত

ছএসিউএল বা পবন পপ এপ সপ সপ স্ি স৯৯ স্টপ ্উস পাআ লপা পা হর জপ জপ চি প্র রি উজানসউিআিাটি

বলিয়! নিউটন আইনষ্টাইনের গলদ দেখাইন্লা ইয়োরামেরিকার দোষ, দুর্গতি সর্বনাশ দেখাইতে বসা আধ্যভট-ভাক্ষরাচার্য্যের মুখে সাজে কি? অথচ আজকালকার দেশী-বিদেশী দার্শনিক-বৈজ্ঞানিক-পণ্ডিতেরা ঠিক এই অশোভন কাজই করিতেছেন

সভ্যতা জরীপ করিবার মাপকাঠিটা লইয়াই যত আপদ। পণ্ডিত মহলে সাধারণতঃ এই সম্বন্ধে কোনো বাস্তব যন্ত্র চোখের স্ুখে রাখা হয় না। প্রায় সর্বত্রই কতকগুল1 বিশেষ্য বিশেষণ অভিধান হইতে বাছিয়। বাছিয়া যেখানে-সেখানে আওড়াইয়া যাওয়া দেশী-বিদেশী উভয় জাতীয় সমালোচকেরই দস্তর। তাহার জোরে পাশ্চাত্য সমাজকে যেন তেন প্রকারেণ সয়তানের নরককু্ সপ্রমাণ করিতে পারিলেই ভারতীয় ম্বব্দশ-সেবকেরা খুসী হন। পশ্চিমা সভ্যতার ভিতর নিরেট মাল কিছুই নাই অথবা থাঁকিলেও তাহা! ধর্তব্যের মধ্যেই গণ্য নয়; কাছেই ইঞজেরামেরিকাঁর দিন ফুরাইয়। আসিতেছে অথব1! এমন কি উহা ইতিমধোই সভ্যতা-লীলা! সংবরণ করিয়াছে,_এইন্ধপ কল্পন। করিয়। আমাদের দর্শনাভিমানী বক্তা, কবি, রাঙ্ঈবীর, সমাজ-সংস্ক'রক ইত্যাদি শ্রেণীর অনেকেই ঘরের দরজা! বন্ধ করিয়া গৌপে চাড়া যারিতে অন্যন্ত

পাশ্চাত্য সভ্যত1 মরিয়াছে বা মরিতেছে কি? অতি শীঘ্রই বা এই সভ্যতার মরিবার সম্ভ।বনাী,আছে কি? সভ্যতার চিকিৎসকদের পক্ষে এই বিষয়ে জবাব দেওয়া নেহাৎ কঠিন নয়। জীবনবন্ত মাপিয়! জুকিয়। আলোচনা! করা সম্ভব। তাহার জন্ত বাস্তব যন্ত্র কায়েম করাও সম্ভব। যখন তখন যেখানে সেখানে বুজক্ুকি ব! হেয়া'লিপূর্ণ তথ্যহীন শবের আড়ম্বর চালাইবার দরকার নাই। ইয়োরামেরিকা এশিপার গুরু, কি এশিয়া ইয়োরামেরিকার গুরু, এই কথাট1 অতি সহজেই সোজা চোখে,

ঙ৬ নয়া বাঙগলার গোড়া-পত্তন

রক্তমাংসের হাত-পাঁর প্রমাণের সাহায্যে বুঝিয়া উঠিতে গলদ্ঘর্্ম হইতে হইবে না।

১৯১৪-১৮ সনের লড়াইয়ের আওতায় ভাবুকেরা ভাবিতেছিলেন, “বার বার এইবার। ইয়োরামেরিকার সভ্যতাকে বাচাইবার আর কোনে? উপায় নাই। পাশ্চাত্য নরনারী যাত্রায় মরিবেই মরিবে 1৮ কিন্তু ১৯১৯-২ সনের পুনর্গঠনে ইয়োরামেরিকার অবস্থা কিরূপ দেখিতেছি ? পাশ্চাত্য সভ্যতা এক অপূর্ধ্ব নবযৌবনের পরশে চাঙ্গা হইয়া উঠিয়াছে। তাহার ফলে যে নবীন জীবন-যাত্রার স্ত্রপাত হইতেছে, তাহ।কে এক বিরাট যুগান্তরের প্রাথমিক ভিত্তি মাত্র বিবেচনা! করিতে প্রবৃত্তি হইতেছে তাহার তুলনায় উনবিংশ শতাবীর পাশ্চাত্য অনুষ্ঠান-প্রত্িষ্টান সবই ছেলেখেলা ছাড়া আর কিছু নয়। ইয়োরামেরিকার মান্ধষ বিংশ শতাব্দীর বিশ্ববাসীকে এক অভিনব ছুনিয়! উপহার দিবার ক্ষমতা দেখাইতেছে। তাহাদের জ্যান্ত হাীঁত-পার জোরে এই যে নবীন জগৎ গড়িয়া উঠিতেছে তাহার আধ্যাত্মিক] বুঝিবার পধ্যস্ত ক্ষমতা আজকালকার এশিয়াবাসীর আছে কিন। সন্দেহ বর্তমানের ভারতীয় মগজের পক্ষে ১৯১৯-২* সনের ইয়োর/মেরিকান জীবনবত্তা সমঝিয়া উঠ] বড় সহজ কথা নয়।

বাড়তির পথে ছুনিয়!

দফায় দফায় খু'টিয়! খু'টিয়া এই আধ্যাত্বিরুতার, এই নবীন জীবন- বন্তার কয়েকট। বাস্তব লক্ষণ দেখাইতেছি। মামুলি চোখ কানের, সাহায্যেই মালুম হইবে যে সতাসত্যই ইয়োরামেরিকা মরে নাই। বরং ইয়োরামেরিকাই গোটা ছুনিয়াকে বীচাইয়া রাখিয়৷ জগদ্‌বাসীর জীবন- স্পন্দন বাড়াইয়৷ তৃলিবার নানা কৌশল আবিষ্কার করিয়াছে আর এই সকল আবিষ্কারে এশিয়ার নরনারী শ্বাধীনভাবে হিন্তা লইবার অধিকারী

নবীন ছুনিয়ার সূত্রপাত

হইতে পারিলেই তাহারাও “বাপের বেট?” বলিয়৷ পরিচিত হইবার দাবী চালাইতে সমর্থ হইবে।

১৮৭* সনের সমসমকালে ইয়োরামেরিকার সর্বত্র এবং জাপানেও সার্বজনীন শিক্ষার ব্যবস্থাকে অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক করা! হয় সেই আইন ভারতে আজ ১৯২৫ সনেও ষোলকলায় কায়েম হয় নাই। মাত্র কোনে কোনো নগরের কোনো কোনে মহাল্লায় নিধনদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষাপ্রদানের ব্যবস্থা হইতে পারিবে, এইরূপ আইন জারি হইয়াছে। কিন্ত এই আইন-মাফিক কাঁজ এখনে! বেশীদূর অগ্রসর হয় নাই

১৯১৯-২০ সনের ইয়োরামেরিকা এই কর্মক্ষেত্রে কতদূর উঠিযাছে ? ুর্বববন্ডী ৪০৫৭ বৎসর ধরিয়া আইনট! খাটিত মাত্র চোদ্দ বৎসর বয়সের বালক-বালিকার্দের জীবনবাত্রা সম্বন্ধে কিন্তু বিগত সাত বৎসর ধরিয়া ইয়োরোপের কোনো কোনে! দেশে আঠার বৎসর পধ্যস্ত বয়সের প্রত্যেক তরুণ-তরুণী এই বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষা-পদ্ধতির অধীন হইয়া পড়িয়াছে।

আঠার বৎসর বয়স,--এই বস্ত্র অর্থ কি? সেকালে আমরা এই বয়সে কলিকাতা বিশ্ববিদ্ভালয়ের বি. এ. পাশ করিতে পারিতাম। আজকালকার নিয়মে অন্ততঃ পক্ষে ইন্টারমীভিয়েট পাশ করা সম্ভব। বুঝিতে হইবে ঘে, ১৯১৯-২০ সনের আইন অনুসারে পশ্চিমের অগ্রগামী দেশে আঠার বৎসর বয়স্ক প্রত্যেক লোকই ভারতীয় মাপের ইন্ট।বষীডিয়েট বাঁ বি এ» বি. এস্‌-সি- উপাধিধারীর সমান হইতে চলিল। ঝাড় দার, ভিন্তী, মুটে, কেহই আর ত্র সকল সমাজে ইন্টামীডিয়েটের কম বিদ্কাওয়ালা লোক থাকিতে পারিবে না। ব্যাঙ্ক, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি সকল কর্ম্নকেন্্রই আঠার বৎসর পধ্যস্ত বয়সের প্রত্যেক কর্মচারী মজজুরকে বিন। পয়সায় শিক্ষা প্রদান করিতে বাধ্য।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন

পাশ্চাত্য সভ্যত। মরিতে বসিয়াছে কি? এই সভ্যতার আবহাওয়ায় যে সকল নরনারী চলা ফেরা করিতেছে, তাহাদের সঙ্গে ভরতীয় নরনারী টক্কর দিতে পারিবে কি? আর তাহাদের শিক্ষা-প্রণালীতে ছ"চার দশট। দোষ যর্দি থাকেই, তাহা! হইলে সে সব লইপ্/ আমরা ভারতে ইয়োরা- মেরিকার কুৎসা রটাইতে ঝুঁকিয়াছি কিসের জোরে? *“স পাপিষ্ঠ স্ততোইধিকঃ”* সেই লোকগুল। নয় কি, যাহার! রান্তায় রাস্তায় বলিয়া বেড়াইতেছে £-ইয়োরামেরিকা মরিয়াছে এইবার ছুনিঘায় গুরুগিৰি করিবে ভারতের নরনারী ?” যে জাতের অভিজ্ঞতায় এবং জীবনবাত্রায় ১৮৭৬ স্নই এখনো আসে নাই, সে জাত ১৯২৫ সনের ছুনিয়ার উপর ওস্তাঁদি চালে সমালোচক সাজিতে অগ্রসর হয় কোন্‌ সাহসে ?

জীবনবন্তার জরীপ করা যাউক আর এক দ্দিক হইতে ইগ্সোরা- মেরিকাঁর ইঙ্কুল-কলেজের অধ্যাপকের নিজ নিজ বিগ্যার ক্ষেত্রে অন্ষসন্ধান-গবেষণা ইত্যাদি চালাইয়। থাকেন। একথ1] আমাদের অজানা নাই। বিদ্যার সীমান। বাড়াইবার আয়োজন সকল দেশে দিন দিন বাড়িয়া গিরাছে। তাহার প্রভাবে একমাত্র পাশ্চাত্য নরনাদীর জীবনই ব্দলাইয়। যাইতেছে এমন নয়। এশিয়ায় আমরাও পশ্চিমী আবিষ্কারের আওতায় পড়িয়া নান! উপায়ে জীবনীশক্তি বাড়াইয়া তুলিতে অভ্যস্ত হইয়াছি।

১৯১৯-২০ সনের যুগে পশ্চিমা লোকের। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চৌহদ্দি বাড়াইয়া দ্বার জন্য তুমুল আন্দোলন হ্থরু করিয়াছে ছজন চারজন বা দশবিশজন নামজাদা করিৎকর্ম্মা বিজ্ঞান-বীরের স্বাধীন খেয়ালের উপর ইয়োরামেরিকার আবিষ্কার-শক্তি আর নির্ভর করিতেছে না। ইস্কুল- কলেজে এই সকল অনুসন্ধান-কার্য্যে সাহায্য করিবার জন্ত কর্তৃপক্ষের তরফ হইতে বহুবিধ স্থযোগ স্থষ্ট করা হইয়াছে জাম্মীণি, ফ্রান্স, ইংল্যাণ্,

নবীন হুনিয়ার সূত্রপাত

এসসি

আমেরিক1 ইত্যাদি মুন্ুকে গবেষণাঁঁভবন, অন্ুসন্ধানালয়, পরীক্ষা -গৃহ, রিসার্চ -ইন্ট্রিটিউট্‌ ইত্যাদি নামের জ্ঞান-বিজ্ঞান-কেন্ত্র বিপুল আকারে মাথা তুলিতেছে। এইগুলির কোনো কোনোটা ঠিক যেন এক একট। স্বতন্ত্র বিশ্ববিষ্ভালয়ের মুর্তি গ্রহণ করিতেছে কয়লা, বিহ্যুৎ, গ্যাস, চামড়া, চিনি, কাঁচ, দুধ, তুলা, রেশম ইত্যাদি প্রত্যেক বস্ত লইয়াই অতি উচু দরের ল্যাবরেটরি, কর্ধুশীল! ব৷ পরীক্ষা-কেন্দ্র গড়িরা উঠিয়াছে। আর এই সমুদযের তদারক করিবার জন্ত ডজন ডজন পাক মাথ! চব্বিশ ঘণ্টা মোতায়েম আছে

এসব পয়সার খেলা সন্দেহ নাই। ক্রের ক্রোর টাকা পশ্চিম! নরনারী এই সকল রিস/্চ, ইন্ষ্টিটিউটে ঢাঁলিতেছে। এই সমুদয়ের সাহায্যে ভ্রনিঘায় বিজ্ঞানের উন্নতি দেখা যাইতেছে, দেশে দেশে আর্থক উন্নতিও ঘটিতেছে। লোকের! চোখ কান খু!লন্না সতেজে সজাগ ভাবে চলা ফের! করিতেছে জগৎখানাকে লইয়1 ভাঙা-গড়ার আনন্দ উপভোগ করা পশ্চিমা সমাজের অলিতে গলিতে দেখিতে পাইতেছি। বিস্তার জোরে “অমৃত” চাখা! দি কবি-কল্পনা মাত্র না হয় তাহা হইলে ১৯১৯-২০ সনের পুনর্গঠিত ইয়োরামেরিক1 যে নবীন অনৃতের সন্ধানে রণ-যাস্রা করিরাছে সেই অমুতের নিকট পুর্বববন্তা শত বৎসরের অমৃত নেহাঁৎ “পান্না” বা “ফিকে কিন্বা “ছ্ুধের বদলে ঘে।ল” মাজ্জ বিবেচিত হইবে সেই নয়! অমুতের আর আধ্যাত্মিক জীবনীশক্তির আন্দাজ পর্যস্ত কর! আজকালকার যুবক-ভারতের পক্ষে অতিযাত্র/য় কঠিন বলিলেও কিছু নরম করিয়া বল! হইবে! যুবক-ভারতও জ্ঞান-বিজ্ঞানের সীমান! বাড়াইবার আন্দোলনে কিছু কিছু হিন্তা লইতে স্ুক্ু করিয়াছে একথা অস্বীকার করিবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু এই হিসাবে ১৯২৫ সনের দুনিয়ায় আমর! মোটের উপর ১৮৫০ সনের অবস্থার আছি কি ১৮৭০-৮৫

১৩ রা 2 গোড়া-পত্তন

রসি রি পনি পিপি সি ৩০৯৯ লিপি

সনের পূর্ববন্তী কোন, যুগে রহিয়াছি, তাহা অনুসন্ধান করিম দেখিবার বিষয়।

ইয়োরামেরিকার মরিবার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে না। আবার আর এক দফায় জীবনবত্তা জরীপ করিবার জন্ত বাস্তব যন্ত্র ব্যবহার করিতেছি। শিল্প-কারথানার পরিচালনা সম্বন্ধে ১৯১৯-২* সনের পশ্চিম এক জবর আইন কায়েম করিয়াছে আইনটা সুরু হয় অস্্রীয়ায়, ক্রমশঃ ইহার ধারাগুল] চেকোক্সোভোকিয়! হইতে আটলা্টিকের অপর পার পথ্যস্ত নানা দেশে অল্পবিস্তর ছড়াইয়। পড়িয়াছে।

আইনটা এই যে-যে ফ্যাক্টরিতে অন্ততঃ বিশজন মজুর,»--কেরাণী কুলী,__কাজ করে, সেই সকল ফ্যাক্টরীতে এই সকল মজুর-কেরাণী- কুলীর নির্দি্টসংখ্যক প্রতিনিধি ফ্যাক্টরির প্রত্যেক কাজকর্থে মালিক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক আসনে বসিয়া বাদান্ছবাদ, তর্কপ্রশ্ন এবং মোসাবিদা চালাইতে অধিকারী অর্থাৎ একমাত্র ধনজীবী শিল্প-পতি অথবা মন্তিষষভীবী এঞ্জিনিরার, রাসায়নিক এবং ব্যাঙ্কার মহাশয়েরাই ১৯১৯ সনের পুনর্গঠিত ইয়োরামেরিকায় সমাজের হর্তা কর্তী বিধাতা নয়। শ্রমজীবী এবং মসীভীবীরাও নিজ নিজ চৌহুদ্দিতে দেশের আথিক ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত করিবার একৃতিয়ার পাইয়াছে।

এই তথ্যট? যুবক-ভারত বুঝিতে পারিবে কি? সহজে নয়। কেননা, মাত্র এই বৎসরের প্রথম দিকে ভারতে পট্রেড, ইউনিয়ন আযাকৃট৮ জারি হইয়াছে এই আইন বিলাতে আজ প্প্রায়' পঞ্চাশ বৎসরের পুরোণো চিজ.। আর ভারতীয় ট্রেডইউনিয়ন্‌ আ্যাক্ট্‌্টা (১৯২৫) এমন কিছু হাতী ঘোড়াও নয়। মজুরের নিজ নিজ কন্মক্ষেত্রে সঙ্ঘবদ্ধ হইতে পারিবে, আর সঙ্ঘবদ্ধ হইয়! সামাজিক আধিক স্বার্থ পুষ্ট করিতে সমর্থ হইবে। এই সকল অ, ক, ছাড়া আর বেশী কিছু এই আইনের

নবীন ছুনিয়ার সূত্রপাত ১১

বিধানে নাই। পাশ্চাত্য নরনারী আজ যে ধরণের গভীর স্ুবিষ্তৃত “আর্থিক শ্বরাজ” ভোগ করিতে চলিল, তাহ আমাদের বর্তমণন অবস্থায় স্বপ্নেরও অতীত

এই *আর্থিক শ্বরাজণ্টাকে এখনো খাটি বোলশেছিবক স্বর'জ বলিবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু মামুলি সোশ্টালিজম্ই একশ+ বৎসর টোল. খাইতে খাইতে এই অবস্থায় আসিয়া ঠেকিয়াছে। তাহ! ছাড়া খাঁটি প্রাস্ট্রীয় শ্বরাজের” রঙও সোশ্তালিষ্দের প্রভাকে ইয়োরামেরিকার সর্বত্রই বদলাইয় গিয়াছে “মজুর-রাজ” অথব! মজুর- ঘেষ৷ রাষ্ট্রীয় দলের কর্তৃত্ব পশ্চিমা মুন্লুকের সর্বত্রই আজকাল এক প্রকার প্রথম শ্বতঃসিদ্ধে দাড়ায় যাহতেছে। ভারতে এখনে খাটি মজুর খ্য। হিসাবে সমাজে বিশেষ পুরুও নয়, আর প্রভাবেও কিছু প্রবল নয়। অধিকন্ত মজুরের রাষ্ট্রীর দল অথবা মজুর-পক্মীয় মস্তিক্কজীবীর দল এখনো পরিষ্কাররূপে দানা বাধে নাই তবে বোধ হয় দান] বাধ” বাধ, হইয়াছে কাজেই সোশ্তালিজমের দিগ.বিজয়ের যুগে যুবক-ভাবরতের দৌড় কতটুকু তাহ সহজেই অনুমেয় পশ্চিমাদের শ্বরাজ কোথায় গিয়া ঠেকিতেছে, তাহা কোনে! পুরাতনপন্থী নরনারীর পক্ষে কল্পনা করা এক প্রকার অসম্ভব। উদীয়মান নয়! স্বরাজের তুলনায় আজকাল ছূনিয়ায় যে স্বরাজ চলিতেছে তাহাকে শ্বরাজ বলাই চলিবে না। ১৯১৯-২০ সনের পাশ্চাত্য নরনারী সত্য সত্যই এক বিশাল নবজীবনের সুত্রপাত করিয়া বসে নাই কি?

এখন জমিজমার কথ। কিছু বলিব। ভারতে আজও জমিদারী প্রথার জয় জয়কার চলিতেছে, আর সঙ্গে সঙ্গে চলিতেছে “রাইয়ত*-. “বাবুর সম্বন্ধ জাশ্শাণিতে এই ধরণের ব্যবস্থা চলিয়াছিল ১৮৪৮ পধ্যন্ত। ফ্রান্সে এই প্রথা পঞ্চত্ব প্রাণ্ড হুর অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষাঁ-

১২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন

শেষি। কাজেই রাইয়ত-প্রধান ভারত-সন্তানের পক্ষে আধুনিক পাশ্চাত্য জীবনের আধ্যাত্মিকতা সহজে হজম করা সম্ভব নয়

তাহার উপর ১৮৯৫ সনের পর হইতে জান্্মাণিতে এবং জান্মীণির দেখাদেখি ডেনমার্কে, ইংল্যাণ্ডে এবং অন্তান্ত দেশে জমিহীন মজুরকে ছোট ছোট জমির মালিকে পরিণত করা হইতেছে আর ছোট ছোট মালিককে কথঞ্িৎ বড় মালিক ীড়াইয়া যাইবার জুযোগ দেওয়! হইতেছে

কিন্তু এই সকল জমি জুটিতেছে কোথা হইতে? বড় বড় জমির মালিককে নিজ নিজ সরকারের নিকট জমি বিক্রী করিতে বাধ্য করা হইতেছে কোনে! জাম্মাণ জমিদার এক্ষণে ৮০০।৯০* বিঘার বেশী জমি নিজ দখলে রাখিতে অধিকাঁপী নয়। বড় বড় জমিদারদের জমি কিনিয়৷ গবর্ণমেপ্ট মজুরদের নিকট অথবা ছোট ছোট্.জমির মালিকদের নিকট সহজ সর্তে বিক্রী করিবার ভার লইতেছে। এই গেল পুনর্গঠিত জান্মমণির ১৯১৯ সন। যে বংসর ছুনিয়ার হেয়ালি-প্রচারক, ভাবপন্থীর! ভাবিতেছিলেন যে, পাশ্চ।ত্য সভ্যতা খাটে উঠ” উঠ” সেই বৎসরই নদুন জীবন-যৌবনের ডিক্রী হাতে করিয়া পশ্চিমের নরনারী জমি-জমা সম্বন্ধে একটা আধ্যাত্মিক বিপ্রব খাড়। করিয়াছে

এশিয়ায় (বিশেষতঃ ভারতে ) বোধ হয় এই বিপ্লবের কাহিনী এখনো পৌঁছেই নাই। পৌছিলেই এশিগাম্ নরনারী আঁত.কাইয়া উঠিয়া বলিতে থাঁকিবে,--“তাইত ! যে বোলশেহ্বিকীর লঙ্কাকাণ্ড ?” ভিতরকার কথা, এসব আইন বোলশেহিবিক পথের লাগাও কোনো কোনো পথে লিতেছে বটে। কিন্তু খাঁটি বোলশেহ্বিজম আরও অনেক দূরে। €কেনন রুশিয়ার সমাজ-সংস্কারকেরা জমিজম। “কাড়িয়া লয়”১_-( অন্ততঃ পক্ষে লইত )--তাহার জন্ত মালিককে ক্ষতি পূরণের টাক! দিতে মাথ!

নবীন ছুনিয়ার সূত্রপাত ১৩

ঘামায় না। তবে ১৯২২--২৩ সনের পর এই কাড়াকাড়ি কাণ্ড থামিরাছে। কিন্ত জার্্মাণ আর ইংরেজ গবর্ণমেন্ট জমিদারদিগকে জমি জমা বেচিতে বাধ্য করে বটে, কিন্তু “কথঞ্চিৎ" উচিত মুল্যে এই সকল জামির দাম দিতে গররাজি নয়। যুবক-ভারত এই জাম্মাণ-ডেন-বিলাতী আইনগুলা ঘাঁটিয়! দেখিতে প্রবৃত্ত হইবে কি? এই সব ব্যবস্থা আমাদের দেশে কায়েম হইতে এখনো অনেক দেরি ! তবে “কত ধানে কত চাল” বুঝিয়া রাখাটা মন্দ নয়।

নারী-নমন্ত।র একটা খুটা! তুলিম্না বর্তমান আলোচনা শেৰ করিব পাশ্চাত্য সভ্যতার সজীবত। হাতে হ।তে ধর! পড়িবে ভারতে আমর! আজও বিধবার অবস্থা বিশ্লেষণ করিতে বসিবামাত্রই “ভূর়ো যথ। মে জননান্তরেইপি ত্বমেব ভর্তী বিপ্রয়োগঃ” ইত্যাদি জন্মজন্মান্তরের '্বমী-দ্ীৰ অনন্ত সন্বন্ধট1 কল্পনার চোখে দেখিয়া ফেলি। আপত্তি নাই। হয়েরামেরিকার রোমান ক্যাথলিক-পন্থী বিপধবারাও লাখে লাখে, এতদূর চরম মাঙডায় না হউক্--অনেকট। এই “আদর্শেই” জীবন গড়িয়। চলিতে অভ্যন্ত। বিধবার বিবহ & সকল সমাজে শিন্দনীয় নর, কিন্তু তাদের অনেক বিধবা স্থধেগ সত্বেও পুনরায় বিবাহ করে না।

কিন্ত একম।ত্র এই "আদশ ই” বিধবা-জীবনের সর্ধন্ব নয়। বাস্তক জাবনের তরফ হইতে বিধবা! সমশ্ত।র মীমাংসা অনেকখানি সাধিত হইতে পারে। পশ্চিমারা তাহা করিয়ছেও। এই মামাংসাটা বর্তমান অবস্থায় ভারত-সন্তানের মাথায় প্রবেশ করা কঠিন। তবে প্রণালীট1 যে অতি সহজ সে বিষয়ে কোনে সন্দেহ নাই।

আমাদের দেশে যে সকল লোক গবর্ণমেণ্টের চাকুরী করে, একমাত্র তাহাবাই বুড়1 হইবার পর মৃত্যু পর্য্যন্ত বিনা কাজেই “পেন্গন” পায়। অগ্তান্ত কন্মকেন্দ্রে বে সকল লোক কেরাণা বা কর্মকর্ত। তাহাদিগকে

১৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন

পেন্শ্তন দিবার বোধ হয় কোনো! ব্যবস্থা নাই। এইজন্য গবর্ণমেপ্ট কোনে প্রকার জীবন-বীমার আইন জারি করিয়া কর্ম্মকেন্দ্রের মালিক্দিগকে বাধ্য করিবার ব্যবস্থা করে নাই। কিন্তু পাশ্চাত্য সমাজের গলি-ঘোচে বাধ্যতামূলক বীমা-প্রথা আজ পঁচিশ ত্রিশবৎসর ধরিয়া! জারি আছে। দ্বার্মাণ রাষ্্রবীর বিস্যার্ককে ছুনিম়্ার এই নিয়মের জন্মদাতারূপে বিবৃত করা যাইতে পারে এই গেল পেন্শ্নের এক দিক। অপর দিক আরও বিচিত্র। ভারতে যে সকল লোক পেন্শ্তন পায়, তাহাদের আয়ু ফুরাইব! মাত্র সরকারী দায়িত্বও ফুরাইয়া যায়। কিন্তু পাশ্চাত্য মুল্লুকে বিধবা ( এবং পুত্র কন্টারাও বাইশ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত ) একট? নির্দিষ্ট হারে মুত শ্বামীর পেন্্তন ভোগ করিতে অধিকারী পদ হিসাবে পেন্শ্তনের হার বাধা আছে। কাজেই ভারতীয় বিধবার হাহুতাশ আজকালকার শ্রী্িয়ান সমাজে দেখা যায় না। আমাদের বিধবারা যখন কাদে তখন তাহারা মরা-স্বামীর গ্রতি সতীত্ব দেখাইবার জন্য কাদে? না অনচিন্তা চমৎকার বলিয়া কাদে? এই প্রশ্নটা বাস্তব যন্ত্রের সাহায্যে বিশ্লেষণ করিরা দেখিতে যুবক-ভারত অগ্রসর হউক। বিধবা-সমন্তার ভিতর যেসব আজগুবি হেঁয়ালি গ্রবেশ করানে। হইয়! থাকে,-কম-সে-কম চিন্তাক্ষেত্র হইতে সেই সব হেয়ালি দূরীভূত হইতে পারিবে আর্থিক তাড়নার দীর্ঘশ্বাস বিধবার প্রাণ হইতে পেন্শ্তন পাইবার পর ভারতীয় নারীত্বের অন্দরে আধ্যাত্মিকতা কতখানি আছে তাহা'র যাচাই কর সম্ভব হইবে। সেই যাচাইয়ের আখড়ায় পশ্চিমা নারীরা ধীরে ধীরে আসিয়া দাড়াইতেছে। ভারতীয় নারী আধ্যাত্মিকতার নবীন ডাকে সাড়া দিবার পর্যযস্ত উপযুক্ত কিনা এখনো তাহা 'অনিশ্চিত।

নবীন দুনিয়ার সূত্রপাত ১৫

অসংখ্য খুঁটি নাটিই উল্লেখ করা 'যাইতে পারে। কোনটাই মন-গড়। অলীক বাগাঁড়ম্বর মাত্র নয়। সহজ বুদ্ধির লোক চোখে চাহিয়া কানে শুনিয়া পায়ে হাটিয়া হাতে ছু ইয়া যে সকল তথ্য বুঝিতে পারে, সেই সব নিরেট তথ্যের জোরেই দেখিতেছি যে; এশিয় ইয়েরামেরিকার অনেক পশ্চাতে পড়িয়া রহিয়াছে পূর্ব এবং পশ্চিম চিরকাল একই পথে চলিয়াছে এবং একই আদর্শের প্রভাবে জীবনযাত্রা চালাইয়া! আসিয়াছে আজও ছুনিক্স৷ সর্বত্রই এক পথে অগ্রসর হইতেছে আবার কালও,_- বহুকাল পর্ধ্যস্ত--যতদূর দৃষ্টি যায়, ছুনিয়ার গতি থাকিবে একই দিকে পূর্বে পশ্চিমে কোনো “আদর্শগত” প্রভেদ নাই। তবে জীবনবস্তা' আধ্য।ঘ্মিকতা, রক্তের আোত, চিন্তা বর্খরাশির জোঘ়ার ইত্যাদি 1 কিছু সবই-শতকর! নিরানব্বই অংশ বর্ণম।ন কালে পশ্চিমাদেরই সমাজে সভ্যতায় ছুটিতেছ। ১৯১৯--২* সনের পুনর্গঠিত ইয়োরামেরিকা এক অদ্ভুত নবীন দুনিয়ার সুত্রপাত করিয্ছে। বিনা গ্রোজা মিলে বুজরুকিহীনভাবে এই তথ্যটা ম্বীকার করিয়া না ওয়া পর্যন্ত যুবক-ভারতের শক্তিযোগ পদে পদে অনর্থক বাঁজে কাজে নষ্ট হুইতে থ|কিবে। নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তনে যে নকল দ্বদেশ'সেবক মোতায়েন আছেন তাহারা এই সকল “কেঠে” নিরেট তেতে] সত্যের সাহায্যে নিজেদের এবং সহযোগী কণ্সিবন্দের মগজট। চাছিয়া-ছুলিয়৷ মেরামত করিতে অগ্রসর হউন। তাঁজ। বস্তুনিষ্ঠ জীবন-দর্শনের দৌলতে বাঙালীর ভাঁবুকতা৷ শক্তিষোগ একট] নবীন যুগান্তর স্যগ্ি করুক।

ব্যান্ক-গঠন দেশোন্নতি *

ভারতবাসীর আধুনিক ব্যান্ক

আজকাল ভারতে ভারতবাসীর তাবে মাত্র ২৯ ট] জয়েন্ট-্টক ব্যাঙ্ক চলিতেছে কোনোটার মুলধনই লাখ টাকার কম নয়। এই সমুদয়ে লোকজনের গচ্ছিত টাকা খাটিতেছে ৫৩ কোটি

১৯০৫ সনে এই ধরণের ব্যাঙ্কের সংখ্যা ছিল ৯ট1 মাত্র আর তাহাদের খাতায় গচ্ছিত ছিল ১২ কোটি দেখ! যাইতেছে যে, বিশ বাঁইশ বৎসরে বাঙ্ক-সংখা বাড়িঘ়াছে গুখের বেশী আর গচ্ছিতের পরিমাণ বাড়িয়াছে গুণের বেশী।

ভারত-সন্তানের পরিচালিত আধুনিক ব্যাঙ্ক আরও আছে। এইগুলার

খ্যা ৪০ ' প্রত্যেকটার মূলধন এক লাখ হইতে লাখ টাকা পথ্যন্ত। এইগুলাকে “মাঝারি” ব্যাঙ্ক বলা চলে

তাহা ছাড়া “ছোট” “ছোট” ব্যাঙ্কও গুন্তিতে আজকাল মন্দ নয়। গোটা ভারতে প্রার ৭০০ ছিল ১৯২৪ সনের শেব পথ্যন্ত। ব্যান্ক প্রতি তাহাদের পু'জির পরিমাণ লাখের নীচে

ভারতে বিদেশী ব্যাস্ক

ভারতীয় আধুনিক ব্যাঙ্ক বলিতে ৭৪* ট| ছোট মাঁঝারি আর ২নটা বড় প্রতিষ্ঠান বুঝিতে হইবে। কিন্ত ভারতবর্ষের ব্যাঙ্ব-সম্পদ্দ বলিলে

কপ পপ পপ পা পলা প্পপপপ্পা শা শি শশী শিিশীশীী ীিস্প্প

* জাতীয় শিক্ষাপরিষদের তত্বাবধানে প্রদত্ত বর্ততার সার মু ( ফেব্রুয়ারি, ৯৯২৬ )। বধ তা অন্নসারে লেখক তাহেরউদ্দিন আহম্মদ “আথিক উন্নতির বনিয়াদ" নামে ছয়টা বত তার ব্যবস্থ। হয়। এই প্রবন্ধ ভাহার প্রণম।

ব্যাঙ্ক-গঠন দেশোন্নতি ১৭

বিদেশী কর্তৃক পরিচালিত ব্যাঙ্কগুলার নাম করাও দরকার। তাহাদের সংখ্যা ১৮। এইগুলার সংখ্যা ১৯০৫ সনে ছিল মাত্র ১*। ১৯০৫ সনে লোকজনের টাঁকা গচ্ছিত ছিল ১৭ কোটি আজকাল পরিমাণটণ ৭১ কোটিতে দীড়াইয়াছে। অর্থাৎ এই কয় বৎসরে গচ্ছিত অর্থ গুণের কিছু বেশী বাড়িয়াছে। বাড়.তির অঙ্কপাতট? শ্বদেশী বড় ব্যাক্ষেরও এইরূপ

এই ১৮টা ব্যাঙ্ককে ছুইভাগে বিভক্ত করা সম্ভব। প্রথম ভাগে পড়ে ৫টা। এইগুলার কারবার অধিকাংশই ভারতের ভিতর চলে। অপর ১৩টার আসল কারবার চলে বিদেশে ভারতে এই সকল প্রতিষ্ঠান বিদেশী কেন্দ্র-কারবারের শাখা বা প্রতিনিধিমাত্র

১৮ট1 ব্যাঙ্কের প্রত্যেকটাই বিদেশে রেজেষ্টারীকৃত। ইহাদের মূলধনও বিদেশী মুদ্রায় জমা এবং গণনা কর] হয়। তবে ভারতের কারবারে শ্বদেশী টাকার চল আছে

এই ব্যাঙ্কগুলাকে “এক্‌স্চেঞ্র”-ব্যাঙ্ক বা বিনিময়-ব্যাঙ্ক বলে। বিদেশী টাকাকড়ির লেনদেন এইসকল ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্য কোনো ব্যাঙ্কে চলিতে পারে না। বিনিময়ের কারবারট! এই সকল বিদেশী ব্যাঙ্কের একচেটিয়া

এই গেল ভারতীয় ব্যাঙ্কের সংখ্যাতত্ব। অস্কগুলা সর্বদ। নজরে রাখিয়া ব্যাঙ্ক-গঠন দেশোন্নতির আলোচনা করা যাউক

টাকা-কড়ির বাজার

ব্যাঙ্ক আর বাজারের মধ্যে কোনো তফাৎ নাই। বাজারে মাছ-ছুধ কেন1-বেচ1 হয়, আর ব্যাঙ্কে টাকা-পর্পসা কেনা-বেচা হয়। সত্যি সত্যি টাকা কেনা-বেচা হয় না--আসলে ওখানে ধার নেওয়। আর দেওয়। হয়। যে টাঁকা ধার নেওয়1 হয়, সেটা আবার আর একজনকে ধান দিতেও হয়।

এই টাক লইয়া টাক লাগাইতে গেলে কিছু মুনাফা! ঈাড়াইয়া যায়। চি

১৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন

কিন্তু ইহা করিতে কোনো দর্শনের সাহায্য লইতে হয় না, বা কোনো অতি- গভীর যুক্তিশীলতার দরকার হয় ন7া। আমি পাঁচ হাজার টাকা লইব, বৎসরে চার টাকা স্থদদ। এই টাকা লইয়া আমি পুতিয়া রাখিতে পারি না। আমি যে টাকা লইব টাকা যাহাতে খাটাইতে পারি, তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে যদ্দি এই টাকা আর কাউকে ধার দিতে চাই তবে সেটা কেমন করিয়া দেওয়া যাইতে পারে? কোনে লোঁক ধার চাহিলে তাহাকে বলিতে হইবে “আমি নিজে চাঁর টাঁকা হুদ দিতেছি তাহার চেয়ে যদি বেশী সুদ আমায় দাঁও, তাহা! হইলে তোমাকে ধার দিতে পারি।” ব্যান্কের মূল কথাট! হইতেছে এইটুকু

ধরুন যদ্দি শতকরা ৪. টাকা স্ুদ্দে টাকা আনিয়৷ শতকরা ৭৬ টাকা সদ লাগান যায়, তাহা হইলে অন্ততঃ ৩২ টাঁকা লাভ থাকে কখনে! তিন টাকা, কখনে! সাত টাকা, কখনো দশ টাকা, কখনো বা আঠার টাকা ইত্যার্দি। এই তিন টাকা, দশ টাকা, আঠার টাকার উপরেই বিপুল বিপুল ইমারত গড়িয়া উঠে। পাঁচ শ, সাত শ” কি হাজার লোক খাটানো সম্ভব হয়। তিন চার হাজার টাক1 মাহিন! দিয়া ম্যানেজার রাখ। চলে। বড় বড় ফ্যান্টিরী, ইনশিউর্যান্স কোম্পানী, বহির্বাণিজ্যের বড় বড় সৌধমালা মাথা তুলিয়া ঈীড়ায়।

জীবনযাত্রার বাস্তব মাপকাঠি

ব্যাঙ্ক অতি সোজা বস্তু সন্দেহ নাই, কিন্ত আবার এই সোজ। কথাটার মধ্যে একট] গভীর কথাও আছে দেশোন্নতি, আর্থিক উন্নতি, জাতীয় চরিত্র,“আধুনিকতা”এই ব্যান্ক-গঠনের সঙ্গে বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট প্রথমতঃ, এই ব্যান্কের দ্বারা একট] জাতির ভিতরকার আনল কথাগুলা পাকড়াও করা যাইতে পারে। যে দেশে ব্যাঙ্ক নাই, অথব! তাহার সংখ্য! কম,

ব্যাঙ্ক-গঠন দেশোন্নতি ১৯

বুঝিতে হইবে সে দেশে আধুনিক ঢঙের ধনসম্পদ নাই। নব্য বনিয়াদের উপর তাহার ভিত্তি নয় ব্যাঙ্ক “একালের” ধন-সম্পদের ভিত্তি

দ্বিতীয়তঃ, ব্যাক্ক-প্রতিষ্ঠান একট! যন্ত্রবিশেষ+_দেশের ধনর্দৌলত জরীপ করিবার, আর্থিক জীবন মাপিবার যন্ত্র। একট জাতের আর্থিক দৌড় কতদূর, তাহ তাহার ব্যাঙ্কগুলার একতল! বাড়ী কি দোতলা! বাড়ী, (সেখানে ৫০০ লোক খাটে কি পাচহাজার লোক খাটে, সেই সবের শাখা 'আফিস কতগুলি--এই সব দেখিলেই বলিয়! দেওয়া যাইতে পারে। কাজেই দেশট! বড় কি ছোট তাহার একট। বড় সাক্ষী হইতেছে ব্যাঙ্কের আকার-প্রকার। এক জায়গার চেয়ে আর এক জায়গা কত বেশী গরম তাহ? যেমন থামেণমেটার যন্ত্র বলিয়া দেয়, তেমনি এদেশট! ওদেশের চেয়ে কত বড় বা কত ছোট তাহা এই ব্যাঙ্ক-যস্ত্রের মাপজোকে আমরা সহজেই বুঝিয়৷ লইতে পারি

তৃতীয়ত, একট? গুরুতর কথা ব্যান্ক-গ্রতিষ্ঠানে ধরা পড়ে যেজাত ব্যাঙ্ক চালাইতে জানে না, সেট] নেহাৎ অপদার্থ। যে জাতের তাবে একট! ব্যান্কও নাই, তাহাকে শুধু দরিদ্র বলিতে হইবে না, সঙ্গে সঙ্গে বলিতে হুইবে তাহার চরিত্র অতি দ্বণ্য, সভ্যসমাজে তাহার নামোল্লেখ কর! যান না। নরনারীর জীবনীশক্তি মাপিবার যন্ত্র হইতেছে ব্যাঙ্ক জাতীয় চরিত্র, নৈতিক জীবন, আধ্যাত্মিকতা--এসব মাপিবার, বুঝিবার বিপুল যন্ত্র ব্যাঙ্ক।

বাহার! কতকগুল! বিশেষ্য বিশেষণ কায়েম করিয়। কোনে! জাতি সম্বন্ধে বা তাহার চরিত্র সন্বন্ধে মতামত জাহির করিতে অভ্যস্ত, তাহার! একট মন্ত দোষ করিয়া ফেলেন। কারণ, বস্তনিষ্ঠ ভাবে জাতিকে, জাতির জীবনকে, তাহার নৈতিক চরিত্র প্রভৃতিকে বুঝিবার জন্য তাহার! কোনে! বিশেষ মাপকাঠি ব্যবহার করেন না। তাহাদিগকে বলিতে চাই

২০ নয়া বাঙলার গোড়া-পত্তন

যে “হাজার উপায়ে বাস্তব প্রণালীতে জাতির চরিত্র বুঝা সম্ভব। ব্যান হইতেছে এই কাজের অন্তম বিপুল যন্ত্র। এযস্ত্র কায়েম করিলে জাতীয় চরিত্র সমঝিবার পক্ষে কোনো গোঁজামিল দিবার সম্ভাবন? থাকে না।*

বিশ্বাস-তত্ব জাতীয় চরিত্র

ব্যাঙ্কের প্রাণ হইতেছে বিশ্বাস (ক্রেডিট )। ইয়োরামেরিকার সক জাতির মধ্যেই ব্যাস্ক শব্দটা প্রচলিত তবে ভিন্ন ভিন্ন জাতি তাহাদের ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় শব্দটার উচ্চারণ একটু অদল-বদল করিয়া লয়। যথা,__ ফরাসী বাক, জাম্মীণ বাঙ্ক, ইতালিয়ান বাঙ্কা ইত্যাদি।

কিন্তু ব্যাস্-প্রতিষ্ঠানের জন্য প্ক্রেডিট্‌” শব্দ বেশী ব্যবহার করিয়। থ!কে ফরাসীরা, ইতালিয়ানরা,আর জার্ম্মীণরা বিলাতে আর আমেরিকায় এই শব্দের রেওয়াজ এক প্রকার নাই। বব্যাঙ্ক'ই এই ছুই মুন্লুকে একমাত্র শব্দ কিন্তু জান্্াণিতে "ক্রেডিট আন্ষ্টাল্ট “ক্রেডিট. প্রতিষ্ঠান” নামে অনেক ব্যাঙ্ক প্রচলিত অ্্রীয্লা, সুইটসারল্যাণ্ড ইত্যাদি জার্মম(ণ- ভাষী দেশেও এইরূপ ফরাসীরা “সোসিয়েতে ক্রেদি নামে ব্যাঙ্কের পরিচয় দিতে অভ্যন্ত। ইতালিতে এই সম্পর্কে “ক্রেদিত” শবের রেওয়াজ আছে।

ধার দেওয়া আর ধার লওয়! পরস্পরের বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত কাজেই যে শবের অর্থ বিশ্বাস, সেই শবেই ধার দেওয়া-লওয়ার কর্্মকেন্দ্রও বুধাইতেছে। তুমি তোমার টাকা হাজির করিয়াছ বলিয়াই তোমাকে ব্যাঙ্ক বিশ্বাস করিতে পারে না। অপরিচিত লোকের জন্ঙ প্রতিনিধি দরকার হুয় বা বিশ্বাস প্রতিপন্ন করিবার জন্ত ছুই একজনের চিঠি আন। প্রয়োজন হয় এই বিশ্বাসের উপর নির্ভর করিয়াই টাকার লেন! দেন

ব্যাস্ক-গঠন দেশোম্নতি ২১

চলিয়৷ থাকে যে জাতের মধ্যে ব্যাঙ্ক নাই, বুঝিতে হইবে তাহার নরনারীর ভিতর পরম্পর বিশ্বাস, আস্থা! জিনিসটাও নাই? সেজাতের লোক কখনও কেউ কাউকে বিশ্বাস করিতে পারে না থান্মোমেটার 'যেমন তাপের মাত্রা কতথানি বলিয় দিবে, ব্যারোমেটার ষেমন হাওয়ার চাপের পরিমাণ বলিয়া! দ্িবে--আকাশ জরীপ করিবার প্রয়োজন হইবে না, ব্যাঙ্কও তেয্ি একটা জাতের নৈতিক দৌড় কতদূর সহজেই বলিয়া দ্িবে। টাকা-পয়সা বিনিময়ের বিশ্বাস যে জাতটার মধ্যে নাই, আধ্যাত্মিক হিসাবে সে জাতট। অধঃপতিত। ইহা অতি সোজা কথা।

বর্তমান ভারতের ব্যাক্ষ-প্রতিষ্ঠান

যদ্দিও ইংরেজ, ফরাসী, জার্ম্নাণ, ইতালিয়ান সকলের কথাই আজ আঁপনাদিগকে কিছু কিছু বলিব, কিন্ত আমার প্রধান আলোচ্য বিষয় হইতেছে আমার দেশ। দেশটা কোন্‌ অবস্থায় আছে? অন্তান্ত জাতের সমকক্ষ হইতে ইহার কতদিন লাগিবে ? বাংলায় ব্যাঙ্ক-গঠন কোন্‌ অবস্থায় আসিয়া দীড়াইয়াছে? আবার কিছু কিছু অঙ্কগুলার শরণাপন্ন হইতে হইবে প্রথমতঃ, এক রকম ব্যাঙ্ক যাহা আমাদের দেশে প্রায় পাচ স।ত শত বছর ধরিয়া চলিয়া আসিতেছে যাহাকে বলে কিনা হুগ্ডি ব্যাঙ্ক। পুজিপতির নিকট যত টাকা আছে, প্রধানতঃ তাহা দিয়া নিজে নিজে কারবার চালানো সম্ভব। হুগ্ডি-ব্যাঙ্কের কাজ এই শ্রেণীর ব্যক্তিগত কাজ। পরের টাকা ধার লওয়া হয় না, পরকে টাকা ধার দেওয়াই প্রায় "একমাত্র ব্যবসা এই সব ব্যাক্ক সমস্তই ভারত-সস্তানের হাতে দ্বিতীয় রকম ব্যাঙ্ক যাঁহ। কিনা! বিদেশীদের হাঁতে। পরের টাক! ধার ওয়া হয়। এইধার লওয়া টাক! আবার অন্তকে ধার দেওয়াও হয়।

২২, নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন

০০১০০

এর স্টপ তত টি ্্স্র্সত ্উউি

বহিধ্যাণিজা, বড় বড় কারবার, রেলওয়ে, জাহাজ-কোম্পানী ইত্যাদি যাহা কিছু সবই এই সকল ব্যাঙ্কের সাহায্যে চলিতেছে বিদেশী টাকা- পয়সাও এই ধরণের ব্যাঙ্কে ভাঙানো চলে। বিদেশীদের তাবে এই সব চলিতেছে বটে, কিন্ত এই শ্রেণীর ব্যাঙ্কে আমাদের দেশী লোকের টাকাও বিস্তর মজুত আছে। এই সব বিদেশী প্রতিষ্ঠান ভারতে না থাকিলে বহু ভারতবাসীর অনেক ক্ষতি হইত। আমাদের ধাহারা অগাধ টাকার মালিক, তাধাদের কেবলই ভাবিয়া মরিতে হইত- এই সব টাকা দিয়! তাহারা কি করিবেন--যদি এই ধরণের ব্যাঙ্ক এদেশে না থাকিত। এই সব ব্যাঙ্কে টাকা রাখিয়া দেশের ধনীরা আর কিছু না হউক নিরাপদে 'ঘুমাইতে পারেন। বিদেশী-পরিচালিত ব্যাঙ্ক হইলেও আমাদের ব্যবপা- বাণিজ্য সম্বন্ধে এইগুলি হইতে অনেক সময়েই বিস্তর সাহায্য পাওয় যায়। কাজেই স্বীকার কর! কর্তব্য যে, আমাদের আর্থিক উন্নতি বিষয়েও এই সব বিদেশী ব্যাঙ্ক কিছু কিছু সাহায্য করিতেছে তৃতীয়তঃ, যে সব ব্যাঙ্ক আমাদের নিজের হাতে অর্থাৎ যাহার মূলধন আমাদের দেশী লোকের, আর যাহার পরিচালনাও আমাদেরই করিৎকন্্ী লোকের অধীনে | ভারতে এই রকম ব্যাঙ্কের সংখ) বেশী নয়, তবে আন্তে আস্তে বাড়িতেছে। এইগুলাকে কোনো মতে ফরাসী, জান্মাণ ইত্যাদি জাতীয় কোনে! কোনো ব্যাঙ্কের সঙ্গে তুলনা করা যাইতে পারে। অন্ততঃপক্ষে এই সব ভারতীয় বিদেশী ব্যাঙ্কগুল! একই জাতের। ছোটবড়, উচ্চনীচ ভেদ আলাদ! কথা ভারতে আবার বাঙালীদের' ব্যাক্ষের কোনই ইজ্জৎ নাই। ভারতের মধ্যে একমাত্র “সে্ট্যাল ব্যাস্ক*ই কিছু মধ্যাদা-সম্মান দাবী পারে; কিন্তু এইটা পাশীদের তাবে। ইহার মধ্যে বাঙালীর টুকিছ নাই। ইহার সমস্ত কর্মচারী-সেই নীচের দরোয়ান হইতে শুরু

ব্যাঙ্ক-গঠন দেশোন্নতি ২৩

করিয়া উচ্চতম ম্যানেজার পধ্যস্ত-_প্রায় আগাগোড়া পাশা বোথ্াইয়ের বড় আফিসের কথাই বিশেষ করিয়া বলিতেছি। এই ব্যাঙ্ক একমাত্র ভারতবাসীর দ্বারা পরিচালিত। ইহার মূলধন আড়াই কোটা $ বর্তমানে এই ব্যাঙ্কে জমা হইয়াছে কমসে কম পনর কোটা টাক।। ইহার পরে আসন দিতে পারি “পাঞ্জাব ন্তাশনাল ব্যাঙ্ককে পাধ্াবীদের বাঙালীরা কি চক্ষে দেখে জানি না, তবে এই জাতটা ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে বাঙালীকে অনেক-কিছু শিখাইয়া৷ দিতে পারে,--যদদিও এই পাঞ্জাব হ্যাশনাল ব্যাঙ্ক আর সেণ্টাল ব্যাঙ্কের প্রভেদ আকাশপাতাল। “বেনারস ব্যাঙ্ক” বলিয়া! আর একটা ব্যাঙ্ক আছে। এটা নেহাৎ ছোট হইলেও এরও যেমন “দ্রম” সেইরূপ আমাদের দেশের ব্যাঙ্কের মধ্যে এইটিও নিজের আসন দাবী করিতে পারে। |

ব্যাঙ্ক-ব্যবসায় বাঙালীর দৌড়

আর আমাদের বাংলায় আছে “বেঙ্গল স্যাশলান ব্যাঙ্ক” সেটার ভিত্তি ১৯৯৫-৭ সনের শ্বদেশী আন্দোলনের আওতায় গড়িয়া উঠে। সেই যুগে “কো-অপারেটিভ হিন্দুস্থান ব্যাঙ্ক” বাঙালীর কর্তৃত্ব মাথা তুলে। এখনে তার টিকি দেখা যাইতেছে বটে, তবে সেটা জাকিয়া উঠিতে পারে নাই। দেশে ফিরিয়া আসিবার পর “মহাঁজন ব্যাঙ্ক” বলিয়া আর একটা ব্যাঙ্কের নাম শুনিতে পাইতেছি। ইহার মূলধন কত হইবে জানি না» তবে পঞ্চাশ ষাট হাজারের বেণী মূলধন বোধ হয় নয় ;-_লাখেও যাইয়৷ পৌঁছাইয়। থাকিতে পারে। যদি এখন আপনারা জানিতে চাছেন এই দেড়টা, ছ'টা কি আড়াইটা বা এই ধরণের আর করেকটা ব্যাঙ্কের মূলধন একত্রে কত ঈাড়াইবে, তবে বলিতে পারি, আজ পধ্যস্ত মাত্র,যদি খুব বেশীকরিয়! ধরা যায়, তবে ৩০ হইতে ৪* লাখ ১৯২৬ সন পধ্য্ত এই আমাদের দৌড়

২৪ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন

শিস স্লিপ সস এসএ ৯০

সস তা ভিসির এলি এইস সস

কিন্তু এই সব ব্যাঙ্ক ছাড়াও বাংলার মফ:ঃম্বলে কতকগুলি ব্যাঙ্ক গড়িয়া উঠিয়াছে। এগুলিকে সাধারণতঃ “লোন আঁফিস” বলা হয়। এই বাংলাদেশেই কমসে কম ছু-তিন লোন আফিস আছে, স্তনিতে পাইতেছি। যদিও এগুলিকে যথাযথভাবে ব্যাঙ্ক বলা চলে না, কিন্তু এইগুলিই ভবিষ্যতে বড় বড় ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি গড়িয়া তুলিবে। পাঁচজন, দশজন, ব্রিশজন মিলিয়! এক একটা বিশ্বাস- »স্কাপনের প্রতিষ্ঠান, ধার লওয়া-দেওয়ার কেন্দ্র গড়িয়া! তুলিতেছে। এই সব ছোট ছোট লোন-আফিসের দ্বারা আ'র যাই হউক না কেন, একটা বিশ্বাস্রে ক্ষেত্র, আস্থাস্থাপনের কর্ধভূমি, পরস্পর-মৈত্রীর বাস্তৰ কেন্দ্র গড়িয়া উঠিয়াছে।

এখন কথা হইতেছে, কেমন করিয়া এই সব “লোন আফিস”কে খাটি ব্যাঙ্কে পরিণত করা যাইতে পারে এইটাই বর্তমানে নব্য বাঙালীর এক বড় সমস্তা। থারন্মে'মেটার, ব্যারোমেটারে উত্তাপ আর আবহাওয়] মাপা যাইতে পারে। দড়ি ধরিয়া মাপিয়া দেওয়। চলে হিমালয়ের কত নীচে রকি পর্ধত। আবার তেমনি ব্যাঙ্কের কথা উঠিলে আর সব দেশের তুগনায় বল! চলে বাঙালী জাতটা প্র বঙ্গোপসাগরের তলে বাস করিতেছে।

বিলাতী ব্যান্কের বহর

বিলাঁতের অনেক “বাঘা” “বাঘা” বড় লোকের নাম আপনার! শুনিয়। থাকিবেন। এই সব লোকের মধ্যে ম্যাককেনা একজন মস্ত লোক। ফরাসী, আমেরিকান, জান্মাণরা সকলেই লোকটাকে জবরদস্ত বিবেচনা! করিয়া থাকে টাকার বাজারে ম্যাককেনার মত বাধা লোক অতি কমই আছে। এই ম্যাককেনা “মিডল্যাড ব্যাঙ্কের

ব্যাঙ্ক-গঠন দেশোন্নতি ২৫

একজন কর্ণধার। এই ব্যাঙ্কের ১৯২৫ সনের যে রিপোর্ট আমি পাইয়াছি, তাহাতে তিনি বলিয়াছেন, “এই মিডল্যাণ্ড ব্যান্কের ২২০০টি শাখা স্থাপিত হইয়াছে এবং এগুলি কেবলমাজ্ম ইংল্যাণ্ড স্ষটল্যাণ্ড আয়ারল্যাণ্ডের মধ্যে স্থাপিত 1”এই সব কয়টি দেশ মিলিয়! আমাদের গোট! ংলার সমান। অথচ ইহার্দের কাছে বাঙালীর স্থান কত নীচে। আমাদের দেশের “ইম্পীরিয়াল ব্যাঙ্কে” এক শতের বেশী শাখা নাই-- কারণ তাহা থাকিবারই আইন নাই। এই রকম মিডল্যাও ব্যাঙ্কের মত আরও কয়েকটা বাঘা বাঘ! ব্যাঙ্ক বিলাতে রহিয়াছে একটা হইতেছে “বার্কলেস্‌ ব্যাঙ্ক'-_ইহার শাখা হইতেছে ১৭** 3 “লয়েডস্‌ ব্াঙ্ক'”, “ওয়েষ্ট মিন্ট্টার ব্যাঙ্ক”, পন্তাশিস্তাল প্রোভিন্শ্াল ব্যাঙ্ক”-_-এই ৫ট! প্রকাও প্রকাণ্ড ব্যাঙ্ক লগ্ন সহরে আছে। ম্যানচেষ্টার সহরটা নিজেই একটা বিপুল সাম্রাজ্যের রাজধানী হইতে পারে। তেম্সি লিবারপুলও একট] সাম্রাজ্য চালাইতে পারে। এই ছুই সহরেই একাধিক বড় বড় ব্যাঙ্ক আছে। বিলাতের অলিতে গলিতে যে অসংখ্য ছোট-খাট ব্যাঙ্ক রহিয়াছে, সে সব ছাড়িয়। দিলেও মোটামুটী বড় বড় ব্যাঙ্কের শাখা এই ১৯২৬ সনে আট হাজার ঈাড়াইবে। এই শাখা দিয়া একমাত্র বিল!তেই বলিতে হয় কমসে কম আট হাজার ব্যাঙ্ক চলিতেছে এখন আমাদের দেশের সঙ্গে দেশটার তুলনা কোথায় গিয়া দীড়ায় ? কোথায় গোৌরীশূঙ্গ আর কোথায় বঙ্গোপসাগর !

জার্মীণ আমেরিকান ব্যাঙ্কের কথা

এইবার জার্ম্নণির “ডয়চে বাক্কের” কথা বলি। বালিনের যে পাড়ায় এই ব্যান্কটি স্থাপিত সেখানে গেলে আপনাদের গোলকধ' ধা লাগিয়!

বড নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন

যাইবে লম্ঘা! চওড়ায় বহর তাহার এই কলেজ স্কোয়ার হইতে সেনট্রাল আয/ভিনিউ। ইহার বিপুলকায় বাড়ীগুলি দেখিতে দেখিতে চোখে ছানাবড়। ল।গিয়া যায়

তারপর আমেরিকার কথা। ইয়োরোপের বড় বড় দেশে কোটা' কোটা লইয়৷ কারবার ; কিন্তু আমেরিকার আর কোটীতে কুলায় না সেখানে অর্ধ,দ অর্ধ! সেদেশের এক ডলার আমাদের তিন টাকার উপর। তাহার পিছনে আবার কেবল শুন্য চেক কাকে বলে এই আমেরিকায় তাহ! বুঝা ধাঁয়। এখানে পাঁচসিকা, এমন কি পাচ গণ্ড পয়সার সওদায়ও চেক চলে “পানওয়ালী”, “বিড়িওয়ালা", মুচি ইহাদের পয়সাকড়ি পধ্যস্ত চেকে দেওয়া যায়। এমনিতর আজগুবি দেশ এই আমেরিক]1।

চেক-খালামসে ভারত দুনিয়।

ভারতে আজকাল ৭টা প্ক্রীয়ারিং হাউস” বা! চেক-খালাস-ভবন চলিতেছে কলিকাতা, বম্বে, মান্দ্রাজ* করাচি রেস্ুন এই পাঁচ সহরে এতদিন পাঁচট1 ছিল। ১৯২* সনে কানপুরে একট! আর ১৯২১ সনে লাহোরে একটা প্রতিষ্ঠিত হইয়।ছে।

১৯২০ সনে ৩১১৪৯, ১৮,০৯১৯০০ টাকার চেক খালাস হইবার জন্ত এই সকল ভবনে আসিয়াছিল। এত বেশী আর কখনে। ভারতে দেখা যাক্স নাই। ১৯২৩ সনের পরিমাণ ১৮,৭৬১১৯১০১০০০ টাঁকা।

এই হিসাবে ভারতের সঙ্গে বিলাতের তুলনা করিয়া দেখিলে আমাদের চেক-অভ্যাসটার ওজন করা সম্ভব। ১৯২৩ সনে বিলাতে চেক খালাস হইয়াছিল ৩৬,৬২৭,৫৯২,০*০ | এই অস্কটা সেই বৎসরের ভারতীয় অঙ্কের ৩০ গুণেরও বেশী।

ব্যান্ক-গঠন দেশোন্নতি ২৭

সিবিএ সিএ উস লি

মার্কিণ মুত্ুক বিলাতকেও হারায় ইংরেজ-থালাসের ২০ গুণ বেশী খালাস অন্ুঠিত হইয়াছিল যুক্তরাষ্ট্রে সেই বৎসর সেদেশে প্রায় ২৫০ট ক্লীয়ারিং হাউস আছে কোথায় আমরা আর কোথায় তার!

ভারতীয় ব্যাঙ্কের হিসাব পক্র

ভারতে যে সব “এক্‌স্চেঞ্জ ব্যাঙ্ক” কাজ করিতেছে তাহাদের ১৮টির প্রাপ্ত মূলধন এবং গচ্ছিত টাকার সমষ্টি ১৯২৪ সনে ১৩ কোটি পাউণ্ডের উপর উঠিয়াছে কিন্তু তাহাদের জমা দাড়াইয়াছে কোটি ১* লাখ পাউও এবং নগদ ফাঁজিল হইয়াছে কোটি ৬* লাখ পাউও

৬৯টি "জরেণ্ট &ক্‌ ব্যাক্কের” শাখার সংখা! সর্বসম্ত প্রায় ৫০* শত। ১৯২৪ সনে এই সব ব্যাঞ্থের প্রাণ্ত মূলধন এবং গচ্ছিত টাকার সমষ্টি হইয়াছিল ১১,১৭৮ লক্ষ টাকা জম! দাড়ায় ৫৫,১৭ লক্ষ এবং নগদ ফাঁজিল হয় ১১১৬৪ লক্ষ টাক

ভারতের সকল গ্তকার ব্যাঙ্কের মোট জম ১৯১৫ সনে ছিল ৯৮ কোটি টাকা তাহ! বুদ্ধি পাইয়া! ১৯২৪ সনে দীড়াইয়াছে ২১০ কোটি টাকা। ১৯২৪ সনে যত জম! হয়, তাহার মধ্যে ইম্পীরিয়াল ব্যাঙ্কের অংশ শতকরা ৪০ ভাগ, এক্‌স্চেঞ্জ ব্যান্কের ৩৪ ভাগ এবং জয়ে্ট ষ্টকৃ ব্যাস্কগুলির ২৬ ভাগ।

১৯২৪ সনের শেষে ইম্পীরিয়াল ব্যাঙ্কে আমানতী জমার অস্কপাতে নগদ ফাঁজিল ছিল শতকরা ১৮ ভাগ। এক্‌স্চেঞ্জ ব্যাঙ্কের অন্থপাত ছিল শতকরা ভাগ। আর যে সমম্ড একৃস্চেঞ্জ ব্যাঙ্ক ভারতের বাহিরে বেশী কাঙ্জ করে, তাহাদের এঁ ন্ুপাত শতকরা ৩১ ভাগ ঈাড়াইয়াছিল। যেসমস্ত ভারতীয় জয়েপ্ট &ক্‌ ব্যাঙ্কগুলির মূলধন

২৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়াস্পত্তন গচ্ছিত টাকা ৫,০৯১*** এবং তাহার উপর, তাহাদের নগদ ফাজিল হইয়াছিল শতকরা ২১ ভাগ এবং যাহাদের মূলধন কম, তাহাদের হইয়াছিল শতকরা ২* ভাগ।

ভারতের কো-অপারেটিভ, ব্যাঙ্কগুলাকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। “ক"-শ্রেণী--যাহাদের পাঁচ লক্ষ তদুর্দ টাকা মূলধন “খ”-শ্রেণী-_ যাহাদের মূলধন এক লক্ষের উপর এবং পাচ লক্ষের কম। ১৯১৫-১৩৬ লনে “ক”-শ্রেণীর ব্যাঙ্ক মাত্র দুইটি ছিল, ১৯২৪-২৫ সনে হইয়াছে ৮টি। জমা এবং খণদান ১৯ লাখ ৪৬ হ।জার টাকা হইতে কোটি ৫১ লাখ ৪১ হাজার টাক! পর্য্যস্ত বাড়িয়াছে। “খ*-শ্রেণীর ১৯১৫-১৬ সনে ছিল ১৮টি, ১৯২৪-২৫ সনে হইয়াছে ৯০টি ১৯২৪-২৫ সনে মূলধন গচ্ছিত টাকা হইয়াছে কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাঁজার টাকা এবং জমা খণদান কোটি ৯৪ লাখ ৪* হাজার টাক]।

রকমারি ব্যাক্ক-ব্যবস।

ভারতীয় ব্যাঙ্কের টাকাকড়ির ওজন বড় ভারী কিছু নয় বুঝাই বাইতেছে। তবে ব্যাঙ্ক-ব্যবসার দিকে বাঙালী জাতির নজর যে গিয়াছে সেই বিষয়ে সন্দেহ নাই। ব্যাস্কে টাকা গচ্ছিত রাখা, কারবারে ব্যাক্কের টাকা! খাটানে ইত্যার্দি কাজের শ্বভাব বাঙালী সমাজে ষে ক্রমে ক্রমে বাড়িতেছে তাহাও সকলেই বুঝিতে পারিতেছেন। তবে খাঁটি ব্যাঙ্কের ব্যবসা ষত প্রকারের হইতে পারে তাহার অনেক কিছুই এখনো আমাদের রপ্ত হয় নাই।

ব্যাঙ্ক-ব্যবসার আসল কারবাঁরটা কি বাকি কি? মোটের উপর ১৫1১৬ প্রকার কারবারগুল! নিমরূপ :--(১) সোনা-রূপার বেচা-কে না, (২) টাকাকড়ি ভাঙ্গানে! বা পোন্দারি (৩) লোকের টাকাকড়ি জম! রাখা»

ব্যাঙ্ক-গঠন দেশোন্নতি ২৯

(5) যে সকল লোক ব্যাঙ্কে টাকাকড়ি জম! রাখিয়াছে তাহাদের পরম্পর দেনা-পাঁওনা কাটাকাটি করা জন্য টাকার চলাচল আবশ্তক হয় না। ব্যাঙ্কের থাতাম্পত্রে একজনের জম! হইতে খরচ লিখিয়া আর একজনের হিসাবে জমা করা হয় মাত্র। খাঁটি ব্যাঙ্কিং বলিলে এই কারবারটান্র কথাই খুব বেশী মনে পড়ে। ব্যবসায়িমহলে এই কাণ্ড অহরহ চলিতেছে (৫) ব্যবসাদারদের “চিঠিপত্র” বা কাগজ “ভাঙানে”। বর্তমান জগতে এই কাগজ-বস্তটর রেওয়াজ খুব বেশী রামার নিকট টাক1 পাইবে শ্তামা। রাম দিল শ্ামাকে একখান! চিরকুট শ্তাম। এই চিরকুটের জোরে আবছুলের নিকট হুইতে মাল খরিদ করিল। আবছুল শেষ পধ্যস্ত রামার নিকট টাকা সমঝিয়া লইতে আসিল রামার নিকটও আঁসিবার দরকার নাই রাম যে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কারবার করে সেই ব্যাঙ্কই আবছুলকে চিরকুটটা ভাঙাইয়! দিবে এই'হইল অতি সহজ ধরণের বাণিজ্য-কাগজ এই চিরকুটটা যখন এক সহর হুইতে আর এক সহরে যায় অথবা যখন এক দেশের লোক আর এক দেশের লোকের নামে চিরকুট ঝাড়ে, তখন তাহার নাম হয় আর-কিছু। এই সব পারিভাষিকে সম্প্রতি প্রবেশ করিবার দরকার নাই। তৃতীয় শ্রেণীর “কাগজ” হইতেছে “চেক*। আর এক প্রকার কাগজ হইতেছে গুদাম-জাঁত মাঁলপত্রের সার্টিফিকেট বা রসিদ। এই কাগজট! দেখিরা ব্যাঙ্ক বুঝে যে কাগজ ওয়ালার তাঁবে অমুক জায়গায় অত পরিমাণ মাল আছে। আবাদের ফসল সম্বন্ধেও এইরূপ গুদামি রসিদ চলিতে পারে এই সকল রকমারি কাগজ, চিরকুট, হুণ্ডি, চেক, রসি? ভাঙানে' ব্যাঙ্ক-ব্যবসার বড় কাজ এই দিকে বাঙালীর হাতেখড়ি ম্থুরু হইতেছে মাত্র।

(৬) মন্ধেলদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লোকের নিকট হইতে তাহাদের

৩৩ নয়া বাঙ্গলার গোড়াপত্তন

পাওন! টাকাকড়ি আদায় করিয়া! দেওয়া (৭) এক সহর বা দেশ হইতে অন্ত সহরে বা দেশে টাক! পাঠাইবার জন্ঠ বাটা আদায় করা হইয়া থাকে (৮) ভিন্ন ভিন্ন সহরে এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশের রকমারি “কাগজের” সওদা করা এক স্থানের কাগজ কিনিয়া অন্ত স্থানে বেচা “হইয়া থাকে টাক চলাচলের দরকার উঠিয়া যায় (৪নং দ্রষ্টব্য )। এই ধরণের কাগজ ভাঙাভাঙি করা আস্তঙ্জাতিক বাণিজ্যে একট মন্ড ব্যবসা ॥। বাঙালী এখনো এই পথের পথিক হইতে শিখে নাই বলিলেই চলে। বর্তমান জগতের ইহ1 একটা বিশেষত্ব এই হিসাবে বাঙালীর! এখনে বর্তমান জগতের লোক নয়

(৯) “কাগজ"গুলা লইয়! অন্তান্ত ভাঁঙাভাঙি শ্বতশ্ত্র কারবার। তাহার একটাকে বলে কাগজ “ভিস্কাউণ্ট” করা আবদুলের সইওয়াল৷ অর্থাৎ দেন্পর স্বীকার ওয়ালা কাগজটা রামার নিকট হইতে লইয়া কোনে! ব্যাঙ্ক যদি তাহাকে তৎক্ষণাৎ নগদ টাকা সমঝিয়! দেয় তাহা হইলে ব্যাঙ্ক 'কাগজট1 “ডিস্কাউণ্ট” করিল। এই ডিস্কাউণ্ট কাণ্ডে ঝুঁকি অনেক, বলাই বাহুল্য। কিন্তু যে-দেশে ব্যাঙ্ক এই ঝুঁকি লইতে সাহসী হয় না, সেই দেশে ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান আছে বলিয়! শ্বীকার করা চলে না। এই কষ্টিপাথরে ঘষিলে দেখিব বাঙালীসমাঁজ এখনো! প্রায় ব্যাঙ্ক-হীন অবস্থায়ই ধষেন রহিয়াছে কাগজ ভাঙাইবাঁর আর এক কায়দাকে ফরাসীতে বলে "আকৃসেপ- তাস”, জান্মাণে “আকৎ সেপ২", আর আমাদের চল্তি ইংরেজি পআ্যাকসেপ্টটান্স”। সোজা! কথায় কাগজ শ্বীকার করা বুবিতেছি। এই “ল্বীকার” বা “গ্রহণ” করাট। নগদ টাকা দিয়] দেওয়ার সাঁমল নয়। ব্যাঙ্ক কাগজটার উপর সহি দিয়া বলে মাত্র,প্যহ, তোর মালপত্র বা 'ঈম্পত্তি বা পুঁজি সম্বন্ধে আমার বিশ্বাস আছে”। বযছ ব্যাঙ্কের এইরূপ

ব্যা্ক-গঠন দেশোম্নতি ৩১

সহিওয়াল! [চিরকুট লইয়া অন্ত এক ব্যাঙ্কের নিকট হুইতে নগদ টাক! পাইতে পারে। এই দ্বিতীয় ব্যাঙ্ক “ডিস্কাউণ্ট” করিল,-_ প্রথম ব্যাঙ্কট করিয়াছে মাত্র “আযাঁকসেপ্ট” অর্থাৎ স্বীকার, গ্রহণ ব1 বিশ্বাস। নগদ টাকা দ্বিল দ্বিতীয় ব্যাঙ্ক প্রথম ব্যাক্কের ঝুঁকিতে যদি যদুর অবস্থা কাহিল হয়, তাহ! হইলে স্বীকারকারী প্রথম ব্যাঙ্কের ঘাড় ভাঙ। হইবে কাজেই “আকৃসেপ তাস” ব্যবসাট। গুরুতর রকমের।

(১০) চল্তি হিসাবে খাতাপত্র রাখা বাজার হইতে মক্ধেলদের জন্য তাহাদের পাওন! টাকা উন্সুল কর আর মন্ধেলদের পক্ষ হইতে তাহাদের দেন! শুধির়! দেওয়। ব্যাঙ্কের এই শ্রেণীর কাজ। সংখ্যা এবং পরিমাণ হিসাবে এই কাজ খুবই বেশী, কেনন। প্রত্যেক মকেলের জন্য প্রতিদিনই এই ধরণের কাজ কিছু না কিছু সামলাইতে হয়ই হয়। ব্যাঙ্কের খাতায় প্রতিদিনই মন্ধেলদের জমাখরচের হিসাব চলিতে 'খাকে।

(১১) নোট ছাড়ার কাজ যে যে লোককে টাকা দিতে হইবে তাহাদিগকে নগদ টাক ন! দিয়া একট প্রতিজ্ঞাপত্র দেওয়ার নাম নোট আঁরি করা। আগেকার দিনে একাধিক ব্যাঙ্কের এই ক্ষমতা ছিল। কিন্তু প্রায় সকল দেশেই গবর্ণমেণ্ট এই ব্যবসাটা শেষ পর্যযস্ত কোনো একট] নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের একচেটিয়া কারবারে পরিণত করিয়৷ দিয়াছে। প্রতিজ্ঞাপত্র বা নোট জারি করিবার নিয়ন-কাঙন বিলাতে, জান্মমাণিতে এবং ফ্রান্সে পুথক পৃথক বাঙালী এই ব্যবসা একদম জানেই না। আর জানিবার সম্ভাবনাও আমাদের নাই। তবে এখন ভারতে রিজার্ড ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হইতে চলিল। এই হিড়িকে দেশের লোকের ভিতর নোট, কাগজী টাকা, নোট-ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্কের প্রতিজ্ঞা-পত্র ইত্যাদি সম্বন্ধে আলোচনা এবং তর্কপ্রশ্ন সুরু হইতেছে।

৩২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন

(১২) সওদাগরি মাল মাল চালানের রসিদ বন্ধক রাখিয়া মঞ্চেলকে টাক! দেওয়া চাষ আবাদের কসল সার্ধজনিক গোলায় ( ণ্ধন্নগোলায়” ) বন্ধক রাখিয়াও ব্যাঙ্ক চাষীদিগকে নগদ টাকা! দেয়। (১৩) এই ধরণের তৃতীয় বন্ধকি কারবার হইতেছে জমিজমার বন্ধকে টাকা দেওয়া সকল প্রকারের বন্ধকি রসিদই অন্তান্ত বাণিজ্য-চিরকুটের মতন বাজারে কেনা-বেচ। চলে আর এই কেনা-বেচার কাজও ব্যাঙ্কে করা হয়। এই সকল বিষয়ের চর্চা বাংলাদেশে কিছু কিছু সুর হইয়াছে। কিন্তু কাজ বেশী দুর অগ্রসর হয় নাই।

(১৪) রেল-কোম্পানী, শিল্প-কারখানা, বা এঁ জাতীয় কারবারের সঙ্ঞেরা বাজারে টাকা ধার করিতে চাহিলে তাহাদের হইয়! ব্যাঙ্ক কর্জজ চায় কিংবা এই সঙ্ঘের “শেয়ার” বেচিবার ভারও ব্যাঙ্কের লইয়া থাকে।

(১৫) বাজারে জনসাধারণের নিকট হইতে “কর্$” না চাহিয়া অথবা জনসাধারণের নিকট “শেয়ার" বেচিবাঁর চেষ্টা না করিয়া ব্যাঙ্ক গুলা খোদই কারবারী সঙ্বগুলাকে কর্জ দেয় এবং তাহাদের শেয়ার খরিদ করে। এই সব “এলাহি কারথানা” বাঙালীর পক্ষে সম্প্রত হ্বদূর ভবিষ্যতের কথা। ফ্রান্সেও সকল ব্যাঙ্ক এই সব দিকে মাথা! খেলাইভে সাহস পায় না। এজন্ত টযাকে টাকার জোর থাক] চাই খুবই বেশী।

(১৬) ষটক-এক্স্চেঞ্জে যত রকমের “কাগজ” লইয়া লেনাদেন! চলে, তাহার ভিতর নাক গু'জিয়৷ রাখাঁও ব্যাঙ্কের এক বড় কারবার। ্টক- বাজারের দালালদের সঙ্গে ব্যাঙ্কের ঘনিঠ সন্বন্ধ স্ষ্ট হয়। মক্কেলদের জন্য নানা প্রকার কাগজ কেনা বেচা করিতে করিতে ব্যাঙ্ক গুলাকে খানিকটা জুয়াড়ি হুইয়। পড়িতে হয়। ইহাতে ঝুঁকির পরিমাণ প্রচুর। বাঙালী ব্যাঙ্কের পক্ষে এই কারবার সম্প্রতি শ্বপ্লাতীত।

ব্যাঙ্ক গঠন দেশোম্নভি ৩৩

পুর্ব বনাম পশ্চিম

এখন কথা হইতেছে আমাদের আর ওদের তফাৎ কোন্ধানটায় ? আপনার! হয়ত বলিবেন “ওরা হুল পশ্চিমের দেশ, পশ্চিমের লোক, পশ্চিমা জাত--ওদের এসব সাজে | আর আমরা হলাম পুবের দেশ, আধ্যাত্মিকতার দেশ। ওর হল ছোট জাত, নেহাৎ ছোট, ওর কেবল টাকা, টাকা, টাক। এই লইয়াই থাকে আমাদের হইল মুনিখবির দেশ, আমরা পার্থিব চিন্তাকে ছোট কাজ বলিয়া মনে করি”। আপনাদেরকে পাণ্ট1 জবাব দিয়! ওরা বলে-_“তোর! হলি পুবের লোক, স্থয়েজের ওধারে ব্যাঙ্ক গড়া পাজে না। তুরস্ক, জাপান, ভারত--এর! ব্যাঙ্কের কোনো! কদর জানে না।”

এসব শুনিয়! কিন্ত আমাদের লোকেরা চটিয়! লাল। এ'রা বলেন £-_ "বটে রে! তোরা হলি অতি ছোট জাত, কতকগুলি টাক। জমাইয়াছিম্‌ বই তো নয় টাকাকে বদি ভাল বলিয়া জ্ঞান করিভাম, তবে আমরাও জমাইতে পাপ্জিতাম আমাদের ঠাকুরদাদারাই তো বলিয়া গিয়াছে “অর্থমনর্থং” আমাদের এইটা হইল মুনি-খধি-মহাত্মা-সন্্যাসী-স্বামী- বাবার দেশ। পশ্চিমের জাতগুলোর আমরা হহলাম গুরু উহাদের শিক্ষার ভার লইবার জন্ঠইতো আমাদের পয়দা] | উহাদেরকে আধ্যাত্মিকতা শিক্ষা দিব আমরা, উহাদের টাকা শেষে আপনাআপনি আমাদের পায়ে আসিয়। লুটাইবে, কেননা! আমর। হইতেছি প্আধ্যাত্মিক” ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই সকল বাক্যের লড়াইয়ে ধাহার বাহার ইচ্ছা! মাতিয়! থাকুন। আমার কোনো আপত্তি নাই। কিন্ত প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বলিয়! কোনো কথা আমি বিশ্বাস করি না। এই ছুই আসলে এক জিনিষ। কেবল-

৩৪ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

চে ছি টিন পল শপ লা শসা লস ওর পাস রসি সি রস লস প্রি সরস রসি উরি

মাত্র আগু-পিছু প্রভেদ। জাতের, ধর্মের, রক্তের, আদর্শের কোনো তফাঁৎ নাই। আমি বুঝি কেবল লোকগুল! পয়লা, দৌস্রা কি তেস্র। ইত্যাদি। বাজারে আলু পটোল দেখিয়া যেমন বলিয়। দেওয়া যায় কোন্টা পয্ললা, কোন্টা দোস্রা, কোন্টা তেস্রা নম্বরের, তেগ্মি ব্যাঙ্কের দ্বারাও জাত বাছাই হয় কেউ আগে, কেউ পরে। পূরবী বনাম পশ্চিমা নামক সমন্তা খাড়া করা আমার মতে আহাম্মক যদি পশ্চিমেও কতকগুলি নরনারী বা নরনারীর দল আধ্যাত্মিক থাকে, তাহা হইলে এই পুরবী পশ্চিমার পার্থকাটা টেকে কি? যদি পূর্বেও পশ্চিমের মৃত কেউ ব্যাক্কে যায় ব1 কেউ বীমায় যায়, তাহা হইলে বুঝিতে হইবে যে, কি পূর্যে, কি পশ্চিমে ছুই ছুনিয়াতেই লোকেদের গতিবিধি একই প্রকারের। সভ্যতার পথ, জীবনের চলাফের৷ ইত্যাদি সম্বন্ধে আক!শ- পাতাল প্রভেদ আবিফার করা অসম্ভব।

ইতালি ভারত

আর এককথা। ইয়োরোপ বলিতে কেবল জান্মীণি ইংলগুকেই বুঝায় না। ধরুন না, এই ইতালির কথা দেশের লোকেরা তো পশ্চিমের একটা বড় জাত। কিন্তু তাহা হইলে কি হয়? এই ইতালিয়ানরা একেবারে ভারতবাসীর মাসতুতু ভাই। উহাদের ভার্জিল আমাদের কালিদাস। উহারাও যেমন ভার্জিল-সাহিত্য লইয়। গর্ব করিতেছে, আমরাও তেমনি আমাদের কালিদাঁসকে সপ্তমে চড়াইয়াছি।

এই যে ইতালি, যাহার রাজধানী রোম্»--“রোমেশ্বরে! বা জগদীশ্বরো! বা” সেই রোমে আজ কি দেখিতে পাই ? ম্যালেরিয়া রোমকে গ্রাস করিতে বসিয়াছে। কোনো ইংরেজ যদি রোমের যে-কোনো বাড়ীতে বাস করিতে পারে, তবে তাহাকে নিশ্চয়ই বাহাদুর ছেলে বলিতে হইবে

ব্যাঙ্ক গঠন দেশোন্নতি ৩৫

ক্লোরেন্স ইতালির আর একটা বড় সহর। এইটি আর আমাদের কাশী ঠিক যেন এক ছ'চে ঢাঁল1।

আপনারা! সকলেই হ্বেনিসের নাম শুনিয়াছেন। হেবনিসের মত রম্য সহর আর নাই--এইতো আপনাদের ধারণা। কি জুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্ঠ, কি মনোরম রেণেসাসের াচে গড় ঘরবাড়ী--যেন ছবি ! খালের ধারের এক একটা প্রাাদ যেন এক একটা তাজমহল 1 কিন্তু সব বাড়ীগুলির অবস্থা কিন্ধপ শুনিবেন ? হুগলীর ধার দিয়! গঙ্গার ঘাটে কতকগুলি বাড়ী অ|ছে না-_বাহ! আমাদের ঠাকুরদাদারা করিয়া গিয়াছে? চুন-শুরকী খপিয়া পড়িতেছে, নাতিরা আর তাহার জীর্- সংস্কার করিতে বা তাহার চাইতে বেশী কিছু করিতে পারে নাই। হেবনিসের এই সব বাড়ী থেন এক একট! প্রত্বতত্বের গবেষণাগার ! অর্থ কবরের মুন্ুক ! এখনে তাজা প্রাণবান মাল বিরল টুরিষ্টদের বরাদ্দ এখানে আড়াই রাত !

একবার ইতাপির কোনো এক সহরে এক জমীদার ভদ্রলোকের অতিথি হইয়াঞিলাম। আমি তাহাকে বলিলাম, “আমার কিছু টাকার প্রয়োজন আমার একখানা চেক আছে, তুমি এইট। রাখিয়া তোমার কিছু লিয়ার দাও।” এই ভদ্রলোকটি আবার একজন খ্যাতনামা অস্ত্র-চিকিৎসক ! চাঁর চারট! ভাষা তাহ।র দখলে-_জার্ম্ি।ণ, ইতালিয়ান, ফরাসী, উংরেজী। নিজে আবার অধ্যাপকও বটে। ইহা ছাড়া আরও যতরকম গুণাবলী থাক] দরকার, তাহ! ই'হ।র নাছে। তিনি চেকখান! দেখিলেন। সেটা স্ুইট্সারল্যাণ্ডের এক ব্যাঙ্কের, আর জান্নীণ ভাষায় লেখা তিনি জিজ্ঞানা! করিলেন, “আমাকে কি করিতে হইবে ?” আমি বলিলাম “আমাকে লিয়ার দাও। মাত্র আমার ৭৫২ টঙ্ছ! দরকার ।” লোকটি আবার আমার বন্ধু--এক্সি ধারে চাহিলেও পাইতাম, কিন্ত মনে করিলাম

৩৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া! পত্তন

০০০০০১০৯৯৪০

সি পর পপি স্পট প্র সপ জ্ী উসপপএ

চেক যখন আছে, তথন এটা ভাঙ্গাইয়াই লওয়া যাইবে। যাক্‌, তিনি বলিলেন, “এই চেক লইয়া আমিকি করিব”? বলিতে কি, তাহার মত অত বড় শিক্ষিতকেও আমায় বুঝাইতে হইল তিনি চেক দিয়া কি করিবেন! কিন্তু ছূর্ভাগ্যক্রমে শেষ পধ্যস্ত তাহাকে কিছুতেই চেক লইতে রাজী করিতে পারিলাম না। তিনি বলিলেন, “ধরুন, যদি ব্যাক্কটা উঠিয়াই যায়!” এই তো ইতালির অবস্থা অবপ্য সকল ইতালিয়ান পণ্ডিতই এমন হুসিয়ার, এরূপ ভাবিবার কারণ নাই।

০চ০কৈর চলন

আমার বক্তব্য হইতেছে যে, কেবল বাংলা দেশই ছুনিয়ার একমাত্র দেশ নয়, যেখানে লোকেরা ব্যাঙ্ক বাচেক বোঝে নাঃ পরস্ত স্ময়েজের ওপারেও ঠিক এমনি দেশ আছে--সেইটি হুইতেছে, মহাকবি ভার্জিলের দেশ। চেক জিনিষটা ইতালির জনসাধারণ বোঝে না--হয়ত দশ বিশ জন, হুশ” পাঁচশ” লোকে জানে বা বোঝে কিন্তু জাতকে জাত বস্তটা! বোঝে, একথা কোনে! মতেই বলা চলে না বা হ্বীকার করা যাইতে পারে না। তাহার অনেক পরিচয় আমি ইতালির পল্লীতে সহরে পাইয়াছি। দশ বিশজন হয়ত বা ব্যাঙ্কে টাকা রাখিল বা ব্যাঙ্কের সঙ্গে লেন দেন! চালাইল, কিন্তু জাতকে জাত ব্যাঙ্কে টাকা জম! রাখে--এমন জিনিৰ ইতালিতে এখন পধ্যস্তও সম্ভব হইয়1 উঠে নাই

জার্্মাণ দেশটাতেই এই মাত্র পচিশ ত্রিশ বছর হইতে চেক চলিয়া আসিতেছে যুদ্ধের পূর্ব্ব পর্য্যন্ত এমন কি ইংলগ্ডেও চেকের চল বড় বেশী ছিল না। শুধু গ্রাচ্যেই ইহার একমাত্র অভাব পরিলক্ষিত হয়, এইক্ধপ ভাবিলে আমাদের উপর অবিচার করা হইবে। পোল্যাণ্ড, বুলগেরিয়া, রুমাণিয়! প্রভৃতি ইয়োরোপের অনেক দেশে এখনও চেকের চলন হয় নাই

ব্যাঙ্ক গঠন দেশোন্নতি ৩৭

পশ্চিম! গ্রীষ্টিয়ানদের অনেকেই আমাদের পূরবী হিন্দু-মুসলমানের অবস্থায়ই রহিয়াছে

জার্পাণ ব্যাক্কের জ্িশ বসর

এইবার আরও গুরুতর কথ! বলিব। এক সময়--সে বড় বেশী দিনের কথা! নয়-_এই ব্যাঙ্ক কথাটা ইতিহাসেই ছিল না, ইয়োরোপে ব্যাঙ্কবস্ত দেখ! যাইত না। জার্্মাণির কথা বলিলেই বেশ পরিষ্কার বুঝা যাইবে জাশ্বীণিতে-যেখানে কিনা আজ প্রকাঁও প্রকাণ্ড ব্যাঙ্ক দেখিতে পাইতেছি-_সেখানে ব্যাঙ্কগুল! মাত্র সেইদিন গড়িয়া উঠিয়াছে। আঁজ জান্মাণিতে অনেকগুলি “ডে” ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত দেখিতে পাইতেছি। *ডি” (যাহার জান্মাণ উচ্চারণ হইতেছে “ডে”) অক্ষর দিয়া যে সকল নাম মরু হয়, সেইগুলিকে বলে “ডে” ব্যাঙ্ক এইগুপির একটু আশ্চর্যয- রকম ইতিহাস রহিয়াছে ইহ বুঝিতে হইলে ১৮৭* লনে ফিরিয়া যাইতে হয়।

১৮৭* সনে এমন কোনো ব্যাঙ্ক জাশ্মীণিতে ছিল না! যাহার কিন! আর একটি মাত্র হ্বতন্ত্র শাখা-আফিসও ছিল এই সময় “ড্যয়চে বাক্কে”র পর্য)স্ত মাত্র একট1 আফিসছিল। এই যদি ১৮৭* সনের জার্াণি হয়, তাহা হইলে তাহাকে প্রাচ্য ন! প্রতীচ্য বলিব? সেই যুগেবড় বড় ব্যাঞ্চগুলার সমবেত মূলধন ছিল মাত্র আট কোটি টাকা ১৮৭* থেকে ১৮৯৫ পধ্যন্ত পঁচিশ বছরে মূলধনের দৌড় ত্রিশ কোটিতে গিয়া পৌছাইয়া- ছিল। ইহা! হাতী-ঘোড়া এমন কিছু নয়। আজকালকার ভারতবাসীর পক্ষে ইহা! কল্পনা করা আর নেহাৎ অসাধ্য নয়। ১৯** সন পর্য্যন্ত ত্রিশ বৎসরের মধ্যে লগুন সহরে একটা শাখা স্থাপন করিবার সাহস প্ড্যয়চে বাঙ্ক" ছাড়া আর কোনো! জাম্মাণ ব্যাঙ্কের হয় নাই। তাহা

৩৮ নয়৷ বাঙলার গোড়া পত্তন

ছাড়! ১৮৭০-১৯*৫ এই সময়ের মধ্যে কেউ ব্যাঙ্ককে টাকা ধার দিত ন1। কোনো ব্যাঙ্ক এই যুগে চেক চালাইতে সাহুসী হয় নাই

এই জাশ্শাণি আজ ছুনিয়ার এক সেবা দেশ। কিন্তু ইহার এই ৩৫ বছরের জীবনের সাথে তুলনায় বাঙালী-জীবনে কোনে! তফাৎ দেখা ধায়কি? কিছুই না। “অর্থমনর্থং” গ্রীষ্টায় সাহিত্যেও যথেষ্ট রহিয়াছে জান্দীণ সমাজেও আজ পয্যস্ত ব্যবসা করা একট! হীন কাজ। জুতা মেরামত করা একটা বড়-কিছু বিবেচিত হয় না বীহারা ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, তাহাদের সঙ্গে জান্দীণির কুলীনর। সামাজিক বন্ধন রাখেন না বিবাহাদি দেন না। বিলাতী সমাজেও এমনিতর ধারণা কিছু-কিছু আছে। তবে সর্বত্রই কিছু-কিছু “সমাজ-সংস্কার” এখন দেখা যাইতেছে।

এই পঁয়হিশ বছরের ঘটন! ভাবিয়া! দেখিতে গেলে কি দেখা যায়? এই পঁয়ত্রিশ বছরে যেমন “খোকা হাটে পা প” ঠিক তেম্ি আন্ডে আস্তে পা! ফেলিয়া! ফেলিয়া! জার্শাণ জ।তট1 অগ্রসর হইয়াছে একদিনেই ইহাদের এই বর্তমান বিপুল কারবার, ব্যাঙ্ক-সজ্ব ফুলিয়া উঠে নাই যদি জান্মীণির অবস্থা বছর প্াশেক আগে প্রায় আজকালক।র বাঙালীর মতনই হইতে পারে, তাহা হইলে প্রাচ্যে প্রতীচ্যে প্রভেদটা কোথায়? এই বিগত পঞ্চাশ বছরের পেছনে তাকালে দেখিতে পাই, ইয়োরোপেও এমন যুগ গিয়াছে, যে যুগে দূর্বলতা, অক্ষমতা উহাদেরও মজ্জাগত ছিল।

যাক, আর প্রাচ্য-প্রতীচ্যের মামলায় সময় কাটাইতে চাহি না। এখন দেখিতে হইবে, কেমন করিয়া আমাদের জাতট! ব্যাঙ্ক-প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলায় কর্ম্দক্ষ হইতে পারে জান্মীণি এই পঞ্চাশ বছরে বিপুল বিপুল ব্যাঙ্ক গড়িয়া ভুলিয়াছে বলিয়া আমরাও পারিব না কেন--তাহ লইস্রা মাথা! গরম করিবার দরকার নাই। আন্তে আস্তে ধীরে ধীরে

ব্যাঙ্ক গঠন দেশোম্নতি ৩৯

আমাদের অগ্রসর হইতে হইবে আমরা আজ একদম শিশু | একথা ্বীকার না করিয়া লইলে লোকসান ছাড়। লাভ নাই।

ব্যাঙ্ক-প্রতিষ্ঠানের একনম্বর কথা হইতেছে অংশীদারদের মূলধন (শেয়ার ক্য।/পিটাল )। ছুই নম্বর ব্যাঙ্কের শাখা-স্থাপন। তিন নম্বর হইতেছে চেক। উদ্ভিদতত্ব জান! থাকিলে গাছের পাতা! বা শিকড় দেখিয়া যেমন বলিয়া দেওয়া যায়, এইটা কি গাছ, জীবতত্বজ্ঞ যেমন একথান! ছাড় দেখিয়া বলিয়া দিবে এইটা অমুক জানোয়ারের ছাড়, তেয়ি শেয়ার ক্যাপিটাল দ্রেখিম্না বল! যাইতে পারে, ব্যাঙ্কটা কি অবস্থায় রহিয়াছে। ব্যাঙ্কের শাখ! দেখিয়! বল] যাইতে পারে, ব্যাঙ্ক উন্নত শ্রেণীর কিন!। জাশ্মীণি তাহার বর্তমান অবস্থায় আসিতে আধা শতাব্দী লইয়াছিল।

১৮৭০ সনের করা সী ব্যাঙ্ক

বছর পঞ্চাশেক আগে ফ্রন্স কি অবস্থায় ছিল? ফ্রান্সে জাশ্মীণিতে এই সময় একটা যুদ্ধ হয়। সেই হইতে ফ্রান্সে নব যুগের স্ষ্টি। সময় ফ্রান্সের তিরাশীটা “দেপাত্ম 1” বা জেলার ভিতর মাত্র উনিশটাতে ব্যাঙ্ক ছিল। এইটা হইতেছে ১৮৭০ সনের কথা। কেবল মাত্র উনিশটা জেলায় ব্যাঙ্ক আবার প্যারিসের মতন পাঁচ ছয়ট! বড় সহর ছাড়া আর কোনে! সহরে একাধিক ব্যাঙ্ক ছিল না।

আর এক পা পেছনে দৃষ্টিপাত করিলে কি দেখিতে পাই? ১৮৪৮ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় “কতোআর দেস্কৎ”। এইটাই ফ্রান্সের প্রথম "আধুনিক” ব্যাঙ্ক কিন্তু আধুনিকতা! ফরাসী সমাজে শিকড় গাড়িতে সমর্থ হয় ১৮৭৯ সনের ছিড়িকে। ১৮৪৮-১৮৭০ যুগ যেমন ইয়োরোপে, প্রায় তেম্ি হইতেছে ১৯*৫-১৯২৫ আমাদের এই বাংলায় বা ভারতে

৪৩ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

১৯২৬ সনের বাণী

আমরা এই বিশ বৎসরে বেশী দূর অগ্রসর হইতে পারি নাই। আমাদের কৃতিত্ব যারপর নাই ছোট দরের। আজ ১৯২৬ সন। আজ কি দেখিতে পাই? জগৎ অনেকখানি অগ্রসর হইয়। গিয়াছে বুবক- ভারত আসিয়। ঠেকিয়াছে অল্প দূরে মাত্র। চোখের সাম্নে, এই ধরুন বিলাতী লেবার পার্টির কথা। বিশ বছর আগে ইহার কথা কেহই জানিত না--লেবার পার্ট বলিয়া এমন কোনে! জিনিষই ছিল না। আজ এই বিশ বছরের চেষ্টায় তাহ! গোটা দেশের শাসন কাজে তাহাদের মধ্য হইতে একজন প্রধান মন্ত্রী পথ্যত্ত নিয়োগ করিতে পারিয়াছে। আর ছুনিয়ার সর্বত্রই মজুর-রাজ ন! হয় মজুর-ঘে'স। দলের রাজত্ব চলিতেছে ১৯০৫ সনের যুগে ইয়োৌরোপের বিকার-গ্রস্ত নরনারীও এসব কল্পনা করিতে পারিত না। কিন্তু আমরা ভারতে ১৯*৫ সনের পর হইতে এতখানি অগ্রসর হইয়া আসিতে পারিয়াছি কি? পারি নাই। যাক্‌ সে কথা।

আমাদের জাতটাকে আমরা নূতন করিয়া? গড়িয়া তুলিতে চাই। হেগেল, ম্যাক্সমুূলার ইত্যাদি পণ্ডিতের মতন পাপী আর নাই। তাহারা তাহাদের মন-গড়া দর্শন দিয়া ভারত-সন্তানকে ভারতীয় চরিত্র সম্বন্ধে অসংখ্য বুজরুকি শিখাইয়াছেন সেই পাপ বাংলার মগজ হুইতে ঝাড়িয়া বাহির করিয়! দিতে হইবে। ইহারাই প্রাচ্য-প্রতীচ্যের ব্যবধান সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু পুরবই বা কোথায় আর পশ্চিমই বা কোথায় ? পূরব-পশ্চিমের মধ্যে তো মাত্র পঞ্চাশ-ষাট বছরের তফাৎ

এখন কথা হইতেছে, আমরা এই পঞ্চাশ বছর দখল করিতে পাৰিব কি? ভারতে অনেক বড় বড় যুগ চলিয়া গিয়াছে মৌর্ধা-চন্ত্রগুপ্তের যুগ, মারাঠা-মোগলদের যুগ। সেসব আজ “সেকেলে” কথা আবার

ব্যাঙ্কর গঠন দেশোক্নতি ৪১

১৯০৫ সনের শ্বেশী যুগ কিন্তু ১৯০৫-২৫ এইটাকেও আজ প্প্রাগৈতি" হাসিক যুগ” বলিতে চাই। ইহাকে “সেকেলে,” মান্ধাতার আমল, প্রত্ুতত্বের যুগ বলিতে চাই। ইহার মোহে অন্ধ হইয়! থাকিলে চলিবে না। চাই জীবনের বাড়তি, চাই নবীন জীবনবত্ত।।

ছুনিয়ার ১৮৬০-১৮৭* সনের কোঠায়ই আমরা ভারতে আজও রহিয়াছি। কথাটা বিনা গৌঁজামিলে শ্বীকার করা কর্তব্য আমর! কতখানি পশ্চাৎপদ্দ তাহা একটা কথা বলিলেই মালুম হইবে ১৮৭০ সনের যুগে প্রাথমিক শিক্ষ। ছুনিয়ার সকল সভ্যদেশে সার্বজনীন বাধ্যতা- মূলক হয়, যাহ! কিন! ভারতে বর্তমানেও নাই আর এই যে বিলাতী, ফরাসী, জান্মীণ ব্াঙ্কগুলার কথা বল! হইল, সে সবও ১৮৭* সনের এ-পিঠে আর ও-পিঠে মাথা খাড়া করিয়াছে

যুবক বজের নবীন সাধন!

আমাদের আজ ছোট হইতেই কাজ আবস্ত করিতে হইবে। বাংলায় যে দেড়শ-ছু'শ "লোন আ'ফিস* আছে, তাহার্দিগকে খাঁটি ব্যাঙ্কে পরিণত করিতে হইবে ১৯২৬ সনের যুবক-বাংলার পক্ষে এই হইতেছে অন্যতম বিপুল সাধনার ক্ষেত্র আমাদের গো্ট। জাতের নিকট এই এক বিরাট সমস্যা এই সব লোন-আফিসকে খাটি ব্যাঙ্কে পরিণত করার পর কলিকাতার কোনো কোনে সেপ্টণল আফিসে এই প্রতিষ্ঠানগুলাকে কেন্দ্রীভূত করা৷ আমাদের দ্বিতীয় সমস্ত। ইহার ফলে গোটা বাঙালী জাতের ধনশক্তি কতকগুলা বড় বড় ঘাঁটিতে জমাট ধাধিয়া উঠিতে থাকিবে আর সেই ধনশক্কির সাহায্যে নরনারীর আিক উন্নতি সাধন করা এবং নতুন নতুন পল্লী-সহর গড়িয়া তোলা হইতেছে আমাদের নবীন জীবন-দর্শনের প্রাথমিক বনিয়াদ

৪২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ংল্লাদেশে বাঙ্গীলীর তাবে আধ-কোটি বা কোটি টাক! মূলধনের ব্যাঙ্ক অল্পকালের ভিতরই গড়িয়! 'উঠিতে পারিবে বলিয়া! আমার বিশ্বীস। মফঃস্বলের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সমন্বয়ে এক একট! “কেন্ত্রীরূত” ব্যাঙ্ক গড়িয়। উঠিবার সম্ভাবনা! আছে | বিলাত, জান্মাণি, আমেরিকা ইত্যাদি দেশের ব্যাঙ্ক-গঠন গত শতাব্দীতে ধাপের পর ধাপে যে-প্রণালীতে উঠিয়াছে, ভারতেও মেই গ্রণালীরই দিগৃবিজর দেখিতে গাইব। বাঙ্গালীর আঁধিক খডিজ্ঞত! পাকিয়া উঠিতেছে। যুবক-বাংলাকে অনতিদূর তবিস্বাতে বড় বড় গু'জিওয়ালা ব্যাঙ্ক পরিচালনার দায়িত্ব লইতে হইবে। সম্প্রতি এই বিষয়ে আর কিছু বলিতে চাই না। তবে শুধু একটা প্রস্তাব করিব। বাংল! দেশে আজকাল ব্যাঙ্ব- ববসায়ে অন্ততঃপক্ষে হাজার চার পাঁচ লোক লাগিয়া! আছেন। কেরাণী হিসাবে, ম্যানেজার হিসাবে, খাতাপত্রের পরীক্ষক হিসাবে, আর ডিরেইর হিসাবে এতগুলি বাঙালী ব্যাঙ্ক লইয়া ঘাটাঘাটি করিতেছে এই সকল অভিজ্ঞতাওয়ালা লোকের বাধিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্তক। মফঃম্বলের কোনো কোনো কেন্দ্রে অথবা কলিকাতায় তাহারা মাঝে মাঝে সম্মিলিত হইতে থাকুন। বাঙালী ব্যাঙ্কের বর্তমান অবস্থা আর তাহ উন্নত করিবার উপায় সম্বন্ধে কর্মদক্ষ চিন্তাদক্ষ লোকেরা মিলিয়। মিশিয়া পরামর্শ করুন। "বঙ্গীয় বাঙ্ক-সঙ্ঘ” নামে একট! গ্রতিষ্ঠান এই আয়োজনের দায়িত্ব লইতে পারে।

ব্যাধি-বার্থক্য-দৈব বীমা * ভারতবাসীর মাথার থা

আমার কথা অতি সামান্ত, আর বলিবার জিনিষও মাত্র একটা ডাইনে বীয়ে, “ঝালে ঝোলে অন্বলে” যেদিকে যাই, ঘুরিতে ফিরিতে সামনে” পিছনে সেই এক জায়গায় গিয়া পেীছি। যদ্দি কেহ আমাকে গভীর দর্শন সম্বন্ধে বক্তৃতা করিতে বলেন, আর সে বিষয়ে আমার যদ্দি কোনে? দখল থাকে, তাহা হইশেও ঠেকিতে ঠেকিতে সেইখানে গিয়াই পেশীছিব।

কথাট। এই, আমরা আজকাল আছি কোঁখায়? আমাদের দেশটা ঠিক কোন্‌ অবস্থ/য় রহিয়াছে? এইট] জরিপ করা আমার ব্যবসা এজন্ত আমাদের দেশের লোকের মাথাটা এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়টাও জরিপ করা আমার কাজ। মাথার বাহিরের দিকৃট| মাপা যায়, আর. ভিতরটাও মাপ। যায় মাথার বাহির লইয়া কারবার সাধারণতঃ আমি করি না। ভিতরটাতে, মগজের মধ্যে ঘধী কতটা আছে, আমাদের মাথায় কতটা আছে, জাশ্মাণ, ইংরেজ, মাকিণ ইহাদের মাথায়ই বা কতটা আছে, এই সব মাপাজোপা৷ আর তুলনা কর! আমার পেশার অন্তর্গত।

মাঝে মাঝে অতীতের কথাও বলিয়া থাকি সেকেলে গ্রীস, রোম, চীন, ভারত, পারন্ত ইত্যাদি নানাদেশ সম্বন্ধে সালোচনা করিয়৷ থাকি। তাহাতেও প্রশ্ন একই গ্রীকই হউক, হিন্দুই হউক, খুষ্টানই হউক আর; মুসলমানই হউক, তাহাদের মাথায় ঘা কতট! ছিল? তাহ! মাপিবার জন্য কতকগুলি বিশেষ্য বিশেষণ ব্যবহার করা আমার রেওয়াজ নয়, রেওয়াজ

* জাতীয় শিক্ষা পরিষদের তত্বাবধানে প্রদত্ত (ফেব্রুয়ারি ১৯২৬) বক্ত তার শর্টহযাও বিবরণ শ্রীযুক্ত ইন্্রকুমার চোধুরী শর্টহাণ্ড লই়াছিলেন।

৪8৪ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

কতকগুলি বস্ত আবিষ্কার করা! আর তাহার সাহায্যে মাথার ভিতরকার খী সঙ্গে সঙ্গে হদয়টা পাকড়াও করিবার কৌশল উদ্ভাবন করা এই হইতেছে আমার একমাত্র আলোচনার বিষয়

অতীতই হউক আর বর্তমানই হউক, এই ঘী মাপামাপির কারবারে আক্ষ্য আমার নিদ্দি্। কি তব-হিসাবে, কি আলোচনা-প্রণালী-হিসাবে, সকল হিসাবেই আমার একমাত্র ধ্যের--ভারতবর্ষ।

বর্তমান জগতের নানা স্তর

ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে কথা! বলিতে গিয়। বর্তমান যুগটাকে আমি চার ভাগে ভাগ করিয়াছি £--(১) ১৮৪৮-৭৫ খৃঃ 3 (২) ১৮৭৫-১৮৯৫ খু ) (৩) ১৮৯৫- ১৯০৫ খৃঃ ৩) ১৯০৫-২৫ খুঃ। দেখিতে হইবে আমরা এখন ইহার কোন্‌ জায়গায় আছি। আপনারা বলিবেন “আমরা পূর্বের লোক আমাদের ল্যাটিচিউড অত, আমাদের লঙ্গিচিউড অত” ইত্যাদি। আমি বলিতেছি আমরা পূর্বেরও নই, পশ্চিমেরও নই আমরা আছি কোন কট? বিশ্বব্যাপী সিঁড়ির নির্দিষ্ট ধাপে আমরা! ছুটিয়! চলিয়াছি, জগতের (লোকও ক্রমাগত ছুটিয়া চলিম্বাছে। চলিতে চলিতে দেখি, কেহ পিঁড়ির ৪র্থ ধাপে, কেহ ৩য় ধাপে আপিয়া পৌছিয়াছে। আমরা যেখানে আসিয়া পৌঁছিয়াছি সেট। ১৯২৫।২৬ সালের ধাপ নয় এমন কি ১৮৭* সালের খাপও কি না! সন্দেহ আছে বোধ হয় কোন কোন দফাঁয় আমরা ১৮৪৮ সনের ধাপেই আছি কড়াক্রান্তিতে হিসাব করিয় দেখিলে মনে হইবে যে, হয়ত আমরা ১৮৭* সনের আগে কি পরে, ডাইনে কি বায়ে কোন একট! জান্গাঁয় অ(সিগ্া দাড়াইয়াছি। এই হইল ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে আমার কথা

ব্যাধি, বার্ধকা দৈব বীমা ( বীমা_বোম! নয় ) এই তিনটি সম্বন্ধে আলোচনা করিলেও আমর! বেশ জানিতে পারিব আমরা ঠিক কোথায়

ব্যাধি-বার্ধক্য-দৈব বীমা ৪৫

আছি। আপনারা প্রথমেই বোধ হয় শ্বীকার করিবেন, বীমা জিনিষ আমাদের দেশে নাই। ব্যাঙ্ক আছে। বীমা নাই। একথা বলিলে হয়ত মিথ্যা কথা বল! হয়, কেনন। শ্বদেশী আন্দোলনের সময় বীমা বস্ত কিছু কিছু হইয়াছিল। তাহার পর হইতে বীমা-প্রথ! বাড়িয়াই চলিয়াছে। কিস্ত আমি যে দরের বীমার কথ! বলিতেছি, সেইটি ভারতের ভ্রিসীমানায় নাই। এই দিক্‌ হইতে যদি আ.লাচন। করি তাহা হইলে আমরা কোথায় আছি তাহা সহজেই ধরা পড়িয়! যাইবে আজ সে হিসাবে আলোচন! করিব না, অন্তান্ত তরফ হইতে মাত্র কয়েকটী কথ! বলিব

ব্যাধি, বাদ্ধক্য আর দৈব এই তিন বাম! তিন ম্বতস্ত্র বস্ত। একটার সঙ্গে আর একটার যোগ নাই। এই জ্িনিষগুল। কি তাহাই বিশ্লেষণ কর! আমার বিশেষ উদ্দেশ্য

স্বদ্দেশ-সেবা কাহাকে বলে?

১৯০৫ সনে বখন লড়াই হয়, রুশ-জাপানী লড়াই, তখন আমরা “জন্ম গ্রহণ” করিয়াহি বা করিতেছি। যুবক-ভারত জন্মগ্রহণ করিয়াছিল তখন অনেক কণা শুনিয়াছি শুনাইয়াছি, শিখিয়াছি ও- শিখাইগাছি। তারপর আজ একুশ বৎসর চলিয়া গিয়ছে। শুনিতে পাই, জাপানীদের মতন ম্বদেশ-সেবক জাতি পৃথিবীতে কম। ম্বদেশী বক্তৃতা করিতে হইলে আমরা আগে জাপানের দৃষ্টান্ত দিই। বিদেশী জাতিকে সম্মান করা নিন্বনীয় নয়। কিন্তু বিষয়ট। তলা ইয়! দেখা দরকার জাপানে গিঘ্নাছি সেই লড়াইয়ের অনেকদিন পরে।

্বদেশ-সেব! বস্তটা কি আমরা বেশ জানি, অন্ততঃ পক্ষে ১৯০৫-১৪ সন আমার বেশ জানা আছে। এই বৎসর দশেক ধরিয়া আমাদের এই ধারণ! ছিল যে, যে শ্বদেশ-সেবক সে ন! খাইয়া মরিবে, তাহার ঘরে হাঁড়ি

৪৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

চড়িবে না, হয়ত চড়িবে একবেল1। ছবেলা জআচানো, তাহার কপ।লে লেখা নাই। তাহার রোজগার করিবার ক্ষমতা আছে, কিন্তু সে রোজগার করিবে না। ম্যালেরিয়ায় ভুগিতেছে তবুসে কাজ করিতেছে ইত্যাদি ইত্যার্দি ধারণ! আমাদের আছে এবং ছিল। এইট কয় বৎসরের খবর বাহার! রাখেন তাহারা জানেন যে, বাংলায় হাজার হাজার না! হউক অন্ততঃ শত শত লোক ছিল, যাহার! বাস্তবিকই এক, ছুই বা আড়াই বৎসর এরূপভাবে চলিয়াছে। চিরকাল চলিয়াছে তাহা বলি না।

জাপানের শ্বদেশ-দেবক রাষ্ট্র

তারপর জাপানে গেলাম তার আগে বিলাতে গিঘ্বাছি। ইংরেজদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দেখাশুনা করিয়াছি,ঞ্খাপানীদের সঙ্গে সেইরূপই করিয়াছি। 'পরে ফরাসীদেশে গিয়াছিঃ জান্মীণিতে গিয়াছি ইত্যাদি। আমাদিগকে 'অতি অপদার্থ জাতি বলা হত্র ; আমরা শ্বদেশ-সেবক জাতি নই, আমাদের কর্তব্যজ্ঞান নাই, খন তখন আমাদিগকে এইরূপ তিরস্কার করা হইয়া 'থাকে। কিন্ত নিজ চক্ষে কি দেখিয়া! আসিলাম ?

জাপানের প্রথম কথা-রাষ্ট্রশক্তি। ইংরেজ, ফরাসী মার্কিণের প্রধান কথা রাষ্্রশক্তি। শ্বদেশ-সেবা কোথায়? ওসকল দেশে শ্বদেশ- 'সেবক কৈ? জাপান, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইংলগও» জার্মানি সর্বত্র দেখিলাম,-স্বদেশ-সেবা বলিতে আমরা যাঁহ। বুঝি, সে দরের হ্বদেশ-সেব সে সকল দেশে নাই। কাজ করিব আর না থাইয়া৷ মরিব, ৫1%।১* বৎসর ধরিয়া এইভাবে জীবন সমর্পণ করিতে হইবে,_-এ ধারণা, রকম কার্য্য- প্রণালী সেখানে দেখি নাই। তাহ! হইলে ওসব দেশ কি করিয়! চলিতেছে? আপনারা বলিবেন--”"এত বড় লড়াই চলিল, লক্ষ লক্ষ লোক প্রাণ দিল তাহার] হ্বদেশ-সেবক নয়!” আমি বলি--ঢাকের

ব্যাধি-বার্ধক্য-দৈব বীমা ৪৭

বাজানার সঙ্গে তালে তালে প! ফেলিয়া অসংখ্য লোক যখন এক সঙ্গে মাতোয়ারা হইয়া ছুটিয়া চলে, তখন এমন কেহ থাকেনা যে মৃত্যুর কথ। ভাঁবিতে পারে যাহ! হয় হউক এই ভাবিয়া তাহার! হুজুগে ছুটিয়। চলে তাহারা ভাবে “আমি গেলাম, না হয় লড়াইয়ে মরিতে। আমার স্ত্রীপুত্ পরিবার, বাপণাদা, মাপীপিসা ইচ্থাদের ভার একজন লইতেছে ?”

মহাভারতের আদর্শ

মহাভারতেও প্রশ্ন, সমন্তা উঠিয়াছিল। অমুক রাজাকে কোন খষি জিজ্ঞাসা করিতেছেন," মহারাজ, এই যে লোকেরা লড়াইয়ে যাইতেছে, ইহারা মালে ইহাদের পরিবার-প্রতিপ।লনের দাদ্দিত্ব লইয়াছ ?” এইখানে কথা এই, যাহার! যুদ্ধে যায় তাহাদের পরিবারের ভরণপোধণ করে রাষ্ট্রী। যুদ্ধে এক লক্ষ কি বিশ পচ্শি হাজার জাপানী শ্রেণীবদ্ধভাবে জুতো পায়ে, মদ খাইয়া সঙ্গীত গাহিয়া চলিল। কারণ তাহার! জানে যাহারা তাহাদের উপর নির্ভর করিতেছে, তাহাদিগকে, যাহারা দেশে রহিল তাহারা প্রতিপালন কবিবে। কাছেই তাহাদের ভাবন। নাই। জান্মাণি, ফ্রান্স, ইংলগু, অ।মেরিক। সর্বত্রই তাই

রাইনল্যাণ্ডের জার্াণ দৃষ্ঠাস্ত

ধরুন জান্মাণিতে এই রাইনল্যাণ্ড লইয়া কি বিপুল আন্দোলন হইয়াছে তাহারা বলিতেছে “আমরা না খাইগ্রা মরির। যাইতেছি, জান্ম/ণি রসাতলে গেল” ইত্যর্দ। এই সমর কয়জন লোক, কয়জন. উকিল, ডাক্তার, নিজের গাঁট হইতে পাঁচ টাক] টাদা দিয়া কোনো! ছুঃস্থ লোককে উদ্ধার করিয়াছে? অতি কম। এই জার্ীণ জাতির যাহারা মরিয়া যাইতেছে, নিজের দেশের সেসব লোকের জন্য, তাহাদের পরিবারের লোকের জন্য দান-ধ্যান করিতেছে, এন লোক অতি অল্পই আছে।

৪৮ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ভাবিবেন না, আমি অতিরঞ্জিত করিয়! বলিতেছি এই জিনিষের এই সৰ দেশে আদৌ প্রয়োজন নাই। কেন প্রয়োজন নাই? মনে করুন, একজন পণ্ডিত রসায়ন চর্চা করিতে করিতে মরিয়া গেলেন। তাহার পরিবারের সংস্থানের জন্ত একট৷ সরকারী ব্যবস্থা রহিয়াছে কুলী, মজুর, কেরাণী প্রত্যেকের বেলায়ই এইরূপ মহথাভারতেও অন্ততঃ “আদর্শ” হিসাবে প্রশ্ন উঠিয়।ছিল। রাজ! €স ভার লইত। এখন রাষ্ট্র যাহা করে মান্ধাতার আমলে রাজ সেইটা করিত তখন রাষ্ট্র ছিল রাজা। সেই জন্য মহাভারত বলিয়ছেন “রাজা কালস্ত কারণম্”। এসব বাবস্থা করা ছিল রাজার “কর্তব্য” আজকাল জার্ম্মণিতে, জাপানে রাষ্ট্র এই সব করিতেছে সকল মুন্নুকে শ্বদেশ-সেব! বলিয়া বস্তু আছে কিনা বুঝিতে হইলে মাথ। ঘামানো আবশ্তক | মনে রাখিবেন, ব্যাঁধি-বার্ঘক্য- দৈব-বীম! সম্বন্ধে আমি খেই হারাই নাই।

কর্্ম-দক্ষভার ভিত্তি

দ্বিতীয় কথা, এক একট! লোক কন্ধ্দক্ষ হয় কি করিয়া? কি প্রতিহা(সিক, কি বৈজ্ঞানিক, সে যে কাজটা লইয়! রহিয়াছে সেই কাজট! লইয়। চিরকাল থাকিবে কি করিয়া? এই হইতেছে প্রশ্ন যেকোন বিষয় লইয়া আলে।চনা করি না কেন, যে লোক কাজ করিতেছে, সে ছয় মাস, দেড় ব্সর কি ছুই বৎসর মাথা ঠিক রাখিয়া নিশ্চিন্তভাবে যদি কাজ করিতে না পারে, দর্শনই বলুন, বিজ্ঞানই বলুন, আর যাই বলুন, কিছুই গড়িয়া উঠিতে পারে না যে লোক কাজ করিতেছে যাহাতে সে বরাবর নির্ভাবনায় ধীর-স্থিরভাবে কোন একটা মত বা প্রণালী দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, সপ্তাহের পর সপ্তাহঃ মাস, বৎসর ধরিয়া প্রতিপালন করিতে পারে তাহা! দেখিতে হইবে বাঙ্গালী

ব্যাধি-বার্ধক্য-দৈব বীমা ৪৯

আমরা একজনও তাহা পারি না। আপনারা সকলেই জানেন ম্যালেরিয়ায় ভুগে নাই এমন বাঙালী একটিও আছে কিন! সন্দেহ। কাজ করিতে করিতে মাথা ধরে নাই এমন লোক কয়জন আছে জানি না। এক দিন, দিন, নাহয় তিন দিন,_চতুর্থ দিন যাঁথা ধরিবেই ধরিবে। ব্যাধি একটা কিছু আছেই আছে এসব কথা গভীরভাবে ভাব! বুঝা দরকার জাতিহিসাবে আমাদের কর্মদক্ষতা আছে কিন বুঝ। দরকার

ছুঃখ-নিবারণের দেকেলে দাওয়াই

মানুষ হইয়া জন্মগ্রহণ করিলে বুড়ো হইতেই হইবে তেমনি মানষ হইয়া জন্মিলে তাহার ব্যাধি হয়ই হয় ফরাসী, জার্মীণ আমেরিকান --তাহাদেরও হয়। মানুষ সকলেই, কেহ জানোয়ারও নয় দেবতাঁও নয়। তেমনি, মান্ুষঃমরিলেই বুড়ো মা-বাপ, বিধবা জ্ত্রী, অনাথ শিশু তাহার থাকিবেই থাকিবে বিধবা-সমন্তা আছেই আছে।

এইসব কথা৷ যদ্দি গভীর দার্শনিক হিসাবে আলোচনা করিতে যান, তাহারও একট! হদিশ আছে। বুদ্ধদেব বলিয়াছেন, মানুষ হইলে ছ:খ থাকিবেই, ছঃখ থাকিলে তাহার কারণও আছে, সে কারণ নিবারণের উপায় সম্বন্ধেও তিনি নান! কথ! বলিয়া গিয়াছেন। “সত্য-চতুষ্টর” আর “অষ্ট পথ” অতি প্রসিদ্ধ কথা। মানুষ মাথ! খাটাইয়। উপায় উদ্ভাবন করিয়! ব্যাধি, বার্ধক্য, দেব, মৃত্যু, বিধবা, অনাথ ইত্যাদি সমন্তার মীমাংসা করিয়া গিয়াছে ইহাকে ছুঃখবাদ বলিতে হয় বলুন। কথা হইতেছে রক্রমাংসের শরীরে এইসব জিনিষ আছেই। আমাদের প্রশ্ন হইতেছে, তাহা যর্দি থাকে ভারতবর্ষে সেটা নিবারণ কর! যাইবে কি করিয়া ?

মান্ধাতার আমলের লে।কেরা-স্যথা সেণ্টপল, জার্শাণ দার্শনিক ব্যেমে ৩]

৫০ নয়া বাজলার গোড়া-পত্তন

ইত্যাদি সাধু খাষির! (খৃষ্টান মুন্লুকেও হাজার হাজার সাধু খধষি আছেন ) এবং আমাদের দেশের সাঁধুরাঁও কেহ কেহ এক রকম উপায় আবিষ্ষাঁর করিয়াছেন। বলিয়াছেন,--“কুছ পরোয়া নেই। না জন্মিলেই হইল। সংসারের কথ! বেশী চিন্তা না করিয়া, সংযম-টংযম করিয়া বনে যাইয়া ধ্য/নধারণা তপস্তায় কাটইয়! দিলেই হুইল। জন্মাইবার দরকার নাই” ইত্যাদি। আমি এই ধরণের মতকে হান্তাম্প্দ মনে করি না। মানুষের মাথার পক্ষে ইহাঁও একটা বড় আবিষান্ন। এই ধরণের আবিষ্কার কেবল ভারতে হইয়াছে তাহা নর, কেবল চীনে হইয়াছে তাহ নয়, মুসলমান থৃষ্টান সকল মু্লুকেই হইয়াছে

যুগ-প্রবর্তক বিজ্মার্ক

আজ-কালকার দিনেও আবার মানুষ এই দ্দিকে মাথা খাটাইয়া দেখিয়াছে। যদি মানব-জীবনকে সুখময় করিতে হয়, কর্ম্দক্ষ করিতে হয়, মানুষকে যদি মৃত্যু পর্য্যস্ত নির্ভাবনায় কর্ম করিতে হয়, তাহা হইলে তার জন্ত আর কোনে! প্রণালী অবলম্বন কর! যায় কিন!, মানষের মাথা সেদিকেও খেলিয়াছে যেমন ট্টাম এঞ্জিন আগে পৃথিবীর কোন কারখানায় ব্যবহৃত হইত না, মানুষ মাথা খাটাইয়া সেইটি বাহির করিয়া তাহাকে কাজে লাগাইয়াছে, ঠিক তেমনি ১৮৮৩ সনে একটা জিনিষ মানুষের মাথা হইতে বাহির হইল--দেবতার মাথা হইতে নয়, জানোয়ারের মাথা হইতেও নয়, খষির কল্পনা হইতেও নয়-_মান্ুষেরই চিন্তার ফলে আসিয়াছে। সে আবিষ্কার বৎসর চল্িশেকের ভিতর পৃথিবীর সকল দেশে অল্পবিস্তর ছড়াইয়া পড়িয়াছে। আমাদের ভারতে এখনও তাহার নাম পধ্যস্ত অনেকে জানে না। সেই ১৮৮৩ সনের জিনিষটার আবিষ্র্তা ঘটনাচক্রে একজন জাশ্মাণ। যে সেজান্দাণ'নয়, তাহার নাম

ব্যাধি-বার্ধক্য-দৈব বীমা ৫১

বিস্মার্ক। তীহাঁকে লোকে লড়াইয়ের বিস্মার্ক বলির! জানে। যিনি ফরাসীকে কৃপৌকঘা করিয়া রাষ্ট্রনীতির দ্বারা সমস্ত ইয়োরোপকে ভেদ করিয়। জান্মীণিকে বড় করিঘ্াছেন, সেই বিস্মার্ক।

আমি বলিতে চাই, সেইটি তাহার অন্ততম বড় কাজ বটে। কিন্তু আর একট! বড় জিনিষও তাহার মাঁথা হইতে বাহির হইয়াছে। সে জিনিষ জগতের এক অপূর্ব্ব অনুত। সেইটা এই-_মাহুষের ব্যাধি,বার্ধক্, মুত হয়; কিন্তু মানুষকে ব্যাধিজয়ী, বার্ধক্যজরী, মৃত্যুঞ্জয়রপেও গড়িয়া তোলা সম্ভব। সকল ছুঃখের প্রতীকারের ষে উপায়, তাহাকে বিস্মার্ক আইনবদ্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া খাড়া করিয়াছেন। আমরা মন্তর আওড়াইয়৷ থাকি £-

“জগদ্ধিতাঁয় কুষ্ণায় গোবিন্দায় নমোনমঃ* তেমনি এই ষে বিংশ শতাবী চলিতেছে তাহার হুত্রপাতের যুগে মানবজাতির জন্য যে হিত-প্রণালী আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার প্রবর্তক সম্বদ্ধেও বলা চলে-- “জগদ্ধিতার বিস্মার্কায় জাশ্মীণাযস নমোনমঃ 1৮ ভারতবর্ষ বীমা! শব জানে না তা নন এখানে বীমা কোম্পানী রহিযম্াছে। কিন্তু ইহা এক জিনিষ, আর জারন্মীণিতে এবং জার্ীণির দেখাদেখি অন্তান্ত দেশে যাহ! রহিয়াছে সেআর এক জিনিষ। বিস্মার্ক বর্তমান জগতের অন্যতম যুগ-প্রবর্তক |

ইতালির দুরবস্ছ।

এই যে "্পামাঁজিক” আইনকাহ্ছন ইহাতে সাধিত হইতেছে কি? আজ যে গণতন্ত্র-গ্রতিষ্ঠিত সমাজ গড়িয়া উঠিতেছে, এইট1 তাহার একটা ফল-বিশেষ। তাহার ভিত্িও বটে। একজন ইতালিম।ন পণ্ডিত বলিতেছেন, প্ব্যাধি-বার্ধক্য-দৈব বীমা ইত্যাদি সমাজ-বটিত বীমা বিষয়ক

৫২ নয় বাঙলার গোড়া পত্তন

আইন-কাহুন কোন ধনী, বদান্ত ব্যক্তির দান নয়। ছুনিয়ার সকল সভ্যদেশেই জিনিষ গোটা দেশের সার্ধজন"ন বনিয়াদরূপে গড়িয়া উঠিয়াছে। কিন্তু ইতালিতে যখন এই রকম আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল, খবরের কাগজওয়ালারা বলিল “এতবড় কঠিন, ছুরাকাজ্ষাপুণ জিনিষ, আমাদের দেশে হওয়া সম্ভব নয় আর আজ যতটুকু বীমা-প্রথা ইতালিতে প্রচলিত আছে, তাহার ভিতর দেখিতেছি কেবল ব্যভিচার আর ছন্নীতি।”

অন্ত দেশ অপেক্ষা ইতালির সঙ্গে বোধ হয় ভারতের তুলনা বেশী চলিতে পারে এই রকম প্রস্তাব উঠিলে আমাদের দেশের লোকও বলিবে--“জিনিষটা এত কঠিন, দেশে চলিবে না।” ইতালিয়ান পণ্ডিত আবার বলিতেছেন--“ইহাঁতে বুঝিতে হইবে আমর! অনভিজ্ঞ। জিনিষটা আমরা বুঝিতে পারি না সকল সভ্যদেশের মাপকাঠিতেই আমরা একেবারে জঘন্ত জাতি এই যে বার্ধক্য, দৈব, মৃত্যু এবং ব্যাধি চার রকমের বীমা, আজ যাহ। সমস্ত সভ্যজগতে অ, আ, ক, হইয্ব1 গিয়াছে, সে জিনিষের একটা মাত্র ইতালিতে সবে স্থরু হইয়াছে, সেইটা দৈব বীমা ।” ইতালিয়ানরা কোন্‌ অবস্থান্স রহিয়াছে, তাহার তুলনায় আমর! কোথায় আছি, এঁতিহাসিক ভাবে সে আলোচন। সম্প্রতি কদ্ধিব না। বিস্মার্কের মাথাটা লইয়া, মাথার ভিতরকার “ঘিলুটা” লইয়া! কিছুক্ষণ কাটাইতে চাই।

দেড় কোটি জার্াণের ব্যাধি-বীম।

বিস্মার্ক দেখিল, মানুষ যখন জন্মিয়াছে তথন তাহার অন্ুথ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অনুথ যদি হয়, তাহার জঙ্ দায়ী থাকিবে কে ? আমরা বলিব, "ব্যক্তি হুয়ংই দায়ী ।” উহার! বলিতেছেণতাহ। পুরাপুরি ঠিক নয়।

ব্যাধি-বার্ধক্য-দৈব বীমা ৫৩

গোটা সমাজ বা দেশকে সেইজন্ত দায়ী করিতে হইবে ।” পাঁচ কোটি বাঙ্গালীর মধ্যে আমি একজন, আমার অস্থখ হইয়া থাকে সেইটা আমার ব্যাপার, আমার পয়সা না থাকে আমি ভিন্ন আর কে সেজন্ত দায়ী থাকিবে? উহারা বলিতেছে “দেশও সেজন্য দায়ী ।” খালি বলিলে হইবে না। আমি কোন-না কোন জায়গায় চাকুরী করি। যে আমাকে অন্ন দিতেছে তাহার দায়িত্ব আমার জীবন সম্বন্ধে রহিয়াছে আমাকে বাচাইয় রাখার জন্ত প্রথম দাতিত্ব অন-দাতার, দ্বিতীয় দায্িত্ব রাষ্ট্রের। কারণ রা সকলকে মানুষ করিয়া বাচাইয়া রাখে অবশ্ঠ নিজের দায়িত্বও আছেই। রামচন্দ্র পোদ্দার ১৯০২ টাকার চাকুরী করে, কি ইস্কুল মাষ্টারী করে। আঁফিসে হউক, কারখানায় হউক, মজুর ভাবে হউক, কুলীব্ধপে হউক, কেরাণীরূপে হউক, দুনিয়ার সকল দেশেই বহু লোক চাকুরী করে। ১০০ টাকা যদি একজনের মাহিয়ান! হয়, বীমা-ভাগু।রে ধরা যাউক যে ৫২টাকা কারখানার মালিক দ্দিল, ৫২ টাকা নিজে দিল, ৫২ টাকা গবর্ণমেণ্ট দিল, মোট ১৫২ টাকা মাসে মানে জমা হইতে ল।গিল। এইভাবে টাক জম! হইতে থাকিলে, যখন তাহার অস্গুখ হইবে, তখন তাহার মা-বাপ, স্ী-ছেলের দারিত্ব কিছু নাই। তাহার যে মনিব অন্নদাতা সে তাহাকে এন্ল্যান্স গাড়ীতে করিয়া হাসপাতালে পাঠাইবে হাসপাতালে যত শীত অন্থ সারে সে চেষ্টা হইবে। তাহা যদ্দি সেকরে, তবে বলিব তাহার দায়িত্ব পালন কর! হইল। যখন আমি চাকুরী করিতে ঢুকিয়াছি তখন আমার মনিব এই রকম ভাবে আমাকে বাচাইতে আইনতঃ বাধ্য যদি না করে তাহার বিরুদ্ধে নালিশ চলিবে, গভর্ণমেণ্ট মোকদ্দমা চালাইবে। তাহার নানারকম আইনকাহুন আছে। তাহার জন্য হ্বতন্ত্র উকিলের দরকার, খবরের কাগজের দরকার, ব্যাখ্যার দরকার হয়। বিপুল কাণ্ড তাহা আমাদের কল্পনা করাও কঠিন

৫৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

আমাদের দ্রেশে যেমন পাঁচ কোটি লোক,জার্শাণিতে ৫॥* কোটি লোক। : ক্তাহার মধ্যে দেড় কোটি লোকের সম্বন্ধে এই রকম নিয়ম জারি আছে। ' এই দেড় কোটি লোকের যদ্দি অস্থথ হয়, তাহার বাপ দাদ! ভাই স্ত্রীর দ্বাঙ্লিত্ব অতি কম তাহাকে রক্ষা করিবার জন্য এমন একটা টাক আছে, ' ষে টাকা যথাসময়ে তাহার জন্ত খরচ হুইবে। এই ভাবে তাহারা তেইশ " হাজার কর্মকেন্দ্রে সঙ্ববন্ধ গভর্ণমেণ্টের কারখানায় হউক, পোষ্ট আফিসে ' হউক, সর্বত্রই এই নিয়ম ১৯০৪ সনে ব্যাধি-বীমা-সমিতি ছারা , এরতগুলি লোক প্রতিপাঁলিত হইয়াছে ধরুন, আমি কাজ করিতে গিয়াছি, অস্থুখ হইয়াছে তিন মাস থাকিতে হইবে দার্জিলিঙে। আমার পয়সা কোথায়? দরকার হইলে . ্বার্জিলিং কি রাঁচি পাঠানো আমার মনিবের দায়িত্ব দেড় কোটি লোকের ' সেদায়িত্ব নাই। জার্শাণিতে এই রকম ব্যবস্থা রহিয়াছে আমাদের দেশে যদি সে রকম ব্যবস্থা থাকিত, তাহ! হইলে বখন-তখন যে-সে লোকের বানপ্রস্থে যাওয়ার প্রয়োজন হইত না। মাথা খাটাইয়া দেখা গিক্লাছে, এই দেড় কোটি লোককে এমন করিয়া কর্্মদক্ষ করা যায়, “ম্যালেরিয়া হউক, কাঁলাজর হউক যে কোন অস্থ হউক, দাঞ্জিলিঙে, | দরকার হইলে মন্কায়, কামস্কাটকায়ও পাঠান যাইতে পারে তাহা হইলে ্বদেশসেবার প্রয়োজন কোথায়? খাওয়া পরার ব্যবস্থা থাকিলে 'অসমসাহসিক, ছুঃসাধ্য কাঁজে কে না ঝীাপাইয়া পড়িতে পারে ?,. আমরা কর্মদক্ষ নই। দেখিতে হইবে আমরা কি করিয়া কর্দক্ষ হইব। যে কাজটা করিতেছি সে কাঁজটা ঠিক সমানভাবে ৭৫ বংসর বয়স পধ্যস্ত কেমন করিয়! চালান যায়? সম্ভব কিনা সেট! বুবিবার জন্ত অন্তান্ত জাতি কি করে তাহ! দেখা উচিত। তাহার প্রথম নম্বর ব্যাধি- বীমা

ব্যাধি-বার্ধক্য-দৈব বীমা ৫৫

দৈব-বীম।

দ্বিতীয় নথ্বর দৈব-বীমা। এইটা আলাদা বস্ত। মনিবের কাজের জন্ত রাস্তায় হাঁটিতে হাটিতে মোটর-চাপা৷ পড়া সম্ভব রেলে যাইতে যাইতে কলিশ্তনে মরিয়া যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফ্যাক্টরীতে কাজ করিতে করিতে আক্কুলের একটুকু কাটিয়া গেল। কে প্রতীকার করিবে? তাহার জন্য আইন হইল ১৮৮৪ সনে তাহার আগাগোড়া মজার কথা আমার কিছু পয়সা দিতে হইবে না। আমাকে বাঁচাইবার জন্ত কাণাকড়ি পর্য্যস্ত যে খরচ সে সব কারখানার মালিক দিতে বাধ্য ডাক্তারকে ডাকিতে সে বাধ্য, ওষুধ পত্রের জন্ত সেদায়ী। পরিবার প্রতিপালন করিতে মাসিক ভাতা দেওয়! দরকার, মনিব দিবে হাস- পাঁতালে পাঠান দরকার, মনিব পাঠাইবে। আজকালকার কথা বলি না, আজকাল এত সমিতি হইয়াছে, নাম করিতে গেলে হয়রাণ হইতে হইবে ১৯০৫ সনের কাছাকাছি সাড়ে পাঁচ কোটি লোকের মধ্যে প্রায় তই কোটি লোক জাশ্মীণিতে দৈব-বীম। করিস়্াছিল। তাহারা হাসিয়া খেলিয়া অনেক কিছু করিতে পারিত, এখনও পারে আমরা পারি না। তাহাদের চিরজীবনের ভার লইয়াছে অন্ত লোক ধরা বাউক যেন আজ সন্ধ্যার সময় বাড়ী ফিরিবামাত্র ডাক্তারকে ৪. টাকা ফি দিতে হইবে সে কথা বাঙ্গালী কয় জন লোক না ভাবিয়। পারে? কিন্তু জার্মাণদের প্রশ্ন উঠিতে পারে না এমন একটা চিন্তা উহাদের মগজে আসিয়াছিল যাহাতে দৈব নামক বস্ত চিন্তা করিবার তাহাদের আর প্রয়োজন হয় না। জন্ম হইতে শেষ মুহুর্ত পথ্যস্ত তাহারা নিশ্চিস্তভাবে, বেপরোয়াভাবে কাজ করিয়া যায়। এখানে বলিতে চাই, ধরণের চিন্তায় যাহাদের জীবনটা গড়িয়! উঠিম়াছে তাহাদের সঙ্গে আমাদের ট্কর

৫৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

দেওয়া! সম্ভব কি? আমাদের কুলী মজুর, তাহাদের কুলী মজুরের সঙ্গে, : আমাদের ব্যবসাদার তাহাদের ব্যবসাদারের সঙ্গে টক্কর দিতে পারিবে কি করিয়া? পৌনে ছুই কোটি লোক এই রকম শ্বাধীন নিশ্চিন্ততাবে জীবনযাপন করিতেছে বার্ধক্য-বীম!

তারপর বিস্মার্কের মাথায় খেলিল-_- এইখানেই শেষ নয়, আরো কিছু চাই। মান্য জন্বিয়াছে যখন, বুড়ো হইবেই। বুড়ে। হইলে অধর্ধ্ব হইবেই। বুড়ে! হওয়া! আর অথর্ব হওয়া! সব ক্ষেত্রে এক নয়। কোন্‌ বয়সে কাকে বুড়ে। বলে দেশ হিসাবে তাহ! আলাদা। বিলাঁতে ৭০ বৎসর বয়সে, হুইট্সারল্যা্ডে ৬৫ বৎসর বয়সে, গ্রসিয়ায় ৭৫ বৎসর বয়সে বুড়ো হয়। আমর! না হয় ৪৫ বৎসর বয়সেই বুড়ে! হই! আইন মতে বুড়ো বিদ্মার্ক ভাবিল পলোকগুলে। বুড়ো হুইবেই। বুড়ো হইলে তো! ফেলিতে পারি না। আমাদেরই দেশের লোক, এতদিন খাটিয়াছে, ৬০।৬৫।৭* বৎসর ধরিয়! দেশকে বড় করিয়। তুলিয়াছে, তাহাকে ফেলিয়! দিই কি করিয়া? এখন খাটিতে পারিতেছে না, তাহার জন্ত কিছু করা দরকার?” আবার চালাইল বীমা, সে বীমা বার্ধক্য-বীমা পেন্ঠযন্‌- লিষ্টি খাড়া হুইল। ইহার জন্য টাক! আসিতেছে খানিকটা গভর্ণমেন্টের কাছ হইতে, খানিকটা! ব্যক্তির কাছ হইতে, খানিকট। যেখানে সে কাজ করে দেখান হইতে ১৮৮৯ সনে আইন কায়েম হয়। (১৯৭৫ সনের কাছাকাছি ) ইহার মধ্যে পড়িয়াছে পুরুষ-ন্্রী লইয়া! প্রায় দেড় কোটি লোক। ইহারা যখন বুড়ো হইবে, ৭* বৎসর যখন ইহার্দের বয়স হইবে তখন ইহার! পেনশ্ঠন-তালিকায় পড়িবে। নিয়ম হইল-_বুড়ো হইবামাত্রই সরকার হইতে দেওয়া! হইবে বৎসরে ৫* মার্ক বা ৩৭২ টাকা। বীমা কোম্পানীতে যে ফও হইল তাহ! হইতে দেওয়। হইবে ২৩৯

111

ব্যাধি-বার্থাক্য-দৈব বীমা ৫৭

মার্ক বা ১৭*২ টাকা এই ২০৭২ টাক সে বৎসরে পাইবে। ইছা হইল পেন্সন-বীমা কেবল তাহ নয়, অথর্ব হওয়।র জন্য আরো! কিছু আছে, তাহার সঙ্গে আরো কিছু টাকা জুড়িয়া দেওয়া হয়। ধর! যাঁক্‌ যেন হঠাৎ লোকট পাগল হইয়া! গেল, কি হাত-প। কাটা গেল। তখন তাহাকে প্রতিপালন করিতে হইবে। দেই জন্ত বুড়োর চেয়ে সে কিছু বেশী পায়। গভর্ণমেণ্টের ভাতা ৫* মার্ক ঠিকই আছে। কোম্পানী থেকে আরো! কিছু বেশী দিতে হইবে (৪৫০ মার্ক -৮৩২* টাকা )। মৃত্যু-বীম।

তারপর মানুষ মরিবে--এইটিও বিস্মার্কের মাথায় আসিল কেবল যে বুদ্ধদদেবের মাথায় আঁসিয়াছিল, বা যাশুখুষ্ট কি সেপ্টপলের মাথায় আসিয়াছিল তাহা নয়। তবে বিলস্মার্কের মাথার একটা বিশেষত্ব আছে। তিনি ভাঁবিলেন,--একটা নয়া কৌশল বাহির করিতে হুইবে। যেই মানুষ মরিল তখন তখনি কেওড়াতলায় পাঁঠাইবার 'খরচ আছে। সোজ। কথ! নয়, কেওড়াতলার় লোক পাঠাইতে দেড়শ, ছুইশ, আড়াইশ টাক! খরচ হইবে কোম্পানীর কাজে মরিলে কোম্পানী দায়ী। এই অবস্থায় হাসিয়! থেলিয়া মরিতে পারা যায়। আমি মরিলে যদি আমার পরসা খরচ ন] হয়, যখন-তখন মরিতে রাজী আছি তারপর মরালোকের আত্মীয়্বজনকে প্রতিপালন করিতে হইবে চার কন্ত তিন পুক্র, বিধবা স্ত্রী রহিয়াছে, তাহাদের ভরণপোষণ করিতে হইবে জার্্মাণিতে মা যীর কৃপা যৎপরোনান্তি। বিশ-একুশ বংসর হয নাই এমন অন্ততঃ সাত আটটী সন্তান অনেক পরিবারেরই গৌরব এই বয়স পধ্যস্ত তাহাদিগকে কত করিয়া দেওয়া হইবে? কোনে! লোকের একশ” টাঁকার চাকুরী থাঁকিলে মাসে কুড়ি টাক দিতে হইবে প্রত্যেক ছেলেমেয়েকেঃ তারপর যে বিধবা স্ত্রী আছে, তাহাঁকেও সেই কুড়ি টাক! হারে দে এয়া হইবে।

৫৮ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

বিধবা-সমন্যা

একজন বিধব! ছুইটি মেয়ে লইয়া পথের ভিখারী হইল। আমাদের দেশে বিধবা-সমস্তা যেমন আছে উহাদের দেশেও তেমনই আছে। মাথা খাটাইয়া জীবনকে কত উপায়ে সুখময় করা যায়, তাহার এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ইয়োরোপের বিধবা-সমস্তার মীমাংসা বিসমার্ক ব্যবস্থা! করিলেন তিন জনকে মাসে ষাট টহ্কা৷ দেওয়া হইবে। ভাবিয়া দেখুন বিধবার সব আছে, আসবাবপত্র বাড়ীঘর সব রহিয়াছে, স্বামী মরিয়। গেলে কিছু খরচ হইল ন|। তাহার উপর ৬৯২ টাক! মাসে মাসে পাইতেছে। বিধবারা, অনাথ শিশুর! তাহা হইলে আর কাদিবে কেন? বাস্তবিক পক্ষে চোখের জল সকল দেশে কমিয়া আসিয়াছে

আর আমাদের দেশে কান্লনাকাটির বিরাম নাই আপনারা বলিবেন '্বামীকে ভালবাসা আমাদের বিধবাদের একমাত্র ধর্ম। আমাদের বিধবারা একেবারে সব সতীসাধ্বী এই জন্যই কাদে যত অসতী সব ওদের দেশে ।” প্রশ্ন করা যাউক--আমাদের দেশে বিধবার বথন কাদে, কিসের জন্ত কাদে? বাপ মরিলে আমরা যখন কাদি, কিসের জন্ কাদি, একবার আলোচনা করিয়া দেখিয়াছেন কি? আমরা বাস্তবের কিছু জানিনা। আমরা জানি একটা বোল--“পিতা শ্বর্গঃ পিতা ধন্দশঃ পিতা হি পরমং তপঃ”। কাজেই শান আওড়াইয়া৷ আমরা তোতা পাখীর মত বলিয়া ফেলি যে, প্র শ্লোক অন্ুদারেই আমরা কাদিয়া থাকি,--বাপকে ভালবাসি বলিয়া কিন্তু এইট মিথ্যা হইতেও পারে সমস্তাটা যুবক ভারতের মনে জাগিয়াছে কি? বোধ হয় জাগে নাই, তাই তাহার! কল্পনারাজ্যে এখনও বিচরণ করিতেছে বিস্মার্কের মাথায় আসিল এই যে, শ্বামী যখন মরিবে বিধবার!

ব্যাধি-বার্ধক্য-দৈব বীম। ৫৯.

কাদিবেই। এটা অতি স্বাভাবিক এবং প্রথম প্বীকার্্য কিন্তু বিধবার চোঁথের জল কমানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব নয় অনেক বিধবা পশ্চিম! সমাজেও আছে, যাহার! মরা শ্বামীর কথা ভাবিয়] কাদে। পুনর্ব্ধিবাহের আইনত: স্থুযোগ থাকা সত্বেও বিবাহ করে না, এমন হাজার হাজার সীলোক জান্মাণি, ফ্রান্স, ইংলগ্ডের সমাজে আছে তাহা থাক সত্বেও শ্ব'মী মরিলে স্রী কাদে বাপ মরিলে এঁ সকল দেশেও ছেলে কাদে। ভালবাসার মুনুক, লেহ-মমতা ভ্তি-শ্রন্ধার রাজ্য,ুষ্টিয়ান-দেশে কম বিস্তৃত, নয়। কিন্তু খাঁটি কথা, ক্রন্দন-তত্বে আসল ভালবাসার চিহ্ন কতখানি আছে, অর্থ-চিস্তাই বা কতখানি আছে, যুবক ভারত একবার ভাবিতে সুরু করুন। বিস্মার্ক বলিল “মাথা মুড়াইয়া মরা গ্বামীর, চরণ বুকে করিয়া থাকাই অথবা &ঁ রকম কিছু করাই বিধবার একমাত্র কর্তব্য নয়। বর্তমান জগতের বিধবাকে ধর্দের দোহাই দিয় ভূলাইয়া রাখা উচিত হইবে না। তাহাদের জন্ঠও সম্পূর্ণ মানবত্বের নতুন নতুন সুযোগ তৈয়ারী করিয়া দিতে হইবে ।” তাহাই হইয়াছে।

বর্তমান জগতের জন্ম

ভারতে বোধ হয় এমন কোনে! পরিবার নাই যেখানে বিধবা! নাই, এমন কোনে পরিবার নাই যেখানে কাজ করিতে করিতে চাকুরো ৩৫৩৮ বৎসর বয়সে মার! যায় নাই। তাহার ফলে এক একটা পরিবার, হাহাকার কঠিতেছে, যেন আর কিছু করিবার নাই। হিন্দু-সমাঙ্গে' আমাদের ঠাকুরদাদাদের আমলে আমরা হাহাকার করিয়াছি, বিস্মার্কের ঠাকুরদাদাদের আমলেও জার্খাণরা তাহাই করিয়াছে গ্যেটের আমলে এমন কোন ক্ষমতাবান্‌ জান্্দাণ ছিল ন! যে চিন্তা করিতে পারিত যে, দেড় হ্রকোটি লোকের ভার লইবে কোনে! এক প্রতিষ্ঠান সেকালের

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

'বিলাতেও কেহ এইরূপ বলিতে সাহস পায় নাই। চতুর্দশ লুইয়ের সময় ফরাসীরাঁও বলিতে পারে নাই। বিস্মার্ক মাথা খাটাইয়া এক একট! প্রণালী, এক একটা কর্্ম-কৌশল আবিষ্কার করিয়াছেন। মাম্ধাতার আমলের কোন লোকের মাথায় তাহা আসে নাই। সোজাসুজি আমাদেরও বলা উচিত, হিন্দু-সমাজ এই লাইনে কিছুই আবিষ্কার করিতে পারে নাই। মামুলি যৌথপরিবারের ব্যবস্থায় অবশ্য সেকালের দুনিয়া! এই দায়িত্ব কিছু কিছু সামলাইয়া চলিয়াছে আসল কথা, নবীন জগতের স্ুত্রপাত হইয়াছে ১৮*৫-৮৩ সনে) তাহার আগের কথা 'আলোচনা করিতে হয় কর, প্রত্বতত্ব হিসাবে কর, বাসি মাল হিসাঁবে কর। কিন্ত যৌবনের কথা যদ্দি শুনিতে চাও, ১৮৭৫, ১৮৮৩, ১৮৪৯৫ ইত্যার্দি সনের কথাই ভাবিতে হুইবে। এই সকল তারিখেই বর্তমান জগতের জন্ম। আমি এখানে আগে বলিয়াছি, ইতালি আহা উহু করিয়া বলিতেছে “অন্ত জাতি বড় হইয়াছে আমরা কিছু করিতে পারিতেছি না। আমর! শুধু দৈব বীম করিয়াছি, তাহাতেও জুয়াচুরি বাটপাড়ি রহিয়াছে, কিছু উপকার হইতেছে ন। ইত্যাদি ইত্যাদ্দি।” যেই এই জিনিষ আবিষ্কার হইল, অমনি নানা দেশে ছড়াইয়া পড়িল। অষ্্ীয়া» ডেন্মার্ক প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন দেশে ছড়াইয়া পড়িল। জার্্মাণির শিষ্য বলিয়া লয়েড জর্জঞের খ্যাতি আছে সে থাক্‌ না থাক্‌, তাহার মাথায় আসিয়্াছিল বিলাতে'কিছু করার দরকার। তখন বিলাতে “ওল্ড এজ পেন্শ্তান” প্রথা প্রবন্তিত হইল। সরকারী আইন বনাম স্বাধীন বীম।

এখন জিজ্ঞান্ত, সমাজ-বীমা সম্বন্ধে “আইন” করা উচিত কি ? না! উহা ' স্বাধীন রাখিয়া দেওয়। ভাল? ইহা! লইয়া প্রবল তক্‌ড়ার আছে। যেমন বাণিজ্যে সংরক্ষণ-নীতি চলিবে কি অবাধ নিয়ম চলিবে এই লইয়া

ব্যাধি-বার্থাক্য-দৈব বীমা ৬৯

ঘোরতর তর্ক চলিতেছে, তেমনি বীমা-প্রথাটা গভর্ণমেণ্টের আইনের সাহায্যে চালানে। উচিত, না লোকের শ্বাধীন ইচ্ছার উপর ফেলিয়া রাখা উচিত, এই লইয়াও লড়াই চলিতেছে ছুই রকম তর্ক আছে। একটা হইতেছে “তুমি যখন শেয়ানা মানুষ, নিজে বুবিতেছ অসুখে পড়িবে, মরিবে, তোমার বিধব! স্ী থাকিবে, ছেলেপিলে না খাইয়া! মরিবে, অতএব তাহাদের ব্যবস্থার ভার তোমার উপর ৷” অতি সঙ্গত কথা, বিরুদ্ধে কিছু বলিবার নাই। উল্টা তর্ক নিম্নরূপ-_প্গভর্ণমেণ্ট এখন বলিবে, তুই দি না করিস্‌ তোকে করাইতে বাধ্য করিব ।”

আজগুবি চিস্তীপ্রণালী নয়। শিক্ষা-ক্ষেত্রে ইহার নজির আছে। আমরা ইন্কুলে পড়িব কিন! ? ঝি চাকরের ছেলে পড়িতে চায় না, উপজ্রব মনে করে, ব্যয় করিতে পারে না--একথা আমর] বলিয়া! থাকি ঠিক তাহার উদ্টোও আছে। বহুত আচ্ছা, বাধ্যতামূলক একট৷ শিক্ষার বিধি কর, তবেই হুইবে। তেমনি বীমা বিষয় লইয়! ধনী বিজ্ঞ মহলে বিপুল তর্ক চলিতেছে আইন কর! উচিত কিনা, করিলে বাধ্যতামূলক করা হইবে কিনা, সার্ধজনিক কর! হইবে কিনা ইত্যাদি। আর সেই আইনের প্রত্যেক শব্ধ লইয়া তোলপাড় হুইয়াছে, অনেক কাও হুইয়াছে 1 এখানে খানিকট। দলিল দেখাইতে চাই--ফরাসীর দলিল।

ফরাসী পণ্ডিতদের তর্ক

ফরাসীদেশে লইয়া অনেক বিতগ্ু। চলিতেছে ফরাসী ধন-বিজ্ঞান- পরিষদের হোমরা-চোমরা লোকের! তাহার বিরুদ্ধে লাগিয়াছে। তাহার অনেক কারণ আছে, একট! কারণ এই ফরাসী পণ্ডিতের বলিতেছেন “বিস্মার্ক এই কাজ করিয়াছিল কেন জান? অবশ্ তাহার কোন মতলব ছিল। সেসময় কাল” মার্কস নামে একটা লোক এবং তাহার বন্ধু

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

এক্ষেলস্‌ ছুই জনে মিলিয়! জার্মীণিতে ভয়ানক আন্দোলন চালাইতেছিল আর এক জন লোক তাহাদের তাবে আসিয়াছিল। নাম তার লাসাল। এই সময়ে সাত্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রীয় দল জান্দদীণিতে প্রবল ছিল। তাহুর বিরুদ্ধে দাড়াইল সোশ্ালিজম বলিয়া একটা জিনিষ তাহারা মুটে মজুরের পীল। সাআজ)বাদী দল জার্শ্মণদেরকে বলিত “জাতীয়তা বা সামরিকতা ১৮৭০ সনে ফরাসীর হাড় ভাঙ্গিয়। চূরিয়! দিয়াছে দরকার হুইলে আবার লড়াই করিতে হইবে সকলের মধ্যে একমাত্র কথা দেশ, তাহাকে বড় করিতে হইবে ।” ইহাকেই বলে "ন্াশন্তালিজ ম"।

জান্দীণির মত বিলাতেও ন্তাশস্ঠীলিজম আছে, ফ্রান্সেও তাহাই আছে। সেই সব চিজ আমাদের দেশেও আছে তাহার তত্বকথা এই-_ "আগে এদেশের লোক স্বাধীন হউক তারপর চাষীদের বড় করিব, আগে গ্বরাজ গড়িয়া উঠুক, তারপর আর সব হইবে, ইত্যাদি” সমস্ত পৃথিবীতে একই শাস্ত্র চলিতেছে

কাল“মার্কস্‌ বনাম বিস্মার্ক

যাক্‌, জার্মাণি সম্বন্ধে ফরাসী পণ্ডিতদের মতামত আলোচনা করিতেছি। ফরাসীর। বলিয়। থাকেন-_-তখন একটা মৃত চলিয়াছিল, তাহার বিরুদ্ধে আর একটা মত দীড়াইল, সমাজ-সাম/দল। তাহারা মন্তুরগুলিকে বলিতে শিখাইল--“মজুরদের স্বার্থ এমন কিছু যাহা বস্ততঃ রাষ্্ীয়্ কর্মের ঘারা পরিপূর্ণ হইতে পারে না অভিজাত সম্প্রদায় কর্তৃক শাসিত যে দেশ, তাহার সেবা করিলে মজজুরর্দের শ্যার্থরক্ষা হইতে পারে না।” ফরাসী পঞ্ডিত-সঙ্ঘ- আমিও যাহার মেম্বর-_তাহারা বলিয়াছে “বিস্মার্ক ত্যাদড় লোক। কাল" মার্কসের মগজে ছিল মজুর-জগতকে করায়ত্ত করা বিসমার্ক ভাবিল এমন একটা কিছু করা দরকার যাহাতে কার্ল মাকৃসের

ব্যাধি-বার্ধক্য-দৈব বীম! ৬৩

কথা আর শুনিবার প্রয়োজন না থাকে মরিলে আমি সাহাষ্য করিৰ্‌,, ব্যাধি হইলে ওষুধপত্র দিব, ষত রকম উপায় থাকিতে পারে সব দিক্‌ দিয়া যদি মজুর, গরীব, কেরাণী, ইক্কুলমাষ্টার ইত্যাদিকে সাহাধ্য করি তবে আন্দোলন চালাইবে কে? পেট যতক্ষণ ঠাণ্ডা থাকিবে ততক্ষণ কেহ কিছু করিবে না অতএব দাও উহাদের রুন্টা, তাহার উপর দাও একটু মাখন, তারপর মাংস, তারপর আর একটু রুটা।”

ফরাসীরা একটু রুটী আর খুব জোর একটু কফি খায়। জান্মীণদের লাগে আগে রুটা, তারপর মাখন, তারপর মাংস তাহারা খাইতে খাইতে চলে, কাজ কশ্ম করে, পাঁচ পাঁচ বার খায়, আর তাহাদের মজুর চাষীর! পধ্যস্ত মোটা হইয়া উঠে। বিল্মার্ক বলিল--“সব লোককে পাঁচ বেলা খাওয়াও, তাহা হইলে "ম্বদেশী' বক্তৃতা দিবার বা শুনিবার সময় থাকিবে না। যাহারা আন্দোলন চালাইতেছে, তাহাদের মুখ বন্ধ হুইয়া থাকিবে পেট ভণ্তি করিলে মুখ বন্ধ হয়। তাই বিস্যার্ক তাহাদের পেট ভর্তি করিয়৷ রাখিয়াছে” ইত্যাদি ধরণের ব্যাখ্যা পাই ফরাসী পণ্ডিত-মহলে

করাসীদের আত্ম-প্রশংদ।

ফরাসীরা! বলিতেছে “জান্মীণদের সমাজ পচা» তাহাকে বাচাইবার জন্য তাহার1 একটা কিছু করিতেছে আমর! ফরাসী, সমস্ত পৃথিবীর দৃষ্টাস্ত- স্থল, পৃথিবীর যত বড় বড় চিস্তা বা আদর্শ সব আমরা, এই ফরাসীজাতি আবিষ্ষার করিয়াছি! আমাদের লোককে শিখাইবে উহ্বারা! আমাদের স্ত্রী পুত্র পরিবার যারপর নাই সংযমী, তাহাদিগকে সংযম শিখাইবার প্রয়োজন নাই।” আমি গল্প করিতেছি না। আমি সেই পণ্ডিত-সঙ্মের সভ্য তাহারা আমাকে বলিয়াছে, “তুমি ভারতে গির৷ আমাদের এই মত প্রচার করিও”

নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

জার্্মাণির যেমন ক্রুপ ফ্যাক্টরী তেমনি ফরাসীদ্দেরও একটা কোম্পানী আছে, তাহার যে বড় এঞ্জিনিয়ার, তাহার নাম পিনো। এক বইয়ে সে লিখিয়াছে--“সরকা'রী বীমার কোন প্রয়োজন নাই, একমাত্র বীমা! কেন প্রত্যেক জিনিষই লোকেরা স্বাধীনভাবে শ্বতনত্রভাবে নিজ স্বার্থ অনুসরণ করিয়া গড়িয়া লুতুক। আইন করিবার প্রগ্নোজন নাই।” ফরাসী পণ্ডিত-সজ্ের হোঁমরা-চোমরা লোক আইন করিবার বিরুদ্ধে ঈীড়াইয়।ছে। তাহারা আইন করিতে দিবে না। ১৯২9 সনে এই সম্বন্ধে পিনের বই বাহির হইয়াছে তাহা হইতে দ্েখাইতে চাই তাহাদের যুক্তিটা কি। গভর্ণমেণ্টের সাহায্য ন! লইয়া কুলী মজুরদের জন্য ফরাসীরা কি করিয়াছে তাহার একট! বিবরণ সে বইয়ে আছে, এবং আইন না থাক সত্বেও ফরাসীরা কি করিতে পারিয়াছে তাহারও কতকগুলি দৃষ্টান্ত আছে। যুক্তিটা কি এখানে আমি শুধু তাহাই দেখাইব।

ফ্রান্জের বিশেষত্ব

বইয়ে আছে--“জার্মাণির অবস্থা! আর ফ্রান্সের অবস্থা কি এক? জার্ীণির যে নরনারী-__তাহারা শ্বভাবতঃ শৃঙ্খলীকৃত সঙ্যবদ্ধ; সেখানকার নরনারী যখন তখন যে-কোন সজ্বের ভিতর ঢুকিতে পারে। বক্তৃতা দিয়া শিখাইতে হয় না, সঙ্বের ভিতর ঢুকা! অতি সহজ, আর সেখানকার সুবিধাগুল। তাহারা সহজেই নিজন্ব করিতে পারে। সেখানে তাহাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনত৷ নষ্ট হইয়া যায়। তাহাতেও জার্্মাণদের জ্রক্ষেপ নাই। স্বাধীনতার স্বাদ জার্্মাণি জানে না। ফরাসীও কি তাই? ফরাসীরা কেমন ? যুগষুগাস্তর ধরিয়া প্রত্যেক সমাজে, সমাজের প্রত্যেক স্তরে যে ফরাসীজাতের প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের বর্তমান অবস্থা হইতে ঈন্নততর অবস্থায় উঠিতে স্বাধীনভাবে চেষ্টা করিয়াছে, সেই ফরাসীমহলে

ব্যাধি-বার্ধক্য“দৈব খীমা

কি এই নিয়ম খাটিতে পারে ? কি রকম ফরাসী ? যে ফরাসী জমি-জমার আইন এমন করিয়। ফেলিয়াছে, যাহার ফলে সব জমি ছোট ছোট টুকুরে। টুকুরো। তাহাতে জমিদার নামক বন্ত নাই, যদি থাকে সে জমিদার কি রকম? ছোট ছোট জমির স্বাধীন মালিক। যেখানে ব্যক্তিগত স্বাডঙ্তরয ব্যক্তিগত শ্বাধীনতা এত বেশী সেই ফরাসী দেশে কিনা আইন করিতে হইবে? এই যে ফরাসী কারখানা, এই যে শিল্প, ইহাতে কি দেখিতে পাই? যেখানে সকলে ছোট ছোট শিল্পের মালিক, অল্প মূলধন-বিশিষ্ট কারখানার মালিক, সে সমাজে আবার আইন? জিনিষ ফরাসীর বিশেষত্ব |

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার ফরাসী ভূষি

জিনিষটা না আছে বিলাতে, না আছে জাশ্মাণিতে, না আছে আমেরিকায়।” এভাবের বক্তৃতা চলিয়াছে। বাঙালী চরিত্রেও অনেকট। এইরূপই দেখা যায়। বক্তৃতা করিতে করিতে আমর! বলিয়া থাঁকি,--" “বাংলার এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত যে আন্দোলনের সৃষ্টি হইয়াছে, যে আন্দোলনের ঢেউ জাপান পধ্যস্ত পৌছিয়াছে, সেই জাপান হইতে ইত্যাদি ।” সেইরূপ গাল-ভর1 বুকনিই শুনিতেছি এই ফরাসী পণ্ডিতের মুখে। তিনি আবার বলিতেছেন--“শ্বক্প মুলধন-বিশিষ্ট অল্লায়তন কারথানার যালিক, যাহার্দিগকে কোন দিন বিশাল-আয়তন কারখানার মালিকেরা ধ্বংস করিতে চেষ্টা করে নাই, ছোট ছোট মালিক, যাহার! বড়দের আশ্রয়েই মানুষ হইয়াছে, বড়গুল। যাঁহাদিগকে ধ্বংস করে নাই,--স্জেন্ত বড়দের নিকট ছোটদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত” ইত্যাদি

৬৬ ণয়া বাঙ্গলার গোড়া পতন

বীমা আইন জন্ন্ধে করাসী মুর

এখানে মালিক নিজকে নিজেই ধন্ঠবাদ দিতেছেন। বইথানি কে লিখিম়াছেন ? ধরুন যেন টাটা কোম্পানীর মালিক লিখিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, তিনি মজুরদের জন্ত যাহ! করিয়াছেন পৃথিবীতে আর কেহ তাহ করে নাই কুলী-মজুর-কেরাণী তাহারা কি সেকথা বলিবে ? তাহারা বলিবে-_“তাহ।! আমর! জানি না।” সেইরূপ বড় একটা ফরাসী কারখানার মালিক বক্ততায় বলিয়ছেন--“কেরাণী গরীবদের জন্য আমরা যাহা করিয়াছি, কেহ কখনও তাহ করে নাই, আমর গরীবদের কখনো বাধিয়! রাখি নাই ।” গরীবদের জিজ্ঞাসা করিলে বলিবে-_ “উহার মত জুয়াচোর, বাটপাঁড় কেহ নাই। যুক্তি দেখাইতেছেন, জার্মাণিতে যে রকম আইন, ফরাসী দেশে তাহার দরকার নাই। কারণ ছোঁট ছোট মালিক, ছোট ছোট জমিদার, ছেট ছোট কারিগর, ছোট ছোট কুটার-শিল্পী এই হইতেছে আমাদের দেশের-_ফরাসীদেশের বিপুল সমাজ-শক্তি সঙ্গে সঙ্গে একটা বিপুল আর্থিক শক্তি। যেন ফরাসী পুঁজিপতি আর জান্মাণ পুঁজিপতি জাতে ফারাক !”

প্রক্ূপ লোক থাকা সত্বেও ফরাসীরা এতদিনে আইন বিধিবদ্ধ করিয়াছে (১*৩৬)। কাহারা করিয়াছে? মজুরদের প্রতিনিধিরা উহাদের দেশে চার কোটি লোক তাহার মধ্যে প্রায় এক কোটি লোক এই আইনে পড়িয়াছে। তাহাদের খরচ দেওয়া! হইবে অর্ধেক দিতেছে মজুররা আর অর্ধেক দিতেছে কারখানার মালিকর!।

যুবক ভারতের সমস্যা!

কি ফ্রান্স, কি জার্ম্াণি, কি ইংলও সকল সভ্য দেশেই জনসাধারণ ব্যাধি, বার্ধক্য দৈব-বীম। দ্বার] পেন্সন পাইতেছে। আমাদের পক্ষে

ব্যাধিন্বার্ধক্য-দৈব বীম।

সে রকম ব্যবস্থা করা সম্ভব কিনা জানিনা ১৯২৬ সনে জিনিষ মামরা ধারণা করিতে পারি কি? অথচ ব্যবস্থা যতক্ষণ পর্যাস্ত ন৷ করিব, কর্মদক্ষতা বলিয়া জিনিষ কাহাকে বলে বুঝিতে পারিব না। গ্ব্দেশসেবা! হিসাবে যদি কাজ করিতে চাই, পারিব না। ইয়োরোপের সঙ্গে যাঁদ টন্ধর দিতে হয়, পারিব না। যে কোন দেশের সঙ্গেই টক্কর দিতে হয়, পারিব না। আমাদের টক্কর দিতে হইবে কাহার কাহার সঙ্গে? একবার ভাবি কি? চোখের সামনে দেখি লড়াইয়ে জান্ম্মাণির হাড় একেবারে ভাঙ্গিয়৷ গিয়াছে বিস্মার্কের সাধের সাম্রাজ্য ঠুটা হইয়া রহিয়াছে কিন্তু উহাদের আথিক দৃঢ়তা অটুট আছে। বিস্যার্কের আধখান। কাজ যোল কলায়ই খাড়া রহিয়াছে তাহা! যতক্ষণ ঠিক থাকিবে দেশকে কেহ নড়াইতে পারিবে না। জার্াণি জান্মীণি, মনে হয় ইতালি আমাদের চেয়ে একটু কিছু বেশী বটে কিন্ত আমরা ইতালির কাছাকাছিও নহি। আমরা কারু সঙ্গেই টক্কর দিবার পথে আব দীড়াইতে পারি ন1।

বর্তমান অবস্থায় আমাদের পক্ষে এই সব করিয়! উঠ] কঠিন হইলেও ইহার কথা ভাবিতে হইবে। পীচ কোটি বাঙ্গালীর-মধ্যে দেড় কোটি বাঙ্গালী এমন আইন-কাহ্নে বদ্ধ হইবে, যাহার ফলে আমরা আথিক হিসাবে ম্বাধীন ভাবে, নিশ্চিন্ত ভাবে এবং নিরুদ্বেগে যার যার কাজকর্ম করিয়া যাইব। এইটা ১৯২৬ সনে চিন্তা কর আমাদের পক্ষে অসম্ভব মনে হুইতেছে। কিন্তু এই সব প্রণালী অবলম্থিত না হইলে আমরা বড় গোছের কিছু করিতে পারিব না আর ইহ! যদি করিতে পারি, তাহা হইলে অহরহ যে সব বুজরুকি আঙ্গগুবি কথা বলিতে আমরা অভ্যস্ত, সে সব কথ! আওড়াইবার প্রয়োজন হইবে না

জমিজমার আইন-কান্ন *% চাবী আর পল্লী ভারতের একচেটিয়। নহে

খাওয়া*পরার সঙ্গে জমিজমার সম্বন্ধ অতি নিবিড়। কেবল আমাদের দেশে নছে,-সকল দেশেই চাষ-আবাঁদ আর আর্থিক উন্নতি খুব লাগালাগি চীঞ্জ.। কথাটা ভাল করিয়া জানিয়া রাখা উচিত। কেননা আমাদের দেশে একটা বুখ.নি চালানো হইয়া! থাকে যে, ভারত হইতেছে কৃষি-গ্রধান দেশ, আর দুনিয়ার অন্তান্ত মুনুক হুইল শিল্প-গ্রধান ঘ্নপগদ। ভারতের ধাতে নাকি শিল্প-কারখানা! সহ হয় না আর ছুনিয়া- খানার আর কোথাও নাকি চাঁষ-আবাদ বরদাস্ত হইবার সন্তাবন! নাই। . চাষ বনাম শিল্প মামলায় ভারতবর্ষকে একটা সৃ্ি-ছাড়! মুন্ুক বিবেচনা করা আমাদের ম্বদেশসেবকদের, “দার্শনিক” পঞ্ডিতদের, ধন- তাত্বিক মহাশয়দের একট! প্রকাও বাতিকে ছীড়াইয়া গিয়াছে কিন্ত এই বাতিকটার আগাগোড়া সবই বুজরুকি। ইয়োরামেরিকার ধন- দৌলত-ঘটিত আর নরনারী-ঘটিত ষ্ট্যাটিষ্টিক্সের অঙ্কগুল|! দেখিলেই বু্রক্কি হাতে হাতে ধরা পাড়িতে বাধ্য। চাষের জন্ত লাখ-লাখ কোটি কোটি লোক ইয়োরামেরিকার দেশে দেশে আজও বাহাল আছে। হয় খোদ চাষী হিসাবে না হয় চাষীদের নিয়োগকর্তা মনিব হিসাবে এই সকল লোকেরা অন্ন সংস্থান করিয়া থাকে এই ষে ছুনিয়ায় আজকাল শিল্প-বিপ্রবের তুমুল প্রাথন বহিয়! যাইতেছে, এই যুগেও আমযন্থমারিতে

* জাতীয় শিক্ষাপরিষদের তত্বাবধানে প্রত ব্জ্‌তার নারাংশ। ফেব্রয়ারি, ১৯২৬।

জমিজ্মার আইন-কানুন ৬৯

চাষীদের জার চাবীনমালিকদের সংখ্য| খুবই ৰেশী। কোথাও আধাজাখি, কোথাও শরতকর! ৬1৭৫ পথ্যন্ত। এমন কি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে লোক- সংখ্যার ভিতর চাষীদের ওজন বেশ-কিছু ভারী

আর তার পর যদি খানিকটা উজাইয়া--অর্থাৎ “সেকালের” দিকে ধাত্র! করি,--বখন ইয়োরামেরিকার খুষ্টিয়ান সমাজে যন্ত্রপাতির দৌড় বড় বেশী ছিল না, শিক্প-কারখান1 সবে দেখা দিতেছিল মাত্র, তখনকার অবস্থায় কি দেখিতে পাই? তখনকার “পশ্চিমা” সমাজে চাষীতাই, ছিল লোকসংখ্যার আসল অংশ। দেশের লোক বলিলে তাহার! বুঝিত প্রধানতঃ বা একমাত্র কিষাণ বাঁচাবী। ধনদৌলতের মুর্তিমাজই ছিল প্রধানভাবে আবাদের সন্তান। সমাজের মেরুদণ্ড, আর্থিক ব্যবস্থার কেন্দ্র ইত্যাদি যা-কিছু চাও না কেন সবই পাওয়া বাইত চাষ-আবাদে।

সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দীর মোৌগল-মারাঠা আমলের ইয়োরোপীয়ানরা সবই ছিল চাষীর জাত। অতদূর উজাইয়া বাইতে চাহি না। এই. সেদিনকার উনবিংশ শতাব্দীর আর্থিক শ্রেণীবিভাগ বা সামাজিক জাতিভেটার কথা বলিতেছিঠ ছুনিয়ার গতি-স্থিতি বেশ বুঝা বাইবে। ১৮৪৬ সনের একটা! দৃষ্টান্ত! দিতেছি। ফ্রান্সের কথা বলিতে চাই। তখনকার দিনে ফরাসীরা ছিল গুণতিতে প্রায় ৩* কোটি এই ফ্রান্সে বন্দি কোনো ভারতসর্তান শফর করিতে যাইত, তাহা হইলে তার চোখে ফরাসী সমাজ কেমন ঠেকিত ? করাঁপীরা “অতি-মাত্রায় শহুরে লোক মালুষ হইত কি? পাশ্চাত্য সভ্যতাকে একমান্র নগর-জীবনেরই পুষ্টি পাক বিবেচনা! করা চলিত কি? ফ্রাব্দে তখনকার আদমদুমান্িকে ছিল প্রাত্ব ২ইকোটি ৭০ লাখ পল্লীবাসী অর্থাৎ শতকরা ৭৫1৮ জন 'লোক ছিল ফ্রাব্দে *্প্ীজননীর ভুসস্তান।” আর জমিজযার কল্যাণেই তাছাঙ্কের ভরণপোষণ চলিত অর্থাৎ চাঁষবাস যদি একটা “আধ্যাত্মিক”

নয়! বঙ্গালার গোড়া পণ্তন

কিছু হয়, তাহা হইলে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি গো-থাদক ফরাসী থুষ্টিয়ানদের কম সে কম বার আনা লোক ছিল আধা।ত্মিক।

সেই সময়ে জার্মীণরাও ছিল বিলকুল এইরূপ ১৮৪৩ সনের আদম স্ুমারিতে দেখিতে পাই ষে প্রুশিয়া জনপদে শতকরা! ৭১৭২ জনের ভাত কাপড় জুটিতেছে জমিজমার চাষবাসে। প্রশিয়ার জান্দমাণরা অতিমাত্রায় সহর-ঘে শা লোক ছিল না। শতকরা ২৮ জন মাত্র ছিল শহুর্যে নরনারী। ৩*,*** নরনারী অথবা তার চেয়ে বেশী লোক বাস করিত কটা শহরে ? মাত্র ১৫ টায়। কাজেই পল্লীসেবায় জান্মমীণরা এশিয়ার নরনারীকে কুণিশ করিয়! চলিতে রাজী হইবে কেন?

ধাত হিসাবে,জাতি-গত চরিত্র হিসাবে এশিয়ায় আর ইয়োরামেরিকায় ফারাক আবিফার করা অসম্ভব | অন্ঠান্ট তরফেও দেখিয়াছি, চাষ- 'আবাদ, জমিজমা! আর পল্লীবাস ইত্যাদি দায়ও দেখিতে পাইতেছি তাই এই সকল হিসাবে একট? একচেটিয়া! কিছু বা অতি-মাত্রায় বিশেষত্বপূ্ কোনো কথা ভারতীয় আর্থিক ব্যবস্থায় পাওয়া যাইবে না| ধাহ! পৃব ঠাহ! পশ্চিম--চাববাসে আর পল্লীকথায়

কৃষিকর্ম্দের নব-বিধান

আজ জমিজমার কথা বলিতে আসিয়াছি বটে কিন্তু চাষবাসের কথা বলিব না। জমির সার, ক্কষিরসায়ণ ইত্যাদি বস্তু আজকের আলোচ্য নয়। হাল বদল, "্র্যাকটর”, ব৷ অন্তান্ত নবীন প্রবীণ*যস্ত্রপাতির খতিয়ানও আজ হইবে না। তা ছাড়। যানবাহনের সাহায্যে বাজারে ফসল চালান দিবার প্রণালী সম্বন্ধেও কিছু বলিতে আসি নাই। অপর দিকে কিষাণদের পু'জিপাট! বাড়াইবার উপায় বাতলাইতে চাই না। সমবায়-নিয়ন্ত্রিত ক্ৃষি-ব্যবস্থাও এই আলোচনার বহিছত। অধিকন্ধ

জমিজমার আইন-কানুন ৭১

গো-বীমা, কৃষি-বীম! ইত্যাদি নতুন নতুন বীমার কথা শুনানোও আঙ্জ" আমার মতলব নহে। ক্ষি-রসায়ণ, কৃষি-এঞ্জিনিয়ারিং, ক্ৃষি-ব্যাক ইত্যাদি কৃষি-বিজ্ঞানের নানা বিভাগ একালের ইয়োরামেরিকায় বারপর নাই ছ্বাড়তির দিকে ছুটিয়া চলিয়াছে এই সকল বিষয়েও--অন্যান্ত বিষয়ের মত্তনই,--নবীন ছনিয়ার নিকট যুবক ভারতের অনেক-কিছু শিখিবার আছে। ক্ষিকর্ম্বের নব-বিধাঁন গুলা আমাদের খুবই কাজে লাগিবে। কিন্তু সে সব পথ আজ মাড়াইব না।

আজ আলোচনা! করিতে চাই একমাত্র আইনের কথা জমিজমার আইন-কাশ্থন ছাড়া অন্তান্ত বিধি-বিধান এই সঙ্গে বিবৃত হইবে না। জমিজমার বিধানগুলাও আকারে প্রকারে বিপুল একট। বিশ্বকোষ আওড়ানে সম্ভব নহে। কয়েকটা! মোটা মোটা কথা বলিয়া যাওয়াই একমাত্র উদ্দেশ্য

“হ্বিলেজ কমিউনিটি" প্রাচ্য পাশ্চাত্য

মজার কথা, এই জমিজমার আইন-কান্ছন সম্বন্ধেও ভারতে আমরা! একটা কিন্তৃত-কিমাকাঁর মত পুধিয়া আসিতেছি। ভারতের ভূমি- ব্যবস্থাকে অন্ততম ভারতীয় “বিশেষত্ব বূপে জাহির করা আমাদের দস্তর। এমন কি, পাশ-করা উকীলেরাও অজ্ঞানে-সজ্ঞানে এই মতই চালাইয়। আসিতেছেন। ইয়োরামেরিকার ভূমি-ব্যবস্থায় আর ভারতের ভূমি-ব্যবস্থায় যে একটা আকুতি-প্রকৃতিগত সাদৃহ্ঠট সাম্য আছে এই কথা ভারতীয় আইন-ব্যবসারীদের জানা উচিত ছিল। কিন্তু তাহারাও এই মহলে মাথা খেলাইতে চেষ্টা করিয়াছেন বলিয়া আমার বিশ্বাস হয় না। তাহারা মগজ খেলাইলে অন্ততঃ একটা বুজরুকি ভারতের “দার্শনিক” আখ়াক্স কল্‌কে পাইত না।

খই নয়া বাছলার গোড়া পত্তন

'সেকেলে দুমি-ব্যবস্থার সমাজ-তত্ব বা ধন-তত্ব লইয়া সময় কাটানো ঘমাজকার এই আসরে সম্ভবপর নয়। শুধু বলিতে যাইতেছি সিদ্ধান্তট' সবাজ্র। ভারতীয় পণ্ডিতেরা“হ্বলেজ কমিউনিটি” অর্জাৎণপল্লী-সাম্য,* যৌথ- ভূমি, “পলী-্বরাজ” বা "পন্ী-সমবায়” নামক কোনো একটা বস্তকে ভাক্সতাত্মায় খাশ গ্রতিমুর্তি সম.ঝিতে অভ্যস্ত আসল কথা, যুগের পর যুগ ধরি! এই পল্লী-্বরবাজ নামক আর্থিক-সামাজিক-রাস্্িক গুতিষ্ঠান পশ্চিমের খৃষ্টিয়ান সমাজে-_মায় ইংল্যাণ্ডেও জবরভাবে চলিয়াছে। বন্ধ বা আ্যান্থপলজ্গি বি্ভার কোঠে এই সিদ্ধান্ত হইতেছে একট! মা্ুনি আঅ, আ, ক, খ্ব মাত্র।

. ত্তারপর খই “হ্বিলেজ কমিউনিটির ভাঙন-লাগ। ব্যাধিটাও আবার ভাক্সতীয় বঙ্জপ্রত্যঙ্গের একচেটিয়। ব্যারাম নয় ছনিয়ার অন্তান্ সমাজ-কলেবরেও এই ব্যামোট! দেখা গিয়াছে এই ব্যাধির অর্থাৎ ভাঙনের ফলে সমাজে যে সকল নবীন অক্গপ্রত্যঙ্গের বিকাশ সাধিত হইয়াছে, অর্থাৎ ব্যক্ভি-ম্বাতক্্যের আঁইন, -সে সব চীজ ছনিয়ার অন্ঠান্ত জারপদের যতন ভারতেও আত্মপ্রকাশ করিয়াছে নু-কু সর্ধত্রই এক গরকার অর্থাৎ কি বুটিশ-ভারতের আর্থিক ভাঙন-গড়নে, কি সেকেলে স্বান্ধীন ভারতের অনুষ্ঠানে-প্রতিষ্ঠানে, জযিজমার ঠিকুজি, জযিজষার সোঁভাগ্য-ছুর্তাগ্য একটা অসম্ভব রকমের প্রাচ্য-কিছু নয়। অন্ঠা্ত দনেশেক্স জ্সার্থিক ইতিহাসে হাতে খড়ি হইব] মাত্র দকলেই ভূমি-ব্যবস্থান সাবজান্তির বিকাশ-ধাক়া! একরূপই দেখিতে বাধ্য হইবে

হিন্দু আইনে রোমাণ ব্যক্তি-নিষ্ঠা

এইবার কারও কিছু রগড়ের কথা বলি। ভারতবর্ষের যে জিনিফটা হিরু আইন, ভাতে *হ্বিলেজ কমিউনিটি” বা “যৌথ-পঙ্ীর” রিধ্ন বো

£দিজমার আইন-কানুন ১৬

হয় একদম নাই। আমাদের খষি, মহর্ষি, মহাপ্রতুরা সকলেই প্রান পুরাপুরি অ-পল্ীনিঠীভাদের মাথায় পনী-“সাম্য”, পনজী-্যরাজ", “বোর” সম্পত্তি ইত্যাদির তত্ব কখনো! থেলিয়াছে কিনা সন্দেছ। কি বাজবন্ধ্য মহারাজ, কি প্রপিতামহ মঞ্চ, কি সেকালের কৌটিল্য আর কি একালের গুক্রাচার্ধ্য, কি বাঙালী জীমৃতবাহন আর কি অ-বাঙালী বিজ্ঞানেখর,এ রা সকলেই ব্যক্তিত্বের প্রচারক এদের কাঙ্থনে কোন জনপদের জমিজমা উপর নরনারীর সমবেত স্বত্বাধিকার বিলকুল অজ্ঞাত। অর্থাৎ মধ্যযুগের ইয়োরোপে অমিজমার রোমাণ-আইন যে চীজ আর আমাদের আধ্যাত্মিক ভারতে ধর্মশান্ত, স্থৃতিশাস্ত্র, মিতাক্ষরা, দায়ভাগও অবিকল সেই চীজ। অথচ ভারতের উত্তর দক্ষিণ পৃব পশ্চিম অঞ্চলে যৌথ-পন্ঠী বা পল্জী* রাজ কখনে! ছিল ন। একথা! বলিতেছি না। ইয়োরোপের জনপদে জন্‌” পদে যুগের পর যুগ ধরিয়া “হিবলেজ কমিউনিটির অস্তিত্ব সপ্রমাণ করা সম্ভব, রোমাণ-আইনের ব্যক্তিত্ব-নিষ্ঠা থাক সন্বেও। ঠিক সেইরপই ভারতীয় “লোকাচারের”,“চরিত্রের” («কাষ্টমে”্র) ভিতর নানা কালে নান! স্থানে পজী-ম্বরাজ আর যৌথ জমি দেখা গিয়াছে বিশেষতঃ দক্ষিণ ভারতের চোলমগ্ডলে এই প্রথার সবিশেষ চলন দেখিতে পাই কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় যে সকল পুথি-গ্রস্থ “ধর্ম, “অর্থ” বা “লীতি” বিষয়ক “শা? নামে পরিচিত তার ভিতর এই প্রথার টিকি পধ্যস্ত নজরে আসে না। কথাটা চরম ভাবে জোনের বহি বলিয়া! বাইতেছি, কেননা গতওত্ের হ্ববিজাঘির ভিতর ঢু মাক্গার ্সভ্যাস আমার কিছু কিছু আছে। “ছিবিলেজ কমিউনিটির অস্তিত্ব সম্বন্ধে প্রমাণ এই হিন্দু জআইন-সাহিত্যেন্ ভিতর জ্মাজও ঢু ডিয়া পাই নাই। যি ফেহ পাইয়! থাকেন জানাইবেন আঙ্গার অন্ত শুধয়াইতে প্রন্থত আছি কিন্তু জানিয়া রাখিবেন যে, যেখান্ৰ্পল্লী” শব্ধ পাইতেছেন, সেখানেই "খলী-্ঘরাজ" গাঁযকাও বয়

৭8 নয়া বাঙ্গালার গোড়া পত্তন

চলিবে না। তবে বলিয়া রাখি যে, প্রম।ণের কুচো কাচ। পাওয়া নেহাঁৎ অসম্ভব নয়। আগেই বলিয়া চুকিয়াছি যে, যৌথ পল্জী নামক প্রতিষ্ঠান ভারতে ছিল। কিন্তু আশ্চর্যের কথা! এই যে, ভারতীয় “আধ্যাত্মিকতার” আসল প্রচারক বাঁরা,-_নীতি-স্থৃতি-ধর্্ম শান্্কারেরা, তাঁর! এই বস্তটাকে লইয়া মাতামতি আবশ্তক বোধ করেন নাই। তারা জমিজমাঁকে সোজা-মুজি ব্যক্তিগত সম্পত্তি সমঝিয়াই কান্থুন কায়েম করিতে বসিয়াছিলেন। যৌথপল্লীর অস্তিত্ব সম্বন্ধে তার! নির্বিকার

যাক দেখা যাইতেছে যে “হিবলেজ কমিনিউটি* “হ্বিলেজ কমিনিউটি” করিয়া ক্ষেপিয়া বেড়াইলেই তথাকথিত ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার অথবা ভারতীয় বিশেষত্বের পাণ্ড হওয়া! সম্ভবপর নয়। আবার ব্যক্তিনিষ্ঠা, ব্যক্তিগত সম্পত্তিবোধ, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি চীজ রোমাণ আইনে আছে বলিয়া সে সবকে অ-হিন্দু, অ-ভারতীয় বা অনাধ্যাত্মিক কিছু রূপে নিন্দা করা! চলিবে না। জমিজমার ব্যক্তিত্ব আর ব্যক্তি-শ্বাতন্তরয যদি “পাশ্চাত্য”, *থুষ্টিয়ান” বা ইয়োরোপীয়ান বলিয়! বর্জনীয় বস্ত হয়, তাহা হইলে আমদের খধি-মহধি মহাঁপ্রভূদের সকল পাতিই পাশ্চাত্য দোষছুষ্ট, থুষ্টিয়ানি গন্ধে ভরপুর, ইয়োরোপীয়ান রঙের মাল, এক কথায় বর্জনীয়। রাজী আছেন কি? আমি দেখিতেছি যাহা পৃব, তাহা পশ্চিম। তবে বর্জন-ঠজ্জনের কথা আলাদ!।

আমি দেখিতেছি, আধিক সভ্যতার গতি, পৃবই হউক বা পশ্চিম হুউক,-একদিকে। আমাদের বেলায় যেটা শ্থু সেটা বদি ওদের থাকে *জাহা হইলে সেটাও হথ নিশ্চয় ভালয় মন্য় পৃব পশ্চিম এক পথেরই পথিক। কাজেই সমন্তাগুল! সর্ধবজ্ই একশ্রেণীর জ্কান্তর্গত। সমন্তার বীমাংসা অর্থাৎ ব্যারামের দাঁওয়াইও পূর্ষে পশ্চিমে এক-প্রফকার: হুইবে, তাহাতে আশ্চর্যের কিছুই নাই। রি

জমিজমার আইন-কানুন শি

চি

ইতালির কিবাণ-মালিক আধিয়! আর লাতিফন্ি

বুটিশ ভারতের অথবা অবুটিশ, বর্তম(ন ভারতের ভূমি-ব্যবস্থায় একটা “ভখর্তীয়” ছাপ কিছু আছে কি? ইয়োরোপের যে কোন দেশের জমি- বন্দোবন্ত-প্রণালী দেখিলে এই সম্বন্ধে চোখ খুলিয়া যাইবে।

ধরা যাউক ইতালির কথা এদেশে চার কোটির বেশী নরনারীর বাস। কিন্তু মাত্র চল্লিশ লাখ লোক নিজ নিজ জমির আর ঘরবাড়ীর মালিক, অর্থাৎ ভূমির উপর একৃতিয়ার ভোগ করে ইতালিতে শতকরা মাত্র ৯১০ জন লোক। অপর ৯* জন ইতালিয়ান পরের বাস্তভিটায়, ঘর করে, আর দরকার হুইলে “ক্ষেতি” চালায়। এই দৃশ্ট। কি হুয়েজ খালের অপর পারেরই, সুর্যযান্তি দেশেরই একচেটিয়া? নুয়েজ খালের এপারে,--আমাদের এশিয়ায় এই দৃশ্ঠ কোন মিঞার নজরে পড়ে না কি ?

আর্থিক ইতালির আর এক কথা “এমফিতয়সিস” মালিক এই শ্রেণীর লোক খোদ গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে জমি “ভাড়া” করিয়া লয় খাজনা দিতে হয় গবর্ণমেণ্টকে | ভাড়াট্যেরা .জমিট! আর্জীবন রাখিতে অধিকারী তবে অনেক সময় এই ধরণের রাইয়ত একট! মোটা টাকা! দিয়া জমিট! কিনিয়! লয় তারপর হইতে খাস মহাল পরিণত হয় ব্যক্তিগত, বে-সরকারী সম্পত্তিতে রাইয়তেরা তখন পেজান্ট-প্রোপ্রাইটার বা. কিষাণ-মালিক। তারা নিজেরাই নিজের পুঁজিতে নিজ জমি চাব কক্ষে এই দূত এশিয়ার কোথাও দেখ! যায় না কি?

ইতালিয়ান ভূমি-ব্যবস্থায় “মেৎসাদ্রিয়া” নামক এক প্রকার বন্দোষ্ আছে : এই ব্যরস্থায় মিট খোষ চাবীর সম্পত্তি ন়। জমির মালিক আর চাঁধী হই বিভিন্ন লোক মালিকের সঙ্গে চাষী আধাঁআঁধি বখরার ব্যবস্থা করে। চাষী নিজ হাঁতে পায়ে খাটে আর মামুলি খরচপত্রের

০০ নযরা বাজলার গোড়। পত্তন

ধায়ী থাকে আর জমির যাঁলিক চাষীকে চাষের জন্ত বাস্তভিট। তৈরি করিয়া দের। আবাদের জানোয়ারও আসে মালিকের পুজি থেকে এই “আধিয়া” প্রথা তঙ্কান। প্রদেশে চলিতেছে এই জনপদের প্রসিদ্ধ শহর ফ্ররেন্স।

তা ছাড়! আর এক প্রকার ভূমি-ব্যবস্থা ইতালিতে দেখা যায়। নাম তার “লাতিফন্দি”। ছুবিস্তৃত জনপদের মালিক কোন ব্যক্তিবিশেষ। '্াদদের কাছ থেকে চাষীরা দশ বিশ বিঘ। জমি রাইয়ত হিসাবে ভাড়া করিয়া লয়। ভাঁড়াট1! সমঝাইয়া দেওয় হয় ফসলে অথবা টাকায়। “লাত্বিফন্দি*র মালিকদের সঙ্গে চাষীদের সাক্ষাৎ যোগাযোগ বড় একট! 'দেখা যায়না এই ছুই শ্রেণীর লোকের ভিতর পর পর একাধিক, বহুসংখ্যক নিম.মালিক আর ভাড়াট্যে বিরাজ করে। প্রথাটা নতুন কিছু নয়। সেই রোমাণ সাম্রাজ্যের আমল থেকে আজ পধ্যন্ত ইতালির মধ্য দক্ষিণ প্রদেশে আর সিসিলি দ্বীপে “লাতিফন্দি”র ব্যবস্থা চলিয়া আসিতেছে এই ““মধ্যবন্তী” নিম.মালিক আর ভাঁড়াট্যের স্তর-বিস্তাস বাঙালী কিষাণ, ভদ্রলোক আর উকিল-মহলে অন্তাত কি?

ফরাজী ঘমাজের ভূমি-ব্যবস্থ।

এইবার ফ্রান্সের সমাজ-বিন্তাস দেখা যঘাউক। কিবাঁণ-মালিক হইতেছে এই মুল্ুকে ভূমি-ব্যবস্থার বড় কথা। ভূমির উপর একৃতিয়ার ভোগ করে ফরাসীর। শতকরা ৯৩ জন। এই হিসাবে ফ্রাঙ্ঘ হইতেছে ইতালির ঠিক উল্টা, অর্থাৎ ইয়োরোপ নামক এ্রক্যবিশিষ্ট কোনে। কুনিয়া নাই। ইয়োরোপ বছত্বমর, বৈচিত্রাপূর্ণ বিভিন্পতার তর, জগৎ কাজেই ভারতেও বদি জমিজমার ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য জার বিভিন্ন থাকে ভাতে আন্চর্যোর কি জাছে?

জমিজঙ্গার আইন-কানুন গগ

ইতালিয়ান “মেৎসাত্রিক্স” বা আধিয়! প্রথার জুড়িদার ফ্রাব্েও আছে * মালিকের! চাষীর সঙ্গে জাধা-আধির বখর! করে। কিছু কিছুপুজি জোগানো তাদের দায়িত্ব চাষীকে অন্তান্ত বিষয়ে নিজ ভার খল করিতে হয়।

আর থাটি জমিদারীর প্রথাও ফ্রান্দে চলিতেছে মালিকের নিকট হইতে জমি ভাড়া করিয়া লওয়া হুয়। চাষীর সঙ্গে মালিকের কোনো সম্বন্ধ নাই। নির্দি্ট ভাড়1 সমবিয়া দিলেই হইল। চাষ-আধাদের তালমন্গর জন্ত চাষী নিজে দামী

ভুমি-গোলামীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ

ইতালিয়ান আর ফরাসী সমাজের বিবরণ শুনিলে ভারতসস্তানের অজান। কোনো ভূমি-ব্যবস্থার কথ। মনে পড়ে কি? শুধু ফ্রান্স আর ইতালি কেন? জার্ম্মাণি, রূশিয়৷ ইত্যাদি দেশেও ভূমিসংক্রাস্ত বে সকল আর্থিক গড়ন ছিল বা এখনো৷ কথঞ্চিৎ আছে,তাহ।তে ভারতের সুপরিচিত বিধিব্যবস্থারই এপিঠ ওপিঠ দেখা যায় একটা অদ্ভুত কিছু ইয়োরোপে আবিষ্কৃত হুয় নাই। আর ভারতসস্তানও একটা অদ্ভুত কিছু আবিষ্কার করে নাই।

এপর্যন্ত যাহা কিছু বলিয়া বাইতেছি সবই এককথায় রোমাণ-আইনের আওতায় শাসিত ইয়োরোপের বৃত্তান্ত তাহাকেই মোটের উপর জুড়িদার বলিতেছি হিন্দু-ব্রিটিশ আইনের আওতায় শাসিত ভারতীর একাল- সেকাঁলের। কিন্তু পৃথিবী চুপ করিয়া বসিয়া নাই। আর্থিক আইন”. কান্ধনও ঘেশ-কিছু ছুটিয় চলিয়াছে।

যোমাণ আইনের আবহাওয়ায় অথবা লোকাচারের আওতায় ইয়োঁ- রোপের নান! জনপদে ভূমি-দান্ত ( ্ন্তফ -ভম” ) নুপ্রচলিত ছিল। দাস

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

খতের বিরুদ্ধে ইয়োরোপীয়ানরা বিদ্রোহ করে। ফরাসী বিপ্লব এই বিদ্রোহের এক বড় খুঁটা ( ১৭৮৯-৯৩)। ফ্রান্দের দেখাদেখি জার্ম্মাণরা উনবিংশ শতাবীর প্রথম দিকে €১৮০৭-১২ ) দাসখত তুলিয়া দেয়। ষ্টাইন আর হার্ডেনব্যর্গ এই সংস্কারের জন্য বিখ্যাত। গোটা! উনবিংশ শতাবী ধরিয়া রুশিয়ায় দাস খতের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলিয়াছে তুমুল ভাবে। বোলশেহ্বিক বিপ্লবের দিগ বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে “হ্যফ”-প্রথার শেষ চিত্ও রুশ মুন্লুক হুইতে উড়িয়া গিয়াছে ( ১৯১৮-১৯)। বন্কান অঞ্চলের কোনে! কোনো জনপদে,_রুমেনিয়ায়, জুগোল্সাভিয়ায়, আজও প্যফ-প্রথাকে সমূলে উৎপাটন করিবার ব্যবস্থা! চলিতেছে আইনত: অবশ্থ ভূমি-গোলামী আর নাই, অস্থীয়ান সাআজোর আমলেই সংস্কার লাঁধিত হইয়াছিল কিন্তু প্রক্কত কার্য্যক্ষেত্রে মহাঁলড়াইয়ের পরও অনেক গলৎ রহিয়! গিয়াছে ইযমোরোপে থাকিবার সময় নব-গঠিত দেশসমুহের শ্বদেশ-সেবকদেরকে আইনের সাহায্যে জমিজমার জঞ্জালগুল। ঝাড়িয়া পরিফার করিবার কাজে মোতায়েন দেখিয়া! আসিয়াছি।

ভারতে ভূমি-গোলামী আজও কোথায় কোথায় আছে জানি না। যদি কোথাও ন। থাকে বুঝিতে হইবে যে, ব্যক্তি হিসাবে ভারতীয় চাষীরা ইয়োরোপের সকল দেশের চাষীর মতনই ম্বাধীন জীব। আবার পূর্বে বা পশ্চিমে সাম্য বা! সানৃশ্ ।.

স্বাধীনতা (১) আইনগভ (২) রাষ্ট্রগত (৩) অর্থশত

কিন্ত এই স্বাধীনতায় গুড় মাথানো নাই “আইনগত শ্বাধীনতার দ্বোরে চাষীরা কোনো লোকের গোলাম আর থাকিল না। কোনে জমির ভাগ্যের সঙ্গে কোনো চাষীর ভাগ্য বাধাও রহিল লা। এই স্বাধীনতা

জমিজমার আইন-কানুন শি

একটা বড় জিনিষ সন্দেহ নাই, আর সঙ্গে সঙ্গে যদি প্রান্্রীয় স্বাধীনতাও থাকে তাহা হইলে “সোনায় সোহাগা”।

রাষ্ট্রীয় শ্বাধীনত| কাহাকে বলে? প্রথমতঃ বুঝিতে হইবে যে, গোটা দেশট! অন্ত কোনে। দেশের অধীন নয়। উনবিংশ শতাবীর প্রথম দিকে ফ্রান্স,জার্্মীণি ইত্যাদি দেশ অবশ্ঠ মোটের উপর আগাগোড়া। রাষ্ট্রীয় হিসাবে ক্বাধীন। কিন্তু চাষীদের রাষ্ত্ীয় শ্বাধীনতা বলিলে একটা শ্রেণী-বিশেষের কথ! বুঝিতে হইবে চাষীরা যদি সরকারী প্রতিষ্ঠানে- _পালণামেণ্ট, স্যাশন্তাল আযাসেম্্রি ইত্যাদি সভায় ভোট দিবার অধিকার পায়, তাহা হইলে তাহার! রাষ্ত্রীয় শ্বাধীনতা ভোগ করিতেছে বুঝিতে হইবে হইতেছে “ডেমোক্রেসী”র অর্থাৎ আত্মকতৃত্বের মামলা ফরাসী বিপ্লবের সময় ইয়োরোপে এই শ্বরাজ অর্থাৎ জনগণের আত্মকতৃত্ব খানিকটা মাথা তুলিয়াছে। তার পরবত্তী ত্রিশ চল্লিশ বৎসরের ভিতর নানা দেশে এইদিকে নানা আন্দোলন চলিয়াছে আসল ফল যদ্দিও বেশী দেখা যায় নাই, তবুও মোটের উপর বল। যাইতে পারে যে,কিছু কিছু রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা! চাঁধীদের হাতে আসিয়াছে

দেখা যাইতেছে যে, আইনের চোখে একপ্রকার শ্বাধীনত। আর রা্্ীয় জীব হিসাবে ছুই প্রকার স্বাধীনতা চাষীরা উনবিংশ শতাব্দীর ইয়োরোপে কোথাও কোথাও ভোগ করিয়াছে কিন্ত এই ছই শ্রেণীর তিন প্রকার স্বাধীনতায় তাদের পেট ভরিয়াছে কি? ভরে নাই। তাই চলিয়াছে ওসব দেশে আবার আন্দোলন, আবার বিপ্লব। জমিজমার আইন-কাঙ্ছন কোথাও আসিয়া একট ম্বর্ণযুগে ঠেকে নাই। আবার তাহাকে ভাঙগিয়া নতুন গড়ন দিবার আয়োজন হইয়াছে কথাটা ভারতের দ্বদেশশসেবক গণের পক্ষে চৌঁক গিলিয়! গিলিয়া হজম কর! উচিত।

সমন্তাটা কোথায়? ফরাসী বিপ্লব আর ষ্টাইন-হার্ডেনব্যর্গের সংস্কার

৮৬ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তদ

৮2525255552-55555-555255755 ফরাসী-জান্খাণ চাষীকে ন্বর্ণে ঠেলিয়! ভূলিতে পারে নাই। হুই শ্রেণীর স্বাধীনতা খাইয়াও তাহাদের *ব্রদ্মজিজ্ঞাসা” আর“সুখ-পিপাসা”মিটেঃনাই এই ছুই শ্রেণীর স্বাধীনতার বাহিরেও আর এক শ্রেণীর শ্বাধীনক্তা আছে। স্বেটা অর্থগত-- আর্থিক খাওয়া-পরার ছর্দশা, ভাত-কাপড়ের টান মান্ধষের যতদিন থাকে ততদিন পধ্যস্ত আইনের চোথে ম্বাধীন জীব আর পালণামেন্টের ভোটার-মেম্বার হইয়াও নরনারীর আসল ছুঃখ ঘুচে ন|। এই মাষুলি তত্বটা ইয়োরোপে “আবিষ্কৃত” হুইল উনবিংশ শতাবীর দ্বিতীয় তৃতীয় পাঁদে। জাম্মাণদেরকে এই আবিষ্কারের পথ-প্রদর্শক বলিতে পারি,-বিশেষতঃ চাষী কিষাণদের কর্মক্ষেত্রে

১৮৫* সনে দেখা গেল যেঃ জার্মীণিতে “সাফ” বা ভূমি-গোলাম আর কেহ নাই বটে॥ কিন্তু ৪,০*,**০ পন্বাধীন” চাষীর অবস্থা বড়ই শোচনীয় ॥। শ্বাধীনতা তাদের আলবৎ আছে। আধ্যাত্মিক জীব হিসাবে তাদের কোনো অভাব নাই। অভাব যা-কিছু অন্ন-বন্স্ের। তাদের প্রত্যেকের হিম্তায় জমির পরিমাণ এত কম ষে প্রাণপণে আবাদ চাঁলাইলেও তাতে “ছুবেল! হীড়ী চড়ানো” অসম্ভব সবই আছে,_নাই কেবল আর্থিক শ্বাধীনতা, নিরুদ্ধেগ জীবন যাপনের ব্যবস্থাঁ। সমন্তাঁটা আবিষ্কত হইল নিম্নরূপ 2--ফী চাষী প্রতি যথেষ্ট জমির অভাব

চাষী প্রতি জমির পরিমাণ

এই যে সমস্তা,--জাম্মীণ এবং অনেকট। সার্ধজনিক ইয়োরোপীয়ান সমন্তা,-- ইহা! ইয়োরোপের বাহিরেও সনাতন সমন্তা ভারতে এই সমস্তার কথ! জানে না কে? ভারতে প্রথম ছুই শ্রেণীর স্বাধীনতা চাষীম্তুর গরীবগুর্ধো ধনী মহাজন সকলেই অল্পবিস্তর তোগ করিতেছে অবন্ঠ রাস্ীয় শ্বাধীনতার প্রথম দিকটা আজকাল এদেশে অন্ঞাত। কিন্ত

জমিজমার আইন-কানুন ৮১

প্রধানতঃ আইনগত স্বাধীনতা আর কিছু কিছু আত্মকর্তৃত্বসংক্রাস্ত স্বাধীনতা ১৯২৬ সনের ভারতসন্তান ভোগ করে। ত। চরমপন্থী রাষ্টিকদের পক্ষেও শ্বীকার করা সম্ভব। এই ছুই তরফে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ভারতীয়ের খানিকটা সাম্য দেখা যাইতেছে এইবার বলছি যে “ততঃ কিম* নামক অবস্থ। ইয়োরোপের পক্ষেও যেরূপ আমাদের ভারতের পক্ষেও সেইরূপ দাঁড়াইয়া গিম্লাছে। বর্তমানক্ষেত্রে জমিজমার কথ! বলা হইতেছে ভারতীয় চাষীদের আর্থিক শ্বাধীনতা কোথায় £ ১৮৫ সনের জার্শীণ অবস্থা ১৯২৬ সনের ভারতীয় অবস্থারই সমান ভারতে ফা চাষী প্রতি “ছুবেল। হাড়ী চড়াবার* উপযুক্ত থে জমি আছে কি? এই হইতেছে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সনাতন সমস্তা]।

শুধু বাঙ্লাদেশের কথা বলিতেছি আমাদের ২৭ জেলার ১৫টায় ইতিমধ্যে “সেট লমেণ্টের” বা জমিগমার দখল, অধিকার, চৌহ্দি ইত্যাদির স্থিরাকপণ সাধিত হইয়াছে, সপ্কারা শ(সন বিভাগের আওতায় তাতে চাষাদের জমির পরিমান কিরূপ দেখিতে পাই? বাঙলার চাষীদের কপালে গড়পড়তা বিঘা তিনেক জমি পড়ে তিন বিঘা জমির ফসলে এক এক চাষীর ভরণপোবণ সম্ভবপর কি? এই প্রশ্নটা আজও ভারতব।সীর মাথায় আসিয়! পৌছিগ্লাছে কিনা জানি না। হয্বত বা কাহ।বো কাহারো মাথায় পৌছিয়াছে। কিন্ত জান্ম্াণরা আঘাদের ছুই তিন পুরুষ আগে এই লইয়া মগক্জ খেলাইয়াছে। আর জানর্দদীণদের দেখাদেখি ্ুনিয়ার অন্ান্ত দেশেও লোকেরা আর্থিক স্বাধীনতার এই “ঢাধীপ্রতি ভূমির পরিমাণ” তরফটা অলোচন! করিতে শিখিয়াছে

বাঙলা দেশে বেশী লোকের মাথায় ঘে “ভূমির পরিমাণ" সমন্তাটা প্রবেশ করে নাই তার একট। বড় প্রমাণ আমরা বখন তখন পাই আজ- কাল দেশে যেখানে-সেখানে শুনিতেছি,_-ছেলে ছোকরা যুবা মাষ্টার

৮২ নয়! বাঙ্গলার গোড়! পত্তন

উকিল সকলকেই শ্বদেশসেবকর পরামর্শ দ্িতেছেন প্ছাড়িয় দাও লেখা- পড়ার কাজ.-_লাগিয়া যাও চাষ-আবাদে ।” “সহর ছাড়িয়া যাও চলিয়া! পল্লীতে” নামে একটা বয়েৎ আছে আমাদের আবহাওয়ায় ঠিক তাঁরই মাসতুত ভাই হইতেছে এই চাষবাসে লাগিয়া! যাওয়ার প্রপাগাণ্ডা।

ধারা “আর্থক ম্বাধীনতা”র কথা চাষীর্দের নিরুদ্বেগ জীবন যাপনের কথা, মাথা প্রতি ফী কিষাণের যথেষ্ট জমির পরিমাণের কথা বস্তুনিষ্ঠ ভাবে ভাবিয়! দেখিয়াছেন, তাদের মুখে এরূপ পাতি বাহির হইতে পারে না। ছু'চাঁর জন লোককে তাদের অবস্থা বুঝিয়া হয়ত বা এরূপ পরামর্শ দেওয়। যুক্তিসঙ্গতই বটে। কিন্তু সমগ্র দেশের পক্ষে একটা কর্তব্য- তাঁলিক1 নির্ধারণের বেলায় এই পাঁতি দিতে গেলে মগজের দেউলিয়া অবস্থাই প্রমাণিত হয়

বিলাতের “ছোট্ট চাষী”-বিষয়ক আইন

এইবার বিলাতের কথা কিছু বলি। ইংরেজদের সমস্তাও “গোত্র” হিসাবে বাঙালী আর জান্মীণ সমন্তারই অন্রূপ। ভাতকাপড় জুটাইবার মতন জমি চাষীদের আছে কিনা,--ইংরেজরা এই ভাবনায় অনেক দিন কাটাইয়াছে। প্রত্যেক চাষীকে যথেষ্ট পরিমাণ জমি দিবার জন্য তাহারা প্রাণপাতও করিয়াছে আর আজও করিতেছে ১৯০৮ সনে এরা পল হোল্ডিংস্‌ আযাক্উ' জারি করিয়া “ছোট্ট কিষাণ” কাকে বগে বুঝায়! দিয়াছে এতটা জমি এক এক চাষী-পরিবারের থাকা চাই যে, তাতে আবাদ চালা ইয়। তারা স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করিতে পারে। যাঁর চেয়ে কম পরিমাণে চলিবে ন! তাকেই বলে “ছোট্ট টুক্রা” ব৷ "ম্মল হোল্ডিং” অবশ্ত এই ছোট্ট টুক্রার মালিক হয়ং চাষী।

বিগত পনর ষোল সতর বৎসরের ভিতর ইংরেজর! এই লাইনে জ্বনেক কিছু করিয়াছে নতুন-নতুন আইন কায়েম হুইয়াছে। সরকারী

জমিজমার আইন-কান্থুন ৮৩

তদন্ত বসিয়াছে। দেশ-বিদেশে তদন্তের অভিযান গিয়াছে কনজার্ভেটিত, লিবার্যল্‌, মজুরপন্থী সকল রাষ্ট্রীয় দলই সরকারী আর বে-সরকারী ভাবে “চাষী-প্রতি জমির পরিমাণ” সমন্তায় মাথা ঘামাইয়াছে। আর খোদ গবর্ণ মেন্টের খাজাপ্জিথানা হইতে হাজার হাজার “ছোট্ট কিষাণকে” সাহাষ্য করার জন্য ক্রোর ক্রোর টাকা ঢাল! হইয়াছে বিলাতের ১৯০৮ সনটায় যে মীমাংস! পাতি, দাওয়াই বা দর্শন আছে তার দিকে যুবক ভারতের মতিগতি চালানে! আবশ্তক |

বুঝা যাইতেছে যে যাদের জমি নাই অথবা! কম আছে তার্দেরকে ইংরেজ গবর্ণমেন্ট জমি দিয়াছে অথবা পাওয়াইয়া দিয়াছে। ব্যস্। বাঙালীকেও আজ তাই করিতে হইবে | জনপ্রতি তিন বিঘা জমীতে যখন বাঙালী চাষীর “ধড়ে প্রাণ রাখা” অসম্ভব, তখন ইংরেজরা নিজেদের জন্ত যে দাওয়াই আবিষ্কার করিয়াছে সেই দাওয়াইটার ধরণ-ধারণ ভাল করিয়া রপ্ত করা আমাদের পক্ষে কর্তব্য বিল।তী ১৯৮ সন ভারতীয় আর্থিক উন্নতির মেসাবিদায় এক বড় আধ্যাত্মিক খুঁটা জৌগাইতে পারিবে।

ইংরেজের ভুড়ি অবশ বেশ পুরু তাদের উদরপূর্তির জন্য ফী চাষী পরিবারকে ১৭৫ বিঘা! জমি দিবার দত্তর আছে। আজকাল আবার জীবন" যাত্রার মাপকাঠি বাড়িয়াছে। আন্দোলন চলিতেছে প্রত্যেক ছোট্ট কিষাণ পরিবারকে কম.-সে-কম ২২৪।২৫* বিঘা! জমি দিতে হইবে বাঙালী চাষীর কপালে আজকাল জনপ্রতি বিঘ! তিনেক বরাদ্দা। বিলাতী হিসাবে পরিবারে পাঁচজন করিনা ধরিলে আজকাল বাঙলায় আছে চাঁষী-পরিবার প্রতি মাত্র ১৫ বিঘা। একে ঠেলিয়া ১৭৫ বিঘ। পথ্যস্ত তোলা আর্থিক ভারতের পক্ষে কোনে দিন সম্ভবপর হুইবে কিনা সম্প্রতি আলোচনা করিতেছি না বলিতেছি শুধু এই যে, ইংরেজরা এমন প্রস্তাবও ১৯২৪। ২৫ সনে করিয়াছে যাতে গবর্ণমেপ্টকে ফী বৎসর ৭*,০*,০*০ পাউও

৮৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

সর্ট এলি সস স্মিত সি শিস

নিয়মিতরূপে খরচ করিতে হয়। আর তাতে চাষী-পরিবার মাত্রেই কম- সে-কম ২২৫২৫ বিঘা জমির মালিক হুইবে। দেঁখিতেই পাইতেছেন জমিজমার আইনকান্ুনের গতি কোন্‌ দিকে।

ভুমি-বিধানে ব্যক্তি-নিষ্ঠা বনাম সমাজ-নিষ্ঠা

ছোট্ট কিষাণ-পরিবার স্থষ্টি করার অর্থ প্রথমতঃ যাঁদের অল্প পরিমীণ জমি আছে তাদেরকে বেশী পরিমাণ জমি পাওয়াইয়। দেওয়।। আর দ্বিতীয় প্রণালী হইতেছে একদম ভূমিহীন মজুরকে ভূমিম্বামীরূপে খাড়া করাইয়া! দেওয়া এসব সম্ভব হয় কি করিয়া? আাইনের জোরে অথব! লুটপাটের জোরে ইংরেজ এইরূপ অপাধ্য সাধন করিয়াছে। আইনটার ধরণ-ধারণ কিরূপ? যাদের বেশী পরিমাণ জমি আছে তাদেরকে যাইয় গবর্ণমেপ্ট বলিতেছে”_“বাবু সাহেব, তুই লাখ লাখ বিঘা জমি নিজ কজায় রাখিম্া কি করিতেছিস্‌ ? নিজের হাতে চাষ-আবাদ চালাইতে পারিস্‌ না ম্জুর রাখিয়া! আবাদের ব্যবসায়ে লাগিয়া যাওয়াত দেখিতেছি তোর ম্বভাব নয়। আর মজুর রাখিয়া চাষ চালাইলেও লাখ লাখ বিঘা তুই কোনো দিনই আবাদ করিতে পারিবি না। অতএব তোর জমি- দ্রারির খানিকটা দে বেচিয়া। আমরাই কিনিয়! লইতেছি। কিনিয়া ছোট্ট ছোট্ট টুকরা তৈয়ারী করিয়া চাষীদের কাছে অথবা হবু-চাষীদের কাছে বেচিয়া দিতেছি ।”

এক কিনস্ভৃতকিমাঁকার ব্যবস্থা নয় কি? না রোমাপ-হিন্দু আইন, ন! দেশাচারের হ্বিলেজ কমিউনিটি এই ব্যবস্থা হজম করিতে সমর্থ গবর্ণমেণ্ট আসিয়া জমিদারকে বলিতেছে £--“তোর এত জমির দরকার নাই। দে বেচিয়া আমার কাছে।” এই দৃশ্য ব্যক্তিনিষ্ঠার আবহাওয়ায়, “্বাধীনতা”র আবহাওয়ায় দেখা যাইতে পারে না। কেননা ব্যক্তিনিষ্ঠ

জমিজমার আইন-কানুন ৮৫

আর শ্বাধীন জীব যে, সে বলিবে, "আমার লাখ লাখ বিঘা জমি রহিয়াছে। বাপদাদাদদের নিকট হইতে উত্তরাধিকার-স্ত্রে অথব। নিজে খরিদ করিয়া জোৎজমা বাড়াইয়াছি। আরও বাঁড়াইয়। চলিব। আমার শ্বাধীন খেয়ালে আমার সম্পত্তি বাঁড়িয়া চলিবে। তোমার ইচ্ছায় আমি কেনা- বেচা করিতে যাইব কেন? আমি জমি চষি বা না চষি, চষাই বা না চষাই, সে আমার খুসী। রোমাণ আইন আর হিন্দু আইন ছুইই আমার স্বপক্ষে আর উনবিংশ শতাব্দীর ইয়োরামেরিকান আইন আর বুটিশ- ভারতীয় আইনও আমার ম্বপক্ষে। আমর নিজের পাঠা, আমি সুড়োয়ই কাটি বা! ল্যাজেই কাটি তাতে অন্য কোনে! লোকের মাথা ব্যথ৷ করিবে কেন বাবা ?”

গবর্ণমেণ্ট জবাব দিতেছে £--“দেখিতে পাইতেছিস্‌ না ভাই, দেশের লোকেরা আর চাষ-আবাদ করিতে পাইতেছে না দিনকাল য1 পড়িয়াছে তাতে প্রচুর পরিমাণ জমির মালিক না হইতে পাইলে চাষীরা গ্। ছাড়িয়া সহরের ফ্যাক্টরিতে গিয়। ঢুকিবে তখন চাঁষ-ব্যবসাটাই একদম পঞ্চত্ব- প্রাপ্ত হইবে সেই অবস্থা রানৈতিক তরফ থেকে, আর্থিক তরফ থেকে, সামাজিক তরফ থেকে সকল দিক্‌ হইতেই যারপরনাই অমঙ্গলজনক | অতএব সমাজের জন্ত, রাষ্ট্রের জন্য, দেশের জন্য তোকে তোর স্বাধীনতা কিছু কিছু বর্জন করিতে হুইবেই হইবে আর যদি ভালম্ম ভালয় না বুঝিস্‌ তাহা হইলে তোর ঘাড় ভাঙ্গিয়া তোকে তোর জমিদারির কিযদংশ আমাদের নিকট বেচাইবই বেচাইব ।"

গবর্ণমেণ্টের এই নীতিই হইতেছে বিলাতী ১৯*৮ সনের আসল কথা বিলাত বিষয়ে অগ্রণী নয়। বিলাতের আগে আগে গিয়াছে ডেন্সার্ক (১৮৯৯)। আর ডেন্মর্কেরও দীক্ষা-গুরু হইল জান্মাণি

১৮৯০-৯১)।

৮৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

জমিজমার আইনকানুনে এতদিন চল্ছিল রোমাণ-হিন্দু ব্যক্তিনিষ্ঠা তাকে ভাঙ্গিয়া সমাজনিষ্ঠার, দেশনিষ্ঠার ভূমি-বিধান কায়েম করা হইতেছে জার্মাণজাতির অন্যতম গৌরব। ১৮৯*-৯১ সনে জার্ম্মাণরা আর্থিক আইন-কামন্থনে যে বিপ্লব ঘটাইয়াছে সেই বিপ্লবের যুগে হুনিয়া আজও চলিতেছে এবং আরও অনেক দিন চলিতে থাকিবে যুবক- ভারতের সঙ্কে এই আইন-বিপ্লবের যোগাযোগ কায়েম হওয়৷ আবশ্তক। সেকালের মারাঠা পণ্ডিত মহাদেব গোবিন্দ রাণাডে ১৮৯৭-১২..সনের জার্মান আইন পর্য্যন্ত পৌছিয়াছিলেন। সে মাত্র ভূমি-গোলামী নিবারণের ব্যবস্থা ১৮৯০-৯১ সনের জার্মাণ আবিষ্কার ভারতে আজও, বোধ হয় একদম অজান]1।

একালের সমাজ-নিষ্ঠা বনাম সেকেলে হ্বিলেজ কমিউনিটি

গবর্ণমেন্ট বড় বড় ভৃমিপতিদেরকে নিজের নিকট জমি বেচিতে বাধ্য করিতেছে সমাজের বা দেশের সমবেত স্বার্থ হইতেছে এই ক্ষেত্রে সরকারের আসল লক্ষ্য কথাট? শুনিবা মাত্রই মনে হইবে, বুঝি বা আবার সেই মান্ধাতার আমলের “হ্বলেজ কমিউনিটি” বর্তমান জগতে ফিরিয়া আসিল। জিনিষটা অত সহজ নয়।

যে-যে দেশে যে-যে যুগে “হ্বিলেজ কমিউনিটি”, পল্লী-সাম্য, পল্লী- স্বরাজ, বা যৌথপন্নী নামক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই সকল দেশে আর সেই সকল কালে মাঝে মাঝে সব জমি অথবা! কোনো কোনো জমি আগা- গোড়া বিলি কর! হইত। কোনে একজন লোককে বলা হইত না, তোর জমি আমাদেরকে বেচিতেই হইবে বিলি কর! ছিল সার্ধজনিক দস্তর। সেই ব্যবস্থায় কোনো জমিতে কোনো লোকের দাগ দেওয়া

জমিজমার আইন-কানুন ৮৭

ব্ক্তিত্ব-স্ুচক অধিকার পায়দা হইত না| সম্পত্ভিট! সর্বদাই পল্লীর পক্ষে যৌথ ধন। আজ এর হাতে আছে, কাল ওর হাতে যাইতেছে এই পধ্যত্ত। তাতে কেনা-বেচার কথা উঠিতেই পারে ন1।

১৮৯*-৯১ সনের সমাজ-নিষ্ঠ। অন্ত গোত্রের চীজ। এই ক্ষেত্রে বড় ভৃমিপতি, ছোট ভূমিপতি ইত্যাদি প্রভেদ প্রথম স্বীকাধ্য। দ্বিতীয় স্বীকাধ্য হইতেছে জমির কেনা-বেচা। তৃতীয় কথ! জমিজমার ব্যক্তিগত স্বত্বাধিকার এই ব্যবস্থায় হ্বিলেজ কমিউনিটির যুগের বিলি-প্রথ। খাপই খায় না।

তবে এই সমাজ-নিষ্ঠাট! দেখা দিতেছে কোন্‌ কোন্‌ দিকে? প্রথমতঃ, কোন্‌ ব্যক্তি কত পরিমাণ জমির মালিক হুইতে অধিকারী সেট। বলিয়। দিবার একৃতিয়ার আসিতেছে গবর্ণমেণ্টের (অর্থাৎ সমাজের ব৷ দেশের) হাতে। দ্বিতীয়তঃ এই হ্যত্রে বলা যাইতে প্রারে যে, ভূ-সম্পত্ভির উপর ব্যক্তিগত অধিকার গবর্ণমেন্টের শাসনে অনেক পরিমাণে খর্ব হইতেছে এই হিসাবে গবর্ণমেন্টকে (অর্থাৎ দেশকে ব। সমাজকে ) জমিজমার “নিম-মালিক” বলিলে বলা যাইতে পারে। কিন্ত সম্বন্ধে বাড়াবাড়ি করা চলিবে না এতে সেকেলে “যৌথ-সম্পত্ভি*র চিন্যোৎ কিছু নাই।

এর সঙ্গে আজকালকার সোশ্তালিজ.ম্‌ বা সমাজ-তন্ত্র আর কমিউনিজ.ম্‌ বা ধন-সাম্য 1) বিষয়ক বস্ত দর্শনের যোগাযোগ আছে বটে। কিন্তু গবণমেণ্টের এই যে নিম-মালিকান। একৃতিয়ার অথবা লোকগণের ভূ-সম্পত্তিতে সরকারী শাসনের ব্যবস্থা,_ তকে হিবলেজ কমিউনিটির পুনরাবর্তন বলিলে ভুল করা হইবে বুঝিয়া৷ রাখা দরকার যে, বর্তমান জগতের সোশ্যালিজম২ আর কমিউনিজম্‌. জিনিষটা সঙ্গে সেকেলে ধন- সাম্যের কোন প্রকার আত্মিক সম্বন্ধ নাই। একদম কোৌরা নতুন চীজ।

৮৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

আধুনিক সমাজ-নিষ্ঠার তৃতীয় কথ! হইতেছে গব্ণমেণ্টের এক্‌তিয়ার- বুদ্ধি। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ইয়োরোপের লোকেরা গবর্ণমেপ্টকে দুরে রাখিতে চেষ্টা করিত। বলিত “হাওস্‌ অফ. হস্তক্ষেপ করিস্‌ না। লেস্সে ফেয়ার- লোকেরা যা করিতেছে করুক তাতে গব্ধমেন্টের নাক গু জিবার দরকার নাই ।” ১৮৯০-৯১ সনের সমাজনিষ্ঠা বলিতেছে --“গবণমেণ্টের সাহায্য সমাজের সকল কাজেই চাই। গবর্ণমেণ্ট উঠিয়া পড়িয়া! না লাগিলে ভূমিহীনকে ভূমিপতি করিয়! তুলিবার কোনো উপায় দেখিতে পাওয়া যাইতেছে না।” কাজেই সর্বত্র সকল কর্মক্ষেত্রে গবর্ণ- মেণ্টের কর্মগণ্ডী বাড়িয়া চলিয়াছে। ভারতবাসীরা যদি বর্তমান যুগের আইনকানুন পছন্দ করে, তবে তাদেরকেও গবর্ণমেণ্টের কর্মগণ্ডী, গবর্ণমেণ্টের একতিয়ার, গবর্ণমেন্টের সমাঁজশাঁসন বাড়াইয়া দিবার জন্ত প্রস্তুত থাকিতে হুইবে।

নবগঠিত চেকো-জোহ্বাকিয়া, জুগোলহিবয়1, পোল্যাণ্ড, রুমাণিয়া ইত্যাদি দেশে আজকাল গবর্ণমেন্ট কর্তৃক জমিদারী-লুট নীতি খুব জোরের সহিত চাঁলানে! হইতেছে তবে এই লুট-কাণ্ডে জান্াণ-বিদ্বেষ্‌ খুব বেশীরূপ আছে। কেননা বলকানের এই সকল নূতন দেশে অনেক জযমিদারই জান্মাণজাতীয়্ লোক। যেন-তেন প্রকারেণ জাম্মীণ নরনারীর “ভিটে- মাটি উচ্ছন্ন” করা নৃতন রাষ্ট্রগুলার প্রাণের সাধ। তবে আইনগুলার ভিতর জার্্মীণ আবিষফারই বিরাজ করিতেছে জার্মানদের দাত ভাঙ। হইতেছে জান্মীণ নোড়ারই জোরে |

১৮৯*-৯১ জনের জার্মীণ আইন-বিষ্পীব

১৮৯*-৯১ সনের জান্মীণ আইন কতকগুলা কিষাণ-মালিক ( পেজাণ্ট প্রোগ্রাইটর ) স্থপ্টি করিবার জন্ঠ কায়েম হুইয়াছিল। বতটা জমি

জাঁমজমার আইন-কানুন ৮৯

থাকিলে পরিবারের পক্ষে আর্থিক হিসাবে স্বাধীন জীবন যাপন করা সম্ভবপর হয়, বহুসংখ্যক চাষী পরিবারকে সেই পরিমাণ জমি দিবার বাবস্থা করা এই আইনের উদ্দেশ্ত। “ছোট্রি কিষাণ”, “ফ্যামিলি ফাম” ( পারিবারিক আবাদ ) ইত্যার্দি বস্ত এই আঁইনের গোড়ার কথা। ভূমি- হীনকে ভূমিপতি করা অথবা নেহা অল্প-পরিমাণ জমির মালিককে সঙ্গতিপন্ন “ছোট্র কিষাণে” পরিণত কর! এই ব্যবস্থার অন্তর্থত।

আইনটাকে কাধ্যে পরিণত করিবার কৌশল কিরূপ? প্রথমতঃ ধর! যাঁউক যেন চাষীর! গবর্ণমেন্টকে আসিয়া বলিল,_“আমাদের “ছোট্ট কিষাণ” বানাইয়। দ্াও। আমর! “পারিবারিক আবাদ" চালাইম্আা খাই।” দ্বিতীয়তঃ গবর্ণমেণ্ট গেল বড় বড় জমিদারদের কাছে। বুলিল,_-"অমুক অমুক অঞ্চলে তোমার যে সব জমি আছে, সেগুল! আমাদের নিকট বেচিয়। ফেল। ন্যায্য দাম দিয়া দিতেছি ।”

তৃতীযনতঃ, চাষীরা একপ্রকার “অস্ত ভক্ষ্যো ধনুগু নঃ”” অবস্থায় রহিয়াছে তার! কপর্দকহীন, বলিতেছে--“সরকার বাহাঁছুর, পারিবারিক আবাদ যে কিনিতে চলিয়াছি দাম দিব কোথ.থেকে ?* গবর্ণমেপ্ট বলিতেছে,_-“কুছ পরোয়া নাই আমি তোকে টাকাধার দিতেছি। এই টাক! হইবে তোর মূলধন তাই দিয় তুই জমিদারের জমিও খরিদ করিবি আর আবাদে হালবলদ বাস্তভিটার ব্যবস্থাও করিবি।” কিষাণ বলিতেছে,_-* শুধিব কি করিয়। ?” গবর্ণমেণ্ট বলিতেছে-_-“আরে সবুর কর্‌। আমিই মহাঁজন। শুধিবার ফিকির আমিই বাত-লাইয়া দিব।”

চতুর্থতঃ, জমিদারবাবুর সন্দেহ পাছে তার জমিও যায় বিলি হইয়া, আর টাকাও না আদে টার্যাকে। বুঝি বা কেনা-বেচা সবই ফন্কিকার,-- বর্তমান জগতের একটা ধাপ্পাবাজি মাত্র। গবর্ণমেণ্ট বলিতেছে,-

৪৩ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

“পাগল, ব্যস্ত হইতেছিস্‌ কেন? জমিত কিনিয়াছি আমি তোর কাছ থেকে চাষীরা কিনে নাই। দাম স্থদেআসলে আমার কাছ থেকেই পাইবি। ফী বৎসর কিছু কিছু করিয়া দিয়া যাইব। তোর টাক মারা যাইবে ন।1”

দেখা যাইতেছে যে, কারবারটা আগাগোড়া গবর্ণমেণ্টের মাথাবাথা ছাড়! আর কিছু নয়। টাকাকড়ির সকল ঝুঁকি গবর্ণমেণ্টের ঘাড়ে প্রশ্ন হইতেছে, গবর্ণমেণ্ট এত টাকা পাইতেছে কোথায়? সরকারী খাজাঞ্জি- খানায় আর খরচের জন্য আছে শ্বতন্র ব্যাঙ্ক নাম “রেণ্ট-বাঙ্ক”। এই ব্যাঙ্কের মারকৎ দেদার টাক! চালিতে হয়।

প্রথম ত্রিশ বত্রিশ বৎসরের ভিতর জান্মীণ গবর্ণমেপ্ট প্রায় ২*,০০* ছোট্র কিষাণ গড়িয়। তুলিয়াছে। এই বাবদ প্রায় ১৮ কোটি টাকা ঢালিতে হইয়াছে অর্থাৎ ফী বৎসর প্রায় ৫* লাখ টাকার ঝুঁকি লইলে তবে গবর্ণমেণ্টের পক্ষে চাধীদেরকে “আর্থিক হ্বাঁধীনতা” বাটিয়া দেওয়া সভ্ভব। আইন-বিপ্লবের এই হইল অর্থ-কথা

ডেন্সার্কের কর্ম-প্রণালী ১৮৯৯)

কথাটা বুঝাইতেছি ডেন্সার্কের কর্মাকৌশল বিশ্লেষণ করিয়।। জার্দাণির নয় দশ বৎসর পরে ডেনমার্ক জার্্মাণ আইনের এক জুড়িদার আইন কায়েম করে ১৮৯৯ সনে। কতকগুলা কোম্পানী খাড়া হইল। এগুলাকে ব্যান্ক বলাই উচিত গবর্ণমেন্ট দাড়াইল এই সবের মুরুব্বি। এরা জমিদারী কিনিয়া লইতে লাগিল আর “ছোট্ট টুক্রা"র ব্যবস্থা করিতে থাকিল। এই কোম্পানী- গুলার পু'দ্িই আমাদের সর্ধপ্রথমে লক্ষ্য করা উচিত। তারপর হইতেছে "পারিবারিক আবাদ*গুলা বেচিবার পাল1। চাষীর!

জমিজমার আইন-কানুন ৯১

আসিয়াছে গবর্ণমেণ্ট দিতেছে তাদেরকে ধার। কত? জমির দামের শতকরা ৯* অংশ অর্থাৎ হাজার টাকার জমি কিনিতে ষে চায় তার যদ্দি নিজের তহবিলে মাত্র ১** টাকাও থাকে তাহা হইলে গবর্ণমেণ্ট তার অবশিষ্ট ৯**২ টাকার জন্য জিন্মা লইতেছে। চাষীর! গবর্ণমেন্টকে সুদ দিতেছে কত হারে? মাত্র শতকরা ৩২ হিসাবে (প্রথম বংসর ধরিয়া! এই হার ) পরে শতকরা দেওয়া হয়। তার ১৬. টাক! আবার যায় ধার শুধিবার খাতে জমিট। কিছুকাল পধ্যস্ত গবর্ণমেণ্টের খাশ সম্পন্ভি বিবেচিত হয়। কিন্ত যে মুহূর্তে চাষীরা দামটা শোধ কর়িয়! দেয় সেই মুহূর্তে তারাই আসল মালিক

ডেনমার্কের লোকজন ৪৫ বিঘা জমিকে “ছোট্ট বা “পারিবারিক” আবাদ সম.বিতে অভ্যস্ত এই পরিমাণ জমিই গড়ে প্রায় প্রত্যেক টুক্রার হিন্তায় পড়িয়াছে। ২৩1২৪ বৎসরের ভিতর ভেম্মার্কে প্রায় ১*,*** নতুন “ছোট্ট কিষাণ” গড়িয়া উঠিয়াছে। বাঙাঁলাদেশের ছুই তিন জেলায় লাখ ত্রিশেক লোকের বাস। ডেনমার্কের লোকসংখ্যা এঁ পধ্যস্ত। তাতে যদি বিশ-পচিশ বৎসরের ভিতর হাজার দশেক ন্বাধীন কিষাণ-মালিক স্থষ্টি করা যায় তার আর্থিক সামাজিক কিম্মৎ সহজেই অন্গমেয়। খরচ পড়িয়াছে প্রায় ৪॥* কোটি টাক]।

জমিদার-দলন-নীতির এক অধ্যায় (১৯১৯)

ভূমি-বিপ্লবটা সাধিত হইতেছে আইনের জোরে বটে। বোল- শেহিরকদের লুটপাট মারকাট ইত্যাদি হাঙ্গাম। দেখা যাইতেছে না সত্য। কিন্তু নেহাৎ গোলাপ-জলের পিচকারি দিয়! জমিজমার ভাগ-বাটোয়ারা। চালানো হইতেছে এপ বুঝিবার কারণও নাই।

গবর্ণমেণ্ট জমিদারদের সঙ্গে যেরূপ ব্যবহার করিতেছে+ তাকে সোজ।

৯২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

স্পিকার ্ইর্্বসপ্ ি

কথায় বলা উচিত অত্যাচার প্রথম নম্বর, জমিদারের! নিজ নিজ জমি যখন-তখন বেচিতে বাধ্য হইতেছে | দ্বিতীয় নম্বর,-জমির আসল, স্তাষ্য দাম প্রায়ই তারা পাম না। তৃতীয় নম্বর,--যে দামটা তাদের প্রাপ্য তাও আবার জুটে হোমিওপ্যাথিক “ডোজে”। বার্ধিক “আ্যান্ুয়িটি”র বা ছুরদ্দের আকারে টাঁকাট। গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে তাদ্দের ট'যাকে আসিয়া পৌছে বলা বাহুল্য, টাকাঁট! উন্থুল হইতে লাঁগে বহুকাল। চতুর্থ নম্বর,-কোনেো কোনে! ক্ষেত্রে, জমিদারদের কোনে। কোনো জমি এক- প্রকার বেদখলই করা হইয়াছে এই দফাটা পুরাপুরি বোলশেহ্বিক কাণ্ড ছাড়া আর কিছু নয় তবে দাম দেওয়! হয়। এইযা। নয়া নয়। কিষাণ-মালিক ছোট্ট চাষীর নজরে “জমিদারি-কেনাবেচার কোম্পানী” আর “রেন্ট-বাঙ্ক”গুলা লোকহিতকর প্রতিষ্ঠান সন্দেহ নাই। কিস্ত জমিদারের পক্ষে এইসব চক্ষুঃশৃল |

ডেস্সার্কের এক প্রকার জমিদারি একদম তুলিয়াই দেওয়। হইয়াছে। তাতে বসানো হইয়াছে ২,০০* কিষাণ-মালিক। প্রত্যেকে পাইয়াছে ৪818৫ বিঘা! জমি এই জমি ছিল গির্জার সম্পত্তি (নাম “গ্ীব”)।

আর একপ্রকার জমিদারির বিরুদ্ধে গবর্ণমেণ্টের নজর খুব কড়া। উনবিংশ শতাব্ীর মধ্যভাগে ইয়োরোপের সকল দেশেই একশ্রেণীর নয়া ঢঙের জমিদার দেখা দেয় এরা আসলে কারখানার মালিক, ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর, ব্যবসা সঙ্বের সভাপতি ইত্যাদি জাতীয় লাখপতি বা ক্রোরপতি। অন্তান্ত নবাব জমিদারদের মতন এদের বাতিক চাগিল হে 'এরাও ভূমিপতি বনিয়া াইবে। যোজন যোজন বিস্তৃত জমিদারি কিনিয়া এই ধনী মহাজনের! “বাগান-বাঁড়ী” কায়েম করিতে থাঁকিল। সমাজের চোখে, দেশের চোখে, রাষ্ট্রের চোখে এই জমিদারিগুলা আগাগোড়া বিলাস-সামগ্রী, তৃমি-শক্তির অপব্যয় মাত্র। এইথানে একটা পারিভাষিক

জমিজমার আইন-কানুন ৯৩

শব্দ ব্যবহার করিতেছি এই ধরণের জমিদারিকে “ফিডাই-কোমিস” বলে।

ডেন্সার্কের গবর্ণমেণ্ট “ফিডাই কোমিস” ভাঙ্গিয়া ৪,*** নতুন কিষাণ-মালিক গড়িয়1 তুলিয়াছে। প্রত্যেক নয়৷ “পারিবারিক আবাদের" হিশ্তায়ই ৪৪1৪৫ বিঘার বরাদ্দ |

এই যে ছুরকম জমিদারি লোপ করার কথা বলা হইল তাতেও গবর্ণমেন্ট জমিদারকে পয়সা দিয়াছে একদম বিনা পয়সায় কোনো কারবার চলিতেছে না তবে মনে রাখা আবশ্তক এই যে, অন্তন্ঠি ক্ষেত্রে জমিদারির “কিয়দংশ মাত্র” গবর্ণমেণ্ট কিনিয়া লইয়াছে আর এই ছুই শ্রেণীর জমিদারি কিনিদ্না লইয়া গবর্ণমেণ্ট বলিতেছে,_-“ব্যস্‌। এর পরে এই ধরণের জমিদারি আমাদের দেশে আর থাকিবে না। এই ধরণের স্বত্বাধিকার এখানে খতম হইল ।”

সকল তরফ হইতেই জমিদারদের স্বত্ব খর্ব করা হইতেছে। প্রথমতঃ; কতটা জমি কার হাতে থাকিবে তার বিচারক গবর্ণমেন্ট জমিদার নিজ খেয়াল অনুসারে জমিদারি বাঁড়াইতে কমাইতে পারিতেছে না। দ্বিতীয়তঃ, জমিদার নিজ ইচ্ছার বিরুদ্ধেও জমিদারি বেচিতে বাধ্য কাকে বেচিবে, কতট। বেচিবে এই সব কথায় জমিদার আর শ্বরজী নয়। পট্র্যান্স্ফার অব. প্রপার্টি” অর্থাৎ সম্পত্ভি-হস্তাত্তর বিষয়ে জমিদারের স্বাধীনতা খাটে! হইয়া যাইতেছে তৃতীয়তঃ, বেচা জমির দাম নির্ধারণ আর দাম উন্মুল সম্বন্ধে জমিদার একপ্রকার এক্তিয়ার- হীন) বুঝিতে হুইবে যে, “কণ্ট্াক্ট” বা চুক্তির বাজারে জমিদারের ক্ষমতা! কমিয়া আসিতেছে আর চতুর্থতঃ, কতকগুলা 'বিশি রকমের স্বত্বাধিকার বিলকুল লোপাট হইতেছে। দেশের আইন তা আর মানিতেছেই ন|।

৯৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়৷ পত্তন

০০০০০

১৮৯০ সনের আবহাওয়ায়,_বিস্মার্কের আমলে এই জমিদার-দলন নীতি জার্মাণিতে সুরু হয়। শ্বত্ববিধানের ব্যক্তিনিষ্ঠা, ধনদৌলতে স্বাধীনতা, জমিজমার স্বেচ্ছাচার--এককথায় রোমাণ-হিন্দু আইনের কতক- গুল! বড় বড় খু টার মুণ্পাত সাধিত হয়। তারপর হইতে নয়! ঢঙের ভূমিবিধাঁন ইয়োরোপের সর্ধবজ্ ছড়াইয়। পড়িয়াছে। ১৯১৯ সনে যখন, লড়াইয়ের পর,__জার্্নাণ গণতন্ত্র (রিপারিক) কায়েম হইল তখন এই নববিধানের এক চরম মুর্তি দেখা গিয়াছে।

প্রথম কথা.__ ফিডাই কোমিস*_ প্রথাকে সমূলে উৎপাটিত কর! হইয়াছে দ্বিতীয় কথা অতি ঘোরতর। শুনিলেই জআাতকাইয়া উঠিতে হয় ৮৭৫ বিঘার চেয়ে বেশী জমি যে-লোকের আছে তাকে তার অতিরিক্ত জমির তিন ভাগের এক ভাগ গবর্ণমেণ্টের আশ্রয়-প্রাপ্ত জমি-কেনা-বেচার কোম্পানীর নিকট বেচিতে বাধ্য করা হইয়াছে। আইনটা সম্প্রতি কোনো কোনো জেলার ভিতর গণ্ীবদ্ধ। কিন্ত ব্যাপারটা কি গুরুতর বুঝুন। এই আইনই ডেন্মার্কের মারফৎ ইংরেজও মক্‌স করিতেছে

১৯২৬ সনের যুবক বাঙলা আজ ১৯১৯ সনের জার্্মাণ আইনটা বুঝিতে সমর্থ বা অধিকারী কি? আমরা যে এখনো! ১৮৯*-৯১ সনের পরীক্ষায়ই পাশ হই নাই !

ক্ষুদ্রীকরণের আর্থিক ক্ষতি

আইনের জোরে না হয় “ছোট্ট কিষাণ” বা “পারিবারিক আবাদ" গড়িয়া দেওয়া গেল। আগেই বলিয়াছি, ইংরেজদের মাপে ১৭৫।২৫৯ বিঘা! হইতেছে “ছোট্ট” আবাদের বহর জান্মনাণরা ১২০ বিঘা! আনজ দিম্সা থাকে আর ডেন্মার্কের নজর বেশ খাটো বিঘা ৪৫এর বেশী এদেশের গবর্ণমেণ্ট কাউকে দেয় না। ভারতবর্ষে যদি কখনে। হাজার

জমিজমার আইন-কানুন ৯৫

হাজার “কিষাণ-মালিক” বা! *ছোষ্ট্র-কিষাণ” গড়িয়। তুলিবার মতিগতি দেখ! দেয়, তাহা! ইলে আমাদের কোন্‌ প্রদদেশে কত বিঘা! জমিকে “পারি” বারিক আবাদের” ভিত্তি বিবেচন। করা উচিত অঙ্ক কষিয়া খতাইয়। দেখিতে হইবে। সম্প্রতি সেকথা বলিতেছি না জমিজমার আইন-কানুনের ধারা বিশ্লেষণ করা আর তার ভিতরকার ভাবার্থট নিউ.ড়াইয়। বাহির কর1 হইতেছে যাত্রায় মতলব

৪৫, ১২* অথবা ২৫* বিঘা জমির মালিক বনিয়া যাওয়! বেশ সোজ। কথ!।। গবর্ণমেন্ট জমি কিনিতে টাকা ধার দিতেছে আবাদ চালাইবার জন্যও গবর্ণমেণ্টের কাছ থেকে সাহাধ্য পাওয়া যাইতেছে চাষীদের মা-বাপই যখন গবর্ণমেণ্ট তখন আর ভাবনা কি? আমরা ভারতে বসিয়া ঠিক এইবূপই মনে করিতেছি | আর ইয়োরোপের নরনারীও এইরূপই মনে করিত।

কিন্তু তবুও ভাবনা আছে সমস্তা বেশ জটিল বিপদট। কোথায় ? আবার রোমাণ-হিন্দু ভূমি-বিধানের ব্যক্সি-শ্বাতন্থ্য “আমার পাঠা আমি ল্যাজেই কাটি আর মুড়োয়ই কাটি--তাতে তোমার কি আসে যায় বাবা ?"--এই নীতি হইতেছে যুস্তিনিয়ানের সংহিতায় আসল কথা। এই নীতি নেপোলিয়ানি-আইনের আসল কথ|।। এই নীতি আবার মনু-মিতাক্ষরারও আসল কথা।

সম্প্রতি সমস্তাটা “উত্তরাধিকার” ঘটিত। হাজার দেঁড়-ছুই বৎসর ধরিয়া “সভ্য” ছুনিয়ার়--যথা ইয়োরোপে, ভারতে আর অন্যান দেশে১-- যে আইন-কান্থন চলিতেছে তাতে “হিবলেজ কমিউনিটি*্র যৌথ সম্পত্তি, যৌথ স্বত্ব, যৌথ উত্তরাধিকার নামক বস্ত দেখা যায় না। দেখা যায়, সম্পন্তি-বিভাগ সম্বন্ধে “মোটের উপর”--অর্থাৎ একাধিক ব্যতিরেক সত্বেও, “সাধারণত:”-_মালিক মশায়ের স্বাধীনতা আর এই স্থাধীনতাটাও

৯৬ নয়া বাঙলার গোড়া! পত্তন

অনেক জায়গায় এমন আকারে দীড়াইয়। গিয়াছে--কি প্রাচ্যের, কি পাশ্চাত্যে,_যে সন্তানের। প্রত্যেকেই বাপের সম্পত্তির সমান সমান বখরা পায়। অর্থাৎ ৪৫ বিঘাই হুউক, ১২* বিঘাই হউক বাঁ ১৭৩২৫ বিঘাই হউক,_এক পুরুষের পর এই “পারিবারিক আবাদ” টুক্তা-টুক্রা হইয়! যাইতে বাধ্য রোমাণ আর হিন্দু আইন এই টুক্রা-টুকৃরা হওয়া বা অংশীকরণ (ফ্র্যাগ্মেণ্টেশ্তন ) নিবারণ করিতে অসমর্থ

আবার ইয়োরোপে ভারতে সাম্য, সাদৃশ্য বা এক্য। জমিজম! যে প্রত্যেক পুরুষেই “ক্ষুদ্রাৎ ক্ষুত্রতরং” হইতেছে'এট। একমাত্র “ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার”ই স্থগুণ বা দুপুণ নয়। ইয়েরোপের প্রত্যেক দেশই অন্ন বিস্তর)_-বিলাত বা্দে--এই আধ্যাত্মিকতার অতএব তার স্ুগুণ- ছগুণের অধিকারী ছুনিঘ্নার মুনলমান কাছনও এই অংশীকরণকে প্রশ্রয় দিয়া আসিয়াছে এই আইনে মেয়েরাও হিন্তা পায়

খাঁটি আইনের হিসাবে কেনো সম্পন্তি যখন-তখন যাকে-তাকে দরিয়া যাইবার ক্ষমত৷টা৷ বোধ হয় ভালই তাহা ছাড়া সম্পত্তিটার কোনে! কোনো! অংশ বেচিবার অধিকার থাকাও খাটি আইনের হিসাবে নিন্দনীয় নয়। তারপর সকল পুত্রকন্তার কপালে সম্পত্ভির উত্তরাধিকার সমানভাবে ঘটিলেও আইনটাকে নেহাৎ খারাপ বিবেচনা! করা উচিত কিন! সন্দেহ। ব্যক্তিনিষ্, শ্বাধীনতাপ্রিক্র নরনারীর চোখে এই সকল আইন মোটের উপর প্রশংসা-যোগ্য বিবেচিত হইবার কখা

কিন্তু উনবিংশ-বিংশ শতাকীতে আইনের ম্বাবীনতা আর রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ছাড়াও যাঙ্ষের জীবন-নিয়স্তা রূপে আর একটা জবর শক্তি দেখা দিয়াছে। আথিক উন্নতির পক্ষে কোন্‌ ব্যবস্থাটা ভাল, আর কোন্‌ ব্যবস্থাটা খারাপ, অতএব তার জন্য কিরূপ আইন, কিরূপ রাষ্ট্র থাক উচিত তার চিন্তা “শিল্প-বিগ্লবের” যুগে এক বড় গভীর চিন্ত

জমিজমার আইন-কানুন ৯৭

দেখিতে পাইতেছি যে, ভেন্মার্কে ৪৫ বিঘা জমি না থাকিলে, কোনে! “পীচমুখী* বা “পঞ্চানন” পরিবার ভাতকাপড় ভুটাইতে অসমর্থ জার্্মীণিতে ণপঞ্চাননে”র জন্য জরুরি ১২০ বিঘা এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন দেশে পঞ্চাননগুলার জন্ত নানাপ্রকার আবাদের বহর। অতএব যদি ডেন্নাকে আইনগত ম্বাধীনত। আর রাষ্ট্রগত শ্বাধীনতার দোহাই দিয়া লোকেরা বলে,-”"আমার ৪৫ বিঘা! জমি আমি আমার নয় সন্তানকে সমানভাবে ভাগ করিয়! দিয়! যাইব। প্রীত্যেকে পাইবে বিঘ! করিয়া” --তাহা হইলে এই নয় সন্তানের আথিক অবস্থা দাড়াইবে কিরূপ ? প্রত্যেকেই পাঁচ পীচ বিঘার দৌলতে এক একটি "পঞ্চানন-পরিবার” পুধিতে পারিবে কি? পারিবে না! ষে প্রথমেই স্বীকার করিয়। লইয়াছি। কেনন! প্রত্যেকে পঞ্চাননের জন্য চাই ৪৫ বিঘ।। অতএব স্ুবুছির কথা হইতেছে,_আঘিক স্বার্থের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ ক্বাধীনতা খর্ব করুক। এই শ্বাধীনতা-হাসের পরিচয় আবার একালের উত্তরাধিকার-গাইনে মৃত্তি গ্রহণ করিয়াছে

উত্তরাধিকারের আইনে ষুগাস্তর (১৮৮২)

আবার জান্মাণরা! আইন-সংস্কারে অগ্রণী জান্্মাণির আইন-বিশেষজ্ঞের! নয়া! ঢঙের চিন্তা দর্শন আইনের আখড়ায় আনিকা হাজির করিয়াছে। এরা বলিতেছে,_ আইন দ্বিবিধ। একরকম আইন হইতেছে ব্যক্তি- বিষয়ক। দ্বিতীয় রকম আইন হইতেছে বস্ত'বিষয়ক জমিজমার আইনে এই ছুই রকম আইনই আছে। জমির মালিক তার সম্পত্তি সম্বন্ধে কি করিবে না করিবে এসব কথা হইতেছে ব্যক্তি-বিষয়ক আইনের অন্তর্গত কিন্তু যে জমিট। সম্বদ্ধে মালিকের একতিয়ার সেই মিটারও একটা সত্তা, একটা গ্বাতস্ত্য আছে জমির এই যে স্বতন্ত্র অন্তিত্ব তার

৯৮ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

সম্বন্ধে আইনের বিশ্লেষণ হওয়। আবশ্যক ব্যক্তিগত আইন বলিতেছে,_ “আমার জমি। আমি এটাকে টুকরা করিব 1”, কিন্তু সেই সময়ে বস্তগত আইন বলিতেছে-__“হ তুমি জমিট৷ টুকরা! করিতে অধিকারী বটে। কিন্তু জমিট! নিজে এই টুকরা-করা সহিবে না। টুকরা! করিতে গেলে এই জমির জমিত্ব বা জমিশক্তি থাকিবে ন।। জমির ইজ্জৎ বাচানোও আইনের কর্তব্য 1” এই ধরণের “জাখেন-রেখ.ট” (অর্থাৎ বন্গত আইন) বনাম “প্যর্জোনেন- রেখ.” (অর্থাৎ ব্যক্তিগত আইন ) বিষয়ক তর্কবিতর্ক জাম্মীণিতে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বিস্তর চলিয়াছে ১৮৯* সনের জমিদারি- দলননীতি নুরু হইবার পূর্বেই জান্নাণর! বস্ত-গত আইনের, জমির ইজ্জৎ রক্ষার জন্য কানুনের, ব্যবস্থা করিয়াছিল। ১৮৮২ সনের কথা বলিতেছি। তখন আইনের ছুনিয়ায় একট। বিপুল যুগান্তর হইয়া গিয়াছে ভারতের হিন্দু-মুসলমান আজ ১৯২৬৩ সনে জমির ক্ষুত্রীকরণ বা ফ্র্যাগমেন্টেশ্ন নিবারণ করা কথনে। সম্ভবপর কিনা ভাবিয়া আকুল ঠিক ৪৪ বৎসর পূর্বে জার্ম্াণর ছুনিয়ার সকল দেশের ছর্দশ! নিবারণের জন্য যে দাওয়াইটা! আবিষ্কার করিয়া গিয়াছে, তার খবর হয়ত আমর! একদম রাখিই না। আইনটার মতলব হইতেছে জমিকে সটান পৃরাপূরি এক হাত হইতে আর এক হাতে বদলি কর।। উত্তরাধিকার জমির কোনো অংশ-বিশেষে আলিতে পাইবে না। উত্তরাধিকারী পাইবে সম্পূর্ণ জমি। মামুলি গ্রচলিত আইন বলিতেছে,__বাপ তার চার ছেলে মেয়েকে ১২* বিঘা জমি সমান চার অংশে বাটিয়া দিতে বাধ্য ১৮৮২ সনের আইন বলিতেছ,--**সমান চার ভাগ হউক, আপত্তি নাই। কিন্তু জমিকে চার টুকরা করিতে পাইবে না। অর্থাৎ পুত্রকন্তার প্রত্যেককেই জমির

জমিজমার আইন-কানুন ৯৯

চক কব কে কাকে বুক কে বে

উত্তরাধিকারী হইতে দিব না। জমি থাকিবে অথণ্ড। উত্তরাধিকারী হইবে একজন। সে জ্যে্ট পুক্রই হউক বা চতুর্থ কন্তাই হউক। তাতে কিছু আসে যায় না।””

ব্যবস্থাটা নিয়রপ। ছেলে বা মেয়ে উত্তরাধিকারী হইল। হইয়! সে গোট। সম্পত্তির দাম যাচাই করাইয়া লয়। ধরা যাউক, দাম হইল ১,০০*২। অতএব প্রত্যেকের হিন্তায় পড়িল ২৫০২ টাকা করিয়!। উত্তরা ধিকারী বা উত্তরাধিকার্সিণী বলিবে, “আমি তোদের তিনজনকে হ৫*২ টাকা করিয়া ৭৫০২ দিয়া দিতেছি। এখন হইতে হাজার টাফার সম্পত্তি ষোল আনা আমার 1” তারপর থেকে শ্রতিন ভাই বোন জমিহীন। প্রত্যেকে ২৫৯২ টাকার পুজি লয় “চরিয়! খায় ।৮

আইনটার নাম “আন্-এবেন্স্-রেশ উ, ( বাছাই-কর] উত্তরাধিকারের আইন )। এক কথার মহাভার সারিতেছি ! এসব বিষয়ে বাঙালীকফে তন্ন তন্ন করিয়া অনেক-কিছু ভবিষ্যতে আলোচনা করিতে হইবে। এখন শুধু এইটুকু বলিতে চাই ঘে ১৮৮২ সনের জান্নাণ আইনের ব্যবস্থাটা জমিহীন সন্তানদের নুখছুঃখ সম্বন্ধে একদম নির্বিকার নয়। উত্তরাধিকারী তার জমিহীন ভাহবোৌনকে “মাপদ বিপদের সময়” ঘরবাড়ী দিতে আইনতঃ বাধ্য ত্রিশ চল্লিশ বৎসর ধরিয়, এই দিকে হামেশা আইন-সংস্কার চলিতেছে কোনো একটা আইন খাড়। করিয়া, জান্মাণর! নাকে তেল দিয়া ঘুমায় না। সর্বদাই স্ু-কুর আলোচনা! আর ওলট- পালটের ব্যবস্থা! চলিতে থাকে

যাকৃ। ১৮৯০-৯১ সনের জমিদারি-দলন বিষয়ক আর কিষাণ-মালিক শৃপ্টি বিষয়ক আইনটা যেই কায়েম হইল, তখনি অমনি ১৮৮২ সনের বাছাই কর! উত্তরাধিকারের আইমটা চমৎকার কাজে লাগিয়া গেল। ১৮৯০-৯১ সনের আইনটা একদিকে বলিতেছে,--“জমিদার, তোকে ঠুটে!

১০০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

করিয়া দিতেছি জমিজমার কেনাবেচা ইত্যাদি সম্বন্ধে ।” ঠিক একই সঙ্গে অপরদিকে এই আইনটা বলিতেছে-_“কিষাণ, মনে রাখিস্‌ ১৮৮২ সনের উত্তরাধিকার-আইন। জমিট। কোনে! দিনই টুক্‌রা করিতে পারিৰি না ।”

একট! কথা,--কিছু অবান্তর হইলেও,--এখানে বলিয়! রাখ ভাল। যে-লোকটা বাছাই-কর! উত্তর।ধিকারী হইতেছে, সে মূলধন পায় কোথায় ? সে তার ভাইবোনকে টাক! দরিয়া গোটা সম্পত্তিট কিনিয়া লইতেছে কি করিয়া? সাধারণতঃ তার পুজি জুটে ব্যাঙ্কের নিকট হইতে ব্যাঙ্ক তার জমি বন্ধক রাখিয়া টাক] দেয় তাই দিয়া সে জীবন স্থরু করে।

অপর দিকে, জমিহীনের। পচগিয় খাইতেছে” শিক কোন্‌ মুলুকে ? কারখানায়, ফ্যাক্টরিতে, রেলওয়েতে, খাদে অথবা কোনে বড় জমিওয়ালার ক্ষেত্রে। দেশের আর্থিক অবস্থা এইরূপ নান! দিকে পরিপুষ্ট বলিয়াই ভিটেমার্টি-ছাড়া লোকগুলার কোনে হুর্গীতি ঘটে না।

চাষীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ

জমিদারের স্বাধীনতা খর্ধ করা ১৮৯০--৯১ সনের আইনের এক বিশেষত্ব সন্দেহ নাই। কিস্তু চাঁষীর্দের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপও এই আইনে কম হইতেছে না। কিষাণ-মালিক গড়িয়া তুলিবার জন্ত গবমেন্ট জমিদারদেরকে অনেক বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করাইয়া! ছাড়িয়াছে। কিন্ত তাই বলিয়! চাষীদেরকে শ্বর্ণে তোলাও আইনের মতলব নয়। নানা উপায়ে চাষীদের হাত পা ধীধিয়া রাখা এই আইনের প্রয়াস

প্রথমেই বলিয়াছি ঘষে, ১৮৮২ সনের উত্তরাধিকার-আইনট! মানিয়া চলিতে প্রত্যেক কিষাণ বাধ্য। দ্বিতীয়তঃ চাষ-আবাদ সম্বন্ধে প্রত্যেক কিষাণ-মালিক কতকগুলা নিয়ম মানিয়া চলিতে বাধ্য তৃতীয়ত

জমিজমার আইন-কানুন ১০১

জমিটা বিক্রী করা সম্ভব বটে। কিন্তু কড়াক্কড়ি অনেক। চতুর্থতঃ, ভাগাভাগি নিষিদ্ধ বটেই এমন কি, অন্ত কোনে জমির সঙ্গে নিজ জমি ভুড়িয়া দেওয়াও নিষিদ্ধ। কোনে প্রকারেই আবাদের বহর বৃদ্ধি চলিবে না। পঞ্চমতঃ, জমিটার কোনো অংশ কিষাণ কাহাকেও ভাড়া! দিতে পারিবে না। ষষ্ঠত:, আবাদের উপর ঘরবাড়ী তৈয়ারী করিম! কোন লোককে ভাঁড়! দেওয়াও বিলকুল আইন-বিরুদ্ধ।| এই ধরণের আষ্ঠে পৃষ্ঠে বাধা হইয়! নয়! নয়া কিষাণ-মালিক আর্থিক স্বাধীনতা ভোগ করিতেছে।

বুঝিতে হুইবে যে, বোলশেহিবকরা একালে কুশিয়ায় যা-কিছু করিতেছে, তার অনেক কিছুই সোশ্তালিষ্ট-হুদন, কাল” মার্কসের শত্রু, জবরদস্ত বিস্যার্ক হ্বয়ং সুরু করিয়া গিয়াছেন। এই হিসাবে বোলশেহ্বিকরা আইনের চোখে হাতী-ঘোড়া কিছু করে নাই। তবে এদের জযিদারী-লুটট। একদম নিলজ্জ বেহায়ার মতন বিন পয়সায় অমিদার-খেদানো এইখানেই ধা-কিছু বাড়াবাড়ি জার্ম্াণ-ইংরেজরা জমিদারদেরকে “মূল্য” দিয়া কথা কয়। তবে মূল্যটা অবস্তা অনেক ক্ষেত্রেই জমিদারদের মন-মাফিক হয় না। কিন্ত আইনের “তত্ব” বিস্মার্ক আর লেনিন যে “অনেকটা” এক গোত্রেরই লোক একথা মাঝে মাঝে মনে রাখা ভাল। ছুইয়েরই প্রাণের কথা হইতেছে, জমিটার উপর সরকারের তাব চালানে যখন যেমন দরকার।

ভুমি-ভারত কোথায় ?

নানা যুগে ভারতে আর ইয়োরোপে সাম্য দেখিতে পাইতেছি। উনবিংশ শতাব্দীতে ইয়োরোপ আমাদেরকে ছাড়াইয়া গিয়াছে এই

১৩২ নয়। রাঙলার গোড়া পত্তন

ইস্স্সিএতা » পিসি উপ বি নী পি বি বিএ পর পি রর এপ রত জা এন প্র এত এসএ তি হস ওসি এটি সি

জন্তই কি স্থিতিশ্ঈীল ভারতকে “আধ্যাত্মিক” আর প্জগদ গুরু” বলিয়া পুজা করিব!

ইয়োরোপের ৯৯১৯ সন, ১৯০৮ সন, ১৮৯৯ সন, ১৮৯০ বন, ৯৮৮২ সন--সবই আমাদের অভিজ্ঞতায়, আমাদের কর্মজীবনে, তৃষি- ভারতের অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানে, হিন্দু-মুসলমানের আইন-কান্ধনে অজ্ঞাত। অথচ এই লকল সনের বস্ত সমূহ ভারতের প্রদেশে প্রদেশে যারপর নাই আবশ্তক। ইয়োরোপীয়ানর ভারতীয় ছুর্দশায় পড়িয়াই এই সকল দাওয়াই কায়েম করিয়াছে কিন্তু আহাম্মুকের মতন আমরা আজও ক্মাওড়াইয়া যাইতেছি যে, পাশ্চাত্য মুলুক জাহান্নমে চলিয়াছে, তাদের নরনারীকে বাচাইয়। তুলিবে ভারতের নরনারী, এশিয়ার আধ্যাত্মিকতা ইহার নাম “ছোট মুখে বড় কথা” নয় কি? মুখ লাম.লাইয় আমাদের কথা বলা উচিত নয় কি?

আজ ১৯২৬ সন | একশ' বংখসরেরও আগে, ১৮২১ সনে," জার্মাণিতে একট। ভূমি-কান্জুন জারি হইয়াছিল এমন কি এত পুরাণ আইনটাও এখন পধ্যস্ত ভারতে আমরা আমদানি করিতে পারি নাই।

তখনকার দিনে পাচ সাত টুকৃরা জমির কোনে! এক মালিককে ভিন্ন তিল্ন পাঁচ সাত জায়গায় জমি তদবির আবাদ করিতে হইত। কোনো এক জায়গায় পাঁচ সাত টুকরা একত্র ভাবে অনেক জাম্মাণ চাষীর ছিল না! বাঙাল! দেশে আজও এই সেকেলে জার্্াণ ছরবস্থা। চলিতেছে ১৮২১ সনের আইনে জান্মীণরা তাহা দুর করিয়াছে আমরা এখনো ভাবিতেছি, ইয়োরোপীয়ানদের উপর আমাদের গুরুগিরি কায়েম হইতে, আর কত দেরি?

বস্তনিষ্ঠার যুক্তিশাস্তর বলিতেছে, ভারত ছনিয়ার মাপকাঠিতে,__- কম সে কষ ' জমিজমার আইন সম্বন্ধে-আজ ৩০।৪০।১০* বহসর

জমিজমার আইন-কানুন ১৩৩)

পশ্চাতে এই যুগ-পরম্পরাট। তাড়াতাড়ি টপকিয়! পার হুইবার ক্ষমতা, --এই ক্রমবিকাশটা রাতারাতি গুলিয়৷ খাইয়া আত্মপুষ্টি সাধন করিবার শক্তি যদি যুবক-ভারতের থাকে, তাহা! হুইলে ছুনিয়ার লোক বলিবে-_ “বাপ. কা বেটা!” ভারতীয় আর্থিক উন্নতির নানা ক্ষেত্রে চাই আজ একসঙ্গে বহুসংখ্যক চোখকান-খোলা, তথা-নিষ্ঠ, ইতিহাস-দক্ষ ৰাপ.কা বেটা

মজুর-দ্নিয়ায় নবীন স্বরাজ *

আমাদের আলোচনা করা হইতেছে আথিক উন্নতির বনিয়াদ-_ ভারত, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মাণির কথা আধিক উন্নতির এক মন্ত বড় খু'টা টাকাকড়ি। লোকেরা নিজ নিজ পকেট হইতে টাকা! পয়সা দিয়া কোনও এক কেন্দ্রে সজ্ঘবদ্ধ হয় এই সব সজ্বে টাকা পয়সার তোড়া শক্তির মানরূপে দেখা দেয়। যে শক্তি-কেন্দ্রে টাক! পয়স৷ জম! হয় সেই কেন্দ্রের নাম ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্ক গঠনের কথা তাই আথিক উন্নতির এক প্রধান কথা।

তারপর রক্তমাঁংসের কথা কেমন করিয়া দেশের প্রত্যেক নরনারী কর্ণক্ষিম, কার্য্যদক্ষ হইতে পারে, তাহার কথাও আর্ধিক উন্নতিরই এক গোড়ার কথা। আধিক উন্নতির আর একটা! মন্ত বড় খুঁটা হইতেছে চাষী, চাষ-আঁবাদ আর জমিজমা পৃথিবীর যে কোন দেশেই আমরা যাই না কেন সর্ধন্রই চাষীর সংখ্যা খুব বেশী,_কোন জায়গায় সমগ্র দেশের লোক-সংখ্যার আধা-আধি, কোথায়ও ব! তিনভাগের এক ভাগ। ইংলও, ফ্রান্স, আমেরিকা, ভেন্মার্ক, জার্ম্মীণি, ইতালি, বলকান, সকল অঞ্চলেই চাষীর আর্থিক অবস্থা দেখিয়া দেশের আর্থিক অবস্থা বুঝ! যায়। চাধীর উন্নতি দেশের উন্নতি অনেক ক্ষেত্রেই প্রায় এক কথা। জমিজমার বিধি-ব্যবস্থা, চাষী-সম্পর্কিত আইন-কান্থন ইত্যাদির আলোচনা, আধিক উন্নতির বনিয়াদ আলোচনারই বিশেষ অঙ্গ

* জাতীয় শিক্ষা! পরিষদের তবাবধানে প্রদত্ত বক্তার মারমর্্ (ফেব্রুয়ারী ১১২৯) বত অন্গুমার়ে লেখক-_তাহেরউদ্ছিন আহহ

মঙ্ুর-হুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১৪০৫

০০৬ তাই সখা

আঘথিক জগতের টিটি

আজকার কথা হইতেছে মজুর-ছুনিয়ায় নবীন ম্বরাজ। এতদিন যাহা! বল! হইয়াছে, তাহাতে আছে মোটের উপর একট! ধৃয়া। যেসব দেশের কথা বলা হইয়াছে, তাহার অনেক পেছনে পড়িয়া আছি আমরা। ঘ্দিও আজ আমরা ১৯২৬ সনেই বীচিয়া আছি বটে, কিস্ত ১৯২৬ কি চিজ তাহা বুঝিবার ক্ষমতা৷ আমাদের নাই ) ছুনিয়ার জমি-জমার আইন* কাছগন এমন ব্দলিয়া যাইতেছে যে, সে সব বিষয়ে কল্পনা করাও অ।মাদের পক্ষে একেবারে অপস্তব। আমি আপনাদিগকে ১৮২১-১৮৮২, ১৮৯৪-১৯১৯ এই সব তারিখের কথা বলিয়াছি। এই সব তারিখগুপি চাষীর আর্থিক অবস্থার ইতিহাসের সহিত অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাহাদের ভাত-কাপড়, তাহাদের খাওয়াপরা, তাহাদের ধনদৌলত, তাহাদের ম্বাধীনতা, তাহাদের ব্যক্তিত্ব_-ঘে দিকেই তাকাই না কেন, মানুষের আধ্যাত্মিক, নৈতিক উন্নতির সব দিক্‌ দিয়াই এই সব তারিখ- গুলি অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা রাস্ত্রীয় জীবনে কতকগুলি তারিথ মুখস্থ করি, ১৬৮৮-১৭৮৯-১৮১৫-১৮৫১-১৯০৫ ইত্যাদি এই তারিখগুলির দাম তাহাদের কাছে খুব বেশী, ধাহারা “আস্তর্জাতিক” অর্থাৎ পররাষ্ট্র- বিষয়ক বড় বড় কথা লইয়া মাথ! ঘামাইয়া থাকেন। ঠিক সেইরূপই এই ১৮২১--১৯১৯ তারিখগুলি আর্থিক উন্নতির ইতিহাসে যারপরনাই দামী। জার্াণি বা ইয়োরোপের অন্ঠান্ত দেশের যে যে তারিখের কথা আমরা আলোচনা করিয়াছি, সেই সব তারিথগুলি চাষীদের আর্থিক জীবনের সহিত অতি নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট

কিন্তু ইহার সকল তারিথের মর ভারতবাসীর মগজে এখন বসে কি? আমাদের তুলনায় ১৯২৬ সন এত দূরে অবস্থিত--যদিও কাল হিসাবে

১৬৬ নয়া বাজলার গোড়া পতন

নিকটে, কিন্ত মাল হিসাবে এত উপরে দুরে অবস্থিত যে, সে সম্বন্ধে চিত্ত করাও কঠিন। চাষীর জমিজমা-সম্পর্ষিত আইন-কানুন আমাদের দেশে আগেও যেমন ছিল এখনও প্রায় তেম্সি আছে। তবে জমিজম। কাণ্ডে ছনিয়ায় কত কি পরিবর্তন ঘটিয়াছে, কত বিশ্লব-বিবর্তন আশিয়া গিয়াছে_-এসবই আমরা বাহিরে থাকিয়াও কিছু কিছু বুঝিতে পারি ন। এমন নয়। কিন্তু মজুর-ছুনিয়ায় নবীন ম্বরাজ যে কি বস্তু তাহ! বুঝিবার ক্ষমতা আমাদের একদম নাই।

বুঝা কাহাকে বলে?

আপনারা বলিবেন, “তুই তো বড় আহাম্মক যুবক-ভারত যে কোন বিষয়ে চিন্তা করিতে পারে। ত্রিভুবনে এমন কিছু নাই যাহ! তাহার মগজের বাহিরে আমাদের ভশ্ীপতির ঠাকুরদাদার পিসতৃত ভাইয়ের জ্যাঠারাই তো উপনিষদ রচন]1 করিয়া গিয়াছেন। সেই জাত কিনা এমন একটা খেলে। কথ। বুঝিতে পারে না? ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা যারা তর্কের খাড়ায় কুচি কুচি করিয়া কাটিয়া আলোচনা করিতে পারিয়াছে তার! কি না এই সামান্ত জিনিষটা বুঝিতে পারে না!* এর উত্তরে আমি বলিতে চাই যে, বাস্তবিকই আমরা মজুর-স্বরাজ বুঝি না। জিনিষটা বেশ কিছু কঠিন। প্রথম কথ! হইতেছে-_মআজকালকার দিনেই হউক বা ঠাকুর- দ্বাদাদের আমলেই হউক, আমাদের দেশের লোকের! ব্ক্গ বন্তট! কতটুকু বুবিয়াছেন ? কেউ কেউ হয়ত জিনিষটা বুঝিতেন ; কিন্ত অনেকেই “শব” কপ চাইতেন মাত্র অধিকাংশ লোকেই কেবল বোলট। লইয়া আলোচনা করিতেন, তর্ক করিতেন বুলিট! যে মালের প্রতিশব্ষ সেই মালইার দিকে নূর ফেল অনেকের ক্ষমতায় কুলাস্ম নাই। আর এখনও অবস্থা তদ্ধপ।

[০

মঙ্জুর-হুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১৬৭

“বস্ত্ট। হাতে হাতে পাকড়াও করিয়! গায়ে ঠুকিবার ক্ষমত। তাদের অনেকের ছিল না। উপনিষদের একট টুকর! বা একটা গৎ আওড়াইতেন মাত্র আর আজক।লকাঁর দিনে একট] গোট! শ্লোক মুখস্থ বলিবার কমতাই অনেকের নাই ! কেউ বা এর আধখানা ওর একটুকু এই কপ চাইতে পারেন মাত্র ; কিস্তু মোটের উপর ইহাদের সকলেরই কারবার বস্তটার সঙ্গে নয়, বস্তর বোলটার সঙ্গে ব্রহ্গ সম্বন্ধে আমাদের দৌড় এই পর্য্যস্ত ) যে-কোন বিষয়েই আমর! আলোচনা! করি না কেন, অর্ধিকাংশ ক্ষেত্রেই বখন বস্তট! সম্বন্ধে আমাদের খেয়াল থাকে না, তখন আমি একথা বলিবই বলিব যে, সে জিনিষটা আমরা মোটেই বুঝি না

ব্রচ্ষবিদ্তা সম্বন্ধে আলোচনা করা সম্প্রতি আমাদের মতলব নয়। বর্তমানে আমি বলিতে চাই যে, আজ যাহ! বলিতে যাইতেছি এইসব বিষয় আলোচন1 করিবার, এমন কি চিস্তা করিবার অধিকারও আমাদের আছে কি নাসন্দেহ। “মজুর-ম্বরাজ” শবটার অর্থ বুঝিবার ক্ষমতা আযাদের, জন্মে নাই এইরূপই আমার বিশ্বাস। শবট! বানান করিতে পারি, আওড়াইতেও পারি সন্দেহ নাই। শিল্প এবং কাঁরথান। এসব ভাল বুঝিলে কথাটার অর্থ কতক মালুম হুইতে পারে বটে। কিন্তু সম্প্রতি এসব, শব্ধ মাত্র বুঝিতে আমর! সমর্থ--এখনে। আসল বস্কটা আমরা বুঝি না।

১৯২৬ জনের দুনিয়া

ধরুন আমি নিম্ন প্রাইমারী ইন্কুলে ভি হুইয়াছি। তারপর সেট। পাশ করা গেল, সেইথানেই আমার বিদ্যা খতম হইল। তারপর আর আমার অগ্রসর হওয়া! হইল না এখন যদি আমি বি, এবি, এস-সির কর্মখালি, দেখিয়া সেদিকে হাত বাড়াই, তাহা! হইলে আমাকে আহাম্মুক ছাড়া

১৩০৮ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পতন

সপ বাসস স্ম্সি ল্সস্টসস

আর কি বল! চলে? আমি নিম্ন প্রাইমারী বা উচ্চ প্রাইমারী পাশ করিয়াছি--এক্েবারে বি, এর খবর লইতে পারি না, অন্ততঃ লইবার অধিকারী নই। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করেন “বি, এ,র খবর লওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিটি কে?” তাহা হইলে আমি বলিব ছাত্রবৃত্তি পাশ করা লৌকটিও নহেন, ম্যাটিকুলেশন পাশ লোকও নহেন। আই, পাশ বা আই, ক্লাসের কেউ কেউ মাত্র বিষয়ে কল্পনা করিতে কিছু কিছু সমর্থ এবং অধিকারী ১৭৭* সনে জমিদারি-ব্যাঙ্কের আইন প্রথম বিধিবদ্ধ হয়। সেই ১৭৭*-৮*এর যুগ ধাপের পর ধাপ অগ্রসর হইয়া গিয়াছে ১৮৭*এর জার্্মাণি বা ১৮৮*এর ফ্রান্স ইহারা কি কখনে! ১৯২৬ সনের জার্মাণি বা ফ্রান্সের সম্বন্ধে কল্পনা করিতেও পারিয়াছিল ? ইংলগ্ড কি ১৮১৫-৩২ সনে কল্পন! করিতে পারিত যে, এক বিরাট তেলের খনিওয়ালা মেসোপটেমিয়া তাহার দখলে আসিবে? আলেকজান্দার, চন্্রগুপ্ত হয়ত বিশ্বসাম্রাজ্যের কল্পন| করিয়া থাকিতে পারেন। কিন্তু ১৯১৮ সনের সন্ধির ফলে দুনিয়।য় যে বৃটিশ সাম্রাজ্য গড়িয়! উঠিয়াছে সেই বস্তট! কল্পন! কর! কাহারও ক্ষমতায় সম্ভব হয় নাই।

মন্কুর কোন প্রকার জীব ?

আসল কথা--বস্ত, বস্ত-জ্ঞান, বন্তনিষ্ঠা। মভুর-ম্বরাজ ! ইহার না! মুর না স্বরাজ এখন পথ্যন্ত ভারতের ত্রিসীমানায় আসিয়া পৌঁছিয়াছে। আপনার! হয়ত বলিবেন “কি! মজুর পর্য্যন্ত ভারতে নাই! আমাদের বাড়ীতেই তো৷ চাকর আছে--প্রায় প্রত্যেক সম্পন্ন গৃহস্থের বাড়ীতেই ঘ্বাসদাসী আছে।” আমি জবাব দিব, “আজ্ঞে 7। মজুর আর দাসদাসী এক চিজ নয়। আমি যে মজুরের কথা বলিতেছি সে বনস্ত বিলকুল নয়া,

ম্ুর-্ছুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১৩৯

এই উনবিংশ শতাব্দীর আবিষ্ষার। কয়েক বৎসর পূর্বব পর্যযস্ত বস্তর পাত্তাই ছিল ন! ছুনিয়াম। না ছিল জান্মীণিতে, ন। ফ্রান্সে, ন! ইংল্যণ্ডে। মুর এক অতি জটিল জীব। শব্দটাও পারিভাষিক পকটমট।” এখন এই ১৯২৬ সনে আমর! কি অবস্থায় আছি? মজুর যে যুগে পারিভাষিক শবরূপে ব্যবহৃত হয়, সে যুগ ভারতে এখনও বড় বেশী দেখা দেয় নাই। আর সেই বস্তটাই এখনও ভারতে এমন কাচ! অবস্থায় রহিয়াছে যে, সে: সম্বন্ধে বুঝিবার বা কল্পনা! চালাইবার অধিকারও ভারতীয় নরনারীর, জন্মে নাই।

মুর জিনিষটা কি? আমাদের দেশের শ্রমজীবীর! আগেও যেমনটি ছিল, এখনও প্রায় সেইরূপই আছে। টাকা পয়সা রোজগারের দিকে তাহার! বড় একট] যত্ববান নহে। আল্সে ঝুঁড়ের মত দিন কাটাইরে, শেষে অভাবে পড়িলে ভিক্ষা করিবে তবু নিজে খাটিয়া নিজের আধিক উন্নতি করার দিকে তাহাদের মেজাজ, যায় না। “মজুর” প্বর্তমান যুগের শ্রমজীবী” হইতেছে সেই ব্যক্তি যে নিজের উন্নতি করিবার জন্ত, যখন যাহা করা দরকার তাহারই জন্ত--তাহার নিজের ক্ষমতা, তাহার নিজের মাংসপেশী চোস্ত দোরস্তড করিতে সদা সচেষ্ট *“মভুর” সেই লোক যাহাকে দেখিয়া মনিবের হাত-পা পেটের ভিতর সেঁদিয় যায়। হাটু গাড়িয়া মনিবের গুণকীর্তন যে করে সে মজুর নয়। সেই হইল বিংশ শতাবীর মজুর, যাহাকে দেখিয়া মনিব বা কারখানাদার হিমসিম খাইয়া যায় |,

এই গোট। ভারতবর্ষ--ঘাহার লোকসংখ)। ৩* কোটি, সেখানে এই ১৯২৬ সনে বোধ হয় মাত্র ৮-১০-১৫ লাখ শ্রমজীবী আছে যাহার! এই বিংশ শতাব্দীর মন্থুরের কাছাকাছি না হউক দূর হইতে তাহাদের ধরণ- ধারণ বৎকিঞ্চিৎ সমফঝিতে সমর্থ গোটা ভারতে হাজার ছয়েক শিল্প-

১১০ নয়! বাকলার গোড়া পত্তন

কারথানা আছে। এই ছয় হাজার শিল্প-কারখানার কিন্মৎ, যন্ত্রপাতি কর্মক্ষমতা, ফরাসী, জাম্মাণ আমেরিকান কারখানাগুলির সঙ্গে তুলনা করিবার দরকার নাই আমাদের এই কয়েক লাখ “আধা-মজুর”, “সিকি- মঞজুরকে শ্রেণীর শ্রমজীবীদের মাপকাঠিতে বিচার করা যুক্তিসঙ্গত হুইষে ন!।

মজুর-ভারতের লোকবল

কোনো কোনো বৎসর গড়ে প্রায় ১৫০,০০* ভারতীয় শ্রমিক, জী 'ও পুরুষ, ধর্মঘট করিতে শিখিয়াছে। &্ম্মঘটের উদ্দেস্ত ইয়োরামেরিকার শ্রমিকদের উদ্দেস্ঠয হইতে এক চুলও এদিক-ওদিক নয়। অর্থাৎ সকলেরই আকাক্ষা--”কম ঘণ্টা খাঁটিয়। বেশী পারিশ্রমিক লইব, ভাল বাসস্থান পাইব, এবং কর্-শাসন বিষয়ক অনেক স্থবিধা ভোগ করিব তবু বলিতে বাধ্য, ভারতের শ্রমিক আন্দোলন এখনও শৈশব অবস্থা কাটাইয়! উঠিতে পারে নাই। এখনও তাহার আত্ম-চৈতন্ত সম্পূর্ণ ভাবে জাগে নাই। কেন একথ। বলিতেছি তাহ! পরবন্তী বিবরণ হইতেই বুঝা যাইবে।

বাংলার বহু কয়লার খনি পাটের কল, আসাম বাংলার অনেক- জি চা-বাগান এবং উত্তর-পশ্চিম মাদ্রাজ প্রদেশের অনেকগুলি পশম- কলের মালিকগণ বিদেশী। শুধু ইহাদের বিরুদ্ধেই ভারতের শ্রমিক- আন্দোলন সুরু হইয়াছে একথ! বলিলে মিথ্যা বলা হয়। বো্বাইয়ের কাপড়ের কলগুলির মালিক আর বিদেশী নয়3 তাহারা দেশেরই লোক। তাহাদিগের বিরুদ্ধেও আন্দোলন বন্ধ থাকে নাই। বল! বাহুল্য, শ্রমিক ধনিকের মধ্যে এই মন-কষাকষি প্রায়ই কোনরূপ জাতিবিদ্বেষ-প্রহুত নয় | দ্বদেশ[হুরাগ, জাতীয়তা বা রাজনীতির গন্ধ

মন্জুর-ছুনিয়ায় নবীন ন্বরাজ ১১১

ইছার মধ্যে এক প্রকার নাই। শুদ্বমীত্র আথিক অবস্থার দরুণই এই আন্দোলনের সুত্রপাত। অনধিক ৩*৯*০*২ টাকা মূলধন লইয়া ষে সমস্ত “ছোট-খাট” শিল্প- ব্যবসা চলিতেছে, তাহাদ্দের কথা বর্তমানে ন! হয় বাদই দিলাম তাহাতে বেশী লোক খাটেও ন1 এবং সেখানে ফ্যাক্টরি চালানোর সমন্ত। বা শ্রমের অবস্থা তেমন সঙ্গীনও নয়। কিন্ত “মাঝারি” “বিরাট” শিল্পক।রখানা গুলিতেই শ্রমসমস্তা সঙ্গীন হইয়! ঈীড়াইয়াছে_-ত। সে কারখানাগুলি ম্বদেশীরই হউক বা বিদেশীরই হউক। টাটার লৌহ-কারখানায় ২*,** হাজার, হুকুম চাদের পাটের কলে ৫,০* হাজার মজুর খাটে। কাপড়ের কলগুলায় গড়ে এক হাজারের উপর লোক কাজ করে। সমশ্ঠই শ্বদেশীয় কারখান]। সরকারী গোলাগুলির কারখানার প্রত্যেকটিতে গভে প্রায় ১,৭০০ লোক খাটে অন্তান্ত শিল্প-কারথ।নার যাহার। কাজ করে, তাহাদের গড় ১০০ হইতে ১৫০ পধ্যন্ত। এইরূপ শ্রমিকসংখ্যার গড় ( ফাস্রি প্রতি ) ]বাটিশ ভারতে ২৩০ এবং দেশীয় র।জ্যে ১৪০। অবশ্ঠ সব ক্ষেত্রেই সংখ্যাগুলিকে ঠিকের কাছাকাছি বলিয়া ধরিতে হইবে যে সংখ্যা উপরে দেওয়া গেল সেট! কোনমতেই উপেক্ষণীয় নয়। জাপানে, ইতালিতে, এমন কি ফ্রান্সেও_এক একট! ফ্যাক্টরির কথা ধরিলে অবস্থা এখানকার অবস্থা অপেক্ষ! বেশী ঘোর|লো নয়। শ্রমিক পুরুষ স্রীর মোটসংখ্যা হয়ত ভারতবধ অপেক্চ৷ সে সব জায়গায় বেশী। কিন্তু ফ্যাক্টরির শ্রম-বন্দোবস্ত-সমস্তা এবং মালিক ম্যানেজারদিগের উপর শ্রমিকদের প্রতিক্রিয়া ভাঁরত বিদেশ সর্ধ্ত্রই সমান। শিল্প-মজুরদের সমন্তা আজ আন্তর্জাতিক হিসাবে পৃথিবী ব্যাপিয়া বর্তমান

১১২ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

কিন্ত ভারতের সাধারণ জীবনে শ্রম এখনও একটি প্রধান শক্তিরূপে কাজ করিতেছে না। শ্রমিক-সংখ্যাই তাহা বলিয়া! দিতেছে শিল্প- মজুরের সংখ্যা ভারতে ২,৫**,**০ মাত্র। এই সংখ্যাকে ভারতের অধিবাসীর সংখ্যার সহিত তুলনা করিলে বলিতে হইবে, ইহা নিতান্তই নগণ্য রেলের লোক, জাহাজের খালাসী, খনির মজুর, চাঁ-বা শনের কুলী, কারিগর এবং শিক্ষিত অশিক্ষিত শ্রমিক ইত্যাদি স$লের (জী পুরুষ ধরিয়া) সংখ্যা ধরিলে দেখা যায়, ভারতের অধিবাসীর শতকরা প্রায় দশ ভাগ লোক এই “শ্রেণী”র অস্তর্ঠত। তবু এই সংখ্যাটা গ্রেটবুটেন, আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র, জার্ম্মাণি ফ্রান্সের “সজ্ঘবদ্ধ” শিল্প

মজুরের তুলনায় খুব সামান্যই বলিতে হুইবে।

শ্রমিক বনাম ধনিক

ভারতে শ্রমিকদের আকাঙ্ষা কিরূপভাবে পূর্ণ হইতেছে, কেহ জিজ্ঞাসা করিলে, তাহার উত্তরে কেহ €েহ হয় বলিবেন-_মন্দভাবে নয় সপ্তাহে কত ঘণ্ট| খাটিতে হইবে, তাহা জেনেহ্বার আস্তর্জাতিক শ্রমিক মজলিসে নির্ধারিত হুইয়াছে। ভারতের ব্যবস্থাপক সভাও তাহাই গ্রহণ করিয়াছেন। গ্রেট্বুটেন, যুক্ত-রাষত, জার্শাণি অন্যান্ত শিল্প-প্রধান দেশে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ এখনও কিন্তু “আইনে” পরিণত হয় নাই। এই হিসাবে ভারতবর্ধকে আধুনিকতমই বলিতে হইবে হয় একটু অকালেই তাহার এই আধুনিকতা

কিন্ত এখনও অনেক কিছু করিবার আছে। শ্রমিকদের নেতারা একটি বিল ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত করিয়াছিলেন শ্রমিক স্ত্রীলোকদিগকে প্রসবের পূর্বের পরে কতকগুলি সুবিধা দেওয়ার জন্তই খর বিলের উত্থাপন কিন্তু উহা! এখনও পাশ হয় নাই। উহার পাশ

মজুর-ছুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১১৩

হইবার সম্ভাবনাও খুব কম। তাহার অনেক কারণ আছে। তন্মধ্যে একটি কারণ--কলের মালিকদিগের আপত্তি। মালিকদিগের সমিতি গভরণমেন্টকে একখানি পত্রে জানাইয়াছেন যে, বিলের বিরুদ্ধে ঈাড়াইতে হইলে গভর্ণমেন্টের সঙ্গে তাহারা একমত | তাহারা তেজের সহিত বলিয়াছেন, বিষয়ে জনসাধারণের মত এখনও প্রবল নয় ব্যবস্থাটা গ্রবন্তিত হইলে, বিষয়ে তদারক করাও কঠিন হইবে-_- ইত্যাদ। তাহাদের প্রদশিত কারণের মধ্যে একটি কারণ .এই যে, শ্রমিকেরা বিশেষভাবে সঙ্ঘবদ্ধ হয় নাই। আর একটি কারণ এই যে, সত্রী-ডাক্তারের সংখ] পধ্যাপ্ত নয়। সুতরাং বিলের সর্ত।চুসারে ডাক্তারী- সাহায্য প্রদান কর] শক্ত।

একপুরুষ আগে এঁ ধরণের যুক্তি ইয়োরোপেও স্তন! যাইত। মনে রাখিতে হইবে যে, ভারতীদ্দ গভর্ণমেণ্ট এখনও জানেন না-_বাধ্যতা- মূলক সার্বজনান অবৈতনিক শিক্ষার আইন কি বস্ত! তাহাদের ব্যবস্থা হইতেই বেশ বুঝা যায়, আজ ভারতীয় শ্রমশক্কির দৌড় কত দূর এবং যে বিশ্ব-শ্রমের মধ্যে আজ সে আসন পাইর়।ছে, তাহার পশ্চাদ্ভাগের কোন্‌ স্তরে তাহার অবঞ্থিতি। অবপ্ত আথিক জগতে উন্নতি করিতে হইলে ভারতের পন্থা আধুনিক দেশের পন্থা! হইতে বিভিন্ন হইবে না।

এই প্রসর্গে একটি কথা বলিয়া রাখা ভাল শ্রম-বাম! কি বস্ত তাহা কিন্তু ভারতে এখনও অজ্জাত। আকম্মিক বিপদ, রোগ অথবা বার্ধক্যে শ্রমিক দ্ীপুরষের! বিশেষ কিছু সাহাথ্য পায় না! প্রথম “ট্রেড ইউনিয়ন বিল" আইনরূপে পরিগণিত হইয়াছে কেবল মাত্র ১৯২৫ সন্গ প্রথম ভাগে

পূর্বেই বলিয়াছি, বোম্বাইয্সের কলের মাপিকেরা ভারতবর্ষের লোক ইয়োরোপের লোক নন। জাতীয়তা বা শ্বাদদেশিকতার কোনে দিক্‌

১১৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

দিয়াই তাহাদের আচরণ প্রাচ্যের প্রতি প্রাচ্যের অনুরূপ নয়, অর্থাৎ তাহাদের ব্যবহার ইংরেজ মালিকদের ব্যবহারেরই সমতুল। কাজে- কাজেই ভারতের মজুরের! দেশীয় বিদেশীয় মালিকের মধ্যে কোনে রকম ইতর-বিশেষ করিতে পারে না। আজ তাই ভারতের শ্রমিক 'সমাজ পুঁজির বিপক্ষে, “ধনতন্ত্রের বিপক্ষে, দঈীাড়াইতে শিখিতেছে। কোন্‌ জাত, কোন্‌ দেশের লোক, কোন্‌ ব্যক্তি-বিশেষ এই পুজির মালিক তাহার প্রতি তাহাদের ভ্রক্ষেপ নাই।

ভারতীয় শ্রমিক-পত্রিক।

ভারতের শ্রমিক এখন উদ্ধ দ্ধ হইবার চেষ্টা করিতেছে। উহার মধ্যেই “নিখিল ভারতীয় ট্রেড. ইউনিয়ন কংগ্রেস” দেখা দিয়াছে তাহার শাখা- প্রশাখাও প্রদেশে প্রদেশে ব্যাপ্ত হইয়াছে এবং প্রতি বর্ষে তাহার বৈঠকও বসিতেছে। ত্রিশ বংসর আগে কেবলমাত্র একথানি শ্রমিক- পত্রিকা ছিল। বোগ্বাইয়ের শ্বদেশ-প্রেমিক লখনদে গুজরাটী ভাষায় তাহ! প্রকাশ করেন তাহার নাম ছিল “দীনবন্ধু? কিন্তু আজ সেইখানে ভারতের বিভিন্ন ভাষায় এবং ইংরেজীতে প্রকাশিত প্রায় বিশখানি পত্রিকার নাম কর! যায়। তাহাদের মধ্যে কতকগুলি শ্রমিকদের নিজেদের দ্বারাই পরিচালিত | অন্ত সম্প্রদায়ের তাহাতে হাত নাই।

মারাঠী ভাষায় “কামগর উদয়” নামে একখানি পত্বিকা আছে। বোস্বাইয়ের “সেন্টযাল লেবার বোর্ড” কর্তৃক তাহা প্রকাশিত মারাঠী সাপ্তাহিক ণকামকরী”ও বোগ্বাই হইতে প্রকাশিত হয়। আহন্মদাবাদে গুজরাটী ভাষায় “মজুর-সন্দেশ” নামে একখানি সাপ্তাহিক পত্রিকা আছে। কানপুর হইতে হিন্দীতে “মজদূর” পত্রিকা সপ্তাহে হইবার

মজুর-ছুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১১৫

করিয়। বাহির হয়। কলিকাতায় শ্রমিক” নামে একখানি সাপ্তাহিক আছে। তাহার ছইটী করিয়। সংস্করণ বাহির হয়, একটী বাংলাতে, আর একটা হিন্দীতে কলিকাত।র সাপ্তাহিক “লাঙল” উঠিয়া গিয়াছে এখন দেখ! দিয়াছে “গণ-বাণী”।

রেলওয়ে কর্মচারীদের হ্বার্থের কথ প্রকাশ করিবার জন্য অনেকগুলি পত্রিক! ইংরেজীতে প্রকাশিত হইয়া থাকে। বেঙ্গল-নাগপুর রেলওযের “ইগ্ডিয়ান লেবার ইউনিয়ন'-কতৃক “ইগ্ডয়ান লেবার জার্ণাল” নামে একখানি মাসিক পত্রিকা সাতরাগাছি হইতে বাহির করা হয়। বোম্বাই হইতে গ্রেট ইণ্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে ইউনিয়ন কতৃক “জি, আই, পি, হাবন্ড” নামে একখানি পত্রিকা মাসে ছইবার করিয়া বাহির করা হইয়া থাকে নর্থ-ওয়েষ্টার্ণ রেলওয়ে ইউনিয়ন-কর্তৃক একখানি সাপ্াহিক লাহোর হইতে প্রকাশিত হয় আউদ-রোহিলখণ্ড রেলওয়ে ইউনিরন- কতৃক 'মজদূর' নামে একখানি সাপ্ত।হিক পত্রিকা লক্ষৌ হইতে প্রক।শিত হয়। সাউথ ইগ্ডিয়ান রেলওয়ে ইউনিয়নের “দি রেলওয়ে গাজ্জিয়ান” একখানি সরকারী পত্রিকা। নাগপত্তন ( মাদ্রাজ ) হইতে উহু। প্রকাশিত তারপর 'রেলএয়ে টাইম.স” নামে একখানি সাপ্তাহিক আছে ভারত- বর্ষের ব্রহ্মদেশের যাবতীয় রেলকন্মচারীদের যাঁকিছু সমস্তা, সে সমস্তই ইহাতে স্থান পায়। সব কন্মচারীদের মিলনসজ্ঘ-কত্ক মুখপত্ররূপে ইহা বোম্বাই হইতে বাহির কব! হয়।

ডাক-বিভাগের কম্মচারীদেরও অনেকগুলি পত্রিকা আছে। বাংলা এবং আসামের পোষ্ট্যাল রেলওয়ে মেল সাভিস আ্যাসো সিয়েশন কর্তৃক “লেবার” নামে একখানি মাসিক-পত্রিকা! কলিকাতা হইতে প্রকাশিত হয়। আর একথানির নাম ধপোষ্টম্যান'। ইহা বোস্বাই প্রদেশের “পিয়ন ইউনিয়নে'র মুখপত্র উক্ত পত্রিকাদ্ধয়ই ইংরেজীতে

১১৬ নয়া বাঙলার গোড়া পতন

লেখ! হয়। বোদ্বাই প্রদেশের পোষ্ট্যাল রেলধয়ে মেল সাভিন অযাসোসিয়েশন-কর্তৃক “জেনারেল লেটাস+ নামে একখানি মাসিক বোৌগ্বাই হইতে প্রকাশিত হইয়! থাকে এই নামের আর একখানি মাসিক পত্রিকা পুনার পোষ্্যাল রেলওয়ে মেল সাভিস আযাদোসিয়েশন- কর্তৃক প্রকাশিত হয়। লাহোর হইতে পাঞ্জাব এবং নর্থ-ওয়েষ্টার্ পোষ্ট্য/ল রেলওয়ে মেল সাভিস আ্যাসোসিয়েশন 'পাপ্তাৰ কমরেড 5 নামে একখানি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করিয়া থাকেন। কলিকাত৷ হইতে “জেনারেল লেটাস” নামে আর একখানি মাসিক নিখিল ভারতীয় (ব্রহ্মদেশ ধরিয়! ) পোষ্ট্যাল রেলওয়ে মেল সাভিদ আযাসোসিয়েশন- কর্তৃক প্রকাশিত হয়।

ইংরেজীতে ছইখানি এ্মিক-পত্রিকা উল্লেখযোগ্য একখানি বোম্বাই হইতে প্রকাশিত। নাম 'সোশ্ঠালিষ্ট? | ইহা! সাপ্তাহিক আর একথানি মাপ্রাজ হইতে প্রকাশিত নাম শশ্বধর্খ্' | ইহাও সাপ্তাহিক।

বোম্বাই গভর্ণমেপ্টের “লেবার বিউরো+ মাসে মাসে একথানি বুলেটিন প্রকাশ করিয়! থাকেন। তাহাতে দেশী-বিদেশী সকল প্রকার তথ্যই থাকে |

মজুর-সমন্যায় ভারত ছুনিয়।

যাহ! হউক এই ব্রিশকোটির মধ্যে ড় জোর পনর লাখ “মজুর” ইছাদের ভিতর বড় জোর মাত্র পাচ লাখ হইতেছে যোৌল কলায়-_ যোল আনায় মজুর--বিংশ শতাবী-মাফিক মজুর |

ফ্রান্দ অবশ্ত একটা ছোট দেশ। এই বাংলা দেশটার মত--তাহার চাইতেও ছোট ফ্রান্স এই গোটা বাংল! দেশটার তিনপোয়া। কিন্ত এই ফ্রান্সে ত্রিশ লাখ মভুর। আর ত্রিশকো্টি নরনারীর ভারতে

সা

মজুর*ছনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১১৭

মাত্র পনর লাখ ! তবুও ফ্রান্স অনেক বিষয়ে “ছ্িতীয়” শ্রেণীর দেশ। ১৯২৬ সনের কিছু পেছনে ইহার স্থান। ইংলগু, জান্মীণি, আমেরিকা বা জান্্মীণি, আমেরিকা, ইংলও বা আমেরিকা, ইংলগু, জান্্মাণি এই তিনটি দেশ ছুনিয়ায় সেরা এই তিনটি দেশের অভাবে ছুনিয়া চলে না। ইছার বিশকোটি লোকের অভাবে পৃথিবী মারা যাইবে ১৯২৬ সনে যদি কোন জাত জীবিত থাকে তো এই তিনটা

বিলাতে কত মজুর বেকাঁর বাসয়া আছে জানেন? বিশ লাখ। এখন মজুর কত ভাবুন। যুদ্ধের পর আমেরিকায় বেকার-সমন্ত। খুব আশঙ্কাজনক হৃইয়া ফীড়ায়। সময় সময় পচাত্বর লক্ষ লোক বেকার বসিয়া ছিল। যে দেশে বেকারই এত, সে দেশের মজ্জুর-শক্তির বিপুলত। ভারতুবাসীর পক্ষে ঠাওরানে! সম্ভব কি?

১৮৫* সনের জান্মীণি-ইংলগ্ড কি ১৯২৬ সনের জীবনকে কোনমতে বুঝিবার অধিকারী ছিল? আমরা ভারতে বোধ হয় এখনো ১৮৭৫ সনেই আছি আমরা কেমন করিয়া এই দীর্ঘ সময়ট] মারিয়া লইতে পারি? ১৯২৬ সনের জাম্মাণ-ফরাসী-ইংরেজ আইনের বোল কপচানে সম্ভব। রিসার্চ গবেষণার দ্বারা হয়ত এইসব হাতের আগায় রাখ! যায়। কিন্তু তাহা দ্বার! বন্তট। পাকড়াও করা সম্ভব নয়।

মামুলি ট্রেড. ইউনিয়ন

১৯২৬ সনে কি রকম মজজুর-্বরাজ গড়িয়া উঠিয়াছে? মঙ্গুর-স্বরাজের অর্থ “ট্রেড. ইউনিয়ন” নয় | আবার “ট্রেড. ইউনিয়ন”ও একট! ছোট খাট জিনিষ নয়। এই ট্রেড ইউনিয়নের জন্য কত কত পঙ্ডিত মাথা ঘামাইয়াছেন। মজুর রাষ্্ীয় দল, মধুর সামাজিক দল, মুর দার্শনিক দল, মজুর সাহিত্যিক দল, ট্রেড ইউনিয়ন, ট্রেড, ইউনিয়ন করিয়!

১১৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

সিএস

ক্ষেপিয়াছে। উনবিংশ শতাব্দীর মজুর-ম্বরাজের দল ট্রেড ইউনিয়নের জন্ত মাতিয়াছিল। ষে যে দেশে ট্রেড ইউনিয়ন স্থাপিত হইয়াছে সেই সব দেশে বুঝিতে হইবে কারখানা-শিল্প চরমে উঠিয়াছে। সেই সব দেশে শিল্প- দ্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে কতক কতক বিষয়ে রাষ্্রীয় শ্বরাজও প্রতিষ্টিত হইয়াছে সিডনি ওয়েব তাহার *ইন্ডাষ্টিয়াল ডেমোক্রেসি” গ্রন্থে বলিয়াছেন যে, ট্রেড ইউনিয়ন অনেক কিছু করিয়াছে ট্রেড ইউনিয়ন মন্ডুরকে সঙ্ঘবদ্ধ করিয়াছে, ইহা একের সঙ্গে আর একজনের সথ্য স্থাপন করিয়াছে সঙ্ববদ্ধ মজুর ক্যাপিটালিষ্টের সঙ্গে আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতে পারে। মজুরদের প্রতিনিধি-সর্দার মনিবের কাছ হইতে তাহার দলের ন্যায্য অধিকার কড়ায় গণ্ডায় আদায় করিয়া লয়। এই যে নামজাদ| লেবার" গবর্ণমে্ট স্থাপিত হইয়াছিল, ইহার পেছনে ছিল ট্রেড ইউনিয়ন

কিন্ত এহেন ট্রেড ইউনিয়নও বর্তমানে ষে জিনিষটি গড়িয়া উঠিতেছে তাহার কাছে হার মানিতে বাধ্য হইয়াছে।

ট্রেড ইউনিয়নের পরের ধাপ

ট্রেড ইউনিয়নের পরের ধাপে যে বপ্তটা আসিয়া পৌছিয়াছে, সেইটি একদম ১৯১৮-১৯২৬ সনের আবিষ্কার একথা বলা হয়ত :ঠিক হইবে না। কারণ জাশ্মাণি, ফ্রান্স, আমেরিকা অন্ঠান্ত দেশে ছোটখাট ভাবে এই আন্দোলন আগে হইতেই চলিয়া আসিতেছিল।

অস্ট্রীয়ার বেটাবস্-রাট্‌

১৯১৮ সনে অস্ট্রীয়ার সাধারণতন্ত্র ( রিপাবলিক ) গড়িয়া উঠিল তাহার কনষ্টিটিউশনের ভিতরে একটা ধার! বসাইয়! দেওয়া হইল-_

মজুর-ছুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১১৯

১০

কারখানাতে “শিল্প-্যরাজ” প্রবর্তিত করিতেই হইবে। নাম তার “বেটী,বজ্-রাট” ( কর্ম্মসভা )। ইহা দেশের আইন-কাহ্গনের অন্তর্গত করিয়া লওয়া হইল। শিক্প-্বরাজকে, মজজুর-রাজকে অস্্রীয়ানদের রিপাবলিকে শাসন-প্রনালীর ভিতরে স্থায়ীভাবে স্থান দেওয়৷ হইল। সেই আইনকানুন অতি বিস্তৃত ভবে জান্মাণিতে চেকোগ্লোভা- কিয়ায় নান! প্রকারে বিকাশলাভ করিয়াছে ১৯২৬ সনে এই তিন দেশ ছাড়া! আর কোন দেশে মজুর-রাজ সম্বন্ধে আইন প্রাথমিক ভাবেও দেখা দেয় নাই তাহ] হইলে দেখা যায়, জিনিষটা বাঙ্গালায় কায়েম করা কত কঠিন

যেখানেই কোন কাজ হউক--সে কারখানা হউক বা খনি হউক, যেকোন কর্কেন্দ্রে মানুষ যাহা-কিছু কাজ করুক, চাই সে আফিস হউক হোটেল হউক বা আর কিছু-_সর্ধত্রই কায়েম হইয়াছে “কর্ম -সভা” | মজুর আর কেরাণী একই কথা। বিলাতে কেরাণীকে সাদ! কলার-পরা গোলাম বলা হয়। গোলাম তো সকলেই বেশী মাইনে যে পায় সেও মজুর, আবার অল্প মাইনের কুলী দারোয়ানও মন্ুর। এখন “মজুর-দ্বরাঞ্' কাহাকে বলে? যে কোন মঞ্জুর এবং যে কোন কর্মচারীর স্বরাজকে বলে মজুর-শ্বরাজ। শিল্প-ঘটিত যে কোন কর্মম-কেন্দ্র যাহ! কিছু কর্ন তাহাতে মজ্ুরদের আধিপত্য, ব্যবসা! এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত মজুর কেরাণীদের আত্মকর্তৃত্ব। রেল তার, ডাকঘর, টেলিফোন এবং লড়াইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তৃতি যাহ! সরকারের অধীনে, ইহারও প্রত্যেক কর্মকেন্ত্র এই আইনের 'ঠাবে আসিয়াছে একটা জিনিষ যাহা এখনও আইনের গণ্ভীর ভিতর আসে নাই, সেটা হইতেছে চাষবাস। কিন্ত তবুও প্রদেশে প্রদেশে চাষের ক্ষেত্রে মন্জুর-শ্বরাজ দেখা দিয়াছে এই অস্্ীয়া দেশটা আমাদের বাঙ্গালা দেশের ২1৩ ট1 জেলার সমান। ধরুন

১২৬ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

০০০০০

পোস্ট

এই মেদিনীপুর আর ময়মনসিংহের সমান। ইহু!র নানা প্নায়ে চাষ সম্বন্ধে কর্্মকেন্ত্র আছে। প্রত্যেকটিই এঁ সব আইনকানুন মানিয়া! চলে

বেটী,ব স্‌-রাটের রাজ্য-সীমা

কোন্‌ কোন্‌ জায়গায় কেরাণী মজুর-্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইতে বাধ্য ? বত জায়গাতে টাকাপয়সা রোঁজগার করিবার ব্যবসাবাণিজ্য-বিষয়ক বত কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, এঁ সব জায়গাতেই কেরাণী মজুরদের স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে চাষাবাদ বিষয়ে যাহ! কিছু ছোটখাট শিল্পকারখানা, যেখানে ঘোড়ার নাল লাগান হয়, মিষ্ভির কাজ হয়, করাত মেরামত হয়, সে সব জায়গাতে কেরাণী-ও মজ্জুর-ম্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে মানুষ চলাচল আর মাল চলাচলের জন্য ট্রামঃ রেলওয়ে অন্তাগ্ঘ যানবাহন, সরকারী এবং বেসরকারী যত রকম ইমারত তৈয়ারী হইতেছে, সর্বত্র,__ কন্ট্রা্টর এঞ্জিনিয়ারো যত লোক নিয়োজিত করিতেছে প্রত্যেকে নিজ নিজ মজুরকে স্বরাজ দিতে বাধ্য টাকা পয়সা ধার নেওয়া সম্পর্কিত যত কেন্দ্র থাকিতে পারে-_ব্যাঙ্ক, সেভিংস ব্যাঙ্ক, লোন আফিস এই সব কেন্দ্রে মুর কেরাণী ম্বরাজ পাইয়াছে। সামাজিক বীমা প্রথার যত প্রকার আফিস থাকিবে, তাহার প্রত্যেকটার যে কোন বিভাগে মুর আজ হইতে শ্বরাজ পাইয়াছে। আর্থিক জীবনের যাহা! কিছু সঙ্ঘ থাকিতে পারে সেখানেও প্রত্যেক দেশেই সরকারের একচেটে কতকগুলি ব্যবসা থাকে, যেমন ভারতে গজ! আফিম প্রত্ভৃতি, এই সমস্ত জা়গাতেও মন্ুর কেরাণীদের স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে যে কোন উকিল নিজের জন্ত আফিম খাড়। কারবে, সে তাহার প্রত্যেক কেরাণীকে শ্বরাজ দিতে বাধ্য শরীর-বিষয়ক শারীরিক উন্নতি স্বাস্থ্যোম্নতির যত প্রকার হাসপাতাল, যত প্রকার প্রতিষ্ঠান থাঁকবে'

মজুর-ছুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১২১

সেখানে এই শ্বরাজ থাকিবে। প্রতোক হোটেল, রেস্তর1, থিয়েটার, বায়স্কোপ ইত্যাদির প্রত্যেক বাড়ীতে, প্রতোক জায়গায়, যেখানে আড্ডা মারা হয় বা] আরাম বা গানের ক্লাবঘর আছে, 'থায় মজুর কেরাণী স্বরাজ ভোগ করিতে অধিকারী |

মজুর কেরাণীর স্বরাজ

এখন প্রশ্ন উঠিতে পারে এটা আবার কি রকম শ্বরাজ ? এই সর লোকগুল1 কি রকম ম্বরাঞ্জ পাইল? কোন্‌ আইনের আমলে তাহার! আদিল? নতুনকি কর! হইল যাহা পূর্বের ছিল না? কথাটা একটু খতাইয়া বুঝ। দ্রকার। ধরুন একজন উকিলের ঘরে আছে কেরাণী, টাইপ-বাবু প্রভৃতি ধরিয়া কম সে কম পাঁচজন “চাকর”। এখন ইহাদের ্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইল। এই শ্বরাজটা পালন করা যায় কেমন করিয়া? এই পাঁচজন চাকর বাছাই করিয়া যে একজনকে মাতব্বর করিল, সে উকিল মহাশয়ের আফিস চাল[ইবার কাজে একেবারে মনিবের সামনে দাড়াইল।

৫-১* জনে এক জন, ১০-২ৎ জনে ছুই জন, ২*-৫* জনে তিন জন, এমনি বাধা নিয়মে প্রতিনিধি বাছাই হয় এসব কেরাণী মজুরের প্রতিনিধিরা মনিবদের সঙ্গে আলোচনা করিবে, তর্ক করিবে ইহাতে রাজী আছেন তে।? এনপ স্বরাজ আমাদের দেশ সহিতে পারিবে কি ? কোন্‌ কোন্‌ লোক এই প্রতিনিধি ঝছাই করিতে অধিকারী যেই আমি কোথাও একমান কাজ করিয়াছি অমনি আমার অধিকার জন্মিয়াছে। একমাস কাজ করিবার পর আমি প্রতিনিধি বাছাই করিতে পারি। ছয় মাস কাজ করিলে পর আমি নিজেই প্রতিনিধি হইবার ক্ষমতা অর্জন করিলাম একমাসে বাছাই,--ছ'মাসে একেবারে মনিবের “সমান” এখন বুঝুন “ম্বরাজ” কাহছাকে বলে।

১২২ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

বেটা বস্-রাটের : কর্্মসভার ) দঙ্গে মনিবের জন্থন্ধ

কি উদ্দেস্তে এইসব কর্ম্মকেন্ত্র গঠিত হইল? মানুষের যাহা কিছু প্রতিষ্ঠান আছে প্রত্যেকটিতেই এই “বেটা,বস্‌-রাটের” হস্তক্ষেপ করিবার অধিকার আছে। কর্ম্কেন্দ্ের ঘষে কোন বিভাগেই এই “কর্মসভা” গড়িয়া তোলা যাইতে পারে | মজুর-সম্পর্কিত যত প্রকার নিয়ম কানুন করা হইবে, “কর্ম্মসভা" কর্ম্মকেন্দ্রে তা চালাইয়া লইবে। গভর্ণমেণ্ট মজুরের স্বার্থে মহাজনের বিরুদ্ধে যাহা কিছু আইন কায়েম করিবে তাহার তদবির করিবার ভারও এই “কর্ম্‌সভার* হাতে কাহাকে কত মাইনে দেওয়া হইবে, কাহাকে কোন্‌ সময় শাসন করা দরকার, এসব করিবে এঁ মজুরদের প্রতিনিধি, কারখানাদার নয় এখন মনে রাখ! আবশ্তক ষে, যে সকল দেশে মামুলি ম্জুর-সমিতিই ভাল রকম গড়িয়! উঠে নাই সেই সকল দেশের লোক নাবালক মাত্র। নাঁবালকদের পক্ষে ট্রেড. ইউনিয়নের পরের ধাপ “বেটা, ব.স্রাট বুবিতে পারা অসাধ্য ।”

যে ষে স্থলে মনিবের সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্ঘবদ্ধ চুক্তি করা হইয়াছে, সেই সকল স্থলে পকর্দ্দভা” চুক্তি-মাফিক কাজ হইতেছে কিন! তাহার তদবির করে। আর যেখানে চুক্তি নাই সেখানে ম্জুরদের সঙ্গে মালিকের চুক্তি করানো হইতেছে মতলব। এই ম্বরাজের ফলে কর্ম কেন্দ্রের ভিতরে বসিয়া ট্রেড. ইউনিয়নের হুকুম গুল! জারি করানো! সম্ভব আমাদের দেশেও ট্রেউইউনিয়ন স্থাপিত হইয়াছে এইট কি জিনিষ তাহার কিছু কিছু ধারণা আমর! করিতে পারি। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নের হুকুম বা! ইচ্ছা তামিল হইতেছে কিনা তাহা দেখিবার জন্য “বেটী,বস্‌- রাঁট” নাই। ধর! যাউক যেন ট্রেড ইউনিয়ন বলিম্বাছে ১*টা হইতে ৫ট1 পধ।স্ত আফিস চলিবে, ইহার বেশী নয়। যদি মনিব করিতে রাজী না

মজুর-হুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১২৩

হয় তাহার উপায় কি? উপায় হইতেছে প্রত্যেক ট্রেড ইউনিয়ন হরতাল রুনু করিতে পারে। তাহা ছাড়া আর কোন কর্ধপ্রণালী নাই।

কিন্তু যে যে দেশে বেটা ব.স্রাট* আছে, সেইসকল দেশে ফ্যাক্টরীর ভিতর, আফিসের ভিতর, ব্যাঙ্কের ভিতর, ইউনিয়নের কাজ হাসিল করিবার মতন যন্ত্র রহিয়াছে। কাজেই সহজে মালিককে জব্দ কর! যাইতে পারে। ট্রেড. ইউনিয়ন মজুরের সম্বন্ধে যে সব নিয়ম-কানুন বীধিয়। দেয়, প্রত্যেক মালিককে সেই অনুযায়ী চলিতে বাধা করানে। আজকাল খুবই সম্ভব হইয়া পড়িয়াছে।

ট্রেড ইউনিয়ন বাহিরের যন্ত্র; কিন্তু কারখানার ভিতরেই মজজুরেরা তাহাদের প্রতিনিধি পাঠাইয়া দয়াছে। আজকাল ইহারা ঝা হাতে কারখানার বাহিরে দীড়াইয়া হুঙ্কার ছাড়ে না। লড়াই করিতে করিতে মছ্ুরেরা কেল্লার ভিতরে আসিয়া পড়িয়াছে ; আর দেখানে লাল নিশান খাড়া করিয়া দিরাছে | মালিক তাহা! কুণিশ করিয়া চলিতেছে

“বেটা ব্-রাট্‌” একদিকে ট্রেড ইউনিয়নের অন্তরঙ্গ বন্ধু, অপর দিকে গভর্ণমেন্টের যন্ত্রবিশেষ রূপেও এই কর্মসভার কিম্মৎ ঢের। গভর্ণমেণ্ট মজুরের স্মার্থরক্ষণের জন্য যে দব আইন করিয়াছে, মনিব তাহা না মানিলে ম্ুরদের প্রতিনিধি গভর্ণমেণ্টের কাছে নালিশ করিতে অধিকারী সরকারী আইনকানুনগুলি অন্থসারে কাজ বাগানে “কর্ম সভার” অন্যতম ধান্ধা।।

মনিবের উপর মজুরের কর্তামি

কারখানার প্রত্যেক খুঁটিনাটি বিষয়ে শাসনঘটিত যাহা কিছু নিয়ম কর! আবশ্তক, মনিব মহাশয়ের! একল! তাহা কায়েম করিতে পারিবেন না। ৫টা কি ৫॥টা পধ্যস্ত আফিস চলিবে, প্রশ্ন মঙ্গুরদের মত না

১২৪ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

০০৬০০ স্া

লইয়া! মীমাংসা হইতে পারে না। আজ শিল্প-কারখানায় ডিস্মিস্‌ কে করিতেছে ? কাল জরিমানা কে করিতেছে ? এক দিকে ট্রেড. ইউনিয়ন তো বাইরে পড়িয়। আছে অপর দিকে, মালিকের যাহাকে তাহাকে বখন ইচ্ছা শাস্তি দেওয়ার অধিকার আর নাই। এসব করিতেছে মজুর-প্রতিনিধি। পঁচিশ বছরের পুরাণে! কলে কাজ করিতে হাত ভাঙ্গিয়! যায়-_-পনর বছরের পুরাণে! যন্ত্রে আর কাজ করা যাইতে পারে ন1। নতুন যন্ত্র চাই। এজীর্ণ ঝাটার আর ঝাড় দেওয়া চলে না, ঘাড় ভাঙ্গিয়া যায়। মজুরদের “কর্মীসভা” এই সব বলিতেছে। আর মনিব তৎক্ষণাৎ এইসব অন্থযোগ শুনিয়া তাহার প্রতীকার করিতে বাধ্য তাহা হইলে বুঝুন--কোন পথে দুনিয়া চলিতেছে

আপনার! বলিবেন, “ইহারা সব গোৌঁয়ারতামি করিতেছে এই সব আবদারি লৌকগুলাকে তাড়াইয়া দিলেই তে! সৰ গোল মিটিয়া যায় ।” কিন্ত মজ।র কথা,--ডিস্মিস্‌ করার অধিকারী কে? শান্তি দেবে কে?সে সব “মজজুর-রাজ !” মজুর-রাজ মনিবকে আদালতের বিচারে দীড় করায়। কোন মন্ুর-প্রতিনিধি বদি মনিবের অপ্প্িম্ব থাকে কারণ সে মজুরের বার্থ বেশী দেখে আর সেদিকে বেশী সময় অতিবাহিত করে, তবে সে ম্ভুরের স্বার্থ অধিক দেখিতেছে বলিয়া এক্ষেত্রে তাহাকে তাড়াইবার উপায় নাই। এই জ্ঞন্ত রীতিমত আইন রহিয়াছে যদি এই সকল “কর্্ম- সভার” কাজ করিবার জন্য কোন প্রতিনিধি কম্মকেন্দ্রের কাজ কিছু কম করে, তাহা হইলে তাহার মাইনে কাটা যাইতে পারে না। একেই বলে, --"তোমারই শিল তোমারই নোড়া, তোমারই ভাঙ্গবে ঈ্ীতের গোড়া ।” মনিব যদি বলে-_“আমার পয়সায় মান্য, আমার' ইচ্ছা প্রতিপালন করিতে, আমার সময় স্থযোগের দিকে মন দিতে মন্থুর আইনতঃ. ৰাধ্য," আর এই অন্ভু্থাতে জবরদন্তি চালায়, তবে তার চরম জরিমান!

মজুর-ছুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১২৫

হইতে পারে ছই হাজার ক্রোন অর্থাৎ ১।* হাজার টাকা। মজুরের সঙ্গে বিরোধ করিলে হইতে সপ্তাহ পধ্যন্ত মনিবের জেল পর্য্যস্ত হইতে পারে।

বাঙলার শ্বদেশ-সেবকগণ, এইরূপ শ্বরাজ হজম করিতে রাজি আছেন কি? মজুরের আঙ্জকাল আর ফ্যাক্টরির বাহিরে থাকিয়! আস্ফালন করিতেছে না। খাটি “শিল্প-শ্বরাজ” আসিয়া গিয়াছে। “ট্রেড, ইউনিয়ন” সে তো ছেলে খেলা মাজ্র। ট্রেড ইউনিয়ন বাহিরে বাস করিতেছে কেল্লা ফতে করিবার জন্ঠ মজুরের! ভিতরে ব্যাটালিয়ান পাঠাইয়াছে | “বেটী ব্স্-রাট্‌” মনিবের বুকে বিয়া দাড়ি ওপড়াইতেছে। একেই বলে মঞ্তুর-ছুনিয়ায় নবীন ন্বরাজ।

ধনোৎপাদনের বিষ্তাপীঠ * নান]! শক্তির সমাবেশ

আজকে ধনোৎপাদনের বিদ্ভাপীঠের কথা বলিব। আর্থিক বনিয়াদের অনেকগুলা খু টা পৃথিবীট! কোনো এক, ছুই বা তিন শক্তিতে চলে না এক সঙ্গে সমানভাবে নানা শক্তি নানান কাজ করে। নানা আন্দোলন একত্রে ছুনিয়াটাকে চালাইতেছে। অনেকে কেবল একটা দিক্‌ আলোচনা করেন, আর মনে করেন, পৃথিবীটা চলিতেছে কেবল এক শক্তির জৌরে। আমি এরূপ অদ্বৈতবাদী নই। কোনো একট। মাত্র শক্তি জগৎকে ঠেলিয়া লইয়া! যাইতেছে, কথা৷ আমি বিশ্বাস করি না।

আর্থিক বনিযাদের অন্যতম কেন্দ্র, ব্যাঙ্কের কথা বলিয়াছি। প্রত্যেক লোকের পকেটের টাকা, প্রত্যেক লোকের নিজ নিজ হাড়ির টাকা এই কেন্দ্রে দানাবদ্ধ হয়। দ্বিতীয় কথা ছিল, প্রত্যেক মানুষকে করিতকর্ম্া, কাঁজের লোকরূপে গড়িয়া তুলিবার কথা। প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্দৃক্ষেত্রে কর্মদক্ষরূপে স্বাধীন এবং নিরুদ্বেগ জীবন যাপন করিতে পারে কি করিয়া সেই উপায় আলোচনা করিয়াছি তৃতীয়তঃ, জমি-জমার আইন পৃথিবীতে বদলিয়! যাইতেছে একথা বলিয়াছি। রুশিয়ায় য? ঘটিয়াছে তা এমন কিছু হাতী-ঘোড়া নয়। ফ্রান্স, ইংলও, জান্মাণি প্রত্যেক দেশেই জমি-জমার আইন বদলিয়। যাইতেছে আগাগোড়া উহাতেও আধিক উন্নতির বনিয়াদ অনেকটা প্রভাবান্বিত হইতেছে। চতুর্ঘতঃ,

* জাতীয় শিক্ষাপরিষদের তত্বাবধানে প্রদত্ত বক্তার নারমর্থব ( ফেব্রুয়ারি ১১২৬ )। বক্তা অস্ধুসারে লেখক--ভাহেরউদ্দিন আহমদ

ধনোতপাদনের বিগ্াপীঠ ১২৭

শিল্প-কারথানায় মজুর-রাজ সম্বন্ধে বপিয়াছি যে,--কি বাঙ্ক, কি ডাকঘর, কি হোটেল- প্রত্যেক কর্মকেন্তরে বত লোক কাজ করুক,_সে বাবু- শ্রমীবীই হোক ব! কুলী-শ্রমজীবীই হোক,--প্রত্যেকে এই সকল কেন্দ্রে স্বাধীনতা এবং কর্মকেন্তর শাসন করিবার অধিকার ভে।গ করিতেছে। তাই দেখিতে পাইতেছি যে, সকল দিক্‌ দিয়াই এই পৃথিবীর ধন-দৌলত নুতন নৃতন উপায়ে নব নব প্রণালীতে বাঁড়িয়া যাইতেছে

বিদ্ভামাত্রই অর্থকরী

ধনোত্পাদনের বিগ্ভাপীঠও অন্যতম জবর শক্তি। আর্থিক উন্নতি সাধনের পশ্চাতে থাকে একটা বিপুল শক্তি। সেট! হইতেছে বিস্তা। ধনোৎ্পাদনের জন্ত বিদ্যাপীঠ আছে, ছেলে পিটিবার আখড়া আছে। টাক! রোজগার করা, টাকা পর্দা করা, ধনদৌপত স্থট্টি করা--আর্থিক উন্নতির যত কিছু কর্ম থাকিতে পারে, সবের একট] মস্তবড় বনিয়াদ হইতেছে ইস্কুল বা কলেজ ছনিয়ায় এমন কোনই স্কুল নাই, যেখানে ধনোৎপাদনের বিদ্যা প্রচারিত হয় না। যেদিন থেকে পাঠশালায় ধারাপাত সুরু করিয়াছি, সেইদিন থেকে ধনোতপাদনের বিদ্যায় অনেক দূর অগ্রসর হওরা গিয়াছে। পুরুত- গিির পাঠশালাও ধনোৎপাদনের বিদ্যাপীঠ মস্তর পড়াও ব্যবসা পুরুত মোল্লা হউন, আর গ্রীন্টিঘান পাত্রীই হউন.--এ র! সবাই ধনোৎপাদনের জন্ত তুকমুখ একটা কিছু শিখিয়! হয়েন ওকালতী, মোটর চালানো, ডাক্তারী, পাটের দালালী যেমন ব্যবসা, পুরুতগিরি তেমনি ঠিক খাটি বাযবসা। এই ব্যবসার জন্য তার! শিক্ষাদীক্ষা লইয়া! থাকেন তার জন্য এরা ষে সব কর্মকেন্দ্রে যান, সে টোল হোক, মাদ্রাসা মক্তব হোক, বা থিয়লজিক্যাল গিভিনিটি কলেজ হোক, -সেসবই ধনোংপাদনের বিস্তাকেন্দ্র বটে

১২৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

্রীষ্টিয়ান জগ্গতের পুরুত-বিস্ভালয়

এদেশে বারা মোল্লা বা প্ডিত তাঁদের অনেকেই মন্ত্রটন্ত্র বেশী জানেন কিনা বলিতে পারি না। বাঙ্গলা শব্দের পেছনে যদ্দি + “, লাগান যায় তাহলেই সংস্কৃত হইল, আর সেট দাড়াল শাস্ত্রের বচন ! তেমনি মুসলমান- দের মোল্লা, যাদের প্রভাব পাড়াঞ্ীয়ে খুব বেশী, তার্দের অনেকেই আরবী-পাশা কোরাণ-দর্শন কতটা বোঝেন স্বয়ং আল্লাই জানেন হয় কেউ কেউ বুঝিতে পারেন। এখন ভেতরকার কথা হইতেছে পণ্ডিতী, মোল্লাগিরি, পাড্রীগিরি সবই অর্থকরী বিদ্যা এ'দেরকে গৃহস্থরা খাইতে পরিতে দেয়, তঙ্কা দক্ষিণা দেয়।

আমণা ভারতে ইয়োরোপের এই শ্ীষ্টিমান জাতটাকে মহ! অধার্ম্িক বলিয়। থাকি কিন্তু ওসব দেশে রামা-শ্তাম! পুরুত হইতে পারে না। হইতে হইলে আলমারি আলমারি বই পড়িতে হয়, গণ্ডা গণ্ড। পাশ করিতে হয় এই আমাদের দেশে এম, এ, বি, এল, পি, এইচ, ডি, ডি, এল, পড়িতে কত সময় লাগে ? এনট্রান্স পাশের পর অন্ততঃ আট বছর পড়িলে পর যে ধরণের বিদ্যা হয়, জার্ম্মীণ দেশে পাত্রীগিরি বিদ্া দখল করিতে তত সময় মেহনত লাগে কত কি ল্যাবোরেটরী, চ্চ-কলেজ পাশ করার পর আবার যে সার্টিফকেটটা জুটিয়া থাকে তার ত্বারাও পুরুতগিরি করা চলে না, পুরুত উপাঁধটা পাওয়া যায় মান্র। প্রথমে অনেকদিন জ্যাপ্রেন্টশ হইতে হয়। পাঁচ সাত বছর পরে তবে পুরুতগিরি ভুটিয়া থাকে ত্রিশ বত্রিশ বছর বয়সের আগে কোনো মি] জান্মাণিতে গির্জায় কর্তীমি করিতে পায় না। এদেশে কোনোদিন পুরুতগিরির সংস্কার সাধন করিতে হইলে আবার ফ্রান্স, ইংলও, জাম্মাণির নজির দাঝে মাঝে 'আনিয়া দেখিতে হইবে।

ধনোতপাদনের বিদ্তাপীঠ ১২৯

ষাক্‌,_-খধারাপাত পড়! যেমন ধনোৎপাদনে হাত মষকৃস কর! পুরুতগিরিও তেষনি | ছুনিয়ার এমন কোনো বিদ্যা নাই, ষা অর্থকরী নয়। খণ্েদের যুগে, হোমারের আমলে, মৌধ্য-ভারতে বা মোগল- ভারতে যে সব পাঠশাল। ছিল, সেগুলিও ধনোৎপাদনেরই পাঠশাল!]। এই যে পলটন বা ফৌজের কাজ ইহাও সেই ভাতকাপড়ের জন্ত। কি প্রাচীন কাল, কি মধ্যযুগ কি এশিয়া কি ইয়োরোপ এসবের সকল পাঠশালাই ধনোতপাদনের আখড়া

“ভোকেশন্যাল স্কুল” জগতের নবীন আবিষ্কার

বিদেশে থাকিবার সময় একটা কথা ভারতীয় মহলে বার বার শুনিতে পাওয়া যাইত কথাটা “ভোকেশনাল স্কুল।” ভোকেশন মানে তো ব্যবসা মানুষ যাকিছু করে সবই তো! “ভোকেশন” | আমাদের জননায়ক ইউনিভার্সিটী পরিচালকরা সকলেই বলিতেছেন “ভোকে- শন্যাল ইস্কুল কর”। আমি বলি, “ভোকেশনাল ইস্কুল তো রহিয়াছে ছুনিয়ায় ষত কিছু কারবার আছে বা হইতেছে, লাগাৎ পুরুতগিরি--এ সবই তো ভোকেশনাল স্কুলে শেখ! হইয়া খাকে।”

আদল কথা, জননার়কগণ কেবল কথাটাই ব্যবহার করিতে শিখিয়া" ছেন, কিন্তু বস্তটা বোঝেন না আপনর! বলিবেন, এর আর বুঝাবুঝি কি? আমার জবাব এই যে, যে ধরণের ভোকেশন্তাল ইস্কুল ছুনিয়াতে চলিতেছে, সে বিষয়ে ভারতবাসী সঙ্জাগ নয়। আপনারা হয়ত টু'টি চাপিয়া ধরিয়া বলিবেন, “ল কলেজ ভোকেশন্ঠাল ইস্কুল নয়? এগ্িনিয়ারিং ডাক্তারী, কেরাণীগিরি সব যে সব স্কুলে শেখান হয়, সে সব ভোকে- শন্ঠাল নয়?” আমি প্রথমেই বলিয়া চৃকাইয়াছি,_“নিশ্চয়ই, সব ালবৎ ভোকেশন্ঠাল।” কিন্তু আমি বলিব আপনারা মাত্র শবটি

১৩০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

বোঝেন, আসল জিনিষটা বোঝেন না “ভোকেশন” একটা আধুনিক পারিভাষিক শব ১৯১৮ সনের এদকে ওদিকে “ভোকেশন্তাল স্থল” বলে বে জিনিষটা দীড়াইয়াছে, সেট! একেবারে নতুন আবিষফকার। এই হিসাবে, এটা ১৯১৮ সনের ছুনিয়ায় একদম নতুন বস্ত। ১৯১৮ সনের ছুনিয়াটাকে আমর! কেমন করিস্বা বুঝিব ? আমরা যে আজও বর্তমান জগতের মাপকাঠিতে শিক্ষার আসরে বোধ হয় ১৮৪৮ সনেই রহিয়াছি |

ভারতের কেউ কেউ হয়ত ১৯১৮-২৬ সনের ছুনিয়াট। কিছু-কিছু বোঝেন, কিন্তু আমার বিবেচনায় অনেকেহ বোঝেন না। এই “ভোকে- শন্তাল স্কুল” চাইব।র সত্যিকার কথ।টা কি? ইয়োরামেরিকায় এই বস্তু দশ বিশ বৎসর পূর্বের জানাই ছিল ন]।

জান্মনাণিতে একটা আইন জারী কর! হইয়াছে ১৯১৮ সনে। ফ্রান্সের আইনটাও প্রায় এই রকমেরই যে-কোন লোক যেখানে-সেখানে ষে- কোন কাজই করুক না কেন--টাকা রোজগারই করুক বা বিন৷ পয়সায় কাজই করুকম্্প্রত্েকে কি স্ত্রী কি পুরুষ--১৮ বছর বয়স পথ্যন্ত ইস্কুলে লেখাপড়া শিখিতে বাধ্য ১৮ বছ্ধর পর্য্যন্ত ফ্রান্সের বা জার্মীণির লেড়ক! লেড়কী যেযে-কাজই করুক ন। কেন, তাকে স্কুলে পড়িতেই হইবে দশ বছরের বাঙ্গালী ছেলেকে যদি এরূপ হুকুম কর! হয়, তাহা হইলে কণ্টী বাপ কথা শুনিবে? আর আঠার বছর বয়স, এটি যে সে জিনিষ নয়! আমাদের সে যুগে,--১৯০৫ সনের যুগে--এ বয়সে বি, পর্য্স্ত পাশ করা যাইত। এই বয়ল পথ্যস্ত আজকাল প্রত্যেক জাম্মীণ ফরাসী নরনারীকে বিন! পয়সায় স্কুলে যাইতে বাধ্য করা হইয়াছে এই সব স্কুল স্থাপন করে কে বা কাহার ? জার্্মীশি ৰা ফ্রান্সের নরনারী যেখানে নকরি করে সেখানকার মনিব এই সব 'বিস্ভালয় গড়িয়া! তুলিতে বাধ্য মনিব ন! করিলে প্লী করিবে। পন্মী

ধনোতপাদনের বিষ্যা? ১৩১

না করিলে জেলা এটা করিবে জেলাও যদি না করে, সরকার এই সব স্কুল গড়িয়া তুলিতে বাধ্য।

১৯১৮ সনের জার্মাণ-ফরাসী আইন

এই' চিজট। ভারত-সন্তান বুঝতে পারিবে কি? তাই বলিতেছি যে, "ভোকেশন্তাল স্কুল” আমাদের জননায়কগণের মাথায় আছে, আমি বিশ্বাস করি না। মামুলি টেকনিক্যাল স্কুল ভোকেশন্তাল স্কুল নয়। রেল মাফিসে বাপ কাজ কবে, তার ছেলেকে সাধারণ শিক্ষা দিবার জন্ত সেই আফিসের মনিব স্কুল করিয়া দিতে বাধ্য ১৭ বৎসর বয়স পধাস্ত ১৮০ সনে আইনে কি জী কি পুরুষ বিনা পয়সায় সর্বত্র সাধারণ শ্শিক্ষা! পাইতে অধিকারী সে তমামুলি, মান্ধাতার আমলের চিজ। “ভেকেশন্তাল স্কুল” অর্থে বুঝিব সাব্বজ্জনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার কেন্ত্র--১৮ বছর বয়স পথাস্ত। এখন দেখুন ক'জন দেশে ভোকেশন্ত।ল গুল বোঝে

ভারত কোথায়

আমাদের দেশ এখন কোথায়? আমি ক্রান্স, জান্মাণি, ইতালি, ইংলও্ড এদের কথা প্রায়ই বলি; এতে আমার শ্বদেশী ভায়ারা অনেকে খুব অসন্তষ্ট আপনার! ভাবেন, “লোকটা বলে কি; আমর! কি কিছুই নই ?* আমার এট] ভয়ানক পাপ। কেন এই সব দেশের লোকের সঙ্গে আমাদের দেশের তুলনা করি? এই তুলনা করাটা! আমার ব্যবসা এই যে তুলনা করিতেছি, তার ছার! বুঝাইতে চাই পুর্ব্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ বলিয়। কোন বস্ত পৃথিবীতে নাই পৃথিবীটা এক কাঠির মাপে চলিয়াছে। তাতেই দেখিতে পাইতেছি কোন্‌ দেশ ১ম, ২য়, ৩য়, "ম, ১০ম ধাপে রহিয়াছে এই পরিমাপে মব দেশ যদি হিমালয়ের ২৯০*২

১৩২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পতন

ফুট উপরে থাকে, তাহা হইলে আমরা আছি একেবারে বঙ্গোপসাগরের অতলতলে। ছুনিয়া এক পথে চলিয়াছে, এক আদর্শে এর কোন তফাৎ নাই ওদের ১৮১৫-৩২ সনে ট্রেড ইউনিয়ন গড়িয়। উঠিয়াছিল। আমাদের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন আইন কায়েম হুইয়াছে ১৯২৫ সনে ওদের দেশেও এক সময় যন্ত্রনিযন্ত্িত শিল্প-কারখানা ছিল না। ম্জুর-আন্দোলন তার পরের ধাপ, ইত্যাদ্ি। আমরা ঠিক ওদের পিছু পিছুই চলিয়াছি-:একই পথে একই জীবন-সাধনায়।

১৯১৮সনের কোঠায় পৌছাইতে ওদের প্রায় ১*০,৯*১৮* বছর লাগিয়াছিল। আমাদেরও ঠিক ৭০/৮* বছর, কি তারও বেণী বা কম সময় লাগিবে, সম্প্রতি তার আলোচনা করিতে চাই না। বলিতেছি মাত্র এই যে, আমর! কোনো কোনে। বিষয়ে ১৮৪*-৭* সনের ধাপে রহিয়াছি, কোনে! কোনে কর্মক্ষেত্রে ১৮৭৫-_৮৬ সনের কোঠায় আছি, ইত্যাদি গুরু আমাদের ওরা আধ্যাত্মিক জীবনে ওদের সাকৃরেতি করা! আমাদের বর্ধমান শ্বধর্্ম। এই হইতেছে বর্তমান ভারতের কেঠো৷ নীরস চরম

পত্য।

চাই নতুন নতুন আয়ের পথ

আমরা ভোকেশন্তাল স্কুল শব্ধট! মাত্র ব্যবহার করি-লা! বুঝি এর মামুলী অর্থ না বুঝি পারিভাষিক অর্থ। যাকৃ, শব্দটা! ছাড়িয়। দিই, বিষয়ে আর আলোচন! করিব না।

আমাদের দেশের লোক ধনোৎপাদনের নতুন নতুন উপায় চায়-_ এইটাই হইতেছে সকলের প্রাণের কথা বেশ!

শেষ পথ্যত্ত কথাটা এই ফীড়ায় যে, যে সব স্কুলে নতুন নতুন ধনোৎ- পাদনের উপায় হয়, তাহাই আমরা চাই। ডাক্তারী, উকিলী ছাড়া

ধনাশুপাদনের বিষ্াগীঠ ১৩৩

আরও অগ্তান্ত পন্থার দরকার বুঝিতে হুইবে যে, যে-পথে এতদিন ধনোৎপাদন হইতেছিল, কেবলমাত্র সেই সেই পথে চলিলে ধনোৎপাদন বড় বেশী হুইবে না। পৃথিবীতে ধনোৎপাদনের রূপাস্তর ঘটিয়াছে ঘটিবে। ধনোৎপার্দনের নতুন নতুন পথ চাই। নতুন নতুন পাঠশালা স্কুল কলেজ হওয়া চাই বলিয়া রাখি যে, আমি উকিলী, ডাক্তারী, স্কুল মাষ্টারী, কেরাণীগিরি বা জাতীয় অন্তান্ঠ স্থপরিচিত ব্যবসাকে নিন্দনীয় মনে করি না। এই সব কাজও ষোল আনাই ধনোৎ্পাদনের সহায় অর্থাৎ পূরামাত্রায় “ভোকেশন্তাল' |

দুনিয়ায় ক্রান্সের ঠাই

ইতালি, জান্মাণি, ফ্রান্স, আমেরিকা, ইংলগ্ু, সকলের কথাই বলিয়াছি। আঙ্গকে প্রধানতঃ ফ্রান্সের কথা বলিব। ফ্রান্স দেশটাকে ফুমরিয়া লওয়! সোজ।। ফ্রান্সের মাত্র সাড়ে তিন কোটি লোক আপনার! হয়ত জিজ্ঞাসা করিবেনঃ তা হুইলে ইতালির কথ। বলি না! কেন? জবাব--ইতালি বর্তমান জগতের মাপকাঠিতে অনেকটা ছোট"_প্রায় যেন আমাদের বাড়ীর কাছে থে'স1। ফ্রান্দ বেশ উপরে, এতট1 উপরে যে, অনেক বিষয়ে সে প্রায় জান্াণি পধ্যস্ত গিয়া ঠেকে আমর বিবেচনায়, জার্শাণি, ইংলগ্ড, আমেরিকা1-_এই তিনটা হইল পৃথিবীর সেরা দেশ। আজকাল সভ্যতা-শিক্ষা-শিল্পের মাঠে যে ঘোড়দৌড় চলিয়ান্ছে, তাহাতে ইংরেজ, জান্্মাণ আর মার্কিণ প্রায় সমানে সমানে নং ক,+১ অর্থাৎ প্রথম শ্রেণীর প্রথম।

ফ্রান্সকে প্রথম শ্রেণীর দ্বিতীয় অর্থাৎ ক,__২ ধরিয়। লওয় আমার দস্তর | ফ্রান্সে সাড়ে তিন কোটি লোকের বাস। এর যেখানেই যান না কেন, ময়লা-পচ। দূর্গন্ধ কিছু-না-কিছু সর্বত্রই পাইবেন। ওদের রেনাসসের

১৩৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

ঘরবাড়ী অট্রালিকা খুবই মনোরম সন্দেহ নাই, কিন্তু সহরে হাটিতে গেলে এখানে ময়লা,ওখানে পচা মেরামতের অভাব সহরে পল্লীতে যথেষ্ট এসব দর্শকের চোখ এড়াইতে পারে না ঠিক যেন কিছু কিছু আমাদের দেশেরই মত। তবে আমরা অবশ্ঠ বিষয়ে ফ্রান্সের অনেক নীচে কিন্ত জার্মাণিতে আমেরিকায় ওসব হইবার জোটি নাই। ওসব দেশে একেবারে সবই চকচকে, ঝকঝকে আমেরিক1 জান্্মাণির স্কুল, টাউনহল, গবণমেণ্টের বিপুলকাঁয় প্রাসাদ, রাজপথ, গলি- সর্বত্রই দেখিবেন কেবল খট খটে নিটোল দৃশ্ত। সবই মাজাঘসা পালিশ আমাদের দেশের ঘরের মেজেতে শুইতে অনেকের আপত্তি আছে ; কিন্তু এই সব দেশের যে- কোন রাস্তায় খানি গায়ে শুইয়া থাকিতে আমি রাজি আছি। স্বাস্থ্যরক্ষা, সৌন্দর্য, পারিপাট্য, মান্থষের শরীরকে ন্থুথী করিবার যত কিছু উপায় কৌশল তাহা এরা কায়েম করিয়াছে ফ্রান্স এই সব বিষয়ে এই ছুই দেশের অনেক পেছনে পড়িয়া আছে যাক, তবুও ফ্রান্সকে আদর্শ করিয়া চলিলে বাঙ্গালীর এখনে লম্বা এক যুগ চলিতে পারে

সাড়ে তিন কোটির দেশে একলাখ এঞ্জিনিয়ার

এই ফ্রান্সে,- সাড়ে তিন কোটি নরনারীর ফ্রান্সে প্রায় এক লাখ এঞ্রিনিয়ার আঁছে। ঘরবাড়ী তৈয়ারী-মেরামতের এঞ্জিনিয়ার, শিল্প- কারথানার এজিনিয়ার, রাসায়নিক বৈহ্যতিক এাঞ্জনিয়ার--এই সব ধরে ৮৫--৯৫ হাজার ঠিক এহ একলাখ এঞ্জিনিয়ারের মধ্যে দশ হাজার পয়ল! নম্বরের শিল্প-সেনাপতি।

এই সকল শিল্প-সেনাপতি ব1 শিল্পনায়কের অধীনে প্রীয় পঞ্চাশ লাখ কর্মী, পঞ্চাশ লাখ মন্তুর-ফৌজ আছে। গড়ে তাহা হইলে প্রত্যেক পঞ্চাশ জনের এক একজন সেনাপতি

ধনোতপাদনের বিদ্যা? ১৩৫

পঁচিশ-ত্রিশ বছর বয়সে এঞ্জসিনিয়ারিং বিগ্ভাগীঠ থেকে কত এঞ্জিনিয়ার বাহির হইতেছে তার হিসাব করা যাউক। মোটের উপর আজকাল গড়ে প্রতি বংসর ২২--২৫ বছরের শিল্পপতি আড়াই হাজার বাহির হয়। সাড়ে তিন কোটি নরনারীর দেশে আড়াই হাজার লোক শিল্প-কারখানায় দায়িত্ব লইবার জন্ত প্রস্তত হয়। এই আড়াই হাজারের মধ্যে ইউনিভার্সিটির টেকনিক্যাল কলেজ থেকে বাহির হয় মাত্র গড়ে তিন শ'। আর বাকী ইউনিভাপিটির বাহিরের টেক্নিক্যাল স্কুল থেকে বাহির হয়। কারখানায় কাজ করিতে করিতে ছোট পদ থেকে ধাপে ধাপে বড় পর্দে উঠিতে উঠিতে কেহ কেহ শিল্প-নায়ক হইয়া পড়ে। একদিন একট] লোক সামান্য কুলি মনজুর ছিল, সময়ে সে-ই-_-এঞ্জিনিয়ার- শিল্পপতি ধীড়াইয়া যায়। ফ্রান্সের কারখানা থেকে গড়ে এইরূপ শ” চারেক এঞ্জিনিয়ার বাহির হয়।

ক্রান্সে তেরট। বিশ্ববিষ্ভালয়

ফ্রান্সের ইউনিভার্দিটি গুপিতে ধনোৎপাদনের কি রকম শিক্ষা দেওয়া হয়? ফ্রান্স বাঙ্গল প্রদেশের মত কতকগুলি জেলায় বিভক্ত। এগুলিকে দেপাৎম1 বলা হয় ।) এরূপ ৮৯।৯* দেপাৎ্ম য় গোট! ফ্রান্স বিভক্ত। হইল শ।সনকেন্দ্রের বিভাগ কিন্তু শিক্ষা-বিভাগ শ্বতন্ত্র। সে বিভাগকে বলে “আকাদেমী” বা পরিষৎ। এইরপ'শিক্ষার ১২ কি ১৩ পরিষদে ফ্রান্স বিভক্ত এর প্রত্যেক বিভাগে এক একটা ইউনিভাপিটি আছে। এইরূপ তেরট! শিক্ষাকেন্ত্র আছে। বাঙ্গালায় সাড়ে চার কোটি লোকের বাস। ফরাসা মাপে এখানে ১৮টা আকাদেমী পরিষৎ এবং ততগুলা ইউনিভাসিটি থাকা উচিত

৯৩৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

স্পর্শ পপি সর সা ছা জি পর অর আসি পি অতি সি

বিশ্ববিভ্ভাালয়ের শিল্প-বিভাগ

শঃ চার পাঁচেক এঞিলিয়ার ফী বৎসর ফ্রান্সের বিভিন্ন বিশ্ববিস্ভালয় হইতে বাহির হয়। অষ্্ীয়া, জাম্্মাণি, সুইট্‌সার ল্যাণ্ড ইত্যাদি দেশের গ্গুকরখে ফরাসীরাও নিজ নিজ বিশ্ববিদ্ভালয়ে টেকৃনিক্যাল ফ্যাকাণ্টি ক্ষায়েষ করিয়াছে প্রত্যেক বিশ্ব-বিস্তালয়ে জনপদ হিলাবে বিশেষ বিশেষ টেক্নিক্যাল জিনিষ শিখানো! হয়। কোথাও বিছ্যতের কারবার প্রধান স্থান অধ্ধিকার করে। ণ“আন্তিতিউ শিমিক” ব! রসায়ন-বিগ্ভালয় কোনো কোনে। বিশ্ববিগ্তালয়ের বিশেষত্ব

সকল ফরাসী বিশ্ববিস্ভালয়ের নাম করিবার দরকার নাই। তবে বলিয়! রাখ! উচিত যে, শিল্পশিক্ষ! হিসাৰে ফ্রান্সের সেরা কেন্্র প্যারিস নয়।

টেকনিক্যাল তরফ হইতে ফ্রান্সের নামজাদা শিক্ষাকেন্ত্র তিনটি। আল্লস জেলার গ্রেণোব সহর এক বড় কেন্দ্র। উত্তর-পূর্বব অঞ্চলের নাসি সহর এই হিসাবে নামজাদা। আর পশ্চিম জনপদের তুলুজও হগ্রস্িদ্ধ।

এখন দেখা! যাউক অন্তান্ত হাঁজার দেড়েক এঞ্জিনিয়ার পয়দা হুম কো হইতে সে আলাঁদ! স্কুল ধরণের স্কুল ফ্রান্সে আছে ৯২।৯৩টি।

এইগুলাকে জনপদগত শিক্ষালয় বলা যাইতে পারে। আধিক হিসাবে ফরাসী ধন-বিজ্ঞানের পণ্ডিতের! ফ্রান্সকে ১১ বিভাগে (রেজ'যয়) ভাগ করিয়াছেন শাসনের ত্রফ হইতে ৮*৯*টি “দেপাৎম শর (জেলার ) ক্রান্পকে ভাগ করা কইয়া থাকে! ধনবিজ্ঞানবিদের নিজ্ঞানসম্মত ভাবে ফ্রান্পকে ১১ “রেজ)” বা আথিক জনপদে বিতজ্ঞ- করিয়াছেন।

ধনোতপাদানের বিদ্তাপীঠ ১৩৭

আধিক অপ

এই ধরুন বর্ধমান বিভাগ গুগলী মেদিনীপুর তো আর একক হইতে পারে না। সব জেলার আর্থিক এবং ভৌগোলিক প্রন্কৃতি এক বল1 মন্ত ভুল। উত্তর বঙ্গের পাঁবন! বগুড়া কাছাকাছি হইলেও এক নয়। তেমনি পূর্ববঙ্গের কুষিল্লা বরিশাল প্রকৃতিতে এক নয়? কোথাও হয়ত পাট বেশী হয়, কোথাও কয়লার খাদ রহিয়াছে, কোথাও মাছের ব্যবাপা, কে।থাও লোহালক্কড়ের কারখানা, কোথাও বা তেল। এইরূপ এক একটা জায়গা এক একট1 বিশেষ জিনিষের জন্য শ্বাভাবিক কারণেই প্রসিদ্ধ। 'গোয়ালন্দ একটা বড় আড্ড | একে কেন করিয়।! কয়েকটা জেল! লইয়া একটা আর্থিক জনপদ গড়িয়া! তোল! যাইতে পারে। বাংলাদেশে একদিন না একদিন এরূপ করিতেই হইবে 1 গোটা?! বাংলাদেশকে এরপভাবে কতকগুলি আর্থিক জনপদে ভাগ কব! বাইতে পারে এইরূপ ১০টা কি ১৫ট1 আর্থিক জনপদ গড়িয়া উঠিতে পারে ফ্রান্দের ১১টি রেজ' যর প্রত্যেকটিতে ৮।১*টি কাঁরয়া টেক্নিক্যাল স্কুল আছে। বাংলায় এরূপ ১৫টি আর্থিক জনপদে অন্ততঃ দেড়শ*ট/ টেক্নিক্যাল স্কুল থাকা উচিত। এইসব ক্কুলে ফ্যান্টরির মন্তুর থেকে থে সামান্ত জুতা সেলাই করে সেও আনিতে অধিকারী

জ্রান্সের এগার জনপদ

উত্তর ফ্রান্স প্যারিস থেকে ভিন ঘণ্টার পথ | তিন ঘণ্টাও নয়, দেন ছুই ঘণ্টার রাক্ত]। আমেদাবাদ বলিলে আমর! য1 বুঝি মুন্তুকট। সেইরূপ বয়ন-শিল্পের কেন্দ্র। তুর্কোত্বা উত্তর জনপদের কেন্র। এখানে তুল! পশমের কারবার এইরূপ লোহা ল্চড়ের কারবারের একটি কেন

১৩৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

হইতেছে নাসি। জামশেদপুরে যেমন কেবল লোহা ইস্পাতের কারবার চলে, এই নাসিতেও ঠিক তেম্ি। আল্লসের মাথায় গ্রেণোব বলিয়! একটা জায়গায় বিহ্যৎ-উত্পাদনের কারবার চলে। এখানকার বিজলী- কেন্দ্রে যে শক্তি উৎপন্ন হয়, তাহার দ্বার! সমস্ত ফ্রান্সে গাড়ী চালাইবার আন্দোলন চলিতেছে ক্রের ক্রোর টাকা ঢালিয়া ফরাসীরা পল্লীর রূপ একেবারে বদলাইয়া ফেলিবে। এর বাজেট পর্য্স্ত হইয়া আছে।

আর একটি জায়গা ম'পেইয়ে। সেখানে আঙুরের চাষ-আবাদ হয়। সেই আঙ্গুরে “হব যা" নামক একপ্রকার মদ তৈয়ারী হয়। কিন্ত “্হ্ব'যা বস্তটা “মারাত্মক” মদ নয়,আমাদের দেশে যেমন ডাবের রস, আকের রস, ফ্রান্সে “হ্ব7া”ও প্রায় সেইরূপ। ফ্রান্সে এটা জলের বদলে ব্যবহৃত হয়। আমাদের তো ধারণ! ফ্রান্সের মত মাতাল জাত আর ছনিয়ায় নাই। কিন্তু এদের দেশে যে মদ তৈয়ারী হয় তাতে সাধারণতঃ কত পাসেন্ট আলকহল থাকে জানেন ? পাচ সাত পাসেন্ট। অসহযোগের যুগে আমাদের দেশের কতকগুলি লোক ফ্রান্সে যাইয়৷ হাজির। মতলব ফ্রাম্সের মদ ভারতে আমদানি করা মদের আড্ডায় এদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করাইয়। দেওয়া গেল। কিন্তু আধ্যাত্মিক” ভারতে যে মদের দ্বরকার হয়, তা ফ্রান্সের কারখানায় প্রস্তত করিবার আইনই নাই। অতিমাত্রায় চড়া পরিমাণ আলকহল আধ্যাত্মিক ভারতের জন্ত আবশ্যক | 'এই “হবযা”্র ছুএক গ্লাস আট দশ বছরের শিশুকে খাওয়াইলেও তার একটুও নেশা হইবে না। কিন্ত আমাদের্‌ ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দরকার ' ৭৫ পাসেণ্ট আলকহুল। ফরাসী আইনে ষে চরম মদ চলিতে পারে তাও এদের কাছে ফেল মারিল। ভারতীয় পাগ্ডারা বলিলেন, “এ সব চলিবে না।' অতঃপর তাদ্দের বিলাতে যাওয়াই সাব্যস্ত হইল।

ধনোৎপাদনের বিষ্ভাপীঠ ১৩৯

গোটা শঃয়েক টেক্িক্যাল স্কুল ফ্রান্সে এগারটি আর্থিক জনপদ ভিন্ন ভিন্ন জনপদে ভিন্ন ভিন্ন কারবার ম'পেইয়ে-_ক্কষি, ছধ, গোপালন, মৌচাক, বন, বনের কাঠ ইত্যাদির কেন্ত্র। তুর্কোআ এঞ্জিনিয়ারিং ঘটিত লোহালকড় ইম্পাত ইত্যাদি বিষ্ভার কেন্দ্র। নাসিতে খনিঘটিত বিদ্যার স্কুল। আল্লসের গ্রেণোবে দস্তান। তৈয়ারীর ব্যবসা বিগ্ভালয়। গোট! ছুনিয়াম দস্তানা রপানি হইয়া থাকে

মধ্যফ্রান্সে এক রকম, উত্তর ফ্রান্সে অন্ত রকম, আবার দক্ষিণ ফ্রান্দে আর এক রকম--এইন্ধপ এগারট বিভিন্ন মুলুকে বিভিন্ন রকমের ধনোৎ" পাদন শিখানো হইয়। থাকে র্যা এতিয়েন রেজ'য "ঠিক মধ্য ফ্রান্সে অবস্থিত। আমাদের দেশ যেমন ধনধান্য পুম্পে ভরা, এটিও সেই রকম। এখানকার স্কুলে ছাত্রসংখা। প্রায় শ'ছয়েক |

এঈ যে সব স্কুলের নাম করা যাইতেছে বিদেশীরা৪ সেই সব স্কুলে ঢুকিতে পারে কোনো বাধ। নাই | “এ-কল প্রাতিক দ্যকম্যাসএ ট্যাদুজী” ( শিল্প-বাণিজ্যের কাধ্যকরী পাঠশাল! ) এই সব স্কুলের সাধারণ নাম। এই ধরণের স্কুল থেকে, প্রায় ৯০*টা বিদ্যাকেন্ত্র থেকে, বছরে ১৫০* এঞ্জিনিয়ার বাহির হুইয়] আসিতেছে

ফান্দে এই শিল্পশিক্ষা ব্যবসাশিক্ষা ছুইটা তাবে চলে এক নম্বর হইতেছে এডুকেশন ডিপার্টম্ণটে ( শিক্ষাবিভাঁগ 7, এট! চলে শিক্ষা- সাঁচবের তদ্বিরে অপর বিভাগ কৃষি-সংক্রান্ত। তাহার সগগে শিক্ষা- সচিবের এবং শিক্ষা-বিভাগের কোনো সংশ্রব নাই সেট! আগাগোড়! কষিসচিবের এবং ককষিবিভাগের তত্বাবধানে পরিচালিত হয়,

একমান্্র মেয়েদের জন্যও কতকগুল কৃষি-বিগ্যালগয় আছে। তাহ! ছাড়া, প্রত্যেক আথিক জনপদে একটা ছু”টা করিয়া স্বতন্ত্র স্থল মেয়েদের

১৪০ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

সস

জন্ত রহিয়াছে এই সব স্কুলে ছোট ছোট শিল্প কাজ থেকে আরন্ত করিয়া গৃহস্থালী, স্বাস্থ্যরক্ষা, শিশুপালন প্রতি সবই শিক্ষা দেওয়া হয়। ফরালী জাত এই রকম বিশটা ধনোৎপাদনের বিষ্ভালয় মেয়েদের জন আল্গ! করিয়া রাখিয়াছে।

ফাল কবি-শিক্ষ।

কষি-কলেজ বা কৃষি-বিশ্ববিষ্তালয় বলিলে যা-কিছু বোঝা যায়, ফ্রান্সে ধরণের মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান আছে গ্রিণো, ম'পেইয়ে আর রান্--উত্তর, মধ্য পশ্চিম ফ্রান্সে, এই তিনটি জায়গায় এই শিক্ষাকেন্ত্র কয়ট1 অবস্থিত আড়াই বছর এই সব বিভ্তাক্য়ে থাকিতে হয়। ধারা হাতে কলমে কাজ করেন কেবল মান্্র তাদেরকেই সব স্কুলে চুকিতে দেওয়া হয়। চাষ আবাদ, জমিজমার কাজের জন্ত অথবা সরকারী কৃষিকার্যের ইন্স্পে্টারী ইত্যাদি কাজের জন্তও শিক্ষা লওয়া যায়। আমাদের দেশে এম, এ, এম। এস-সি লাইনে যে রকম বিদ্তা হয়, এই সব বিস্তালয়ে আড়াই বছরে ঠিক ততখানি বিষ্ঞা হয়। এহ সব বিস্তালয় সাধারণতঃ তিন ভাগে বিভক্ত। প্রথমতঃ ছুনিয়ার সকল রকম পনার্থ বিস্তা প্র$তি-বিজ্ঞান। দ্বিতীয়তঃ, চাষ-আবাদ, গোপালন, ইত্যাদি সংক্রান্ত বিদ্তা। তৃতীয়ত:, ধনবিজ্ঞান, পল্লীসভ্যতা, আধথিক আইন-কানুন, স্বাস্থ্যরক্ষ! ইত্যাদি পাঠ চর্চা

ফ্রান্সের শিল্প-বিদযালয়ের আর একটি বিশেষত্ব-_সেখানে সাধারণতঃ কোনে বিদ্বেশী অধ্যাপক নাই। ফ্রান্সে কোনে বিদেশী কোনো! রকমের চাকরী পাইবে না। আইনেই আটক। বিদেশী সেখানে একটি পয়সা রোজগার করিয়া! লইবে হইবার জো নাই, ডাক্তারী ওকালতী করিয়৷ও নয়। পর্ধ্যটটক বা ছাত্র হিসাবে ফ্রাম্সে বিদেশীরা থাকিতে পারে। নিজের

ধনোৎপাদ্দনের বিভ্ভাপীঠ ১৪১

পয়সা খাটাইয়। তেজারতি করিতে বাধ! নাই। বিদেশীরা ফ্রান্সে নিজ নিজ পরিষদ্‌ও স্থাপন করিতে সমর্থ প্যারিসের মাকাদেমী এবং বিশ্ব- বিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার আলাপ হয়; তিনি বলিলেন, "তোমরাতো! ভারি আহাম্মক লোক। এই পারিসে দশ হাজার ছাত্র অধ্যয়ন করে গোট] দ্রনিয়াকে প্যারিস অনুপ্রেরণা দিতেছে ফ্রান্দ তোমাদ্দিগকেও ডাকিতেছে তোমাদের নেমন্তন্ন করিয়! পাঠাইতেছে তোমরা এখানে একটা পরিষদ্‌ প্রতিষ্ঠা কর। তুমি দেশে গিয়া তোমার দেশের লোককে বল--তারা |কছু টাকা তুলিয়া ভারত- পরিষদ্‌, ভারতীয় আ্যান্তিতিউ নামে একটা-কিছু খাঢা করুক। তাতে তোমাদের দেশ থেকে কয়েকজন অধ্যাপক, বক্তা, ছবি-আীকনেওয়।লা, লিখনে ওয়ালা এই সব কতকগুলি পাগাইয়া দিও এই পরিষদকে আমরা ফরাসী বিশ্ববিছালয়ের সামিল করিয়া লইব |”

জার্মীণি বনাম ফ্রান্স

শিল্প-শিক্ষার মুন্লুকে আমেরিকা জান্মীণি ফণন্সের চেয়ে সের! জান্্মীণি একটা বিপুল মুলুক। বিশেষতঃ জান্মাণির বিধি-ব্যবস্থা এত জটিল যে তাতে থৈ পাওয়া মুস্কিল। সেখানকার বড় বড় পণ্ডিত আমাকে বলিয়াছেন, “তুমি এই জার্ম্মীণিতে ১1২ বা ৩৪ বছর থাকিয়াই আমাদেরকে জরীপ করিয়া বগলদেবে দেশে লইয়া! যাইবে ভাবিয়া ! আমরা এই মন্ত্রীগিরি করিতে করিতে চুল দাড়ি পাকাইয়া। ফেলিয়ছি। বয়স হইল ৬০1৬৫ বছর আমর! সেরূপ কল্পনা করিতে পারি ন1। জার্ম্দাণিতে কতগুল! টেকনিক্যাল স্কুল আছে ? এমন একজনও জান্মাণ নাই যে সে অন্ক কযিয়া এক নিমেষে বলিয়! দিতে পারে যে ঠিক এতগুলে11” আকাশের তারা গুনিয়া যেমন শেষ করা যায় না (শেষ কর! যায় না

১৪২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

(গিলতে

বলিতে পারি নাঃ হয়ত এমন কোন জ্যোতির্ধিদ আছেন যিনি পারেন ) ঠিক সেইরূপ কতগুলে! টেকৃনিক্যাল স্কুল জার্ম্মাণিতে রহিয়াছে তার ঠিক খবর কেউ বলিয়া দিতে পারে ন|।

চাই কান্দে বাঙালীর অভিযান এহেন জান্্মাণির পাত্তা পাওয়া আমাদের মুস্কিল হইবে। তাই

ফান্সের কথা বলা গেল। ভারতে পভোকেশন্তাল স্কুল” যে যে অর্থেই ব্যবহার করুন ন1 কেন, ষ্দি তাহাঘারা আমর! কিছু করিয়া উঠিতে চাট, তাহা হইলে সম্প্রতি ফ্রংহ্সের পথে হূর্গা বলিয়া যাত্রা। করাই বুদ্ধিদানের কাধ্য। ফণান্সের যে সব জনপদে কৃষিশিল্প বেশ গুলজার, যদি আমাদের বাঙ্গালাদেশের প্রত্যেক জেল! থেকে ছু'জ্ন করিয়া সেই সব কেন্দ্রে কিছু দিন কাটাইয়া আসেন, তাহ হইলে ধশ্পোৎপাদন জিনিষটা আর তার বিগ্তাট। কিছু কিছু তাদের পেটে পড়িতে পারে। শুধু একটা ডিগ্রী নেওয়া4“উদ্দেশ্তে কয়েক বছর থাকিয়া আদিলে বেশী ফল দীড়াইবে না। বাস্তবিক শিখিবার, বুঝিবার আর তাহ নিজের দেশে খাটাইবার মতলব লইয়া যাইতে হইবে তার জন্ত করিৎকন্মা, বাস্তব অভিজ্ঞতা- ওয়াল। লেকেদের যাইতে হইবে আপনারা ধারা মফঃম্বল থেকে কলিকাতায় ডিগ্রী লইতে আসিয়াছেন, তারা কলকাতার কতটুকু বোঝেন বা জানেন? হয়ত ইউনিভার্সিটি, গোলদীঘি, কলেজ স্ীটট1 চেনেন। এর বেশী নয়। দেড়শ" থকে দু'শ” টাকা মাস খরচ করিয়া কেউ যদি বালিনঃ প্যারিস বা নিউ ইয়র্কে আদা"হুণ খাইয়! ডিগ্রি লইবার প্রতিজ্ঞ! করিয়! বসিয়! যায়, তাহ1 হইলে সে সেখানকার দেশ বা সমাজের চরিত্র কতটুকু বুঝিয়া উঠিতে পারে? বড় বেশী নয়।

আমেরি এবং জার্মীণি সম্বন্ধে যত আলোচনা! করিতে পারি, ততই

ধনোশু্‌পাদনের বিষ্যাপীঠ ১৪৩

ভাল। সব দেশ সম্বন্ধে যত জানি, ততই ভাল? কিন্তু আটিয়া ধরিতে পারি কোনটাকে ? দি আটিয়া ধরিতে হয় তা হইলে ফাান্পকে। ফান্সের মফঃস্বলে মফঃস্বলে, পল্লীতে পল্লীতে বাঙ্গালী চাষী, শিল্পী, কারিগরদের শিখিবার অনেক চিজ আছে। এই সকল কেন্দ্রে তিন চার বছর বাস করিয়া, সেখানকার গণ্ড গণ্ড এপঞ্রিনিঘার আর শত শত চাষী, মিষ্সি, আড়তর্দার ইত্যার্দির সঙ্গে আলাপ পরিচয় করিয়া, এদের সঙ্গে মিশিয়া এদের প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে কিছু আমল করিয়া তবে নিজের দেশে ধনোৎপাদ্ন বিষয়ক বিদ্যাপীঠের প্রাথমিক ভিত্তি গড়িয়া তুলিতে পারিব--এইরূপই আমার বিশ্বীস।

নিজের চোখে একবার ফ্রান্স, ইতালি জাম্মীণির অবস্থাট? হাতে কলমে জরীপ করিয়া আসি না কেন? দরকার হইলে এক গ্লাস “হ্ব'যা* পথ্যন্ত খাইয়া ধনোত্পাদদনের গণ্ডা গণ্ডা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দ্হরম মহরম করিয়া দেশে ফিরিয়া আমিবার ব্যবস্থা কর! হইতেছে না কেন? বিদেশের নিবিড় অভিজ্ঞতা ?য়াল1 বাঙ্গালীই বাঙ্গালার পাক! সমালোচক এবং ম্বদবশসেবক হইবার উপযুক্ত। . এযুগে বিদেশে বাঙ্গালীর প্রবাসই আমাদের দেশোল্নতির আধ্যাত্মিক শক্তি। ফাদ্দে একটা “বৃহত্তর বঙ্গ” গড়িয়া উঠুক

আধিক জগতে আধুনিক নারী *

যা কিছু আমি বলিয়া! ষাই তার অনেকটা! আপনাদের পছন্দসই নয় | তার কারণ,-আপনার1 শুনিতে চাছেন আমি বলিয়া যাই বা আর কেহ বলিয়া যাঁউক যে. পাশ্চাত্য লোকেরা ভারতবাসীর শিষ্যত্ব করিবে, আমাদের পায়ে তারা মাথা ঠেকাইয়া চলিবে আপনাদের ধারা অতদুর চরমে যাইতে রাজী নহেন, তারা অন্ততঃ পক্ষে এটা শুনিতে ইচ্ছা করেন যে, “বেশ তো, ইয়োয়োপ আর আমেরিকা, তার! হইতেছে সুয়ে খালের ওপারের লোক, আমরা হইতেছি সুয়েজ থালের এপারের লোক। ওপারের ষে পথ সে ওপারের দ্বত্বর ; আমাদ্দের পারের যে পথ সে হইতেছে আমাদের পূরবী লোকের বিশেষত্ব। ওরা যে পথে চলিয়াছে চলুক, আমরা আমাদের পথে চলিতেছি চলিব ।” কাজেই আপনারা চাহেন না বে, আমি মুখামুখি পশ্চিমের সঙ্গে পূরবের তুলনা করি কিংবা কখনে! কখনো বলি যে, পশ্চিম যে পথে চলিয়াছে পুরবও সেই পথেই চলিবে

এশিয়া ইয়োরামেরিকার গুরু নয় যাক, আমার কথাগুলি আপনাদের পছন্দসই হউক বানা হউক আমার বক্তব্য সোজা। এই ষে ছুই মত, এছ্ু'এরই আমি ঘোরতর বিরোধী আমার কথা এই,_ এশিয়ার নরনারী ইয়োরামেরিকান অর্থাৎ পশ্চিমা নরনারীর গুরু কোন মতেই নয়। আজ নয়ই।

* জাতীয় শিল্পপরিষদের তন্বাবধানে প্রদত্ত বন্ত তার শর্টহাণ্ বৃত্তান্ত (ফেব্রুয়ারি ১৯২৬)। অর্টহাও লইয়াছিলেন শ্রীযুক্ত ইন্দরকুমার চৌধুরী।

আধিক জগতে আধুনিক নারী ১৪৫

আগামী ভবিষ্যৎ যতদূর দেখা যায়, সেই অনতিদূর কিংবা কিছুদূর কিংব! অতিদূর ভবিষ্যতে ভারতের কিংবা এশিয়ার লোক যে ইয়োরামেরিকার গুরু হইবার উপযুক্ত হইবে, আমি তা! সম্প্রতি কল্পনাও করিতে পারি না। আর সঙ্গে সঙ্গে বলিতে চাই যে, কি মধ্যযুগে অর্থাৎ উনবিংশ শতাব্দীর আগে, কিংব! প্রাচীন যুগে-সেই গ্রীস রোমের আমলে,_তখনও কি হিন্দু, কি চীনা, এরা কোন দিন ইয়োরোপের গুরু ছিল, কথা সজোরে বলা চলে না। প্রাচীন গ্রীস, প্রাচীন রোম এবং মধ্যযুগের থৃষ্টায় ইয়োরে।পকে সভ্যতার হিসাবে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের হিসাবে খুব বেশী রকম হারাইয়া এশিয়ার লৌক ছনিয়াতে বিশেষ কিছু দেখাইতে পারিয়!ছে কথা বলা যুক্তিসঙ্গত হইবে না। কাজেই, গুরুগিরি করার ষে একট! দাবী সেটা ইতিহাসগত দাবী নন বড় জোর আমাদের ঠাকুরদাদা কি ঠাকুর দাদার ঠাকুরদাদার! কর্মক্ষেত্রে চিন্তাক্ষেত্রে ইয়োরোপের আজ- কালক।র লোকের ঠাকুরদাদার, কি ঠাকুরদাদার ঠাকুরদাদার সমানে সমানে চলিয়াছে। এই পধ্যস্ত কখনে। কখনে। কোনে! কোনে। ক্ষেত্রে এক ছটাক আধ ছটাক আগে পাছে হয়ত কিছু কিছু ছিল। কিন্তু তাদেরকে ছাড়াইয়া একটা নূতন অতি-কিছু দেখানো আমাদের চৌদ্দ পুরুষের ক্ষম তায় কখনো! কুলার নাই হইতেছে ছুনিঘ্ার অতীত ইতিহাস সম্বন্ধে আমার শেষ কথা প্রাচা পাশ্চাত্য সকল প্রকার গ্রত্নতত্বের নিগলিতার্থ আমার বিবেচনায় এইবপ। আপনাদের ধার যেরূপ মর্জি আপনার তুলন। চালাইয়া ইতিহাস খাটিয়। দেখিতে পারেন। আমার আপত্তি নাই। যদি কখনে৷ *আপনারা আমাকে নতুন নতুন তথ্য যুক্তি দেখাইতে পারেন, তাহা হইলে আমার মত বদলাইতে প্রস্তুত 'আছি।

১৪৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

পশ্চিমের যে পথ পুরবেরও মেনেই পথ

তারপর আপনার! বলিবেন, পুরবের পথ আর পশ্চিমের পথ আলাদা আলাদা ওর! যে পথে চলে, সে পথের পথিক নাকি আমরা নহি। আমর! যে পথে চলি সে পথের পথিক নাকি ওরা নম ইত্যাদি। আমি বলি-_-এই মতটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এই মতের পশ্চাতে কোন তথ্যঃ কোন যুক্তি নাই সেই গ্রীক আমল হইতে উনবিংশ শতাব্দীর আমল পর্য্যস্ত- জমিজমার আইন. জমিদারের সঙ্গে রায়তের সন্বপ্ধ, স্ত্রী সঙ্গে পুরুষের সম্বন্ধ, স্ত্রীর শ্বত্বাধিকার, রাজার সঙ্গে প্রজার সম্বন্ধ, বাদসাহের গোলামী করা, কুর্ণিস করা__যা-কিছু আমরা ইয়োরোপে দেখি ভারতেও ঠিক তাই দেখি অর্থাৎ এশিয়া যা কিছু দেখাইগাছে ইয়োরোপও যুগে যুগে ঠিক সে সবই দেখাইয়াছে |

তারপর বাম্পযন্ত্র নামক একটা জানোয়ার পৃথিবীতে দেখা দিল অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে যন্ত্রটা প্রথম তুলার কারবারে দেখা দিল বিলাতে। তখন হইতে আজ পথ্যন্ত এই যে ১২৫ ১৫০ বৎসর, আমরা-_-ভারত, চীন, পারস্ত, জাপান--ঠিক তাই করিতেছি, যা কিছু করিয়াছে ইংরেজ, ফরাসী, জাশম্মাণ, আমেরিকান ইতালিয়ান। ওরা ট্রেড, ইউনিয়ান কায়েম করিয়াছে, আমরাও ট্রেড, ইউনিয়ান করিতেছি ওরা ফ্যাক্টরী আইন করিল, আমরাও ফ্যাক্টরী আইন করিলাম। ওরা এক রকম কানন করিল. তার নাম হুইল নগর-শ্বরাজ বিষয়ক আইন। আমাদের দেশেও একট! কানুন তৈয়ারী হইল, তার নাম হইল নগর-শ্বরাজ বিষয়ক আইন। অবশ্ত খাটি ম্বায়ত্তশাসন বিষয়ক আইন বলিতে যা বুঝায়, আমাদের দেশে ঠিক তা৷ এখনো হয় নাই! ওরা ইস্থুল করে, বিশ্ববিস্ভালম়্ করে, আমরাও ইস্কুল করি, বিশ্ববিষ্ভালয় করি--ঠিক একই প্রণালীতে।

আধিক জগতে আধুনিক নারী ১৪৭

এই ক্রমবিকাশ এমন জায়গায় আসিয়।! ঠেকিয়াছে যে, ওর! যতখানি যে লাইনের চরমে যাইতে চায় আমরাও ঠিক ততথানি সে লাইনের চরমে যাইতে চাই, আর যেখানে ওদের সমান, সমান যাহতে না পারি, সেখানে ওধের বোলচ।ল, ওদের বুখলীগুলি বেমালুম গাপ, কর্রয়া থাকি এই হইতেছে বর্তমান এশিয়।র ধরণ-ধারণ। বস্তুনিষ্ঠ আলোচনায় আধুনিক এশিয়াকে আমি প্রান সকল বিষয়েই আধুনিক ইয়েরামেরিক!র শিষ্য সএঝিতেই অভ্যস্ত

কাজেই আমার কাছে দি কেহ বলেন, পাশ্চমের পথ এদিকে, পুরবের পথ পাদকে,- তাকে আমি সন্মমন করিতে অসমর্থ দেশের লেক কিন্তু আমাদেবকে ডানে বায়ে, এপ।নে ওখানে, কবিতা লিখিতে লিখিতে, গল্প শিখি লিখি'ত, বক্তৃতা করিতে করিতে, কংগ্রেসে দলাদাল কৰিতে করিতে খবরের কাগজে বকিতে বকিতে শিখাইতেছে এক "খাড়া বন্ডি থোড়” : বেশ্বনিষ্ঠ'লয়ের আ। ওতায়, গোলদঘির হাওয়ায় ধা কিছু আমরা শিখিতেছি, সে সবের অর্থ হইতেছে, "গুদের পথ এক, আমাদের পখআর।” আম দেপিতে পাইতেছি বে, ওদের পথ যা, শামাদের পখও 'তাই। মাদ্ধাতার আমল হইতে আজ পযন্ত একটা পথেই পৃথিবী চলিতেছে ঘটনাচক্রে উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীতে এরা চলিতেছে আগে আগে, আম্র। ওদের লেজ ধরিয়া লেঙ্ুড়ের পিছনে পিছনে ছুটিতে চেষ্টা করিতেছি কাঁজেই কথা গুলি আপনাদের ভাল লাগে না, লাশিবার কথাএ নয়। কিন্তু কথা আমার পক্ষে একমাজ্ম বেদান্ত

আতিক উন্নতির বনিয়াদ

কয়দিন আলোচনা করিতেছি, আধিক উন্নতির বনিয়াদ। বর্তমান যুগে, বিশেষতঃ বিগত ৩০'৩ বৎসরের ভিতর, কোন্‌ কোন্‌

১৪৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

লাইন, কোন্‌ কোন্‌ কর্-প্রণালী মানুষকে আথিক হিসাবে উন্নত করিয় তুলিয়াছে। তার প্রথম কথা দেখিতেছি,--আজকাল মানুষের টাকা- পয্সাগুলি নিজের নিজের তোরঙ্গের ভিতর থাকে না অথবা হ্াড়ির ভিতর মাটির নীচে পোতা থাকে না। সেগুলি যেমন করিয়। হউক, পাখায় উড়িয়াই আন্থুক কিংবা কোন পাখীতে লইয়াই আনহ্মক, কোন এক জায়গায় কেন্দ্রীকৃত হয়। অর্থাৎ তাতে ব্যাঙ্ক গড়ি উঠিয়াছে। দ্বিতীয় কথা, ছুনিয়ার নরনারী সাবেক কালে, এমন কি, চল্লিশ পঞ্চাশ বৎদর পুর্বে সর্বদা ভয়ে ভয়ে চলিত। বেশ আছে, যদি হঠাৎ সর্দি লাগে, কি হইবে? সরকারের চাকুরী করিতে পারিৰ না, মাহছিনা কাটা যাইবে কুলী-কেরানী, মজুর-চাষী প্রত্যেকের ভাবনা রেলে যাইতে যাইতে যদি ধাক্কা লাগে, কলিশন হয় ! হঠাৎ যদি পথে মার যাই, পরিবার না খাইয়া মরিবে! যদি হঠাৎ কোন রকষে হাত প1 ভাঙ্গি,কি হইবে? ডাক্তারের ফি যোগাইতে হইবে, ছেলে- মেয়ে পরিবারের ভাবনা ভাবিতে হুইবে ইত্যাদি, ইত্যাদি। বর্তমান জগতের সমাজ-ব্যবস্থা বলিতেছে, “কুছপরেয়৷ নেই, মান্ুষগুলিকে এমন করিয়! গড়িয়া! তুলিতে হুইবে, যে প্রতোক লোক --কি পুক্রষ, কি স্ত্রী, কেরাণী, মজুর, চাষী প্রত্যেকে নির্ভাবনায় নিরুপদ্রবে নিরুদ্ধেগে জীবন যাপন করিয়া! কাজ করিয়া খাইতে পারে তার বাবস্থা করিতে হইবে ভাখিবার দরকার নাই, কেবল কাজ করিয়া যাও, যদি মরিয়া যাও, তার জন্য, তোমার পরিবারের জন্য কেহ না কেহ দায়ী, ইত্যাদি |

তারপর ত্রিশ-চল্লিশ বংসর আগে জমি-জমাব নতুন আইন কায়েম হইয়াছে সেকালের দস্তর ছিল এই £--তুমি বড়লোক-- তোমার যদি কিছু জমি থাকে, বেশী বা কম, _পাচ ছেলে থাকিলে তাদের মধ্যে ভাগ করিয়া দিতে হইবে কিংব! ইচ্ছামত যাঁকে তাকে দিয়া দেওয়া চলিত

আধিক জগতে আধুনিক নারী ১৪৯

আজ-কালকার লোক বলিতেছে--২৫।৩।৪* বৎসর ধরিয়া বলিতেছে -- বোলশেহিবজ মের জন্মের অনেকদিন আগে হইতে বলিতেছে-_-আইন পর্যন্ত করিয়াছে যে, লোকটার কম জমি আছে তাকে কিছু বেশ জমি দিতে হইবে ; যে লোকটার জমি নাই তাকে জমিদার বূপে গড়িয়া তুলিতে হইবে কিন্তু জমি আসিবে কোথা হইতে? যার জমি আছে তার কাছ হইতে জমি লইয়া যাদের জমি নাই অথবা কম জমি আছে তাদেরকে দাও। কে দিবে? রাষ্। আর এক রকম হুইল --আমার জমি, আমি যাকে তাকে দিয়া যাইতে পারি, এটা মান্ধাতার আমল হইতে চাণকে)র সময় হইতে ছুনিয়ার সর্বত্র চলিয়া আসতেছে আজকালকার লোক বলিতেছে সব আইনে চলিবে না, যাকে তাকে দিয়া যাইবে, কিংবা! ছেলেদের মধ্যে ভাগ ভাগ করিয়া! টুকৃরে! টুকৃরো। করিয়! দিবে তা হইবে না। জমিগুলো বেচিতে হইলে ভাতে পধ্যস্ত সরকারের কথা মানিয়া লইতে হইবে এইভাবে নতুন মি-জমার আইন-কানুন করিয়া মানুষগ্রলোকে মঞ্জবুত করিয়া তোলা হইতেছে

যারা ফ্যাকৃটরীতে কাজ করে, অফিসে কেরাণীগিরি করে, তাদের জীবন এতদিন পর্য্যন্ত বড় জোর ট্রেড, ইউনিয়নে সঙ্ঘবন্ধ ছিল। তার মধ্যে থাকিয়৷ মালিকদের সঙ্গে দয়দস্তর কষাকষি, খুব বেশী হুইলে ধর্মঘট চালান। আজ পর্যন্ত একেই পৃথিবীর লোক চয়ম ধরণের শিল্প-্বাজ মনে করিত। মজুর শ্রমজীবী কুলী কেরাণী এপ্দের পক্ষে এর চেয়ে বেশী কিছু কর! সম্ভব নয়. কিন্তু গত দশ পনর বৎসরের মধ্যে দেখ। গিয়াছে যে, এতে চলিতেছে না। আরো! এক নতুন ছুনিয়া আবিষ্কৃত হইয়াছে ছুনিয়ার মজুর আর কেরাণী দকলে মালিকের সঙ্গে এক চেয়ারে বসিতেছে। কারখানা, আফিস, যা কিছু কর্ম্মফেন্্র আছে, সব জিনিষ শাসন করিতে তারা সমান অধিকারী কেবল তা নয়, কবে কোথা

১৫০ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

কত টাক] খরচ হইয়াছে হইবে তার হিসাব-নিকাশ করিতেও অধিকারী এই মঞ্কুর কেরাণী শ্রমজীবী হইতেছে আর্থিক উন্নতির আর এক বনিয়াদ।

প্রত্যেক মানুষকে হাতের জোরে আর মাথার জোরে কাজ করিতে হয়। পৃথিবীতে এটা হইতেছে শক্তিমানের লক্ষণ এই দ্বই জিনিষের জোরে শক্তিমানেরা ছুনিয়ার পূজা পার এখনকার লক্ষ্য হইতেছে জগতের প্রত্যেক মান্ধুবকে শ্রেষ্ঠ করিয়া তোলা একথা ২০1২৫ ৫৯1৬০ বৎসর আগে এমন সজোরে, এমন সজাগ ভাবে ছুনিয়ার নরনারী ভাবে নাই ভাবিতেছে এখন প্রত্যেক লোককে মাথার জোরে এবং হাতের জোরে স্বাধীন করিতে হইবে তাহা করিবার উপায় কি? যখন যে প্রদেশে, “যে ছ্েলায়, যে ধরণেরই স্কুল কর দরকার, তখন সেই জেলায় সেই প্রদেশে সেই ধরণের স্কুল কায়েম কর। এতদিন পধ্যস্ত ১৪ বৎসর বয়সের পুরুষ এবং স্ত্রী প্রত্যেক দেশে বাধ্যতা- মূলক সার্বজনীন শিক্ষা পাইতে অধিকারী ছিল। এখন হইয়াছে, কেবল মাত্র ১৪ বৎসর পব্যন্ত নয় কম্‌ সেকম্‌ ১৮ ব্সর পর্য্যন্ত পুরুষ জী কাজ করিবার সময়েও প্রত্যেকে বিনা পয়সায় লেখা-পড়া শিখিতে বাধ্য

আজকার আলোচ্য “আথিক জগতে আধুনিক নারী।” সেদিনকার আলোচনায় প্রধানত: বলিয়।ছি ফ্রান্সের কথা 'আর আজকে প্রধানতঃ বলিতে চাই জান্মীণির কথা জান্মাণির মেয়েরা আথি জগতে কত রকমে, কত প্রণালীতে কৃতিত্ব দেখাইতেছে সে কথ আপনাদের কাছে বলিব

অইৈতবাদের বুজরুকি

প্রথমেই একটা অবাস্তর কথা বলিয়া রাখি। যাদের মাথা আছে

তার সাধারণতঃ যখন যে বিষয় লইয়া চিন্তা করে, খন সেই বিষয় লইয়!

আধিক জগতে আধুনিক নারী ১৫১

মসগুল থাকে, আর বলে, “এই যে তথ্য, এই যে সত্য, যা আমি আলোচনা করিতেছি এট ছুনিয়ার একমাত্র তথ্য সত্য। অর্থাৎ অন্তে যা কিছু বলিতেছে সে-সব কাজের কথা নয়। আমিষা বলিতেছি তাই শুনিয়া যাঁও।” যেমন কোন এক মহাপুরুষ কোন দিন বলিয়া" ছিলেন--“আমিই একমাজ পথ। ছনিয়ার প্রাণ যর্দি কিছু থাকে তবে সেআমি। আর সত্য নামক যদি কোন বস্ত থাকে তাও হুইতেছি আমি।” আপনারা অনেকেই খুষ্টীয় সাহিত্য জানেন। এই হইতেছে দ্বয়ং থুষ্টের বাণী। তা অগ্যান্ত মহাপুরুষদের সঙ্গে মিলিয়া যায়। কেন না! আর একজন ব'লয়াছেন, “দুনিয়ার আল্লা বা ঈশ্বর এক, তার প্রতিনিধি হইতেছি আমি '” এই গেল মহম্মদের বণী। ঠিক থৃষ্টিয়ান মুসল- মানের মত আমরা 9 আমাদের শান আওড়াহয়া থাকি আমরাও জানি 'সব্ধ।ন্‌ ধন্মান্‌ পরিতাজ্য মামেকং শগণংব্রজ"--“ছুনিয়াপ ষা-কিছু আছে সব ভা1ডঘা ছুড়িয়া কুণিশ কর আমার পায়ে। আমি ছনিয়র সব আমি যাকিছু করিতেছি তা ছাড়া আর কিছু করিবার নাত শান্থুবকে খদ্দি রক্ষা করিতে হয়, তবে আমার প্রণালীতে রক্ষ। হইবে” ইত্যাদি হইতেছে গীতার বচন

এই ধরণের অদ্বেতবাদ একমাত্র ধন্মের মুলুকেই দেখা যার এমন নয়। অন্ঠান্ত কর্মক্ষেত্রে অনেক সময়ে এইবূপ অদৈতত নীতি প্রচারিত হইয়া থকে কিছ্ছু এক প্রণালীতে যদি সংসার চালাইত্তে হয়, তাহা হইলে একট। অন্বাভ!বিক মবস্থার আসিল! পৌহিতে হহবে। ফেট! শুনিলে সকলের লঙ্ষিত হইবার কগা। যেমন ধরুন আখিক জগতে নারীর কৃত্তিত্ব। এই বিষয়টা আলোচন! করিতে গিয়া হয়ত কেহ চরম ভাবে বলিবেন যে, পৃথিবীতে যা-কিছু হইয়াছে একমাত্র মেয়েদের দৌলতে ঘটিয়াছে। কিন্ত তলাইয়া দেখিলে এর ভিতর সত্য পাই

১৫২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পণ্তন

স্তর ্এ্্িসপস এস আস স্ি এএসিএ এত এ্সিিাসসস্পন।

কতটা? ধর্শের অট্বৈতৈ কতটা সত্য? আপনার! মনে করিবেন গ্ীতা-বাইবেল-কোরাণের অদ্বৈত চরম সত্য। কিন্তু আমি পাষণ্ড, আমি বিবেচনা! করি যে, এর ভিতর €বশী সত্য নাই থাকিলেও সেটা আশিক সত্য এবং অ-সত্যের মধ্যে পরিগণিত করা উচিত তেমনি যদি কোন লোক বলে-_মেয়েদের উপর সমস্ত নির্ভর করিতেছে, তাহ! হইলে আমি বলিব--এর ভিতর সত্য বেশী নাই। যেটুকু সত্য আছে তাকে অসত্যে পরিণত করিয়া প্রচার করা হইয়াছে আর একটা দৃষ্টান্ত অন্যদিক হইতে দিতেছি আজকাল কলিকাতায় ছুধ পাওয়া যায় না কেন? গরু নাই। কেন গরু নাই ? গোচারণের মাঠ নাই। তবে কি করা উচিত? এই লইয়া যদি কোন একটা লোক আন্দোলন স্যঙ্ি ফরিতে চায়, সে বলিবে, গো সেবা, গোচাঁরণের মাঠ, গো-পুজ! ইত্যাদি ষা-কিছু সব যতদিন পর্যাস্ত ভারতবর্ষে না দেখা দিতেছে ততদিন পর্য্যপ্ত গরুর উন্নতি হইবে না। আর যত দিন পধ্যন্ত গরুর উন্নতি না হইবে ততদিন ভারতের আর ছুনিয়ার উন্নতি অসম্ভব এটা প্রমাণ করা কঠিন বিবেচনা করি না, কেন না গরু যদি হ্ট-পুষ্ট হয় দুধ বেশী দিবে, ছুধের গুণ ভাল হইবে, পরিমাণ বাঁড়িবে এবং সেই ছুধ যদি পাওয়। যায় বাঙ্গালীর শিশু, স্ত্রী, পুরুষ বাচিবে খাইয়া যদি ৰাচে তবে তার! হৃষ্ট-পুষ্ট-বলিষ্ হইবে, তা৷ হইলে ছাত্রবৃত্ি পাশ করিবে তাঁর পর বি-এ পাশ করিয়! উকিল হইবে, উকিল হইলে গোলদীঘিতে বক্ততা দিবে, কংগ্রেসে 'ক্ততা করিবে।। এই ভাবের বক্তত1 করিবার লোক যদি বাংলায় না থাকে, শ্বরাজ আন্দোলন চালাইবে কে? অতএব বল! ষাইতে পারে যে, এই গরু আর হ্বরাজ এক সঙ্গে গাথা ইত্যাদি

আপনার! হাসিতেছেন। আমি বলিতে চাহিতেছি, এই রকম হান্তজনক যুক্তি মান্ধাতার আমলে প্রথিবীর অনেক জায়গায় চলিয়াছে

আধিক জগতে আধুনিক নারী ১৫৩

এবং আজও ভারতে প্রভৃতরূপে চলিতেছে সে কথ। আপনারা শয়নে* স্বপনে, নিশি-জাগরণে *বেশ ভাল করিয়া জানেন। আমি হইতেছি অইৈতবা্দের কট্টর যম। আমার বিবেচনায়-_-আঁথিক উন্নতি একমাঞ্জ জমি-জমার উপর কি একমাত্র মেয়েজাতির উপর নির্ভর করিতেছে না। এক সঙ্গে হাঁজার শক্তি কাধ্য করিতেছে হাজার প্রতিঠান, হাজার আন্দোলন, হাজার নরনারীর ব্যক্তিত্ব একসঙ্গে কোন দেশের বা প্রদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত করিয়া থাকে হয় সকলে সকল কাধ্য করিতে পারে না আপনি চান জমি-জমা লইয়া লাগিয়া! থাকিতে, আর একজন চায় শ্রমজীবীদের লইয়া থাকিতে, আর একজন বলিতেছে টেক্নিক্যাল ইস্কুল করিবে আর একজন আর কিছু করিতে চায়। যাঁর যেমন ইচ্ছা, যার যেমন শক্তি, যার যেমন মঞ্জি সে সেই রকম কাজ করিতে আঁধকারী। কিন্তু জ্িনিষটিকে ফাপাইয়া ফুলাইয়া তুলিয়া যদি বলি--”ছুনিয়া চলিতেছে শুধু চরখার জোরে” বা রকম কিছু, তা হইলে গোলমাল বাঁধে যুক্তি-শাঙ্ত্রের হাতে খড়ির বেলায়ই আমি বলিতে চাই যে, আমাদের জননায়কই হউক, শিক্ষকই হউক, সমাঁজ-সংস্কারকই হউক, কবিই হউক, বক্তাই হউক,আর ছাত্রই হউক তাদের যতগুলি যুক্তি -তার প্রায় সকলের ভিতর ঠিক এইরকম একটা বিশ্বাস, এই রকম একটা ধারণা কাজ করিতেছে অহ্ৈতবাদের পাল্লায়.পড়িয়া আমাদের ছেলের! বুড়োর অনেকেই যুক্তি-সম্পর্দকে জলাঞ্জলি দিয়াছেন।

পাশ্চাত্য নারীর অ-স্বাধীনত!

আজ আমি দেখাইতে চাই--জাশ্মাণ জাতির মেয়েরা কত উপায়ে টাকা রোজগার করিয়! খাইতেছে, কত উপায়ে দেশকে ধন-সম্পদে উন্নত করিয়া তুলিতেছে। একটা কথা সব দেশেই আছে, আমাদের দেশেও

১৫৪ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

আছে, সেটা হইতেছে নারী-ম্বাধীনতার আন্দোলন--সোজ! কথায় *ফেমিনিজম ।” এর ভিতর অনেক কথা আছে-_রাষ্্রনীতি, সমাঁজনীতি অর্থনীতি ইত্যাদি। সব কথা বলিবার প্রয়োজন নাই, একটি কথা শুধু বলিব। ধারা নারী-ন্বাধীনতার আন্দৌলনের প্রচারক- পুরুষই হউন, স্রীই হউন-তার। প্রধানতঃ কথা বলেন-মেয়ের৷ আজকালকার ছুনিয়ায় নিজ নিজ সম্পত্তি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অধিকার লাভ করে নাই। এমন কি, তাদের নিজ সম্পত্তি বলিয়া কিছু নাই। দ্বিতীয় কথা, সার বলেন, “নিজ ইচ্ছান্তসারে, ম্বাধানভাবে যে কোন ব্যবসা, যে কোন শিল্প, যেকোন কারবারের স্থযোগ আইনতঃ মেয়েদের নাই |” এই যে ছুট কথা, হইতেছে আর্থক জীবন বিষরক ; অর্থাৎ নারী-শ্বাধনতা আন্দোলনের বড় ভিত্বি হইতেছে _-আর্থক ম্বাধীনতার দাবী

এই কথা হইতে একটা সোঁজ কথা স্পষ্ট হইতেছে | যেদেশে যেদেশে এই আন্দোলন উঠিয়াছে, সেই সকল দেশে নারীর শ্বাধীনতা ছিল ন1। যদ্দি থাকিত,”তা হইলে আন্দোলন উঠিবে কেন? কোথায় উঠিম্াছে ? বিলাতে, আমেরিকায়, জান্দ্াণিতে, ফ্রান্সে, ইতালিতে এশিরায় আমরা একালে স্বাধীনভাবে কোন আন্দোলন স্থপতি করি এতখানি মগজ আমাদের নাই-_না ভারতবর্ষে, না চীনে, না পারস্তে, না জাপানে এই উনবিংশ বিংশ শতাব্দীতে আজ পধ্যত্ত এশিয়ায় এমন কোন মাথা গজায় নাই যা শ্বাধীনভাবে আন্দোলনের মতন একটা আন্দোলন স্যষ্ট করিতে পারে। পৃথিবীর যা-কছু উন্নতিজনক শক্তি, সে সব বর্তমনি যুগে--এই নারী-হ্বাধীনতার আন্দৌোলনটাই ধরুন,_ইয়োরোপে উঠিয়াছে, আমেরিকায় উঠিয়াছে যাঁক, দেখা যাইতেছে যে, ইঘ়োরোপীয় সমাজে, আমেরিকান সমাজে, অর্থাৎ খুষ্টার় সমাজে নারা-ন্বাধীনতা নামে একটা বস্ত কোনো দিনই ছিল না। এ-কথ প্রথমেই স্বীকার করা দরকার

আঘধিক জগতে আধুনিক নারী ১৫৫

কথাট। বেশ খুলিয়া বলা প্রয়োজন, কেননা আমরা অনেক সময় আমাদের ঠাকুরদাদাদেরকে গাল দিতে দিতে শ্বজ।তিটাকে অপদার্থ মনে করিতে করিতে এমন অবস্থায় আসিয়! ঈাড়াহয়াছি যে, পৃথিবীর যা কিছু জঞ্জ।ল, নোংরা, যা কিছু স্বণিত সব জিনিষ ভারতের একচেটে বিবেচন! করিতে শৈখিয়াছি যেমন বলিয়! থাকি যে, নার"-ম্বাধীনতার অভাব হিন্দু, মুসলমান চীনাদের বিশেষত্ব আসল কথা, এই দোষ বা পাপটা স্ুয়েজ খালের অপর পারেও চিরকাল যুগ-ধুগাস্তর ধরিয়া! মজুত ছিল। নারী-ম্বাধীনতার অভাব কেবল রাস্ত্ীয় ক্ষেত্রে নয়, আর্থিক ক্ষেত্রেও, উনবিংশ শতাব্দী পধ্যন্ত ভ্রনিয়ার সব্বত্রহ একভাবে চলিয়াছে। এর যদি দৃষ্টান্ত চান আমি দেখাহব -মাঞ্চিণ পুক্ুরাষ্ী। সেখানে আলাবাম! প্রদেশে ছেলে-মেয়ের অভিভাবক জননী কোন দিনই নয়, অভিভাবঞ্ক তার বপ। এই গেল যুক্ত-রাঙঈ্রে দর্ষিণ অঞ্চলের কথা উত্তর দিকে বান, নিউ ইংলশু খুব টন্নত, সেখানক।র ব্যাপার এই | মেয়ে যদি চাকুনী কিয়া টাকা রোজগার করিঘ্া আনে, ত।র কর্তা সে নিজে নয় হার স্বামী অর্থাৎ গৃহস্থপ'রবারে টাক। রোজগার করিয়! আনিতেছে জী, কর্তামি করিতেছে দ্বাশী। এই বিধান ১৯২৬ সনেও চলিতৈছে। ধরণ্রে বিধান ব। অপিপান যু*-রার্ের ৪৮ জেলা হইতেই রকম রকষ জোগাড় করিতে পারি।

জান্মাণির কথা ধরুন ॥। এই সে 'দন ১৯১৪ সনে যখন লড়াই বাধে তখন সবে মাত্র মেুয়দ্রেকে সউনিভার্সিটিতে পগাইবার একটা আন্দোলন জবর ভাবে দেখ দেয়। এই কথায় আশ্চপ্্য হঈধার কি আছে? আশ্চর্য্য হইবার কথা এহ যে, জান্মীণির এমন দিন গিয়া যে দিনটা অতিমাত্রায় পপ্রাগব-ঞঁতিহাসিক” যুগের সামিল নয়_ যে যুনটার কথা ভারা বেশ ভাল করিয়া জানে পঁচিশ-ত্রিশ বংসরের বেশী নয় ; জান্মীণিতে এমন যুগ

১৫৩ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

গিয়াছে যখন হ্বিয়েনা, মিউনিক. বাপিনের একট! মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িতে যায়, জান্মাণরা এটা কল্পনা করিতে পারিত না এই সমাজ- ব্যবস্থাটা ভাল করিয়া বুঝ! দরকার যেদিন জান্মশীণিতে আর অন্্ীয়ায় মেয়েরা "এণ্টন্স” কি “এল-এ” পাশ করিয়! বিশ্ববিদ্যালয়ে গেল, সে দিন সহরে হুলসুল পড়িয়া গেল যে যেখানে ছিল, রাস্তার লোক, দোকানদার, মুটে মজুর, গাড়োয়ান, বাস্তার ছধারে দীাড়াইয়া গেল দেখিবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ষে মেয়ে পড়িতে যায় সেটা কি রকম জানোয়ার ! এতে বুঝিতে হুইবে জান্্মাণিতে অস্থীয়ায় নারী-ম্বাধীনত। কত নতুন জিনিষ জিনিষটার অভাব একমাত্র ভারতে নয়, অন্তান্ত দেশে, এমন কি জার্মাণ সমাজেও ছিল এবং এখনো অনেকট! আছে তার কথ। জান্মাণির নরনারী আজও ভাল করিয়া জানে পচিশ-ত্রিশ বৎসর আগে মেয়েরা পাস করিয়! ইউনিভামিটাতে “বি-এ” পড়িতে আসিয়াছে--এটা কি জিনিস দেখিবার জন্য একেবারে হৈ-চৈ পড়িয়া গেল, খবরের কাগজে লেখালেখি চলিল, আশ্চর্য্য জিনিষফ। আমাদের দেশে এখনও সেই অবস্থ৷ চলিতেছে অস্বীকার করিবার কারণ নাই বুবিতে হইবে আমরা বিষয়ে জান্মাণদের অন্ততঃ পচিশ-ভ্রিশ বংসর পিছনে আছি এখন মনে করুন ১৯১৪ সনে জাশ্মীণিতে ঠিক নয়, প্রুদিয়াতে আড়াই হাজার মেয়ে . বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িত। এখন সেখানে পাঁচ হাজার হইয়াছে আমাদের তুলনায় এই সংখ্যা খুব বড়, কিন্তু আমেরিকার তুলনায় পাচ হাজার কিছুই নয়। বেশ বুঝা যাইতেছে যে, পৃথিবীতে নারী-শ্বাধীনতার আন্দোলন এত নতুন জিনিষ যে, এখন পর্যান্ত এট! বেশীদূর অগ্রসর হইতে পারে নাই। পরিবার-নিষ্ঠায় ল্যাটিন নারী

ফ্রান্সের একজন মন্ত বড় সমাজ-তাত্বিক জোসেফ বার্থেলেমি মেয়ে

জাতিকে অধিকার দেওয়া সম্বন্ধে বিপুল গ্রন্থ লিখিয়াছেন। তাতে

আঘিক জগতে আধুনিক নারী ১৫৭

তিনি বলিয়াছেন --ল্যাটিন জাত ঘর-প্রেমষিক, পরিবার-নিষ্ঠ | নারী- স্বাধীনতার আন্দোলন লাটিন সমাজে চলিবে না। তার বই বাহির হইয়াছে ১৯২* সনে ল্যাটিন জাতে ফ্রান্স, স্পেন ইতালী এই তিন দেশ ধগ] হইয়াছে অন্তান্ত দেশে খাটিলেও খাটিতে পারে। কিন্তু ল্যাটিন জাতির মেয়েরা গৃহস্থালী-ভক্ত তার! মেয়েদেরকে ঘরে রাখিতে অভান্ত। ইতালিতে "নারী জীবন” বলিয়া! একথানি বড় মাসিক কাগজ বাহির হয়। তার সম্পাদিকা একদিন আমাকে বলিতেছিলেন $-- “ইতালী দেশে নারী-ন্বাবীনতার আন্দোলন যা দেখি--ত। আমেরিকা! হঈতে আপিয়াছে। ইত।লির মেখেদের আমে'রকানদের যত জীব হওয়ার জে! নাই, সভা-সমিতিতে যা ওয়া, কংগ্রেস কর! সবে আমর অগ্রসর হইব না। যদিও দেখিতে পাই, বিশ্ব-নারী-সভার কম্মকেন্ত্র রোমে রহিঘাছে তা সত্বেও বলিতে হইবে, এটা আমেরিকা হইতে আমদানি। আমাদের সম্পাদক বা কম্মকর্তা রাখা দরকার, সেজন্য রাখিয়াছি।” ইত্যাদি

তবেই দেখিতে পাউতেছেন যে, কি মার্কিণ, কি টিউটনিক, কি জাম্মীণ (আসল টিউটনিক) কি ফরাদী ইতালিয়ান ল্যাটিন জাতি, এদের যে পথ আর ভার-বাসী হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধের যে -পথ,--ছুইই এক। একই পথে আমরা সবাই চলিঘ্পছি, হয়ত আমর বেশী পিছনে আছি'। কিন্তু সর্ধদউ আমাদের চোখের সম্মুখে রাখা দরকার ছুনিন্বায় নারী-শ্বাধী- নতার ক্রমোন্নতির খবর | যেয়ের। স্বাধীন কতথানি হইয়াছে জাম্মাণিতে আর কত নতুন নতুন স্বাধীন উপায়ে নিজের দেশকে ধনধান্তে উন্নত করিয়া তুলিয়াছে--তা৷ ভারতের পুরুষ আর নারীমহলে সর্বদা আলোচিত হওয়া আবশ্তক | এই আলোচনাই আমাদেরকে কম্মক্ষেত্রে অনেকটা আগাইয! দিতে সাহায্য করিবে।

১৫৮ নয়া বাজলার গোড়া পত্তন

জার্মাণ নারীর আর্থিক কর্মক্ষেত্র

প্রথমেই বলিয়া রাখিতেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা জাম্মাণ মেয়েদের পক্ষে আর অসম্ভব নম বিশ্ববিদ্যালঘের সমকক্ষ যে সব টেকৃনিক্যাল কলেজ আছে তাতেও মেয়েরা পড়িতভেছে। পড়িয়া ডাক্তার উকিল হইতে পারে, রাউপষ্টাগের পালণমেন্টের ) মেম্বর হইতে পারে। তারপর ব্যবস। করিদ্া, খবরের কাজ চালাইয়া, লেখিকা হইয়] অনেকে টাকা রোজগার করিতেছে ইত্যাদি ইত্য ্ি। আরো আন্তান্ত দিকে জাশ্মান মেয়েদের কৃতিত্ব 'বশেষ উল্লেখযোগ্য | চাষবাসেও লক্ষ লক্ষ মেয়ে খার্টিয়া। নিজের দেশকে টন্নত করিতেছে, সেকথা সম্প্রতি না বলিলেও চলিবে। সকল দেশের লোককে উচু-নাচু-মাব!র এই তিন ভাগে বিভক্ত করিলাম। মন্যবিত সমাজের মেয়ের কি কি কাজ করে, আর কি কি উপায়ে পয়সা রোজগ।র করে, সেই কথাই বলিব। প্রধানতঃ চারটী বিষয়ে বশ্িতে টাই £ (১) গৃহস্থবলীর কথা (২) মেয়েলী শিল্পের কথা (৩. বৈজ্ঞানিক টেকনিক্যাল কাজের কথা (৪) সমাজ-সেবার কথ | আমি লক্ষ্য করিয়াছি যে.- এই চার রকম কণ্মক্ষেত্রে জান্মাণির মেয়েরা নতুন নতুন উপায়ে ধনসম্পদ্‌ হ্ষ্টি করিতেছে:

(১) গৃহস্থালী

প্রথমতঃ গৃহস্থালী আমাদের একটা বিশ্বাস আছে, সাদা-চামড়! যে-সব মেয়ে তারা বড় বাবু। বাবু টাবু বলিলে কি বুঝা যায়, তা আপনারা বেশ বুঝেন, বাধ্যার দরকার নাই। তার! কখনও কোন কাজ করে না, রেষ্টরাণ্টে বা হোটেলে খায়, নাচিয়া গাহিয় বেড়ায়

আঘিক জগতে আধুনিক নারী ১৫৯

অর্থাৎ জীবনটা তাদের হইতেছে ছেলে-খেলা, সংসার বলিয়া কিছু নাই, কাজ-কম্ম বলিদ্বা কিছু নাই গৃহস্থালী রান্নাবাড় নামে কোন জিনিষ ইয়োরামেরিকায় আছে কি ন। এই ধরণের সন্দেহ পধাস্ত আমর! করিয়া থক মোটের উপর পাশ্চাত্য সমাজ সম্বন্ধে আমাদের ধারণা এইরূপ আমাদের ভারত হইতে যে সব দাশনিক, সমাজতাত্বিক, মহাত্মা শ্রেণীর কেষ্ট বিষ্টট নর-নারী অথবা ছাত্রছ্বাতী উয়োরামেপিকায় ছু'চার মাস ব. ছু'চার বছর কাটায় আপিয়াছেন, তারাণ পশ্চিম মুলুকের মেয়ে জাত সম্বন্ধে এই ধরণেরই তথ্য ভারতীয় সমাজে ছড়া ইয়াছেন।

আমাগ অভিজ্ঞতা বস্তুনিষ্ঠ. দেশ-বিত্শেব ছোট-বড়-যাঝারী বহুব্ধি-পরিবাপের হাড়ীর খবর অ'মার কিছু কিছু জানা আছে। তা ছ।ড়। মজুর, চাবী, বড়লোক, গরীব লোক, ছ্ুতাএ, কেরাণী, হস্কুলমাষ্টার ইত্যাদি নানারকম লোকজনের সর্ষে এই সকল বিনয়ে লম্বা লম্বা তর্কপ্রশ্ন চালাইয়া জিনিষট1 বুঝিবার চেষ্ট করিকাছি। "মামি বণিতে গাহিতেছি এই যে, গৃহস্থ'লীর কাজে জাম্মাণির মেয়েরা সকাল «টা হইতে আর্স্ত করিয়া রাত্রি ১১টা পর্য্যস্ত-_উ চু, ন'চু, মাঝারী শ্রেণীর মেয়েরা, যত খাটে তা যদি দেখেন তাহা হুইলে 'মাপনার্দিগকে স্বীকার করিতে হইবে যে, আমাদের ভারতীয় ব! বাঙ্গালী পচ পাঁচটা মেয়ে ওদের একটার সমান হইতে পারে কিনা সন্দেহের বিষয় এত হাড়ভাঙ্গ। খাটুনী তারা খাটিতে অভ্যস্ত মেজে ঝাড় দেণয়া, দেওয়াল ঝাড় দেওয়া, ছাদ ঝাড় দেওয়া তাদের নিত্য-নৈমিদ্তিক কাজ। তারপর আসবাব পরিষ্ষার করা আর এক রকম কাজ। কাপড় পরিষ্কার করা মার এক রকম কাঁজ। যে ধরণের “পরিক্ষার” কর।র কথা বলিতেছি, তা আমার বিবেচনায় ভারতে একদম অজ্ঞাত। তারপর রাননাঘর-ে এক অদ্ভূত

১৬৩ নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

কারখানা খুব গরীবের ঘরেও গিয়াছি, কাউকে কিছু না বলিয়। খবর না দিয় ঢুকিয়াছি। আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব এমন হইয়াছে যে, বলিয়। কহিয়া যাওয়ার দরকার হয় নাই। এমন নয় যে, আমি যাইব বলিয়া ঘরদোর সব পরিষ্কার করিয়া রাখিয়াছে। যখন তখন গিয়া হাঁজির হইয়াছি। এমন কখনও দেখি নাই যে, কোন জাম্মীণ পরিবারে শিজিল- মিছিল নাই রান্নাঘরে যখনই যান দেখিবেন এটা যেন উ'চু দরের একটি ল্যাবরেটরী | কোনো! ঘরের কোথাও একটু ঝুল থাকিতে পারে, এটা কোন জান্মীণ মেয়ের কল্পনায় অসম্ভব। আমরা যাকে গি্নী বা গৃহিী বলি-_জাশ্মীণিতে তাকে বলে-_"হাউসফ্রাও।” সে জীব বর্তমান শিক্ষারদীক্ষার যুগে এমন অবস্থায় আসিয়া ঠেকিয়াছে যে, চোখে না দেখিলে তাহ! কল্পনা করা আমদের পক্ষে অসম্ভব।

গরুর গাড়ীর বেশী যারা কিছু চোখে দেখে নাই তাদের পক্ষে অটোমৌবিল এরোপ্লেন কল্পনা করা কঠিন। মামুলি গিরীগিরিতে অভ্যস্ত নরনারীর পক্ষে বিংশ শতাবীর জার্ম্নাণ “হাউসফ্রাও”য়ের কৃতিত্ব কল্পন! করাও প্রায় ঠিক সেই দরের কঠিন চিজ

এর! চব্বিশ ঘণ্টা খাটিতেছে। মাথার খাটুনিও কম নয়। খবরের কাগজে- মাসিকে সাপ্তাহিকে--পড়িতেছে অমুক ঘণ্ট কি অস্ুক তরকারী রাধিবার কায়দা। খাবারটা একসঙ্গে সস্তা পুষ্টিকর পড়িতেছে-_ ছেলেকে শিখাইবার জন্ত এমন কৌশল হইয়াছে যে তাকে আর ইন্কলে পাঠাইতে হইবে না, সে ঘরে বসিয়া নিজেই শিখিতে পারে। পড়িতেছে-_কি একটা নতুন গানের হুর আবিষ্কৃত হইয়াছে। ঘরে বসিয়া অল্প খরচে এরা নানাদিকে নিজ নিজ ক্ষমতা বাড়াইতেছে। এরা হাড়ভাঙ্গ৷ খাটুনী থাঁটিতেছে। এইবার ভাবিয়া! দেখুন, যদি অন্য লোক দিয়া কুঠুরী পরিফার, আসবাৰ ঝাড়া, সন্তান-সন্ততি পালন, রাল্নাবাড়ি

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী ১৬১

সব কাজ করাইতে হইত তাহা হইলে কত টাকা লাগিত, অর্থাৎ গি্নী- পনার জোরে মেয়ের! পয়সা বাচাইতেছে।

শিক্সীপনায় পয়সা রোজগার

কেহ কেহ গিন্নীগিরি করিয়া পয়সা রোজগার করিতেছে আজকাল ইয়োরামেরিকার গিন্নীপন।ও একট ব্যবসা কলিক|তায় ২০*।২৫০ হোটেল মেস চলিতেছে যারা গিনীপনায় ওস্তাদ, তাদের দ্বারা জান্মীণিতে এই ধরণের হোটেল রেষ্টরা।ণ্ট ব। ছাঁজাবাস পরিচালিত হয়। এই কাজে তাখা পয়সা রোজগার করে। নিজের বাড়ীতে ঘরকন্না করিতে হইলে যা ধা করিত হই, এখানে ঠিক তাই তই করিতে হস্স। এখানে লগয়া হয “কঞ্ীর” পদ তাপ সহকারিণী অন্তান্ঠ লোক থাকে এই রকম প্রতিষ্ঠান জাম্মাণিতে অনেক | এই সব প্রঁতষ্ঠানে কতৃ ত্ব করিয়া জান্মাণির মেয়েরা পয়সা রোজগার করে।

এইবার আদ এক প্রকার এ্ুতিষ্ঠঠনের কথা বলিব ধরুন ডাক্তারি ব্যবসাঁ। একজন অজ্র-চিকিংৎদক এবং একজন মামুলী চিকিৎসক-- ছুইজনে মি'লয়! কলিকাতায় একট৷ বাড়ী ভাড়া নিল, পনর-বিশটি ঘর সাজাইয়া বাধিল। দে বাড়ীটা হইল আধখানা হাসপাতাল, আপধখান। অতিথি রাখিব'র হোটেল সাধারণ নাম জান্মাণ হিসাবে “সানা- টোরিযুম” বা স্বাস্থ্য-নিবাস। সেখানে মফংম্বলের রোগী আসে। কলিকাতায় যারা সপরিবারে বাস করে তাদের মধ্যেও যারা রোগী, তার! ইচ্ছ! করিলে “শ্বাস্থ্-নিবাসে” ছয় সপ্তাহ হউক, ছয় মাস হউক কাটাইতে পারে আপনার! বলিবেন “নিজের মা বোন ফেলিয়া যাইবে ডাক্তারের বাড়ী? কি কখনও সম্ভব হিন্দ-সমাজে? হিন্দুরা পরিবার-ভক্ত, আধ্যাত্মিক ।” বাস্তবিক পক্ষে এইরূপ চিন্তার পশ্চাতে কোনে। তথাকথিত

১১

১৬২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

হিন্দৃত্ব বা আধ্যাত্মিকত। নাই আছে আমাদের মগজের আলম্ত আর চরিত্রের ক্ষুদ্রত। স্বার্থপরতা ভিতরকার কথা এই,--আমাদের যখন অন্খ হর তখন আমরা মনে করি, নিজের ম। বোন থাকে খাটিবে, বিধবা মাসী পিসী থাকে তারা খাটিবে, এর চেয়ে আর কি ভাল হইতে পারে ? বিধবাকে দিয়া খাটাইয়া নিতেছি, এক জনকে দিয়া কাজ করাইয়া লইতেছি, তার স্থবিধা-অস্থবিধা, তাঁর ব্যক্তিত্ব একবার চিন্তা করিতেছি কি? যাক সে কথা যদ্দি আমাদের দেশে এমন কতকগুল। কেন্দ্র ণাকে যাতে শিক্ষিত ভাত্তারের অধীনে বাড়ী ঘর আস্তান। পাই, ডাত্তারের সাহায্য পাই, খাওয়া দাওয়ার আরাম থাকে, সপ্তাহে বা মাসে বা রোজ বাড়ীর লোক আসিয়া আমাদের দেখিয়। যায়, আমি বলি ব্যবস্থাটা কি নিন্দনীয় ব্যবস্থা ? ধরণের ব্যবস্থা আমাদের নাই | যদি হয় আমাদের স্ুখ-সুবিধা অনেক বাড়িবে। আপনারা শ্বীকার করেন কি না জানি না। জান্মীণিতে এই প্রণালীর চরম উন্নতি হুইয়াছে। বালিনে যান, মিউনিকে যান, প্রায় এমন কোন রাস্তা নাই যেখানে একটি না একটি স্বাস্থ্য-নিবাস--য1! এক হিসাবে হোটেল, এক হিসাবে হ্াসপাতাল-- চলিতেছে না। এর কর্তী হয় কারা? গিশ্লীপনার় শিক্ষিত যে সব নারী তারা এই সব স্থানে কতৃত্ব করে।

তৃতীয় রকমের দৃষ্টীস্ত-_তাও আমাদের দেশে নাই। জান্মাণির মধ্যবিত্ত লোক ইচ্ছা করিলেই সাধারণ ইস্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্তালয়ে ছেলেমেয়ে পাঠাইতে পারে, কিন্তু সব সময় ছেলেকে ইস্কুলে পাঠাইয়। লুঙ্গী হয় ন1। তারা চায়, কোন এক ভাল শিক্ষপ্নিত্রী ছেলেদের দারিত লউক্‌ এবং সেখানে তার ষত রকম শিক্ষার ব্যবস্থা কর! দরকার সে করুক। এই ধরণের ব্যবস্থা জান্শীণিতে অনেক আছে। স্বাস্থ্যকর জায়গায় আছে, বহু বড় সহরে আছে, পল্লীতেও আছে। সেগুলিকে

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী ১৬৩

আদর্শ বিদ্ভালয় ইত্যাদি নাম দিতে পারি। এক হিসাৰে ছাত্র-ছাত্রীর আবাস আর এক হিসাবে ইস্কুল ছুইই এক সঙ্গে চলিতেছে এই ভাবে ১৫০।২০* ছেলে মেয়ে লইয়া একজন প্রধান শিক্ষয়িত্রী থাকে। তার সঙ্গে আরও শিক্ষয়িত্রী সেখানে বাস করে সেটাকে ৰলিতে পারি ছেলে মেয়েদের জন্ত 'উপনিবেশ'। যার! এর দায়িত্ব লম্ম-_ প্রধান শিক্ষয়িত্রী ব। সহযোগিনী-সকলেই গৃহিণী ধরণে শিক্ষিতা তারা এই সকল প্রতিষ্ঠানে কতৃত্ব করিয়া নিজেদের অন্নসংস্থান এবং সঙ্গে সঙ্গে সমাজের নানাবিধ কল্যাণ স।ধন করিতেছে

বি-রাধুনির নব-বিধান

তার পর গৃহিণীপনার ভিতর আর একটি ম।মুলী জিনিষ ঝি-গিরি করা আর রাধুনীর কাজ করা। সবও এক ধরণের ব্যবসা, বলাই বাছল্য এখন কথা হুঠতেছে-_-“এ জিনিষ আগেও হইত, এখন এমন কি হইয়।ছে? রান্না-বাড়ি তাও ইন্কুলে শিখিতে হইবে ? সকলেই বুঝে ! এই ধারণা আমাদের দেশে এখন পব্যস্ত আছে। রান্না-বাড়ি শিখিতে ইন্কুলের দরকার কি? শিক্ষা আমরা ঠান্দির কাছে পাইয়াছি, এখন কেন ইস্কুলে যাইতে হুইবে ?” জান্মাণরাও ঠিক এই রকম কথা বলিত। কতদিন আগে বলিত তাও বলিতে পারি মাপ-জোক ছাড়া আমার ভিতর আর কিছুই নাই। ১৮৫*-৬৫ সনে জান্মীণিতে এই দিকে বিপ্লব দেখা দিয়াছিল। আগেকার জার্ম্মাণরা বলিত--“গৃহস্থ হ্ইয়াই জন্মিয়াছি; বিষয়ে ইঙ্কুলে নুতন শিখিবার আবার কি আছে ?"

মজার কথ। হইতেছে, জিনিষটাকে যত সোজ মনে করি তত সোজা লয়। কয়েক বৎসর আগেও আমাদের দেশে কয়লার রাঙ্নার চলন হয় নাই, কাঠের রেওয়াজই ছিল। তাতে স্ত্রী হউক, র'ধুনী হউক তাদের

১৬৪ নয়া রি

এনসিসি ছি রত শিস পির শী স্লিভ পল পা স্টিল শি পি লস্ট তানি তিস্টিতো এসসি লস্ট তা ছি লি লীসিিস্িণি সিল ছি লি পি শন পি এসি শী শপ পি লাশ পিপি পা লিপি

স্বাস্থ্য তত বেনী তি হত কিনা! সন্দেহ। কয়লা যখন আসিল প্রত্যেক রান্নাঘর হইল যেন এক একটি কলার খনি! সেখানে বোনকেই রাখি কি বিধব। মাসীকেই রাখি তার উপর একট অত্যাচার হইতেছে ঝি রাখি, চাকর রাখি, ঠাকুর রাখি তার উপর একটা অত্যাচার হুইতেছেই হইতেছে একট! সামান্ত দৃষ্টান্ত দেওয়া গেল,_কয়লা বনাম কাঠ-__ বিপুল বিপ্লবের স্থাত্রপাত।

জান্মীণিতে এই রকম ধরণের বিপ্লব ঘটয়াছে ১৮৫০-৬৫ সনে। এক একটা নূতন যন্ত্ের আবিষ্কার হইল, তার জন্ত কারখানা গড়িয়া উঠিল। ঝি চাকর আর পাওয়া বার না, তার! পল্লা ছাড়িয়া! কারখানায় ছুটিতেছে। চাকরের সঙ্গে কথা বলে কে, আগুন! জান্নাণি তখন দেখিল-_“তাইত এক একট? বিপ্লবে পল্লী গুলি ছারখার হুইয়। বাইতেছে, চীকর বাকর জুটিতেছে না। এদিকে গৃহদ্থ(লী, ঘরবাড়ী, বিছানা, সবহ একটু একটু করিয়া বলিয়া যাইতেছে অবস্থায় আমরা কেমন করিয়। সংসার চালাই ? গৃহস্থালীতেও আমাদের নৃতন নৃতন কৌশল আবিষ্কার করিতে হইবে ।” সেই সময় লে!কেরা বুঝিল আর পুরানো! পথে চলিলে হুইবে না, নতুন কিছু কর! দরকার

এই সঙ্গে আর একটি দৃষ্টান্ত দিলে ভাল করিয়। বুঝিবেন | চাষ- বাসের কথা আমরা সকলেই বাবু কেহ চাষ-বিজ্ঞান পড়িয়! ডিগ্রী লইয়া গ্রামে গিয়া যদ্দি চাষীদের শিখাইতে চায় তারা বলিবে “দাদা ! আমাদের শিখাইবে তোমরা! আমাদের বাপনাদ! এই ভাবে শিথিয়! আসিয়াছে, তোষর।! আমাদের কি চাষ-আবাদ শিখাইতে পারিবে ?” চাষীতে বাবুতে এই ধরণের ঝগড় ফ্রান্সে ছিল, জাম্মাণিতে ছিল। তারপর খনার বচন দেশ-বিদেশের কোন্‌ চাঁধী না জানে? আমর! যেমন বলিয়া থাকি--“যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজা, পুণ্য দেশ”

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী ১৬৫

এই ধরণের বচন জান্মাণিতে ছিল, ফ্রান্সেও ছিল। বস্ততঃ এখনও আছে। “আকাশের অমুক কোণে যদি এই ধরণের মেঘ হয়, কুছ পরোয়া নাই, দীও মারিয়া লইব”--তাদের এই একম ধারণা আছে তাদের খনা বলনা গিয়াছে--“এ রকম মেঘ যদি হয় তা হইলে আলু, গম, যব-- হাঁতী, ঘোড়া একট; কিছু হইবেই হইবে ।” কিন্তু হাওয়া! একটু একটু বদল/ইতেছে | জান্মাণি ফ্রান্স বদলিয়া গিয়াছে খনার বচনের উপর নির্ভর করিয়া আর ফরাসীর। জাশ্মাণরা চাষ চালায় না। তার। চাষ-আবাদ শিখিবার জন্ঠই ইস্কুল কায়েম করে।

নারী-সমস্তা সম্বন্ধে, গৃহস্থালী-সমস্তা সম্বন্ধেও আজকাল কার জান্মাণরা ফরানীরা ঠিক এরূপ মীমাংসাই করিয়াছে মেয়েদের শিক্ষার কেন্দ্র গৃহ না ইস্কুল ?-_-এই প্রশ্নের জবাবে শেষ পধ্যন্ত ইস্কুল নামক প্রতিষ্ঠান গড়া দবকার হইয়াছে সেই সমন্তা গুলি এতদিনে এশিয়ায় আসিতেছে। আমরাও সেকালের ফরাসী-জাম্মাণদের মতন এদিক ওদিক ভাঁবিতেছি। হিন্দু, মুসলম।ন, পার্সী, চীনা, বৌদ্ধ--এদের মাথার একটা নতুন কিন্তৃত- কিমাকার প্রশ্ন হাজির হয় নাই। জুয়েজ খালের ওপারে খ্রীষ্টিয়ান, সাদ! চামড়া ঘাদের--তাদের কাছেও এই সমস্তা আসিয়াছিল-_পরিবার বনাম বিদ্ভালয় বিদ্যালয়ে মেয়ে পাঠাইব কি পাঠ।ইব না? গৃহস্থালী শিক্ষার জন্য পরিবার আসল বিদ্যাকেন্ত্র, না ইন্কুল নামক কর্ম্মকেন্্ কায়েম করা দরকার? আমাদের দেশী একটা দৃষ্টাস্ত দিলে বুঝিতে পারিবেন

আগেকার লোকের তেতুল দিয়া ডেকৃচি পরিষ্কার করিত, এখন তেতুল পাওয়া যায় না। অন্তান্ত জিনিষের ন্যায় তেঁতুলের দাম এত বাড়িয্লা গিয়াছে যে, তেঁতুলের ব্যবস! চালান যায়। ডেকৃচি পরিক্ষার করিতে অন্ত জিনিষ আবিফার কর! দরকার আবিক্ষার অরস্ত হুইয়াছে।

১৬৬ নয়! বাঙ্গিলার গোড়া পত্তন

পিসি মপর ৯প পর ওসি সস শত পতিত পির ওলি শি এপি ওঠ, এসএ এত লি সি সিএ লা তি ত৯ সিস্ িসউা

এখন কথ! হইতেছে মামুলী ঝি তা! দরিয়া ডেকৃচি পরিষ্ষার করিতে পারিবে কিনা অনেক ক্ষেত্রে দেখিবেন যে, কি করা দরকার তাকে শিখাইতে হইবে। সেজন্য বিগিরি আর রাধুনীর কাজ শিখাইতেই জার্মাণরা ইস্কুল কায়েম করিয়াছে। একালে দাসদাসীগিরি করা সোজা! কথা নয়। এই উদ্দেস্তে ১৮৬৫ সনে জাশ্দাণিতে যে পরিষদ গড়িয়! উঠিয়াঁছিল সেটার নাম »-র্ধ-জান্মাণ-মহিলা-পরিষদ জান্মাণির মেয়েদেরকে বর্তমান শিল্প- বিজ্ঞানের যুগ-মাফিক শিক্ষিত কর্খদক্ষ করিয়া তোল। ছিল তার মতলব। মাপিয় দেখিতে পারেন এই ধরণের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আছে কিনা। যদি না থাকে সোজাসুজি বিনা বাক্যব্যয়ে স্বীকার করা উচিত-_-এখন পর্যন্ত আমর! ১৮৬৫ সনের ছুনিয়ায় পৌছিতে পারি নাই

(২) মেয়েলী-শিল্পের তিন অহল

এইবার মহিলা-শিল্লের কথা জিনিষ এক হিসাবে মামুলী আর এক হিসাবে পঞ্চাশ বৎসর আগে ছুনিয়ার কোথাও ছিল না। প্রথম নম্বর »-গৃহস্থ-ঘরে দেখিবেন বাপ হোটেলে কাজ করে, স্ত্রী ঘর-বাড়ী দেখে, মেয়ে চালাইতেছে ছোট একটি দোকান। সেখানে পোষাক টোষাক, মনিহারী জিনিষ, থেলন! ইত্যাদি রহিয়াছে পোষাক তৈয়ারি করও এই মেয়ের কাজ। এইখানে কিছু সামাজিক কথা বলা দরকার যদিও জাশ্মীণর! সাধারণতঃ ধনবান, তা সত্বেও সকল গৃহস্থই দোকান থেকে যে ৩০৩৫২ টাকা দিয় তৈয়ারি পোধাক কিনিয়! থাকে তা নয় যে পোষাক দৌঁকানে কিনিতে ৩৫২ টাকা লাগে, সে পোষাক ঘরে তৈয়ারি করিতে অথব। কাউকে দিয়া তৈয়ারি করাইয়া লইতে খুব অল্প খরচ পডে। ধরুন ৮৯ টাক! দিয়া কাপড় কিনিয়া আনিল। আর তৈয়ারি করাইতে লাগিল ৮২ টাকা কেউ কেউ বলিবেন,_-“পোঁষাক তৈয়ারি করা এমন কঠিন

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী ১৬৭

কি?” কেহ একট। জামা, গেঞ্জি বা মোজা। জোড়া! দিতে বা সেলাই করিতে চেষ্টা করিয়া! দেখিয়াছেন কি? পারিবেন ন! সেলাই করিতে | বিস্তার দরকার কাজ চালাইবার মতন করিয়। বোতাম লাগাইতে পারিবেন, তা শ্বীকার করি। কিন্তু সেলাই করিতে “শেখা” দরকার। প্রত্যেক পরিবারের প্রত্যেক মেয়ে যে পারিবে এটা কল্পনা করা উচিত নয়। কাজেই সমাজে এমন কতকগুলি লোকের দরকার আছে যারা সম্ভায় গৃহস্থবের পোষাক তৈয়ারি করিয়া! দিতে পারে হইতেছে এক ধরণের বাবসা

দ্বিতীয় মেয়েলি ব্যবসা টুপী-তৈয়ারি করা, আপনারা বলিতে পারেন -__*টুগী আর পোষাক এক শ্রেণীতে পড়িয়া গেল।” তা নয়, টুপী ভয়ানক কঠিন জ্িনিষ। টুপীর উপর নির্ভর করে লোকটা কেমন দেখাউবে আপনার! যারা ছবি আঁকেন, তাদের রং আর রূপ সম্বন্ধে যতখানি জ্ঞান থাক দরক।র, টুপী তৈয়ারি করিতে ঠিক ততখানি বিস্তার, মাথা খাটাইবার দরকার হয়। টুপীর ভিতর চাই রূপ আর রং। কোন্‌ রঙ্গের সঙ্গে কোন্‌ রং খাপ খাইবে আপনি আমি বলিম্বা দিতে পারি না। যত সোজা মনে করি তত সোজা নয়। কোন্টা সরল, কোন্ট! গোল, কোনটা ত্রিভুজ, কোন্ট। মোচার গড়নে করিতে হইবে বুঝ! বেশ কঠিন। সবে হুণ-তেল খরচ করিতে হয়। যেমন চিত্রশিল্প বক্তৃতা করিয়া বুঝান বায় না» কোন্‌ গড়নটা কিরকম করা উচিত, দেট! মাথা থেকে বাহির হইবে, অর্থাৎ যে লোকটা ছবি আকিতে শিখিয়াছে, তার জন্য কষ্ট করিয়াছে, সেই এসব তৈয়ারী করিতে পারে, আর বুঝিতে পারে, তেমনি টুপী-শিল্প ভয়ানক জটাল। চিত্র-শিল্প, স্থাপত্য-বিদ্কা বলিলে পরে ষতথানি রূপ রংএর দখল থাকা প্রয়োজন, টুপী তৈয়ারি করিতেও ঠিক ততখানি দরকার

১৬৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

নিউইয়র্ক, লগ্ুন, বালিনের দোকানে পোকানে ঘুরিয়। দেখিয়াছি__ যে সব দোকানে খুব সাজ রাখে কোথথেকে আসিল খুঁজিয়। দেখি সেটা নিউইয়র্কের জিনিষ নয়, লগুনের জিনিষ নর, বাঁলিনের জিনিষ নয়। টুপী-বিজ্ঞানে পারিসের মেয়েরা ছুনিয়াকে হারাইয়াছে যখনই লাইনে কোন ভাল জিনিব দেখিতে পান তখনি বুঝিতে হইবে এটা জার্মাণ, ইংরেজ, আমেরিকান করিয়। উঠিতে পারে নাই, পারিয়াছে ফ্রান্স। টুপীর “ডিজাইন” বা নকৃসাট। ফরাসারা তৈয়ারি করিল বটে, কিন্তু তার সঙ্গে হাজার হাজার ছবি তৈয়াঁগি হয়া গেল। সেই ছবি অন্ুসারে নিউইয়র্ক, লগুন, বালিন, হ্বিয়েনা, রোম সব জায়গায় দোকানে দোকানে খবরের কাগজের সাহায্যে টুপীর গড়ন প্রচারিত হইয়া গেল। সেই অনুসারে টন্কূলে শিখান চলিতে থাকে আর যখন মেয়েরা ব্যবসা থোলে, প্রতি সপ্তাহের কাগজে টুপীর নতুন নতুন নকৃসা অনুসারে টুপী গড়িয়া থাকে টুপীর হাঙ্গামা বাঙ্গাপী সমাজে নাই। কাজেই টুপী-শিল্পের মাহাত্ম্য লইয়া! ধাট।ধাটি না করিলেও চলিবে তবে এর সঙ্গে আর্থিক জীবনের আর শিল্প-শিক্ষালয়ের যোগাযোগ কত নিবিড় তা বুঝিতে পারিলে আমাদের প্রয়োজনীয় মেয়েলি শিক্পগুলার জন্ত কিরূপ ব্যবস্থ! কর! দরকার থানিকট] বুঝিতে পাঁরিব। তৃতীয় রকম মহিলা-শিল্প হইতেছে কাপড়ের যত রকম কাজ আপনার! মনে করিতে পারেন এটা ডাহ! পোষাকের অন্তর্গত তা নয়। জাম! তৈয়ারি করা এক জিনিষ, বিছানার চাদর তৈয়ারি করা আর এক জিনিষ, বালিসের ওয়াড়, লেপের ওয়াড় অন্য জিনিষ, চেয়ার টেবিলের ঢাঁকনি ভিন্ন জিনিষ, ইত্যাদি, ইত্যার্দি। আমাদের দেশে এক &জিনিব চলে, যেমন তুলার স্তার জিনিষ। ইয়োরে।পেও তুলার হ্তা! লে বটে, তার সঙ্গে আরো অনেক জিনিষ চলে লিনেন স্তা তুলার

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী ১৬৯

স্থতার মত দেখিতে কিন্তু ভিন্ন জিনিষফ। তারপর রেশম পশমের, কাজ আছে। থাটি পোষাক তৈয়ারি করা! অথবা টুপী তৈগ্জারি বলিলে যা বুঝায় এসব কাজ তা নয়

চাই পাশ চাপরাশ

ধরা যাক থেন আমি শিখিলাম টুপী তৈয়ারি করিতে কিন্তু পোষাক তৈয়ার করিতে লাপিঘ্না গেলম জান্মাণিতে তা হইবার জো নাই ঝি হইতে হইলেও ইঙ্কুলে পাশ দরকার; ঝির জন্য ইস্কুল আছে, রধুনী বামুনের ইস্কুল আছে, ঝাঁড়দাবের পথ্য্ত ইন্কুল আছে। এই সব ইস্কুলে পাশ করা চাই। সরকারী সার্টিফিকেট বা চাপর।শ পাইলে পরে তবে কোন লোক ঝি, বামুন, ঝাড়,দার ইত্যাদির কাজ করিতে অধিকারী হর আমি এক যগ্রের মৃন্্া, কিন্ত আর একট যন্ত্র মেরামত করিতে লাগিলাম। £ন সব হইবার জে! নাই। মিল্লী, ছুতোর, ধোপা, নাপিত যত রকম ব্যবসা আছে প্রত্যেক ব্যবসামের জন্য পাশ কর! দরকার, সার্টিফিকেট দরকার, লাইসেন্স দরকার ! বিনা লাইসেন্সে, বিন। সার্টিফিকেটে, বিনা পাশে কোন লোক ঝাড়,দার পর্য্যগ্ত হইতে অধিকারী নয়। এই প্রথম কথা মনে রাখা দরকার

তারপর জান্মাণিতে সব মেয়ে কমসে কম এণ্টান্স পাশ। ঝি এন্টন্স পাশ, (ধুনী বামুন এণ্টান্স পাশ। তার নীচে কোন পুরুষ কিকোন স্ত্রী থাকিতেই পারে না। এই পাশের বনিঘাদের উপর ব্যবসায়ের ঠিত্তি প্রতিষ্ঠিত এই পাশ করিবার পর তারা ন।না দিকে, নান! কাজে, নান! ইঙ্কুলে চলিয়া বায়। কোন জায়গায় ছয় মাস, কোন জায়গায় এক ছুই মাড়াই বংসর নান! রকম পাশের ব্যবস্থা! আছে তা খতম হইবার পর আর এক ইস্কুলের পাশ এবং তাঁর সার্টিফিকেট চাই

১৭৩ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

তারপর মিউনিসিপালিটা বা পল্লীন্বরাজ। সেখানে পরীক্ষা দিয়া সরকারী সার্টিফিকেট চাই। সে সব হইলে ব্যবসা করিতে পারে। ব্যবসা সোজা জিনিস নয়

বাবসায়ের মধ্যে ধাপ আছে এক রকম লোক আছে তারা শ্বাধীন ভাবে ব্যবসা করিতে পারে, কিন্তু কোন লোক খাঁটাইতে অধিকারী নয়। তাদের বলা হয় আধা-শিক্ষানবিশ। আর এক রকম ব্যবসা আছে যা! লোকেরা নিজে করিতে পারে, সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্ত লোককে মাইনে দিয়! খাঁটাইতে পারে ভাঁদের বলে ওস্তাদ

(৩) রকমারি টেক্নিক্যাল সহকারিণী

প্রথমে গৃহস্থালীর কথ! বলিয়াছি। তার পরে বল! হইল তিন-প্রকার মেয়েলি-শিল্পের কথা এখন বলিব মেয়েরা বিজ্ঞান-সম্পর্িত অথবা বস্তরপাতি-নিয়ন্ত্রিত যে সকল কারবারে পয়সা বোজগার করে, তার কথা

এক নম্বর হইতেছে চিকিৎসা-বিজ্ঞানের সহযোগিতা আমাদের দেশে জিনিষ এখনও গড়িয়া! উঠে নাই। ব্যাকৃটিরিঅলঙজির কাজ, ভ্যাকসিন তৈম়ারির কাজ; সব করে মেয়েরা তাদেরকে বলে ডাক্তারী লাইনে আসিঞ্টেন্টন সহকারিণী )।

দ্বিতীয় নস্বর--যত যায়গায়, যত হাসপাতাল আছে, সানাটোরিষুম আছে, সে সব জায়গায় ডাক্তারের নীচে কাজ করে যারা, তারাও মেয়ে, “আসিষ্টেন্টিন্”। তারা মাপ জোক করে। ডাক্তারী বিদ্যার ষত রকম বিভাগের কাজ আছে, ব্যবসা আছে, প্রত্যেক ব্যবসায়েই জান্মীণিতে মেয়ের সহুকারিণী। মেয়েদের পক্ষে হইতেছে আয়ের একটা বড় পথ

তৃতীয় নম্বর--টেকনিক্যাল কাজ যত জায়গায় খনি আছে, তাতে যে সব ধাতু বাহিয় হয় তার ঝাড়া বাছা গণ! মাপায় বাহাল থাকে

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী ১৭১

মেয়েরা! সম্বন্ধে পরীক্ষা করা, ধাতু গালান, ঢালান ইত্যাদি সবই মেয়েদের কাজ

হারপর আরো! একটি টেকনিক্যাল বা বৈজ্ঞানিক কাজ আছে। সেটা রাসায়ণিক। যেকোন সহরে বা পল্লীতে যাও না কেন, সব জায়গায়ই খান্দ্রবর *শ্বাস্থা-পরীক্ষার” ব্যবস্থা আছে। এও একটা বড় ব্যবস!। প্রত্যেক সহরে, প্রত্যেক পল্লীতে হুধ মাখন চিনি, “আলু পটল" সবই পরীক্ষা করা হয়। যা কিছু খাস্ত্রব্য থাকিতে পারে সব রাসায়ণিক উপায়ে পরীক্ষার পব তবে বাদ্দারে চলিবে এই পরীক্ষাকাজে যে সব লোক বাহাল হয় তারা মেয়ে।

এইবার আর একদিকে নজর দিতেছি বড় বড় এঞ্জিনিয়ারদের আফিস দেখিয়াছি কেহ কেহ মাথ। খাটাঈয়! চল্লিশ পঞ্চাশটি বড় বড় বৈদ্বাতিক কাখখান! গড়িয়া তুলিয়াছেন। কোথাও জলের প্রপাত চলিয়! যাইতেছে, এটাকে কেমন করিয়া কাজে লাগান যার তা লইয়। তার! অনবরত মাথা খাটাইতেছেন-ইত্যার্দি। এই যে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড একঞ্জিনিয়ার, ভাঁদের অফিসে গিয়। দেখিবেন সাহচধ্য করিতেছে কারা? অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ নয়, জান্মীণির মেঘে সে বসিয়৷ মাপিতেছে, জুকিতেছে, ছবি আকিতেছে, অঙ্ক কষিতেছে। মামুলি সহযোগিতা নয়। রীতিমত টেকনিক্যাল সাহচর্যা। "তে বেশ কিছু মগজের ঘি লাগে.

(81 সমাজসেবায় অন্নসংস্ছান

এখন চতুর্থ দকা,__সমাজ-সেবার কথা। এই শব্দ ব্যবহার করিলে আমরা বুঝি যে, লোকটা বিনা পয়সায় “দেশোদ্ধার” করিতে আসিয়াছে আপনি কোথাও একটা বস্তূতা দির আসিলেন। অথবা দুর্ভিক্ষ হইয়াছে, বন্তা হইয়াছে, দলে দলে লোক পাঠান গেল, স্বেচ্ছাসেবক

৯৭২, নয়৷ বাঙলার গোড়। পত্তন

পাঠান হইল। পাঠাইতেছেন ভাল কথা ধরণের অবৈতনিক কাজ পৃথিবীর অন্যান্ত দেশেও আছে. আমরাও করিতেছি, ভবিষ্যতেও করিব কিন্ত সম্প্রতি মামি যে ধরণের সমাছ্র-সেবার কথা বলিতেছি সেটা ঠিক আমাদের সুপরিচিত “দেশের” কাজ নয় | কেননা! সে সব অবৈতনিক নয়। ওকালতী কর! যেমন বাবসা, ডাক্তারী করা যেমন ব্যবস৷ তেমনি সমাজের সেবা করা5 একটা! ব্যবসা আর এই সব কাজে মেয়েরা ওস্তাদ ওক।লতীর মত, ভাক্তারীর মত, গ্রাঞ্জনিঘ্ারির মত দেশের লোকের সাহায্য করাও একটা বিশেষজ্ঞের পেশা আর এতে পদ্রসা রোজগারও হয়।

এই ধরণের সমাজ-সেবা তিন শ্রেণীর অন্তর্গত প্রথমতঃ শ্বাস্থাবিষয়ক আপনাদ্িগকে আগে বলিয়াছি, মেয়ের! গৃহস্থালী করে, “শ্বাস্থ্য-নিবাসে” কতৃ ত্ব করে। সেখানে যে কর্তৃত্ব, সেটা খাটি টেকৃনিক্যাল বিদ্া নয়, সেটা গৃহস্থালী হিসাবে কর্তামি। কিন্তু এইবার স্বাস্থ্য-হিপাবে নতুন ধরণের কাজ। তবে এটা ডাক্তারী নয়, আবার আর এক দিকে মামুলি গিন্নীপনাও নয় | এটা হইতেছে ওদের কথায় ভগ্মী, ইংরেজীতে যাকে বলে নার্শ, জার্দীণিতে বলে শ্বোয়েষ্টার,_তার কাজ নাপিং_-সেবা করা, শুত্রষা করা ইত্যাদি ্গিনিষ জান্মাণিতে আত বিস্তৃত রূপে গড়িয়া উঠিয়াছে। এক এক রোগের জন্ত এক এক শ্রেণীর নাস আছে। যদ্দি আমি পেটের অন্থখের জন্ত নাসিং বিগ্ভায় পাশ করিয়া আঁসি তাহা! হইলে আমাকে যস্া রোগীর সেবার কাজ দিবে না; অথবা আমাকে অন্ত্রচিকিৎসায় সাহায্য করিতেও দিবে না। ভিন্ন ভিন্ন বেয়ারামের জন্ত ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতাল, ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্যনিবাস যেমন জাম্মীণির সহরে সহরে আলতে গলিতে দেখা যায়, ঠিক তেম্ি “ভম্ী” বা “শ্বোয়ে্টার” ইত্যার্দিও রোগ হিসাবে ভিন্ন ভিন্ন। এক রোগের জন্ত পাশ করা মেয়েকে অন্ত রোগের জন্ত সার্টিফিকেট দিবে না। সে যদি একটা নতুন

আঘিক জগতে আধুনিক নারী ১৭৩

কাজে আসে তার জেল হইবে রকম ব্যবস্থা আছে। যে কোন লোক যেমন ছুতোর হইতে পারে নাঁ-তার করাত আছে বলিয়াই সে কাঠ কাটাকার্ট সর করিয়া! দিবে এরপ সম্ভাবনা জার্ম্মাণিতে নাই--তেমনি আমি নান নামক কোনে! ভগ্মী, অতএব যে কোন রোগীর কাছে আমি হ।জির হতে পারি, জান্্মাণীতে তার জো নাই। এই হইতেছে এক নন্বরের সনাঁজ-সেবা

দ্বিতীয় নশ্বধ শিশু-ঘটিত যা-কিছু শিশু-জীবনের স্বাস্থারক্ষা, আর »৬ বৎসর পর্যান্ধ বাল্যশিক্গ৷ ইত্যাদিব জন্ত হাজার হাজার মেয়ে তৈরারি হইতেছে, তারা খাটি কিগারগা্টেন প্রণ:লীতে শিশু-সক্ষিনী হইরা তৈয়ারি হরর এই সকল শিশু-কেন্দে নানা বিভাগ তাতে নান] রকম শিক্ষার ব্যবস্থা আছে তার জন্য মেয়ের! বিশেষ ভাবে স্বতগ্ন উপায়ে তৈয়ারি 5য় তার জন্য পরীক্ষা আছে।

ইতীয় ধরণের সমাজ-সেবা -অর্থবিষঘক | সমাজ-জীবনে বীমাপ্রথ। জার্শাণির বিশেষত্ব বীনার প্রতিষ্ঠান, বীমার আইন--এসব জিনিষ তার। চরঘ বুঝে টেকৃনিক্যাল বিষয়ক, গ্যাপবিষ বিষয়ক, ধনোৎ্পাদন বিষয়ক, যানবাহন বিষয়ক, ব্যাঙ্ক বিধয়ক যে সব প্রতিষ্ঠান আছে তাতে গোটা দেশের ইতিহাস, জীবনধাব্র। প্রণালী, ব্যবসা-বাণিজ্য কোথায় কেমন চলিতেছে তাঁর খবর রাখা নেহাৎ জরুরী এই সকল গবেষণাব কাজে মেস্সেরা বাহাল হয় তারা আঁথিক অনুসন্ধান আর বাজার-গবেষণাকে সমাঙ্গ-সেবা বলিয়া গণ্য করিয়াছে

অমাজসেবার মহিলা বিস্ভালয়

রকম রকম সমাঁজ-সেবা করিয়া হাজার হাজার জার্দাণ মেয়ে ভাত কাপড়ের সংস্থান করে আর সমাজ-সেবার ব্যবস্থা শিখিবার জন্য ইন্ফুল-

পিছ

১৭৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

এপ নিন পট নত পিএ সন্ত টাল লেন লিিতি ৬ত পোনা লী নত পিউিপিস্িলী লস শা সি পা এটি ওঁ তা ছি

করেজেও আছে বিস্তর ' এই ইক্ুল অনঠানত দেশে-- এমন কি বিলাতেও বেশী নাই, এমন কি ১৮৯৯ সনের পুর্বে জিনিষ জান্মীণিতেও ছিল না। ১৯১৪ সনে দশ বারটি ছিল, আজকে গোটা! চলিশেক প্রতিষ্ঠান__যাকে বলে “সমাজ-সেবার মহিলা-বিগ্ভালয়” জাম্মাণিতে গড়িয়া উঠিয়াছে। এখানে ভর্তি হইতে কমসে কম আমাদের বি-এ বি-এস্-সি পাশ হওয়া চাই। যে সব মেয়ে এই পাশ নয় তাদের এসব ইস্কুলে স্থান দেওয়া হয় না। দ্বিতীয় নম্বর__বি-এ, বি-এস-সি পাশ থাকিলেই এই ইক্কুলে ভর্তি করা হহবে তা নয়। তাকে অন্ততঃ পক্ষে ছু" তিন বৎসর নান কর্কেন্দ্রে কাজ কর! চাই। যদি সেনাস হইতে চায় ছু" তিন বৎসর হাসপাতালে কাজ করিতে হইবে যদি সে শিক্পবিদ্ভালয়ে সমজ-সেবক হইতে চায়, এঁ রকম প্রতিষ্ঠানে ছুঃ তিন বৎসর কাজ শিখিতে হইবে। যদ্দি সে আর্থিক প্র:তষ্ঠানে, বীমার লাইনে, শ্রমিক লাইনে কি অন্তান্ত যে সব পরোপকরক কর্মমকেন্দ্র আছে তার যে কোন বিভাগে সমাজ-সেবক হইতে চায়, তাহা হইলে তাকে সেইরূপ প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে কাজ করিতে হইবে এই সকল কাজে অভিজ্ঞতার পর ইস্কুলে ভণ্তি করা হইবে। তার পর দস্তর মত লেখাপড়া পরীক্ষা তবু9 চলিবে না বয়স কমসে কম ২৪।২৫ বংসর হওয়া চাই। তর আগে কাহাকেও সার্টিফিকেট দেওয়! হইবে না।

তাহা হইলে জান্্মীণি আজ এমন অবস্থায় আসিয়া দঈাড়াইয়াছে যে, কোন রকমে ছাত্রবৃত্তি পাশ করিলেই চলিয়া যাইবে তার সম্ভাবনা নাই। প্রত্যেক বিভাগে বিশেষজ্ঞ রহিয়াছে এত দূর পধ্যস্ত দেশটা উচু

পর সমপরিিপরি্িড লিপি স্মিপপএি্ও

ন্হইয়! উঠিয়াছে যে, সমাজ-সেবা করিতে হুইলে ২৪২৫ বৎসর বয়সের

আগে কেহ উপযুক্ত বিবেচিত হয় না। আপনি যর্দি কলিকাতায় একটা নার্সিং ইস্কুল খাড়া করিতে পারেন, তাকে লইয়া! কত লাফালাফি, কত

আথিক জগতে আধুনিক নারী ১৭৫

বক্তৃতা চলিবে। তার ছবি তুলিব, কত রকম প্রপাগা্া চালাইব সমস্ত পৃথিবীকে উতৎকর্ণ করিয়া তুলিব। এইরূপই সকল ক্ষেত্রে আঘরা সচরাচর করিয়া থাকি। করাটা অন্তায় নয়, কারণ আমাদের দেশে “এরগ্ডোহপি দ্রম।রতে 1” খতাইয়1! ঘর্দি দেখেন, ১৯৫ ২৬ সন পধ্যস্ত যুবক ভারতের আমরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যা কিছু করিয়।ছি তার প্রায় সবই “এরগ্ডোহুপি দ্রমায়তে ।” অর্থাৎ আমাদের সব চেয়ে বড় পণ্ডিত, বড় রাষ্ট্রপতি, বড় ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠ তা, সব চেয়ে বড় ম্বদেশসেবক --কি পুরুষ কিন্ত্রী প্রায় সকলেই এক প্রকার “এরগ্োহপি ক্রমায়তে" মাত্র। কিছু অতিরঞ্জিত করিয়া বল! হইল বোধ হয়। তবে খাটি সত্যটা বেশী দুরে নয়। কিন্ত জান্মাণিতে “এরও” লহয়া আর চলে না। হয়ত ষাট সন্তর বখসর আগে চলিলেও চলিত। কিন্তু আজ আর চলে না; ওদের প্রত্যেক কাজের লম্বা লম্বা মাপ-কাঠি আছে। সেহ মাপে চলা চাই। আমদের একজন মেয়ে শ্বদেশ-সেবক, কংগ্রেসকন্মী, নাস শ্বাস্থাবিজ্ঞানাবৎ ইত্যাদি থাকিলে আমরা মাতামাতি করি। কিন্তু জান্মীণি বলিতেছে-_-“আগে বিএ, বি-এস-সি পাশ কর্‌, তার পর কথা কহিব; এই পাশের পর তিন বৎসর হাতেকলমে কাজ কর্‌ গিয়। এখানে ওথানে সেখানে, তার পর আসিন্‌- দেখা যাইবে--কথা বলিব কি না। তার পর আড়াই তিন বৎসর লেখাপড়া কর্‌ অমুক ইন্কুলে। পাশটাশ করিয়। নে।” তখনও বলিতেছে, “উপযুক্ত হু?স্‌ নাই ।” আরে মলো৷ যা ! কখন উপযুক্ত হহবে? যখন কমসে কম ২৫ বৎসর বম্নস হইয়াছে তখন তাকে সার্টিফিকেট দেওয়া যাইবে সেই সার্টিফিকেট লইয়! তবে সে কিছু টাকা রোজগার করিতে পারিবে। এই মাপকাঠি সোজা জিনিষ কি? ১৯২৬ সনে আমরা এট] কল্পনা করিতে পারিকি? ১৯৫ সনে একথা বলিবার লোক ভারতে ছিল কি না জানি না। ১৯২৬

১৭৬ নয়! বাঙলার গোড়া পত্তন

নে যুবক ভারত এই পধ্যস্ত আসিয়! ঈড়াইয়াছে যে, ছুনিয়াটা কোথায় গিয়া ঠেকিয়াছে তার ইঙ্গিত মাত্র পাইতেছে | সূর্য উঠে পশ্চিমে

এখন কথ! হইতেছে, আমরা কি এই অবস্থায় থাকিব? আমরা কি আমাদের নামজাদ! জন-নাঁয়কদের কথায় অন্ধ হইয়! থাকিব? আমাদের মহা পুরুষেরা, জ্ঞানবীরেরা পাশ্চাত্য সভ্যতার তথাকখিত আহাম্মুকি সম্বন্ধে কত বুজরুকি শ্িখাইম়্াছেন। আমরা কি তাদের কথা-মাফিক ইয়োরামেরিকাকে ভারতের চেয়ে অন্ুথী, ভারতের চেয়ে নীতিহীন, ভারতের চেয়ে পাপী বিবেচনা করিয়া সন্থষ্ট থাকিব? আমি বলিতে চাই, আজ ১৯২৬ সনে যুবক ভারতের কর্তব্য হইতেছে খোলাখুলি বলা-_“হে পণ্ডিতগণ, তোমরা আমাদেরকে ঠকাইয় রাখিঘাছ। তোমরা বা কিছু বলিপরাছ তার অনেক-কিছুর পশ্চাতে যুক্তি নই, বস্ত নাই তোমরা যা কিছু বলিয়াছ আমরা বোকার মত, তোতা! পাখীর মত মুখস্থ করিমাছি।” এখন জিজ্ঞান্ত--১৯২৬ সন ১৯৩০ সনের জন্ত প্রস্তত হইতে রাজী আছে কি না? ১৯০৫ সন যখন জন্মিরছিল তখন আমরা বলিয়াছি,_-“১৮৮৬ সন হইতে *ভারতে যা কিছু ঘরিয়াছে সে সব কিছুই নয়। সব ভাঙ্গিয়। ফেলিতে হইবে সেই ভাঙার ভিতর হইতে নতুন ছনিয়' গড়িয়া তুলিব।” আজ বিশ একুশ বৎসর ধরিয়া যুবক ভারত অনেক- কিছু ভাঙিয়াছে, অনেক কিছু গড়িয়াছে। কিন্তু তবুও দেখিতেছি ১৯০৫-_২৫ সনে বেশী কিছু সাধিত হয় নাই তাই আজ আবার জোরের সহিত বলিতেছি_-“১৯০৫--২৫ সন, তুই কিছুই করিস্‌ নাই, অথবা! যা কিছু করিয়াছিস্‌ সবই মাঞ্ধাতার আমলের জিনিষ ছুনিয়ার সব কিছু ভাঙিয়া চুরিয়া নতুন করিয়া ১৯৩* সনের জন্য ছনিয়াকে গড়িয়া ভুলিতে হইবে

আধিক জগতে আধুনিক নারী ১৭৭

তার জন্য প্রথম দরকার,-_পৃথিবাটা কি বস্ত তা নতুন ভাবে, গোঁজামিল না রাখিয়া, অতি সোজ! প্রণালীতে নিরেট রূপে বুঝিতে চেষ্টা করা এই বিষয়ে ভারতের পথ-্প্রদর্শক তৃকাী আর জাপান। ওরা করিয়াছে কি? খোলাখুলি বলিয়াছে, খোলাখুলি বুঝিয়াছে যে, তুকণ সভ্যদেশ নয়, জাপান সভ্যদেশ নয়। তুকাঁ-জাপানের সভাতা, তু্কী-জাপানের শিক্ষা -দীক্ষা, তৃকী-জাপানের আধ্যাত্মিকতা কোথা হইতে আসিয়াছে? বর্তমান কালে হৃুর্ধা উঠে পৃরবে নয়, পশ্চিমে, তুর্কী তাই বুঝিয়াছে। তুর্বা জানে, কামাল পাশ! জানে, “যদ্দি মান্ুষ হইতে হয় মুসলমানের ছুনিয়াকে যদি মজবুত করিয়া ভুলিতে হয়, মুসলমানের আধ্যাত্মিক জীবন আনিতে হইবে হুর্য্যান্তের দেশ থেকে 1” সেকথা যুবক জাপানও সোজান্থজি সম্বিয়া রাখিয়াছে। সেই কথাই ১৯২৬ সনের বাঙালীকেও কোন রকম গৌজামিল আব হ-য-ব-র-ল না রাখিকা বার বার বলিতে হইবে যুবক বাঙলা, বল প্রাণ খুলিয়৷ £--“ভাই তু, তুই ওস্তাদ, ভাই জাপান, তুইও ওস্তাদ-_ঠিক সময়ে বুঝিয়াছিদ্‌ বর্তমান এশিয়ায় আধ্যাত্মিকতা কিছুই নাই। এশিয়া! যদি মানুষ হুইতে চার, তবে তাহাকে ইয়োরামেরিকার শিশ্যত্ব গ্রহণ করিতেই হইবে ।” একথা আজ খোলাখুলি চোখের ঠুঁলি খুলিয়া যুবক ভারত বলুক হাটে মাঠে ১৯২৬ সন বলুক--যেন ১৯৩৭ সনের জন্ত সে প্রস্তুত হইতে পারে।

১৭

যৌবনের দিগ্িজয় *

আপনার! চব্বিশ ঘণ্ট1 কাজের কথ! এত শুনিয়া থাকেন যে বাজে কথা কিছু শুনিলে মন্দ হয় না। শক্তি-স্বান্থ্যের কথা, যৌবনের কথা, কর্ম-দক্ষতার কথা, আরাম-আয়াসের কথা ইত্যাদি কিছু কিছু বাজে কথা আজ বলিব!

তথা কথিত নিন্দা প্রশংস।

প্রথমেই একট! রগড়ের কথা শ্তনাইতেহি দিন দশ বারো ধরিয়া নানা লোকের মুখে নান। কথা শুনিতেছি। কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছে-“্যারে তুই নাকি অমুক লোকের নিন্দা করিস? লঘা লশ্বা বক্তৃতা দিয়া নাকি নেতাদের অপমান করিতেছিদ্‌?” এই ধরণের কথা আমাকে কমসে কম পাঁচ সাত জনে বলিয়াছে। ভারি মজার কথা৷ নিন্না বা অপমান করা হইল কখন ? দেশে ফিরিয়া আঁসিবার পর সেই বোগ্ধাই হইতে আরম্ভ করিয়া এই পীঁচশ্ছয় মাসের মধ্যে প্রায় দশ বারোটা ইন্টারভিউ বা মোলাকাৎ খবরের কাগজে বাহির হইয়াছে সব রকম কাগঞজ্েই।কোন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের বা দলের কাগজে নয়। বক্তৃতাও বোধ হয় আট-দশটা দিয়াছি যার শটহ্যাণ রিপোর্টের বিবরণ কমবেশী একটু আধটু কোন না কোন কাগজে বাহির হইয়াছে। ব্যস্। কখন অপমানটা কর! হইল কোন্‌ বাক্তিকে, কোথায়?

* হঙ্গীয় যুষক সমিতির উদ্যোগে আলবাট হলের এক সঙার প্রদত্ত ব্ততার ১৩ মার্চ) ১৯২৬) মারাংশ। বঞ্ততা অনুসারে ভাহেরউদ্দিন আহম্মদ কর্তৃক লিখিত

যৌবনের দিথিজয় ১৭৯

নিন্দা করা, অপমান কর! হাড়ে জানে না। এই পাচ-ছয় মাস ধরিয়া যা কিছু বলিয়াছি বা করিরাছি তার একট! কথাও আমার নয়! নয় বার বৎসর বিদেশে থাকিবার সময় প্রায় হাজার আটেক পৃষ্ঠার 'কাঁছাকাছি বাঙ্গলা', হিন্দি, ইংরেজী, ফরাসী, জান্্মাণ, এই পাচ ভাষাতে যা কিছু লিখিয়াছি, আর এই কয়ম।স ধরিয়া যা কিছু বলিয়! যাইতেছি সবের ধুর!ই এক | এর পৃব্রে সেই ১৯০৫-৭ হইতে ১৯১৪ পধ্যস্ত বাঙ্গল! ইংরেজি ম।সিক পত্রিকায় বা বইয়ের হাজার কয়েক পৃষ্ঠায় যা কিছু লিখিয়াছি, তার সঙ্গেও আজকালকার লেখা আর বক্তৃতার মূলতঃ অমিল নাই কোথারও আপনাদের কাহারও কাহার হয়ত তাহা অঙগানা নয় এখন জিজ্ঞাস্য হইতেছে, অপমানট1 কগা হইল কোন জায়গায়-_-কাকে ? হা, আমার দেশটা আজকাল ইয়োরামেরিকার চেয়ে খাটো একথ! আমি প্রাণে প্রাণে ।বশ্বাস করি,-লোকজনকে বলিয়াও থাকি। কিন্তু তাহাতে কোনে! ব্যক্তি ব' প্রতিষ্ঠান বিশেষকে বেইজ্জৎ কর! হয় কি করিয়া?

বরং লোকেরা আমাকে ঠিক উন্টে! দোষের জন্য গালাগালি করিয়! থাকে আমেরিকায়, প্াারিসে, বালিনে থাকিতে যখন বিশ্ব বিদ্ভালয়ের হোমরা চোমর! পণ্ডিতের] তাদের পরিষদে বক্তৃতা দিবার জন্য আহ্বান করিয়াছেন, _মায় ফ্রান্সের সেই জগদ্বিখ্যাত আকাদেমীতে পধ্যস্ত, সব পরিষদেই,--যুবক ভারতের জীবন-কথাই প্রচার করিয়াছি। অতীত ছুূনিয়া, বর্তমান ছনিয়া, ছুনিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যা কিছু ভাবয়াছি যা কিছু বলিয়াছি ব! লিখিয়াছি সব কিছুতেই যুবক ভারত আমার আলোচ্য বস্ত ছিল ! তার বৃত্তান্ত ওসব দেশের বড় বড কাগজ- পত্রেও ছাপা হইয়াছে একটা আশ্চর্য ব্যাপার এই যে, তখনকার দিনে সেই দূর বিদ্বেশে আমার ধার স্বদেশী ভায়া বন্ধু বাক্তি তারা এই বলির!

১৮৬ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

আমাকে গাল দিতেন-_-"তোর মত আহম্মক আর কেউ নাউ ভারতের কথা--যার মূল্য ছটাকও হইবে না-তুই কিনা ভাই আইন- ষ্টাইন, হাঁবার, ব্যর্থ, ডুয়ী, গিলবার্ট মারে ইত্যাদির মতন বড় বড় মহারথীর সভায় লম্বা গল! করিয়া! বলিয়া যাস! তোর এতটুকু লজ্জা করে না?” কিন্তু তাহা সন্তবেও আমার মাপকাঠিতে ভারত সম্বন্ধে যাহা কিছু উল্লেখযোগা পাই তাহা! আমি উচু গলায় বলিতে ছাড়ি নাই। তবুও তাকে ঠিক “প্রশংসা” করা বলা যায় কিনা সন্দেহ কেননা,-আমার বাবসা হইতেছে ষথাসভ্ব খাটি তথ্য গুলার খতিয়ান করা, আমাদের দেশের তথ্যগুলাকে অন্তান্ত দেশের তথ্যের দাড়ি পাল্লায় হাজির করা।

অভীতের কিম্মৎ

যাক্‌, এখন আজকের কথা বল! ষাক। সকল কাজের ভিতরেই কিছু কিছু চিন্ত। করিবার ঞ্িনিষ, ধারণা করিবার জিনিষ, মাথার জিনিষের প্রয়োজন আছে আমি জিজ্ঞাসা করি”-আপনার জীবনে, আমার জীবনে কিম্বা অন্য কোন মানুষের জীবনে এমন কোনো মুহুর্ত আছে কি যে মুহূর্তটা অতি যাত্রায় হুন্দর, অতি মাত্রায় মধুর ? যে মুহুর্তকে আমরা বলিতে পারি :--“রে মুহূর্ত, তুই অতি মধুর, অতি হন্দর, তোর মত মধুর আর কিছু নাই_-তোর সমান সুন্দর আর কিছু হইতে পরে না। তুই একবার দাড়া, তুই যেখানে আছিল সেইখানেই দীড়া, তোকে ভাল করিয়া দেখিয়। লই, তোকে তলাইয়া মজাইয়! বুঝিয়া লই, তোর পশ্চিষ পূর্ব, উত্তর দক্ষিণ হইতে তোকে চাখিয়! লই ।”

বদি আপনারা কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেন “মানুষের জীবনে এমন কোনো মুহূর্ত আছে কি? কারু জীবনে বুকম মুহূর্ত আসিয়াছে কি?” এর উত্তরে আমি বলিৰ £--এ আসেনা--আঁসিতেই পারে না

যৌবনের দিখিজয় ১৮১

কোনোদিন আসিবে না--মাচুষের জীবনে আসা উচিত নয়। যঙ্গি কোনদিন আমার জীবনে আলে আর আমি যদি বলি,_“রে মুহুর্ত, তুই আমার চির সহচর, তুই আমার জীবন-সাথী” তবে সেই মুহূর্তই আমার মৃত্যাক্ষণ | যখন আমি বলিতেছি অমুক মুহূর্তের মত নুন্নর মধুর আর কিছু হইতে পারে না, তখনই আমি নিজে নিজের বুকে ছুরি হানিয়া দিতেছি।

মুহুর্তের পর মুহূর্ত এই হইতেছে ম।নব জীবনের গতি.--সভ্যতার লজোত। আপনারা হয়ত সত্য গ্রহণ করিতে ন] পারেন-_সেটা গ্রহণ করা! না করা আপনাদের মর্জি। আমার কাছে কিন্তু এটা প্রথম শ্বীকার্য। আমি বলিতে অভ্যন্ত, “রে অতীত! তুই আমার থুথু তুই আসিমছিলি. তোর সাহায্যে আমার জীবনে হয়ত একট! ৰড় কিছু ঘটিয়াছে, হয়ত দেটা! অতি গৌরবময়। কিন্তু গৌরবের হইলেও সেটা থুধু মাত্র তাহা লইয়া লাফালাফি করিবার কিছু নাই।” এই গৌরবময় মুহূর্ত হয়ত কোনদিন আমার জীবনকে উদ্বেলিত করিয়া দিয়াছিল। কিন্তু তাই বলিয়া! সেটাকে ধরিয়। রাখিতে হইলে চিকিৎসকদের কথায় ৰলিতে হয় “ওট1 যে বিষ রে! থুথুটা ফেলিয়৷ দিয়া তুই তোর স্বাস্থ্য রক্ষা করিয়াছিস্‌। থুথুর দাম নেছাৎ কম নয়। কিন্তু এখন এই বিষ আবার তুলিয়া লওয়! বিষ ধাওয়ারই সমান কোন গৌরবময় মুহূর্তের হুখদ্বপ্নে বিভোর থাকাও সেইরপ।” আমার স্বতঃসিহ্ধট! আপনাদেরকে গ্বীকার করিতে বলিতেছি না। আপনাদের য1 বিশ্বাস ত। আপনার! রাখিতে সম্পূর্ণ অধিকারী। আমার ধ! তা আমি রাখিতে সম্পূর্ণ অধিকারী

সম্বন্ধে একটা উদ্নাহরণ দিতেছি ধরুন এক শুভ মুহূর্তে হয়ত ৰা কপালের জোরে কোন লবাব ছাছেবের সঙ্গে আমার মোলাকাৎ হুইয়াছিল। লবাৰ ছাহেব আমার সাথে হাসিয়া কথা কছিয়াছিলেন, এমন কি তাঁহার আতর দেওয়৷ পানের খিলি পব্যন্ত আমাকে খাওয়াইয়া-

১৮২ নয়! বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

ছিলেন। এই মুহুর্তের স্বতি আমার মনে না হয় ছু ঘণ্ট। থাকুক্‌ বা তিন দিন থাকুক কিন্তু নেশায় আমার মেজাজ শরিফ কতক্ষণ বা কতদিন থাকিতে পারে বা! থাকিলে শোভন হয়? যদি আমি সেই শুভ মুহূর্তের স্বৃতির রেশ লইয়া! তিন বৎসর কাটাইতে চেষ্টা করি, লবাব ছাহেবের সেই ক্ষণিক বদ্ধুত্বকে যদি জীবনের এক বড় পুজি বিবেচনা করি, প্রধান মূলধন বলিয়া ভাবি, তাহা হইলে আপনারা আমার পাগলামি দেখিয়! হাসিবেন না! কি? কতক্ষণ আপনারা আমার পাগলামি সহিতে রাজি আছেন? যতই মধুর হোকনা কেন মোলাকাৎ পরবর্তী মুহূর্তে তাহা থুথু মাত্র» একদম কিন্মংহীন।

অতীত সম্বন্ধে আগাগোডা আমার এইরূপ ধারণা এখন আপনারা আমাকে জিজ্ঞাসা করিতে পারেন “এই যদ্দি অতীত হয় তাহা হইলে আমর! ্াড়াই কোথায় ?” এর উত্তরে আমি বলিতে চা যে, অতীত একট! প্রত্বতত্ব মাত্র--আলমারীতে পুধিয়া রাখিবার জিনিষ -কবরে রাখিবার জিনিষ। জীবনটা হইতেছে বর্তমান--বর্তমানও নয়--ভবিষ্য ছুনিয়াকে দখল করিবার প্রবৃত্তি বা প্রয়াস এমন কোনে! কোনো ক্ষণ হয়ত আসিতে পারে যখন এই অতীত সম্বন্ধীয় আলোচনার ভাবে বিভোর হইয়া থাকা অসম্ভব নয়। কিন্তু দিনের পর দিন প্রতি মুহূর্তে জীবনকে গড়িয়া তোলাই, জীবনের স্রোত বাড়াইয়া দেওয়াই কাজের মত কাজ!

জীবন-পুজার দেবতা,- যৌবন

বাদ্দের সঙ্গে এই বিষয়ে আমার মিল নাই তাদেরকে আমি অসম্মান করিনা। কিন্তু আধ্যাত্মিক হিসাবে তাদের সঙ্গে আমার প্রথম হইতেই আড়ি। বুঝিতেই পারিতেছেন যে, আমার চিন্তায় একমাত্র ধর্শ হইতেছে বর্তমান-নিষ্ঠা, জীবন-পুজ1। বস্ততঃ আমার বিশ্বাস, -.

যৌবনের দিথিজয় ১৮৩

নসর পন এস পা অসি নি রি সম সি পচ পে সস কপ তা

প্ধর্ম নামক ডি বস্ত ছিলনা কোনে! দিন দুনিয়ায়, সংসারে বেঁচে থাকবার কলকে লোকে ধর্ম বলে তুর্ধলের ভাষায়”

আমার জীবন-পৃজার একমাব্ম দেবতা যৌবন। আর আমার এই দেবতার জন্য যদি কোনে পয়গম্বর আ'বশ্তুক হয়ঃ তবে কাকে আমি পয়গম্বর বিবেচনা করি? আমার সে পয়গন্বর মহম্মদও নয়, যীশু নয় বা গ্রুক্কষ্চও নয়। সে হইতেছে ছনিয়ার যৌবন-শি, যুবা মানুষ, যুবক ছুনিয়া। তরুণ ব্যক্তি বা তরুণের দল এই আমার একমাত্র পয়গম্বর

আমি আজকের কথা বলিতেছিনা। বারো বংসর আগেও যুবাই আমার পয়গ্বর ছিল। এই বারো! বৎসরের মধ্যে যে কোন দেশেই আমি গিয়াছি--ঈদ্রিপ্ট, ইংল্যাণ্, আমেরিকা, জাপান, চীন, ফ্রান্স, জার্ম্ম।নি, ইতালি ইত্যাদি--সব দেশেই আমার পয়গম্বর যুবক। যুবক ইংরেজ আমার দোস্ত, যুবক জাপানী, যুবক ফরাসী, যুবক চীনা, যুবক জান্মাণ এরাই আমার পয়গম্বর এট! একটু সৌজাভাবে বল! যাউক। দেশী বিদেশী হোমর! চোমর! অনেকের সঙ্গেই আমার দহরম মহরম চলিয়াছে শুবং চলিয়া থাকে কিন্তু আমি বলিতে চাই যে, -ছুনিয়াটা এদের দ্বারা চলেন! নামজাদাদেরকে আমি অশ্রদ্ধ! করিনা! তাছাদের সঙ্গে আমার ভাব আছে কম নয়। কিন্তু তাহারা আমাকে কোথায়ও তাতাইয়! তুলিতে পারেন নাই। কিছু হেঁয়ালীর মতন লাগিতেছে বোধ হয়?

পয়গন্মর,-যুব! দুনিয়।

আরও খুলিয়! বলি। আমার চেয়ে যে বয়সে বড় সে আমাকে কোন দিন কোন বিষয়ে এক কীচ্চাও শিখাইতে পারে নাই, আর পারিবেও না। আপনার! জিজ্ঞাসা করিবেন--“তবে কি যাঁদের সাথে বয়স হিসাতে

১৮৪ নয় বাঙ্গলার গোড় পতন

তোমার সাম্য আছে, যারা তোমার এক ক্লাসের ইয়ার, তাহারাই কি তোমাকে শিখাইতে পারে ?" আমি বলিব-্্না। তাও নয়। অতিবড় অহঙ্কারী দাস্তিকের কথ! সন্দেহ নাই। কিন্তু দাস্তিক আমি এক দম নই। যদি আপনার! আমাকে জিজ্ঞাসা করেন--পবলি বাপুহে, তবে তুমি কাকে সন্মান কর শুনি? কে তোমাকে শিখাইতে পারে, কাকে তুমি গুরু বলিয়া ্বীকার কর?” এর উত্তরে আমি বলিব-_যার। আমার চাইতে পাচ সাত বছরের ছোট, এমন কি তারাও আমাকে শিখাইতে পারেনা, তাদেরকে আমি বড় একটা সম্মান করি না। খুব ভাল করিয়। চাখিয়! দেখিয়াছি, যে লোক আমার চেয়ে পাঁচ-সাত বছরের ছোট তার! আমাকে শিখাইতে পারেনা কম.সে কম দশবছর পনর বছরের যার! ছোট, এক মাত্র তারাই আমার পয়গম্বর, তারাই আমার গুরু

ইংরেজ সমাজে, ফরাসী দেশে, সকল দেশেই বড় বড় দার্শনিক, কবি, এজিনিয়ার, এঁতিহাসিক দেখিয়াছি। তাহাদের সঙ্গে বন্ধত্ও আছে। তাহার আমার মত দশ বিশটাকে আলমারি আলমাব্রি বই শিখাইয়া দিতে পারেন মহা! যহা! দ্িগগজ সব। কিন্তু তীহাঁর। তাজা মানুষ জ্যান্ত যাচ্ছষয নন। ছুনিয়াকে ভাঙ়িয়৷ চুরিয়া টুকরে! টুকরে! করিয়া নতুন করিয়া! গড়িয়! তুলিতে পারে এমন ক্ষমতা! তাহাদের নাই। কিন্তু দেখিয়াছি ইংরেজ যুবাকে, ফরাসী যুবাকে, জান্মীন যুবাকে তার আমার চেয়ে পনর বা বিশ বছরের ছোঁট। পাগ্ত্যের বৈঠকে হয়ত তাহাদের কোনই ইজ্জৎ নাই, কিন্তু এরাই পারে বুড়। গুলাকে টিটু করিতে। তাহাদেরকেই আমি ছনিয়ার পয়গম্বর বিবেচনা করি। এই গেল আমার যৌবন-বিজ্ঞানের সি'ড়ি, বিশ্বজয়ী যৌবনের বিজয়-যাত্রার ধাপ-নির্দেশ।

সেই ১৯০৫ হইতে আজ ১৯২৬ সন পর্যান্ত আমার একমাত্র অভিজ্ঞতা এই | এই বাঙলা দেশে, এই ভারতে, আমাকে তিল তিল

যৌবনের দিস্থিজয় ১৮৫

করিয়া মানুষ করিয়া তুলিয়াছে কে? ধাহারা আমার চেয়ে বেশী বই পড়িয়াছেন ব1 বেশী বিষ্ভা শিখিয়াছেন তাহার। আমাকে শিখাইতে পায়েন নাই। হা, তাহাদের কাছে বই মুখস্থ করিয়াছি-__ একথ। অস্বীকার করিনা। কিন্ত আমাকে শিখাইয়াছে কে? যাহাদের নাম আপনার কেউ জানেন না। এই আমাদের বাহ্গল1 দেশকে নতুন করিয়! গড়িয়। তুলিয়াছে কে? যাহাদের নাম খবরের কাগজে বাহির হয় না। সেবি, এ, এম, এ+ পাশ করাও নয়। মে অজ্ঞাতকুলণীল আঠার-বাইশ বছরের যুবা। হয়ত দূর পল্লীর এক অজান]। অখ্যাত কেরাণী অথব! চাষী কিন্বা চাবী-ঘে'ষ! ভদ্ত্র- লোকের সন্তান। এরাই এই নবীন বাঙ্গলার জন্মদাতা বাঙগলার যুব। নয়া বাঙলাকে গড়িয়। তুলিয়াছে বুড়োরা একথা শ্বীকার করিবেন কিন! জানিনা ছেলেদের ভিতর যাহারা বুড়া হুইয়! গিয়াছে তাহারা একথা বুঝবে কিন! জানিনা কিন্তু আমার নিকট হুইতেছে সনাতন সত্য।

যৌবনের আত

এই যৌবন-বিজ্ঞানের নঙ্জির পাই সেই মান্ধাতার কালেও। যৌবন- শীল যুবা একদিন কি বলিয়ািল আমার কল্পনায় তাহা নিম্নরূপ ২-_

“অগ্রিস্ফুলিঙ্গ আমি, অধিস্ফুলিঙ্গ তুমি, অগ্রিস্ফুলিঙ্গ এরা সবে,

রবি শশী লতাপাতা পাথর দরিয়াও অগ্রিস্কুলিঙ্গই ভবে।

আনে! চকমকি, লাগাও ঘষ/ এখনি জলিবে আগুন ।” ইত্যাদি |

এই আগুনের স্রোত ছুটাইয়াছিল যুবক ছুনিয়া। আমাদের ভারতে সেই যৌবনের গান শুনিতে পাইতেছি মধুচ্ছন্দার আগুন-খকে ভারতই কেষল এই আগুনের গান গাহিয়াছে এমন ময় চীন একদিন এই গানই শাহিয়াছিল। ন্থইজিন চীনাদেয় মধুচ্ছন্দা। পার্শাদের আবেন্তাও

১৮৬ নয়া বাঙলার গোড়। পত্তন

আগুনেরই গাথা। গ্রীকদের প্রমেখেয়দ আমাদের মধুচ্ছন্দারই মাসতুত ভাই। মান্ধাতার আমলে এরা সবাই যৌবন-শক্তির অবতার, যুবক ছুনিয়ার প্রতিনিধি |

কিন্তু অন্ান্ত যুবারা! দেখিল শুধু আগুনে চলেনা ঘোড়া চরান, গরু চরান চাই, চাষবাস চাই। তার। এসব মরু করিয়! দিল। এই রকম আর আর যুবা দেখিল, কেবল সবেও চলেনা তার! ছুতোর মিজির কাজ আরস্ত করিয়া দ্িল। পান্দী তৈরী আরম্ত হইল। গাড়ী তৈয়ারী হইল, টেঁকি তৈয়ারী হইল, ঝাট। তৈম়ারী হুইল। দুনিয়া নান! প্রকার কিস্তৃত কিমাকার “নতুন-কিছু”তে ভরিয়া যাইতে লাগিল। পুরাতনে কোনো! যুবাই সন্ত নয়। সবাই চাহিয়াছিল যৌবনের শ্রোত বাড়াইতে, জীবনকে অনির্দিষ্টের পথে ঠেলিয়! লইয়! যাইতে

দেখিতে দেখিতে পল্লী গড়িয়া উঠিল। এমন সময় আর একজন যুবক দেখিল, শুধু পল্লীতে চলিবেনা। “ভাঙ্গ পর্লী, সহর গড়িয়া তোল ।” পল্লীতে পলীতে জোড়! লাগান হইল, এমনি করিয়। সহরের স্থ্টি হইতে লাগিল। আমাদের ভারতীয় যুবকরাও পল্লী ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া! সহরের পত্তন করিতে ছুটিয়াছিল। সহরেও ভারতবাস'র আধ্যাত্মিকতা আত্ম- প্রকাশ কারয়াছে। যে-সে রকম সহর নয়। তার চৌহদ্দি ছিল ২১২১ মাইল। আমাদের পাটলিপুত্র। যখন রোম নগরীর সীমানা ছিল মাত্র দশ মাইল। যাক বুঝা যাইতেছে এই, পশ্চিমের যুবার আর পূবের যুবার আদর্শগত কোন তফাৎ ছিল ন। |

এই ভাবে যুবারা ছুনিয়ার চাল-চলন কত বিভিন্ন উপায়ে বদলিয়া! ফেলিতে লাগিল। রাজা-প্রজার সম্বন্ধ দেখা দিল। জমিদারে রাইয়তে সংশ্রব স্থষ্ট হইল। পন্লীতে পল্লীতে, শহরে শহরে, প্লীতে শহরে রেশা- রেশি যূর্তি পাইল। কারিগরদের গিল্ড শ্রেণী জাকিয়া উঠিল। ইত্যাদি

যৌবনের দিখিজয় ১৮৭

ইত্যাদি এই খানেই যুবারা ক্ষান্ত হয় নাই--একেই চরম বলিয়! হ্বীকার করে নাই। যুবক ছনিয়া কখনো বলে নাই, “রে মুহূর্ত, তুই অতি হুন্দর, তুই দাড়া” সর্বদা বলিয়াছে “চাষবাস মধুর বটে, কারিগর- দের শ্রেণী-স্বরাজ সুন্দর বটে। গোপুরম, গথিক গিক্া, ওস্বজ ওল বটে। ষা কিছু গড়িয়া তুলিয়াছি সবই সুশ্রী বটে। কিন্তু এক মান্র এই সবে সানাইবে না। জীবনের পথ আবার নূতন করিয়া গড়িয়া তুলিতে হইবে ।"

এই খানে ছনিয়ার বোম! ফুটিল-_বাম্পযস্ত্র আর বাম্পপোত। এর ফলে ছুই হ!জার দশ হাজার বৎসরের সভাতা কোথায় চলিয়া গেল! পয়দা হল উনবিংশ শতান্দীর বর্তমান জগৎ্। মানব'র যৌবন-শক্কির অপুর্ব সৃষ্টি। সেই পুরাণা রাজা-প্রক্জা উড়িয়! গেল পুরাণ! পরিবার-বন্ধন উড়িয়া গেল পুরাণ ভাঁত-কপড়ের বিধান উড়িয়। গেল। পুরাণ! জমিজমার বন্দোবস্ত, পুরাণ] পল্লী শহর, পুরাণা চ।ষ-প্রধান সভ্যতা লেংপ পাইল

দিগবিজয়ের অন্তর

জীবন ফুরাঈবার নয় কোন যুগে কোন কেছ্ছে, কোন ব্যক্তির জীবনে, কোন সমাজে ফুরাঈবার নয়। প্রতোক অত'ত মুহূর্ককে যুবা বলিয়াছে -্পপরে মুহূর্ত, তোকে আম কলা দেখাইতেছি 1” মধুচ্ছন্দা, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য হইতে আরম্ভ করিয়া হাজার হাজার ভারতীয় অভারতীয় ধাধিরা, মানব সভ্যতার প্রবর্তকেরা বলিয়া আসিয়াছে,_-”রে অতীত, তোকে কল! দেখাইতেছি, ভু চরিয়া খা গিয়া তোকে রাখিয়া! দিব আলমারীর ভিতরে তোকে রাখিৰ মিউজিয়ামে ছেলেরা দেখিবে। তুই ঠাকুরদাদাদের হাড়-গোড়ের মত থাকিবি *কবরে।” দিশ্িজয়ী যৌবনের গানে এই হইতেছে এক মাত্র পমুদা*।

১৮৮ নয়া বাক্গলার গোড়া পত্তন

প্রতি মুহূর্তে যুব। মানুষ ধরাখানাকে সর! জ্ঞান করিয়া আসিয়াছে? ধন্রিত্রীকে, ভূমিকে, সর্বদাই সে বলিয়াছে £-- “অহমশ্মি সহমান উত্তরোনাম ভূম্যাম্‌। অভীষাড়ম্মি বিশ্বাঘাড়, আশামাশাঁং বিষাষহি” ॥-_ অথর্ধবেদ |

“আমি পুরুষ, ক্ষমতার মৃর্তি--পরাক্রমের মৃত্তি। সর্বশ্রেষ্ঠ নামে লোকে জানে মোরে ছনিয়ায়। আমি উত্তম আমি সর্বশ্রেষ্ঠ ছুনিয়াকে ভাঙিয়া চুরিয়। তার উপর তান্বি চালানে! আমার শ্বধন্। আমি বিশ্বজয়ী,_ দিকে দিকে বিজয় সাধন করা কর্ম আমার” এই যৌবন-বিজ্ঞান সেই মধুচ্ছন্থার আমল হইতে হিণ্ডেনবুর্গ, মার্শাল ফোশের সময় পধ্যস্ত মানব- জাতির স্তরে স্তরে গড়িয়া উঠিয়াছে।; দিপ্বিজরই জীবনের, যৌবনের একমাত্র ধন্ম। মানুষ জন্মিয়াছে, নৃতনকে গড়িয়! তুলিবার জন্ত। সকল বুবার মুখেই একবোল»-_- “পরাক্রমের মুর্তি আমি--সর্বশ্শেষ্ঠ নামে মোরে জানে লোকে ধরাতে, জেতা আমি বিশ্বজয়ী,--জন্ম আমার দিকে দিকে বিজয়কেতন উড়াতে |”

যুখক বজের দিখিজয়

এই বিষয়ে এখন একট] নেহাৎ ঘরোত্া কথ। বল! যাউক। অর্তাতকে খুধুর যত ফেলিয়া দেওয়া, অতীতকে কল! দেখানো, ভারতবাসীর পক্ষে ॥ত্মতিমাতায় কঠিন জিনিষ নয়। বেশীদূর বাইতে হইবে না, এই যুবক

৬১৫১

যৌবনের দিখ্িজয় ১৮৯

ভারতের কৃতিত্বের ভিতরই গণ্া! গণ্ডা নঞ্জির মিলে কিন্তু নজিযগুলা দেখাইতে গেলেই আপনারা আমার বিরুদ্ধে হয়ত একেবারে ক্ষেপিয়া উঠিবেন। কেননা খোলাখুলি একজন লোকের নাম করিতে চাই এই সুত্রে।

আপনা! সাধারণতঃ অতীত এবং মা অতীত বিল্লেষণ করিয়া দর্শন নিংড়াইতে অভ্যন্ত। কিন্তু দর্শন আমার কাছে প্রতিদিনের মামুলী কাজের মধ্যেই ধরা দেয় আমি হাড়ী-কুঁড়ির ভিতর, আড্ডা-বৈঠক-গল্প- গুজবের ভিতর ডাল-ভাতের মত অতি ছোট জিনিষের ভিতরও দর্শন দেখিতে পাই। তাই বলিতোছি যে,--এই যুবক ভারত, যুবক বাঙলা, বাঙ্গলার যৌবন শঞ্তি প্রত্যেক দিনই দিকে দিকে বিজয় সাধন করিয়াছে। যৌবনের দিশ্বিজর বগ্তটা আমাদের আঙ্জকালকার বাঙ্গলায় নেহাৎ অপরিচিত মাল নয়। তবে এখানে আমার ভয় হইতেছে হয়ত আমি আজ যা বলিয়৷ ধাইতোছ, বাহিরে লোকমুখে তার উদ্চো। ব্যাখ্য। ছড়াইয়। যাইবার খুবহ সম্ভাবন! রহিয়াছে

আমাদের দেশের বড় বড় লোকের ভিতরে বঞ্ষিমচন্ত্র, বিবেকা নন্ব, আশুতোষ মুখোপাধ্যা্, আর চিত্তরঞ্জন এই যে চারজন--এ দের মহত্ব সম্বন্ধে কোনই গোলমাল হইবার নয়। এরা প্রত্যেকেই বীর পুরুষ। এ'র! যে বীর একথা দিনের আলোর মত সত্য, সম্বন্ধে কোন সন্দেছ থাকিতে পারে না। ষে কোনে! দেশে ষে কোনে যুগে যে কোনে। সমাজে এই চার জন বীর, লোকজনের পুজা পাইবার উপযৃক্ত | কিন্ত আধার প্রশ্নটা হইতেছে, দেরকে বীর করিয়! ভুলিয়াছে কে !

আমরা এতই সংযম শিখিপ্াছি যে নিজেদের অস্তিত্ব, নিজেদেক ব্যক্তিত্ব কর্ধশক্তি গ্রচার করিতে একেবারেই নারাজ ভক্প পাছে আমাদের আধ্যাত্মিকতার ব্যাঘাত ঘটে! কিন্তু আমার হিবেচনায় মিজ

১৪১০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পণ্তন

স্পস্ট জলপ্রপাত উস টি পানি

নিজ ক্কৃতিত্ব কর্মদক্ষতা সঙ্থন্ধে জ্ঞান থাকাটা আধ্যাত্মিকতার অন্তরায় নয়। আত্মবিশ্বাস, আত্মশক্তির উপর শ্রদ্ধা, নিজ নিজ ক্ষমতা সম্বন্ধে আম্থ। রাখা এই সব চিজকে দাত্তিকতা, অহঙ্কার ইত্যাদি বলিয়! উড়াইয়া দিতে পারি না। আমার মতে এগুল! দোষ নয়, গুণ “অহঙ্কীর”-ই হইতেছে আধ্যাত্মিক উন্নতির বনিয়াদ। কাজেই যুবক ভারতকে আত্ম- চৈতন্তশীল, আত্মশক্তিপরায়ণ এবং আত্মক্কতিত্বে আস্বাবান দেখিতে আমি ইচ্ছা করি। আমার সঙ্গে আপনার! একমত হইবেন এরূপ আমি বিশ্বাস করি না! আমার মতে আপন।দেরকে টানিয়া আনা আমার মতলব নয়। তবে আমার বক্তব্য আওতাইয়া বাইতে আমি অধিকারী

বন্কিম-অস্ট! ১৯০৫ সন

বঙ্কিমচন্দ্র যুবক-বাঙ্গল! স্যন্টী করেন নাই যুবক বাঙ্গলাই বস্কিমকে গড়িয়া তুলিয়াছে। বাঙ্গলায় যৌবন-শক্তি ১৯*৫ সনে কেমন করিয়া জাগিয়াছিল, কেন জাশিয়াছিল, এসব প্পরত্বতত্বের খোজ করিবার সম্প্রতি দরকার নাই। একদিন যুবক ভারত জাগিয়া উঠ্িয়। দেখিল একটা জিনিষের তার অভাব। একটা মন্ত্র তার দরকার এই মন্ত্র হইতেছে "বন্দে মাতরম্‌।”

এটা ১৯৯৫ সনে প্রথম ছাপা হয় নাই এটাছাপা হয় আরও আগে সেই ১৮৮৫ কি ৮৬ সনে কিন্বা যুগের কোনো! এক ক্ষণে কিন্ত তখন বস্কিমকে কেউ বড় একটা পুছে নাই য্খন বঙ্কিমচন্দ্র মরিয়৷ ভূত হুইয়৷ গিয়াছিলেন তারও অনেককা'ল পরে বঙ্কিমের তলব পড়িয়াছিল। কে ডাকিয়াছিল? বুড়োর! নয়। যুবক ভারত, যুবক বাঙ্গলা বলিয়া উঠিল, "প্র একটা লোক আছে, মানুষের মত মানুষ, ওকে খাড়া করিয়া তুলিতে হইবে ।” বঙ্ষিমের বারা চরম অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন তার! কল্পনাও করিতে

*

১৪

যৌবনের দিখিজয় ৪৪ রঙ

25577225882 পারেন নাই ধে, যুবক ভারত, যুবক বাঙ্গলা একদিন বন্ধিমকে অত উপরে; আসন দিবেস্পঅতখানি মাথায় করিয়। রাঁখিবে।

বহ্ধিমচন্ত্র অনেকদিন বাচিয়া ছিলেন। তিনি বাঙ্গালার চিস্তাশক্িকে থুব তাজা নিরেট করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। তীর বীচিয়া থাক্লা- কালীন সাহিত্যসেবকগণ বঙ্কিমের সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন। বিস্ত কতটুকু করিতেন, পেই সব আলোচনার দৌড় কতটা, এসব কথা পাজি দেখিয়া বল! দরকার ঠার মরিবার পরও তার সম্বন্ধে অনেকে সমালোচন।ও *লিখিয়াহিলেন--একথা আমি অশ্বীকার করি না। ১৯৫ সনের আগে বঙ্কিমের পশার বাল! দেশে ছিল না একথা কেউ বলিকে না। ইস্কুল কলেজের ছেলেরা, নভেল-পড়া মেয়ের তার বই বালিশের নীচে লুকাইয়! রাখিয়া পড়িত।

কিন্তু সেই বহ্ধিঘম আর ১৯০৫ সনের বঙ্কিম এক জিনিষ নয়। বন্দেনাতরম্* আগুনের আ্রোতকে যুবক ভারত কোথায় লহ ঠেকাইবে তা আজও কেহ জানেনা সেহ বঙ্কিমী যুগের হোমরা চোমরারা তো কেউ ঠাহর করিতেই পারেন নাই বঙ্কিম তার নিজের যুগে যুবা। প্রবীণরা এই নবীনকে বেশী বরদাস্ত করিতে পারেন নাই।

যুবক ভারত, বাঙ্গলার যৌবনশক্তি বঙ্কিমচন্দ্রকে বাঙ্গলার মানুষের মধ্যে ছুনিফ্লার কাছে অদ্বিতীয় বীর বলিম্বা দাড় করাইয়। দিয়াছে বঙ্থিমচন্ত্র যুবক বাংলার অন্ততম শ্রেষ্ঠ আবিষ্ষার। বঙ্ছিম-দর্শন দিখিজমী বঙ্গীয় যৌবনের সর্বপ্রথম কীন্তিস্তস্ত।

রা লা পিসছিব্এউ পেস্ট রএস্তিস্টিি

বিবেকানন্দের বাঘ! চোখ

বিবেকানন্দ আমেরিকায় গিয়াছিলেন। সেখানে তার বক্তৃতার ফলে মাকিণ সমাজের কোন কোন মহলে ভারত সম্বন্ধে একটা সাড়। পড়ির।

১৯২ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

যার সে ১৮৯৩ হুইত্তে ১৮৯৫ সনের কথা। তার অনেকদিন পরে ১৯০২ সনে তিনি মারা যান। কিন্ত সে যুগের বাঙ্গালীর! বিবেকানন্দকে থোড়াই কেয়ার করিত বলিলে বেশী মিথ্যা বলা হয় কি? তখনকার দিনে বড় জোর তার নামে ছুই একটা বোঁডিং ঘর খোলা হইত। আর সেখানকার ছেলেদের যদি জিজ্ঞালা করা যাইত--”ওহে তোমরা কেমন আছ? তারা উত্তর করিত-_“ এখানে বিবেকানন্দ হয় কিনা জানিনা, কিন্ত উদরানন্দ মোটেই হয় না!” ধাঁকে একদিন অবতার বলিয়। বাঙ্গালী সমাজ পুজ। করিবে তাকে কতখানি ইজ্জত দিতে হয়, তা ১৯০২ সনের যুগের বাঙ্গালী জানিত না।

বিবেকানন্দের নামে সমিতি বা অন্তান্ঠ প্রতিষ্ঠান চলিতেছে আজ 'ভারতের সর্ধন্তর ডজনে ডজনে। বিবেকানন্দ-সাহিত্য প্রায় প্রত্যেক চিন্ত।শীল ভারতসস্তানই পাঠ করিয়া! থাকেন বিবেকানন্দের “দরিদ্র-নারায়ণ” বয়েৎ সেদিন মেয়ররূপে চিত্তরঞ্জন “মুন্সিপালাইজড* "“অফিসিয়ালাইজড” করিয়া নগর-শাসনের অন্ততম লক্ষোর মধ্যে খাড়া করিয়া দিয়াছেন আমর! এই শব্দটা বাঙ্গলার ঘরে ঘরে প্রচারিত করিয়! ছাড়িয়াছি।

আবার প্রশ্ন করিতেছি,--রামক্ষ-বিবেকানন্দের নামডাক কবে হইতে বাঙ্গালী সমাজে একট জীবন-শক্তিরূপে দীড়াইতে নুরু করিয়াছে? “আশ্রম”গুল। ফুলিয়া উঠিতে স্বর করিয়াছে কৰে হইতে? ঠিক ১৯০৫ সনেও নয়, আরও পরে। রামকৃষ্ণ মিশনের বাঁধিক বিবরণগুলো খাটিয়া অন্ক কষিয়া বলিয়৷ দেওয়া চলে। বোধ হুয় ১৯১০ সনের এদিকে ওদিকে রামক্কষ্-বিবেকানন্দ আন্দোলনের জোয়ার ছুটিতে আরম্ভ করিয়াছে এই আন্দোলনকে বাড়াইয়াছে কে?

যুবক বাঙ্গলা একট। মান্ষের মতন মানুষ খুঁজিতেছিল। একটা যাস্ষ খাড়া করিতে থেলে সে দর্শন জানে কিনা, ভাল সংস্কৃত ভার দখলে

যৌবনের দ্িথিজয় ১৯৩

আছে কিনা, লোকট। পণ্ডিত কিনা এসব দেখিবার প্রয়োজন করে না। বিবেকানন্দ দর্শন জানে কিনা যুবকবাঙ্গলা৷ খবর লইতে যায় নাই। দেখিয়।ছিল, তার বাঘ! বাঘা চোখ ছুটে1। ব্যন্, আর কুছ পরোয়া নাই! তার প্র সিংহের মতন পরাক্রম এই হইলেই চলিবে এর বেশী কিছু দকার নাই যে মানষট1 বলিবে*-_

“পরাক্রমের মুণ্ি আমি,- সর্বশ্রেষ্ঠ নামে মোরে জানে লোকে ধরাতে,

জেতা আমি বিশ্বজয়ী,-_-জন্ম আমার দিকে দিকে বিজয়কেতন উড়াতে”, সে সংস্কৃত ফাশী জানে কিনা তা ভাবিবার প্রয়োজন করে ন।।

আমেরিকার খোল! আসরে দীড়াইয়! প্রথম যেদিন এক গোলামের

বাচ্চা জোর গলায় সিংহবিক্রমে বলিছাছিল “ভারত কাহারও চাইতে ছোট নয়, সেও একটা হাতী ঘোড়া কিছু করিতে চাম়-_ছুনিয়ায় একট। নতুন কিছু করিয়া! ছাড়িবে”-ছনিম্না বুঝিয।ছিল যে জগতে যুগাস্তর আসিতেছে তার অনেক কাল পরে ১৯*৫ সনের যৃবক বাঞ্গল। ছুনিঘার আর সব জাতির সঙ্গে সমান অধিকারের দাবী লইয়! ঠাড়াইবার মতন ছঃসাহস দেখাইয়া ছিল তই বাঙ্গলার যৌবন-শক্তি এই “অহঙ্কারী” আত্মচৈতন্তশীল “দাস্তিকতার” প্রতিখু্তি কর্ম্মবীর “বাপকা বেটা” কে নিজেরই অবতাররূপে খু'জিয়া বাহির করিয়াছে বাঙ্গালী-যৌবনের দিখ্বিজয়ে বিবেকানন্দ এক বিপুল কাঁত্তিস্তম্ত |

যোৌবন-নিষ্ঠায় আশুতোৰ বাঙ্গালীর আর এক “বাপের বেট?” আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এখানে যত লোক উপস্থিত আছেন,--বাঙ্গলার অলিতে গলিতে যত উকিল ছু-পয়সা রোজগার করিতেছেন,--বাঙ্গালী সমাজে বি, এ, ফেল, বি পাশ, - গল্প-লেখক, সাংবাদিক, কেরাণী, মাষ্টার যা আছেন, তাহাদের ১৩

১৯৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

অনেকেই আশুতোষের কাছে খণী। এই আস্ততোষ বাঙলার জন্তা, বাঙ্গালীর জন্, শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ধাহ! করিয়া গিয়াছেন পূ্ধবন্তী পঞ্চাশ বৎসরের ইতিহাসে আর কোনে ব্যক্তি একলা তেমনটি করিতে পারেন নাই। এইরূপই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি শ্রীকে গ্রীক পেরিক্লেষ বা ফরাসী নেপোলিয়নের মতই জবরদস্ত ছগ্ভে কর্ম্বীর রূপে জগতের “পুজাস্থান” বিবেচনা করি। এখন আমার প্রশ্ন হইতেছে, “আশ্ততোষ আমাদেরকে সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন, না, আমরা আশুতোষকে স্থাষ্টি করিয়াছি ?”

১৯০৫-_-১৯১* _-১৯১৫ দশকের বিশ্ববিদ্ভালয়ের খবর লইয়/ দেখুন আজ কলিকাতার বিশ্ববিদ্যালয় “সঙ্জানে*্__-ভারতে, এমন কি ইয়োরামে- রিকায়ও,___বাঙ্গালীকে বড় করিয়া তুলিয়! ধরিয়াছে, কমসে কম বড় করিয়া তুলিবার চেষ্টা করিতেছে।

বিশ্ববিদ্ভালয় আজ বাঙ্গালী জাতের অতি বড় ছুরাঁকাজ্জ' প্রচার করিয়াছে এই ছুরাকাজ্ষার আসল এবং সকলের চেয়ে সেরা উৎস হুইতেছেন আশুতোষ কিন্তু এই যে বাঙ্গালীর ছুরাকাজ্ছ হইয়া জগতের সামনে বাহির হুইয়! পড়িতে চেষ্টা_এ কবেকার কথা? অর্থাৎ বিশ্ববিগ্ভালয়ে আস্ততোষের কীতিযুগ কতদ্দিনকার জিনিষ?

আমার বিবেচনায় “আশ্ততোষের যুগ” মোটের উপর ১৯১৪-১৫ হইতে ১৯২৪-২৫ পধ্যস্ত। একটুকু খুলিয়া বল! দরকার ১৯১৮ সনের কথা মনে পড়িতেছে আমি তথন একদিন আমেরিকার নিউইয়র্কে পাবলিক লাইব্রেরীতে ইয়ান্কি, বিলাতী, ফরাসী, জার্ম্মাণ পত্রিকা ধারিতেছিলাম। হঠাৎ সব বিদেশী পগ্ডিত-পরিষদের মুখপত্রে বাঙ্গালীর লেখা আমার চোখে পড়িল। বাঙ্গালীর লেখ! আমেরিকা-ইংলগ্ডের কাগজে বাহির হইয়াছে-_-একথ! ভয়ানক আশ্চর্য্য বোধ হইল। তাও আবার একট!

যৌবনের দিখিজয় ১৯৫

ছুটা নয়। বছরের মধ্যে এই ধরণের গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রায় দশ বারট!। তখন দেখিতে আরম্ভ করিলাম, কোন্‌ তারিখের জিনিষ এসব। হিসাব করিয়া! দেখা গেল যে, মোটের উপর ১৯১৬-_১৭ সনের পেছনে জিনিষ ঠেলিগা দেওয়া যাঁয় নাঁ। সময় হইতে বাঙ্গল। দেশ জ্যান্ত ভাবে ছুনিয়ার জঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান করিতে চাহিয়াছে। এই যুগটাই আশুতোষের যুগ ১৯১৫ কি ১৬ তে এর পত্তন।

কলিকাতা বিশ্ববিদ্তালয় বাঙ্গলার কীর্তিস্তস্ত | কিন্তু কীর্তির স্থাপয়িত। কে? আশুতোষ ?--না। আমি বলিব, যুবক ভারত। যুবক বাঙ্গল৷ ১৯*৫ সনে জাগিয়াই বলিয়ছিল--“চাই আমরা শ্বরাজ, চাই আমর! স্বদেশী, চাই আমরা বয়কট আর চাই জাতীয় শিক্ষা” এই প্জাতীয় শিক্ষার” আন্দোলনটা! কি চিজ.? গোড়ার কথা হইতেছে,_-বাঙ্গলার যৌবন শক্তি ঝুঁঝয়াছিল যে, প্রাচীন ছনিরায় প্রাচীন ভারতের ঠীই আবিষ্কার করিতে হইবে এই শক্তি ইংরেজ জান্মীণ ত্যাদি পণ্ডিতদের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিবার প্রতিজ্ঞ করিয়াছিল সেই আন্দোলনের ছিতীদ্প সাধন। ছিল বর্তমান যুগের জ্ঞান-বিজ্ঞান, রসায়ন, তড়িৎ, পদার্থবিস্তা ইত্যাদি সবই বাঙ্গালীর নিজের কক্জায় আনিয়া কষি-শিল্সের উন্নতি কর! আর শিক্ষা-সাহিত্য-শিল্পের প্রতিষ্ঠান গুলাকে বাঙ্গালীর তাবে আনা-_-এহ ছিল যুবক বাঙ্গলার ভৃতীয় সংকল্প শ্বপ্র।

১৯০৫ হইতে ১* সন পর্যন্ত অসমসাহসিক যুবক বাঙ্গলা তুমুলভাবে আন্দোলন চালাইয়াছিল। আশুতোষ তখন ল'ইনে কিছু করিয়াছিলেন কি? বিশেষ কিছু করেন নাই | তিনি তখন যুবক বাংলার অনেক পেছনে পড়িয়াছিলেন। বাঙালী-যৌবনের দিখ্িজয় যে তাহাকে একদিন হিড় হিড় করিয়৷ টানিয়া লইয়া যাইবে, তাহা! তখনও তিনি ঠাওরাইতে পারেন নাই

১৯৬ নয় বাঙলার গোড়া পত্তন

কিন্ত ১৯৯৫-১* এই বছরগুলো আশ্ততোষের পক্ষে শিক্ষানবিশীর অবশ্থা। বাঙলার নাবালকদের কাগুকারখানা তাহ্াণকে নিবিড়ভাবে ভাবাইয়! তুলিয়াছিল। এই থে যৌবন-শক্তির প্রচেষ্টা এটা সম্ভব কি? তাই ছিল ভাবিবার কথ!। ১৯*৫ সনে তিনি আমাদের বিরোধী ছিলেন। অনেকেই কথা জানে কারণগুলা আলোচনা] করিবার দরকার নাই ভাবিতে ভাবিতে অনেক বছর কাটিয়া! গেল। আদল কথ! হইতেছে যুবক বাঙ্গলার কৃতিত্ব, ছুপাকাজ্্া, অসাধ্য সাধনের প্রয়াসই তাহার মনের উপর কাজ করিতেছিল। যুবক বাংলাই তাহাকে সাধনায় সিদ্ধি লাভের ন্ত্ আবিষ্কারের পথে চালাইগ্াছে,__আশুতোষকে সেনাপাত করিয়! তুলিয়া্ছে। তাহার ফলেই আজিকার বর্তমান বিশ্ববিদ্ভালয়। যুবক ভারতের নিকট আশুতোষের পরাজরটাহই আশুতোষের বীরত্বের ভিত্তি

যুবকযা চিস্তা করে, বুড়োরা তা ভাবিতে পারে না। নাবালক নায়কের পেছনে পেছনে থাকে বুড়োরা। ১৯*৫-৬ সনের “জাতীয় শিক্ষার” বাণী সেকালের বহু গণ্য-মান্ত বাঙালীর নিকটই অতি চরম কিছু মনে হইয়াছিল। কিন্তু ১৯*৫ সনে যুবক বাঙলা শিক্ষা-সাহিতা-বিজ্ঞান- শিল্পের আসরে যা কিছু চাহিয়াছিল, তার প্রায় সবই মাজ কলিকাতা বিশ্ববিগ্ঠালয়ে মজুদ দেখিতে পাহতেছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেকটা! নিম-জাতীয়” প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাই আশুতোষের মহত্ব। অবশ্ত আজ আবার অনেক দিকেই সংস্কার দরকার

তবুও একট! “কিস্ত” আছে যুবক বাংলার চরম কথা এখনে! এই বিশ্ববিদ্ভালয়ে নাই, কেন না সরকারের শাসন এখনে এই পাঠশালায় চলিতেছে আশুতোষ বিদ্যালয় হইতে গবমেণ্টের সন্বদ্ধ একেবারে রহিত করিয়া দিলেন না কেন? বিষয়ে “অসহযোগের” যুগে,-১৯২২ সনে বোধ হয় চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে ছু" একবার তাহার বচগ হয় সে সব কথা

যৌবনের দিথিজয় ১৯৭

আপনারা সকলেই জানেন। আমি তো বিদেশে বসিয়াই অল্পবিস্তর শুনিয়াছি। চিত্তরঞ্জন আশুতোষকে বলিয়াছিলেন, -“তুমি যি গভর্ণ- মেণ্টের সম্বন্ধ রহিত কর তবে কালই তোমার হাতে ছু'চার কোটা টাকা তুলিয়৷ দিব।” আস্ততোষ একথা বিশ্বাস করিতে পারেন নাই। আমি বলিতে চাই, বিশ্বা না করাই ঠিক হইয্াছিল,_-কাঁরণ, তথন অত টাকা! উঠিত না। 'আর উঠিলেও একমাত্র ছইকোটি চার কোটির জোরেই গোটা বাঙ্গলাদেশের জঙ্ জাতীয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলা সম্ভব- পর নয় বিশেষতঃ টেক্নিক্যাল শিক্ষার ব্যবস্থা কর! পাচ সাত দশটা তাজমহল গড়ার বরাত. যাক সেকথা মোটের উপর বুঝা গেল যে, শেষ পর্যন্ত আশুতোষ যুবক বাংলার সঙ্গে তালে তালে পা ফেলিয়াই চলিয়া! ছিলেন”-_-কেবল পারেন নাই সন্বন্ধটা টুটাইতে।

চিত্তরঞ্জনের গুরু,_যুবক বাজল।

এইবার চিন্তরঞ্জনের কথ! চিত্তরঞ্জন নামজাদ। হইয়া পড়িয়াছেন কবে হইতে ? ১৯০৫ সনে তাহাকে বড় বেশী জান যায় নাই। ১৯১৫ সনেও তিনি বাহিরে লোকের! তাহাকে চিনিত না তা নয়। যুবাদের সঙ্গে তাঁর লেন-দেন ছিল না| কথা বলিতেছি না বলিতেছি এই যে, যুবক বাংলার সঙ্গে তিনি তখনও খোলাযাঠে যোগ দিতে পারেন নাই। যে চিত্তরঞ্জন ১৯২৪-২৫ সনে গোটা বাঙ্গলার, গোট। ভারতের, গো! ছুনিয়ার--এক অদ্বিতীয় বীর সাব্যস্ত হইবে, কেল্লা ফতে করিবে অর সেই কেল্লার মধ্যেই বিজয়-গৌরবের অভিযান সহ জীবন উৎসর্গ করিবে সে চিন্তরঞ্জন তখনও বাহিরে ছিলেন। অঙ্ক কষিয়া বলিয়া দেওয়! চলে চিত্তরঞ্চন কবে আসরে নামিয়াছেন বা নামিতে বাধ্য হইয়াছেন

তথনও আবার আমি বিদেশে, ফ্রান্সে। একদিন কথ প্রসঙ্গে এক

১৯৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

গুজরাতী বন্ধুর নিকট বলিয়াছিলাম, বাঙ্গল৷ হইতে তো কোন লোকের সাড়। পাওয়া যাইতেছে না। বছ্ধুটি তৎক্ষণাৎ বলিয়া উঠিল,_-পক্যাঃ দাস বাবু নাম আপকা মালুম নাহি হায় ?” জিজ্ঞাস৷ করিলাম _দাস বাবুটি আবার কে? দাস তো বাঙ্গালায় কতই আছে। জবাব পাওয়া গেল,--দাস সাহেব, ব্যারিষ্টার থা, উষ্ক1 বছৎ প্রাকৃটিসথা। অনেক আলোচনার পর বাহির হুইল চিন্তরঞ্রনের নাম। চিত্তরঞ্জন জীবনের শেষ দিকে মাত্র ছুই তিন বৎসর নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে দেশের জন্ত উৎসর্গ করিয়। দিয়াছিলেন

কিন্ত আবার মজার কখা। তিনি যখন আসরে নামিয়াছিলেন তার বন্ধুরা, প্রবীণ বিজ্ঞেরা তার ছায়া! মাড়াইয্সাছিলেন কি? মাড়ান নাই। তিনি যুবার পাল্লায় পড়িয়া আসরে নামিনাছিলেন,__শেষ পধ্যস্ত যুবারাই তাহাকে অবতার করিয়া রাখিয়াছিল। তার ভাইনে বায়ে কেবল আঠার- বাইশ বছরের যুবা। নেতা হ'ল আঠার-বাইশ বছরের যৌবন-শক্তি। আর তারই পশ্চাতে থাকিয়া--অথব' তারই মুখপাত্র হইয়া চিত্তরঞ্রন “দেশ-বদ্ধু" ঈড়াইয়া গেলেন দিখ্িজরী বঙীয়-যৌবনের এক শ্রেষ্ঠ কীত্তিস্তস্ত চিন্তরঞ্জন। যুবক ভারতের কৃতিত্ব সম্বন্ধে আস্তরিক সাক্ষ্য চিত্তরঞ্জনের নিকট যত পাওয়া যাইতে পারিত, অত বোধ হয় আর কাহারও কাছে নয়।

সর্বত্রই দেখিতে পাইতেছি, যুবক ভারত প্রতিজ্ঞা করে যে, অসাধ্য সাধন করিতে হইবে তার! নিজে খাটিয়া, নিজের জীবনে পরখ করিয়া, নিজের] ভুগিয়! দেশকে দেখায়, কাজট। করিয়! তোলা নেহাৎ অসাধ্য নয়। তখন বড় লোকেরা আসিয়৷ তাদের সাথে যোগ দেয়। তখন আসিয়া তীরা বলেন,--"স্থী, কাজটা করিতে হইবে ।” এই হইতেছে ষৌবন-বিজ্ঞানের ধারা

যৌবনের দিথিজয় ১৯৪

০০ সি, মিঠা উস সস ্িছসসসলি্র

বৃহত্তর ভারতে রবীজ্জমনাথ

যাক্‌, এসব তো মরা বাঘের কথা বলিলাম। এখন একটা জ্যান্ত মানুষের কথা বল! ধাউক। বলিতে যদ্দিও ভয় হইতেছে, কেন ন! আপনাদের মেজাজ বুঝিয়! ওঠ! কঠিন রবি বাবুকে অনেক যুবক পছন্দ করেন না! তার কারণ অবশ্ত আমি জানি না, বুঝিতেও পারি ন1। কিন্ত আমর বিবেচনার রবি বাবু একজন সের! যুবা। যুবক বাঙ্গলার দিগবিজয়ে প্রথম কীততিস্তগ্ত বঙ্কিমচন্দ্র, দ্বিতীয় কীত্তিস্তস্ত বিবেকানন্দ, তৃতীয় আশুতোধ, চতুর্থ চিত্তরপ্কন। তেমনি আর এক কীনিন্তস্ত জ্যান্ত মানুষট1-- রবীন্দ্রনাথ এই সম্বন্ধে বেশী কিছু বলিব না। মাত্র ছু”একটা কথা বলিতে চাই গত বংসর এই রবীন্দ্রনাথ মরণাপন্ন হইয়া ' পড়িয়াছিলেন। কিন্তু কোথায়? ভারতে নদ--এশিয়ায় নয়,--সেই সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার পথে-_আটলার্টিক মহাসমুদ্রের বুকের উপর বদি রকম অবস্থায় ঘটনাচক্রে তীর মৃত্যু ঘটিত,-_-মরিলে ভাল হইত বা সুখের হইত ত৷ বলিতেছি না,--তাহা' হইলে বাঙ্গালী সমাজে যে একটা ৬৬ বছরের যুবা ছিল তা৷ ছুনিয়ার লোকে টের পাইত। কিন্ত তিনি সৌভাগ্যক্রমে মরিতে মরিতে মের হুয়ার হইতে ফিরিয়া আসিয়াছেন। এই ৬৬ বছরের প্রবীণকে যুব! তাজা নবীন বলিতেছি কেন? একে যৌবনধন্মের বড় খু'টা বিবেচনা করিতেছি কেন ?

সেই সুদুর আর্জেপ্টিনিয়া প্রদেশে তিনি যুবক ভারতের, যুবক বাঙ্গলার বাণী প্রচারিত করিতে ছুটিয়া যাইতেছিলেন। কোথায় চীন, কোথায় সুইডেন, সকলের সঙ্গেই বাঙ্গলীর যৌবন*শক্তির যোগাযোগ কায়েম করিবার আন্দোলনে তিনি নিজকে সজাগভাবে মোতায়েন রাখিয়াছেন

২০৩ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

এই কারবারে রবীন্দ্রনাথের বাহাছ্রী কোথায়? তিনি যুবক ভারতের ডাকে সাড়। দিতে পারিয়াছেন বলিয়া আর কোনে প্রবীণ ভারত-সম্তান তে! তা এখনে পারেন নাই। এইটাই রবীন্দ্রনাথের বিশেষত্ব

বিদে ভারতের প্রতিনিধি ভারি দরকারী, এই কথা যুবক ভারত লম্বা গলা করিয়া দেশের লোককে জানাইতেছে আজ দশ পনর বছর ধাঁরম্া। কৈ? লোকের কানে তে একথা! গিয! পশিতেছে না। যুবক ভারতকে ছুনিয়া নেমন্তন্ন পাঠাইতেছে, আহ্বান করিতেছে, “আয় তোরা আমাদের দেশে, তোদের প্রতিনিধি পাঠা, আমাদের দেশে ভারতীয় পরিষদ গড়িয়া! তোল্‌।” আমেরিকায় ভারতীয় প্রতিনিধি, ফ্রান্সে ভারতীয় প্রতিনিধি, ইংলগ্ডে ভারতীয় প্রতিনিধি পাঠান অতি আবস্তক। একথা নবীনেরা বলিতেছে, প্রবীণেরা তা বুঝিতে পারিতেছে না। আমেরিকা, জান্্নীণি, জাপান, ফ্রান্সের সঙ্গে মেলামেশা! করিয়া যুবক ভারত দেখাইতে চায় যে, ভারতসস্তান জাগিয়াছে। ভারতের বাহিরে যে সব উড়নচণ্ডী যুবক পড়িয়া রহিয়াছে, সেই সবকে দেশের লোক বোধ হয় *ভ্যাগাবও* বলে। কিন্ত এরা অনেকেই কাজের লোক তারা “বৃহত্তর ভারত” গড়িয়। তুলিয়াছে। তারা বিষয়ে আন্দোলন চালাইতেছে।

ওসব দেশে প্রতিনিধি রাখিয় আমরা একমাত্র রাজনৈতিক আন্দোলনই চালাইব একথা বলিতেছি না। ইংরেজের প্রতিনিধি ফ্রান্সে ঝ৷ ফ্রাব্সের প্রতিনিধি আমেরিকায় আছে। তার! কি রাঁজনৈতিক আন্দোলন চালায়? ইংরেজ প্রতিনিধি ফ্রান্সে বসিয়া বা ফ্রান্সের প্রতিনিধি আমেরিকায় বসিয়া কোনো দেশের সপক্ষে বা বিপক্ষে খবরের কাগজ চালায় না। অথচ তারা প্রত্যেক্যেই ধারে স্ুম্থে দিনের পর দিন, হপ্তার পর হপ্তা নিজ নিজ দেশের স্বার্থ পুষ্ট করিয়াই চলিয়াছে।

যৌবনের দিখিজয় ২০১

ছুনিয়র সর্ধত্র ইংরেজের প্রতিনিধি রহিয়াছে তারা সে সকল দেশে যা কিছু করে, আমাদের প্রতিনিধিরাও ঠিক তাহাই করিবে। এই রকম ভারতায় প্রতিনিধি মাসে ইয়েতে, নিউইয়কে, ইয়োকোহাযায়, হান্ুর্গে, লগুনে রোমে, পাঠাইতে হইবে ' ছুনিয়ার প্রতোক বিগ্ভার কেন্জ্রে এমনিতর ভারতীয় প্রতিনিধি থাক! চাইই চাই এই আন্দোলনে আর কেউ যোগ দিতে পারেন নাই। প্রবীণদের মধ্যে যর্দি কেউ যুবক ভারতের এই বৃহত্বর ভারত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সমঝিয়া থাকেন, বিদেশে 'ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এবং ভারতীয় প্রতিনিধি রাখিবার সার্থকতা, বিদেশীদের সাথে কম্ম চিস্ত।র বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিয়! থাকেন তবে সে এই রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথকে এইজন্য যুবক ভারতের, ফুবক দ্রনিয়/রহ প্রতিনিধি বিবেচনা করিতেছি রবান্দ্রনাথ ছাড়া অন্ত কোন প্রবীণকে সে ইজ্জৎ দিতে বড় শীত রাজি হইব কি ন! সন্দেহ

রক্ত করবীতে যুবার ইজ

রবিবাবু সম্বন্ধে আর একট। মাত্র কথা বলিতে চাই। বেশী সময় লইব না। তীর “রক্র-করবীর” কথা বলিতেছি। এইথানেও কবির উপর আমাদের ঘৌবনশক্তিরই জম্ন জরকার দেখিতে পাইতেছি। যে.সে হাড়ে রক্তের লাল বাহির হয় না। পে কেবল যৌবনের তাজা হাড়েই সম্ভব। রবীগ্রনাথ যুবা, যুবার সেবক ভক্ত। রবীন্দ্রনাথের অগ্থান্ত কীন্তির চেয়ে তাহার ফৌবন-গ্রীতি এবং যৌবন-নিষ্ঠা ছোট কথা নয়।

যুবা ছুনিয়ার বাণী রবীন্ত্র-নাহিত্যে প্রবেশ করিয়াছে জগতের যৌবনশক্তি ফরাসী কবিকে, জান্মীণ কবিকে, ইতালিয়ান কবিকে, ইংরেজ কবিকে, রুশ কবিকে, মাকিণ কবিকে, মানবঙ্গাতির পুনর্গঠন সম্বন্ধে নানা কথা শিখাইতেছে | সেই সকল কথারই কিছু কিছু রবিবাবুর

*২৩২, নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

কলানেও আসিয়া পৌছিয়াছে। আর কোনে! বাঙ্গালী বা ভারতীয় প্রবীণের সাহিত্যরচনায় তাহ! মুত্তি পাইতেছে কিনা সম্প্রতি আলোচনা করিব না কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মহত্বই এই যে, তিনি যৌবন-শক্তির অনুসরণে অভ্যন্ত স্থপটু। “রক্তকরবী” স্থপতি করিয়। তিনি ছুনিয়ায় যুবক বাঙলার ইজ্জৎ রক্ষা করিয়াছেন। যৌবন-শক্তির দিগ.বিজয় বাঙ্গলার যে সব উচ্চ কীর্তিস্তস্তে আত্মপ্রকাশ করিয়াছে তার ভিতর রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিত্ব অন্যতম

নিলজ্জ বেহায়ার মতন আমি অনেক বাজে বকিয়া যাইতেছি। এসব কথা আপনাদের কানে হম বিতিগিচ্ছিরি লাগিতেছে। কিন্ত আমার নিকট এসব কথ হর ছগুণে চারের মত প্রথম হ্বতঃ-সিদ্ধ।

চাই তরুণের আত্মটৈতন্য

বাঙলার যৌবনশক্তি বঙ্কিম-বিবেকানন্দের মত মরা লোকগুলাকে জ্যান্ত করিয়া তুলিয়াছে। আর আস্ততোষ-চিত্তরঞ্জনের মতন জ্যান্ত লোকেরা বাঞ্চলার যৌবনশক্তির প্রভাবেই যুবা হইয়া কাজ করিয়াছেন। রা মকলেই আজ এজগতে নাই। কিন্তু চোখের সামনে আমাদের যে অদ্বিতীয় বঙ্গসস্তান হাটে বাজারে নাচিয়া গাহিয়া কবিতা রচনা করিয়া বেড়াইতেছেন, তিনিও যুবক বাঙ্লারই এবং খানিকটা যুবক ছুনিয়ারও স্যঙ্ি। এই কয়ঞ্জন বাঙ্গালী বীরদের সম্বন্ধে যেসব কথ। বলা হইল আমার মতে কোনো মহা'পুরুষের পক্ষে এর চেয়ে বেশী গৌরবের কথা আর কিছুই হইতে পারে না। যে সকল লোককে যুবারা জ্যান্ত করিয়া রাখে অথবা যাহারা যুবাদের নিকট পরাজিত হইবার মতন শক্তি সাহস রাখে তাহারাই দুনিয়ার আসল বীরপুকুষ।

যৌবনের দিখিজয় ইজ

আজ ১৯২৬ সন। যুবক বাঙ্গলা ১৯৯৫ গড়িয়াছিল, ১৯১৯৫: গড়িয়াছিল।--এইভাবে পর পর প্রত্যেক মুহুর্তই গড়িয়া আসিয়াছে আজকেও তাঁকে আবার নৃতন একটা কিছু গড়িয়া তুলিতেই হইবে প্রবীণের কোনোদিন নবীনকে গড়ে নাই। চিরকালই প্রবীণেরা . নবীনদের পেছনে পেছনে ভদ্নে ভয়ে অগ্রসর হইয়াছে। আজও তাহাই হইবে।

এই আত্মচৈতন্ত, এই অহঙ্কার, এই ব্যক্তিত্ব-নিষ্ঠাই আজ যুবক ভারতের আবশ্ঠক। ১৯১৬ সনের যুবা সদর্পে বলুক,--”রে অতীত তুই আমার থুথু, তুই চরিয়া খা! রে ১৯০৫ হইতে ২৫, তোকে কল দেখাইতেছি। হোঁকে মিউজিরমে রাখিয়। দিব, তুই সেখানে আলমারীর কাচের মধ্যে সযত্বে তোলা থাকিবি, রে ভবিষাৎ, বর্তমানকে ভাঙিয়া টুকরো টুকৃরে! করিরা নূতন জাবন গড়িয়। তুলিতে পারিব কিন! জানি না, তবে আমাদের একমাত্র কর্তব্য অসাধ্য-সাধন |”

প্রথমেই বলির! রাঁখি,-১৯২৬ সনটা--১৯০৫ বা ১৯১৫এর মত অত সরল-সহঙ্জগ নয়। এটা অতি জটিলতাপুর্ণ। অনেক ভজকট আসিয়! জুটিয়াছে আমাদের জীবনে | আজ যুবার পক্ষে একটা কিছু করিতে হইলে অনেক কাঠখড়, অনেক তেলচ্ছন দরকার এযুগে অসাধ্যসাধনের কল্পনা কর! যারপরনাই কঠিন। এই জটিলতার ছুএকটা কথা এখনি আপনাদিগকে শুনাইতে চাই কিন্ত সশুনিলেই আপনারা বোধ হয় আমাকে একেবারে মারিযাই ফেলিবেন।

তথাকথিত ভারতীয় এঁক্য

প্রথম কথাটা হইতেছে এই যে,-ভারতবর্ষয এক দেশ নয়। ভারতীয় শ্রক্য একটা মিথ্যা কথা ১৯৯৫ সনের আগে এবং পরে আজ পর্যন্ত

২০৪ লয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

আমরা এই মিথ্যাটা মুখস্থ করিয়া আসিয়াছি। কিন্তু একট৷ নয়া সত্যের সঙ্গে ১৯২৬ সনের যুবক ভারতকে পরিচিত হইতে হইবে, এতে অভ্যস্ত হইতে হইবে বাঙ্গালীর সঙ্গে ত্রিবান্কুরের একপ্রকার কোন মিল নাই মারাঠীর৷ তেলেও বোঝে ন।, বুঝিতে পারে না। পাঞ্জাবীর। মান্দ্রাত্সীকে বোঝে না, বুঝিতে পারে না। তাই বলিব এই এঁক্য--এই ভারতীয় ্রক্যের কথ। একট। বোল মাত্র। আসল বস্তনিষ্ঠার দ্রিক দিয়। সমন্তার দিকে অগ্রসর হইলে বলিতে বাধ্য হইব যে,_ইয়োরোপ ষদ্দি এক দেশ হয়, পর্তভ, গাল বদি রুশিয়াকে ভাই ভাই রূপে আলিঙ্গন করিতে পারে, তবেই ভারতবর্ষের পক্ষেও একদেশরূপে বিবুত হইবার দাবী চলিতে পারে

এতদ্দিন দেশের জননায়কেরা দেশের লোককে থা শিখাইয়াছে তার গোড়ায় গলদ। ভারতৎ্ষ এক দেশ নয়, ভারতীয় শ্রক্য মিথ্যা কথা। এই তথ্যটা ১৯২৬ সনে আজ যুবক ভারতকে বেমালুম হজম করিয়া লইতে হইবে এই নিরেট তথ্যের সঙ্গে খাপ খায় এমন একটা নয়া যৌবন-বিজ্ঞান আজ নবীন ভারতকে গড়িয়া তুলিতে হুইবে।

তথাকথিত প্রাদেশিক এঁক্য

১৯২৬ সনের দ্বিতীয় বাণীও এই স্থরেই গাঁথা গোটা ভারতে ্রক্য বীকা তো দুরের কথা, এর এক একটা প্রদেশের মধ্যেও এক্য নাই। চি এঁক্য বলিয়া কোন জিনিষ কোনে। প্রদেশেই দেখিতে পাওয়। |না। ১৯০৫ সনে এই এক্যট। প্রথম ম্বতঃসিদ্ধবপে ধরিয়া লওয়া -ইইয়াছিল। মগুর-মনিব, জমিদার-রায়ত, বড়লোক-গরীব লোক, সবাই একসঙ্গে নাচানাচি করিবার ভাণ করিয়াছিল। কিন্ত আজ সকলেই

যৌবনের দিথিজয় ২০৫

জানে যে ছুয়ের মিলন কোনদিনই ঘটে নাই, ঘটিতে পারিবে কিনা বলা মুক্কিল। সেদিন আমরা গাহিয়াছিলাম £-_ “ও আমার দেশের মাটি তোমার পরেই ঠেকাই মাথা, তোমাতেই বিশ্বমরীর বিশ্বমায়ের আচল পাতা)”

কি “রাজা”, কি পপ্রজ।”, কি জমিদাও, কি কিষাণ, কি মালিক, কি যজুর সকলে এক সাথে মিলিয়া থাংলার বারোয়ারী-তগায় দাড়াইয়! মাথা নত করিয়া ১৯০৫ সনে এই গান গাহিয়াছিল।

আজ ২৯২৬ সন। যুবক ভারতের চোখ খুলিয়। গিয়াছে একমাত্র “ভন্তিযোগে” আজকাল চলে নাঁ। বেশ মালুম হইয্াছে যে, জমিদারে কিষাণে কোনরূপ দোক্তি দেখা যাইতেছে না। যদি দেখা যায় তবে সে একটা অতিবড আশ্চর্য রকমের জিশিষ হইবে সন্দেহ নাই | তেমনি মন্তুর মালিকের মধ্যে কোন রফার সম্থ।বপাও দেখিতে পাইতেছি না। গান আজও গাই বর্টে, কিন্ত গানের “যুগ” আর নাই কেঠো সত্য গুলা আমাদের দুয়ারে ঘা মারিতেছে।

১৯০৫ সন নয়, রীতিমত ১৯২৬ সন মজুরদিগকে মনিবের খাস তালুকের প্রজা ঠাধিবার, তাদের তবিয়ৎ মাফিক তৈরী করিবার, খাসের অনুচর ভাববার দিন আর নাই! সেসব দিন চলিয়া গিয়াছে। যুবক ভারতকে, যুবক বাঙ্গলাকে এই পরিবন্তিত রঙ্গমঞ্জে দীড়াইয়া ভাগ নয়া যৌবন-দর্শন গড়িপা তুলিতে হইবে আজ সঙ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন জাতের, ভিন্ন ভিন্ন ভাবা, ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের ইজ্জৎ ঘোষণা কগিবার দিন আসিয়াছে বে লোক তিন হাজার টাকার চাকরী করে সেকি আর প্র ত্রিশ টাকার কেরাণীকে ভা বলিয়। ভাবিতে পারিবে? চার সাথে হাত মিলাইতে সমর্থ হইবে? “ভক্তিযোগ" আর গানের যুগে আমরা ভাবিতাম সব সম্ভব। আজ জানি, সম্ভব নয়।

২৪৬ নয় বাজার গোড়া পত্তন

একভার পথ অনৈকে

এইবার তৃতীয় জটালতার কথা বলিতেছি। সেটা এই যে,-_-একতা জিনিষট। অভি-কিছু নয়। কথায় কথায় এক্য, একতা লইয়! লাফালাফি কর! বেকুবি। এঁক্য একট! হাতী-ঘোড়া নয়। অনৈক্য দ্বারাও বথার্থ শক্তির স্যষ্টি হইতে পারে। আর সেই শক্তিই দরকার হইলে অনৈক্যের ভিতর এক্য আনিয়া দিতে পারে যার সাথে যার মেলে না, কোন দিন মিলিবার সম্তাবনা আছে কিনা সন্দেহ--শুধু একটা কথার খাতিরে তাদের প্ক্য ফলানে। বিড়ম্বন। মাত্র বারোয়ারীতলায় দাড়াইয়া হরিবোল বলিলে তাতে পোষাকী এক্য হইতে পারে। হরির লুটটা কুড়াইয়! খাইবার সময় পধ্যস্ত সেই এঁক্য বজায় থাকে, কিন্তু আসল ্রক্য তাতে গজায় না। কিষাণ-জমিদার, মালিক-মজুর, পয়সাওয়ালা লোক আর গরীব নরনারী, এদের কাহারো স্বার্থ কাহারো 'সাথে কোনো দিন মিল খাইবে কিনা কে জানে? “কাজেই অমিলের উপরই দর্শন গড়িয়া তুলিতে যাহার! সাহদী তাহারাই জীবনের দৌড় বাড়াইতে সমর্থ। কথায় কথায় এদের মধ্যে জোর জবরদক্তি করিয়া এঁক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা ঘোরতর আহম্মকী। আজ এই ১৯২৬ সনে সে ভাব্প্রবণতার দিন চলিয়া গিয়াছে ছুনির। বস্তনিষ্ঠার দিক দিয় প্রত্যেক লক্ষ্যের পানে অগ্রসর হইতেছে আর যুবক ভারতকেও অনৈক্যই হজম করিয়া লইতে হইবে। এই অনৈক্যের ভিতরেই আসল শক্তির £ইগুলোকে কেন্দ্রীভূত করিতে হইবে

রাষ্ট্রনীতিই একমাত্র পদার্থ নয়

চতুর্থ কথা,_রাষ্ট্রনীতি রাজনৈতিক আন্দোলনকে জীবনের

একমাত্র ধর্ম বিবেচনা! করা 'যাইতে পারে না। আমি একথা বলিতে

যৌবনের দিথিজয় ২০৭.

যাইতেছি না যে, রাষ্ট্রীয় শ্বাধীনতার আন্দোলনে আপনারা থাকিবেন না। বরং বলিব ষে,-স্রাস্ত্রীয় আন্দোলন আরও গভীর এবং নিবিড় ভাবে চলুক। পাঁচকোটা হিন্দু মুলমানের বাংলার কথা দ্ব'চার দশজন রাষ্রিকের মাথায় থাকিলে চলিবে না এই বাংলার বুকে অনেক রকম সম্প্রদায় আছে। বাংলার সাথে অনেক বিভিন্ন জাতির নানা লোকের সম্বন্ধ বিজড়িত আছে। এইসর গুলোকে এক সৃতোর মধ্য দিয়া পাশ করাইতে গেলে গুলাইম়! যাইবার সম্ভাবনা আছে। রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে তুমুল ভাবে দলাদলি চাই। নামজাদা কর্ম্মবীর নেতা বহুসংখ্যক নামা চাই আব প্রত্যেক দলের পেছনেই স্বার্থত্যাগ, বর্শশক্তি, উৎসাহ, আবেগ, বৌবনশক্তি সবই আবশ্তক। এই যে আজ ১৯২৬ সনে বিভিন্ন দল মাথা খাড়া করিয়া উঠিয়াছে এটা খুবই আশার কথা। ১৯৯৫ সনে দল একপ্রকার ছিলহ' না তখন মাত্র দুইটা দলের উৎপত্তি হস্ব হ'ব হইতেছিল। আজ তার জায়গামন পাঁচ সাতটা খাড়া হইয়াছে সবই ভাল কথা

কিন্ত আমার বক্তব্য এই যে.-_-বাংলার যৌবন-শক্তিকে একমাত্র রাষ্ট্রীয় আন্দোলনে ডুবিস্কা যাইতে দেওয়া কোনো মতেই বাঞ্ছনীয় নয়। আরও হাজার আন্দোলন আছে যুবক ভারতকে নূতন নৃতন কর্মক্ষেত্র স্যষ্টি করিয়া লইতে হইবে। চাই বৈচিত্র্য, চাই কর্মদক্ষতার বিভিন্ন প্রয়াস-কেন্ত্র

আধথিক আন্দোলন ১৯২৬ সনের কাজের জন্ত ১৯৯৫ বা! ১৫এর চাইতে গুণতিতে বেশী কর্শবীর যৌবনবীর দরকার মাত্র একট! আন্দোলনের কখা বলিব। পাঁচলাখ নভুন “মজুর” গড়িয়া ভুলিতে হইবে পঞ্চাশহাজার মধ্যবিদ্ধের জন্য নতুন নতুন অন্ন সংস্থানের পথ করিয়া দিতে হইবে। তার জন্ত মাথা

২০৮ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

ঘামানো! চাই। দেশব্যাপী দারিদ্র্যের দাওয়াই কি? নতুন আয়ের পথ স্থষ্টি করিতে হইলে কেবল ন্বার্থত্যাগ, আধ্যাত্মিকতার বক্তৃতায় চলিবে না। স্বার্থত্যাগের বক্ত.তা করা অতি সোজা তাহ। সকলেই পারে। শ্থার্থত্যাগ করাও নেহাৎ কঠিন কিছু নয়। কিস্তআয়ের পথ স্থপ্টি করিতে পারে কে? যার ট'্যাকে পুঁজি আছে, ধার কোমরে টাকার জোর আছে, কেবল সেই পারে। খুব বড় বড় দার্শনিকের বুখনি আমাদের প্রান সকলের মুখেই আছে আমরা বাক্যবীর তে। বটেই। কিন্ত আয়ের নতুন নতুন পথ স্থষ্টি করিতে আমরা অপারগ কঃ পন্থাঃ ? এর জন্য পুজির দরকার যে। সেই বস্ত আমাদের কই?

পুঁজিওয়ালা লোক ভারতের বাহিরে যদি পুঁজিওয়ালা লোক কোথাও থাকে তবে সে ইংলগ্ডে, আমেরিকায়, ফ্রান্সে, জার্মীণিতে দের গাটরীতে কিছু টাকা আছে। আজ এদেরকে ৰল ;--“ভারত- ভূমিতে লোহার খনি আছেঃ কয়লার খাদ আছে, বনজঙ্গল আছে, আর আছে লোকজন। তোরা তোদের দেশ থেকে কোটী কোটা টাকা আনিয়া! আমাদের মাটীতে গাড়িয়া ধা বড় বড় কল কারখান৷ গড়িয় তোল্‌। বড় বড় ব্যাঙ্ক সৌধ প্রতিষ্ঠা কর্‌। আমরাও খুদ কুড়াইয়! বিশ পঞ্চাশ লাখ টাক] তুলিয়া তোদের সঙ্গে সঙ্গেই কাজ করিয়া যাইব।” তাহা! হইলেই হাজার হাজার মজুরের আর চাষীর অবস্থা বদলাইতে আরম্ভ করিবে। আর এদের আথিক উন্নতি সুরু হইলেই মধ্যবিভ্তও খাইয়! বাচিবে। অধিকন্তঃ দেশের ভিতর যেখানে যেখানে টাকা আছে তারও কিছু-কিছু আসিয়া শ্বদেশী ব্যাঙ্ক আর বীম। প্রতিষ্ঠানে জমা হউক তাতেও আমাদের উদ্দেশ্য খানিকটা পুর্ণ হইতে পারে। কিন্ত তার পরিমাণ এত কম যে, বিদেশী পুজি ছাড়া বর্তমানে কিছুকাল পর্য্স্ত আমাদের আর উপায় নাই |

যৌবনের দিখিজয় ২০৯

বিদেশী পুঁজি নবীন ভারতীয় সভ্যতা

বন্তমান ভারত গিয়া তুলিঘ়াছে কে? নবীন বাংলাকে গড়িয়া তুলিক্াছে কে? কলিকাতাকে গড়িয়া তুপিস্বাছে কে? চোখের ঠুলি খুলিয়া দেখিলেই বুঝিতে পারিব যে._-আ।ম।দের দৌলতে এসব ঘটে নাই, এসব ইংলগ্ের টাকায় গড়ি উঠিয়াছে! আপনারা একথা শুনিয়া আমাকে জবাহ কিয় ফ্েলিতে পাবেন। কিন্তু আমি তবুও বলিব যে, ইংরেজেব মুণরন এদেশে না খাটাইলে অথবা মূলধনের আশ্রয়ে ভা1গতীন মুলপন পরিচালিত না হঈলে হ।ওড়। ছেশন দিনা, বেলেঘাট। দিয়! শিপালদহের পথে লাখ লাখ ডেলী প্যাসে্সার রোজ য।তায়াত করিত না বাঙগ'পীর মত নাই) 'ভারতব।সাব ক্ষমতা নাই এত বড় বড় কাবার চাল: 1 কোনে কোনো স্থানে ঢাকা থ।কিপেও আমাদের সাহস, যেগাতা এবং কম্মশতি নাহ প্রা সকল ভারত-সন্তানেরই অবস্থা একরপ

'আব একটা প্রশ্ন করিতেছি ক্লিকাতার বুকে বড় বড় কারখানা চলিতেছে, আর ভা হাজ।র হাজার লোক প্রন্তপ।লিত হইতেছে বাংলার কত শত মব্যবিনুড পরিব।রের অন্গলংস্থ!ণ হইতেছে এইসব কল-কারখানার কারবাণ, যেখানে হজাপ হাজ!র বাঙ্গালার রোজগারের পথ হষ্ঈটদ্লাছে, সব কার টাকাদ চলিদাছে ? হংরেগের পুজিতে | বী সব নিদেশব কল-কারথানাক় বাঙ্গালী কাঙ্গ করিয়া তার দরিদ্র সংসারকে প্রতিপালন করিতেছে ; বর্তমান বাঙালী জানির ভাত-কাপড়ঃ শিক্ষা-দীক্ষা, সাহিত্য, সংবাদপন্, পাঁপ্রনৈত্তিক আন্দোলন, এহ সমুদয়ের পশ্চাতে দেখিতেছি এই 1বদেশী পুজি অথবা বিদেশী-নিয়ন্ত্রিত ভারতীয় মূলধন :

ধ্‌খ নয শী থে

১৪

২১৫ নয়৷! বাজলার গোড়া পত্তন

আপনার সজ্জানে বিচার করিয়া! দেখুন আজ এই পঞ্চাশ বছর ধরিয়া বাংলার মধ্যবিভ হাজার হাজার পরিবারে অন্ন যৌগাইতেছে কে? বাংলার “ভদ্রলোক”-সমাজ এতদিন ধরিয়! বিদেশীর মূলধন হজম করিয়! মান্য হইয়। আসিতেছে না কি?

আমার মতে আরও বেশ কিছু কাল বিদেশীর পুঁজি আমাদেরকে হজম করিতে হইবে, তাহাতে আমাদের মাথ। যতখানিই হেট হইয়া পড়ক না কেন। বিদেশীর মূলধন এদেশে থাকিলে আমাদের দেশের ধনা বড় বড় লোকদের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটিবে, একথা জানি কিন্তু আজ এর চাইতেও বড় কথা! ভাবিতে হইবে এই মুষ্টিমেয় ধনী সম্প্রদায় ছাড় বাংলার লক্ষ লক্ষ নিরন্ন কুটারবাসীর,--আমার আপনার মত আধ- পেট-খাওয়! অসংখ্য মধ্যবিভ্তের--আর মজুর-চাষীর কথা:তাবিতে হইবে এর প্রধান উপায় বিদেশী মূলধন | এই বিদেশীর গ্লাটরীর'টাকাই বাংলা- ভূমিকে নু'জলা সুফল! শম্তশ্টামলা করিয়া তুলিবে। ১৯২৬ সনের যুবক বাংলাকে বিদেশীর নিকট মাথা! নোয়াইয়া নির্মম কঠিন কঠোরভাবে বাস্তব সত্যট। “বরদাস্ত করিতে হহবে। পারিবে কি? বুকের পাট।

চাই।

স্বরাজ-সাধনার নয়। সমস্যা

আজ দেশের আথিক উন্নতি করিতে হইলে, দরিদ্র দেশের হাওয়া বদলাইতে হইলে ত্র বিদেশীর অর্থের পানে চাহিতে হইবে স্বদেশ আন্দেলনের জন্ত বিদেশ হইতে পুজি আনিতে হইবে। বিদেশী পুজিই আব্রকালকার অবস্থায় যুবক ভারতের মন্ত বড় উদ্ধারকর্তী। নেহাৎ ঠোঁট-কাটার মতন কথাটা বলিয়া যাইতেছি। ব্রিটাশ পু'জির সঙ্গে আরও কিছুকাল যুবক ভারতের কুণিশ করিয়া চলিতে হুইবে,-_তাহাতে

যৌবনের দিথিজয় ২১১

ভারতের জাতীয় সম্মানে আঘাত পাইলেও ক্ষতি নাই | শীঘ্র শীঘ্র শ্বদেশী মূলধন যথোচিত পরিমাণে গড়িয়া তুলিবার ক্ষমতা আমাদের দেখা যাইতেছে না যে!

এখন প্রশ্ন হইতেছে, বিদেশী মূলধন এদেশে রাখিতে গেলে স্বরাজ আন্দোলন্টা কোথায গিয়া দঈাড়াইবে? শ্বরাজ আন্দোলন তাহা হইলে চলিবে কি? আমার তে বিশ্বাস দুইটা কিছু কিছু পরস্পর-বিরোধী জিনিষ, আবার কিছু কিছু পরস্পব-সহায়কও বটে। বিষয়ে সম্প্রতি আর কিছু বলিব না। কিন্ত ভারতের আথিক বনিঘ্লাদের গথনি শান্ত কারতে চাহিলে তাহার ভিতর যন্তখান বিধোধ আছে সেটাকে এড়াইতে গেলে চলিবে না। কথাটা খুব গভীরভাবে ভাবিয়৷ দেখ। দরকার। ঢনিগা বড় সোজা চিজ নয় | এই সমন্ত বিরোধ, এই সব কাঠিন্ত বা ছুর্ণতির কথা নিরেট সতোর তরফ হইতে আলোচনা করিতে হইবে। গভীর5ম নৈরাশ্যকে হঙ্ম করি তাহার উপর আশার বাণী প্রত্তিষিত করা চাই | পৌজামিল রাখিলে 2কিতে হইবে

চাই লাখ লাগ নতুন সজ্ববদ্ধ যঙ্গুরের আগ্ন। মজুদের পেটে ভাত জুটিলেই চাষীদের আথিক টন্নতি ঘর্টিতে থাকিবে আর কেগাণী- কন্মচারীদেব অনসংস্থান মজু'দেএ শু|বৃদ্ধির সঙ্গেই জড়িত। মজুরদের পেছন পেছন হুরাজও ছুর্টিতে খাকিণে। ঘুবক ভারত, ভাবো মজুর" স্থটি মজুর-পুঠির কথা। মধ্যবিভ্তের পথ আপনাআপনিহ পরক্ষার হইয়া 'আসিবে। আজ মজুরদের একমাত্র অথবা সর্বপ্রধান অনদাতা বিদেশী মুলধন। ': এভ বিদেশী মূলধনের ঠেলাদ্ুই ভারতে ম্বরাজ আসিয়া হাজির হইবে ্‌

* হুদেশী পুভির বিধাশ সম্বদ্ধে "ব্যাঙ্ক -গঠন দেশোন্নতি” অধ্যায় অঙ্টব্য।

২১২ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

অন্ধের মতন নয়,-সম্ভানে খোলা চোখে এই সকল নিরানন্দময় বিষাদপূর্ণ কেঠো সত্যগুলা নিজ রক্তের সঙ্গে মিলাইয়া তবে যুবক ভারতকে নবীন ছুনিয়া গড়িবার সাহম দেখাইতে হইবে ভারতীয় ফৌবনের দ্িগ্থিজয়-ধাঁরা ১৯২৬ সনের এই বিপুল সংশয়-পর্বতকে লঙ্ঘন করিতে পারিবে কি? আগেকার দিনের মতন আজও আবার যুবক ভারত বলিতে সাহস রাখে কি যে, “পরাক্রমের মৃত্তি আমি, সর্বশ্রেষ্ঠ নামে মোরে লেকে জানে ধরাতে, জেত! আমি বিশ্বজয়ী,*_ জন্ম আমার দিকে দ্রিকে বিজয়কে তন উড়াতে ?” __তারই উপর নির্ভর করিতেছে ভারতের আগামী তিন ব্সর।

ত্যাদড়ের দর্শন *

ধাবা আমাকে জানেন তারা এইটুকু জানেন যে, আমি শুদ্ধ ভাষার ধার ধারনা। এতাদন ছিল “গ্ররু-চাগ্ডালী,” সেইটে চরমে উঠিয়াছে এখন চেষ্টায় আছি ভাষাটাকে যোণ আন! চ।গালীতে পরিণত করিতে পা কি ন! তা দেখিতে কাজেই ধারা সংস্কতালী শব্ধ শুনিবার জন্য প্রস্তুত হইয়া বসিঘা আছেন, ভাদের কিছুকাণ কানে হাত দিয়া থাকা ভাল।

হিন্দু হষ্টেলের আড্ডা

হিন্দু হষ্টেণের আড্ডা গুলি আপনাদের কাছে কি রকম লাগে জানি না, বিগ আমার কাছে খুব ভাণহ লগখিহ। কেবল যে ভাল লাগিত তা নদ, গুপিকে আম যুবক বাংলার জীবনকেন্ত্র সমঝিতে অভ্যন্ত এই হিশু হঞটেলে আমরা অনেক সময় 'গগুমী কাঁরয়াছি। এখানকার “আলগা ঝোল” খাই মানুষ হইয়াছে বংলা দেশেপ অনেক লোক। এখানকার গ্রাকুর-টাকরের সঙ্গে ঝগড়া করে নাহ এমন কেহ এখনে আসিয়াছে কিনা জানিনা তাগপর, আমাকে আপনারা মাপ করিবেন, স্থপারিণ্টেগ্ডেন্টের সঙ্গে ঝগড়া করে নাই এমন কোন বাঙ্গলী ছাত্র হিন্দু হষ্টেলে বোধ হর কোন দিনই ছিল না। এই ধরণের যতকিছু অ।পনারা আজকাল করিতেছেন, নায় কুঁজো৷ ছুঁড়িয়া লড়াই পর্যযন্ত,_-২২২ বংসর আগে আমরা ঠিক তাই করিয়াছি।

* কলিকাতা! ইডেন হিন্গু হষ্টরেলের বাধিক মিলনোপলক্ষে নণ্ভাপতির অভিষ্ভাষণ ( সেপটেম্বর ১৯২৬ )। ইন্তকুমীর চৌধুরীর লওয়! শর্টহাণ্ড বৃতাতত।

২১৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

হিন্দু হ্টেলের এসব গুণ আছেই, চিরকালই থাকিবে আমার কাছে হিন্দু হষ্টেল আরও অন্তান্ত কারণে অতি প্রিয়। এই আড্ডাতেই, এখানকার আবহাওয়াতেই আমরা ১৯০৫ সন কাটাইয়াছি। এখানকার আড্ডায় কান পাতিয়াই আমরা জাপানের কামান দাগা শুনিরাছি। কেমন করিয়া! জাপানের কামান এশিয়ার এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রান্ত পধ্যস্ত ছুটিরা যাইতেছে, সে সব আমরা এখানেই গুল্তান করিতে করিতে দেখিয়াছি এশিয়ার কামান কেমন করিয়া ইয়োরোপ ডিঙ্গাইয়া৷ আমেরিকার পোর্ট স্মাউথ শহরে গিরা এশিয়াবাসীর দিশ্িজয় সম্বন্ধে ডিক্রীজারি করিয়া ছাড়িয়াছে, তাও আমরা হিন্দু হষ্টেলের আড্ডাতে আড্ডাতেই শুনিয়াছি।

আড্ডাতেই আবার বাংলার ৭ই আগষ্ট আর ১৬ই অক্টোবর জগ্রিয়াছে। ভারতের সেই চির্রণীয় ১৯*৫কে আমর! এই হিন্দু হষ্টেলেই পায়দা করিয়াছি। তারই ফলে যুবক বাংলা, যুবক ভারত ইত্যাদি বস্ত। আর তারই ফলে আশুতোষ, চিত্তরঞ্জন ইত্যাদির বীরত্ব কতিত্ব, মহত্ব কাজেই হিন্দু হষ্টেলের আড্ড! কেবল আমারই জীবনের একটা বড় জিনিষ এরূপ নয়; এটা যুবক বাংলার জীবনস্থৃতিতে, তাঁর জীবনের গতি-ভঙ্গীতে একটা বড়-কিছু করিয়া গিয়াছে ভবিষ্যতেও হিন্দু হষ্টেল বাংলায় আর ভারতে বড় বড় অনেক-কিছু করিবে

ছে ড়ার। বুড়োদেরকে মানছে ন। কিছুদিন হইল আমার সঙ্গে একজন নামজাদা! জননায়কের কথা৷ হইতেছিল। তিনি বলিতেছিলেন--"ওরে বিনয়, আর কি সেদিন আছে? দেশের অবস্থা কেমন বুঝিতেছিস্‌ ?” আমি বলিলাম--“অবস্থ। বেশ ভালই মনে হইতেছে ।” তিনি বলিলেন--“তুই এতদিন

ত্যাদড়ের দর্শন ২১৫

বিদেশে লক্ষবন্ক করিয়া আসিয়া মনে করিতেছিস্‌ দেশ খুব বড় হইয়াছে আসল ব্যাপার বুঝিতে পারিতেছিস্‌ না। আজকালকার ছেশড়াগুলা বেয়াড়া, আমাদেরকে আর মানিতেছে না।” যেই তিনি একথা বলিলেন তখনি আমি বলিলাম--“যাঁক, বীচ গিয়াছে তাহা হইলে বুঝা ধাইতেছে যে, দেশট! আবার উন্নতির পথে অগ্রসর হইয়াছে। বুডোদের বিরুদ্ধে ছে'ড়ারা বিদ্রোহী হইতেছে ।”

ছোঁড়াদেব উপর বুড়োদের 'অত্য।চার কয় বছর ধরিয়া ভারতের এক প্রধান তথা কেবল শিক্ষা-কেজের আবহাওয়ায় নয়) গোটা যুবক ভারতের সকল কন্মরক্ষেত্রেই একট! প্রধান বিষ। প্রবীণেরা চেষ্টা করিতেণছ হ্োোঁডা গুলোকে কোন না কোন উপায়ে জন্দ করিতে হইবে। নবীন আর প্রবীণে লড়াই চলিয়াছে। প্রবীণেরা চেষ্টা করিতেছে নবীন যাতে মাথা না তুলিতে পারে, আর নবীনদের মধ্যেও গুটিকয়েক “ভাল ছেপে” আছে, তারা ৫০1৬০1৬৫ বৎসরের বুড়োরা যাকিছু বলিবে, তার মধ্যে হদ্ধ একটা দর্শন, ন| হয় বেদান্ত, না হয় গীতা, কিছুনা কিছু খু'ঁজিয়। বাহির করিবেই করিবে সুতরাং যখনই শী ন।মজাদ। জননায়ক মহাশয় বলিলেন--“হোড়ারা বড় ত্যাদড় হইয়াছে,” তক্ষুণি আমি বুঝিলাম -এবার তাহা হইলে আধ্যাত্মিক দাওয়াই কিছু বাহির হইয়াছে) তিনি দুঃখের সহিত বলিলেন_-“দ্যাখ তোদেরকে আমরা যাঁকিছু বলিতাম তোরা তাই করতিস। আজক!লক।র দিনের একটা ছেলেকে জিজ্ঞাস! করিয়া দ্যাখ, কোন একটা কাজের কথা বল্‌, কেহ গায় ভূলিবে ন11” শুনিবামাত্রই তাকে সোজানুজি ভাবে জবাব দিলাম, “এই যে ছোড়ার! আপনাদেরকে মানিতে চান না, বুঝিয়া রাখুন এইটিই আমাদের অধ্যাত্ম- জীবনের নবীন স্প্রভাত ছ্োড়ারা বদি আপনাদিগকে না মানে, আর আপনারা যদ্দি বুঝেন যে, এই ছ্োড়াদের পিছনে চলিয়া আপনারাও

২১৬ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

মানুষ হইবেন, তাহা! হইলে বুঝবিব, আপনারা এই বুড়ো বয়সে আবার যৌবনের জীবনট! চাখিয়! যাইতে পারিবেন |”

এই সব কথা আমার ভাল লাগে এই জন্য,_মাপ করিবেন “আমি” শব্দ ব্যবহার করিয়াছি, আমার নিজের কথা একটু বলিতেছি, বেরাড়া' ত্্যাদড় বলিলে যা বুঝার, ঘটনাচক্রে আমিও তাই। অনেকে আমার সম্বন্ধে মনে করিয়াছেন--“বিদেশ হইতে ফিরিরা আসিয়া লোকটা বখিয়! গিয়াছে ; আগে ছিল ভালই, আজকাল তাকে বুঝাই যাইতেছে ন1। ঠিক উপ্টো পথে যাইতেছে |” নিজের কৈফিয়ৎ শ্বরূপ আমি এইটুকু শুধু বলিতে চাই,--আত্মকাহিনী বল! উদ্দেপ্ত নয়-__১৭।১৮ বৎসর বয়স হইতে যাঁকিছু করিয়াছি অথবা প্রায় বার বৎসর বিদেশে থাকিবার সময় যা-কিছু করিয়াছি,-সবই ছাপার হরপে লেখা আছে,_-তার কিছুই অন্ত লোকে যা বলিয়াছে তার সঙ্গে এক প্রকার মেলে না। ১৯১৪ সনের আগেকার যুগেও সকল বিষয়েই বেয়াড়ামি ত্যাদড়ামি আমার ছিল।

আর এই বিদেশ-প্রবসের বার বছরও লোকজনের সঙ্গে অমিলেরই প্রকাণ্ড যুগ আমেরিকা, ফ্রান্স, জাম্মীণি, ইংলও, চীন, জাপান যেখানে যেখানে আমার ডাঁক পড়িয়াছে,_কি প্যারিসের “আকাদেমী”, কি বালিনের বিশ্ববিদ্থালয়,-_সর্ধত্রই লোকগুলো দেখিয়াছে_-“এই লোকট] যা কিছু বলিতেছে, কোন ফরাসী, জান্মাণ, বা আমেরিকান কখনও ভা বলে নাই। কেবল তা নয়, ভারতবর্ষের যত লোক বিদেশে গিয়! প্রাচ্য পাশ্চাত্য সভ্যতার আদর্শ লইয়া ৩৪০৫০ বৎসর ধরিয়া যাঁকিছু বলিয়াছে, এমন কি ভারতবাসী সম্বন্ধে যে মতামত তার' প্রচার করিয়াছে, তার সঙ্গেও এই লোকটার মিলে না।” আমার সঙ্গে কোন লোকের বনিবনাও হয় না মজার কথ সেই জন্ই ফরাসী, জাম্মাণ আমেরিকান, এর! আসিয়! ডাকিয়া বলিয়াছে--“তুই যা-কিছু বলিতেছিস্, বলিয়া যা

ত্যাদড়ের দর্শন ২১৭

তোকে আমাদের দুয়ার গুলো খুলিয়া দিতেছি আসরে বসিয়া য! পারিন্‌ বকিয়া যা। আর পারিস ছাপার হরপেও দাগ রাখিয়া যা কিছু কিছু। আর কেহ তেমন বলিতেছে ন1” আমিও তাদেরকে বলিয়াছি--"ব্যন্‌, সম্প্রতি আর কিছু আমি চাহ না। কেবল তোমাদের আসবে গ।হিয়া যাইবার * ধী নতাটুকু পাইলেই বন্তিয়া যাই ।”

লোকট। বখিয়! গিয়াছে

আমার বক্তব্য হইতেছে ত্যাদড়ামি। যেদিন হইতে শ্বদেশে পদার্পণ করিয়াছি, বোম্বে নামিবার পর হইতে যা-কিছু বলিয়াছি, ঘটনাচক্রে দেগিতেছি আমদের লোকের সঙ্গে মিলিতেছে না। ভারতের শ্বদেশ- সেনকেবা বলিন্তেছে_-“বিদেশী যূলধন আমাদের সর্বনাশ করিতেছে 1” আমি জেব্সে তাঁপ উল্টো বৃলিতেছি। আমি বলিতেছি, “বিদেশী পুজিই সম্প্রটি আণ৪ কিছুকাল ভারছেব উন্নতির একমাত্র না হোক মস্ত বড় উপায়” | দেশের ধাবা মহা পণ্ডিত লালা লাজপৎ রায়, পণ্ডিত মতিলাল নেহেরু প্রভৃতি সকলেই কৃষি কমিশনের বিরুদ্ধে বলিতেছেন সেদিন আমাকে যখন একজন কাগজ ওঘালা জিজ্ঞাসা কপিলেন- আমি তার উল্টো! বলিলাম বলিদ্লা দিল।ম-__কুধষি-কঘিশনে ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নাই 1” কারেন্সি কমিশনের রিপোর্ট বাহির হইয়াছে, বোম্বাইয়ের পুরুষোভ্তমদীন ঠাকুরদ!ন জম্বদ্ধে যে কথা বলিয়াছেন, আসমুদ্র- হিমাচল তাকেই ভারত-আ।আ্মার বাণা বলিয়া গ্রহণ করিরাছে | কিন্তু ছুর্ভাগ্যক্রমে আমি তীর বিরুদ্ধে মত দির়াছি। ত্যাদড়ের পাল্লায় পড়িয়া, আশা করি, আপনার! সে গ্রহণ করিবেন না!

বিশ-গচিশ বৎসরের ত্যযাদড়ামি 5? একদিনের নয় কাজেই আজকের সভাপত্তির অভিভাষণে শ্তদ্ধ ভাষা বলিতে একেবারেই অক্ষম, আর তা

২১৮ নয়া বাঙলার গোড়। পত্তন

ছাড়৷ ত্যাদড়ামি ভিন্ন অন্ত কিছু বকিয়! যাওয়াও কঠিন। আমি জানি না আপনাদের ধের্য্য থাকিবে কিনা গান-বাজনা আছে, হাসি-কৌতুক আছে, থিয়েটার আছে এই আবহাওয়ায় ত্যাদ্রড়ের গলাবাজি শুনিতে কেউ রাজি হইবেন কি? আমি অবশ্ত জোর জবরদস্তি করিয়া আপনাদেরকে বিরক্ত করিতে চাই না। এখানে না হর, আজ ন! হয়, আর কোথাও বা কোনদিন ত্যাদডামি জাহির করিবার স্থযোগ পাইবই পাইব।

গড্ভলিকণর দর্শন

প্রশ্ন হইতেছে, ত্যাদড়, বেয়াড়ী বস্তটা কি? বেয়াড়। অবস্ঠ একট! জানোয়ার সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। ত্যাদড় একট লোকও বটে। বেয়াড়ারা যে বেদান্ত প্রচার করে, সে বেদাস্তটা আসে কে।থেকে ? অতি সোজা ভাষায় বল৷ যাইতে পারে, বেয়াড়াকে তার উপ্টোর সঙ্গে তুলনা করিলে বস্তটা সহজেই পাকড়াও করা যাইবে

বেয়াড়া বলিতেছে-_“এই যে ছুনিয়! দেখিতেছ, এট! বড় মুখের বটে, কিন্ত এর চেয়ে আরও স্থখের একটা ছুনিয়! হইতে পারে কিন দেখা দরকার” বেয়াড়'র উল্টো যে, সে সব লাইনে চিন্তা করে না। সে সকাল বেল! উঠিয়া চা খাইয়া ঘণ্টাথানেক খবরের কাগজ পড়ে, ১০টা বাজিলে ঝিকে ডাকিয়া বলে “ঝি তেল লইয়া আয়, নাইবা'র বেলা হইল ।” ১০॥০টা ১১টায় তিনি আফিসে বাহির হইলেন €টায় ফিরিয়া আসিয়া কিছু জলযোগ করিয়া পান চিবাইতে চিবাইতে হেঁদ্দো কি গোলদিঘীতে গিয়। হয় “ফরওয়ার্ড” না হয় “অমৃতবাজার” কি “সার্ভেণ্টঃ লইয়! গল্পগুজব। ৮।*টায় আবার কোটরে প্রবেশ, ইত্যাদি জীবন মন্দ নয়, এতে নিন্দা করিবার কিছুই নাই, বেশ মোলায়েম বটে।

ত্যাদড়ের দর্শন ২১৯

এই হইতেছে একপ্রকার চিস্তা-প্রণালী, একপ্রকার দর্শন, একপ্রকার সাধনা এরকম চিস্তা-প্রণালীর লোক সর্ধত্রই দেখা যায়। মাথা ঘামাইবার দরকার হয় না। এতে হিসাব লাগে না। যা আছে, যা চলিতেছে দেইটেই “রীতি”, সেইটেই “নীতি”। তার বিবেচনায় হুনিয়া এই ভাবে তিন হাজার বৎসর ধরিয়া চলিয়াছে, আরো! তিন হাজার বৎসর এই ভাবে চলিবে এই পথের যাত্রী হইতেছেন গড্ডলিকা- প্রবাহের বৈজ্ঞানিক বা সনাতনপন্থী দার্শনিক

উ্যাদড়ের জগ্ৎ-কথা

নেয়াড়া, যে সে বলিবে--“এই সংসারট। স্থখের বটে, কিন্তু ছাড়াও আর একটা সংসার কায়েম হইতে পারে। যে ছুনিয়াতে আমি ঘুরিয়! বেড়াঈতেছি, তাহ! ছাড়া যে আর একট] ছুনিয়া! থাকিতে পারে না, তা আমি বলি কি করিয়া £ আমার রক্তমাংস বলিতেছে যে, আমার হাঁড়- গোড় বদলিঘা যাউবারু জন্ঠই তাঁর জন্ম ।” ত্যাদড় প্রথমেই সন্দেহ তুলিবে, বলিবে,--“এই পুথিবীট। ডান দিকে চলিতেছে, এটাকে ঝা দিকে বোধ হয় চালাইলে চালাইতে পারি।” ত্যাদড় বলিবে “পৃথিবীর মানচিত্রে ভারতের দক্ষিণে একট! সাগর, উত্তরে একটা পাহাড় আছে? কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরের এদিকে ভারত মহাসাগর না হইয়া আর এক জারগায় থাকিলে মহাভ।রতথানা পচিয়া যাইত কি? ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ পৃথিবীটাকে উল্টাইয়। পাণ্টাইয়া নতুন করিয়া একটু উ'চুতে তুলিয়া খরা যাইতে পরে কিন! দেখা দরকার |” ত্যাঁদড়ের হাতে সে ক্ষমতা আছে কিনা সে কথা সে আলোচনা করে না সে বলে মাত্র এই যে, পৃথিবীটার দক্ষিণ দিকে অত বড় মহাসমুদ্র না থাকিয়া অন্য কোথাও যদি থাকিত, তাহা হইলেও পৃথিবীটা চলিলেও চলিতে পারিত। ত্যাদড় বলিতেছে-.

২২১০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

হুড়মুড়িয়ে আটলান্টিক, তুই ছুটে” যাস্‌ কোথায় ? আয় তোরে বাধব নিয়ে এশিয়ার পায়। ভারতসাগর বুড়িয়ে গেছে জলে নাই তার নুুণ,

নুণ ন৷ পেয়ে পারশী হিন্দু চীনার হাড়ে ঘৃণ, ভারতসাগর ছেঁচে করব আটলান্টিকের খ'ল, সবার আগে চাঙা হয়ে উঠবে দেশ বাঙ্গাল।

বাঙালীর শারীরিক অসম্পুর্ণতা

ত্যাদড় বলিতেছে-_*বাঙ্গালী সোজা হৃইয় হাটিতে পারে ন!। সোজ। বসিতে পারে না। কুজো হইরা হাটে পাচ শ' ফরাসী, হাজার জাম্মাণ, ছু'হাজার ইংরেজ যখন ইস্কুলে যায়, রেন্‌ দেখে, থিয়েটার শোনে, ঘাড় সোজা করিয়া হাটে, বসে, চলাফেরা করে কিন্তু যখনই বাঙ্গালীর পাল দেখি, তখনই দেখি তারা চলিতেছে বেকে। কেন সে সোজ! হই দঈীডাইতে পারে না?” এখানে তাদড় বলিবে--*চিরকাল বাঙ্গালীকে বেঁকেই চলিতে হুইবে, তা বোধ হয় নাও হইতে পারে”। বাঙ্গালী যেখানে-সেখানে হাই তোলে, যখন-তখন আঙ্গুল মটকায়, নাক থোৌচায়, কানের ময়লা বাহির করিয়া শোকে, আর চেয়ারে বসিয়া আসনে বসিয়া হামেশা পা দোলাইতে থাকে তার না আছে কোন রকম শারীরিক স্থিরতা, না আছে দেহের দৃট়তা। ফরাসী, জান্মাণ, ইংরেজ, আমেরিকানদের মধ্যে দেখিবেন, রকম মুদ্রাদোষ নাই। বাঙ্গালীর সমাজে”_-তা৷ ছোট বড় সকল মহলেই,_অনেক আছে। এখানে ত্যাদড় বলিবে--“ভবিষ্যতের বাংলা সন্বদ্ধে একথা না খাটিতেও পারে ।”

ত্যাদড়ের দর্শন ২২১ চরিব্রহ্থীনতায় বাঙ্ালী

একজন বাঙ্গালী আর একজন বাঙ্গালীকে যত হিংসা! করে, একজন বাঙ্গালীর উন্নতিতে আর একজন বাঙ্গালী যত দুঃখিত হয়, কোন জান্মীণ বা ফরাসী তার স্বদেশবাসীর উন্নতিতে তত ছঃখিত হয় কি না সন্দেহ। আপনাদের ধিনি ষে মহলে আছেন, তিনি প্রতিদিন বোধ হয় সেই মহলের বাঙ্গালীর চরিত্রকথা সম্বন্ধে এই মতই প্রচার করিতে বাধ্য হহবেন। এমন কি, বিদেশেও বে-সকল বাঙ্গালী অঙ্গান্ত ভারতবাসী দেখিয়াছি, তাহাদের চরিত্র-সন্বন্ধে এই কথাই খাটে। বন্ধুতে বন্ধুতেও বাঙ্গালী সমাজে আন্তরিকতা নাই সর্ধব্রঈ লিপির প্যাচ, কুটিল স্বভাব। আমেরিকার, জাপানে, ফ্রান্সে, ভারতী প্রবাসীদেব মধ্যে দেখিবেন, কোঁনে। বাঙ্গালীব উন্নতিতে যাদ কেহ দুঃখিত হইতে হয়, তবে একমাত্র বাঙ্গালীই হইবে এখানে গডদ্রলিক বলিতেছে-'আ'মি বাঙ্গালী হইয়া জন্মিয়াছি, তাই থাকিব, যেমন চলিতেছি তেষন চলিব, যেমন করিতেছি তেমন করিব |” ষ্্যাদড় বলিতেছে_ণনা, পাঙ্গালীর ঘরে যত ভাই বোন, তারা হয়ত অগ্ক কোন প্রণালীতে ত!দেব জীবন: গড়িয়া তুলিলেও তুলিতে পাবে। অর্থাৎ বাংলার মাটী, ব'ংলার জপ, আর বাংলা বাযুতে চিরকাল একমাত্র কুটিল, বঞ্চগতি, পরুচরিজধ মানুষহ পায়দা হইবে একথা ঠিক না হইতে৪ পারে ।” বাঙ্গালীর চত্রিত্রে নীচতা, হিংসাপ্রিপ্নতা এবং পরভ্রকাতরতা গজাইগ়া উঠিবেই উঠিবে, একথা ত্যাদড় শ্বাকার করিতে প্রস্তত নর অন্ততঃপক্ষে সেরপ স্বীকার করাটা ত্যাদড়ের দর্শন নয়

দুনিয়ার পথে ভারত

সহজ কথায় ছু'চারটি বুখনি যদ্দি চালাইতে বেন, তাভলে বলিব বৌদ্ধ খষিরা যেমন সত্য চতুষ্টর্ের” কথা বলিয়া গিয়াছেন, আমিও তেমনি

নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

ত্যাদড়ামি-বেদান্তের পাঁচট সত্য সম্প্রতি প্রচার করিতে পারি। প্রথম- হুত্র নিম্নরূপ গড্ডলিকা ওয়ালার বলেন “ভারতবর্ষ ক্রমে জাহান্ন মে ষাইতেছে। ত্যাদড় বলিতেছে--“একথা ঠিক নয়, ভারত ছুনিয়ার পথেই চলিয়াছে।” আমি বাঙ্গালীর বাচ্চা, বিদেশে গিয়া যখন ইংলগু, আমেরিরা, চীন, জাপান, ফ্রান্স, জার্নাণি দেখিলাম, তখন একথা আমার মনে হয় নাই যে, ভারতবর্ষ জাহান্ন মে গিয়াছে বা যাইতেছে মনে হইয়াছে ঠিক উল্টো। দেখিয়াছি যে, ইয়োরোপ আমেরিকা ঠিক বে পথে চলিয়াছে, যে আদর্শে চলিয়াছে, গত একশত বৎসর ধরিয়া ভারতও সেই পথে চলিয়াছে। পশ্চিমের এসব দেশ আগে ক্ষি- প্রধান ছিল, এখন আস্তে আস্তে শিল্প-প্রধান, কারখান।-প্রধান, ষন্ত্র-প্রধান হইয়া! ধাড়াইয়াছে, আমাদের দেশেও ঠিক তাই হইয়াছে ইয়োরোপ আমেরিকার সর্বত্রই আগে পল্লীন্বরাজ ছিল সেগুলি ভাঙ্গিয়৷ চুরিয়া এখন সেখানে নতুন কিছু দীঁড়াইয়াছে। এই ভারতেও আজ পল্লীসমাজ ভাঙ্গিয়। চুরিয়। নতুন রকম জিনিষ গড়িয়া উঠিয়াছে। তেমনি রাষ্ত্ীয় জীবনে বিলাত বলিয়া কোন দেশ চিরকাল ছিল না, একটার জায়গায় পর্াশটা বিলাত ছিল। ফরাসী দেশে আড়াইশ রকমের বিভিন্ন আইনকানুন ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে ছিল একটু একটু করিয়৷ ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে এসব দেশ এখন “জাতিতে” পরিণত হইয়াছে আমাদের এখানেও রাট় বরেন্দ্র বঙ্গ সব ভাঙ্গিয়। চুরিয়া এখন একটা দান! বাধিয়া, উঠিয়াছে। সেই দানাটা পরাধীনতা সত্বেও ঠিক ফরাসী, জান্মীণ, ইংরেজের দাঁনারই মতন এক্য-গ্রথিত

| পরাধীনত বনাম স্বাধীনতা

আস্গি বলিতে চাহ, খাটি বাস্ত্রীয় পরাধীনত। থাক। সত্বেও--আশ্চধ্যের কথা, _ইয়োরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ যে পথে যে আদর্শে এবং বে,

ত্যাদড়ের দর্শন ২২৩

সভ্যতার দিকে ছুটিয়াছে, এই ভারত এবং বাংলাদেশও সেই পথ, লেই, আদর্শ এবং সেই সভ্যতার দিকেই ছুটিয়! চলিয়াছে বিষয়ে ত্যাদড়ের যে মত তা সাধারণ মতের ঠিক উল্টে! কেননা, পরাধীনজাতি, সে কিন! আজ সভ্যতার পথে চলিয়াছে ? সভা, উন্নত স্বাধীন দেশের লোকের! ষে প্রণালীতে ক।জ চালাইতেছে, এই পরাধীন দেশের লোকেরাও সেই প্রণালীতে কাজ চালাইতেছে, এটা কল্পনা! কর! পর্য্যন্ত গড্ডলিকা ওয়ালাদের পক্ষে কঠিন।" আমি বলিতে চাই যে-_হুনিয়ার পথ এক, সবাই ছুনিয়ার পথে চলিয়াছে। তাই বলিয়া ইংরেজের কাছাকাছি বাঙ্গালী আসিয়াছে, কি ফরাসীর কাছাকাছি মারাঠা আসিয়াছে অথবা জাম্মাণের কাছাকাছি পাঞ্জাবী আসিয়াছে ত1 বলিতেছি না। ভারত যদি আজ শ্বাধীন থাকিত তাহা হইলেও সভ্যতা, আদর্শ জীবনের যেরূপ গতি আজ দেখিতেছি তাই থাকিত, নতুন কিছু হইত ন!1। ভারত চরম স্বাধীনতা লাভ করিলেও এমন কিছু করিতে পারিবে না» যা ফরাসী, জান্মাণ ইংরেজ ইত্যাদি জাতির মধ্যে স্থষ্ট হয় নাই ব। হইবে ন।। ইয়োরোপেও শ্বাধীন এবং পরাধীন অথৰ। নিম-শ্বাধীন দেশ আছে। এশি়ায়ও স্বাধীন এবং পরাধীন দেশ আছে। জিজ্ঞাসা করি, জাপান শ্বাধীন থাকিরাও এমন কিছু অঘটন ঘটাইতে পারিয়াছে কি ষ! ইরোরোপ বা আমেরিক! পারে নাই? স্বাধীন জাপানী এবং পরাধীন বাঙ্গালী ছৃইয়ের অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান হিসাবে কোনে তফাৎ যদি আমাকে দেখাইতে পারেন, তাহ! হইলে বলিব -আমি - পর্য্যন্ত ষা-কিছু বলিয়াছি সবই আহাম্মুকী জাপানীরা এমন কিছু হাতীঘোড়া করে নাই,কোনো মার্কামারা পশ্চিমাদের অজান। নতুন পথে চলিতেছে না। জাপানী বাঙ্গালীতে তফাৎ এইটুকু. যে, ওদের মানোয়ারী জাহাজ আছে, আমাদের নাই, ওদের কব্জাতে উড়ো জাহাজ চলে, আমাদের উড়ো জাহাজ নাই, ওদের ট্যা্ক-'

নক্কা ০০৪ চা

২২৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

পণ্টন আছে, আমাদের নাই। তা! ছাড়া জীবনের আদর্শ, সভ্যতা, ভব্যতা, সমাজ, পল্লীর সঙ্গে সহরের সম্বন্ধ, ফ্যাক্টরীর সঙ্গে চাষের সম্বন্ধ-_- এসব বিষয়ে যাহা বাঙ্গালী, তাহা জাপানী, ধাহা জাপানী তাহা জার্্মাণ, বাহা৷ জাশ্মাণ তাহ ইংরেজ আমি বালতেছি-__-ভাঁরত পরাধীন, তবু সে হুনিয়ার পথেই চলিয়াছে, ভারত বর্তমান জগতেরই অন্যতম অঙ্গ 1 আজকান যে পথে চলিয়াছি স্বাধীন থাকিলেও আমরা সেই পথেই চলিতে থাকিব।

আর্থিক অবস্থায় অবনতির কোন চিহ্ন নাই

এইবার ছিতীর স্ৃত্র। গড্ডলিকা ওর।লা বলিতেছে--“আর্থিক হিসাবে ভারতের দারিদ্র্য দিন দিন বাড়িয়াই চলিয়াছে।” এখানে ত্যাদড়ামির দর্শন বলিতেছে-_“তা৷ ঠিক না হইতেও পারে! ভারতভূমি ক্রমে ক্রমে দরিদ্রতর হইতেছে, কষ্টাৎ কষ্টতরং গতা--একথা' প্রমাণ করা বড় সোজা কথ। নয়৷» সামান্ত সামান্ত ছু'একটা বস্তানষ্ঠ প্রমাণ দিয়া যাইতেছি। আমি যখন প্যারিসে যাই, দেখি কি? তোফ। বাড়ী, তোফা। ঘর, স্ব ট্রীম, স্বন্দর হোটেল। ফিটফাট লোকজন চলাফেরা করিতেছে, পোষাক- পরিচ্ছৰ সব চোস্ত ছুরস্ত, সুঠাম টেবিলের উপর নরনারী খাইতেছে ইত্যার্দি। আমরা বখন ইংলপগ্ডের এশ্রর্ধ্য মাঁপি তধন দেখি ওদের বাড়ীঘর কি রকম, জমি জোতের পরিমাণ-কি, কয়জন খায়, কি খায় ইত্যাদি। আমাদের দেশেও ধনৈশ্বয্য জরীপ কাবার ঠিক সেইরূপ প্রণালীই কায়েম কর। ধাউক | তাহা হইলে কি দেখিতে পাই ? চল্লিশ- পঞ্চাশ বছরের ভিতর ভারতের এবং বাংলাদেশের অবস্থা যে খার।প হইয়াছে তাহু। প্রমাণ করিবার মতন কোন চিহ্ন খুঁজিয়া পাই না। যে মাপে, যে প্রমাণে আমরা বলিয়া থাকি, ইংলও, জাশ্মাণি, ফ্রান্স, জাপান আর্থিক হিসাবে পঞ্চাশ-যাট বৎসর আগে যা ছিল তার চেয়ে উন্নতির

ত্যাদড়ের দর্শন ২২৫

পথে এগিয়ে যাইতেছে, ঠিক সেই প্রণালী সেই মাঁপকাহিতে ংলাদেশও উন্নতির নিকেই যাইতেছে, দারিদ্র্যের দিকে যাইতেছে না; মোগলাই-মারঠা আমলে অথব! মৌর্য্য-গ্রপ্ত আমলে ভারতে সোনার যুগ ছিল না। ইংরেজ, ফরাসী, জাশ্নীণরাও মধ্যযুগে বা প্রাটীনকালে আজকালকার চেয়ে বেশী সুখে ছিল না। কলের জল বালাম চাউল চোখে সামনে দেখুন, কলিকাতায় যারা আছে তার্দের জীবনের প্রধান জিনিষ হইছ্ডেছে কলের জল আর বালাম চাউল। এই ছুটি জিনিষ যার পেটে পড়ে তার “ভিটে মাটি উচ্ছন্ন যায়”, মতিগতি বিগড়িয়া যায়। রূপকের সাহায্যে বুঝিতে হইবে যে--“আধুনিকতা”, --সভ্যতা-ভব্যতা, শ্বাস্থ্যেন্নতি, কন্মদক্ষতা ইত্যাদি যে নকেন্দরে বাড়িয়া যাঁয় তারই ন!ম কলিকাতা কথা হইতেছে, এই ছটা জিনিষ আর্থিক সুখ-ম্বাচ্ছন্দ্যের চলনসই চাক্ষুষ বাস্তবগোছেরে মাপকাঠি জেলান্র জেলায় আপনাণ। মাপিয়। দেখুন_-নখ-ম্বাচ্ছন্দ্যের গুতিমুত্িত্বরাপ এই ছুটী জিনিষ অথবা! এই ছুটী জিনিষের মাসতুত ভাই-জাতীয় অন্ঠান্তি বস্ত বিগভ ত্রিশ-চলিশ-পঞ্চাশ বৎসরের ভিতর কত বাড়িয়াছে। ভ্রিশ- চল্লিশ-পঞ্চাশ বৎসর পুর্বে গে।টা বাংলাদেশে একটাও মিউনিসিপ্যালিটি ছিল না। না থাকার অথব। খারাপ থাকার মানে কি তা আমি ১৯১০-১২ সনে ঢাকায় চলাফেরা করিয়া বুঝিয়াছি। সেই মিডনিসি- প্যাঁলিটির সংখ্যা আজ যদি ১-৫ হইয়। থাকে অথবা ৫০্টার জায়গায় আজ যদি ১০০টী হইয়! থাঁকেঃ তাহলে কি বলিব যে, আর্থিক হিসাবে বাঙ্গালী

সমাজ অবনতির পথে যাইতেছে ? কেবল মিউনিসিপ্যালিটী নয়, যে-কোন লোকের পারবারের খবর

লইয়া! দেখ। যাইতে পরে ত্রিশ-চল্লিশ-পঞ্চাশ বৎসর আগে তার! কি খাইত, ১৫

২২৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

কোন্‌ কোন্‌ জিনিৰ কিনিত? এক শহর থেকে আর এক শহরে কিংব! এক পাড়। থেকে আর এক পাড়ায় তারা বছরে কতবার যাওয়া-আস! করিত? আর যাইতে হইলে তখন গরুর গাড়ীতে না নৌকায় যাওয়া! হইত? তার সঙ্গে তুলনায় সেই পরিবার আজকাল কি খায়, কি পরে ? এক শহর থেকে আর এক শহরে, এক পাড়! থেকে আর এক পাড়ায় কতবার যাওয়া আসা করে ? লোকের! আড্ডা মারিতে দেশ দেশাস্তরে যায় না, কাজ নিয়েই যায় বাংলাদেশের অনেক পল্লী শহরেই ফী বৎসর নতুন নতুন নিরেট বাড়ীঘর দু-চার খানা করিয়া মাথা তুলিতেছে। কাপড়- চোঁপড়ের আকার-প্রকার সমাজন্দ্ধ বাড়িয়া চলিয়াছে। সব জিনিস জীবন-যান্রার হিসাবে তুচ্ছ করা চলে না। ইংলগ প্রসূতি দেশের মত এদেশ সম্বন্ধেও হিসাব করিয়! যদি দেখি, আগে আমর! যতখানি চিঠি লেখালেখি করিতাম» যত লোঁক রেলে নৌকায় গরুর গাড়ীতে চড়িতাম, থিয়েটারে ধাইতাম, এখন তার চেয়ে বেশী লোক চিঠি লেখে, ট্রামে চড়ে, রেলে চলে, থিয়েটারে যায়, তাহলে কি বলিব আমাদের আর্থিক অবশ! অবনত হইয়াছে ? আগে যেখানে মাত্র পাঁচ জন লোক জাম! পরিত, এখন সেখানে যদি পঁচিশ জন লোঁক জাম! পরিতেছে, তাহলে কি বলিব আমাদের অবস্থ৷ অবনত হইয়াছে? আগে যেখানে ছু+ জন চপ কাটলেট খাইত-_ এখন সেখানে ছু'শ লোক যদি চপ কাটলেট খায়-_অর্থব্যয়ের অপব্যয়ের কথা বলিতেছি না, বস্তনিষ্ঠার দিক্‌ থেকে, টাক খরচ করিবার ক্ষমতার দিক্‌ থেকে বলিতেছি--তাহলে কি বলিব আর্থিক হিসাবে দেশ অবনত হইয়াছে? আগে তিনজন লোকের পয়সা ছিল, অতএব তার! ব্যয় করিত, এখন তিনশ লোকের পয়স! আছে তাই তার! খাইতে পারিতেছে, বাবুগিরিও করিতেছে এটা কি দারিজ্র্যের লক্ষণ, ক্রমিক অধোগতির সাক্ষী ?

ত্যাদড়ের দর্শন ২২৭

(এন রি এন রাইন

অর্থনৈতিক মতামতের ওলট-পালট অসম্ভব নর

আর্থিক হিসাবে আমরা অবনত হইতেছি--এই মতটা আমাদের দেশে গড্ডলিকার মত চলিয়া আমিতেছে। আর এই ধরণের মততকে আমর ভারত-আত্মার বাণীশ্বরূপ ধরিরা লইয়াছি। কিন্তু এসব মত টেকসই কি না তা ভাবিয়া দেখাও আমরা কর্তব্য বিবেচনা করি না। ত্যাদড় বলিতেছে “এই সব মতামত ঝাড়িয়া বাছিয়! দেখিবার যুগ আসিয়াছে ।” ম্বদেশী আন্দোলনের প্রবল আত যখন ১৯০৫ সনে বাংলাদেশের উপর দিয়া! ছুটিয়া' চলিয়াছিল, তখনকার দিনে রমেশচন্দ্র দ্বত্তকে অর্থ নৈতিক চিস্তাঁহিসাবে সর্বাপেক্ষা বড় পীর বলিয়া আমর! বিবেচনা করিতাম। বাস্তবিক পক্ষে আম।র বিবেচনায় রমেশচন্দ্রের মত কৃতী পুরুষ উনবিংশ শতাব্দীর বাংলার খুব কমই ছিলেন। যাক, এখাঁনে সে কথা পাড়িতেছি না| বুটিশ ভারতের আর্থিক ইতিহাস সম্বন্ধে তিনি শ্বদেশী যুগের সমসমকালে ছু'খানা বই লিখিরা গিয়াছেন। সেই বই ছ'টাই ছিল আমানের গীতা-কোরাণ-বাইবেল স্বরূপ কিন্তু জিজ্ঞাস! করি, :৯২৫-২৬ সনের ছোকরারা, ১৯২৫-২৬ সনের রিসার্চ-ওয়ালারা, অধ্যাপকেব্1 কি শ্বীকার করিতে প্রস্তুত আছেন যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্বন্ধে রমেশচন্দ্র যে সব কথা বলিয়া গিয়াছেন, আজকালকার দিনে তা যুবক-ভারতের বা যুবক বাংলার বেদান্ত-শ্বরূপ দ্ড়াইতে পারে? কিন্ত আমি জানি ১৯০৫-৬ সনে রমেশচন্ত্রেরে বাহকে আমর] আর্থিক বেদাস্তই বিবেচনা! করিতাম এখন লেোকের৷ ক্রমশঃ বুঝিতেছে যে, রমেশচন্দ্রের সেই মত, যাকে আমরা ভারত-আত্মার বাণী-ম্বরূপ গ্রহণ করিয়াছি, তা ভারত-আত্মার বাণী না হুইতেও পারে। বাস্তবিক পক্ষে

রঙবর্ধের আর্থিক উন্নতি হইতেছে কি অবনতি হইতেছে, সে সন্বদ্ধে

২২৮ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

সিএস সিসি উড

ভ্রু'চার জন নামজাদ! লোক ষা-কিছু লিখিয়াছে বা লিখিতেছে, সেগুলিকে ভারত-আত্মার বাণী বা যুবক ভারতের বেদাস্ত বা জাতীয় চৈতন্তের প্রতিমুর্তি বিবেচনা কর ত্যাদড়ের ত্যাদড়ামির পক্ষে অসম্ভব রমেশচন্দ্ যেমন কিছু কিছু ঘাতিল বিবেচিত হুইতেছেন, তেমনি আজকালকার বাজারে আর্থিক মতামত সম্বন্ধে বা-কিছু “ভারতীয়”, “জাতীয়”, “স্বদেশী” বলিয়া! চলিতেছে, তার অনেকগুলিই বাতিল বিবেচিত হইতে চল্য়াছে এবং চলিবে এই গেল ত্যাদড়ের ধনবিজ্ঞান। যাকে তাকে বখন তথন ত্যাদড়েরা ভারত-আত্মার বাণী, ভারতীর শ্বার্দেশিকতার প্রতিমূর্তি ্বীকার করিতে নারাজ। শ্বদেশনিষ্ঠ বা “জাতীর” বা “ভারতীয়” বলিয়া ধে-সকল মত বাজারে ফীড়াইতেছে সেগুল। প্ররুতপক্ষে ্বদেশনিষ্ঠ না হইতেও পরে,-মর্থ নৈতিক চিস্তা সম্বন্ধে ত্যাদড়ামির সংশয়বাঁদ এইরূপ

মধ্যবিত্তের স্থষ্ি ও'

এখন ত্যাদড়ামির তৃতীয় সুত্র প্রচার করা যাউক। মধ্যবিত্ত সমাজ সম্বন্ধে গড্ডলিকাওয়শল।রা বলেন--“দেখিতে পাইতেছ না তাদের কি ছুরবস্থা। হইয়াছে ? দেশ অবনতির দিকে যাইতেছে, তাঁর পরিচয় আমাদের মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ।” ত্যাদড় বলিতেছে, "তা আমি স্বীকার করিতে পারি না। মধ্যবিত্তের ছরবস্থা! হইয়াছে, কথাটা প্রমাণ করা কঠিন। হয়ত হয় নাই ।” ত্যাদড় বলিবে__*তুই যখন মধ্যবিত্ত মধ্যবিত্ত করিস্‌ তখন কয়টা! লোকের নাক গুণিয়া বলিস? গণনার মধ্যে খুব জোর বামুন কায়েত বৈদ্ উত্যাদ্ি থাকে ব্যস, তার গোটা বাংলায় কত লাখ 7?” তার চেয়ে যার একটু উদার-প্রকৃতির লোক তারা বলিবেন --“মধ্যবিত্ত বলিতে তাদেরকেও ধর! উচিত, যার! ইস্কুল-কলেজে পাশ

ত্যাদড়ের দর্শন ২২৯

করিয়াছে কি ফেল হইয়াছে, সাদা! জামা, ধোওয়া কাপড়, ধোওয়া চাদর যাঁরা পরে--এসব গুলিকে মধ্যবিস্ত বল! যাইতে পারে 1”

সমাজের উৎকর্ষ-বৃদ্ধি

এখন আমি জিজ্ঞাসা করি, বঙ্গীয় মধ্যবিত্তের অবস্থা খারাপ একথ। বুকে হাত দিঘ্না বলিতে পারে কয়জন বাঙ্গালী ? আমাদের ঠাকুরদাদাদের আমলে একজন লোক এণ্টান্স পাশ করিলে দারোগা হইত, অথবা ডেপুটা ম্যাজিষ্ট্রেট কি মুন্সিফ হইত। আজকাল এম-এ, পি আর-এস, পি, এইচ ডি, ডি-এস্-সি উপাধি পাইলেও অনেক সময় একট] চাকুরী জোটে না। গড্ডলিকাওয়ালার৷ বলিতেছে “এর চাইতে বেশী প্রমাণ আর কি চা, বাব।?” আমি বলিতেছি--“এতে মধ্যবিত্তের হুরবস্থা কোন মতেই প্রমাণিত হয় না, প্রমাণিত হয় ঠিক উল্টো; দেশট] ক্রমশঃ বড় হইয়! উঠিতেছে, মধ্যবিত্তের সংখ্য। বুদ্ধি হওয়। দেশের পক্ষে মঙ্গলকর। সামান্ পাশের পর কেউ আজকাল হাকিম হইতে পারে না। কিস্তৃষে যুগে এল-এ ফেল হইলেই একটা কেন্ট-বিষ্ট, হওয়! যাইত তার চেয়ে আজকের যুগ হাঁজারগুণে উন্নত। তখন রকম দারোগা! বা হাকিম হইত গোটা বাঙ্গীল৷ দেশে দশ-বার জন। আর এখন হাজার হাজার লোক প্রত্যেকেই দারোগা বা হাঁকিম হয় না বটে, কিন্তু অন্ান্য কিছু হয়। চক্লিশ- পঞ্চাশ-পচাত্তর বৎসর আগে গোটা বাংলা! দেশে যারা ইংরেজী পড়িত, খবরের কাগজ পড়িত, একখানি বই কিনিয়া তিন পুরুষকে উইল করিয়া দিয়া যাইত তাদেরকে "জ্ঞানী” বলা হইত। তাঁদের সংখ্যা ছিল বৌধ হয় দেড়, ভু বা সাড়ে তিন হাজার সে যুগট। লইয়া লাফালাফি করিবার কি আছে? কর্মবীর আশুতোঁষের কল্যাণে আজ সেখানে দশ-বার হাজার লোক এম-এ, বি পাশ কি ফেল হুইতেছে। এর! খররের কাগজ

২৩০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

চাঁলাইতেছে, গল্প লিখিতেছে, ছবি আঁকিতেছে, গান করিতেছে, নতুন নতুন ব্যবসাঁতে যাইতেছে, নানা্িকে বাঙ্গালীর জীবনটাকে বৈচিত্র্যময়, রশব্য্যময় করিয়া তুলিতেছে। সকলেই নোট মুখস্থ করিয়! বি-এ পাশ করিতেছে তা নয়। বি-এ পাশ হউক কি ফেল হউক, লেখাপড়ার ফ্যাক্টরীতে তারা যাইতেছে আগে যেখানে চার-পীচ শত ছেলে যাইত, এখন সেখানে যাঁয় বিশ-পঁচিশ হাঁজার বা তার কাছাকাছি।

সমগ্র মধ্যবিত্তের আয়

আগেকার দ্রিনে কোন পল্লীতে একজন লোক মাত্র এপ্ট'ন্স পাশ করিয় দারোগাগিরি কি ডেপুটীগিরি পাইত, কিন্তু তার পোষ্যবর্গ ছিল বিশ-পঁচিশ জন নিষ্কম্্া লৌক | সে যুগটা এমন কোন গৌরবের যুগ নয়। আজকে .এণ্টন্স কি বি-এ পাশ করিরা অথবা ফেল করিরা সেই একজনের জায়গায় ভ্রিশ-চলিশ-পর্ধাশ জন লোক মাসিক ২৫।৫০।৭৫২ টাক রোজগার করিতেছে ধরুন যেন আগেকার দিনে হাজার লোক প্রত্যেক মাসে ১৫৭।২৫০২ টাঁক1 রোজগার করিত। আজ অন্ততঃ তিন লাখ লোক প্রত্যেকেই মাসে ২৫। ৫০৭৫২ টাকা করিয়। রোজগার করিতেছে কড়ায় ক্রান্তিতে হিসাব করিয়া কথা বলিতেছি না-স্্্্যািস্টিক্স্‌ জাহির কর! এক্ষেত্রে'এমন সহজও নয়,” আলোচনা-প্রণালীট। যাত্র দেখাইতেছি দেখাইতেছি যে--সমগ্র মধ্যবিত্ব-সমাজে ধনসম্পদ্‌ বাড়িয়াছে। অতএব যদ্দি কেহ বলেন, গোটা মধ্যবিত্তের অবস্থা খারাপ হইতেছে, ত্যাদড়ের পক্ষে সে কথ! হজম করা৷ অসম্ভব মধ্যবিত্তের দুরবস্থা কোথা কোথাও থাঁকিতে পারে। কিন্তু সে কালের তুলনায় কালের মধ্যবিত্ত বেশী হররবস্থায় আছে তা স্বীকার কর! সহজ নয়।

ত্যাদড়ের দর্শন ২৩১

শততম এও

শ্রেণী-বিপ্লাব

তারপর আজ যাকে মধ্যবিত্ত বলিতেছি, ত্রিশ-চন্তিশ-ষাট-পচাত্তর বৎসর আগে সে মধ্যবিত্ত ছিল না আজকে যাকে ভদ্র বলিতেছি, ত্রিশ-চল্লিশ- ষাট-পচাত্তর বৎসর আগে সে বোঁধ হয় ভদ্র গণ্ডীর বহিভভূ তি অর্থাৎ“অ-ভদ্্র” ছিল কতজন সে খবর রাখেন ? ব্রাঙ্ষণই হউক, কায়স্থৃই হউক, বৈগ্ভই হউক, কি অন্তান্ত জাতের লোকই হউক, তাঁরা ১৮১৫--৫৭ সনে আজ- কাঁলকার মাপকাঠি অন্গসারে“ভদ্র”ব! মধ্যবিত্ত বিবেচিত হইত কিনা সন্দেহ বিষয়ে মাথা খেলানো আবশ্তঠক | সেদিকে গড্ডলিকা ওয়ালার ভ্রক্ষেপই করেন না। কাঁজেই আগেকার চেয়ে মধ্যবিত্তের অবস্থা খারাপ হুইয়াছে, একথা শ্বীকার করিয়া চলা স্থকঠিন। অধিকন্ত এখনকার মাপকাঠিতে বাংলার আর দ্বনিয়ার ভদ্রলোকের গণ্তী অনেক বেশীদুর বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছে। বুঝিতে হইবে এই পঞ্চাশ-পচাত্তর বৎসরের ভিতর একটা সমাজ-বিপ্রব ঘটিয় গিয়াছে, অর্থাৎ ছোট জাত বড় জাত হইয়াছে আমি জিজ্ঞাসা করি, এটা কি ভারতের ছুরবস্থার লক্ষণ? ছোট জাত ক্রমশঃ বড় হইয়া! উঠিতেছে। যে লোক পাঠশালার পুথি পড়িতে পারিত না, তার বংশধর মাইনর, এপ্টন্স, এল-এ, বি-এ পাশ করিয়া! হাইকোর্টের উকীল হাঁকিম পর্যন্ত হইতেছে এগুলি কি ভারতের ছুরবস্থার লক্ষণ, মধ্য- বিভ্বের ছুরবস্থার লক্ষণ? অধিকন্তু, ধরা যাক যেন আজকাল কোন কোন জেলায় কোন কোন মধ্যবিত্ত পরিবারে আর্থিক হরবস্থা দেখা যাইতেছে কিন্তু ত৷ বলিয়া বাংলাদেশের গোট। মধ্যবিত্ত সমাজই কষ্টে আছে, একথা অন্থান্তি পরিবারের লোকজন কোন মতেই হ্বীকার করিবে না। তা ছাড়া গোট। মধ্যবিত্ত সমাঁজই যদ্দি রসাতলে যায়, তাহলেও সমগ্র বাংলাদেশ মাটি হইতে চলিল, একথাও বলা চলিবে না কেন না,

২৩২ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

৪1০ কোটি বাঙ্গালীর সমাজে ছুই আড়াই বা তিন লাখ মধ্যবিভের দারিদ্র্য বা অবনতি এমন বিশেষ কিছু নয়। মধ্যবিতের সব্ধর্নাশ ঘটিলেও অন্তান্ঠ শ্রেণীর “পৌধমাঁস” চালানো অসম্ভব নয়! ত্যাদড়ের ধনবিজ্ঞান এইরূপই

বিচার করিতে অভ্যস্ত

নবীন বাংলার মেরুদণ্ড কারখানার মজুর

তারপর চতুর্থ হুত্র। গড্ডলিকাওয়ালারা মধ্যবিত্ত ছাড়িয়া! যখন দেশটার কথা ভাবেন, তখন বড জোর ম।ঝে মাঝে চাষীদের কথা বলেন। “কৃষির উন্নতি ন! হইলে দেশের উন্নতি হুইবে না, চাঁধীরা হইতেছে ভারতের, বাংলার মেরুদণ্ড চাষ জিনিষ আধ্যাত্মিক বস্ত আর কোথাও ছিল না নাই। চাষী হইতেছেন ভারতের আদর্শমাফিক লোক ।” এইরূপই তাদের দর্শন। এখানে ত্যাদড় বলিবে--“ভবিধ্যৎ ভার- তের মেরুদণ্ড,নয়৷ বাংলার মেরুদণ্ড মধ্যবিত্ও নয়, চাষীও নয় সে হইতেছে কারখানার মজুর ।” বাংলাদেশে জমির পরিমাণ এত কম, আর চাষীর খ্যা এত বেশী যে, কেহ আর চাষের উপর নির্ভর করিয়া পরিবার প্রতিপালন করিতে সমর্থ নয়। এই অবস্থায় বাংলাদেশকে গড়িয়৷ তুলিবে' চাষী, একথা যদি বলা হয়, তাহলে বুঝিতে হুইবে যে, বক্তা একেবারে চরম নৈরাগ্তঠের দর্শনে আসিয়া পৌছিয়াছে। কিন্তু বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য যদি কোন চিন্তা কর। সম্ভব হয় তাহলে ত্যাদড় বলিবে-- “মধ্যবিত্তের দিকেও তাকাইও না, চাষীর দিকেও তাকাইও না। যে জিনিষঘট1 একসঙ্গে ছুটোকেই রক্ষা করিবে, সে হইতেছে কারখানা, ফ্যাক্টরী বা কল-নিয়ন্ত্রিত, যন্ত্র-নিয়ন্ত্রিতি আর্থিক বিধান। যেই এক একট! পল্লীর বুকে ফ্যাক্টরী কায়েম হইবে, তখনি চাষীরা নিজ নিজ বাস্ততিট৷ ছাড়িয়া কারখানায় আসিয়া দেখা! দিবে, আর ৩০।৪০1৫ টাকা

ঠ্যাদড়ের দর্শন ২৩৩

পর্যাত মাহিনা পাইবে সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মধ্যবিত্ত লোক যারা বি-এ, এম-এ পাশ করিয়া পথ খুঁজিয়! পাইতেছে না বলিয়া নৈরাশ্ঠময় হইয়া পড়িতেছে, তারা ফ্যারীতে গিয়া এঞ্জিনিযার, কেরাণী, আযকাউন্টেপ্ট, যা হয় একটা কিছু হইবে। অর্থাৎ মধ্যবিত্ত যে কাঁজ যাথা আর কলম দিয়! চালাইতে সমর্থ সেট! সে ফ্যাক্টরীতে চালাইবে। ফ্যারী এক সঙ্গে চাষধীকে এবং মধ্যবিত্কে রক্ষা করিবে ।” অবশ্ত এখানে বলিয়া রাখা উচিত যে, বিগত ১৫২০ বৎসরের ভিতর মজুরেরা আর্থিক হিসাবে বেশ উন্নতির দিকে অগ্রসর হইয়াছে চাষীদের অবস্থাও আগেকার তুলনায় অপেক্ষাকৃত সচ্ছল কিন্তু মধ্যবিত্তের! চাষী মজুরদের আর্থিক সচ্ছলতাকে দেশের সচ্ছলতা বিবেচনা করিতে অভ্যস্ত নয় বলিয়া! হিসাবে গণ্ডগোল হয়।

আর একটা কথ! জানিক্স! রাখ! দরকার। মজুরের দল পুরু না হইলে ভারতবর্ষ আধুনিক সভ্যতার কোঠায় উ“চাইয়া যাইতে পারিবে ন1। ন্ত্র-নিষ্ঠ, সমদর-নিষ্ঠ, শাসন-নিঠ মজুরের! সঙ্ঘবদ্ধ হইলেই ভারতীয় সমাজে সাম্যবাদ, গণতন্ত্র, ডেমোক্রেমি ইত্যাদি চিজের আধ্যাত্মিকতা ছড়াইয়া পড়িতে থাকিবে মজুর-দর্শন, মজুর-গীতা, মজুর-বেদাস্ত ধতদ্দিন ভারতে অজ্ঞাত বা অবজ্ঞাত থাকে, ততদিন পধ্যস্ত আমাদের রাষ্ত্রীয় আর্থিক স্বরাজ অসম্ভব

ইয়োরামেরিকার বিভিন্ন দেশে যতটুকু ডেমোক্রেসি বা ম্বরাজ আজকাল দেখ যায়, তার প্রার ধোল আনা না হোক অনেকটাই মজুর- সঙ্ঘবের আর মজুর-আন্দোলনের দান বিলাতের কথা ধরুন। সেখানে ১৮৩২ সনের পরাস্ট্রসংস্কারে” আসল ডেমোক্রেসি পায়দা হয় নাই। এমন কি ১৮৬৬ সনের ধাক্কায় এই চিজ বেশী আসে নাই। ডেমোক্রেসি ব1 সাম্যনীতির অহুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ১৮৮৬ সনের আর তার পরবর্তী আইন-

২৩৪ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

কান্থনের সন্তান। এই চল্লিশ বৎসরের আইনকাহ্ছনের গোড়ায় মজুর- জীবনের শক্তি ছিল প্রচুর। ১৯২৪-২৫ সনে মজুর-শক্তিই বিলাতী সমাজের একপ্রকার আগ্ভাশক্তি।

যুবক ভারত আজ ১৮৮৬ সনের বিলাতী আধ্যাত্মিকতা আর তার পরবর্তী সমসাময়িক পাশ্চাত্য ডেমোক্রেসি বা শ্বরাজ সমঝিতে অসমর্থ আমরা এখনো! বোধ হয় ১৮৩২-৭৫ সনের পাশ্চাত্য জীবন পাশ করিতে পারি নাই। ভারতের মজুর-সমাজ যতদিন পধ্যস্ত না গুন্তিতে বাড়িয়া যায় আর কন্মগুণে মজবুত হয় ততদিন পধ্যস্ত আমাদের পক্ষে আসল ন্ববাজ আর ডেমোক্রেসি চাখা অসাধ্য সাধন হ্বদেশ-সেবকেরা? শ্বরাজ- সাধকের মজুর-আন্দোলনটা পাকাইয়! তুলুন

মজুর-সংখ্যায় ভারত দুনিয়!

গোটা ভরতে আজ মাত্র হাঁজার ছয়েক কারখান। আছে, তাতে অতিমাত্রায় ধরিলেও ১৫ লক্ষ মজুর খাটিতেছে। ইগা হইতেই বুঝিতে পারিবেন আমরা কোথায় আছি। আগে একবার বলিয়াছি, ইয়রে।প আমেরিকা যে পথে চলিয়াছে, উন্নতি-হিসাবে, আদর্শ-হিসাবে, সভ্যতা- হিসাবে, গতি-হিসাবে, জীবনের ভবিষ্যৎ-হিসাবে, ভারতবর্ধও ঠিক সেই পথে চলিয়াছে পরাধীন ভারতে এবং শ্বাধীন বিলাতে এক্ষেত্রে কোন প্রভেদ নাই এখন প্রশ্ন এই, আমরা! রহিয়াছি কোথায়? আমার কাছে ওর মাপও বাস্তব। ইংরেজ-সমাজে ৪1* কোটি লোকের ভিতর যেখানে সত্তর-পচান্তর লাখ কি এক কোটি মজুর, বাংলাদেশে ৪॥*-৫ কোটি

লোকের ভিতর সেখানে মাত্র চার লাখ মুর এখন তুলনা যদি করেন, দেখা যাইবে যে চাঁর লাখের সঙ্গে সত্তর লাখ বা! এক কোটি মজুরের

ষে সম্বন্ধ, গোট। বাঙালী সমাজের সঙ্গে বিলাতী সমীজের ঠিক সেই সম্বন্ধ |

ত্যাদড়ের দর্শন ২৩৫

কথাটাকে আর একদিক থেকে আরো! সোজ] করিয়া বল! যাইতে পারে। ইংরেজ-সমাজে কি ফরাসী-মহলে কি জার্শাণিতে ষোল আন! মানুষ কতগুলি আছে? সাড়ে চাঁর বা পাঁচ কোটি মানুষের মধ্যে বাজে মাল সব ঝাড়িয়া ফেলিলে দেড়-ছুই কোটি মাত্র ষোল আনা মানুষ মিলে। তার মানে তাঁদের শরীর সুস্থ সবল, তাদের মাথ। ভাল, সজাগ, তেজবীর্ধ্য আছে। নিজেদের মাথা খেলাইয়া! চিস্তা করিম তারা কাঁজ করে এবং নিজেরাই তার ফলভোগ করে যত রকম দারিদ্র্য ব্যাধি আসিতে পারে সব বজ্জন করিলে, রক্তমাংসের মান্থষ যে আকারে পৃথিবীতে দেখ! দিতে পারে, ত৷ যদি কল্পনা করিতে পারি, তাহলে বলিব শতকরা ১০* অংশ মাঁচুষ অর্থাৎ ষোল আনা মানুষ পৃথিবীতে খুব কম। কিন্তু অন্ুপাতের তরফ থেকে মনে হইয়াছে যে, বিলাতে সাড়ে চার কোটির মধ্যে যদ্দি দেড় কোটি আড়াই কোটি থাকে, বাংলাদেশে সাডে চার কোটির মধ্যে দেড়, ছুই, পঁচ, দশ হাজার আছে কি না সন্দেহ অতএব লক্ষ্য হিসাবে আর আদর্শ হিসাবে আধুনিক ইংরেজ আর আধুনিক বাঙ্গালী যদিও এক, কিন্তু কর্ম্্ক্ষত। হিসাবে, জীবনের কিন্মৎ হিসাবে, দশ বিশ হাজারে আর দেড় কোটিতে যে সম্বন্ধ, বাঙ্গালীতে আর ইংরেজেও সেই সম্বন্ধ | একদম অঙ্ক কষিয়! নিক্তির ওজনে কথ! বলিতেছি না» ঠাঁরে ঠোরে এক জাতের সঙ্গে আর এক জাতের সম্বন্ধ বুঝিতে চেষ্টা] করিতেছি মাত্র এই যদি বুঝি, তাহলে বুঝিতে পারিব, মুষ্টিমেয় ইংরেজ আসিয়া ত্রিশ কোটি ভারতবাদীর উপর আধিপত্য করিতেছে কেন।

বাংলার আসল লোক-সংখ।

আমরা পাটাগণিতে পড়ি যে, তিনের পিঠে কতক গুলো শৃন্ত দিলে বিপুল রাঁশি হয্। কিন্তু ষ্র্যাটিস্টিকস যারা ধাটে তার! বলিয়া দিবে,

২৩৬ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

তিনের পিঠে কতক গুলো! শূন্য থাকিলেই একট! বিপুল রাশি দাড়ায় না। শৃম্তগুলার মূল্য অনেক সময় এক দামড়িও না! হইতে পারে। কেননা কোন কোন ক্ষেত্রে এক একটা মান্য দশ-বার হাজার লোকের সমান-_ হাতের জোরে আর মাথার জোরে। হইতে পারে বাঁংলায় পাঁচ কোটি লোকের বাস। কিন্তু যদ্দি জিজ্ঞাসা করেন, “পাচ কোটি লোকের কিম্মৎ কতথানি ?” আমি বলিব “আমাদের লোকসংখ্যা পাচ কোটি নয়, বোধ হয় পঞ্চাশ হাজার মাত্র!” আর যদি জিজ্ঞাসা করেন--“ইংরেজের সংখ্য কত?" তখন বল্ব-_"ওরাঁও সাড়ে চার বা পাঁচ কোটি নয়, হয়ত ছুই বা আড়াই কোটি।” ওদের আড়াই কোটির সঙ্গে যখন টদ্কর দিতে চাই, তখন যদ্দি মনে রাখি আমরা সংখ্যায় মাত্র পঞ্চাশ হাজার, তাহা হইলেই বাস্তব সত্যকে হ্বীকার কর! হয় এবং আমর] বুঝিতে পারি ভারত কোথাম-_ এশিয়া কোথায়। ইয়োরোপের সঙ্গে এশিয়াকে টক্কর দিতে হইলে, যুবক এশিয়াকে, যুবক ভারতকে, যুবক বাংলাকে কত হাত পানির নীচ থেকে কাজ সুরু করিতে হইবে তা একবার মনে মনে কল্পনা! করুন, আর যথার্থ আদমন্ত্মারির, দেশের খাটি লোক-সংখ্যার কথ। ভাবুন।

বৃহত্তর ভারত

এবার বলতে চাই পঞ্চম সুত্র গড্ডলিকাওয়ালারা বলিয়া থাকেন, “ভারতের উন্নতির একমাত্র উপায় “বুন্দাবনং পরিত্যজ্য পাদমেকং গচ্ছামি |” জন্মিয়াছি এদেশে, মরিতেও হইবে এদেশে ।” এই হইতেছে গড্ডলিকার দর্শন ত্যাদড় বলিতেছ্ছে-_-“"ভাই, চোখ খুলিয়া একবার দেখ এবং বল- রামমোহন রায় থেকে আরম্ভ করিয়া, মধুকুদন আর বঙ্কিমচন্দ্র থেকে আরম্ভ করিয়া আশুতোষ, চিত্তরঞ্জন, প্রফু্লচন্ত্র রায়, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র পর্য্য্ত ধার নামই কর ন! কেন, এই লোকগুলি কি “বুন্দাবনং

ত্যাদড়ের দর্শন ২৩৭

পরিত্যজ্য পাদমেকং” কদাপি জগাম ? এরা তবু অনেকে বিদেশ- ফেরত! লোক বটেন। ধারা বিদেশে যান নাই, তাদ্দের অবস্থাটাঁও কি একবার ভাবি! দেখিরাছেন ? ইডেন হিন্দু হষ্টেলের আবহাওয়ার ভিতর কেহ বিদেশে যায় নাই একথ। ঠিক। কিন্তু এর আবহাওয়। আগাগোড়। বিদেশের প্রতিমূর্তি নয় কি? এই ধে প্রেসিডেন্সি কলেজ, এই যে বিশ্ববিদ্ভালয়, এই ষে বেঙ্গল কেমিক্যাল ওয়ার্কস্‌, চলিগ্লা! যান বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে, বিশ্ব- ভারতীতে, বন্গু-বিজ্ঞান-মন্দিরে, বেঙ্গল টেকৃনিকাা'ল ইনষ্রিটিউটে, জাতীয়- শিক্ষাপরিষদের আওতায়,-যেখানে যেখানে বাংল সাহিত্যের চরম নিদর্শন, সুকুমার শিল্পের পরাকাষ্ঠা-_ শিল্প 'হসাবে, সাহিত্য হিসাবে, রাস্্রীয় আন্দোলন হিসাবে আমর! যা-কিছু করিতেছি»--তার শতকরা ৯৯।৯৯॥৯ ংশ বিদেশী মাল নয় কি? অর্থাৎ একশ” বৎসর ধরিয়। আমর। জীবনে, কন্মে, ব্যবস।-বাণিজ্যে, 'াধ্যাত্মিকতায়, রাজনৈতিক চিন্তায়, সংবাদ-পত্রের পরিচালনে একটা মাত্র স্থত্ প্রচার করিয়া আসিতেছি। যদিও গড্ডলিকা- ওয়ালারা তা খুলিয়! বলে না» সে কথা৷ হইতেছে--“হুতে চাও হ্বদেশী, আগে হও বিদেশী ।” বর্তমান ভারতের প্রত্যেক কর্মবীর এবং চিস্তাবীই এক একজন পাশ্চাত্য আধ্যাত্মিকতার প্রতিমৃত্তি। ভারতটা “বৃহত্তর” হইয়াছে তাদেরই কৃতিত্ে।

বর্তমান ভারতে পাশ্চাত্য আধ্যাত্মিকত।

তা যদি আজ পধ্যস্ত হইা থাকে তাহলে ত্যাদড় বলিবে “গড্ডলিকা- ওয়াল, বাহির হও এখান থেকে পাশ্চাত্য সভ্যতাকে ভারতের পলীতে-পলীতে, শহরে-শহরে, পরিবারে-পরিবারে, দোকানে-দৌোঁকানে, মুচী-মেথর-যুদ্দাফরাসের সমাজে, চাষীর বাড়ীতে, মজুরের কর্ম্মকেন্ত্রে

২৩৮ নয়া বাঙলার গোড়। পত্তন

কায়েম করা হইতেছে আমাদের একমাত্র সাধনা একশ" বৎসর ধরিয়! অজ্ঞানে-সজ্ঞানে যা কিছু করিয়াছি, আজ সঙ্ঞানে তাই করিব। প্রাণ ভরিয়া যুবক ভারতকে আজ খোলা মাঠে দাঁড়াইয়া! শ্বীকার করিতে হইবে যে পাশ্চাত্য খোরাক খাইয়াই আমর] মাইষ হইয়াছি।” এই দেখুন অধ্যাপক প্রফুললচন্্র ঘোষ এখানে বসিয়া আছেন। ইনি কখনও সমুদ্র পাড়ি দেন নাই, গৌড় হিন্দু। কিন্তু ইনিও একজন মন্ত “গো-খাদকঃ। চসা'র, শেকৃসপীয়ার মুখে না দিয়! ইনি কোন দিন জলম্পর্শ করেন না। এই রকম অথাগ্ত-খেকো। মানুষ বাংলায় আজ কত? হাঁজার হাজার, লাখ লাঁথ, যাঁরা বি-এ, এম-এ পাঁড়তেছে, যত লোক খবরের কাগজ চালাইতেছে, যত লোক শ্বরাজ আন্দোলনের পাণ্ডা, সবাই পশ্চিম! সভ্যতার রস শুধিয়া নিজ নিজ আত্মাকে পুষ্ট করিয়া ! “অখাগ্য না খাইয়া হুইটম্যান-আইন্ষাইন-প্যান্ত্যয়র না৷ পড়িয়া! মানুষ হইয়াছে, এমন লোক বর্তমান ভারতে কয় জন আছেন বাপ কা বেটা? যুবকভারতের সভ্যতার, যুবক বাংলার শ্বদেশী আন্দোলনের শতকরা ৯৯ অংশ বিদেশী অতএব আজ যদ্দি আমাদের কিছু কাজ করিতে হয় খোলাখুলি সঙ্ঞানে বলিতে হইবে-পাচ কোটি নরনারীর প্রত্যেককে রকম অখাগ্য-থেকো বানাইয়া পাশ্চাত্য আধ্যাত্মিক দস্তল-ওয়ালার জাতিতে পরিণত কর! আবশ্তক

জাপানী কায়দা

কথাটা আরো সোজ1 করিয়া বলা দরকার। আমাদের ছেলের! ইচ্কুল কলেজে এণ্টাস, এল-এ, বি-এ, এম-এ, ভি এস-সি পাশ করিতেছে করুক | আশুতোষ পাঁচ হাজারের জায়গায় পঁচিশ হাজারের পাশের ব্যবস্থা করিয়াছেন। কিন্তু পাচ কোটি বাঙ্গ।লীর কাকে হাজার পচিশেক মানায়

ত্যাদড়ের দর্শন ২৩৯

না লাইনেই আরও অনেক ফন্দি-ফিকির বাহির করিতে হইবে আশু- তোষের পথেই এই কাজ আরও বাড়াইয়া তুলিতে হইবে চাই আট-দবশট! আশুতোষ। প্রশ্ন হইতেছে--কবে একটা জন ষ্টয়াট' মিল বা আইন- ইাইনের কথা বিদেশীরা আসিয়! আমাদের ইস্কুলে শুনাইবে, আর আমরা সেটা মুখস্থ করিয়া মানুষ হইব, সে তাবে চলিলে আর কুলাইবে ন1। জাপান তা করে না, তুকী তা করে না। ওরা বসিয়। থাকে না এই আশাম্ যে, কবে ইংরেজ, ফরাসী, জাশ্মণ, মার্কিণ আসিয়া জাপানকে বলিবে-- “ওরে এই একটা নতুন আবিষফার হুইল, তোদের দেশেও এটা কাজে লাগিবে ।” ওরা নিজের। সকল দেশে গিয়া নিজের মাথ! চালন। করিয়।, মাল লইয়৷ আসে। জাপানীরা বসিয়৷ রহিয়াছে ছুনিয়ার সর্বন্র। দুরবীণ লাগাইয়া দেখিতেছে কোথায় কোন্‌ তারা উঠিল। ধর] যাক যেন, ফটোগ্রাফের ব্যবস। জাম্মাণ চালাইতেছে। অথব। ইংরেজ ফরাসী আমেরিকান এক একটা ঘাটি আগলাইয়া বসিয়া! আছে। জাপান তাই দেখিতেছে, দেখিয়া বলিতেছে--“তাইত আমর বসিয়া থাকিতে পারি না।” দেশে বত রকম কলকারথানার ব্যবসা-বাণিজ্য আছে তাতে যোগ দরিয়া কেহ রবারের ব্যবসা, কেহ কাচের ব্যবসা ধরিয়াছে। কেহ মন্ত্রী,কেহ মঞজুর-আন্দোলনের কর্তা, কেহ মাষ্টীর এইরূপ ধরণের কাজে পাঁচ-সাত বৎসরের অভিজ্ঞতা যেই হয়, তখন তারা বাহির হইয়! পড়ে আমেরিকায় --জমিজম। সম্বন্ধে, ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে সেখানে কি হইতেছে দেখিতে। আমেরিক খতম করিয়! যাঁয় বেলজিয়ামে সেখানেও শেষ নয়; যাঁর জান্মাণিতে এই রকম করিয়া ঘুরিতে ঘুরিতে আড়াই-তিন-পাচ বৎসর পর ফিরিয়! আসিয়া আবার কাজে লাগিয়া যায়॥। অথব1 পুরানে! কাজই বাড়াইয়া তোলে ছুই তিন বৎসর কাজ করিতে করিতে দেখে যে,জীবনটা তেতো হইয়] গিয়াছে, পুরানে হইয়! গিয়াছে, চাঙ্গ| হইয়া আস দরকার,

২৪০ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

তখন চলিল আবার বিদেশে অভিজ্ঞতার পর অভিজ্ঞতা লাভ করিয় তারা জীবনটাকে হরদম তাজা করিয়া তুলিতেছে এই হইতেছে জ্যান্ত জাতের জীবন-সাধন]

বাঙ্গালী তা করিতেছে না আমর! রহিয়াছি বসিয়! কবে ম্যাকমিলান কোম্পানী বই ছাপাইবে, আর ছাপা হইলে কবে তার আঁড়কাঠি বিশ্ব- বিদ্যালয়ের দুয়ারে আসিয়া বলিবে--পদেখুন মশায় ছাপ! হইয়াছে, টেক্সট বুক করুন।” তখন আমরা বলি-_-“আচ্ছা রেখে যান, দেখিব কি করিতে পারি”। যুবক বাংলা কেন পরের উপর নির্ভর করিতেছে? জাপান তাঁকরে না। ইংরেজ কোন্‌ কোন্‌ বই নতুন বাহির করিতেছে, ফরাসী রাসায়নিক কোন্‌ কায়দা নতুন আবিফার করিল, জান্মাণি কোন্‌ কোন্‌ গানের কোন্‌ কোন্‌ স্থর নতুন স্থষ্টি করিল তা জানিবার জন্য জাপানের লোক মোতায়েন পুহিয়াছে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস, বৎসরের পর বৎসর প্রত্যেক জাহাজে জাপানীরা বিদেশে যাইতেছে-_ বিদেশী সাহিত্য, শিল্প, কলকঞজ্জা দেখিতে, শিখিতে, জানিতে আমদানি করিতে

গ্রাড়ো আডড। বিদেশে

গড্ডলিক1 বলিতেছে--“আমরা জন্দিয়াছি এদেশে, হু'এক জন নামজাদা স্বদেশী লোকের কল্যাণে যা-কিছু পাইয়াঁছি তাতেই বেশ চলিয়! যাইতেছে, বিদেশে যাইবার দরকার নাই। বিদেশ থেকে নতুন কিছু আমদানি করিবার জন্ত মেহনৎ করা অনাবশ্তক | বিদেশীরা আমাদের চেয়ে বড় বেশী উপরের শ্রেণীর লোক নয়।” ত্যাদড় বলিতেছে, “আমরা একসঙ্গে পঞ্চাশ হাজার এক লাখ বাঁপক। বেটা লোক চাই ।”

ত্যাদড়ের দর্শন ২৪১

একটা আশুতোষ, একট! চিত্তরঞ্জন মরিয়া গেল, আর অমনি আমরা অনাথ ছেলেমেয়ের মৃত কান্নাকাটি স্থরু করিলাম, অবস্থা! কোন মতেই মানুষের অবস্থা নয় শ্বদেশে হাজার হাজার লোক একসঙ্গে, এমন কি পয়লা নম্বরের গণ্ডা গণ্ডা লোক একসঙ্গে গড়িয়া তুলিবার সুযোগ নাই ; বিদেশে অভিযান না পাঁঠাইলে তাড়াতাড়ি কাজ হাসিল হইবে না, বিদেশের ফোয়ারা থেকে বিদেশী দম্তলের আমদানি হওয়! চাই হরদম, তাহা! না হইলে দেশের লোক গুলে! মজবুত হইবে না। “আশুতোষ, চিত্তরঞ্জন বৎসরে দু*একটা করিরা মারা যাক, টা্যাকে আমাদের আরো রহিয়াছে”_-এই চিন্তা আর এই অবস্থ। যতক্ষণ পর্যন্ত না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত জাতি মান্থযের অবস্থা প্রাপ্ত হইবে না। কবে কালে-ভদ্দে একজন লোক ভাবুকত্াপূর্ণ হৃদয় লগা একট! প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিবে, আর আমর! তীর্থের কাকের মত তার দিকে চাহিরা' বসিঘা থাকিব-_এ অবস্থা মোটেই বাঞ্চনীয় নর

পয়সা না থাকে, বিদেশে যাইতে না পার, ঝাপাইয়া পড় সমুত্রে স।তার কাটিয়া জাপানে আমেরিকায় গিয়া হাজির হও, এখানে ওখানে যাইয়া ৫।৭ বৎসর ভবদুর্যেগিরি কর। বি-এ, এম-এ পাশ করিয়াই বিদেশে গেলে চলিবে না। বি-এ, এম-এ পাঁশ করি! কি ফেল করিয়। --ফেল হইলেও কুছপরোয়া! নাই-_ব্যবসালারী, এঞ্জিনিয়ারী, ওকাঁলতীর অভিজ্ঞতা অজ্জন কর, সেই অভিজ্ঞত। লইয়। যত বেশী লোক বিদেশে যাইতে পারে ততই' ভারতের পক্ষে মঙ্গল তাকেই বলি “বুহ্ভ্র ভারত।” গাড়ো অ।ডড। বিদেশে বুহভ্তর ভারত গড়িয়া তোল অর্থাৎ ভারন্তের বাহিরে হাজার হাজার ভারত্বাসীর কর্মক্ষেত্র, বহুসংখ্যক ভারতীয় নরনারীর জীবনকেন্দ্র গড়িয়া তোলাই আমাদের শ্বদেশী এবং ম্বরাজ সাধনার অন্ততম বনিয়াদ।

৯৬

বৃহত্তর ভারত কাহাকে বলে ?% প্রাচীন ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য

কলিকাতায় “বুহত্তর ভারত”-পরিষৎ নামক এক পণগ্ডতসঙ্ৰ প্রতিষ্ঠিত হইতে চলিল। মধ্য এশিয়ার, চীনে, জাপানে, ইন্দৌ-চীনে, আনামে, শ্তামে এবং জাভা, স্থমাত্র! ইত্যাদি দ্বীপসমূহে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার যে সকল নিদর্শন পাওয়া] যায় সেই সম্বন্ধে এতিহাসিক, ভৌগোলিক, নৃতাত্বিক, অর্থ নৈতিক অন্তান্ত আলোচনা চালানো এই পরিষদের মুখ্য উদ্দেশ আফগানিস্থান, পারশ্ত এবং প্রাচ্য এশিয়ার অন্তান্ত জনপদেও বুহুত্বর ভারতের চিহ্ন টুঁড়িয়া বাহির করিবার দিকে এবং সেই সম্বন্ধে গবেষণা চালাইবার দিকে এই পরিষদের লক্ষ্য থাকিবে।

প্রাচীন ভারতের নরনারী সেকালের ছুনিয়াঁয় যে সকল আত্তর্জাঁতিক লেন-দেন চালাইয়াছে তাহার কিছুই বৃহত্তর ভারত-্পরিম্নদের আলোচনায় গবেষণায় বাদ পড়িবে না বহির্বাণিজ্য ছিল একালের যতন সেকালেও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অন্যতম আর্থিক কর্ম: এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যাতায়াতের কথা, যানবাহনের কথা, কৃষিশিন্সের কথা, মাল আমদানি রপ্তানির কথা, পথঘাটের কথা, বলদ গাধা নৌকা গাড়ী জাহাজের কথা সবই অঙল্গাঙ্গিতাবে সম্বদ্ধ। প্রাচীন ভারতীয় আস্তর্জাঁতিক বাণিজ্যের সকল তথাই এই পরিষদে আলোচিত হইতে পারিবে কাজেই ধনবিজ্ঞান-সেবীদের পক্ষে এই পরিষদের কার্যাবলী অনেক তরফ হইতেই কাজে লাগিবার কথা ৃ্‌ পবৃহত্তর ভারৎ-পরিষখ* প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে প্রদত্ত বজ্ততার শ্টহ্যাও বৃত্তান্ত (১* অকুটোবর ১৯২০)। শর্টহ্যা্ লইয়াছিলেন গ্রইন্্কুমার চৌধুরী

বৃহত্তর ভারত কাহাকে বলে ২৪৩

উপনিবেশের প্রবাসী-ভারত

প্রত্ুতত্ব অর্থাৎ সেকেলে ভারত-সন্তানের জীবন ছুনিয়ার দিকে দিকে কতখানি দি্বিজয় করিয়াছিল, তাহার চৌহন্দি জরিপ করাই এই পরিষদের একমাত্র লক্ষ্য নয়। বর্তমান ভারতের নরনারী অস্ট্রেলিয়ায়, নিউজীল্যা্ড, ফিজিদ্বীপে, ক্যানাডায়, দক্ষিণ আফ্রিকায়, পূর্ধব আফ্রিকায়, টিনিডাড ইত্যাদি মধ্য আমেরিকার দ্বীপসমূহে এবং মরিশাস ইত্যাদি আফ্রিকার উপকুলস্থ দ্বীপে, “উপনিবেশে” “উপনিবেশে”-কেহ কেহ ব৷ ছুই তিন পুরুষ ধরিয়া কেহ কেহ বা কম্েক দশক ধরিয়া বসবাস করিতেছে বুটিশ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন উপনিবেশে এবং *্ফরাসী ওলন্দাজ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত জনপদে বর্তমান কালে এই উপায়ে একটা বৃহত্তর ভরত গড়িয়া উঠিয়াছে। এই প্রবাসী-ভারতের জীবনযাত্রা, আর্থিক লেন-দেন, শিক্ষাদীক্ষা! এবং সর্বাজীণ উন্নতি-অবনতির অবস্থা বুঝিবার জন্যও এই পরিষদে চেষ্টা চলিবে “উপনিবেশ-সমস্তা” যুবক ভারতে উপস্থিত হুইয়াছে। তাহ! বুঝিবার প্রয়াসও এই পরিষদে কিছু কিছু অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে। |

বৃহত্তর ভারতের একাল-সেকাল

আফগানিস্থান, মধ্য এশিয়া, চীন, জাপান, শ্তাম, আনাম ইত্যাদি দেশের প্রাচীন বৃহত্তর ভারতের বর্তমান অবস্থাও এই সকল নবীন বৃহত্তর ভারতের জীবন-কথার সঙ্গে সঙ্গে আলোচিত হইবে ইহাতে ভারতবর্ষের সঙ্গে এই সকল “প্রবাসী” ভারত-সন্তানের আত্মিক যোগাঁষোগ কায়েম হইতে থাকিবে

এতগুলা কাজ কোনে! এক পরিষদের উদ্যোগে স্থসিদ্ধ হুইতে পারিবে কি না জানি না। কিন্তু বৃহত্তর ভারতের একাল-সেকালকে

২৪৪ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

উপেক্ষা করিয়া! চলিতে যুবক ভারত আর রাজি নয়। এই পরিষদের প্রতিষ্ঠায় আমরা এইরূপই বুঝিতেছি।

বৃহত্তর ভারত বস্তটা এক একজন এক এক প্রণালীতে বুঝিয়া থাকেন। ধরুন ভীম নাগের সন্দেশ বস্তটা কি? কেহ বলিবে গোলাকার, কেহ বলিবে চক্রাকার, কেহ বলিবে সাদা, কেহ বলিবে মিঠা» কেহ বলিবে কড়াপাক ইত্যাদ্দি। কিন্তু আমি যখন ভীমনাগের সন্দেশ দেখি, তখন দেখি গোচারণের মাঠ আমার নজরে পড়ে,_পীঁচ হাজার গরু মরিতেছে, এই সেদিন দেখিলাম চাটন্নীয়ে গোমরক হইয়াছে। হয়ত চোখে পড়ে চাষের জমি, সঙ্গে সঙ্গে মনে আসে জমিজমার আইন- কানন, আবার ভাবিতেছি রয়্যাল কৃষি কমিশন ইত্যাদি

এশিয়ার প্রত্ুতন্্ব গবেবণ।

সেইরূপ বুহত্তর ভারত বলিলে কেহ বুবিতেছে মেসপটে মিয়া, ইজিপ্ট, ব্যাবিলন প্রভৃতি দেশ, কেহ বলিতেছে মিশর গ্রীসের মাঝামাঝি ক্রীট দ্বীপ, কেহ বলিতেছে মধ্য এশিয়া, কেহ বলিতেছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ, অথবা শ্যাম, জাপান, কোরিয়া এই সবজাম্নগায় গিয় কিছু ঘেটমঙ্গল করা এই রকম ঘেোটমঙ্গল করিতে আমি অনভ্যন্ত নহি, চীনের প্রাচীর, মিশরের পিরামিড. সবই আমার “টপকান” আছে। তেমনি,

“পাইন্-ঢাক] পাহাড়ের পায়ে

দ্েউল ভাসছে সাগরে যেথায় এসেছি নিপ্পণ শিকফের মাঝে

দেউল-হ্বীপ সেই মিয়াজিমাঁয় ।”

বৃহত্তর ভারত কাহাকে বলে ২৪৫

আপনার জানেন, জাপানের নারা-হরিউজি জনপদ যখন আমাদের নালন্ার মাপে একটা বৌদ্ধ বিশ্ববিষ্তালয় গড়িয়া তুলিয়াছিল তখন

হরিণ সেথায় মানব-সখা

লাক্ষামোড়া তোরীতলে, ধানের ক্ষেতে সবুজ সে দেশ

গভীর ধ্বনি সাগর-জলে |”

সে সব ধবনিও শুন! কিছু কিছু আছে। এখানে বক্তব্য টো টে! করিয়া মিশর জাপান কি কোথাও গিয়া প্রত্বতত্ব আলোচন! কর! প্রয়োজন যেমন সন্দেশ বুঝিতে গেলে গরু, গো-মরক, ভেটাবিণারি ডাক্তার, গোচারণের মাঠ, জমিঙ্ম।র আইনকান্গন, এগুলি চোখের সামনে রাখা উচিত, তেমনি বৃহত্তর ভারত জিনিষটা বুঝিতে গেলে-__ সোজান্গজি খোলাখুলি পরিষ্কার করিয়া বুঝ! দরকার---যে প্রথম জরুরিই হইতেছে এশিয়ার নান। দেশে দুরাফিরা করা!

দুনিয়ার বাটখারায় ভারতসম্তানকে মাপো।

আপনারা জানেন--আমর! যে ফলটাকে “সে ৪” বলি, তারই আর এক নাম আপেল ফলট ছুনিঘ্ায় নান! নামে পরিচিত আমেরিকার কালিফণিয়! প্রদেশে ঘুরিতে ঘুরিতে যখন হাজির হই তখন দেখি শ্তানফ্র্যান্সিস্কোর চিত্র-প্রদর্শনীতে এক জারগাক় পর্বতপ্রমাণ 'আপেল' সাজান আছে। তার সামনে কল রহিয়াছে, আপেলগুলি ছিটকাইয়! গিয়া একট জালের ভিতর পড়িতেছে। জালট! পর পর ছুই তিন ভাগে বিভক্ত কোনোটা প্রথম ভাগে গিয়া পড়িতেছে, কোনোটা পরের ভাগে গড়াইয়! পড়িতেছে, ব্যাপার কি? দেখা গেল, যেটা ছোট

২৪৬ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

সেট! দূরে, ষেটা মাঝারি সেটা মাঝখানে আর যেটা বড় সেটা সামনে গিয়া পড়িতেছে। কালিফর্ণিয়ার উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম যেখান থেকেই আপেলগুলি আন্গক না কেন, ত্র কলের ভিতর দিয়া ১২।৩নং ইত্যাদি ভাবে 'গ্রেডেড* বা শ্রেণীবদ্ধ হইয়া! থাকে আমি বলিতে চাই গোটা ছুনিয়ায়ও এই রকম একটা কল আছে। রাম! হউক, শ্টামা হউক, হিন্দু হউক, মুসলমান হউক, ভাঁরতবাঁসী হউক, চীন! হউক, ইংরেজ হউক, জার্্মীণ হউক--সকলকে সেই কলের ভিতর দিয়! চলিতে হইতেছে | কাহাঁকেও বলিতেছি নম্বর ১. কাহাকেও বলিতেছি নম্বর ২, কাহাকেও বলিতেছি নম্বর ৩। অর্থাৎ ছুনিয়ায় কখনও কোথাও কেহ বলিতেছে না এট। বাঙালীর মাপের, ওটা! জান্াণির মাপের, সেটা ইংরেজের মাপের বস্ত বা ব্যক্তি। ছুনিয়া এক মাপে চলিতেছে ; সেই মাপে কেহ শতকরা ৬৫, কেহ ৭৫, কেহ ৮৫ নম্বর পাঁইতেছে। ছুনিয়ার মাপকাঠিতে যখন একদিকে আরিষটল অপর দিকে কৌটিল্যকে চড়ান গেল, তখন সেই মাঁপকাঠিতে আরিষ্টটলকে নম্বর দেওয়া গেল ধরুন ৮৫, কৌটিল/কে ৬০ | আসিল পানিনি তাকে দেওয় গেল ৯৫, তারপর আসিল আর্্যভট্র সে পাইল «৫, আসিল নিউটন সে পাইল ৯৫ | তারপর বাটখারার একদিকে আমাদের গুরঙ্গজেব আর একদিকে ফ্রান্সের চতুর্দশ লুইকে বসান গেল প্রা সমান সমান হইল। ধরুন ছুজনেই পাইল ৬৫। আসিল শিবানী আর ফ্রেডরিক দি গ্রেট? দুনিয়ার মাপকাঠি ছুজনকেই দিল ৮৫।

নম্বরের সংখ্যাগুলি আপনারা যাঁর যেরূপ ইচ্ছা সেইরূপ বসাইতে পারেন পরীক্ষকের মঙ্জঞির উপর এসব চিজ অনেক সময় নির্ভর করে। আমি শতকর৷ হারটার উপর এখন জোর দিতেছি না) দেখাইতেছি প্রণালীট! মাত্র। এইভাবে ছুনিয়া চলিতেছে প্রাচীন ভারতই হুউক, কি বর্তমান ভারতই হউক, চিরকাল ছৃনিয়ার মাঁপকাঠিতে তার মাপাজোকা

বৃহত্তর ভারত কাহাকে বলে ২৪৭

হুইতেছে বর্তমান জগতের মাপে পাশ্চাত্যের সঙ্গে সমকক্ষ হৃইয়! যদি বর্তমান ভারত ধ্ীড়াইতে পারে, তাহ! হইলে বুঝিব বুহত্তর ভারত কায়েম হইয়াছে।

এখন একমাত্র প্রশ্ন, বিশ্বের মাপকাঠিতে কেমন করিয়। ভারতবানীকে আনিয়া ফেলিতে পারা ষায়। অর্থাৎ ইংরেজ, জার্্মাণ, জাপানীর সঙ্গে এক মাপকাঠিতে ভারতকে আনিয়! ফেলিবার স্থযোগ আমরা সৃষ্টি করিতে পারি,কি পারি না__তাহাতেই বুঝা যাইবে আমাদের মাথার দৌড় কতখানি, মগজে ঘি কতখানি জাম্মাণ, ফরাদী, ইতালিয়ান, মাফিণ, জাপানী ইংরেজের সঙ্গে টক্কর দ্রিতে পারে এমন কতকগুলি লোক যদি এদেশে দীড়াইয়া যায় তবে বাস্তবিকপক্ষে বাংল।কে এবং বাংলার বাহিরের বিশাল ভারতকে বৃহত্বর করিয়া গড়িয়া তুলিতে পারা যাইবে তাহ! করিবার জন্য ছুটা খুঁট। উল্লেখ করিব

চাই বিদেশে ভারতীয় মোপাফির

প্রথমতঃ:--ভারতবর্ষের বাহিরে জাপান, জার্ম্মণি, বিলাত, আমেরিকা» দক্ষিণ আফ্রিকা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশে ভারতবাসীকে পাঠাইবার ব্যবস্থা কর! দূরকার। সকলেই অবশ্য গ্রত্বতত্বের সওদা লইয়া যাইবে না, জীবনতদ্বের তেজারতি করে এমন অনেক লোক বাংল! দেশে বাংল।র বাহিরে আছে, তাহার! মাল মজুর আমদানী রপ্তানি করিবে এখানে বলিয়া রাখিতে চাই যে, হাজার হাজার মজুর ভারতবর্ধের বাহিরে না গেলে ভারতমাতা শীন্ই মহাবধিপদে পড়িবেন -- একথা সকলের জান! উচিত। সমস্ত পৃথিবীর লোকসংখ্য। বাড়িতেছে, আমাদের দেশেরও বাঁড়িতেছে, কাজেই দক্ষিণ আস্রিকা হউক, আমেরিক! হউক, কানাডা হউক, ফিজি হউক, মাদাগাস্কার হউক, মরিশস হউক,

২৪৮ নয়া বাঙলার গোড়। পত্তন

পাপা অপি পর আল আস পাপা আল পপ শা পর পপি

সর্বত্র আমাদের দেশের লোক যাইবেই যাইবে--যদ্দিও আইন রহিয়াছে তাহার বিরোধী সংসারট! যে ভাবে গড়িয়া উঠিতেছে তাহাতে আমাদিগকে ফেলিয়! ওদের ধনসম্তাঁর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নাই।

আমরা যতই শ্বদেশী আন্দোলন চালাই না কেন, বিলাতকে কখনই মারিয়! ফেলিতে পারিব না, খুব জোর ওদের ধুতি ছাড়িরা দিব, খদ্দর চালাইব, আমেদাঁবাঁদ কি বোম্বাইয়ের মিলের কাপড় পরিব, বাংলা দেশেই বাঙ্গালীর কাপড়ের কল গড়িয়া তুলিব, কিস্তু যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক মাল ইত্যাদি চিজ ইংলও, আমেরিকা, জান্মীণি থেকে আনিতে হইবেই হইবে দেখিতে পাইতেছি, গরুর গাড়ী, ঘোড়ার গাড়ী আর চলিতেছে না, মফঃশ্বলের জেলায় জেলায় ৪০।৫০1৫৫ খাঁন! করিয়া মোটরলরী চলিতেছে তার মানে এই যে--যতই আমরা শ্বদেশী হই না কেন, বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনিতেই হইবে তেমনি আমেরিকা» কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যাও, ফিজি, মাদাগাক্কার, যতই আমাদের শত্রু হউক না কেন, ভারত-সন্তান হিন্দু মুদলমান ওদের দেশে যাইবেই যাইবে এই সকল বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার ভারতসন্তান যদি যাইতে পারে তাহ! হইলে বুঝিব বাস্তবিক আমর! বৃহত্তর ভারত কায়েম করিয়াছি। কেহ যাইবে ফটোগ্রাফার ভাবে ছবি তুলিয়। আনিতে, কেহ যাইবে মাল বাছাই করিয়া! লইয়া আসিতে ইত্যার্দি। কেহ যাইবে কলকক্জা, গুঁষধপত্র দা ওয়াই আনিতে। ভারতের ম্যালেরিয়া নিবারণের জন্য অনেক ডাক্তারকে বিদেশে অভিযান চাঁলাইতে হুইবে, কেহ কবি, কেহ লেখক, কেহ সংবাদপত্রের সম্পাদক, কেহ ইচ্কুলমাষ্টার, কেহ ধর্ম প্রচারক, কেহ বা! চাষী, কেহ বা মজুর, এই ধরণের লোক বিদেশে মোসাফিরি করিবে একমাত্র গ্কুল মাষ্টার বৃহত্তর ভারতের অধিবাসী নয়, একমাত্র প্রত্বতত্ববাগীশ পণ্ডিত বুহুভ্তর ভারতের প্রজা নয়। যারা হাল চালায়,

বৃহত্তর ভারত কাহাকে বলে ২৪৯

যার! মুচী, মেথর, গাড়োয়ান, দারোয়ান যত রাজ্যের যত রকম লোক থাকিতে পারে সকলকে ১৯২৬ সালের পর থেকে ভারতের বাহিরে ছনিয়ার সকল দেশে পাঠানই বৃহত্তর ভারতের অন্ঠতম প্রধান খুটা। রর চাই ভারতে বিদেশী ভাষা শিক্ষার ব্বস্থা দ্বিতীয়তঃ--আগেই বলিরাছি, যেখানে আপনারা দেখেন সন্দেশ, সেখানে আমি দেখি গরু, গে।চারণের মাঠ॥ এইযে বক্তারা বলিয়াছেন - শ্যাম ব্রঙ্গদেশ, কুচ খোট।ন, সুমাত্রা জাভা, চীন জাপান ইত্যাদি দেশের সঙ্গে মিতালি পাতান হইবে, তার মানে সোজাস্ছজি এই, ঘরে বসিয়৷ বাংলা দেশে থাকিয়া আমাদিগকে চীনা ভাষা, জাপানী ভাষা, শ্টাম দেশের ভাষা, তিব্বতী ভাষ! ইত্যাদি নানা এশিনান ভাষ! শিখিতে হইবে। তারপর জাম্মীন ভাষা, ইতালীয় ভাষা, ফরাসী ভাষা, ওলন্দাজ ভাষা, এসবগুলিকে "আমাদের কব্জার ভিতর "নিয় হাজির করিতে হইবে। এই সব ইয়োরে।পীয়ান ভাষায় এশ্য়ার নানা দেশের একাল-সেকাল সম্বন্ধে ভাল খবর পাঁওয়। যায়। সব বাঙ্গীলীকেই যে বসিরা বসিয়া ভাষা মুখস্থ করিতে হইবে তা নয়! জার্মাণি ফ্রান্সের হাজার হাজার সন্তান বিদেশী ভাষায় পণ্ডিত হয় না। সম্প্রতি গোটা ভারতের কথা বলিতেছি না, এই বাংলা দেশে আজ থেকে তিন বৎসরের মধ্যে অন্ততঃ ১** জন লোক চাঈ,--এই সকল লোক বাঁংলা দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায় ছড়াইয় থাকা চাই,--যাঁরা কেহ জান্মাণ ভাষায়, কেহ ওলন্দাজ ভাষায়, কেহ রুশ ভাষায়, কেহ ইতালিয়ান ভাষায়, কেহ ফরাসী ভাষায়, কেহ জাপানী ভাষায় দক্ষতা ওয়ালা লোক হইয়া বসিবে। তার ফল দাড়াইবে এই,- প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহ, প্রতি মাসে সকল ভাষায় মাসিক ত্রেমাসিক প্রস্ৃতি কাগজে যে সকল খবরাখবর বাহির হয় তাহা দিয়! তাহারা জননী বঙ্গভাষার শ্রীবৃদ্ধি সাধন করিবে তাহাতে

২৫০ নয়া বাঙ্গলার গোড়। গার

বা পর লা এপি পরপর এর এলি "পি সম পসরা এর শপ এসি পি তি সিসি বাসি পালি সন সি জি পপি পরি পি এলি জীন তাস লাস্ট তি 5

একদিকে ভারতবর্ষের চৌহদ্দি বাড়িয়া যাইবে, অন্যদিকে আম্মিক হিসাবে, আধ্যাত্মিক হিসাবে, উতৎকর্ষের হিসাবে, ভারত মাতাকে গভীরতর করিয়া তোল! হইবে

বিগত একশ বছরের শিক্ষার ফলে আমরা কেহ শেকস্পীয়ারের এক ছটাঁক, আইনষ্টাইনের আধ তোলা, প্যান্ত্যরবেয় দেড় কীচ্চা রস লইয়৷ মানুষ হইয়া উঠিয়াছি, কথা কেহ অস্বীকার করিতে পারিবেন না। বর্তমানে হাজার হাজার লোক ভারতের বাহিরে পাঠান যাইবে কিনা জানি না। ছাত্র হিসাবে ছ'চার পাঁচশ জন গেলেও যাইতে পারে। তাঁতে আমি যে ধরণের বুহত্তর ভারতের কথা বলিতেছি, সেই গভীরতর বৃহত্তর ভারত গড়িয় উঠিবে না! ইংরেজী সাহিত্য, ইংরেজী বিজ্ঞান ইংরেজের উৎকর্ষের সাহায্যে এই বাংল! দেশ ফুটিয়৷ উঠিয়াছে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু ষে বৃহত্তর ভারত আমর! কায়েম করিতে বসিয়াছি তাহাতে কি আমর! একমাত্র ইংরেজের রসের রসিক হুইব। ফরাসী, জার্ীণ, রুশ, ইতালিয়ান, 'ওলন্দাজ ভাষায় ষে সম্পদ রহিয়াছে সেই সম্পদ বাংলার সমাজে, যুক্ত প্রদেশে, মাঁদ্রাজে, পাঞ্জাবে, গুজরাটে বিতরণ করিবার দায়িত্ব আমর! লইব কি না হহাই প্রশ্ন

লি

ব্যবসার জন্য বিদেশী ভাষা দরকার

একটা সামান্ঠ দৃষ্টান্ত দিতেছি জাপানী ভাবা দখল না করিলে আমাদের ষাহাঁদের তেজারতি কারবার রহিয়াছে তারা আর বেশী দিন জাপানের সঙ্গে পাঞ্জা কষিয়া! ঈাড়াইতে পারিবে না। জাপান ভারতবর্ষকে যেমন করিয়! চুমরিয়া লইতেছে-_বাঙালী, মারাঠা, পাঞ্জাবী, গুজরাটা তেমন করিয়! জাপানকে ঢুমরিয়া লইতে পারিতেছে না তার কারণ ১৯*৫ থেকে ১৯১০, ১৯১৯ থেকে ১৯১৫ এবং এই শেষ ১০।১১ বৎসর

বৃহত্তর ভারত কাহাকে বলে ২৫১

প্রতি বংসর জাপান দলে দলে লেক ভারতবর্ষে পাঠাইয়াছে তাহারা কলিকাতায় বনিয়া থাকে না তাহার। লাহোর, অমৃতসর, পুন। সর্বত্র মুল্লুকে মুল্নকে মঞ্চম্বলের পাড়ার্গায়ে টিকৃটিক করিয়া ঘুরিয়! বেড়াইতেছে। ভারতবর্ষের রস লয়! গিয়। জাপানকে পুষ্ট করিয়! তুলিতেছে। আজকাল জপানীর। ইংরেজদের পরে সব চেয়ে আমাদের বড় খবিদ্বার। কোন কোঁন বিষয়ে ইচ্ছা! করিলে জাপান আমাদিগকে কুপেো।কষা করিয়া! মারিতে পারে। যদি ব্যবসায়-ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে আমাদের লড়িতে হয় তাহা! হইলে জাপানী ভাষায় দখলওয়ালা লোক হইতে হইবে। সেইবপ জাশ্নীণির ভাষা দখল না করিলে, আমাদের যারা ব্যবসা চালা ইতেছে, ষস্পাতি আমদানি করিতেছে, পাট তুল প্রভৃতি মাল রপ্তানি করিতেছে তারা বৃহত্তর ভারতের কর্মক্ষম প্রক্গা হইতে পারিবে নাঁ। ইতালী ভারতে বাজারে কুলির উঠিতেছে

চাই বিশ্বশক্তির ভারতীয় জন্ছরী

বৃহত্তর ভারত প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে হাজার হাজার লোক ভারতবর্ষ থেকে বিদেশে পাঠাইতে হইবে আর জেলায় জেলায় বড় বড় শহুরে বিভিন্ন দেশের ভাষা প্রচার করিবার ব্যবস্থা ক'রতে হইবে। এসব করিয়া তুলিতে পাঁরিলে তবে আমাদের ভারতের নান ঠাইয়ে এক আন্তর্জাতিক কারখান। বা! যন্ত্র বা বাটখারা বা মাপকাঠি দীড়াইয়। যাইবে প্যারিস, বাপিন, নিউইয়র্ক প্রভৃতি শহরে ভারতের গম তুল! রপ্থানী হইলে ষ্টক্‌ এক্সচেঞ্জ ঠিক করিয়! দে কার কিম্মৎ কতথানি। কলিকাতার বাজারে এমন কোন বাটখার! ব। যন্ত্রপাতি আছে কি যাঁর সাহাযো কোনো বিদেশী মাল দেখিবামাত্র বলিয়া দেওয়! সম্ভব কোন জিনিষের কিম্মৎ কতখানি ? নাই ; গোটা ভারতে এমন কোন প্রতিষ্ঠান নাই য। জান্মাণি ব। ফরাসী দেশ

২৫২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

উরি জী সস এস সস এশা পিউ পর পা স্পা পা পল জা পপ শি পাপী লা সমস পল সস অল এস রত পন সি

শান এসসি

থেকে কোনে! জিনিষ আপিলে বলিয়া দিতে পারে তার কিছুং অতট।। বিশ্বশক্তির পরীক্ষক বা জহুরী ভারত সন্তানদের একপ্রকার নাই বলিলেই চলে আমাদের মধ্যে এমন মাথা জন্মায় নাই যে বলিয়া! দিতে পারিত আইনষ্টানের আবিষ্কারের দাম শতকরা! ৬৫ কি ৮৫। সে ক্ষমতা আমাদের একটু একটু করিয়া হইতেছে ষথার্থরূপে বৃহত্তর ভারতের প্রতিষ্ঠা হইলে পরে ভারতের ডিহিতে ডিহিতে আধ্যাত্মিক ভৌতিক মাল-বিনিময়ের এমন সব বাজার ফীড়াইয়া যাইবে যাঁর দালালের! টকাটক বলিয়া দিতে পারিবে কোন্‌ ফরাসীর কিম্মৎ কতখানি, কোন্‌ জার্্নাণের দর কতটা ইত্যাঁদি। তখন দুনিয়া বুঝিবে যে বৃহত্তর ভাঁরত কেবল অতীতের এঁতিহাসিক বস্ত মাত্র নয়। বুঝিবে যে, কালিদাসের আমলে যেমন কৃমার- জীব বিশ্বশ।ক্ত মস্থন করিবার জন্য মধ্য এশিয়া চীন প্রবাসে গিয়াছিল সেইরূপ আজ বিংশশতাব্দীর যুগেও বিশ্বশক্তির স্যবহার করিয়! দুনিয়ার ব্যবসা-বিজ্ঞান-বিচার-ব্যবস্থায় ভারতের চৌহদ্দি বাড়াইয়! দিবার মতন গণ গণ্ডা লোক বাংলাদেশেও পয়দা হয়

বাড়তির পথে বাঙ্গালী

১? হ্ষাউউন্নিল ল্বাভ্াইইল্লেন্ল শড্া

“কাউন্সিল” আর “আযাসেম্ত্রি” এই ছুই সরকারী রাষ্ট্রসভায় জনগণের প্রতিনিধিরপে গিয়া বসিবার জন্ত আজকাল বাংলাদেশে কম সেকম তিনশ" লোক উঠিয়! পড়িয়া লাগিয়।ছেন (১৯২৬)। হরদম চলিতেছে যাওয়া-আসা, রেলে, হ্টীমারে, নৌকায়, উটে, গরুর গাড়ীতে, ঘোড়ার গাড়ীতে, অটোমোবিলে। আর চলিতেছে বচসা, বিতগ্ডা, হাতে মাথা কাটাকাটি আর “চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার” এই দৌষের দিকৃটায় নজর দিবার দরকার নাই। কিন্ত “আর্থিক উন্নতিশ্র পক্ষে “যাওয়া আসা" কাওট। ফেলিয়া দিবার চিজ নয়। ইহার জন্য লাগে “রূপচাদ” রাহা" খরচ আছে, সেলামি আছে, “মিষ্টিমুখ” আছে। তাহা ছাড়া আরও অনেক-কিছু আছে, যাহার জন্ত দরকার হয় দক্ষিণা পাগাদের প্রদত্ত “সুফল” অথবা জাতীয় মালের মূল্য

আমরা যে শান আলোচন! করিঘ়্া থাকি তাহার আমল কথাই হইতেছে কেনা-ব্চো। “ভোট” তো আর স্থষ্টি-ছাড়া সামগ্রী নর। ভোটেরও কেনা-বেচা সম্ভব। যখন ম্বর্গলাভ বা নরক-প্রাপ্তি পথ্্ত কেনা-বেচার মামলায় আসিয়া ঠেকিতে পাঁরে, তখন রাষ্ট্র-সভার্ মাতব্বরি করিবার অধিকার, পদ্দগৌরব বা ক্ষমতা, কেনা-বেচার বাহিরে থাকিবে কি করিয়া? ভোটেরও “হাট””বাজার” আছে।

আমাদের শ'তিনেক বাঙালী বন্ধুরা কে কত খরচ করিলেন তাহ! সম্প্রতি আন্দাজ করিতে বসিয়া লাভ নাই। কেননা সরকারের কাছন আছে যে, এই সব বাছাইয়ের খরচপত্র প্রত্যেককেই গবমেণ্টের নজরে আনিতে হইবে আর তখন দেশশুদ্ধ লোক তাহা জানিতে পারিবে।

রর টা 8308 গোড়া

পলিসি পাসিলী পিসি পিন, লরি শি লনা পরি পি লো লঙ্তী পা লিল লীিলী লািলীসিলািতীছ ৩৩ নিল নি

অবণ্ত সকল পল খরচই ষে প্রত্যেকে অতি সুবোধ নরকের মতন চন বলিয়া দিবেন এরপ বিশ্বাস করিবার কোনো কারণ নাই কিন্তু মোটের উপর অনেকটা! ধরিতে পারিব বুঝা যাইবে, বাছাই-ব্যবসায় খণ্চা লাগে কত।

বাজে খরচ না ভাবুকতা!

রাষ্ট্র-সভায় প্রতিনিধি হইবার জন্য বাঁডালীরা টাকা খরচ করিতেছে, ইহা সখের কথা বুঝিতেছি যে,_-"ঘরের খেয়ে বনের মৌষ তাড়াবার” মতন লোক বাংলায় দেখা দিতেছে: আর তার জন্ত টাকা ঢালিবার উন্মাদনাও আত্মপ্রকাশ করিতেছে বাঙালী-চরিত্রে বোধ হয় এই একটা নয়া বিশেষত্ব অন্ততঃ ১৪।১৫ বৎসর পূর্বে এই বিশেষত্ব দেখিতে পাওয়া যাইত না! যদিও বা দেখা যাইত, তাহ! যাত্র দ্ু'দশ জন লোকের ভিতর আবদ্ধ ছিল। কিন্ত আজ ১৯২৬ সনে দেখিতেছি বাংলার প্রত্যেক জেলায়ই গণ্ড| গণ্ড লোক এইবূপ “বাজে থরচের” নেশায়' মাতোয়ারা

অনেকে হয়ত এই খরচপত্রকে অপব্যয় বিবেচনা! করিতেছেন। কিন্তু আমরা ইহাকে ভাবুকতার অন্থতম নিদর্শনরূপে সমাদর করিতে চাই। ইহাতে নিত্য-নৈমিত্তিক হাড়ীকুড়ি ডালচালের সীমানা ছাড়াইয়। খষ্চ্যে লোকগুলাকে খানিকট। নুক্্মতর স্থখভোগের রাজো চরিয়! বেড়াইবার সুযোগ দেয়। নিজের কথা আর নিজ পরিবারের কথ ন1 ভাবিয়াও মানুষ যে ছুই দণ্ড, ছুই সপ্তাহ, ছুই মাস কাটাইতে পারে আর তাহার জন্ক টাকা ঢালিতে পারে, তাহা আমরা! বাঙালীরা পৃর্ধে বড় একট! জানিতাম না। বাছাইয়ের উপলক্ষে বাঙালী সমাজে এক অভিনব আদর্শ-নিষ্ঠা দেখিয়া! আনন্দিত হইতেছি।

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৫৫

পারিবারিক খরচের নয়া দফা

সরকারী রাষ্-সভা অথব1 বে-সরকারী কংগ্রেস-কনফারেন্দ ইত্যাদির জন্য খরচপত্রকে আমরা বাজে খরচ বিবেচনা করি না। অবশ্ঠ মান্রাটা কবে কখন কোথায় গিয়া ঠেকে, তাহা যথা সময়ে ভাবিয়া! চিত্তিয়া দেখ! কর্তব্য। সম্প্রতি দেখিতেছি এই পধ্যস্ত যে, দেশের নামে অথবা! দেশ- সেবার গন্ধের জন্ত আমাদের উচ্চশিক্ষিত অথবা সম্পন্ন লোকের! পয়স৷ খরচ করিতেছেন। ইহ! সুলক্ষণ

“আর্থিক উন্নতি”র তরফ হইতে আর একটা কথা লক্ষ্য করা কর্তব্য পয়স৷ খরচ করিবার নতুন নতুন কতকগুলা উপলক্ষ্য বাঙালী ( এবং সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ) সমাজে দরাড়াইয়া যাইতেছে আড়কাঠি বাহাল না করিলে ভোটের বাজারে সওদ! করা চলে না একমাত্র চরিত্রের জোরে কি বিদ্ভার জোরে অথবা কর্মদক্ষতার জোরে স্বয়ং ভগবানও কোনো মানব-সমাজে ভোট পাইবার উপযুক্ত বিবেচিত হইবেন কিন। সন্দেহ। কচিৎ কখনো ছ'এক ক্ষেত্রে একমাত্র গুণের শক্তিতেই ভোট টানিয়া আনা অসম্ভব না হইতেও পারে। কিন্তু সাধারণতঃ: সর্বত্রই চাই গলাবাজি, কলমের জোর, কথা কাটাকাটি, আর তার জন্ত লেখক বন্তা জাতীয় ডজন ডজন লোকের গতিবিধি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সকল লোকের “খোর পোষ” জোগানো৷ ভোটপ্রার্থার পক্ষে আবশ্তক। অর্থাৎ নিজ খাই খরচের সঙ্গে সঙ্গে এই সকল খরচ বাঙালী সমাজে পারিবারিক জীবন-যাত্রার অন্যতম অঙ্গে পরিণত হইতেছে। ১৮৯৫-+১৯০৫ সনের বাঙালী জীবন-যাত্রায় আর ১৯২৬ সনের বাঙালী জীবন-যাত্রায় এই এক প্রভেদ

বুঝিতেছি যে, বাংলায় “কনজাম্পশ্তন্” নামক ধনবিজ্ঞানের পারিভাষিক

২৫৬ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

ভোগন্বস্তটা আকারে প্রকারে বাড়িয়া যাইতেছে আমরা নয়া নয়া দফায় খরচ করিতে শিখিতেছি। কেবল শিখিতেছি মাত্র নয়,-খরচ করিবার ক্ষমতা পর্য্যস্ত আছে। সোজা কথায় ইহার নাম *্ট্যাগার্ড অব. লিহ্বিংয়ের" ( জীবন-যাত্রা প্রণালী ) বহর-বৃদ্ধি। যে যেব্যক্তি অথবা যে যে পরিবার এই সকল নতুন দফায় টাকা পয়সা ঢালিতে সমর্থ, তাহারা তাহাদের খধাপ-দাদাদের চেয়ে উচ্চতর আর্থিক ধাপে জীবন চালাহইতেছেন।

এই সকল খরচপত্র বাড়ানে৷ সম্ভবপর হইতেছে কোথা হইতে ? সকলেই যে "খণৎ ্ৃত্বা ঘ্বতং পিবেৎ»-নীতির ধুরন্ধর এরূপ সন্দেহ করিবার কারণ নাই। আর কোনে! কোনো ভোটপ্রার্থী যে অন্তান্ত দফায় খরচ কমাইতে বাধ্য হইরাছেন এরূপ সংবাদও পাওয়া যার নাই। মোটের উপর, অন্তান্ত সাংসারিক খরচপত্রের উপরই এইটা বাড়তি খরচ।

অন্তান্ত খরচও কমে নাই আর কঞ্জ' করিয়া ভোট কেনাও চলিতেছে না, এই যদি অবস্থা হয় তাহা হইলে টাকা-পয়সা আসিতেছে কোথা হইতে? জবাব সোজা]

বুঝা উচিত যে, নিজ নজ আয় হইতেই খরচ চলিতেছে ধাহাদের নিজ টাকে পরস! নাই, তাহাদিগকে সাহাধ্য, করিতেছেন হয় বন্ধুবান্ধব, না হয় সভা-সমিতি, এক কথায় “দেশের” লোক

যে পথেই টাকা আসুক না কেন, টাকাটা আসিতেছে ইহাই ধন- বিজ্ঞানের তথ্য অতএব যদ্দি কেহ বলেন যে, অন্ততঃপক্ষে ভোট- প্রার্থীদের দলে বা সমাজে আয়ের পরিমাণ কিছু বাড়িয়াছে তবে তাহাতে সন্দেহ করা কঠিন। গোটা বাংলাদেশের আথিক অবস্থা বিগত ত্রিশ- চলিশ বৎসরের ভিতর কতটা উন্নত হইয়াছে তাহা একমাত্র এই তথ্যের জোরে আন্দাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু বাঙ্গালী সমাজের কোনো কোনো

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৫৭

ংশে সম্পদ-বৃদ্ধি ঘটটিরাছে এইরূপ অন্মান লইয়া চিস্তাক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করা বুক্তিহীন হইবে না।* দেশের দারিদ্র্য-সমন্তা আলোচন। করিবার সময় এই কথাটা মনে রাখা কর্তব্য

ভোট-প্রার্থীদের ইস্তাহার

আমরা ভোট-প্রার্থাদের হস্তাহার অনেক পড়িয়া দেশিরাছি। তাহা ছাড়া দৈনিকে সাপ্তাহিকে তাহাদের সপক্ষে বিপক্ষে নানা তথ্য পাইয়াছি। দলাদলির যাঁঁকিছু দস্তর তাহার কিছুই আম।দের সংবাদ-সাহিত্যে বাদ পড়িতেছে না| কিন্তু এই ঢু মাঁস ধরিয়া যে বাকৃবিতণ্ড চলিতেছে তানার ভিতর যেন কাজের কথ প্রচুর পরিমাণে বাদ পড়িয়া! গিয়াছে

কোনো দলের সপক্ষে বিপক্ষে মতামত ঝাড়া আমাদের মতলব নয়। কিন্তু কথাট। বলিয়! রাখা কর্তব্য যে, শ্বরাজ-ম্বাবীনতা শব্দটার বানান, উচ্চারণ ব্যাখ্যা এবং হিন্দু-মুসলমান ছুনিয়ার ভৌগোলিক শ্তিহাসিক বৃত্তান্ত রাষ্ট্রীয় কাউন্মিল-আ্যাসেম্ত্রির একমাত্র আলোচ্য বিষয় নয়। এই তই বিষয় বদ দেওয়া উচিত আমরা এরূপ বলিতেছি না, বলিতেছি এই যে,_পাচ কোটি বাঙ্গালী নরনারীর রাস্ট্রীর স্বার্থের ভিতর আরও অনেক কিছু আছে সেই সকল চিজ ভেট-প্রাথীদের ইস্তাহারে পাওয়া কঠিন। তাহার! দেশের লোৌকের “প্রতিনিধি” কিন৷ অনেক ক্ষেত্রে এন্সপ সন্দেহ করা চলে

চাবী-মজুর-কেরা ণীর স্বার্থ «আথিক উন্নতি”্র চোখে এউ ইন্তাহারগুলার কিছু সমালোচনা অপ্রাসঙ্গিক নয়। খু'টিরা খু'টিয়! দফায় দফায় সকল কথা বলিবার ইচ্ছ!

* “ঠ্যাদড়ের দর্শন” প্রবন্ধ ভ্রষ্টুব্য | ১৭

২৫৮ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

নাই। কিন্তু দেখিতেছি, দেশের পল্লীতে পল্লীতে চাষীরা নতুন নতুন কথ শুনাইতেছে তাহাদের বাণী ইস্তাহারে ইস্তাহারে ঠাই পায় নাই কেন ? মভুরদের সুথ-দুঃখও অ।জকাল সমাজের ঘ।টিতে ঘাটিতে মুত্ডি পাইয়া উঠিতেছে। তাহাদের কথা হস্তাহারগুলায় শুনিতে পাহলাম না কেন ? দেশের লোক খাইতে পাহতেছে না বলিয়! চীৎকার করিতেছে এই চীৎ্কারের প্রতিধ্বনিও ইস্তাহার-সাহিত্যে বিগল কেন? এই সকল এবং অন্তান্ত এই শ্রেণার বিষয় সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন মত থাকা সম্ভব। ভিন্ন ভিন্ন কাধ্য প্রণালী থাকাও সম্ভব সেই সকল মত এবং কাধ্যপ্রণালী 1বভিন্ন দলেরও প্রাণম্বরূপ। কিন্ত কাগজে এই সক বিষয়ে উল্লেখযোগ্য আন্দোলন হইল কৈ?

আধিক আহন-কান্ুুন

আর একটা কথা মনে রাখা আবশ্তক। কাউন্দিল-আ্যাসেম্ল্লির আসল কাজ হইতেছে আইন-কানুন তৈয়ারী করা। আর এই আইন- কানের বার আনা চৌদ্দ আন1 অংশ হইতেছে ধনদৌলত-সম্পর্কিত বহির্বাণিজ্য-অন্তর্ধবাণিজ্য সম্বন্ধে বিধি-ব্যবস্থা কায়েম করা এই সকল আইন-গঠনের অন্তর্ঠত। রেলের আইন, জাহাজের আইন তাহাদের অন্ততম। ফ্যাক্টরি-কারখানার শাসন-পরিচালন1! এই সব আইনেরই অধীনে চলিয়া থাকে গো-জাতির উৎকর্ষবিধান, খাঁটি গো-ছুধের ব্যবস্থা, পলী-শহরের শ্বাঙ্থ্যোন্নতি ইত্যার্দি সবহ শেষ পধ্যস্ত কাউদ্দিল- আযাসেমব্রিতে আইন-স্থষ্টিরি উপর নির্ভর করে। এই সকল বিষয়ে বাংলার যে ষে “জন-নায়ক” অথবা রাষ্ট্রীয় দল বিশেষ কোনে। মত পোষণ করেন না অথবা দেশবাসীকে কোনো আন্দোলনের সপক্ষে মত পোষণ

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৫৯

করিতে সাহায্য করেন না, তাহারা কাউন্দিল-আযাসেম্্রিতে যাইবার অযোগ্য

ৃষ্টান্তত্বরূপ বল! যাইতে পারেঃ আজকাল কয়েকট। বড় বড় সমস্ত সরকারী রাষ্ট্র-সভায় আলোচিত হইবার কথা সরকারকে ভারতীয় নরন।রীর ট্যাক্‌স দ্রিবার ক্ষমতা কতখানি আছে, এই বিষয়ে সরকারী তরন্ত হহয়া গিয়াছে সে সম্বন্ধে বাঙালী ভোট-প্রার্থীদের মতামত কি তাহা তাহাদের ইন্তাহারে এবং নিজপক্ষীয় কাগজে আলোচিত হওয়। দরকার এই বিষয়ে স্পষ্ট কর্মপ্রণালী এবং আইনের খসড়া নির্দেশ কর। আবশ্যক ।॥ বিদেশী মূলধনের সাহাব দেশের কষি-শিল্প-বাণিজ্যের উপকার কতট1 সাধিত হইতে পারে এবং সেই উদ্দেগ্তঠে কিরূপ আইন গঠিত হওয়া উচিত, এই সকল [বষয়ও ইন্তাহ।রে উস্তাহারে বিবৃত হওয়। উচিত। ভারতের সঙ্গে বিদেশের আন্তজ্জাতিক বাণিজ্যকে সকল ক্ষেত্রেই শুন্ক-নীতির বশবত্তী করিয়া রাখা উচিত কিন] সেই সম্বন্ধে ভোট-প্রার্থীদদের মতামত প্রকাশ করা কর্তব্য। মুদ্রাসংস্কারের জন্ত “রিজার্ভ-ব্যাঙ্ক” গঠিত হইবার কথা উঠিমাছে। এই বিষয়ে. ভোট-্প্রাথারা কে কি বুঝেন ভাবেন তাহাও দেশবাসীকে জানানো! তাহাদের কর্তব্য আজকাল কৃষি-কমিশন বসিয়াছে। কৃষির উন্নতির জন্য কোন্‌ ভোট- প্রার্থী গভর্মেন্টকে কিরূপ আইন তৈয়ারী করিবার জন্ উদ্ধ দ্ধ করিতে প্রস্তুত আছেন, তাহ।ও দেশের লোক জানিতে অধিকারী

ফরাসী আইনে আথিক ব্যবস্থা

মানুষের স্থখছুঃখের সঙ্গে আইন-কান্ধনের যোগাযোগ অতি নিবিড় মাস মাস ফ্রান্সে যে সকল আইন জারি হয় তাহার তালিকা দেখিলে বিন্মিত হইতে হয়। জুন মাঁসে ২৩ট1 আইন জারি হইয়াছে

২৬০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

(১৯২৬)। একটার দ্বারা! দিয়াশলাইয়ের কারখানায় মারাত্মক হল্দে ফম্ফেট ব্যবহার করা তুলিয়া! দেওয়া হইল। এই বিষয়ে একট! আন্তজ্জাতিক সমঝৌতা ছিল। এতদিনে ফ্রান্স কাগজে কলমে সেই সমঝৌতা৷ শ্বীকার করিল। পেক্রোলিয়ম তেল সম্বন্ধে একটা আইন জারি হইয়াছে | বিজ্ঞাপনের উপর কর বসাইবার জন্ত প্যারিস শহরকে একতিয়ার দেওয়া হইল একটা আইনের দ্বারা ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং গ্রেট বুটেনের সঙ্গে উড়েো। জাহাজের চলাচল লইয়া একটা বুঝা-পড়া সহি হইয়াছিল মে মাসে সেই সঙ্গে সঙ্গে আকাশপথে মাল আমদানি- রপ্তানির নিয়মও স্থিরীকৃত হয়। এক্ষণে এই ছুই বিষয়ে ফরাসী গবর্ণমেণ্ট এক আইন জারি করিলেন বভিন্ন উপনিবেশ সম্বন্ধে চারটা আইন জারি হইয়াছে বিল!সের সামগ্রী কাহাকে বল! হইবে তাহার ব্যবস্থা কর! এক আইনের উদ্দেস্ত রপ্তানির উপর কর ধার্য কর! হইয়াছে এক আইনের সাহায্যে গবর্ষেন্ট কোনো! কোনে। কোম্পানীকে আযালকহল তৈয়ারা করিবার একতিয়ার বিক্রী করিয়াছেন। তাহার দর-দস্তর নিদ্ধারিত হইয়াছে এক আইনে ব্যাঙ্ক-ব্যবসায় আট ঘণ্টার রোজ কায়েম করা এক আইনের উদ্দেশ্ট |

ক্রান্দে কবি-দৈব কানুন

শিল্প-কারখানার কাজ করিতে করিতে দৈবক্রমে মজ্বদ্দের কোনে অনিষ্ট ঘটিলে তাহাদের স্বার্থরক্ষা করিবার জন্য অন্তান্ত উন্নত দেশের মতন ফ্রান্সেও আইন আছে। কিন্তু কৃষি-ক্ষেত্রের মজুরদের জন্য “দৈব”- কানন ছিল না। ১৯২২ সনের শেষের দিকে কৃষি-মন্তুরদের জন্যও দৈব-কানন জাঁরি হয়। জন্প্রতি,-১৯২৬ মে মাসে” _সেই কানুনের কতক গুল! অসম্পূর্ণতা সংশোধিত কর৷ হইয়াছে কোনো কোনে! বিষয়ে

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৬৬

ব্রি রি রিট সী সত লি শপ সম প্লাস শির লি পা লি পিসি শি লিপি লৌকলী এপ পিপিপি তিল রী সির পলা লািলিিলাসি লিল সনি সিাসলা সরি পা সি সিট কি

আইনটা অন্পষ্ট ছিল। কোনো কোনো দফার পরিবর্তনও আব্ক হইয়া পড়িয়াছিল। সকল দিক্‌ দেখিয়া শুনিয়া একটা নতুন ক্কষি-দৈব কানুন জারি করা হইল

আঘধিক জীবন বিবয়ক ফরাসী আইন

বিগত মে মাসের ভিতর ফ্রান্সে ৯৩ট৷ বিভিন্ন আইন জারি হইয়াছে। এই গুলার ভিতর পাঁচটা আল্জিরিয়া প্রদেশ সম্বন্ধে। আলজিরিয় আক্রিকাঁয় অবস্থিত বটে। কিন্তু ফরাসীরা এই প্রদেশকে “কলোনি” বা উপনিবেশ বিবেচনা করে না। ফ্রান্দেরই একটা জেলা বপে আল্জিরিয়ার শাঁসন চলিয়া থাকে খাঁটি উপনিবেশ-বিষয়ক আইন ছিল দুইটা মজুদের স্বার্থে আইন জারি হইয়াছে ছুইট1। দুইটা আইন রাজম্ব-বিষয়ক ব্যাঙ্ক ব্যবসায়ীদের নিকট হইতে কর আদায় করিবার কর্ধপ্রণালী এক আইনের বিষ আল্জিরিয়া় বিদেশীদের অস্থাবর সম্পত্তির উপর কর বসানে! অন্য আইনের উদ্দেশ্ত খুচরা দৌকানদারদিগকে আট ঘণ্টার রোজ পালন করিতে বাধ্য করা হইয়াছে তৃতীয় আইনের সাহাধ্যে . খাগ্ভদ্রব্যের বিক্রেতারা এই আইনের আওতায় আসে না। খনির কাজে যে সব মজুর বাহাল আছে মালিকাদগকে তাহাদের আপদবিপদে আশ্রয়-স।হাষ্য জে'গাইতে বাধ্য করা হইয়|ছে অন্ত এক আইনের জোরে

ফরাসী পালগামেণ্টের কাজকর্ম

বড় বড় দেশের লোকেরা পালগামেণ্টে বসিয়া কোন্‌ কোন্‌ বিষয় আলোচনা করে তাহার হিসাব রাখ! আমাঁদের পক্ষে মন্দ নয়। ফরাসী “শীবর দে দেপুতের” (পালামেণ্টের ) ছুই মাসের কার্যয-বিবরণী হইতে

২৬২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

তাহার কিছু-কিছু মালুম হইবে ১৯২৬ সনের মে-জুন মাসে “শাবরের' প্রতিনিধিদিগকে নিয়লিখিত বিষয়ে মাথা ঘামাইতে হইয়াছে (১) অস্থায়ী কর্জগুলাকে স্থারী কর্জে পরিণত করা ছিল তাহাদের এক ধান্ধা!। (২) মজুরদের দৈব আলোচনা করা আ'র তাহার প্রতীকারকল্পে চিকিৎসার এবং ওযুধপত্রের খরচ জোগানো আর এক ধান্ধা। তাহা ছাড়া, (৩) পেঙ্রোলিয়ম তেলের উৎপন্তি বিক্রয় সম্বন্ধে শাসন, (৪) নাইট্রোজেন তৈয়াপী করিবার কারখানা সম্বন্ধে আইন জারি করিবার ব্যবস্থা, ৫) গরিবদের জন্য সম্তায় ঘরবাড়ী তৈরারী করা, (৬) চাষ-আবাদের মজুরদের সঙ্ববদ্ধভাবে চুক্তি চালাইবার ক্ষমতা, (৬) সওদাগরি জাহাজে বিদেশী মজুর নিয়োগ, (৮) বার্ধক্য-বীমা» (৯) ব্যাধি-বীমা, (১০) বিদেশী মালের প্রভাব হুইতে দেশের বাজারকে রক্ষা করা, (১১) রষি-শিল্প- বাণিজ্য বিষয়ক সঙ্ব, (১২) রাজন্বে সমতা-বিধানের ব্যবস্থা, (১৩) মুদ্রার মূল্যের স্থিরতাসাধন, (১৪) নৃতন নৃতন সরকারী আয়ের পথ আবিষ্কার, (১৫) কারখানায় কাঁজ করিতে করিতে মজুরদের অনিষ্ট ঘটিলে তাহার জন্য দায়িত্ব কাহার? (১৬) পশ্চিম আফ্রিকার ফরাসী ব্যাঙ্ক, (১৭) খনির মজুর, (১৮) পারম্পরিক সাহায্য-সজ্ঘ নামক সমবায় নিয়ন্ত্রিত সমিতির কাহ্য-প্রণালী ইত্যাদি বিষয়ে ফরাসী পালরামেন্টে বাকৃবিতওা চলিতেছে দেখা যাইতেছে, আথিক জীবন লইয়া মাতা- মাতি করা শবরের সভ্যদের প্রধান কাজ

রাষ্্র-শক্তির আথিক সদ্ব্যবহার

রাষ্্টী একটা বিপুল যন্ত্র। লোকহিতের বাহনম্বরূপ এই যন্ত্রকে যখন.তখন £অন্থীকার করিয়া চল! উচিত নয়। বস্ততঃ, রাষ্ট্-যস্ত্রকে ভারতবাসীর কবজায় আন! চাই-ই চাই। কিন্তু রাষ্ট্রকে হাতিয়ারের

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৬৩

6. ভীসিকী অপ শলিলী তাস সত সি দি সসিিসাতিসী পানি পি লী পে সিসি পি | পিসিতটি পদ উন সি পরী লট পি শী শি লট ছি পস্টিতিি লিলি লতি লস পিট শসা পো পরি ৭৯ সস পিসি শিস ঠাস পি শর্ত পলি

মত ব্যবহার করিতে হলে পাকা কারিগর হওয়া আবশ্তক | আধিক হিসাবে দেশকে বড় করিয়! তুলিবার জন্য রাষ্ট্রকে কত উপায়ে নিজের কব্জায় আনা সম্ভব, সে সম্বন্ধে বাঙালী ম্বদশ-সেবকগণ এখনে। বেশ সজাগ হইয়া উঠেন নাই। বাষ্্র-শক্তির আথিক সদ্যবহার করিতে হইলে বাঙালীর পক্ষে যে-যে নৃতন-নৃতন যে।গ্যতা অর্জন করা আবশ্যক, সেই সকল যোগ্যতা ১৯২৬ সনের বাংলায় বেশী দেখা গেল না। সেই যোগ্যতা বাড়াইবার এবং সমাজের নাঁন। সুরে ছড়াইবার স্থযোগ স্থষ্টি করিব!র জন্ত বর্তমান হিড়িকে প্রস্তত হইতে শিখিলে আমর ১৯৩* সনের জন্য উপযুক্ত হইতে পাবিব

চাই বিভিম্ন আহিক নীতি

কচিৎ কোনো! কাগজে ছু'একটা আথিক বক্তা ছাপা হয় নাই সে কথা বলিতেছি না কোনো কোনো ইন্তাহারে চাধী-ম্জুর-মধ্যবিতের নাম করা হয় নাই তাহাও বলিতেছি না। বলিতেছি এই যে,_-বাংলা- দেশের ক্ৃষি-শিল্প-বাণিজ্য পুষ্ট করিবার জন্য এবং সঙ্গে সঙ্গে চাষী-মজুর- কেরাণীর অন্ন-ক্ট, জল-কষ্ট, স্বাস্থ্য-কষ্ট, শিক্ষা-কষ্ট খুচাইবার জন্য কোন বাক্তি বা কোন্‌ দল কিরূপ আইন তৈরী করিতে বা! করাইতে প্ররস্তত আছেন, সেই কথাটা কোথায় বড় একটা জমিয়1-মজিয়! উঠে নাই। প্রত্যেক রাস্থ্রীর দলের একট আঘথিক নীতি এবং কর্ম্নকৌশল থাকা আবশ্তক। আর কাগজে কাগজে সভায় সভায় সেই সন্বদ্ধে বিপুল আন্দেলন চাই তাহা যতদিন ন1! দেখিতেছি ততদিন ভোট-প্রার্থী- দ্বিগকে এবং দলগুলিকে আথিক হিসাবে দেশের লোকের বথার্থ গ্রতিনিধি বলিতে পারিবনা। অবশ্য আথিক মত এবং আথিক কর্মম-প্রণালী থাকিলেও “কাউন্সিল- আযাসেম্ত্রি”তে সেই সব কাজে পরিণত করিবার

২৬৪ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

স্থযৌগ বা ক্ষমতা পাঁওর়া যাইবে কিনা সে কথ! স্বতন্ত্র। ১৯২৬ সনের বাছাই-কাণ্ডের আন্দৌলনট1 দেখিয়া! যুবক বাঙলা ভবিষ্যতের জন্য শ্বদেশ-সেবার কর্মপ্রণালী ঢুটিতে প্রবৃত্ত হইলে,_আমাদের একটা মস্ত শিক্ষালাভ হইয়া গেল বলিতে পারিব।

আথিক স্বার্থ হিন্দুমুসলমান

একটা বদখেয়ালের দলাদ্লি বাজারে বেশ পাকিয়! উঠিয়াছে কথায় কথায় “হিন্দুর স্বার্থ”, “মুসলমানের স্বার্থ” ইত্যাদি বোল ঝাড়া হইতেছে এই সকল তথাঁকথিত হিন্দু-শ্বার্থ, মুসলমান-স্বার্থ ঠিক কোন্‌ প্রকৃতির চিজ তাহা স্বদেশ-সেবার তবফ হইতে যাচাই করিয়া দেখা হয় নাই। সে দ্দিকে নজর দেওয়া সম্প্রতি সম্ভব নয়

আিক উন্নতির তরফ হঈতে যাত্র এইটুকু বলিতে চাই যে,_ সেই ঘন্ব আমাদের কোঠে অক্ঞাত। যে-যে প্রণালী অবলম্বন করিলে বাংলার চাষী মজুর কেরাণী শিল্পী বণিক পরিবারগুল! ছুই বেল! পেট পুরিয়া খাইতে পারিবে, শীতকালে গায়ে আলোয়ান জড়াইবে, গরমে- বর্ষায় ছাতা মাথায় দিবে, শ্থাস্থ্যকর ঘরবাড়ীতে শুইতে পারিবে, ইন্থুল- কলেজে পড়িতে পারিবে, অন্ুুখ হইলে ডাক্তার-কবিরাজ-হাকিম ভাকিতে পারিবে আর সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু টাকাও জমাইয়া রাখিতে পারিবে, _ সেই প্রণালী-গুল! বাঙালী হিন্দুর পক্ষেও ষ', বাঙালী মুসলমানের পক্ষেও তাই

ধনবিজ্ঞানে জাতি-ভেদ, বর্ণ-ভেদ, ধর্মম-ভেদ, ভাষাঁ-ভেদ্দ নাই। হুইতেছে অতিমাত্রায় সনাতন, বিশ্বজনীন বিজ্ঞান। আথিক উন্নতির ঝাও। খাড়া করিলে হিন্দু এবং মুসলমান উভয়েই এঁক্যবন্ধ হইতে বাধ্য। যদি অনৈক্য দেখ! যায়, সে অনৈক্য আসিবে ধনী-নিধনে, মজুর-মালিকে,

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৬৫

চাষী-জমিদারে,--ধর্্ে ধর্মে নয়। সেই অনৈক্য-নিবাঁরণের জন্ত আবার অন্য কতকগুলা সনাতন দাওয়াই আছে যুবক বাংলাকে বিচক্ষণরূপে রাষ্থীয় সংসারে প্রবেশ করিতে হইবে মাঁমুলি বুল ছাঁড়িরা নতুন পথের পথিক হইবার জন্য,--১৯২৬ সনের দলাদলি চিন্তাশীল বাঙালী কন্মার্দিগকে অনেক-কিছু সাহাধা করিবে আশা করিতেছি।

২. £ ০শ্বজ্ল ভ্যাস্পন্্যাল ম্যাক্জেশন সেভ

এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে (১৯২৭) কলিকাতার বেঙ্গল স্যাশন্ঠাল ব্যাঙ্ক পাওনাদারদের টাকা দেওয়া বন্ধ করিতে বাধ্য হইয়াছে সোজ। কথায় উহার নাঁম ব্য'ঙ্ক-ফেল্‌। বেঙ্গল শ্যাশন্াল ব্যাঙ্ক ৯০৭ সনে শ্বদেশী আন্দোলনের যুগে জন্মগ্রহণ করিয়াছিল মৃত্যুকালে উহার বয়স ছিল প্রায় বিশ বৎসর

“চরম সময়ে” এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থা কিরূপ ছিল তাহা সংবাদপত্রে গ্রকাঁশিত ডিরেইরগণের প্রদত্ত বিবরণ হইতে জানিতে পারা যাঁয়।

১৯৯৭ সনে €* লক্ষ টাকা মূলধনসহ এই ব্যাঙ্ক স্থাপিত হয়। এই মূলধনের মব্যে ১৫ লক্ষ হাজার শত টাকার অংশ বিক্রী হয়। অংশ বিক্রয় করিয়। লক্ষ হাজার শত ৮৭ টাঁক। পাওয়া যায়

সাত বৎসর চলিবার পর ব্যাঙ্কটার ছুঃসময় উপস্থিত হয়। ফলে পরিচালক সংসদের কিছু পরিবর্তন কর হয় এবং শ্রীযুক্ত ব্যোমকেশ চক্রবন্তী উক্ত সংসদের সভাপতির পদ গ্রহণ করেন। ১৯১৩ সনের স্কারী চল্তি আমানত খাতে ব্যাঙ্কে ২৫ লক্ষ টাক] গচ্ছিত ছিল। ব্যাঙ্কটির দুঃসময়ে এবং মামলামোকদমার ফলে আমানত হ্রাস পাইয়া লক্ষ ৭৭ হাজার টাকায় দীড়ায় ইহা ১৯১৭ সনের ডিসেপ্বর মাসের কথা

২৬৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

মী স্পা পপ দিছি লী পি ৯৮ পা পি শিস লি লস ৮৬ পিপিপি সিল সিল পাটি পাকি পদ পালি লাছিতী সি লি দি লরি পচ লি পা পট লী এছ লা লো খল লস

ব্যাঙ্ক তথাপি কাঙ্গ চালাইতে থাকে এবং ১৯২৩ খৃষ্টাব্দে আমানতের টাকা বৃদ্ধি পাইয়! ৮৫ লক্ষ টাঁকায় দীড়ায়

আযালায়যান্স ব্যাঙ্ক পতনের ফল

৯৯২৩ সনের এপ্প্রিল মাসে আযালায়্য।ন্স ব্যাঙ্ক দেউলিয়! হওয়ায় ব্যাঙ্কের উপর লোকের বিশ্বাস কমিয়া যার ৩*শে এপ্রিল তারিখে এই ব্যান্কের উপর পাওনাদারেরা চড়াঁও করে। চারদিন পর্যন্ত এই অবস্থা চলিতে থাকে। সেই সময় আমানতদারদিগকে ২৪ লক্ষ টাক! দেওয়া! হুয়। এই টাকার মধ্যে ১* লক্ষ টাকা ইম্পিরিয়্যাল ব্যাঙ্ক হইতে ধার করা হয় এবং অবশিষ্ট টাকা ব্যাঙ্কের তহবিল হইতে দেওয়া হয়। এই টাক! তুলিয়া লওয়ার পরও কয়েক মাস যাবৎ অল্প অল্প টাকা তুলিয়া লওয়া চলিতে থাকে নগদ টাকার অভাবে পরিচালকদিগকে অত্যন্ত অন্থবিধায় পড়িতে হয়। এদিকে লোকেও টাকা জমা দেয় না। শেষকালে ১৯২৩ সনে যখন সর্বত্র ব্যবসায়ে একটা মন্দা পড়িল সে সময় ব্যাস্ক নিজের টাকা আদার করিতে পারিল ন। তখন পরিচালকবর্থ বাধ্য হইয়া ইনম্পিরিয়্যাল ব্যাঙ্কের নিকট হুইতে আরে! দশ লক্ষ টাকা ধার লইলেন। তাহার পর ব্যাঙ্কের অবস্থা ভাল হুইতে লাগিল এবং আমানত- দ্বারেরাও টাক! জম! দিতে লাঁগিলেন। কিন্তু পূর্ষোক্ত কারণে ব্যাঙ্ক আর নগদ টাকা জমাইতে পারিল না ফলে এই হইল যে, গত এপ্রিল মাসে পুনরায় বখন বাঙ্ক হইতে খুব বেশী টাকা তুলিয়া লওয়া আরম্ত হইল সে সময় ব্যাঙ্ক আর টাঁকা দিয়া উঠিতে পারিল না।'

বর্তমান বশুসরের প্রথম অবস্থা!

১৯২৭ সনের জানুয়ারী মাঁসে যে পরিমাণ টাকা তুলিয়া লওয়া! হইয়া- ছিল তাহা অপেক্ষা লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা অধিক আমানত করা

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৬৭

লি লী লো চাস লস ক, তা শি শি শি লী তত শা লরি পিসি পিপল লি লী রী লী তি পাশদিলাটি পিপি তর সিিছিরীসি লাল তক শাসিত সপ পিস্তল উপ সিলিকিলী

হইয়াছিল। ফেব্রুয়ারীতে ৮৩ ভাজার টাকা অধিক আমানত ছিল; কিন্ত মার্চ মাসে আমানত অপেক্ষা! ১৪ হাজার টাক! অধিক তুলিয়! লওয়া হইয়াছিল। তারপর এপ্রিল মাসে আমানত অপেক্ষা লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা অধিক তুলিয়া লওয়া হয়। অর্ধিকন্ত আরো লক্ষ টাকা তুলিয়া লইবার দাবী হইগ্াছিল।

১৯২৭ খুষ্ট।ব্বের ২৬শে এপ্রিল যে সপ্তাহ শেষ হইয়াছে, সেই সপ্তাহে ব্যাঙ্ককে খুব বেশী ট।কা পরিশোধ করিতে হয়। ফলে ব্যাঙ্কের নগদ টাকা একেবারে নিঃশেষ হইয়া যায়। পরিচালকবর্থ টাঁকা সংগ্রহ করিবার জন্য সর্বপ্রকার চেষ্টা করেন: তাঁহারা অতি সামান্য টাকাই সংগ্রহ করিতে সমর্থ হন। ২৭শে তারিখ অপরাহে দেখা যায় যে, যদি খুব মোটা রকমের টাকা সংগ্রহ না করা যাঁয়, তবে ব্যাঙ্ক আর চলে না। টাক! সংগ্রহের জন্ সর্ধপ্রকার চেষ্টা করা হয, শেষকলে ২৮শে তারিথ পূর্ধাহে পরিচালকবর্গ টাক! দেও বন্ধ করিয়! দিতে বাধ্য হন।

ব্যান্কের কর

ইম্পিরিক্্যাজ ব্যাঙ্কের নামে ১০ লক্ষ টাকা করিয়া ছুইখানি রেহাণী কবল! আছে। ইম্পিরিম্যাল ব্যাস্কের টাকা পরিশোধের জন্য কয়েকটি বিশেষ সিকিউরিটি নির্দিষ্ট ছিল। অধিকন্তু অনিশ্চিত সম্পত্তি হিসাবে ব্যাঙ্কের সমগ্র ব্যবসাক্সটিই ইম্পিরিস্্যাল ব্যাঙ্কের নিকট বন্ধকী কবলায় আবদ্ধ আছে। শেষোক্ত কবলায় এই মন্ৰে একটি সর্ভ আছে যে, ব্যাস্ক যদি টাকা দেওয়া বন্ধ করে, তবে ইম্পিরিয়্যাল ব্যাস্ক রিসিভার নিযুক্ত করিয়া সমগ্র ব্যান্কটিকে দখল করিতে পাঁরিবে। এই সর্ডের বলে ইম্পিরিয়্যাল ব্যান্ক, গত ২৮শে এপ্রিল, অপরাহ্ণ মেসার্স লাভলক এগ লুইস ফার্ম্েরে তিনজন লোককে রিসিভার নিযুক্ত করে এবং তাহারা ব্যাঙ্কটিকে দখল করেন।

২৬৮ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

নগদ টাকা এবং যাহাদ্বারা অবিলম্বে টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব এইরূপ সিকিউরিটির অভাবেই ব্যাঙ্ক টাক] দেওয়] বন্ধ করিয়াছে

ব্যাঙ্কের বর্তমান অবস্থা ব্যাঙ্কের বর্তমান অবস্থা নিম্নে বর্ণিত হইতেছে £--

স্থার়ী আমানত ৪৪০৭২০৯%*

চল্তি খান্ডে ৩০৮৬৭১৩ /৫ সেভিংস ব্যান্ক ১৩৯৫৮৪|/৩

কর্জ ২৫৫২৬৮২% মোট ১০ ১৮৬১৮৭০/১৩

কোটি লক্ষ ৮৬ হাজার শত ৮৭ টাক! আনা ১০ পাই

ব্যাঙ্ক মোট কোটি ১৫ লক্ষ ৩৫ হাজার শত টাক! ১৩ আন পাই খাটাইতেছে। তন্মধ্যে আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাক। বিক্রয়যোগ্য সিকিউরিটি, সম্পর্ভি বা সহজে আদায়যোগ্য জিনিষে ন্স্ত আছে। ব্যবসায়ীদিগকে ব্যাঙ্ক প্রায় ২৫ লক্ষ টাঁক1 ধার দিয়াছে অবশিষ্ট প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার কোন সিকিউরিটি নাই।

দেশী আন্দোলন বলিলে বাঙালীর। যত কিছু সমঝিতে অভ্যন্ত তাহার ভিতর এই ব্যাঙ্কটা ছিল অগ্ততম এই ব্যাঙ্কটার সঙ্গে বিগত বিশ বৎসরের বহুবিধ বাঙালী শিল্পবাণিজ্যের যোঁগাযোগও ছিল গভীর কাজেই বেঙ্গল হ্যাশন্তাল ব্যাঙ্কের পতন-কাগুট। বাংলায় এবং বাংলার বাহিরে একট বড়-গোছের ছুর্যযোগ বিবেচিত হইতেছে গোটা হ্বদেশী

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৬৯

আন্দৌলনই যেন ফেল মারিল এই ধরণের একট সন্দেহ মাথা তুলিয়াছে। আর বাঙালীর ভবিষ্যৎ শিল্প-বাণিজ্য সম্বন্ধেও ঘোরতর দুশ্চিন্তা দেশের নানা মহলে দেখা দিয়াছে একটা নৈরাশ্য কর্ম্মবিহবলতা দেশস্থদ্ধ লোককে ছাইয়! ফেলিতেছে।

এই ব্যাক্কট! বাঙালীর “সবে ধন নীলমণি" নয়

কিন্ত দেশের অবস্থাট! তলাইয়া মজাইয়া দেখিলে অভ্যধিক দুশ্চিন্তা বা ছুংখবাদের কারণ আছে বলিয়! যনে হইবে না। আজ যদ্দি ১৯০৭।১০ সন হুইত তাহা হইলে হয়ত বাঙালী সমাঁজে বাস্তবিক পক্ষে গভীর নৈরাশ্তের ঠাই থাকিত। এমন কি ১৯১৪।১৫ সনের অবস্থা থাকিলেও আজ বাঙালীর পক্ষে অতি বড় দুর্দিন বিবেচন। করা যুক্তিসর্গত হইত কিন্ত আজ . ৯২৭ সনে বেঙ্গল স্তাশন্তাল ব্যাঙ্ক বাঙালী জাতির “সবে ধন নীলমণি” নয়। কলিকাতার ক্লাইভ গ্রাটে এই ব্যাঙ্কের একটা ঠিকানা ছিল বটে। তাহাতে বাঙালী জাতির ইজ্জত খাঁনিকট] বাড়িয়়াছিল সন্দেহ নই |

কিন্তু আজ বাংলার নরনারীকে খোল। চোখে ছুনিয়। দেখিগা বেড়াইতে হইবে তাহা হইলেই দেখিব যে,-জলপাইগুড়ির বড় ব্যাঙ্কটা আর যশোহরের বড় ব্যাঙ্কট] প্রত্যেকেই কলিকাতা এই তথাকথিত “জাতীয়” প্রতিষ্টানের প্রায় জুড়িদার। 'আর এই ছইটার ধনশক্তি এবং কর্ন পরিমাণ একত্র করিলে বেঙ্গল ন্াশন্তাল ব্যাঙ্ক তাহার নিকট কানা হইয়া বাইত

বেঙ্গল স্তাশন্তাল ব্যাঙ্কের গায়ে “ন্তাশন্তাল” দাগট। দেখিবামাত্র তাহার ভিতর সমগ্র বাঙালীর সমবেত কৃতিত্ব দেখিতে বসা আহান্মুকি। ম্বদেশী আন্দোলনের জোয়ারের সময়ে এই প্রতিষ্ঠান জন্মিমাছিল বলিয়া

৭৩ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

এইটাকেই বাঙালীর একমাত্র শ্বদেশী ব্যাঙ্ক-কারবার সমঝিতে গেলে অন্তায় করা হইবে

বাংলার জেলায় জেলায় জয়েন্ট্ক ব্যাঙ্ক

ংলার নরনারী আজ দশ বার বৎসর ধরিয়া জেলায় জেলায়, মহকুমায় মহকুমায়, পল্লীতে পল্লীতে বহুসংখ্যকফ লোন আফিস অন্তান্ত ব্যাঙ্ক চালাইতেছে। এইগুলার প্রত্যেকটাই বেঙ্গল ভ্ু।শন্যাল ব্যাঙ্কের মতই “জয়েণ্টষ্টক লিমিটেড” কোম্পানী তাহাদের প্রায় গ্রত্যেকটাই বেঙ্গল ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মতনই নান! প্রকার ব্যাঙ্ক কারবার চালাইয়। থাকে তাহাদের গ্রত্যেকটাই বিভিন্ন পরিচালকের সমবেত মস্তিফের জোরে চালানো হইয়া থাকে তাহাদের প্রত্যেকটারই আয্ম-ব্য্র পাশ-কর! অভিটার কর্তৃক পরীক্ষিত হুইয়া থাকে | তাহাদের প্রত্যেকটাই ফী বৎসর ব্যালান্স শীট বা উৎর্তপত্র প্রচার করিতে অভ্যস্ত। এই সকল কথা “আর্থিক উন্নতি”র পাঠকদের পক্ষে নতুন সংবাদ নয়

এই সকল ব্যাঙ্ক গুন্তিতে বড় কম নদ সংখ্যায় ইহারা প্রায় শ' চারেক। বুঝিতে হইবে যে, বাংলাদেশে “আধুনিক রীতির” 'ব্যাঙ্ক- কারবার আর তাহার আনুষঙ্গিক ব্যবসা-বাণিজ্য আজ কোনে। তথাক থিত দেশী ব্যাক্কের বা ব্যাঙ্ক-পরিচাঁলকের একচেটিয়া কেরদানির উপর নির্ভর করে না। বাঙালী জাতি কয়েক বৎসর ধরিয়৷ খুব বিস্তৃত গভীর ভাবে ব্যাঙ্ক-ব্যাবসাটাকে শক্ত মুঠার ভিতর পাকড়াও করিতে চেষ্টা করিতেছে বাংলার মফঃম্বলকে যাহারা অগ্রাহ করিয়া চলেন প্রধানতঃ তাহারাই কলিকাতার একটা প্রতিষ্ঠানের অকালমৃত্যুতে হাছুতাশ করিতে থাঁকিবেন মাত্র। কিন্তু এইরূপ হাছতাশ কোনক্রমেই যুক্তিসঙ্গত বলিয়। মনে হয় না।

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৭১ .

পিল লরি শীল এপি এলি পিসি শি সি লি তী শালির পিপি, তি সই লেস সি ভিড

এইখানে বলিস রাখ। ভাল যে, গবর্ণমেণ্ট-নিয়ন্ত্রিত কৃষি-সমবায় বিষয়ক ব্যাঙ্কগুল! এই শঠচারেক বাঙালী ব্যাঞ্কের অঙ্কে গুনিতেছি না। এই শ'চারেক প্রতিষ্ঠানের সবহ ব্যবসা-বাণিজ্য-বিষয়ক পুরা-ম্বাধীন “পাশ্চাত্য” মতের বাঙালী-ব্যাঙ্ক। এই সমুদয় ব্যাঙ্কের গলদ দুর্বলতা আছে অনেক তাহা অশ্বীকার করিবার প্রয়োজন নাই। কিন্ত বেঙ্গল নাশস্ট।ল ব্যাঙ্কের তুলনার এহ সমুদ্ব্র ব্যাঙ্কের গলদ বে বেশী তাহ প্রথম হইতেই ধাঁরয়া লওয়া উচিত হইবে নী। বাস্ক-পরিচালনা সন্বন্ধে কলিকাতার বেঙ্গল শ্শন্যল ব্যাঙ্ক মফ£ম্বলের প্রতিষ্ঠানগুলিকে উন্নত শ্রেণার কোনো কৌশল শিখাইতে পারিত কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে কাজেই কলিকাতার ব্যাঙ্কটা পঞ্চত্ব প্র।প্ত হইয়াছে শুনিয়। বাঙালীর ভবিষ্যৎ শিল্প-বাণিজ্য, ব্যাক্কিং ইত্যাদি সম্বন্ধে অন্ধকার দেখিতে বসিবার কিছুমাত্র দরকার নাই মফঃম্বলের ব্যাঙ্ক-গৌরব বাঙালী জাতিকে আজ ঘাড় খাড়া রাখিরা হস্থিরতাবে ভবিষ্যতের জন্য নতুন নতুন মোসাবিদা চালাহবার স্যোগ দিতেছে কলিকাতার বাঙালী মফঃম্বলের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিতে থাকুক | ক্ষতিগ্রস্ত কাহার। ?

বেঙ্গল স্তাশন্ত।ল ব্য।ক্কের পতনে কয়েকটা বাঙালী কারখানার আর ব্যবসায়ী মহাজনের অক্স-খিস্তর ক্ষতি অবন্তস্তাবী। ব্যাঙ্ক-ফেল ঘটিলে কতকগুলা লোকের গায়ে আঁচড় লাগিতে বাধ্য। অধিকন্ত মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালা পরিবারের অনেকে ব্যাঙ্কে টাকা জম! রাখিতে শিখিতে” ছিল। তাহাদের অনেকেরই ক্ষতি হইবে এই সকল ক্ষতির জন্ত আমরা যারপরনাই ছঃখিত। কিন্তু কোন্‌ কাগবারের বা গৃহস্থের হিন্তায় কতট। ক্ষতি পড়িবে তাহা ব্যাঙ্কের বর্তমান আর্থিক অবস্থা না৷ জান৷ পর্যযস্ত কিছুই বলা চলে না। যে-যে ব্যক্তির বা! কারবারের কপালে

২৭২ নি বে গোড়া পত্তন

পিল সি রিল পিতা সচল নী এস্িলিস্িল শী দতস পিসি লীগ সীল সরালে সি শিলা সিতী ভিলা দিলা ভা খর অর সত পা পিতা ছিল সী সই তিল সদা ভিজা দলিত ভারি লা সি সিল পিসি

লোকসান লেখা আছে তাহাদের ছরবস্থায় সহাকুভূতি দেখানো নাছাড়া আমাদের পক্ষে আর কিছু কব সম্ভবপর নয়।

এই সকল নানা শ্রেণীর ক্ষতি হজম করিয়াও বলিতেছি যে, বাংলাদেশের কৃষি-শিক্প-বাণিজ্য এই ব্যাঙ্কের পতনে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে না। যে সমাজে শ'চারেক ব্যাঙ্কের সঙ্গে গৃহস্থালী, মহাঁজনী, জমীদারি আর আধুনিক আমদানি-রপ্তানি স্ু-জড়িত, সে সমাজে একটা মাত্র ব্যাটের ফেল-মারায় আর্থক জীবনের পক্ষে অত্যধিক আলোড়িত হওয়া অসম্ভব

ব্যাঙ্কটা ফেল মারিল কেন? ব্যাঙ্কের টাকাঁ-কড়ির হিসাব যতদিন আইনের চোখে যাচাই না হর, ততদিন কানাঘুযা নানারকম চলিবে কিন্তু এই সব কানাঘুযায় কান না দিয়াও একটা কথ! এখনি বলা চলে ব্যাঙ্ক- ফেলের কারণ সর্ধত্রই একরূপ। যে টাকাটা লোকের নিকট হুইতে আমানত ম্বরূপ জম! হইতেছে, সেই টাকাটা অন্তান্ত লোকে নিকট কারৰারে খাটাইবার জন্ত ধার দিতে হইবে আমানতকারীরা যদি যখন তখন টাক। তুলিয়া লইতে চায়, তাহা হুইলে “বেশীদিন” ধনিয়া! কোনো কারবারে খাটাইবার জন্য টাকা ধার দিলে ব্যাঙ্কের পক্ষে ছুধ্যোগ ঘটিবার সম্ভবন!। কয়েক বৎসর হইল রোষের "ইতালিয়ান! দি স্বস্ত” ব্যাঙ্ক এই ভ্ুযোগেই চিৎ হইয়াছিল বেঙ্গল স্তাশন্তাল ব্যাঙ্কের হিসাবপত্র যে দিন বাজারে বাহির হইবে সেদিন হয়ত ঠিক এইরূপ ছুর্যোগের তথ্যই বেশ মোট হারে পাঁওয়া যাইবে। ব্যাঙ্ক যে-সকল কাঁরবারকে টাক1 ধার দিয়াছিল তাহার! “অন্ন সময়ের” ভিতর অথবা “যথাসময়ে” হুয়ত টাকা ফেরৎ দিতে সমর্থ নয়। এই গেল ব্যাঙ্ক ফেলের সর্বাপেক্ষা সহজ, সনাতন সার্ধজনীন কারণ তৰে প্রায় সর্বত্রই অন্যান্য “হযবরল”ও থাকে বিস্তর। সেদিকে সম্প্রতি মাথ। ঘামাইবার দরকার নাই |

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৭৩

শাপে বর, - আত্ম-সমালোচনার সূত্রপাত

“শাপে বর” হইতে চলিল মনে হুইতেছে। এই বিশ-বাইশ বৎসর ধরিয়া আমরা জীবনের নানাক্ষেত্রে শ্বদেশী আন্দোলন চালাইয়া চলিতেছি। কিন্তু এই আন্দোলনের স্থ-কু আমরা শ্বাধীনভাবে পরখ করিয়া দেখিতে সাহসী হই নাই। সর্ধত্রই আমরা নামজাদা লোকের মতাঁমত, পরসাওয়াল/ লোকের কর্ম-কৌশল, ন্বার্থত্যাগী বীরবরের পাঁপ্ডিত্য, তথাকথিত বিশেষজ্ঞের কন্ম্রকেরদানি বিনা বাক্যবায়ে পুজা করিয়। চঙ্গিতে অভ্যস্ত পুজা খাইতে খাইতে আমাদের “জন-নায়ক” *ওল্ডাদ” “মহাপ্রভুদের” ভুঁড়ি পুরু হইয়া গিয়াছে আর আমাদের দেশের লোকও নিজ নিজ চিন্তাশক্তিকে ভোতা করিয়া ছাঁড়িয়াছে। প্রত্যেক মানুষের মগজেই যে কিছু কিছু ঘী থাকে €সই খেয়াল নির্বাসিত হইয়াছে আত্ম-সমালোচনা আমাদের সমাজে এক প্রকার নাই দেশের দোষ থাকতে পারে এইরূপ চিন্তা করা পধ্যস্ত পাপ বিবেচিত হইয়া আসিতেছে

এমন অবস্থায় একটা নমজাদ। শ্বদেশী কিছু কাৎ হইয়া পড়ায় প্রকারান্তরে একটা মন্ত লাভই হইয়াছে এইবার বেশ জোরের সহিত আত্ম-সমালোচনা নামক আধ্যাত্মিক দাওয়াই বাঙালী সমাজে কাঁজ করিতে থাকিবে প্যত দোষ নন্দ-ঘোষ”__-এই নীতি আর যখন তখন বাজারে চলিবে না আমাদের চরিত্রেও কতক গুল ছূর্বলতা আছে.-_বাংলার নরনারীকে কর্মদক্ষতায় বড় হইতে হইবে,--ভারতীয় সমাজে মগজ-মেরামতের জন্য শ্বতন্ত্র আন্দোলন আবশ্তক ইত্যাদি খেয়াল দেশের নান। ঘণটিতে এক সঙ্গে দেখ! দিবে বলিয়া বিশ্বাস করিতেছি। আত্মসমালোচনার স্ত্রপাত হইজ্লেই স্বুবক ভারতে একটা নবধুগ স্থরু হইবে। বেঙ্গল স্তাশন্তাল ব্যাঙ্কের অকালমৃত্যু যুবক বাংলাকে কানে

১৮

২৭৪ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

ধরিয়া! শিণাইয়া দ্রিতেছে+_“ওরে বাপু» “মধুর বহিবে বায়, বেয়ে যাব রঙ্গে--সে দিন 'আর নাই। সাধু সাবধান! জীবনের মাপকাঠি বাড়াইয়া চল্‌, কন্মদক্ষতার মাত্রা বাড়াইবার ব্যবস্থা কর্‌, মাথাটাকে পাঁকা ইয়া তুলিতে সচেষ্ট হ? 1”

বর্তমান ক্ষেত্রে এহ যুগান্তরের একটা লক্ষণ দেখিতে পাইব। ব্যাঙ্ক- পরিচালন! সম্বন্ধে বাঙালী সমাজে একটা সাড়া পড়িয়! যাইবে বাংল! দেশে আজকাল চেক ব্যাঙ্কের সঙ্গে কয সে কম পাঁচ হাজার লোক ব্যাঙ্কপরিচালনার ছোট বড় মাঝারি কাজে মেতায়েন আছে। এই সকল ব্যাঙ্ককর্মচারীর অনেকেই ব্যাঙ্ক-বিষয়ক বিদ্ভা অজ্ঞন করিবার সুযোগ পান নাই। তাহারা কশ্মক্ষেত্রে নামিবার পর ঠেকিয়া ঠেকিয়া হাতে কলমে বাহা-কিছু শিখিয়াছেন তাহার জোরেই বাঙালীর ব্যাঙ্ক- ব্যবস! চলিতেছে কিন্তু যথার্থ বিজ্ঞান-সন্মত ব্যাঙ্ক-টেকৃনিক শিখিবার শিখাইবার ব/বস্থা করা জরুরি হইয়! পড়িয়ছিল। সেই কথাটা বেঙ্গল স্ভাশন্তাল ব্যাঙ্কের ফেল মারা উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণে বুঝা যাইতেছে। আর সঙ্গে সঙ্গে অভাবট মিটাইবার কিছু কিছু ব্যবস্থাও কর! হইতে থাকিবে বলিয়। বিশ্বাস হইতেছে।

ব্যাঙ্ক-ফেলের কারণ আলোচনা করিতে গিয়াই দেশের মামুলি লোকেরাও ব্যাঙ্ক-বিজ্ঞান সম্বন্ধে অনেক-কিছু শিখিয়া ফেলিবে। ব্যাঙ্ক-পরিচালক ব্যাঙ্ক-কেরাণী এই ছুই শ্রেণীর লৌকেও বিষরট। ব্যাপক ভাবে বুঝিবার জন্য যত্ব লইতে থাকিবেন। আগামী কয়েক বৎসরের ভিতর বাংল! দৈনিক সাপ্তাহিক মাসিক পত্রিকায় ব্যাঙ্ক বিষয়ক একটা বড় গোছের সাহিত্যই গড়ি! উঠিবে। ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে বক্তৃতা আর পাঠশালার ব্যবস্থাও শিক্ষা-সংসারে একট! নূতনত্ব হইবে সকল তরফ হইতে বাংলাদেশে একটা ব্যাস্ক-বিজ্ঞানের আন্দোলন আশ! করিতে পারি

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৭৫

এই উপলক্ষ্যে একট প্রস্তাব করিয়া রাখিতেছি। বাংলাদেশের ব্যাস্ক-পরিচালকগণ শীঘ্রই একট] সর্ববঙ্গ ব্যাঙ্ক-সম্মেলনের ব্যবস্থা করুন। বাঙালীর তাবে আজকাল যে সকল লোন-আফিস « অন্তান্ত শ্রেণীর ব্যাঙ্ক পরিচা'পত হুইতেছে, সেই সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিঝ! মফংশ্বলের কোন কেন্দ্রে অথবা কলিকাতার সমবেত হুউন। বাঙালী ব্যাঙ্কের বর্তমান অবস্থা অ।ব তাহা উন্নত করিবার উপার সম্বন্ধে কর্মদন্ষ চিস্তাদক্ষ লোকেরা পরামর্শ করুন। তাহা হইলে “কত ধানে কত চাল” বুঝিতে পারিয়া বাঙালী জাতি ভবিষ্যতের জন্য কন্ম-পথ বাছির! লইতে পারিবে এইবূপ সম্মেলন বৎসর বৎসর অন্ুঠিত হইলে ব্যাঙ্ক-বিগ্ভা সম্বন্ধে বাঙালীর চিন্তা পুষ্ট হইতে থাকিবেই, সঙ্গে সঙ্গে বিপুলায়তন আধুনিকতম ব্যাঙ্ক-প্রতিষ্ঠান গড়িঘ্া তোলাও বাঙালীর কবজার পক্ষে সহ হয়! উঠিবে।

২৩১ £ হিল্ভু-স্মুললিলম্ম স্যাইউ *

প্যান্ট জিনিষট। কি? ইহা একটা চুক্তিনাম!, বিভিন্ন ব্যক্তি, দল বা শক্তির একট আদান প্রদান। আপোষ নিম্পভভি বা লাভ লোকসানের সামঞ্জন্ত বিবান করাই ইহার উদ্দেশ্য বর্তমান ভারতের রী, সামাজিক আর্থিক জীবনের যেরূপ গড়ন, তাহাতে এই প্যান্টের প্রয়োজনীরত। অশ্বীকাঁর করিলে নয়া ভারতের অবস্থা সম্বন্ধে অপূর্ণ জ্ঞানেরই পরিচয় দেওয়া হইবে আমাদের চারিদিকে যে বিভিন্ন রকমের শক্তি কাঁজ করিতেছে, এগুলির অন্তিত্ব অস্বীকার করিবার উপায় নাই সকল শক্তি স্বার্থ প্রত্যেকটীর সঙ্গে আমাদিগকে আজ ভালরূপ পরিচিত

* “ফরোয়ার্ডের” চিত্বরঞ্জন সংখ্যায় ( জুলাই ১৯২৮) প্রকাশিত গ্বৃহৎ প্রবন্ধের কিয়দংশ হইতে তাহেরউদ্দিন আহমদ কর্তৃক অনুদ্দিত |

২৭৬ নয়া বাজলার গোড়া পত্তন

শিলা পি সি মিস্টি সস, এসি রতি ঠাস রসি লো পপ রস গলি তি উপোস তা সত পতি সপ পিস তো পরি ্িসি ি শি শাস্তি সস শর পি, 0 এর

হইতে হুইবে। কেবল পরিচয় মাত্র নয়। সেগুলার ধরণ ধারণ বুঝিয়৷ তাহাদের সাহায্যে নিজ অক্গপ্রত্যঙ্গ চিত্তের পুষ্টি সাধন করিতে হইবে

চিত্তরঞ্জন ভারতের এই বিভিন্ন জাতি তাহাদের পরম্পরের স্বার্থগত দ্বন্দের বিষয় খুব পরিফার ভাঁবেই উপলব্ধি অনুভব করিয়াছিলেন ভারতের রাষ্ট্রীয় জীবন সম্বন্ধে চিত্তরঞ্জনের এই পরিষ্কার বস্তুনিষ্ঠ অনুভূতিই তাহার হিন্দু-মুসলিম প্যাক্টে দিব্যভাবে প্রতিফলিত হইয়াছে চাষীর! একটা শক্তিরূপে দেখা দিয়াছে আর এন শক্তি যে দলবদ্ধরূপে গড়িয়া উঠিতেছে ইহা কাহারও অম্বীকার করিবার উপায় নাই। বর্তমানে এই সকল দল দ্রুত সঙজ্ববদ্ধ হইয়া! বড় বড় শক্তিকেন্ত্রে পরিণত হইতেছে খনির শ্রমিক, রেলের মজুর, কল কারখানার মজুর, চা-বাগানের কুলি-_ইহারা কি আজ সমাজের কতকগুল। নয়! শক্তি নয়? আর হহার। কি নয় নয়া সজ্বে দলবদ্ধ হইতেছে না? নমশূদ্র, অব্রান্মণ, অন্পৃশ্ত, পারিয়া৷ অপরাপর অনুন্নত নিশ্পেষিত জা(তিসমূহও কি আজ আত্মচৈতন্ত লাভ করিয়! ধাড়াইতেছে না? এই সব শক্তি সঙ্ঘবদ্ধরূপে মাথ! তুলিয়! দীড়াইতে চাহিতেছে। আধুনিক ভারতের ইতিহাসে ইহাই সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য ঘটনা ভারতীয় জাতিপুঞ্জে এই সকল বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব শ্বীকার করিতেই হইবে এই সপ্প্রদায়গুল। “অনুনত” “অশিক্ষিত” হউক ব। গুন্তিতে “ছোট* হউক তাহাতে কিছু যায আসে না। তাহাদের মধ্যে যে জীবনের প্রবাহ খেলিতেছে-_তাহারা যে ইতিমধ্যেই আপন আপন স্বার্থ সম্বন্ধে সজাগ হইয়। উঠিয়াছে, তাহারা ষে সঙ্ববদ্ধ হইয়া জোর গলায় তাহাদের দাবীর কথা জানাইতেছে--ইহাই রাষ্ট্রনায়কগণের প্রধান ভ্রষ্টব্য বিষয়। অনুন্নত-উন্নত, বন্ধিষঠ-লঘিষ্ঠের

কৌন কথা না! তুলিলেও ক্ষতি নাই।

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৭৭

মোসলমান শক্তি -বলিয়া যে একটা বস্ত ভারতের মাটীতে আছে, সেই বস্তটা সম্বন্ধে আজ আমাদিগকে সচেতন হইতে হইবে। যখনই কোন নতুন শক্তি দেশের মধ্যে মাথা তুলিরা| খাড়া হয়, তখন তাহার বিষয় স্বদেশসেবীদিগের পক্ষে বিচক্ষণরূপে চিন্ত। করিয়া দেখ! দরকার তাহাঁকে বুঝিতে হইবে--চিনিতে হইবে এবং তাহার সঙ্গে মিলনের পথ খু'জিয়া বাহির করিতে ভইবে | কেবল মাত্র হিন্দু-মুসলিম প্যান্টে চলিবে না-_ নয়! ভারতে আজ ধরণের গণ্ডা গঞ্ডা প্যান কায়েম করা আবশ্যক |

আমরা চাই আজ জমিদার-রায়ত প্যাত, ধনিক-শ্রমিক প্যান্ট, হিন্দমুসলমান-প্যা্, অন্পৃশ্ত-প্যান্ট, নমশূদ্র-প্যাক্ট, ব্রাহ্মণ-অক্রাঙ্গণ-প্যাক্ট এই ধরণের বহুসংখ্যক প্যাক স্থষ্টি করিলে তবে ভবিষ্-ভারতের

গোড়াপত্তন করা সম্ভব হইবে হিন্দু-মুসলিম প্যান্ট দ্বারা চিন্তরঞ্রন হিন্দুদিগকে “অসম্ভব রকমের”

স্বার্থত্যাগ করিতে বলিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু 'এই তথাকধিত শ্বার্থত্যাগের দ্বারা তিনি রাষ্ট্রের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করিবার প্রয়াসই পাইয়াছিলেন। ইহা দ্বারা নয়৷ ভারতকে তিনি দুনিয়ার নতুন হালচালের সন্বন্ধেই ওয়াকিব-হাল হইতে আহ্বান করিয়াছিলেন। দেশের মধ্যে এই যে তথাকগিত ছোটরা মাথা তুলিয়। ধড়াইতে চাহিতেছে, রাষ্ট্রে সমাজে আজ বে তাহার! ইজ্জত দাবি করিতেছে এবং তাহাদের দাবী যে স্াষ্য, এই কথাই চিত্তরঞ্জন যুবক-ভারতকে স্মরণ করাইর়। দ্িয়াছিলেন। দশ বছর পরে ভারতে যাহা অবশ্স্ভাবী রূপে দেখ! দিবেই দিবে, হিন্দু-মুসলিম : প্যান্ট দ্বারা তিনি মোসলমানের সেই পাওনার কড়িটাই ছাড়িয়! দিবার জন্ত ! হিন্দু-সমাজের নিকট আবেদন করিয়াছিলেন . ইহ! সত্য যে, হিন্দু-মুসলিম প্যান্টে “ডাল ভাতের” কথাই প্রধান স্থান অধিকার করিয়াছে আর্থিক ন্ুবিধার হস্তান্তর আর্থিক জীবনের

২৭৮ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

শন শপ স্টপ সপ পলা | কি

পুনর্থ ঠনই উহার প্রধান অঙ্গ গরু এবং বাগ্ভ সমস্তা আসল ব্যাপর নয়। সাধারণ লোকের সংস্কারগত মনোবৃত্তি কথঞ্চিৎ সস্তষ্ট করিবার জন্যই শ্রী গরু বাগ্ভ সমস্তা সমাধানের কথা প্যাক্টে অবতারণ। করা হইয়াছে

হিন্দু-মুসলিম প্যার্ী ১৯২৩ সনের ডিসেম্বর মাসে রচিত হর এবং ইহার২ উপর ভিত্তি করিয়া চিন্তরগ্তনের শ্বরাজ্য দলের স্থষ্টি হইয়।ছে। এই প্যা দ্বারা মোসলমানদের জন্য-_লোক সংখ্যান্গপাতে বঙ্গলার কাউন্সিলে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে কতকগুলি সভ্যপদ নির্ধাধিত করা হয়। সরকারী চাকুরীর সংখ্যান্ুপাতিক হিস্। তাহাদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয় হিন্দু-মুসলিম প্যান্ট বাস্তবিক পক্ষে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক স্বার্থ সামঞ্জন্তের একট মুল্যবান দলিল।

ছুনিয়ায় বাটিয়৷ থাকিতে হইলে খাওয়1 পড়! আগে চাই অন্ন-সমস্তাই সকলের বড় সমস্তা রাষ্ট্রীয় অধিকার আথিক লেনদেন মীমাংসার গোড়াতে রহিয়াছে এই পেট-চিস্তা। অধ্যাত্ববাদ ছার আত্মার মুক্তি হইলেও হইতে পারে কিন্তু ইহ] দ্বারা জাগতিক কল্যাণ সম্ভবপর হয় কিনা সন্দেহ।

সংসারে বসবাস করিতে হইলে খাওয়া-পরার বিষয়ে অন্তের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার দরকার আছে। ক্ষুধার্ভের মগজে অধ্যাত্মবাদের চিন্তা আসিতে পারে না তবে অধ্যাত্মকেই ধাহারা জীবনের একমাত্র ব্রত করিতে চান, তাহাদের কথ! স্বতন্ত্র কিন্তু তাহাদিগকেও স্মরণ রাখিতে হইবে যে, খোদার দরগায় ভাত মাছের সিন্লি না দিলেও ছুধ ঘীয়ের সিঙ্গি ভোগ দিতে হয়।

দেশের নেতারা ঘি কিষাণদের যথাথ” মঙ্গল চান, যদি তাহারা শ্বরাজ- সংগ্রামে তাহাদের সাহায্য চান, তবে ক্লুষকদ্দের অভাব-অভিষোগ, ব্যথা

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৭৯

বেদনার কথা সকলের আঁগে তীহার্দিগকে জানিতে বুঝিতে হইবে, কি ভাবে “উৎপীড়িতের আর্তনাদ” বন্ধ হয় তাহার উপাক্ন উদ্ভাবন করিতে হইবে। জমাঁজমীর দখলী স্বত্ব, খাঁজনার আইনকানুন, উত্তরাধিকার, জমাজমীর ভাগ ব।টোয়ারা, হস্তান্তর ক্ষমতা, প্রজার দাঁয়গ্রস্ততা, মহাজনের খণজাল, টাক কর্জের বাবস্থা, ক্রয়-বিক্রয়ের লোকসান প্রস্ভৃতি যে সকল বিষয়ে বাঙ্গলাব চাষীরা সজ্জানে অজ্ঞানে দারুণ অন্বিধ! ভোঁগ করিতেছে, তাহার প্রতীকার করা চাই। ইহা না করিতে পারিলে কৃষকদের সঙ্গে দেশের নেতাদের প্রকৃত হুস্তি কায়েম হইতে পারে না॥

কৃষকদের মত শ্রমজীবী বা কুলী মজুর প্রভৃতি শ্রেণীর উপর যে অত্যাচার অবিচার হইয়া থাকে তাহাও দূর করা আবশ্যক কারখানায় শ্রমজীবীদের কজের ঘণ্টা কম হওয়া আবশ্তক তাহাদের বাসস্থান আরামদায়ক স্বাস্থ্যপ্রদ কারয়। তে।লা দরকার সামান্ত বেতনের মজুরও যাহাতে সাম।জিক বীম।র সুবিধা ভোগ করিতে পারে, তাহার ব্যবস্থা কর। উচিত? শ্বরাজের আধ্যাত্মিক অর্থ দেশের মুক্তি সম্বন্ধে কক শ্রমিকগণ নেহাৎ অজ্ঞ নিশ্চেষ্ট নহে: কিন্ত তাহারা সর্বাগ্রে নিজেদের খাঁওয়।পর! চান্র--পেটের ধান্ধাই তাহাদেন সব চাইতে বড় ধান্ধ।।

রাষ্টনীতি-ক্ষেত্রে হামেশ।ই ভাগ-বাটোয়ারা, চুক্তি, “রফ।”-নিষ্পত্তির দরকার আছে সকল কর্মমকেন্দ্রেই বিভিন্ন সম্প্রদ।দ্নের নরনারীর জন্য যাহাতে সংখ্যান্থপাতিক বখর! নির্দিষ্ট থাকে তাহার দিকে নজর রাখ! অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই সকল অনুপাত হিন্তা নির্ণয় করিবার বেলায় সাম্প্রদায়িক প্রতিদ্বন্দিতা অবগ্ঠন্তাবী। ভারতীয় জীবনের কোন স্তর হইতেই এই অর্থনৈতিক সমস্তাট। বাদ দিলে চলিবে না। এটাকে কাঁনার মতন এড়াইয়! গেলে বর্তমান যুগধর্্ম স্থদ্ধে অজ্ঞতারই পরিচয় দেওয়া! হইবে।

২৮৩ নয়া বাঙলার গোড়। পত্তন

চিত্তরঞ্জন দিব্য দৃষ্টিতে এই কঠোর বাস্তবকে চিনিতে পারিয়াছিলেন। চিত্তরঞ্জনই সর্ধ-প্রথম শ্বদেশ শ্বজাতির সমক্ষে বলিতে সাহস পাইয়াছিলেন যে, হিন্দু-মুসলিম সমস্তা খাঁওয়া-পরার সমস্তা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর্থিক সামাজিক উন্নতি লাভের জন্য মোসলমানের৷ অধিকতর সুযোগ সুবিধা চায় ইহা! তাহাদিগকে দিতে হইবে, ন1 দিলে দেশের স্বার্থ পুষ্ট হইবে না-_ইহাই দেশবন্ধু নির্ভীক কে তাহার দেশবাসীকে জানাইয়াছেন। ইহাই তাহার হিন্দু-মুসলিম পণাক্টের মূলমন্ত্র |

আথিক, সামাজিক রাষ্্বীর জীবনে বাহার! উচ্চস্থান দখল করিয়া দুখে শ্বচ্ছন্দে বসবাস করিতেছেন, অন্ঠের সুবিধার জন্ত তাহাদিগকে আজ কিছু কিছু ছাড়িয়। দিতেই হইবে জমীদার, তালুকদার, কলওয়ালা, মহাজন অন্তান্য ধনী সম্প্রদায় হয়ত ইহা শুনিয়া ভাবিবেন যে তাহাদ্দিগকে মস্ত বড় একটা! স্বার্থ-ত্যাগের কথা বলা হইতেছে তীহারা এটাঁও মনে করিতে পারেন যে, রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব, সামাজিক শান্তি অর্থনৈতিক সমস্তার সমাধান কল্পে প্রস্তাবে সম্মত হইলে তাহাদের ত্যাগন্বীকার বাস্তবিকই অন্্যবিক। এতদিন যে সকল স্থবিধা স্বার্থ তাহীরা ভোগ করিয়া আসিতেছেন তাহার হস্তান্তরুকে তাহার! খুব বড় উদ্দারতা ত্যাগ শ্বীকার বলিতে পাঁরেন। কিন্তু অন্ত পক্ষের লোক অর্থাৎ স্থযোগ-সুবিধা-বিহীন নরনারী ইহার উত্তরে বলিবেন যে, সমাজ সংসারে বাচিয়া থাকিবার পক্ষে যাহা না হইলেই নয়, কেবল তাহাই ইহাদের নিকট দাবী করা হইতেছে এটা স্বার্থ-ত্যাগ হইলেও ভারতের সথশাস্তি শৃঙ্খলার জন্য ইহা নেহাৎ বাঞ্চনীয় বর্তমান জগতের ইতিহাসে এই তথাকথিত শ্বার্থ-ত্যাগের দৃষ্টান্ত বিরল নহে। এইরূপ শ্বার্থত্যাগ, -দ্ূলগত, সঙ্ঘগতঃ জাতিগত, সম্প্রদদায়গত ব1 শ্রেণীগত শ্বাথত্যাগ কোথাও দেখ। দিতেছে বিপ্লবের আকারে কোথাও কোথাও নেহাৎ

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৮১

আটপৌরে আইন-কানুনের সাহায্যেই এক শ্রেণীর নরনারীর জনা অন্যান্য শ্রেণীর নর-নারীর স্বার্থত্যাগ মৃত্তি পাইতেছে বোলশেতিক

রুষিয়ার ধনী :ও আভিজাত্য সম্প্রদায়-_দেশের প্রজাসাধারণ মজুর শ্রেণীর নিকট তাহাদের সকল ক্ষমতা! স্থবিধ! ছাড়িয়! দিতে বাধ্য হইয়াছে উহ? এই শ্রেণীর স্বার্থ ত্যাগ, যদিও ইহা নেহাৎ অভূতপূর্ব প্রণালীতে দেখ। দিয়াছে

কৃষক মজুর কারিগর সমাজের অন্থাপ্ত নিয়স্তরের সম্প্রদার ধনীর এই স্বার্থতগকে সেন্ূপ কোন ত্যাগ বলিয়! মনে না করিলেও বাস্তবিক পক্ষে ইহা ত্যাগ ছাড়া আর কিছুই নয়। রুশিয়ার কাণ্ডে এই ত্যাগ হ্বেচ্ছাপ্রদ নয় পরন্ত বাধ্যতামূলক | বাংলার মোসলমানদের ন্যায্য দাবী মিটাইতে হইলে হিন্দুদিগকে যে আজ ঢের ক্ষতি স্বীকার করিতে হইবে তাহা! বলাই বাহুল্য ইয়োরামেরিকার মজুর কিষাণ সম্প্রদায়ের কল্যাণ শ্বার্থ-সংরক্ষণের জন্য আজ পর্য্যস্ত যে সকল ফ্যাক্টরি আইন, জমী-জমার আইন ব্যাধি-বার্ধক্যদৈব-বীমা-বিষয়ক আইন-কানুন কায়েম হইয়াছে তাহার কোনটাই কোনো না কোনো! সম্প্রদায়ের শ্বার্থত্যাগ বা ক্ষমতার হস্তান্তর ছাড়া সম্ভবপর হয় নাই! এই ধরণের ক্ষমতার হস্তান্তর বা সন্প্রদায়গত ম্বা্থত্যাগ বর্তমান জগতের অগ্রগামী দেশগুলায় মামুলি আইনের দৌলতে সম্ভবপর হইতেছে। জান্মাণি বিলাত ইত্যাদি দেশ সের! দৃষ্টাস্তস্থল। যে সকল দেশ সমাজ আইন প্রণয়ন দ্বারা শাস্তিপূর্ণ সহজভাবে এইরূপ স্বার্থত্যাগ ক্ষমতার হস্তান্তর করিতে কার্পণ্য করিয়াছে_-সেইখানেই বিদ্রোহের অক্োপচার দরকার হুইয়াছে। বোলশেভিকদের মূলনীতি আধুনিক পাশ্চাত্য সভাতার অন্যতম লক্ষণ গোটা ইয়োরামেরিক? যাহা করিতে চায় বোলশেভিকরাও তাহাই চায়। উন্নতিপন্থী অগ্রগামী

২৮২ রা নয ি পত্তন

প্রতি ৬লাসিসিশি সিল সি 5 তি লী ছি লেস ্পরি্টিতাছি লট সিরা সিসি পাতার 2 ছি শালী শিনািপাসিগাসপ্িলাসিরীসি তি পারা ছিল সি

দেশগুলাঁর আদর্শে রুশিয়াকে গড়িয়া তোলা বোৌলশেভিকদের চরম্‌ লক্ষ্য | এই কথাট! পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়! রাখ আবশ্যক |

হিন্দু-মুসলিম প্যান্টের দ্বারা চিন্তরগ্চন হিন্দুরদিগকে তাহাদিগের কতকটা শ্বার্থ সুবিধা যদ্দি বাস্তবিকই হস্তান্তর করিতে বলিয় থাকেন, তবে জগতের সকল আধুনিক আইন-প্রণয়ন-নীতি, বিদ্রোহ, গণতন্ত্র রাষ্ট্রনীতি তাহার এই প্রচেষ্টা সমর্থন করিবে

এই প্যান্টের দ্বারা বাংলার সামাজিক রাষ্তরীয় জীবনকে ওলট পালট করিবার প্রস্তাব করা হইয্াছে বাংলার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্বার্থের ন্যাফ্য হিন্তা অধিকার নিদিষ্ট করিবার জন্তই এই প্যাক্টের স্যষ্টি। বর্তমান সময়ে সরকারী বেসরকারী প্র তিষ্ঠানসমূহে মোসলমানদের এমন কোনই ইজ্জৎ ব1' প্রতিপত্তি নাই যাহা কিনা হিন্দু সম্প্রদায়ের হিংসার উদ্রেক করিতে পারে। এরূপ অবস্থায় সংখ্যান্থপাতিক অধিকার ক্ষমতা প্রদান করিয়া তাহাদিগকে রাতারাতি” “অনুন্নত স্তর হইতে উন্নত স্তরে” লইয়া যাইবার প্রস্তাব খুবই বিদ্রোহমূলক সন্দেহ নাই। গোটা হিন্দুসমাঁজ ইহাঁতেই বিচলিত হইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু অনুগ্নতকে উন্নতস্তরে জোরজবরদঘ্তি করিয়া ঠেলিরা তোল! অত্যাবশ্তক। অন্ততঃ পক্ষে তাহার! যাহাতে উন্নত স্তরে সহজেই উঠিতে পারে আর মাথা খাঁড়া করিয়া চলাফেরা করিতে পারে তাহার বাবস্থা করাই যুগধর্ম্ম। ইংরেজ, ফরাসী, জান্মীণ, ইতালিয়ান, রুশ সকলেই তাহাদের শ্বদেশবাসিগণের জন্ত এইরূপ “ঠেলিয়া তোলা”-নীতি সম্পন্ন করিতে চেষ্টা পাইয়াছে একজে অনেকটা সফল হইয়াছে হিন্দু- মুসলিম প্যাক্টে যে সংখ্যান্থপাঁতিক শক্তি-বিভাগ স্ুযোগ-বিভাগ নিহিত আছে---তাহা বর্তমান জগতের আদর্শ-মাফিক বন্ত।

রাষ্র-সাধনায় হিন্দু-জাঁতি *

্রত্বতত্বের বাস্তব মালমশলাগুলিকে রাষ্ট্বিজ্ঞানের কাঠীমে ফেলিতেছি। দেখা যাউক ভারতীয় নরনারীর কোন্‌ মূর্তি বাহির হইয়! আসে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কোনো একটা বিদ্যার নাম নয়। “জুরিস্‌-প্রডেনস্‌ বা আইঈন-তত্ব, ধন-বিজ্ঞান, নগর-বিজ্ঞান, রাজন্ব-নিগ্ঞ, লড়াই-বি্তা। “আবাপ” বা আন্তর্জাতিক লেনদেন-তথ ইত্যাদি নানা বিগ্তার সমবায়ে রাষ্ট্র-বিজ্ঞান গঠিত হয়।

ণ-তস্ত্রেব বাষ্ট্ই হউক বা রাজ-তন্ত্রের রাষ্ট্ হউক, প্রতোকের শাঁসংনই এই সকল গ্রক।র বিদ্যা কাজে লাগে। কাজেই শীসনের “রূপ? বা “গড়ন” বিষয়ক তথ্যগুলা "ঢু'িয়া বাহির” করিতে হইলে অথবা এই সমুদয়ের “ব্যধ্যায়” ৰা বিশ্লেষণে লাগিরা। যাইতে হইলে এই সকল বিদ্যারিই ডাক পড়িতে বাধ্য। তাহার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক ওঠাবসামুই নৃতত্ব [ “আন্থপলজি” ] এবং চিন্ত-বিজ্ঞান [ “সাইকলজি" | আবশ্ক।

বর্তমান গ্রন্থের হিন্দু নরনারী সাত শ" বৎসর ধরিয়া গণ-তনতের “রাজ” চালাইতেছে”_আর ষোঁল সতের শ' বৎসর ধরিয়। রাজ-তন্ত্রের “রাজ চাঁলাইতেছে। খুষটপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী হইতে খৃষীয় ত্রয়োদশ শাবী পর্য্যন্ত হিন্দু ভাতির “পাবলিক ল” বা রাষ্শাসন এই কর পৃষ্ঠার ভিতর বাঁধিয়া রাঁথিবার চেষ্টা করিতেছি

পপ

* “হিনুরাষ্ট্রের গড়ন” গ্রন্থের ভূমিকা।

টি আপ এিক্এপর

২৮৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

কোথাও দেখিতেছি হিন্দু সাজের মাতব্বরেরা নগরের স্বাস্থ্য-রক্ষায় মাথা ঘামাইতেছে। কোথাও বা পল্টনের খোরপোষ ষোগাইবার জন্ত ধন-সচিবেরা শশব্যস্ত। কখনও জনগণকে আত্ম-কর্তৃত্বের সাধনায় নিরত দেখিতেছি। কখনও ব! অসংখা পরস্পরবিচ্ছিন্ন জনপদ- গুলাকে এক্য গ্রথিত করিবার দিকে রাষ্ট-ধুরম্ধরদের মেজাজ খেলিতেছে।

এই আবহাওয়ায় হিন্দুজাতি শক্তি-যোগী এবং টক্কর-প্রিয়। ভারতের নরনারী এই সকল কর্মক্ষেত্রে হিংসা-ধর্ী এবং বিজি গীষু। রাষ্ত্ীয় লেনদেন- গুলা,_কি "তত্ত্রেরে কাজকর্ম, কি "আবাপে”্র কাজকর্ম, সবই ভারতবাসীর হাতের জোরের আর মাথার জোরের প্রতিমুণ্তি। প্রত্যেক সেনা-চালনায়, প্রত্যেক খাজনা-সংগ্রহে, প্রতোক “শ্রেণী”-ম্বরাজে আর প্রত্যেক জমি জরীপে লোকগুলার রক্তের শ্রোত ছুটিতেছে আর মাথার ঘাম পায়ে পড়িতেছে।

সেই রক্তের শ্োত আর মাথার ঘামই রাষ্র-বিজ্ঞানের আসল উপকরণ। হিন্দু রক্ত-দরিয়ার তেজ মাপিতে চেষ্টা করাই বর্তমান গ্রন্থের উদ্দেস্তয

জরীপ করিবার যন্ত্র

রক্তের তেজ মাঁপিতে হইবে | কেমন করিয়া? মাপ-কাঠি কোথায়? জরীপ করিবার যগ্ত্রটা কৈ?

যাহ! জান। আছে তাহার সাহাষ্যে অথবা তাহার তুলনায় অজানাকে জানিবার চেষ্টা করা ধাইতে পারে জানা আছে বর্তমান জগৎ। অতএব বর্তমান জগতের মাপ কাঠিতে খৃষ্ট-পূর্বব চতুর্থ শতাব্দী হইতে ত্রয়োদশ শতাবী পর্যাস্ত হিন্দুজাতির রাষ্্র-সাধন! জরীপ করা সম্ভব।

রাষ্ট্রসাধনায় হিন্দু-জাতি ২৮৫

| ১]

পদার্থ-বিজ্ঞানের রাজ্য হইতে একটা দৃষ্টান্ত দিব আর্ধ্যভট্ট, বরাহু- মিহির, ভাস্করাচাধ্য ইত্যাদি ভারতীয় গণিত-পণ্ডিতদের বিদ্ার দৌড় কতটা? মাপা সম্ভব একমাত্র তাহার পক্ষে যে জানে নিউটন, ম্যাকৃসোয়েল, আইনষ্টাইন ইত্যাদির মশ্মকথা। সেইরূপ পতঙ্জলি, নাগাজ্জুন ইতাদির হিন্দু-রসারনের কিন্মৎ বুঝে কে? যে বুঝে উনবিংশ আর বিংশ শতাব্দীর “রস-রত্ব-সমুচ্চয়” রসায়ন-সমুদ্রকি চিজ। চরক সুরত ইত্যাদি সম্বন্ধে এই “ফন্ম,লা”ই লাগিবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই তুলনায় প্রাচীন ভারতকে লঙ্জিত হইতে হইবে সন্দেহ নাই। কিন্তু এই লজ্জা একমাত্র হিনুরক্তের লজ্জা নর গোটা প্রাচীন ছুনিয়াই,--জীবধনের সকল কশ্মক্ষেত্রেই উনবিংশ বিংশ শত্তাব্দীর তুলনায় “সেকেলে”

পশ্চিমা পঞ্ডিতেরা এই কথাটণ মনে রাখিতে অভ্যস্ত নন। তাহারা প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানকে বর্তমান জগতের আসরে বসাইয়। মনের সুখে ভারত-মাতাকে বে-ইজ্জৎ করিতে ভালবাসেন। গ্রীক রোমাণ এবং “ক্যাথলিক-খুষ্টিয়ান” ইঘোরোপের অজ্ঞান, কুসংস্কার, পতুকৃমুক্‌” “ইাচি,” “টিক্টিকি”” “ভুতুড়ে কাঁও” এবং লাখ লাখ অন্ান্ত বুজরুক তাহারা বেমালুম ভুলিয়া যান। আর ভারতসম্তানের৷ প্রাচীন এবং মধ্য যুগের ইয়োরোপীয়ান সভ্যতাঁঅসভ)তা এবং হু-কু সম্বন্ধে প্রায় একদম কিছুই জানেন না। কাজেই পশ্চিমাদের সঙ্গে তর্ক করিতে অপারগ হুইয়া ভারত সম্বন্ধে লজ্জার অধোবদন হুইয়া থাকা এতকাল আমাদের দস্তর রহিয়াছে

২৮৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

4

বাহ হউক,, হিন্দু-নরনারীর রাস্্রী়্ শক্তিবোপ মাপিবার আর এক উপায় হইতেছে পুরাণে ইয়োরোপের দৌড়ট] চোপর দিনরাত নিজের কজার পাখা গ্রীস রোম এবং মধ্য ঘগের ইমোরোপে গণি, পদার্থ বিদ্কা, রসায়ন, চিকিৎস1 হত্যাদি মুন্তুকে মানবজাতি কতখাশি উঠিয়ািল ? সেই উঠার তুলনায় চরক, আব্যভষ্ট, আর নাগার্জনকে মাথা হেট করিতে হহবে না।

এই সকল বিজ্ঞান বিদ্ভার আখড়ায় সেকালের হিন্দুরা বুক খাড়া করিয়া,_সেকালের গ্রীক, রোমাণ এবং খুষ্টিরানদের সঙ্গে টদ্ধর চ।লাইয়া,-_-সমানে সম।নে “বাপের বেটা” বলিয়া পরিচিত হইবার দাবী রাখিত। “হিন্দু আযাচীহবমেণ্ট স্‌ ইন এক্জ্যাকৃট, সায়েন্স,” অর্থাৎ “মাপজোকনিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞান-বিগ্ভারর হিন্দু জাতর কৃতিত্ব” নামক গ্রন্থে নিউ ইন্মর্ক,। ১৯১৮] [হন্দুরক্তের আোত এই তরফ হইতে দেখানো হইয়াছে

বর্তমান গ্রন্থে রাষ্ট্র-সাধনার ময়দানে দাড়াইয়! হিন্দুন-নারী গ্রীক রোমাণ এবং মধ্/যুগের থুষ্টিয়ানদের সঙ্গে পাঞ্জা কবিতেছে এহ কেতাবের লড়াই বর্তমান জগতের সঙ্গে নয়,--উনবিংশ বিংশ এতাব্দীর পূর্বববত্তী,--এবং তাহারও অনেক পুব্বযভ্তী--ইফ্লেরোপের সঙ্গে '

«“গড়ন-বিজ্ঞানে"র জাতিবিভাগ

“মফ লিজি” বা “গড়ন”-তত্ব অর্থাৎ ব্প-্বিজ্ঞান সার্বজানক স্নাতন। এক টকা হাঁড় দেখিবা মাত্র বলিয়া দেওয়া সম্ভব এটা বাঘের বুকের পাজরা না ভেড়ার পিঠের শির-দীড়া। ভীবতত্ববিদেরা

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি ২৮৭

এই সমস্তা লইয়া দিন রাত ব্যাপূত আছেন কথাটার মধ্যে হেয়ালি কিছুই নাই।

“বুদ্ধদেবের ঠা” নামক বস্ত “আবিষ্কৃত” হইবা মাত্র এই কারণেই অস্থিতত্ববিৎ মহলে লড়াই উপস্থিত হ?য়া সম্ভব। বস্তটা যে শৃন্নরের দাত নয় আগে তাহার মীমাংসা করা দরকার হুইয়৷ পড়ে

ভূতত্ববিদেরাও এই ধরণের গবেষণার অভ্যস্ত একটুকরা পাথর অথবা কয়লার চাপ বা এমন কি ধুলা বালুর নমুনা পাইলেই তাহার! বলিঘ্। দিতে পারেন ছুনিয়ার কোন্‌ কোন মুনুকের কত হাত মাটীর বা “পাণিপ্র নীচে অথবা কোন্‌ পাহাড়ের ডগায় এহ সব মাল পাওয়। যাইবার সম্ভাবনা

রূপ-বিজ্ঞান মানিষের বেলায়ও খাটে দলবদ্ধ মানুষ বা সমাজ এবং সম।জের রাস্্রীম “তন্ত্র” “আবাপ” অথাৎ ধরে-বাইরের সকল প্রকার লেন-দেন সম্বন্ধে এফর্লজি বা গড়ন-তত্বেদ “রূপ-কথা থাটিবে। অনেক স্থলেহ হয়ত “অন্তবীণস্যস্ত্রের অর্থাৎ “ইণ্টেন্সিভত ব। গভীর দৃষ্টিশক্তির এবং সমালোচনা-শক্তির দরকার। কিন্ত, সব্বস্রই বিশ্বব্য।পী যুগ-বিভাগ, শুর-বিভাগ, জাতি-বিভাগ», উপজাতি-বিও1গ ইত্যাদি শ্রেণী-বিন্তাস কারেম করা সম্ভব তথ্য “বিশ্লেষণ” সম্ঘন্ধে সর্বদা সতর্ক থাকিলেহ হইল।

পল্লীজীবদের একচাপ দোঁখবা মাত্র কখনো হয়ত বলিব এটা “আদিম” কখনো বা “প্রাচান” বলিঘ্ন। তাহার জ।তি-নণ* করা হইবে আবার “মধ্যযুগের” পল্লী এবং “বর্ভমান” যুগের পল্লী হত্যাদি বস্ত শ্বতন্ত্র নিদর্শনের জোরে প্রাতচিত হুইবে।

সেইরূপ লড়াইয়ের কায়দা বা৷ জমিমার বন্দোবড দেখিলেই এই সবের “দেশ কাল পাত্র” ঠাওরানো সম্ভব অন্রশপ্্রের ঝন্ঝলানি,

২৮৮ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

শুন্ধ খাজনার নাম ইত্যাদি শুনিবা মাত্র এই গুলার “কুলশীল” বলিয়া দেওয়৷ কঠিন বিবেচিত হইবে না

রাজা, রাজপদ, রাজশক্তি ইত্যাদি বস্তু ছুনিয়াম আবহমান কাল ধরিয়া চলিতেভে কিন্তু কালিদাস-শেক্স্পীয়ারের “রাজা” যে চিজ, বৈদিক সাহিত্য বা “ইলিয়াদ-ওদিসি*্র “রাজা” সেই চিজ নয়। *রাজশব্দোপজীবী” যে কোনে। ব্যক্তির রক্ত অন্বীণে পরথ করা যাইতে পারে ' করিলেই বুঝা যাইবে ইহার ভিতর তাসিতুস-বিবুত জার্মমন- রাজা, না “জ!তক সাহিত্যের" গণ-রাজা, না ফ্রান্সের “বু” বাদশ! না মৌর্য “সার্বভৌম”, না আধুনিক হংরেজ সমাজের হাতপা-ঠটা-কর! রাজা আত্মপ্রকাশ করিতেছে অন্তান্ত কোষ্ঠার মতন রাজ-রক্তের কোঠিতেও গণকের! যুগ জাত খোলসা কগিয়া দিতে সমথ |

গড়ন-বিজ্ঞান খাটাইয়! হিন্দুজাতির মুত্তি-পরিচয় প্রদান কর! হইতেছে মান্ধাত।র আমল, *আধিম সমাজ, প্রাচীন ছনিয়া, মধ্যযুগের থু্িয়ান বিশ্বরপ আর বর্তমান জগৎ ইত্যাদি নৃতত্ব-বিদ্য।র শব্দগুলা প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সন তারিখ দিয়া বাধিয়] রাখিয়াছি। গৌঁজামিলের সম্ভাবন। নাই |

এই সকল পারিভাষিক শব্ধ পশ্চিমা পণ্ডিতের! নেহাৎ অসতর্ক ভাবে ব্যবহার করিতে অভ্যন্ত,-_বিশেযতঃ যখন ভারত'য় এবং প্রাচ্য তথ্য লইয়৷ তাহাদের কারবার চলে এই জন্ত বাষ্্র-বিজ্ঞানের আসরে গোঁজামিল কুসংস্কার গ্রবেশ করিয়াছে সেই কুসংস্কার এবং গোঁজামিল চলিতেছে আজকালকার ভারতী পগ্ডিতগণের ভারত-তত্ববিষর়ক আলোচনার আসরেও। দেশী এবং বিদেশী দুই প্রকার পণ্ডিতের বিরুদ্ধেই বর্তমান গ্রন্থ লড়াই ঘোষণা করিতেছে

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি ২৮৯

কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই

প্রায় এগার বতসর পুর্বে বিদেশ ভ্রমণে বাহির হইরাছি। সেই সময়ে--১৯১৪ সালের গোড়ার দিকে এলাহাবাদের পাণিনি আফিস হইতে মং-প্রণীত “পজিটিহ্ব, ব্যাকৃগ্রাউও অব. হিন্দু সোসিঅলজি” অথাৎ “হিন্দু সমাঁজের বাস্তব ভিত্তি” নামক গ্রন্থের প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয়। তাহাতে এই লড়াইয়ের সুব্রপাত কর! হইয্বাছে।

এই পৌনে এগার বৎসরে,__অন্তান্ত কাজের সঙ্গে সঙ্গে,_-বিদেশের সর্ধত্র সেই লড়াঁইকে সমাজ-বিজ্ঞানের আসরে আসরে আনিয়। হাজির করিপ্লাছি। আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞণ্ডিত-বৈঠকে এই বাণী শুনানো হইয়াছে মাফ্িন সমাজের উচ্চতম বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় পত্রিকা এই সংগ্রাম গিয়া ঠাই পাইছে ১৯১৬-১৯২০ )।

প্যারিস বিশ্ববিদ্বা' পরের আইন-ফ্যাকাপ্টিতে এই লড়াই ঘোষণা কর! হইয়াছে ফরাসী ভাষার “আকাদেমি দে সিয়াস্‌ মোরাল্‌ পে।লিটিক” নামক রাষ্্রবিজ্ঞান-পরিধদের “চল্লিশ অমরের” কানেও এই বাণী প্রবেশ করিয়াছে পরে এই পরিষদ্রে পত্রিকায় প্রবন্ধও প্রকাশিত হইয়াছে (১৯২১ )।

জার্্াণ সমাজে ও,-_জান্মাণ ভাষ!য়_ বাঈবিজ্ঞানের লড়াই উঠাইতে কনুর করি নাই বালিনের বিশ্ববিদ্যালয় এবং জান্মাণির রা্-সাহিত্য এই সকল তথ্যের আবহ।ওদ।1য় আসিয়া পড়িয়াছে ( ১৯২২-১৯২৩ )।

যুবক ভারতের সংগ্রাম-দূত রূপেই এই অধম লেখক জগতের পণ্ডিত মহলে পরিচিত | “যদিও বাহু অক্ষম ভর্বল, তোমারি কাধ্য সাধিবে»-” এই মাত্র ভরসা

১৯২২ সালে লাইপ.ৎসিগ সহরে “পোলিটিক্যাল ইন্ষ্িটিউশ্ঠন্স্‌ আও

টি

থিয়োরিজ, অব. দি হিন্দুজ ১; অর্থাৎ “হিন্দু জাতির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্-দর্শন” নামক ইংরেজি গ্রন্থ প্রচারিত করিয়াছি

এক্ষণে তাহার প্রথম 'অংশের খাঁনিকট। বাংলায় লিখিবার সুযোগ পাওয়া গেল। বর্তমান গ্রন্থে হিন্দুজাতির রাষ্ট্রীয় “চিস্তা” ব1 “রাষ্-দ্শন” সম্বদ্ধে কোনো কথা নাই অধিকন্তু “প্রতিষ্ঠানের বৃত্তান্ত হিসাবেও এই কেতাবের মাল পুর্ব্বোক্ত ইংরেজি রচনার মাল হইতে কিছু কিছু পুথক্‌। যাহা হউক,-বঙ্গদেশস্থ জাতীয় শিক্ষা-পরিষদের আনুকুল্যে এই গ্রন্থ প্রকাশের সুযোগ জুটিয়াছে বলিয়া নিজকে ধন্য মনে করিতেছি

ইতিমধ্যে ১৯২১ সালে “পজিটিহুব ব্যাক্গ্রাউও” গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম ভাগ বাহির হইয়াছে তাহাতে আছে একমাত্র “র৷ দর্শন” আর প্রধানত? শুক্রাচাষ্যের মতামত্ই তাহার ভিতর ঠাই পাইয়াছে।

আখথেনাম্ব “স্বরাজের” অনুপাত

ভারতে রাষ্্র-বিজ্ঞান সম্বন্ধে পঠন-পাঠন আজকাল কতটা হয় বলিতে পারি না। এই বিদ্যা বিষয়ক এম, পরীক্ষা পুবেধ ছিল। এখনো আছে নিশ্চয় বোধ হয় আজকাল পি, এইচ. ডি চলে।

৬৮১) কিন্তু গোড়ায় গলদ এশিয়ার সঙ্গে তুলনায় গ্রীস, রোম এবং মধ্যযুগের ইয়োরোপকে পশ্চিমা পঞ্ঙিতেরা যে চোখে দেখিয়া থাকেন আমরাও বিন! বাক্য ব্যয়ে গোলামের মতন ঠিক সেই চোখেই দেখিতে শিখিয়াছি। উনবিংশ বিংশ শতাবীর পূর্বেকার ইয়োরোপকে রক্ত- মাংসের মানুষ ভাবে দেখিবার এবং বুঝিবার চেষ্টা আমরা করি নাই

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি ২৯১

তাহার জন্য অন্গসন্ধান “রিসাচ” গবেষণা! আবশ্তক | সেদিকে তারতবাসীর খেয়াল কৈ? ইয়োরোপকে কথায় কথায় আমরা “ম্বরাজে”র মুল্লুক, “ম্বাধীনতা”র মুনুকঃ “জাতীরতার মুল্লুক”* গণ-তত্ত্রের মুন্নুক, “আইনের মুল্তুক, “একের” মুলুক, “শাস্তির মুন্নুক ইত্যাদি রূপে বিবৃত করিতে অভ্যন্ত। আসল নিরেট সত্য গুলা কি? এাম এক দম উল্টা, )

আথেনীয় সমাজে ২৫ *** নরনারী মাত্র স্বাধীন শ্বরাজী এবং গণতন্ত্রী, -চরম উন্নতির যুগে অর্থাৎ পেরিক্লেসের আমলে | খুষ্টপুব্ব পঞ্চম শতাব্দী )। “অনগিকারী” “গোলাম” “প্যারিয়া” তখন কত জন? চার লাখ

মানবজাতির রাঈ-সাধনার হরফ হহতে এই অন্ুপ1তিট। কি বড় লোভনীয় চিজ? চা লাখ নরনারীকে “বাদি” করিয়া রাখিয়া পঁচিশ হাজার হিন্দু সকালোক কখনো কে।থাও আত্ম-কর্তৃহ এবং শ্বাধীনতা সাম্য ফলাইতে পারে নাই ? পঁচিশ হাজার লোকের সান্য, শ্বাধীনতা, স্বরাজ বস্তটার ভিতর মানব সমাজের কোন ন্বর্থ লুকাইমা আছে?

প্রশ্লটঃকে গভীর ভাবে আলোচনা করিবার জন্ত খতাইয়! দেখিতে হবে আথেন্স ( আর্টিকা : রাষ্ট্রের চৌহন্দি কতটুকু ছিল। আথেন্সের গৌরব যুগই বা ইতিহাসের কত্ত বৎসর কত মাদ কতা দন? বুঝা যাইবে যে, এশিয়নদের তুলনায় 'আথেনয়েরা “অতি-মান্থষ” ছিল না।

[ )

কিন্ত ডিকিন্সন, শিল্বারট্ট যারে, ব্যরি ইত্যাদি গ্রাকতত্বের পাণ্ার৷ ভারতসপ্তানকে চোখে আঙুল দিয়া সে সব কথা বুঝাইদ্না দিতেছেন কি ?

বি নয়৷ 055 গোড়। পত্তন

শরীরী তি লিলি সি পালি তি কিল শর পার লি শিস দি সি লিলি তা তীস্উিলি স্মিত সরি তরি রী পাটি জলে "৬ সপ পর সপ শা এসি এবি ভর রি ওটা এলি সরলার

না! এন্সপ বুঝানে তাহাদের স্বার্থ নয়। এই ধরণের তথ্য তাহাদের রচনায়ও পায় যায় সন্দেহ নাই। কিন্তু ভারতবাসী শিখিয়াছে ঠিক উল্ট1।

এই সকল ইংরেজ এবং অন্তান্ত ইয়োরোপীধ।ন গ্রীক-তত্বজ্ঞ, প্রত্যেকেই এক একটি লর্ড কাজ্জন ! অর্থাৎ বর্তমান এশিয়াকে ইয়োরোপের গোলাম রূপে পাহয্। তাহার। সেকালের প্র'চ্যে আর পাশ্চাত্যে আকাশ-পাতাল পাথক্য আবিষ্কার করিয়া বসিয়।ছেন !

এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কোনো ভারতবাসীর মাথা খেলিয়াছে কি ?

প্গ্রীক-তত্বের ভিতরে আধুদনক “ইম্পীরিয়যালিজ ম্*-_ শ্বেত।ঙ্গ প্রাধান্য

এশিরা-বিদ্বেষের দর্শন অতি হুম ভাবে অসংখ্া বুজরুকি সঞ্চারিত করিয়! রাখিয়াছে | তাহা সন্দেহ কর! পধ্যস্ত বোধ হয় কোনে ভারত সন্তানের পক্ষে সম্ভবপর হয় নাহ

ইয়োরোপের এভিহাজিক ভূগোল রাষ্ট্রীয় ধারা

তারপর অন্তান্ঠ কথা'। ধরা! যাউক রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বিষয় থুষ্ট পুর্ব প্রথম শতাবী হইতে খুষ্টায় ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত ইংরেজরা বিজিত “পরাধীন” জাত। অর্থাৎ বর্তমান গ্রন্থে ভারতের যে যে যুগ বিবৃত হইতেছে তাহার প্রায় সকল ভাগেই ইংকেজজাতির রা্ত্ী্র শ্বাধীনতা ছিল না। আইরিশ প্রীতহাসিক গ্রীণ একথা খু'লিয়।ই বলিয়া দিয়াছেন

যে হিসাবে আজকালকার |দনে “জাতীয়তা” বুঝ! হৃহয়া থাকে সে চিজ উনাবংশ শতাব্ধীর মাঝামাঝি পধ্যস্ত ইয়োরোপের অধিকাংশ জনপদেই জজ্ঞাত ছিল। ইংরেজ পণ্ডিত ফ্রীম্যান প্রণীত “ইয়োরোপের ধতিহাসিক ভূগোল” ( লগ্ুন ১৯৯৩) থাটিলেই বুঝা যায় “কত ধানে কত চাল।”

রাষ্ট্রসাধনায় হিন্দু-জাতি ২৯৩

অধিকত্ব, ইংলাগুই ইয়োরোপের এক মাত্র দেশ নয়। আর, সর্বত্রই প্যাস্ত-্তায়” আর বংশে বংশে “ষাঁড়ের লড়াই” ইতিহাসের প্রধান তথ্য

রাষ্ট্রীয় এক্য, ভাষাগত একা, প্গাশন্তালিটী” ইত্যাদি বোল চাঁল “খৃষ্টিয়ান” অভিজ্ঞতায় মিঙগে কি? মিলে না। তুর্ক-মুসলমানেরা যখন ইয়োরোপকে ছারখার করিয়া ছাড়িতেছিল তখন খুষ্টিয়ান হ্বেনিস তাহাদের সঙ্গে দোস্তি পাতাইতে লজ্জা! বোধ করে নাই।

আলেকজান্দারের আমল হইলে বুর্ব আমল পর্য্যস্ত ইয়োরোপীয়ানরা আত্মকর্তৃত্রহীন শ্বরাজ-শুন্ত পরগীড়িত জাতি। বাদশার যথেচ্ছাচার আর জমিদারের অত্যাচার ছিল এই সকল নরনারীর সনাতন “কনৃট্টি- টিউশ্ঠন্” বা রাষ-ধর্মম।

নারীজাতীকে বে-ইজ্জৎ করিতে গ্রীক আইন, রোমাণ আইন এবং প্থুষ্টিয়ান? আইন সমান ওস্তাদ ইম্োরে।পীঘান “সমাজে"" নারীর ঠাই কোনো দিনই সম্মান স্থচক বা এমন কি “সহনীয়”ও ছিল না। কথাটা বোধ হয় বিশ্বাসফোগ্যই বিবেচিত হবে না। জান্মীণ পণ্ডিত বেবেলের গ্রন্থ ধাটটিঘ। দেখিলেই আপাততঃ চলিবে। পরে আর “ইপ্টেন্সিহ্ব, “রিসাচ্চ” বা গভীরতর খোঁজ চালানো যাতে পারে।

ভূমিগত গোলামী ইয়োরোপীয়ান কিষাণ সমাজ হইন্দে বিদুরিত হইয়াছে কবে? অষ্টাদশ শতাবীর শেষে এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে লাম্প্রেকট্‌, ব্যশ্তর, সোস্বার্ট ইত্যাদি জার্মাণ পণ্ডিত-প্রণীত আঁথিক ইতিহাস বিষয়ক রচনা "গুলা পাক! সাক্ষ্য দিবে। এখনো ইতালিতে, পোল্যাণ্ডে এবং বন্কান অঞ্চলে সেই ভূমি-গোল।মি কিছু কিছু চলিতেছে

২৯৪ নয়া বাঙ্গলার গোড। পত্তন

পাশ্চাত্য দণ্ড-বিধি

দণ্ড-বিধি বা পেন্তাল কোডের আইনে ইয়োরোপীয়ানরা মহা সভ্য, না? সেকালের গ্রীসে দ্রাকো-সংহিতা জারি ছিল। আঘথেন্সের খণ- কানুন ছিল পাঁশবিক সে কালের রোমে ছিল “দ্বাদশ বিধান” প্রচলিত মধ্যযুগের খুষ্টিয়ান রাষ্ট্রে “ইনকুইজিশ্ঠযন” নামক নির্যাতন বিধি “আইন সঙ্গত” ব্যবস্থাই বিবেচিত হইত

পরবর্তী যুগের সাক্ষ্য দেখিতে পাই জার্্মীণির ন্ি্ণব্যর্গ সহরে এই নগরের হর্গণে “ফোন্টীর-কাম্মার” বা নিধ্যাতন-ভবন আজও অষ্টাদশ শতাব্দীর ইয়োরোপীয়ান দওগ্প্রণালীর সাক্ষী ভাবে ফদীড়াইয়া আছে হেবনিসের দজে-প্রাসাদে সপ্তদশ শতান্দীর ইতালিয়ান বিচার-জুলুম ুর্তিমান রহিয়াছে

বর্তমান গ্রন্তের বহর খৃষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী হইতে খুষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী পধ্যস্ত বিস্তৃত। ইউয়োরোপের সমসামরিক আইন খুলা ধারায় ধারায় আলোচন! করিয়] দেখ! যাইতে প1রে.--অত্যাচারী, নির্যযাতন-প্র্ির, নিষ্ঠুরতার অবতার বেশী কাহার “সাইকলঙ্সি” বা চিত্ত-বিজ্ঞানের আসরে প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যে কোনে। তফাৎ চ!লানো সম্ভবপর কনা তাহার “বাস্তব” প্রমাণ হাতে হাতে ধর পড়িবে

আর একটা কথা জিজ্ঞাসা করিব। সপ্তদশ অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতাব্দীর মধাভাগ পর্যন্ত ইংরেজ সমাজে কিরূপ আইন ছিল? “কেম্বিজ মডার্ণ হিষ্টরি* নামক গ্রস্থে কিছু কিছু তথ্য সংগৃহীত আছে। ১৮৪৫ থৃষ্টাব্ধের বিলাতী পেন্তাল কোডে অন্তান্ত অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে ২৫০)! অপরাধের তালিকা দেখা যায় এই সকল অপরাধের একমাত্র সাজা প্রাণ-দও

রাষ্ট্র সাধনায় হিচ্ুজাতি ২৯৫

দি ৯০ পরস্পর পিসি পপ পাজি পতি লা পপ পা পাত পী লাঁছি পি এ%

পরবর্তী কালে যে সকল অপযাধকে অতি সামান্ত বিবেচনা কর! হইয়াছে সেই সকল অপরাধের জন্ত ১৪০* ইংরেজ নরনারীকে প্রাণ দিতে হইয়াছিল ১৮১৫ হইতে ১৮৪৫ পর্য্যন্ত ত্রিশ বৎসরের ভিতর। কোনে! দোকানের জানালা ভাংঙ্গিয়৷ ছু এক আনা দরের রং চুরি করার 'অপরাধেও শিশুদের প্রাণ যাইত! হিন্দু নরনারীর দ্গুবিধিতে কি এই তালিকা ছাপাইয়! উঠিবার প্রমাণ দেখ। যা?

ধাহাদের পক্ষে “কৃমিনলজি” বা অপরাধ-বিজ্ঞান এবং বিশেষজ্ঞ-প্রণীত অন্তান্য আইন-কেতাব সংগ্রহ কর! কঠিন তাহার! ঘরে বসিয়া অধম-তারণ «“এন্সাইক্লোগীভিন্নাপ্টা “হাঁটকাইতে” পারেন

“বাপরে ! শ্রীস?” “বাপরে! রোম ?”

ইয়োরোপের ক্রমবিকাশ দফায় দফায় খুঁটিয়া খুঁটিয়া মাপিয়। জুকিয়া আলোচনা করা দরকার ইয়োরে।গীয় সভ্যতা, দর্শন, ইতিহঠাঁস, সুকুমার শিল্প, ধর্মকন্মন ইত্যাদিতে ধাহ।দের দখল নাই ঠাহার! ভারতীয় জীবন চর্চা করিতে অনধিকরী। একমাত্র ভারতী প্রত্বতন্বের জোরে সেকালের ভারতথানাকে “বুঝা” সম্ভবপর নয়।

(১)

ইঞ্সোরোপীয়ান পণ্ডিতদের ভিতর পাহারা “ভারত ততন্তবের” আলোচনা করেন তাহারা ইয়োরোপের ক্রমবিকাশ সন্বন্ধে মহা পণ্ডিত নন। তাহারা সংস্কত পালি আরবী ফাশা ইত্যার্দ ভালা জানেন বটে এই সকপ ভাবায় প্রচারিত পুথি থাট। খাটি করিব।র বিদ্যায় াহাদের কাহারও কাহারও অভিজ্ঞতাও আছে প্রচুর সন্দেহ নাই।

কিন্তু তাহাদের অধিকাংশই নাজানেন নৃ-তত্ব, না জানেন চিত্ত-বিজ্ঞান। কি সঙ্গীত, কি চিত্রকলা, কি আইন, কি তর্ক-প্রণালী, কি ধনদ্দৌলত,

২৯৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

কি নগরজীবন, কি শিক্ষা-প্রণালী, কি পদার্থ-বিজ্ঞান, কি দর্শন-শাস্ত এই সকল বিষয়ের ইয়োরোপীয় ধারা সম্বন্ধে প্রায় প্রতোকেই অনভিজ্ঞ কথাটা ভারপ্বাসীর মরমে প্রবেশ করিবে কি?

ইংরেজ গাড়োয়্ানরা শেকস্পীপ্রারের ভাষায় কথা! বলিতে পারে, হাসি- ঠাট্টাও করিতে পারে। কিন্তু তাহা বলিয়া ইংরেজ মাত্রকেই শেকস্পীয়ার সম্বন্ধে ওকাঁদ বিবেচন1 করা চলিবে কি? হিন্দু মাত্রেই “মহাঁভাঘ্য* “সুর্য সিদ্ধান্ত” আর “সঙ্গীত-রত্রাকর” ইত্যাদি গ্রন্থের “বোদ্ধা” বিবেচিত হবে কি? সেইরূপ জাম্মান, ইংরেজ, ফরাসী, ইতালিয়ান, মাকিন, রুশ ইত্যার্দি ভারত-তব্বের বেপারীরা ইয়োরামেরিকার জন্মিয়াছেন বলিয়া তাহারা খুষ্টিয়ান ধণ্ম, গ্রীক দর্শন, রোমান আইন, রেণেস।স যুগের স্থাপতা, বুবরাষ্্রনীতি, সমাজে পাশ্চাত্য নারীর ঠাই আর ইয়োরোপীয় কিষাণদের আর্থিক অবস্থা সবই বুঝেন এইরূপ বিশ্বাস করিলে হাস্তাস্পন্দ হইতে হইবে এই সকল বিষয় সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান এক একট। স্বতন্ত্র বিদ্যা তাহার জন্য শ্বতন্ত্র শ্বততন্ত্র “লেখাপড়া”, গবেষণা, অনুসন্ধান চালানে দরকার

অর্থাৎ পশ্চিমা “ইগুলজিই»রা আজ পদ্যন্ত ভারত সম্বন্ধে যাহ] কিছু লিখিয়াছেন সবই “আলোচা বিষগ্বটার বিজ্ঞানের” কষ্টি-পাথরে 'ঘষিয়৷ দেখিতে হইবে সংস্কৃত ফাশী তাহারা যতই জানুন না কেন প্রত্যেক মিএাকেই *বাজাইয়া” দেখ! আবশ্যক আমাদের ভাষায় তাহাদের দখল আছে বলিয়া তাহাদের পা চাটিতে অগ্রসর হওয়। আহীম্মৃকি। পরিবার, সমাজ, ধনদৌলত, রাষ্ট্র, ধর্ম, জ্ঞানবিজ্ঞান ইত্যাদি তাহার! কতট। বুঝেন তাহার খতিয়ান আগে হওয়! আবশ্যক তাহার পর ভারতীয় জীবন সভাতা সম্বন্ধে তাহাদের মতামত আলোচন! করা যাইতে পারে।

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি ২৯৭

(২ )

এই গেল বিদেশী ভারত-তত্জ্ঞদের কথা ভারতীর ভারত-তত্বজ্ঞদের অবস্থা কিরূপ? কেবল ভারত-তন্বজ্ঞ কেন, আমাদের যে-কোনো! লাইনের চরম পণ্ডিতেরাও ইয়োরোপীয় অনুষ্ঠান-প্রতিষ্টান, আদর্শ এবং চিন্তা" প্রণালীর বিকাশ ধারা সন্বন্ধে প্রায় পুরাপুরি অজ্ঞ কথাটা শুনাইতেছে খুবই কড়া কিস্ক ভারতসন্তান বুকে হাত দিয় বিগত পঞ্চাশ বৎসরের ভারতীয় প।গ্ডিত্য তলাইয়া মজাইয়া বুঝিতে চেষ্টা করুন। দেখা যাইবে, __ কেন এই কথাট। পঢাক ঢাক গুড় গুড়” না করিয়া খুলিয়া! বলিতে সঙ্কৌোচ বোধ করিলাম না।

ইয়োরোপের ক্রমবিকাশ সম্বন্ধে কেতাৰ মুখস্থ করিয়াছেন আমাদের অনেকেই একথা অজানা নাই কাহারও কিন্ত চাই প্ল্বাদীন” ভাবে “ভারতীয় শ্বথে” ইয়োরামেরিক।র ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান সম্বন্ধে গবেধণা করিবার ক্ষমতা পশ্চিমারা যেমন “ভারত-তত্ব” “প্রা চ্য-তত্ব" ইত্যাদি বিষ্ভা কারেম করিয়া নিজেদের ভ্ঞান-মগ্ডল বাঁড়াইয়৷ তুলিতেছে ভারত- সন্তান সেইরূপ ইয়োরামেরিকা'-তন্ব বা পাশ্চাত্য-তত্ব গড়িয়া তুলিতে চাহিক্কাছে কি? সেই ক্ষমতা স্থষ্টি করিবার জঙ্ট ভারতে ব্যবস্থা! কোথায় ?

(৩ )

এই অন্তাতা যতদিন থাকিবে ততদিন ভারতবাসা ইয়োরোপের সঙ্গে ভারতবর্ষের তুলনা সাধন করিতে ভয় পাইবে “বাপরে! গ্রীস? “বাপরে ! রোম?” এইরূপ থাকিবে ততদিন ভারতীম্ন পণ্ডিতদের চিন্তা প্রণালীর ঢঙ,।

আর ততদিন ভারতবাসী ভারতীয় সভ্যতাকে “আধ্যাত্মিক” হিসাবে ইয়োরোপীয়ান সভ্যতা হইতে উচ্চতর ভাবিয়া ঘরের দুয়ার বন্ধ করিয়।

২৯৮ নয়। বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

শা পসিস্িলাস্টিন লাস পাটা

পধৌফে চীড়া মারিতে লজ্জা বোধ করিবে না। প্রক্কৃত প্রস্তাবে ইহা কাপুরুষতা। রণে ভঙ্গ দেওয়ার নামান্তর ছাড়া ইহা আর কিছুই নয়।

কিন্তু কাপুরুষতা দেখাইবার কোনো প্রয়োজন নাই। গ্রীক সাহিত্য ল্যাটিন সাহিত্য এবং মধ্যযুগের ইয়োরোগীরান সাহিত্য,-মুলেই হউক বা অঙ্কবাদেই হউক,- যুবক ভারতে স্থবিস্ততরূপে আলোচিত হইতে থাকুক। রক্তমাংসের মানব হিসাবে সেকালের হিন্দু নরনারীর স্-কু সম্বন্ধে মার তথাকথিত প্জাঁতিভেদ” সম্বন্ধে একালের ভারত- সন্তানকে লজ্জিত হইতে হইবে না।

যুবক এশিয়ার দায়িত্ব

ছুনিয়ায় আধার বেশী। ফাকে ফাঁকে যতটুকু “জ্যোতি” “সং* “অমুত” আনিবার লড়াই জগতে দেখা গিয়াছে তাহাতে ইয়োরোপীরান “রা-যোগে”র দান নিন্দা করিতে বসা মুখখুমি আবার সেই লড়াইয়ে হিন্দু রাষ্-সাধনার ন্যায্য ইজ্জৎ দাবী করিতে না পারা'ও মুখখুমি মাত্র নয়, গোলামি।

প্রাচা সংসারে ইরোরোপীয়ান সংসার অপেক্ষা বেশী অন্ধকার বিরাজ করিত না। একথা শ্বীকার করা পশ্চিমাদের স্বার্থ নয়। বিজ্ঞানের তর্কশাক্্রকে একমাত্র সহায় লইয়| যুবক এশিয়াকে এই পথে বহুকাল একাকী বিচরণ করিতে হইবে

ছজন একজন করিয়া পশ্চিমা পণ্ডিত 5 হয়ত ক্রমশঃ এই পথের দিকে ঝুঁকিতে থাকিবেন। তাহার পরিচয় ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়াছে। গড়ন-বিজ্ঞানের বিচারে হিন্দু নরনারীকে একঘর্যে করিয়া রাখা আর বেশী দিন সম্ভবপর হইবে ন!

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি ২৯৯

তবে কুসংস্কারের মাত্রা বিজয়-গর্ধে অন্বীক্কৃত পশ্চিম] বিজ্ঞান-মহলে এখনো অতি গভীর। “এ সব দৈত্য নহে তেমন !” “লেগেসি অব. গ্রীস” অর্থাৎ “সভ্যতার ইতিহাসে গ্রীক জাতির দান” নামক সগ্-প্রকাশিত ইংরেজি প্রবন্ধ -সঙ্কলন-গ্রন্থের সুর দেখিলে পণ্ডিত মহাশয়দের বাড়াবাড়ি বেশ স্পট বুঝা বার বিংশ শতাব্দীর পাশ্চাত্য 'শহ্বিনিজ ম.৮ বা হাম. বড়ামে এই কেতাবের আবহাওয়ায় চরম ভাবে ঘনীভূত হইয়া রহিয়াছে। এই হাম.বডামির ফ্াত ভাঙির1 দেওয়া যুবক এশিয়ার অন্ঠতম দায়িত্ব

রাষ্ট্র-বিজ্ঞানের তর্ক-শাস্ত্ ( ১)

বর্তমান গ্রন্থের প্রধান কথা হিন্দু রাষ্টের গড়ন। এই জন্য রাষ্ট্রীর লেনদেন বিষয়ক তথা গুলার দাম বাহির করা অবশ্য-কর্তব্য বিবেচিত হইর;ছে | জীবনের গতি-ভঙ্গীর সঙ্গে এই সকল তথ্যের সম্বন্ধ কিরূপ ? এই প্রশ্রই কগোর দ?-কষাকষি সমস্তার অর্থাৎ “ব্যাখ্যা”-সমস্তার আসল প্রশ্ন।

এই খানেই তর্ক-প্রণালী বা! আলোচনা-প্রণালী লইয়] প্লাটা গলা করিতে হইয়াছে ইঘরোরোপের আর্থিক ইতিহাস, শাসন-বিষযক ধারা, আইনের নিধান সবই আসিয়া জুর্টিয়াঙ্ে নুতত্বের ছাপ, চিন্তবিজ্ঞানের প্রভাদ আর ছুনিগার আনহাওদা এঠ সকল সুত্রে হাজির হইতে বাধ্য

তুলনা-মুলক রা্-বিজ্ঞানের উপকরণ কিছু কিছু সঞ্চিত কর! গিয়াছে। এমন কি রাঈ-বিজ্ঞান বিগ্ভার ভূমিকা ম্বরূপই এই কেতাবের বিভিন্ন অধ্যাঘর গুই'ত হইতে পারে। রাঈ-বস্তটা কি, রাষ্ট শাসন কাহাকে বলে এই সকল কথা দফার দফার কাটিয়। ছি'ড়িয়া বিশ্লেষণ করিবার দিকে দৃষ্টি রহিয়াছে

৩০২ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

কোন প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধেই দেওয়া হয় নাই। যে প্রদেশে অথবা যে যুগে প্রতিষ্ঠানটাকে যথাসম্ভব পরিপূর্ণ মুক্তিতে পাকড়াও করিতে পারিয়াছি একমাএ সেই প্রদেশ বা সেই যুগের সাক্ষ্যই লওরা হইয়াছে

প্রত্যেক প্রদেশ এবং প্রত্যেক যুগ হইতে রগড়াইয়! রগড়াইয়। তথ্য বাহির করিতে প্রয্াপী হইলে প্রত্যেক অধ্যার লইয়া বর্তমান গ্রন্থের আক|রের স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা! করা সম্ভব; কোনো কোনে। পরিচ্ছেদ লইয়াও স্বতগ্র সুবুহৎ গ্রন্থ রচিত হইতে পারে। সেই প্রগ্নাস কর! কর্তব্য বটে

মোটের উপর হাজার ছুই পুষ্ঠা লিখিবার মতন যালমশলা আছে তবে বর্তমান গ্রন্থের মতলব তাহা নয়। এই উদ্দেন্তে পাঁচ ছয় জন লেখক তিন তিন বৎসর করিয়া ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে একত্রে খাটিলে বাংল! সাহিত্যে এক অপুব্ৰ গ্রন্থমাল। দেখা দিতে পারে |

এই কেতাবকে বহরে যথাসম্ভব ক্ষুদ্র করা হইয়াছে আর এক উপায়ে “লিপি”-সাহিত্য অথবা অন্ত কোনে! প্রমাণ-ভাগার হইতে লম্বা! লম্বা বিবরণ উদ্ধত করা হয় নাই। এই সকল স্থবিস্তৃত বিবরণের ভিতর সাধারণত: হয়ত বা কেবল মাত্র একটা বিশেষণে বা একট! ক্রিয়াপদে আসল কাজের কখ। থাকে , বর্তমান রচনায় সেই বিশেষণটা। অথব। ক্রিয়াপদটা মাত্র-তাহাও আবার অনেক স্থলেই মূলের আকারে নয়,__খার্টি বিংশ শতাব্দীর ঘাট মাঠের বাংলার, আনিয়' থাড়া করিয়াছি

লম্বা লম্বা মৌলিক বুত্তান্ত এবং তাহার দশগজি চওড়া তজ্জমা প্রদ্থতত্বের গ্রন্থে বিশেষ মূল্যবান। কিন্তু জীবন-তত্বের ০.পারীর পক্ষে “ভিতরকাব কথাটা” টানিয় বাহির করাই বিজ্ঞানশ্চচ্চার একমাত্র লক্ষ্য | প্রত্বত্ত্বের হাবিজাবি জবরজঙ. ল্যাবরেটরিতে বা কর্মশালাস্

রাষ্ট্রসাধনায় হিন্দুজাতি ৩০৩

রাখিয়৷ রঙ্গমঞ্চে দেখাইতেছি কেবল মাত্র হিন্দু নরনারার রাষ্ট্রীয় রক্ত-তরঙ্গ |

গ্রন্থ-পঞ্জী

দেশী-বিদেশী পণ্ডিতের! যাহা কিছু লিখিয়াছেন তাহ! সবই বোধ হর পড়ির়! দেখিরাছি। তাহাদের আলোচনা-প্রণালীর সঙ্গে অথব! সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিলুক বা না! মিলুক প্রায় প্রত্যেককেই বোধ হয় অগ্রজ হিসাবে ইজ্জৎও দিতে ভ্রটি করি নাই তাহাদিগকে “ফুটনোটের” পারের গোড়ায় ফেলিয়া না রাখিঘ়্া কেতাঁবের মালের সঙ্গেই তাহাদের নাম গাথিয়া গাখিতে চেষ্টা করিয়াছি |

বিশেবতঃ, বর্ভষান গ্রন্থ বাংলা ভাষায় রচিত হইতেছে বলিয়া ্রন্থকারের একটা নতুন রকমের দফ়িতও আছে “বাংলা সাহিত্যের" সঙ্গে দেশী বিদেশী পণ্ডিত গণের “আবিষ্কৃত” ভারত-তত্তবের পরিচঘ্ম এক প্রকার নাই বলিলেহ চলে।

কোলক্রক, মেইন, জিবল 1, সেনার, ফয়, হিল্লেব্রাণ্ট, ষ্টাইন ইত্যাদি বিদেশা ইগুলজিষ্টদের নাম বাঙ্গালী বাংলা ভাষার সাহায্যে জানিতে পারে না। এমন কি রামকঞ্চ গোপাল ভাগারকার, গুরুদাস বন্দ্যো- পাধ্যার, কৃষ্চশ্বামী আন্যাঙ্গার, রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়, কাশীপ্রসাদ জরসওয়াল, প্রমথন।থ বন্দ্যে'পাধ্যার়, বমেশচন্ত্র মজুমদার ইত্যাদি ভারতীয় সুধীর রচনা বঙ্গসাহত্যে অজ্ঞাত একমাত্র শ্রীযুক্ত নরেন্দ্রনাথ লাহার অন্ততম ইংরেজি গ্রন্থ শ্ুক্ত কালীপ্রসন্ন দাশগুপ্ত কর্তৃক “প্রাচীন হিন্দু দণ্ডনীতি” নানে বাংলায় অনুদিত হইয়াছে ( ১৯২৩)।

বাঙালী পাঠকগণের সঙ্গে এই সকল এবং অন্তান্ত লেখকের রচনার সংযোগ স্থাপন করা অন্ততম কর্তব্য বিবেচন। করিয়াছি :

৩০৪ নয় বাঙলার গোড়া পত্তন

লস পাস সরি লী শি; ছি লিল ছলসিলাসিলী এটি শা্িরাসিতী সরি সপাস্পসসিপা সস্ী পাস্তা স্পরিি পা রািশাছি বরন

(২ )

তাহ! ছাড়া গ্রীন্‌, রোম, এবং ইগ্োরোপীয় মধ্যযুগ বর্তমান জগৎ সম্বন্ধে ধনবিজ্ঞান, নৃতত্ব, আইন, রাজন্ববিজ্ঞান, পল্লী-শ্বরাজ, রণনীতি, নগরজীবন, ভূমিবিধান ইত]াঁদি বিষয় লইয়। পাশ্চাত্য পঞ্ডিত- গণের যে সকল রচনা আছে সে সব বাঙালীর সাহিত্যে একদম অজানা কতকগুলা' গ্রন্থ এবং গ্রস্থকারের নাম “এক কথায় পরিচয়ের” সহিত কেতাবের ভিতর যথাস্থানে বসাইতে চেষ্ট। করিয়াছি

শ্েমান, রামজে, আনল্ড, জেঙ্কস্‌, হ্বাল্শ, ব্রিসো, জোসেফ- বার্থেলোম, লরোআ-ব্যোলিয়্যো, গুড্‌নো, হিবলোবি, গঘ, হ্বিনোগ্রাদফ,, হেপ.কে, গের্ডেস, হাইল, লোহ্বি, হোল্ডস্হ্বার্থ ইত্যাদি নানা “অকথ্য” নামে কেতাবের অঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয! পড়িগাছে রাষ্ট্র-বিজ্ঞানের চৌহদ্দি বুঝিবার পঞ্ষে বাঁডালী পাঠকের সাহায্য হইবে আশা করি বাংল! সাহিত্য যে কত দরিদ্র তাহাও প্রত্যেক স্ববিবেচকেরই সহজে মালুম হইবার কথা

বর্তমান গ্রন্থের আলোচনায় যে সকল বিদেশ-বিষয়ক গ্রন্থ কাজে লাগে তাহার কয়েকটা ইতিমধ্যে বাংলায় অনূদিত হইস্রাছে। নিম্নে এই গুলার নাম প্রদত্ত হইল £-_

১। গীজো-- প্রণীত “ইয়োরোপীয় সভ্যতার ইতিহাস” (ফরাসী গ্রন্থ)

অন্ুবাঁদক শ্ররবীন্্রনারায়ণ ঘোষ ২। এঙ্গেল্স্-_প্রণীত “পরিবার, গোষ্ঠী রাষ্ট্র” (জার্মমাণ গ্রন্থ ) অনুবাদক শ্রীবিনয়কুমার সরকার ৩। লাফার্গ__প্রণীত “ধনদৌলতের রূপান্তর" ( ফরাসী গ্রন্থ )

অন্থবাদক গ্রন্থ ভিনটাই যন্তস্থ ।*

* তিমটাই প্রকাশিত হইয়! গিয়াছে (১৯২৬-৭)

পাদিলি খপ দি পরি পরি ৯. সি পর তি পাতি পশিত শীল পরি পোপ পি পা শি লা

রাষ্ট্রসাধনায় হিন্দু জাতি ৩০৫

যুবক ভারতের ইজ্জ বক্ষ।

এই পৌণে এগার বৎসর ধরিয়া বিশ্ব-শক্তির সঙ্গে ঝুবাপড়া চলিতেছে অতি সজাগ ভাবে পব্যটনের সঙ্গে সঙ্গে অশেষ প্রকার তথ্য-দম্ধলন, তথ্যের ব্যাখ্যা, জীবন-সমালে।চনা আর দার্শনিক তর্কপ্রশ্ন জুরিয়াছে পব্বত-প্রম!ণ।

তাহার ভিতর দিদ্ধান্ত সমনয় বেশী আছে কি সংগ্রাম সংশয় বেশী আছে বল! কঠিন। তবে সর্বুই ঝড় বহিয়া যাইতেছে।

প্রায় পাচ হাজার পৃষ্ঠা বাংলার এবং তিন হাজার পৃষ্ঠা ইংরেজিতে এই সকল দ্ুনিয়া-জোড়া অভিজ্ঞতা যৃঙ্ঠি পাইযাছে। তাহ'র চাপ,--ঝড় তুফানের ঝাপটা সমেত, বর্তমান গ্রন্থের ক্ষু্র কলেবরকেও বোধ হয় কিছু কিছু সহিতে হঈল।

এক টিলে অনেক পাখী মারিতে চেষ্টা করিয়াছি রচনার অধ্যায়ে অধ](য়ে বহু ত্রুটি রহিঘ্া যাওয়া অসম্ভব নয়।

আগামী দশ বৎসরের ভিতএ এই কেত|বের “হু কো-নল্চে ছুইই বদলানো” আবণ্তক হইলে যুবক ভারতের ইজ্জৎ রক্ষ। পাইবে। এই বুঝিয়া বাঙলার বিজ্ঞান-সেবীরা এবং বিদ্টা-“সংরক্ষকে্রা ভাবুকতার বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হউন।

বোংসেন, ত্রেন্তিনো ( ইতালি)

১৮ নবেম্বর ১৭২৪

জাপানে-চীনে বংসর দেড়েক -৯% ভ্ভাল্পভ্ডন্বাসীন্ল জাপান্-লন্বেম্বলা (১)

অনেক ভারতসস্তানই জাপান দেখিয়া গিদ্বাছেন। ভারতবাসীর। জাপান সম্বন্ধে কমবেশী আলোচনাও করিয়া থাকেন। কাজেই জাপান সম্বন্ধে এই কেতাব একমাত্র রচনা নয়

প্রথমবার জাপানে পৌছি হুললুলু হইতে--১৯১৫ দালের জুন মাসে। কাটাইয়াছিলাম মাঁদ তিনেক দ্বিতীয়বার আমি ১৯১৬ সালে চীন হইতে কাটিয়াছিল চার মাস (জুল।ই--অক্টোবর )।

এই কেতাবে প্রথমবারকার বিবরণ আছে। কাজেই বইটাঁকে “জাপানে তিন মাস” রূপে বিবূত করা চলে।

তখন ফরাসী ব! জান্মাণ জানিতাম না। জাপানী ভাষাত কোন দিনই জানি না। একমাত্র ইংরেজির উপর তর করিয়া তিন মাসে জাপানের যতটুকু হজম কর! সম্ভব তাহার বেণী এই গ্রন্থের সম্পত্তি নয়।

(২)

ভারতবাসী জাপান সম্বন্ধে প্রশ্ন করিয়া থাকেন £--“জাপানীরা এশিয়ার মিত্র না শক্র?” এই প্রশ্নের জুড়িদার আর একটা প্রশ্ন তুলিলেই সম্য।ট। সহজ হইবে জিজ্ঞাসা কন্ম! যাউক--+“জার্্মনাণরা ইয়েরোপের শত্রু না মিত্র?” “ইংরেজরা ইয়োরোপের শত্রু না মিত্র?” “ফরাসীরা ইয়োরোপের শক্র না মিত্র ?”

“নবীন এশিয়ার জন্মদাতা, জাপান” গ্রন্থের ভূমিকা

জাপানে-্টীনে বৎসর দেড়েক ৩০৭

এই খ্রণের গুশ্রের যে জবাব জাপান সম্বন্ষেও সেই জবাব। কেতাবের স্থানে স্থানে তাহার আলোচন। করা শির়াছে |

জাপানীরা বৌদ্ধ বলিয়া বৌদ্ধ থাত্রেই জাপানকে বন্ধু বা মুরুবিব বিবেচনা করিবে একথা বলিবে ক্বেল পাগলেরা। জাপ।ন এশিগার

একটা দেশ। তা বলিয়া জাপান।রা সকাল বিক।ল সন্ধ্যায় এশিয়ার হি চিন্ত' করিবে ইহাও রাঈনীতিবিৎ বিবেচনা করিতে পারে না।

নাষ্ট-মগ্ডলে “খুষ্টায় এক” “ইয়োরোপার একা” “পাশ্চাত্য এঁক্য" “শ্বেভাঙ্গ এ্রক্য” ইত্যাদি তথাকথিত একাগুলা ফেরূপ খি্থ্যা কথা “বৌদ্ধ ঁক্য” “নুললমান শ্ীকা” “এশিয়ার এক্য" “প্রাচ্য ক)” ইত্যাদি ধক্যগুলাও সেইরূপ শব্দ মা এবং মিখ্যা। খু্টানের বিরুদ্ধে খু্টান লড়িঞাছে লড়িবে; শ্বেতাঙ্গেন বিরদ্ধে শ্বেতাঙ্গ লাড়য়।ছে লড়িবে। খৃষ্টানের বিরুদ্ধে খুষ্ান অ-খু'নের সাহাখা লইম়াছে লইবে, শেতাঙগের বিরদ্ধে শ্বেতাঙ্গ অ-শ্বেতাঙ্গের সাশ্াম্য লঘাছে লইবে।

ঠিক সেহরূপ নুসলমানের বিকদে মুনলমান, বৌদ্ধের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ, হিন্দুর বিরুদ্ধে হিন্দু লড়িছ্াছে লড়িবে। আবার প্ররোজন হইলে মুসলমানের বিরুদ্ধে মুসলমান অ-মুসলমানের, বৌদ্ধের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ অ-বৌদ্ধের, হিন্দুর বিরুদ্ধে হিন্দু অ-হিন্দুর সাভাধ্য লইয়াছে লইবে।

এই সকল কখা মনে বাখিঘ্লা জাপ!নের পররাষ্ঈনীতি আলেোচন। করিতে অএাসর হইলে যুবক ভারত পদে পদে ফল করিয়া বসিবে না। রঙের কথা. জাতের করাঃ, ধন্মের কণা ধামা চাপা রাখি বর্তমান জগতের জীবন-সংগ্রাম বুঝিতে চেষ্টা করা কর্তব্য

( |

এই গ্রন্থে জাপানের ফ্যাক্টরী, পার্ট শাসন, সমাজ কথা ইত্যাদি

সম্বন্ধে বে সকল অভিজ্ঞতা বিবৃত করা হইয়াছে, তাহার অনেকাংশঈ

শা শিরক লন সতন ভি ভতা সআনিসলি তত লিলি শী শী শি টি পিসি লগ একদল পা স্টল লী লে লী শী লি পি ছল পিটিসি তা তিল লী ভটিিিততি ততো ভিত লী সিলসিলা পাটি আমি লীক্িলাস্টিলা লতি

আজ ১৯২৩ সালে অতি পুরাণা সেকেলে কথা ১৯১৫--১৬ সালে ছুনিয়ায় মহালড়াই চলিতেছিল, তখন জাপান এশিয়ায় এবং দক্ষিণ আমেরিকায় হুহু করিয়া ব্যবসা-বাণিজ্যে বাড়িরা চলিতেছিল। ১৯১৮ সালে লড়াই থামিবার পর হইতে সেই বাড়তি থামিয়।ছে।

অধিকন্ত ১৯২১ সালের নভেম্বর মাসে মাকিন যুক্তরাষ্্ ওয়াশিংটনে যে বিশ্ব-দন্সেলন ডাকিয়াছিল, তাহাতে প্রশান্ত মহাসাগরে চীনে জাপানকে যারপর নাই খর্ব হইতে হইয়ছে। ইংরেজের সঙ্গে জাপানের যেসন্ধি ছিল সেই সন্ধির উপর বিশ্বাস রাখ! জাপানের পক্ষে আর চলে না। প্রকৃতপক্ষে ইংরেজ এবং ইয়াঙ্কি দুইয়ে মিলিয়া জাপানকে কুপোঁকষা করিতে ব্রতবদ্ধ দেখা যাইতেছে।

এদিকে ছুনিয়ার সর্ধত্র যেমন, জাপানেও তেমন বোলশেহ্বিক আন্দোলন দেখ! দিয়াছে শ্রমিকেরা ধনিকের বিরুদ্ধে ফাড়ীইতে শিখির।ছে। 'স্তর্জীতিক লেনদেনে জাপানী রাষ্টকে এই কারণে অনেকটা ছুর্ববলের মঙ্তন চলাফের; করিতে হইতেছে

তাহার উপর এই মাসের প্রথম সপ্তাহে জাপানকে বিন] মেঘে বজ্রাঘাত সহিতে হইল। এক সঙ্গে ভুমিকম্প এবং অগ্নিকাণ্ড লাখ লাখ লোকের মৃত্যু এবং কোটী কোটা টাঁকার ঘর বাড়ী যন্ত্রপাতির সর্বনাশ ১৯১৫--১৬ সালে যে তোকিও ইযোকোহামা দেখিয়া আসিয়াছি, তাহার বূপ আগাগোড়া ব্দলাইয়। গেল বলিয়া মনে হইতেছে

জাপানের ক্ষতিতে ইংরেজ এবং মাকিনরা মনে মনে বেশ থুসী। তাহার ভাবিতেছে “বীচা গেল। জাপানের ক্ষতিতে এশিয়াবাসী কিছু [দনের জন্ত জগতে নরম হইয়া চলিবে ভগবান ইয়োরামেরিকাকে ' আরও কিছু কালের £জন্ত ছনিয়ায় বিশেষতঃ এশিয়ার বাঁধাহীন ভাবে চলাফেরা করার সুযোগ দিলেন : জাপানীর! নিজ ঘর সামলাইতে এখন

জাপানে-চীনে বৎসর. দেড়েক ৩০৯

ব্যস্ত থাকিবে রাষ্টমগুলে জোরের সহিত কথা বল! জাপানের পক্ষে সহজ হইবে না।৮ কিন্তু এই দৈব ছূর্বিপাকে জ।পানের ক্ষতি ঠিক কতটা হইয়াছে তহার আন্দাজ করিয়া উঠা স্থকঠিন। তবে কোবে, ওসাক॥ নাগোয়া ইত্যাদি শিল্প প্রধান নগরের ফ্যাক্টরীগুলা সবই খাড়া আছে। কাজেই জাপান নেহাৎ একদম কাবু হইয়া পড়িবে না, বিশ্বাস করা চলে

সকল দিক ভইতেই ১৯২৩--২১৪ সালর জাপান ১৯১৫--১৬ সালের জাপান হইতে পৃথক স্থতরাং জাপানী জীবনের সঙ্গে নয়! চোখে নয়। সন্বপ্ধ পাতাইবার দিন আসিয়াছে বস্ততঃ জাম্মীণি এবং কশিয়া এশিয়।র জ'বন-শোতে আজকাণ সম্পণ নবা রূপে দেখা দিছে একমাত্র এউ কারণেই এশিনায় জাপানের ঠাউট। বুঝিবার জন্ত নতুন অভিযান পাগনে! আবশ্ক |

( 8 )

১৯১৫--১৬ সালে জাপানক “নবীন এশিয়ার জন্মদাতা”রূপে অভিনন্দন করিয়ধছি তখন জাপান সত্য সতাই এশিয়।র একমাত্র স্বাদীন দেশ ছিল এইরূপ অনেকবার ভাবিয়াছি। আজ ১৯২০ সালে এশিলার অবস্থা অনেকট। উন্নত দেখিভেছি গ্ীসবিজয়ী কমাল পাঁশার নেতৃত্বে যুবক তুরম্ক এশিফ্/র পূর্ন সীমানায় প্রাচ্য মানবের শ্ব!বীনতার প্রহরীরূপে বিরাজ করিতেছে তোকিও এখন আর শ্বাধীন এশিয়ার একমাত্র রাজধানী নর 'আঙ্গোরাও এই শ্বাধীনতার নবীন কেন্দ্র। এশিয়ার নবশক্তি লাভে জ্গাপানী-াও খানিকট। শক্ত হইবে, যুবক ভারক্তেন্র পক্ষে এইবপ বিবেচন! করা অসঙ্গত নয় |

নানা তরফ হইতে জাপানকে বুঝিতে চেষ্টা করা ভারতের পক্ষে একাস্ত আবশ্তক। ভারতের বিভিন্ন প্রদদেশগুলার প্রত্যেককেই এক একট!

৩১০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

জাপানে পরিণত কর! বায় কিনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান গবেবণা করা উচ্চশিক্ষিত ভারতবাসীর এক প্রধান লক্ষ্য হওয়! উচিত। জাপানীরা শিল্পে, বিজ্ঞানে, শিক্ষায় সমাজে, রাষ্ট্রে যাহা কিছু করিয়াছে তাহার সমান বতদ্দিন পর্যাত্ত ভ।রতসন্তানেরা শ্বচেষ্টার সামলাইতে 'না পারিবেন, ততদিন তাহাদের পক্ষে ইরোরামেরিকার গণ্/মান্ত দেশের উচ্চতর মাপকাঠি চোখের সন্থে রাখা মার্জনীয় নয়

জাপান এশিয়াকে পথ দেখাইয়া দিরাছে জাপানের পথে চলিতে অভ্যত্ত হইবার পূর্ব্বে এশিয়া ইয়োরামেরিকা'র 'সঙ্গে টক্কর দিতে পারিবে বলিয়া! বিশ্বাস হয় না কাজেই জাপান নবীন এশিয়ার জন্মদাতা এনং উৎসাহদাতা মাত্র নয়। জাপান যুবক ভারতের, যুবক চীনের, যুবক আফ.গানের, যুবক পারস্তের, যুবক মিশরের দীক্ষাদাত। এবং শিক্ষাগুরু |

এই ক্ষদ্র কেতাবে জাপানের পাহাড়, সাগর; বন, নদী, পল্লী, সহর, সবই যথাসম্ভব সিনেমা-চিত্রের মতন পাঠকদের সশ্গখে ধরিবার চেষ্টা কর! গিয়াছে যাহার *গৃহস্থ* “উপাসন1” “প্রবাসী” ইত্যাদি মাসিক পত্রে ভ্রমণবুত্তান্তগুলা পডিয়াছেন, তাহাদের নিকট পধাটকের প্রত্যেক মূহুর্তের প্রত্যেক দেখাশুনা অথবা কথাবার্তী নিজ নিজ অভিজ্ঞতারই অজ স্বরূপ বিবেচিত হইবে অন্ততঃ যাহাতে এইরূপ বিবেচিত হয় সেই উদ্দেশ্টে পয্যটন-কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়াছি “বর্তমান জগৎ” গ্রন্থের প্রত্যেক খণ্ডেই দেশের প্রতি এই দায়িত্ববোধ জাগিয়া রহিরাছে।

পধ্যটকের ডায়েরিতে পাঠকেরা কনও ভৌগোলিক প্রাক্কৃতিক দৃশ্য দেখিবেন, কখনও রাস্টরীয় বিকাশের সমালোচন। পাইবেন, কখনও সাহিত্য

জাপানে-চীনে বংসর দেড়েক ৩১১

স্থকুমার শিল্পের নানা রূপের সহিত পরিচিত হইবেন, কখনো বা ব্যাঙ্ক [বসায়ের ফ্যাক্টরী কলকারখানার তথ্যতালিক। পঁিবেন। কোন কোন কথা হয়ত পাঠকের পুব্ব হইতে জানা 'মআছে। একদম নতুন কথ"ও হয়তো ছু-চারট। জুর্টিতে পারে কোন কোন আলে চনায় হয়তো একটা নতুন ব্যখ্যাপ্রণালী পাওয়া যাইবে আবার দু-একটা নতুন গবেষণ।র ক্ষেত্রঈ হয়ত কোন কোন কাহিনীতে আবিষ্কত হইয়! যাইবে

কি জ!পান, কি চন, কি মিশর, কি ইংলও, কি ইয়াঙ্কিস্থান--কোন দ্বেশেই “একচোখে। ভাবে পখ্টন করি নাই। সর্বত্রই য্থাসগুব পুরোপু:র যোল আনা মান্ুষটাকেই ধরিতে চেষ্টা করিয়াছি কাজেই “ব্যান জগত" শ্রন্থাবলীপ প্রতোকটাই বহুত্বমঘ। নানা কথার ভরা, “পাচ ফুলে সাক্তি” বিশেষ

প্রত্যেক দেশকেই অবশ্ঠ একমাত্র স্ুকুম।র-শিল্প, কিম্বা একমাত্র ব্যবসা বাণিজা কিম্বা একমাঞ্ শিক্ষাপদ্ধতি কিম্বা একমাত্র নিজ্ঞ।ন-চর্চ। ইতা।দি বিশে কোনো একটা তরফ হইতে যাচাই করিদ্বা দেখিবার দরকারগ 'আছে। তনে সেইবূপ কোনো একতরফা বিশিষ্ট জরীপ করিবার ভার লইয়। বর্ভমান পথ্যটক ছুনিনা় বাছিণ হন নাই।

( )

27

ইঞ়্োরোপায়ান এব* আমেন্সিকান পণ্ডিতের ছনিয়ার ন।না দেশ সম্বন্ধে পর্যটন-কাহিনী লিখিয়াছেন। তাহ!দের কোন কোনটা অবশ্য ভারতে জান আছে লর্ড কাজ্জন প্রনাত চীন পারস্য বিষয়ক কেতাব ভারতবাসী পাঠ করিগঘ্া খাকেন। মান্ধাতার আমলের হয়েস্থসাড মার্কো পোলো প্রণীত গ্রন্থানলী সুপরিচিত বটেই কিন্তু এশিয়ান বা ভারতস্তান প্রণীত বিদেশবিষয়ক গ্রন্থ ভারতীয় সাহিত্যে অতি

৩১২ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

অল্প আছে। বাংল! বা হিন্দী লেখকেরা সাহিত্যের এই বিভাগে যথোচিত দৃষ্টি দেন নাই। “বর্তমান জগত” গ্রন্থাবলীকে পাশ্চাত্য পর্যটক প্রণীত ভ্রমণসাহিত্য ইত্যাদির সঙ্গে তুলনা করিয়া দোখতে আরম্ত করিলে ভারতের নানা প্রদেশের নানা পণ্ডিত এক অভিনব সাহিত্য স্ষ্ট করিতে উৎসাহী হইতে পারেন যুবক ভারতের শ্বাধীন চিন্তা বিকাশে এবং শ্বাধীন রচন! প্রয়াসে বর্তমান পধ্যটকের অনুসন্ধান গবেষণা কথঞ্চিৎ সাহা'ধয করিবে এবং তাঁহার ফলে বর্তমান জগৎকে যুবক ভারত শক্ত মুঠার ভিতর পাকড়াও করিতে সমর্থ হইবে,_-এই আশা সর্বদাই পোষণ করিয়া আনিহেছে। বালিন, সেপ্টেম্বর, ১৯২৩।

-. 8 াক্ষাজেশল্ল জ্গীন্ন *

এই গ্রন্থ শেষ হুইরাছে ১৯১৬ সালের জুন মাসে। তাহার পর পাচ বৎসর পূর্ণ হইতে চলিল। এই পাঁচ বৎসরে দুনিয়ার সর্ধত্র অনেক ওলটপালট হইয়া! গিয়াছে তাহার প্রভাব চনেও পৌছিয়াছে। বলা বাহুল্য সেই প্রভাবের পরিচয় এই গ্রন্থে পাওরা যাইবে না। তাহার জন্ত নুতন পধ্যটনের আবশ্থাক |

এক হিসাবে যাহা পধ্যটকের ভাফেরি মাত্র আর এক হিসাবে তাহাই সভ্যতা-বিজ্ঞানের ব! মানব-তত্বের মশ।লা বা উপকরণ বর্তমান জগৎ” গ্রন্থের বিভিন্ন খণ্ডগুলা সমাজ-বিজ্ঞানের রনদ জোগাইবার উদ্দেশ্যেই রচিত হইয়াছে

প্রায় প্রত্যেক ভ্রমণ-কাহিনীরই এক অংশ বিবরণ মাত্র পর্যটক চেখে যাহ! দেখিতেছেন, কাণে যাহা শুনিতেছেন অথবা কেতাবে যাহা!

পাত সপ তালাশ সাপে পি শপ শীলা

* “বর্তমান যুগে চীন সাআজা” গ্রন্থের ভূমিকা

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক ১১৩

পড়িতেছেন তাহা সঠিক বর্ণনা করার দিকে তাহার প্রথম ঝৌক থাকাই ্বাভাবিক অপরদিকে বিবৃত বস্তৃ গুলার ব্যাখ্যা করা এবং সমালোচনা করার ঝৌকগ কম বেশী সকল লেখকেবই থাকে এই ব্যাখ্যা" সমালে:চনার তরফট| অর্থাৎ কোনো সভাতাকে তলাইপ্রা মাইয়। বুঝিবার বুঝাইবার ধরণ-ধ।রণটা লেখক মাব্রেরই নিজনম্ব। এইখানেই নানা মুনির নানা মত”

সম্প্রদ্তে চীনা তথ্যের কথা বলিতেছি যাহারা আমার “চাইনীজ রিলিজান গ, হিন্দু আইজ” ' হিন্দু চোখে চীনা ধন) পড়িয়াছেন তাহারা লক্ষ্য করিঘা থাকিবেন খে, সেন গ্রন্থে কন্ফিউশিন মত, শিস্তো, মহ।যাঁন, এবং পৌরাণিক-তাপ্বিক-হিন্দু ধম্ম্ের তুলনায় আলোচনা সম্বন্ধে খে সকল ইকিত বা বিশ্লেষণ দে ওয়। হইগাছে তাহা প্রাচীন এশিয-বিষয়ক কোনো গ্রপ্থেত বোধ হয় পাওয়া বার না আবার, “বর্তঘ|ন যুগে চন সাম্রাজ্য" ছে পুবাণা নপ্বা চীনের ভীবনবারা সন্বন্ধে থে সকল টাকাটিপ্রনী বা শ্রেখ-সমালেচন প্রবুন্ত হইয়াছে সেইগুলির ভিতর অন্ত কোনো টীন-বিশেষজ্েপ আলোটনাপ্রণালী দেহিতে প।9য়া মাইবে কি না সন্দেহ মত গুলা শ্বচিন্তিত ম্বাধীন,_ কতখানি গ্রহণীয় তাহা বিচারে? বিষয়

যে চোখে "বর্তমান জগৎ” দেখির। বেড়াইতেছি “তাহার বিশ্ত বিবরণ এখনও পরফ্কার করিয়া কোথ:৪ লেখা হয় নাই। যাহার] এই গ্রন্থের

অন্তর্গত বি;ভনন দেশসংক্রান্ত প্রবন্ধ গুল! ঈা মধ্ো দেখিয়াছেন তাহারা অনেক ধানাই-পানাইঘ়ের ভিতর সেই চেষ্টাও হয়ত আবিষ্কার করিগ্া থঃকিবেন এটাকে বে'ধ হর গোটা “যুবক এশিনার” চোখ বলিতে পারি। ইংরেজিতে শিকাগোর বিশ্ববিদ্ভালয় হইতে প্রকাশিত “ইন্টাণ্যাশন্তাল ভান্তাল অব. এথিকস্*নামক ব্রৈনাসিকে ( জুলাহ ১৯১৮) “ফিচারিজম্‌ অব. ইদ্রং এশিরা” প্রবন্ধ লিখিয়াছিলাম। তাহার ভিতর

৮7

৩১৪ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

যুবক এশিয়ার আলে ।চনাপ্রণালী বা তর্ক-বিজ্ঞান সংক্ষিপ্ত হুত্রাকারে দেখানো তইয়াছে |

এই পলজিক্‌” ৰা যুক্তি সমাজ-বিগ্ায় 'প্রবিত হইলে সভ্যতা-বিজ্ঞান কোন্‌ মুণ্িতে দেখ দিবে তাহার কথঞ্চিৎ নমুনা দিরাছি। আমেরিকার ক্লার্ক-বিশ্ববিদ্ভালয় হইতে প্রকাশিত জাণ্যল অব ইপ্টার্ণাশন্য/ল রেলেশ্তন্স্‌”' ত্রেমাসিকের (জুল।ই ১৯১৯) “আমেরিকানিজেশ্ান ফ্রম দি ভিউপয়েণ্ট অব ইয়ং এশিয়া” শিকাগোর “ওপন কোর্ট” মাসিকের ( নবেম্বর ১৯১৯) “কন্ফিউশিয়ানিজম্, বুদ্ধিজম. আযাণ্ড কৃশ্চিয়ানিটি”, এবং এলাহাবাদের “হিন্দৃস্থান রিভিউ” মাসিকের ( সেপ্টেম্বর ১৯২০ ) “কম্পারেটিভ গলিটিকৃস্‌ ফ্রম হিন্দু ভাটা” এই তিনটা প্রবন্ধের উল্লেখ করিতেছি “লাভ.ইন্‌ হিন্দু লিটারেচার” তোকিও ১৯১৬) এবং "হিন্দু আর্ট ইট.স্‌ হিউস্যানিজম, আও মর্ডীনিজম+'( নিউ ইয়র্ক, ১৯২৯ ) এই পুস্তিকা! দুইটা ডুষ্টব্য |

এই গ্রান্থের প্রথম তিন অধ্যায় “প্রবাসী”তে, কয়েক পৃষ্ঠ। “ঢাক! রিভিউ সম্মিলন”'-এ এবং একট! প্রবন্ধ ( তাজা ভারতের ধর্ম দর্শন ) “গৃহ্স্থ''র বাহির হই'াছিল। অধিকাংশই পুর্বে কোনো কাগজে ছাপা হস নাই কতকগুল1 ছবি “প্রবাসী” আঁফিস হইতে পাওয়া গিয়াছে সকলের নিকট কৃতজ্ঞত। জানাইতেছি।

চীন সম্বন্ধে লেখকের অন্তান্ঠ রচন! নিয়ে বিবৃত হইতেছে £--

১। এদ্দি ডেমোক্র্যাটিক্‌ ব্যাক্গ্রাউণ্ড অব. চাইনীজ কাল্চ্যর” ( সায়ে্টিফিক মান্থলি, জানুয়ারি ১৯১৯, নিউ ইয়র্ক ' |

২। “দে ফর্চুন্স, অব. দ্দি চাইনীজ রিপাবলিক ( মডার্ণ রিভিউ, সেপ্টেম্বর ১৯১৯, কলিকাতা )।

জাপানে-চীনে বসর দেডেক ৩১৫

৩' “পোলিটিক্যাল টেণ্ডেন্পীজ ইন্‌ চাইনীজ কালচার (এ, জানুয়ারী ১৯২০)

দি বিগিনিংদ অব. দ্রি রিপার্রিক ইন্‌ চারনা (এ, আগ ১৯২০)

৫| “দি পেন আ্যাও দি ব্রাশ ইন চায়না (এশিয়ান রিভিউ অক্টোবর ১৯১০) তোকিও )।

৬। “ইন্টাণ্যাশহ্টাল ফেটাস” অব. ইম়ং চায়না (জার্্যাল অব ইপটপর্যাশন্ত'ল রেলেশ্টন্স, জানুয়ারী ১৯২৯,ক্লার্ক বিশ্ববিষ্ভালয়.আমেরিক]।

কাড় লিদ্রাউ, ইহারা গুরু শিষ্য ছুই জনেই আবার নবীন চীনের অষ্টা! তাহ!দের নামের সঙ্গেই এই গ্রন্থ জড়িত থাকুক

উৎসর্গ

ম-গুদে লিয়াও, চি-চান্ি

ভোষরা অসাধ্য সাপনে ব্রতাঁ হইগ্লা৪। এই জন্তই "তোমরা যুবক এশিয়ার প্রণম্য |

হর বা তোমা,দর জীবন এক বিরাট পরাজদের মহানাট্য দেখ।ইতে দেখ'উতেই ফুরাইয়া আনে ' কিন্ত নবীন চীনের গোঁড়াপত্তনে তোমরাই প্রথম শিল্পী এই কারণে নিঘার কম্মবীণ ভাবুক সমাজ তোমাদিগকে নবতন্ধের পথ-প্রবর্ভকরূপে সপ্ঘদ্ধিনা করিতেছে

সেই সগর্ঘনায় বেগ দান করিরা যুবক ভারত9৪ অগ্রা-বীরত্বের যথোচিত মব্যাদ। বক্ষা। করিবে!

প্যারিস, ফ্রান্স মার্চ ১৯২১

সপ পপ সপ সরল স্পা শা পাশা িশিীশীশি

৩১৬ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

২৩ £ চগীম্ন-ভজ্জ্েল _ল্লিম্সাদ * এই কেতাব লেখা হুইয়াছিল সাড়ে পাঁচ বৎসর পূর্ব্ব-_চীনা আওতায় ংহাইয়ে। তখন বিংশ শতাব্দীর কুরুক্ষেত্রের দ্বিতীদ্ন বৎসর চলিতেছে

কোন কোন অধ্যায় “ভারতবর্ষ””, “গৃহস্থ” এবং “উপ।সনা””য় বাহির হইয়াছে

চীনে কাটিয়াছিল প্রার এক বৎসর চীনত'ত্বর হজম করিতে পারিঘ্নাছি অতি সামাগ্ত ম।ত্র। যতটুকুই ব1 পারিয়াছি তাহার দশ ভাগের একভাগ বোধ হয় এই গ্রন্থে গুজিতে অবসর পাই নাই। চীন-প্রব।সের পর্যযটন-কাহিনী অবশ্য আলাদা বইয়ে ছাপা হইবে

যে সকল গ্রন্থ বর্তমান কেতাবের বনিয়াদ তাহার একটা তালিক। মত্প্রণীত “চাইনীজ রিলিক্গ্যন থ. হিন্দু আইজ (হিন্দু চোখে চীনা ধন্ম ) ( ৩২+৩৩১ পৃষ্ঠা, ১৯১৬, কমার্যাল প্রেস, শাংহাই এবং পাণিনি অফিস, এলাহাবাদ ) বইয়ের প্বিব্রিওগ্রাফী” ব। গ্রন্থ-পঞঙ্জীতে দ্রষ্টব্য একটা ইংরেজী তালিকা এখানে ছাপিয়া বাংলা বইয়ের শ্রী নষ্ট করা অনাবশ্তক তবে দুই খানা গ্রন্ের নাম উল্লেখ করিব £--(১) ওয়াইলি প্রণীত লোটস অন্‌ চাইনীজ লিটরেচার ( চীনের সাহিত্য-প্রসঙ্গ ) (লগুন, ১৮৬৭ ) এবং (২) ওয়ার্ণার সঙ্কলিত চাইনীজ সোসিয়লজি চীনের সমাজ- তত্ব ( লণ্ডন, ১৯১০ ,' | চীনমগ্লে প্রবেশ করিতে হইলে এই বই দুইখানার পাতা উল্টাইতেই হইবে

তখনও জান্মীন এবং ফরাসী ভাষায় হাতে খড়ি হয় নাই। কাজেই এই ছুই ভাষায় নিবদ্ধ “সিনলজির”' ( চীনতত্বের ) হিসাব রাখার দরকার ছিল না। চীনা কবিতাগুলা বাংলা “সাহিতো)” চা পাইবার যোগ্য

শি

সস শপ ্পাপশীশাীশাশী শি্পীশীশীশাশী

৬৫ “চীন। সাতার অ, আ., ক, খ” গ্রন্থের ভূমিকা

জাপানেশ্টীনে বংসর দেড়েক ৩১৭.

করিয়া লিখিতে সময় জুটে নাই। হয়ত ক্ষমতাও নাই। তবে সবই তাড়াহুড়ায় লেখা, এক নিশ্বাসে যেরূপ বাহির হইয়াছে প্রা সকল স্থলে ত।হাই রাখিয়া দিদ্াছি। ঘষা মাজা সুরু করিলে বোধ হয় একদম কিছুই লেখা হইত না আজও সেই সমগ্লাভীব। বাহারা পরিশ্রম করিয়া সমর লাগাই শ্বাভ!বিক কবিত্ব শক্তির সদ্যবহার করিতে অত্যন্ত তাহারা এই দিকে নজর দিলে বাঙালীর কাব্যসংসার এক নয 'শ্বর্যের অধিকারী হইতে পারিবে সন্দেহ নাই।

ভারতে চীনা-গ্লাথনের মুগ আসিতেছে আরবী-ও সংস্কত-জান! হিন্দু- মুসলছান টানা ভাষা দখল করিয়! বর্তমান প্রাচীন চীনের জীবন মন্থন করিতে অচিরেই অগ্রসর হইবেন আর, তাহাদের গভীর'তর পাগিত্যের এবং সঙ্গত প্র ভূয়োদর্শনের বিচারে এই ধরণের “চীন। সভ্যতার .অ, আ,

ক, ৭”? নিতান্ত হান্কা, তরল ছেলেখেলা মাত্র বিবেচিত হইবে আশ৷

করি, সেই দিনের জন্ত ভারতবাঁপীকে অধিক কাল বসিয়। থাকিতে হইবে না।

চীনের দার্শনিক-প্রবর যুগ়্ানটু-আঙের নামে এই গ্রন্থ উৎসগীক্কৃত হইল

উৎসর্গ

মুয়ান্ট-আঙ ভারতের হিন্দু তোমাকে চীনের শঞ্চর'চায্য বলিঘা জানে; এশিয়ার মুসলমান তোমাকে চীনের আল্-ফার[বি বলিয়া মানে সপ্তম শতাব্দীর ইয়োরেশিয়ায় তুমি বিজ্ঞানদর্শন-মগুলের সর্ববোজ্জল জ্যোতিক্ষ।

৩১৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

বিংশ শতাবীর যুবক এশিয়া তোমাকে বিপুল অধ্যবসায়, কর্তব্যনিষ্া এবং কম্ম-কৌশনের অবত।ররূপে পুরী করির! থকে।

হে চীন! ভগরথ, তুমি হোআংহো ইয়াংছিকিয়াঙে “তিরেন্*ু” (“ঘ্বর্ণ” )-স্থিত গঙ্গা-গোদাবরীর আ্রেত বহাই়াছিলে। মৌর্যয-গপ্ বিক্রমাদিত্যগণের উত্তরাধকারা বদ্ধন-চালুক্যের ভারতর্ধকে তুমি চীনা সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়ছিণে। তোমার আমদ্বান-করা। বুদ্ধ-ার্কা হিন্দু সভ্যতার প্রভাবে “চুউ২হুআ” ( “ভূ-মধ্য” ) দেশে নব জীবনের ফোরারা ছুটিয়!ছিল।

হে কন্ফিউশিয়াম্‌-শাক্যসিংহের সমন্বয়-সাধধ, হে [বগ্যাসজ্মের ধুরদ্ধর, আজ তোমার জাতি মরিয়া রহিঘাছে। কিন্তু এই “আধার ঘোর” “কালিমার” আবেষ্টন ভেদ করিয়াও বিক্রমাদিতোর বংশধরেরা চীনা সভ্যতার গৌরব-কথা বর্তমান জগতে প্রচার করিতে উদগ্রীব হইতেছে ;_হোআংহো-ইয়াংছির বারিও গঙ্গা-গোদাবরীতে আনিয়া ঢালিতেছে। প্রাচীন তাঁউ-সন্তানগণের বাণী শুনিয়া! আর্ধ্যাবর্ত দীক্ষিণাত্য 'জীবনের নব নব সাঁড়া প্রকর্টিত করিতেছে। নব্য ভারতের এই বিচিত্র জীবন-স্পন্দন যুবক চীনকে জাগাইয়। এবং কন্ঠ করিয়া তুলিবে।

হে চীন! কম্মবীর, সহস্রাধিক বর্ষ পরে এইবার তবে ভারতবয চীনের খণ পরিশোধ করিতে চলিল।

প্যারিস্‌। ফ্রান্স, ১৯২১

জাপানেশ্টীনে বংসর দেড়েক ১১৯

শু ২০০৮5 জান্পাম্ন ম্যন্বক্ষ ভ্ভানলত% *

“আস্মশক্তির একজন পাঠক” আমার “চীন, জাপান যুবক ভারত” নামক প্রবন্ধের কতক গুলা ভুল বাহির করিয়ছেন দেখিয়! সুখী হইলাম

লেখ্টা পড়িবাম!ন্র হঠাৎ ১২1১৩ বঙ্মর পুব্বেকার কতক গুলো ঘটনা মনে আসি পড়ল। তখন আমি জাপানে, কোরিখাঁয়, মাঞচুরিয়।, আর চীনের প্রদেশে প্রদেশে" সেকেলে” বৃহাত্তর ভারত খুঁজিয়া বেড়াইতেছিলংম আদ একেলে পবৃহন্র ভাতের? ভন্ত খুটা গ!ডিঙেছিলাম চানা-জাপানীরা আমকে “ভন্োো ভাই” বা হন্দো দাদা” ধলিলা ভাঁকিত। ভাহাবা “আমাকে শিজেদের পোক জ্ঞানে ভালবাস্তি। আর আনি আমার বাঙলা দেশকে বেশী জানি কি চীন-জাপানদ্ক বেশা ভ!নি মাঝে মাঝে এরূপ সন্দেহ করিতাম। কাজেই আমার চীনা-জ।পানী কুটুন্ধতার যুগটা 'আর সমসামগিক যুবক বাঙলার কর্তব্যনিষ্ঠার আবহাওয়াওা আমার চিন্তায় কশ্মে এক বিপুল শক্তিরূপে রহিঘা গিরাছে | চান-জাণান আমার জীবনের এক বিরাট হব্বলত। |

তাহাই তাড়নার, অন্ত কাজ ফেলিরাও, এই লেখাটা তৈয়াপরি করিলাম। চীন জাপ'ন সম্বন্ধে কতক গুলা কথ॥ বা হত অ।মার সেই প্রবন্ধে নাই আর সমালোচক মহাশঘের আলোচ্য নয়, এই সঙ্গে বাহুয়া যাইতেছি | “চীনা ভাতার অ, আ, ক, ৭” নামক বই যখন লিখি তখন আশ! ছিল ষে ৮১০ বৎসরের ভিতর ভারতে চানা-আন্দোলন বেথা দিবে “চীনা-আন্দোলন” এখনে। দেখ! দেয় নাই বটে, কিন্ত আজ কাল তাহার স্থত্রপাত দেখিতে পাইতেছি।

“আত্মশত্তি”, ২য় বর্ষ) ২* সংখ্যা (অক্টোবর, ১৯২৭)।

৩২০ নয়। বাজলার গোড়া পণ্তন

যুবক ভারত চীন সম্বন্ধে সজাগ এই যুগে চীন-কথার রকমারি খরিদ্বার সমজদার বাঙলা দেশে আছে। তাহাদের জন্য কথাগুলে। বলিতেছি। সমালোচকের উক্তি গুল। উপলক্ষ্য মাত্র

তিববভ চীন

বাঁঙালা দেশে সাধারণতঃ চান বলিলে চীন সাম্রাজ্য বুঝা হুইয়। থাকে, অন্ততঃ পক্ষে থাকিত। ইস্কুলে ম্যাপ দেখাইবার সময় মাঞচুরিয়া, মঙ্গোলিয়।, তিব্বত ইত্যাদি সবহ মোটের উপর চীনের সামিল সমঝিয়া লওয়া বোধ হয় এখনো। আমাদের দস্তর। কাঁজেই তিব্বত সম্বন্ধে অভিজ্ঞতাবিশিষ্ট কেনে বাঙ্গালী পণ্ডিতকে বাডালীরা চীনতত্বজ্ঞ বুঝিবে তাহাতে আশ্চয্যের বেশী কিছু নাই।

চীন। ভাবা

আমার প্রবন্ধে আছে, “চীনের ভিন্ন ভিন্ন সহরে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা লোকেরা নানা স্থানে, নানা ভাষায় কথা বলে।” সমালোচক লিখিয়াছেন,_লিখিত চীনে (আমর বিশেষণে চীনা) ভাবার কোনই প্রভেদ নাই *%* তবে প্রদেশ অনুযায়ী উচ্চারণের প্রভেদ আছে। যেমন পূর্ব পশ্চিম বঙ্গের কথ্য ভাষার উচ্চারণের প্রভেদ। চীন দেশে বর্তমানে ৮৯ রকমের উচ্চারণ ভেদ আছে ।”

দেখা যাইতেছে যে আমার রচনায় যেটা “ভাষার বিভিন্নতা” সম!লোচকের রচনা অন্ুসারে সেটা “উচ্চারণের বিভিন্নতা” মাত্র ইহা যদ্দি সত্য হয়, তাহা হইলে ভুলসংশোধনের জন্ত সমালোচকের 'নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি

কিন্তু সমালোচক পরে আর এক জারগায় লিখিয়াছেন, “বর্তমানে কথিত ভাষা! লিখিত ভাষার ভিতর কিছু তফাৎ আছে-_আমাদের দেশেও

জাঁপানে-চীনে বৎসর দেড়েক ৩২১

যেমন আছে। চীনে নাটক নভেল সংবাদপত্রে এখনো কথিত 'ভাষার প্রভাব দেখ! বার |

অতএব পাওয়। গেল দুই তথ্য,_-(১) উচ্চারণে উচ্চারণে প্রভেদ কথ্য ভাষায় যেমন খাশ “চাটগ্রেয়ে" উচ্চারণওয়ালা বাঙালী “বাকড়ি" উচ্চারণ ওয়ালা! বাঙালীর সঙ্গে কথাবার্তা চালাইতে পারিবেনা ঠিক" তেমনি উত্তর চীনের কোন জেলার উচ্চারণগয়ালা চন! লোকেরা যুন্নান অঞ্চলের উচ্চারণওয়ালা চীন নরনারীর কথাবার্তী বুঝিতে পারিবে না।

২/ কথা ভাষার প্রভাব চানাদেণ সাহিতোর ভাযানও আছে। অর্থাৎ চাটর্থাীৰ লোক ঝাকুড়ায় সম্পাদিত গকুপণ্রিক।য় ঝাক্ড়ি শব্দ পাইবে আর বুঝিবে না। এই জগ্ঠই হয়ত আমাণ রচনায় আছে, “চীনের ভিন্ন ভিন্ন হর **লোকেরা নান! স্থানে নানা ভাবাসু কথা বলে ।”

এই দ্েত্রে বাক্তিগত অভিজ্ঞতা কিছু উল্লেখযোগ্য ম।ঞুরিয়া হইতে পিকিডে পপীছিঘাই একজন চীনা দোভ।নী বাহাল করিয়াছিলাম। তাহ;নে লইদ্াা চীনের নানা পল্লীসহবর দেখিঙ্গাছি। কিন্ত কাজ চলে নাই, তিনিও ভাবা সম্বন্ধে নিজের অক্ষমতা হ্বীকার করিতেন পরে ইংরেজ, জাপানী, ফরাসী রুশ চীদ-প্রবাসীরা আমার ছুরবস্থার কণা শুনেয়া টিউন “ভারতবর্ষের বাঙাল” বিবেচনা করিয়া ঠাট্টা করি- রাছে চনের ভিন্ন ভিন্ন মুন্লুকির জগ্ত ভিন্ন ভিন্ন দোভাবী আবশ্তক+_ এই ছিল তাদের মনত। ইহানে একমাত্র উচ্চারণের মামলা তাহা! অমাকে বুঝানো হয় নাই বরং ইংরেজ লেখক মেডে।জ-প্রণীত বইয়ে উপ্টাই বুঝিযাছি

জাম্মীন চীনতত্বজঙ্ঞ পণ্ডিত হির্ট আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্ভালয়ে «“সিনলজির” অধ্যাপক ছিলেন নিউইরর্কে থাকিবার সময় তাহার

৩২৭ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

নিকট কিছুদিন ধরিয়। নিয়মিতরূপে সাগরেতি করিয়াছিলাম। চীনা-ভাষায় হাত মকৃস করিতে প্রবৃত্ত হই নাই। তাহার টে!লেও মেডোজ-প্রচারিত মতই পাইয়াছি।

তাহা ছাড়া লিখিত ভাষায় কম সে কম চার রীতি লক্ষ্য কর! সম্ভব £- (১) প্রাচীন (কনফিউশিয়ান 'ও অন্তান্ত দার্শনিকদের ভাষা), (২) হ্বেন- চা বা পণ্ডিতি (টুলো৷ আবহাওয়ায় পঠন-পাঠনের ভাষা? (৩) ব্যবসারী (সরকারী দলিল দস্তাবেজের ভাষা), (৪) মামুলি (নাটক নভেল সংবাদপত্র ইত্যাদির ভাষা)। ইংরেজ, ফরাসী, জান্মীন, মার্কিন ইতা'দ জাতীয় লোকেরা নিজ নিজ মতলব অন্গুসরে ভিন্ন ভিন্ন রীতিতে হাতে খড়ি দিয়া থাকে শিক্ষানবীশদিগকে এইরূপ পরামর্শ দেওয়া তাহাদের চীনতত্বজ্ঞদের দস্তর |

চীনা ভাষা যখন আমার জানা নাই, আর কোনো ভারতীয় চীনতত্বজ্ঞ যখন আম।কে ১৯০৪-১৬ সনে এই বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারিতেন কিনা সন্দেহ, তখন বিদেশী চীনতত্বজ্ঞদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাইয়া আর কেতাব ঘটাথাটি করিয়া যাহা বুঝিঞ্জাছি তাহাই লিখিয়াছি। “আত্মশক্তি 'র প্রবন্ধটুকু ছড়া এই বিষয়ে আমার অন্তান্ত লেখাও আছে। তবে এই বিষয়ে আম অনেক কিছু শিখিতে ইচ্ছা করি। সমালোচক মহাশয় যদি বর্তমান তককগ্রশ্নের আসর ছাড়িয়া স্বাধীন ভবে চঈটনা ভাষার বিভিন্নতাগুলা সম্বন্ধে কোন মাসিক পত্রিকায় বাংল। বা ইংরেজি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন তাহ! হহলে আমার উপকার হইবেই। বছ ভাণ্তীয় চীনস্প্রমিকেরও সে সব বেশ কাজে লাগিবে।

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক ৩২৩

শস্চিল পনি সিল

চীনে ভারভাভিযান

আমাৰ প্রবন্ধে কঘেকজন প্রসিদ্ধ বাঙালীর নাম করা হইয়াছে। তাহারা চীনে গেলে ভাল হয় এইরূপ লিখিয়াছি ১৯১৫ সনে। বুঝিতে তইবে যে তখন রবিবাবুর চীনধাত্রা ঘটিতে অনেক দ্েরি। যে কজন লে'কের ন।ম করিয়াছি উহার নান। বিদ্যার ক্ষেত্রে যশশ্বী। লিখিয়ে- পড়িয়ে প্রা যে কোনে! বাঙালীই তাহাদগকে চিনিত | একজনের সন্ধে সম'লেচক জিজ্ঞাস করিতেছেন,-_-ণতাকে চীনদেশে প্রেরণ করবার ভাব কি বিনয়কুমার নিজে নিবেন?” বার বস পুর্বে এবং তাহার বহু পৃর্বেও আমি চীনে ভ।রভাত্ান বাঞ্চনীম্ধ বিবেচনা করিতাম। এখনও করি। কিন্তু ভাহা বলিয়া “প্রেরণ করবার ভার”ট।ও যে এই অধমেরই ঘাড়ে পড়িতে পারে 'তাহ। ভাবিয়া দেখি নাই তবে প্রশ্রটা যখন জবাব দিতেছি, "আমার বদি পয়সা থাকে আর কন্মদক্ষ বিদ্যানিষ্ঠ চীনধাত্রাকাজ্জীদের ঘদি পয়সা না থাকে তাহ। হইলে সেই ভ।র আমি লইতে চিরকালই প্রস্তত আছ |”,

বর্তমান চীনের বিদ্ধা। চর্চ।

আমর 'রচনাদ আছে “চীনারা এশিক্সাতত্বের অ, আ, ক, খও জানে না। আর নব্য পাশ্চাত্য তত্থেও সবে হ।তেখড়ি দিতেছে |” সমালোচক এই উষ্ভিরর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিতেছেন। যুবক চীনের কৃতিত্ব তাহার অনুরাণের বন্ড ভা সুখের কথা এই বিষয়ে অনুরাগ হিসাবে তাহার সঙ্গে হয়ত আমার আধ ক।চ্চাও প্রভেদ নাই। চীনারা, ভাপানীরা অ:র মাকিনর! 'আমার চীন-প্রাতির কথা বেশ জানে কিন্তু আমার উতক্তিটা কিছু তলাহগা দেখ। 'আবগ্তক | (১) “এশিয়াতক্কেশ ( অর্থাৎ তুরস্ক, পারন্ত, ভারত ইত্যাদি বিধয়ক বিগ্ভায়) যুবক চানের দপল কতটা

৩২৪ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ছিল ১৯১৫ সনে? এই প্রশ্নের জুড়িদার আর একটা! প্রশ্ন করা যাউক। ১৯০৫ সনে “এশিয়া-তত্বে” যুবক ভারতের দখলই বা কতট1 ছিল? এই ছুই প্রশ্নের জবাব নির্ভর করিবে বিদ্যা পাগ্ডিত্য বিষয়ক মাপ্কাঠির উপর আমার বিবেচনায় ১৯০৫ সনে “এশিয়া. তত্ব” সম্বন্ধে যুবক ভারতের জ্ঞান অ, আ, ক,খ পব্যন্ত গরিয়াছিল কিনা সন্দেহ (আজ ১৯২৭ সনে অবস্থা কথক্ষিৎ উন্নত )। ঠিক সেই মাপেই ১৯১৫ সনে যুবক চীন সম্বন্ধে মত প্রচার করিপ্নাছি। (২) নব্য পাশ্চাত্য-তত্ব সম্বন্ধে বলিয়াছি (১৯১৫) সনে যে, চীনার। “সবে হাতে খড়ি দিতেছে ।” পাশ্চাতা শিক্ষা চীনে কবে সরু হইয়াছে, আর কবে কিছু পুষ্টিলাভ করিয়াছে এই সন তারিখগুল1 দেখিলেই ১৯১৫ সনের বাঙ্গালীর পক্ষে চীন সম্বন্ধে এরূপ উক্তি প্রকাশ করা আশ্চধ্যের হইবে ন!। আসল কথা, সকল প্রকার শিক্ষার অভাবই বর্তমান চীনের দুর্গতির অন্ততম বিপুল কারণ

জাপানীরা কতটা ফৌোপরা

আমার রচনায় আছে, “জাপান যে কত ফৌপরা ইহার! ( ভারতীস়্ অভিযান ) স্বচক্ষে যাইয়া দ্েখুন।” আমরা ভারতে পরাধীন জাতি। এই কারণে যে-কোনো শ্বাধীন জাতিকে আমরা অতি-কিছু সমবঝিতে অভ্যস্ত কিন্ত আমার বিবেচনার এই অভ্য।সটা নিরেট তথ্যের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। জাঁপানীর। শ্বাধীন। স্ভাহাদিগকে আমি “নবীন এশিয়ার জন্মদাতা” বলিয়া সম্মান কারয়া থাকি এইজন্য অনেকে আমাকে অতিমাত্রায় জাপানী-প্রমিক বলিয়া গালাগালিও করে। যাক সেকথা। কিন্তু তাহা সত্বেও আমার মাপকাঠিতে, বাঙালীর যে-যে কশ্বক্ষেত্রে আর যে-যে বিদ্ভার আখড়ায় ক্কৃতিত্ব দেখাইবার কিছু-কিছু

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক ৩২৫

স্বযোগ পাইয়াছে, সেই সকল কর্মক্ষেত্রে আর বিদ্যার আখড়ায় তাহারা জাপানীদের চেয়ে কোনে হিসাবে নিকৃষ্ট জীব নয়। আমরা পরাধীনতার দরুণ অনেক সময়ে আমাদের যতটুকু কর্মদক্ষতা বা গুণপন। আছে তাহার উজ্জৎ দ্বিতে সক্কোচ করি। এইজন্য নামজাদ। করিৎকন্মা কয়েকজন বাঙালী মাঝে মাঝে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রের জাপানীদের সঙ্গে দহরম মহরম চালাইলে তাহারা সহজেই বুঝিবেন যে, শ্বাধীন এশিয়ার লোকের পক্ষেও “ফোপরা” হওয়া আশ্চর্যোর কথা নয়। অর্থাৎ কোনো কে!নে। ক্ষেত্রে আমাদের কন্মদক্ষতা যতট। দেখানো সম্ভবপর হইয়াছে তাহা কোনো কোনো পুরা-ম্বাধীন দেশের পঙ্গে নিনীঘ নয়। এই কথারঈ আব এক পি% হইতেছে,.-পৃথিবীর (কেবল এশিয়ার নয়, ইয়ে!রামেপ্িকারও সন কদটা স্বাধীন দেশই জ্ঞানবিজ্ঞানে “হাতী-ঘোড়।” নয়। বূবক বাঙ্গল।র এই কণাট। জানা আবশ্যক |

চীনাদের বিদেশী উপাধি

সম(লোচক বলিতেছেন, “চীন দেশের বড় পণ্ডিতর! অবশ্তঠ হউরে।প অথবা আমোরকাঘ গিয়ে বড় উপাধি নিছে আসেন না।” এইথানে “বড় পরত” শব ব্যবহার করা হাছে এহ শব্দের অর্থ যদি ভারতীয় চতুষ্পাঠীসমুহের সংস্কৃতজ্ঞ (এবং মোটের উপর বিদেশী ভাষা-সাহিত্য- বিজ্ঞান-দর্শনে অনভিজ্ঞ ) পণ্ডিত শ্রেণীর লোক বুঝ! যার তাহা হইলে কথাটা ঠিক। কিন্তু যদ বর্তমান চীন ব1 “যুবক চীন” কোথায় “উপাধি” পাইতে যায় তাহ! আলোচ্য বিবুয় হয় তবে বলিব ঘে সমালোচক যাহ লিখিয়াছেন খাটি অবস্থা প্রায় একদম তাহার উল্টা। বর্ধমান জগতের জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জন করিবার “উচ্চতর” ব্যবস্থা চীনে ১৯১৫ সনে অল্প মাত্র ছিল। আমেরিকার, ফ্রান্সে, জান্মীনিভে ইংলগ্ডে না গেলে

৩২৬ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

এমন কি সাধারণ বি. এ., বি. এমসি. এম, এ+ এম৬ এস্-সি, পদের বিদ্যা লাভ করাই যুবক চীনের পক্ষে কঠিন ছিল। আস্তে আস্তে তাহাদের অবস্থা এই দিকে উন্নত হইতেছে কিন্তু উচ্চ অঙ্গের আধুনিক শিক্ষার জন্য “রূপ চাদ” কত লাগে ভারতে তাহা অজানা নয়। চীনারা রূপটাদে বড় বেশী সচ্ছল নয়। কাজেই বিপুল মহাদেশের জন্য “সর্বোচ্চ” শিক্ষা বিস্তারের বথোচিত ব্যবস্থা করা আজ ১৯২৭ সনেও সম্ভবপর হয় নাই।

চীন! ভাবায় চীন! পাগ্ডিত্য

সমালোচক বলিতেছেন, “তীরা (চীনা পঙ্ডিতরা) কাজ করে, থাকেন এবং সে কাজ ইংরেজিতে প্রকাশ ন! করে' চীনা ভাষায় প্রকাশ করে; থাকেন।” বলা! বাহুল্য, যে লোকটা চীনা ভাষা জানে না সে এই উক্তি গুনিব! মাত্র চুপ করিতে বাধ্য কিন্তু কথাট! বিশ্লেষণ কর! সম্ভব চীনারা কোন্‌ কোন্‌ বিদ্যাক্ষেত্রে “কাজ” করিতেছে ? বর্তমান যুগে চীনারা লেখাপড়া সুরু করিল সেদিন। এই কয়দিনের ভিতর “বেশী” সংখাক চীনা নরনারী "ন্বদেশে উচ্চতর অথব। “উচ্চতম” জ্ঞান-বিজ্ঞানের অধিকারী হইতে পারে নাই। এইক্ধপ সন্দেহ আমার ছিল ১৯১৪।১৬ সনে ইয়োরামেরিকায় এবং চীনে যত চীনা প্ডিতের,- ছোড়া, বুড়া, একেলে, সেকেলে শিক্ষিত লোকের--সঙ্গে আলাপ হইয়াছে তাহাদিগকে আধুনিক চীনা সাহিত্যের অবস্থা জিজ্ঞাস করিয়াছি তাহাদের নিকট বুঝিয়াছি প্রধানতঃ নিয়রূপ। পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন ছোট বড় মাঝারী বই চীনা ভাষায় তর্জমা করা হইয়। থাকে | এই তজ্জমার কাজে খুষ্টিয়ান পাত্রীদের প্রয়াসও উল্লেখযোগ্য বইগুলা ইস্কুল কলেজে টেকস্টবুক রূপে ব্যবহৃত হয়।

চি

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক ৩২৭

কথঞ্চিৎ উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশী ভাষায় লিখিত বই ব্যবহার করা হইয়৷ থাকে, বিদেশীদের লেখা বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিলাভ করিবার জন্য চীনারা বিদেশী ভাষায়ই “থীসিম্‌” (গবেষণা ) গ্রস্থ লিখিয়। থাকে ডিগ্রিলাভের জন্ত যে সকল বই লেখা হয় তাহা! কোনে দেশেই সাধারণতঃ অতি উচু দরের চীজ বিবেচিত হয় না। যাহা হউক, চীনা ভাষার বে আজকালকার চীনারা বড় বড় জিনিষ প্রকাশ করিতেছে তাহা বর্তমান চীনের শিক্ষাদীক্ষা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতাশীল লোক প্রথমেই স্বীকার করিয়া লইবে না। বিশেষতঃ যুবক চীনের করিৎকম্মী প্রতিনিধিদের নিকট হইতে যগন বস্তৃনিষ্টরূপে নিজ শিজ কৃতিত্বের বিবরণ সংগ্রহ করা বাদ্দ তখন একট অতি-কিছুব পরিচয় পাওয়া খায় না। বলা বালা আবার প্রশ্ন উঠিবে"বিদ্কা জরীপ করিবার মাপ কাঠিটা কিবপ ? একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি বাওলা ভাষায় আধুনিক চিকিৎসা" বিজ্ঞান বিষয়ক কয়েকখানা ইংরেজি বইয়ের তজ্কমা বা সার-সম্কলন প্রকাশিত হইয়াছে এই সব সম্বন্ধে আমরা বাঙালী হিসাবে হয়ত বলিব, “বেশ কিছু হষয়াছে।” হয়ত ১৮৫৭ সনের তুলনায়, বলিব, “অনেক কিছু হইরাছে |” কিন্তু কোনো! ফরাসী, জান্দাণ, ইংরেজ বা মাকিণ পধ্যটক কি বলিবে ?

জাপানকে ভাল করিয়া জান।

সমালোচক বলিতেছেন-_-“জাপানকে ভাল করে? জানলে” আমি তার্দের “কফৌপরা” বলতাম না। জাপানী ভাষা আমি জানি না! এই পধ্যন্ত ঠিক। কিন্তু কতদিন ধরিয়া! কয়ট] পল্লী সহর, কতগুল! প্রতিষ্ঠান আর কত ডজন কতপ্রকারের সুধী-শিক্সী-ব্যবসায়ীর পরিচয় জানা থাকিলে একট] দেশকে ভাল করিয়া! জান! হয় তাহার বিচার কর!

রা মানার গোড়া পণ্তন

চা শী লা তি স্াসিিনচিলী তত িণী লাস

সহজ নয়। জাপানে, কোরিয়ায়, মারিয়া, আর চীনে আমার ; বৎসর দেড়েক কাটিয়াছে। চীনা-জাপানী সভ্যতার একাল-সেকাল বুঝিবার জন্য বিদেশী ভাষায় লিখিত কতগুলা বই পড়িয়াছি,ই আর কতগুলা লিখিনে- পড়িয়ে লোকের সঙ্গে আত্মীয়তা ছিল আছে তাহার তালিক দিয়া কোনে! লাভ নাই। এই সকল অভিজ্ঞতার কিছু কিছু পরিচয় চীন- জাপান-ইরোরামেরিকার বিভিন্ন পরিষত-পত্রিকার় বাহির হইয়াছে এই সবের কিম্মৎ কতট। তাঁহার বিচারক অবশ্ত আমি হইতে পারি না। কিন্ত যে-লোক কিছু জাপানী ভাষা জানে দে একমাত্র এই ভাষা-জানার থাছিরে তাহার যথার্থ বিচারক কিনা সন্দেহ

সমালোচক লিখিতেছেন,_-“জাপানী পপ্ডিতগণ তাদের অধিকাংশ কাজই জাপানী ভাষায় বাহির করেন। ইংরেজিতে তারা কমই লেখেন |” জাপানীদের বিছ্যচ্চার নিন্দা করা আমার মতলব নয়। আমার দেশও যে কোনে। কোনে! ক্ষেত্রে জাপানী মাপে প্রশংসনীয়ই বটে এই কণ। বলা আমার উদ্দেন্ত। জাঁপানীর! জ্ঞান-বিজ্ঞানে জার্্মীন-ইংরেজ-মাকিণ- ফরাঁসীদের সমান নয় এই আমার মত। ইংরেজিতে জাপানীদের রসায়ন, চিকিৎসাশান্ত্র, প্রাণবিজ্ঞান ইত্যাদি বিবয়ক গবেষণার পরিচয় নানা ইয়োরামেরিকান বিজ্ঞান-পত্রিকায় পাওয়া যাঁয়। কাজেই জাপাশী ক্কৃতিত্বের দৌড় জাপানী ভাবায় অনভিজ্ঞ বিদেশীদের পক্ষেও জানিবার উপায় আছে। কয়েকজন অতি প্রসিদ্ধ লোৌকও আছেন সন্দেহ নাই। জাপানী ভাষায় জাপানীর! যে-কাজ.' করিতেছেন তাহাকে জাপানী-জান্তা বিদেখী লোকের পক্ষে হয়ত বা অতি-কিছু বিবেচনা! করিবার কারণ থাকিতে পারে। কিন্ত জাপানীর! সাধারণতঃ বলে, “আমরা বিদেশী জ্ঞান-বিজ্ঞান মাতৃভাষায় গ্রচার করিতেছি ।” আধুনিক জাপানী সাহিত্যের এই হইল প্রধান লক্ষণ। দর্শনচচ্চা সন্বন্ধেও এইরূপ বৃত্তান্ত পাওয়া

জাপানেশ্চীনে বৎসর দেড়েক ৩২৯

গিয়াছে আর সেদিন বিলাতের প্রঘ্ন্যাল ইকনমিক জান্যণল” পত্রিকায় জাপানী ধনবিজ্ঞান*সেবীদের “কাজ” জাপানী পণ্ডিত কর্তৃক বিবৃত দেখিলাম বুঝিতেছি যে, ইয়োরামেরিকার “বাঘ।” “বাঘ” পণ্ডিতদের মতামতগুলা প্রচার করাই জাপানী ভাষায় জাপানী ধনবিজ্ঞানাধ্যাপকর্দের প্রধান “কাজ ।” হত কোথাও কোথাও খানিকটা মৌলিক চিন্তা থাক! অসম্ভব বা অন্বাভাবিক কিছু নদ্ন বলাই বাহুলা।

জাপানে ভারত-নিন্দ!

১৯১৫-১৬ সনে জাপানে থাকিবার সথদ্ধ ন।না জাপানী মহলে একাধিকবার দ্একটা ভারত-নিন্দা আমার কাণে পৌছিঘাছিল। কিন্তু সমালোচক মহাশয় জাপানে থাকিবার সময় সেই নিশ্দাটা শুনেন নাই ইহ।তে আশ্চবোর কি অ.ছে ? এমনাক আমি ঘে সময়ে ছিলাম সেই সময়ে অন্তান্ত ভারতসন্তানও জাপানে ছিল। তাহা বলিয়া আমি যে যে মহলে বাহা কিছু দেখিদছি গুনিয়াছি অন্যান্য জাপানশ্পর্যযটকণ্* ঠিক নেই লবই দেখিতে শুনিতে বাধ্য কি?

চীন! পগ্ডিতের কৃতিত্ব

জাপান আর ভারতের মতন চ'নও আতন্তে আন্তে মানুষ হইতেছে এই “আস্তে আন্ডে” শব্দটার অর্থ জাপান সম্বন্ধে এক প্রকার, ভারত সম্বন্ধে আর এক প্রকার, আর চীন সম্বন্ধে অন্য এক প্রকার এই ধরণের কথা আমি নানাস্থানে বলিরাছি। কাছেই ১৯২৪-২৭ সন্রে চীনে, অথবা এমন কি ১৯১৫-১৬ সনের চীনেও লিখিয়ে-পড়িয়ে চীনাদের ভিতর করিৎকশ্মা লেক ছিল বা আছে তাহা বুঝা খুবই সহজ। আর বিষয়ে স্থানে স্থানে তালিকা প্রকাশও করিয়াছি কিন্তু তাহা লই বাড়াবাড়ি করা আমার পক্ষে সম্ভবপর

৩৩০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

নয়। ১৯০০ সশের “বকসার"” যুগের তুলনায় ১৯১৫-২৫ সনের যুবক চীন খুব বড়। কিন্তু ১৯১৫-২৫ 'সনের বর্তমান জগতে» যুবক চীন নগণ্য এই বর্তমান জগতে যুবক ভারতও নগণ্য তবে এই ছুই নগণ্যের ভিতর যুবক ভারতকে মোটের উপর আমি যুবক চীনের “বড়া” বিবেচনা করিয়া খাকি। হইতেছে আবার মাঁপকাঠির মামলা ইহা নিন্দাপ্রশংসার কাববার নয়। কারবার হইতেছে হুঃখের আর এশিয়ার ভবিষ্যজীবন-গঠনের |

সমালোচক বলিতেছেন, “চীন দেশের ভাষাতত্ববিদ্দিগের সাহায্য না পেলে ইয়োরোপের কিম্বা জাপানের কোনে পণ্ডিত চীন-তত্বের আলোচনায় অগ্রসর হতে পারতেন ন1।” প্রথমতঃ আমি এক জায়গায় কোনো বাঙালী পণ্ডিত সম্বন্ধে “ভাষাতত্ববিৎ” শব্ধ প্রয়োগ করিয়াছি সেটা শুধরাইয়! তিনি বলিয়াছেন যে, “ভাবাঁবিৎ বলা উচিত ছিল।” তাহার বর্তমান উক্তিতে চীনা পণ্ডিতের! ভাষাতত্ববিৎ কি ভাষাবিৎ তাহ! পরিষ্কার নয়। যাহা হউক, দ্বিতীয় কথা হইতেছে সোজা চীনের লোকেরা চীনা ভাষা জানে--কাজেই জাপানীরা, জান্ম্মানরা, ফরাসীরা, ইংরেজরা, মায় বাঙ্গীলীরাও চীনতত্বে পণ্ডিত হইবার জন্য চীনাদের সাহায্য লইতে বাধা ইয়োরোপীয়ান পণ্ডিতের সেকালে আমাদের সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতদের সাহাধ্য লইয়াছেন। একালেও লইতেছেন। আর বাঙলা, ওড়িয়া, মারাঠি, তামিল ইত্যাদি ভাষা দখল করিবার জন্তও তাহার! "নেটিভ” পণ্ডিতদের সাহায্য লইয়া থাঁকেন। অধিকন্ত প্রাচীন পু'থির পাঠোদ্ধার আর এতিহাঁসিক খনন ইত্যাদি কাজেও আমাদের ছোট-বড়- মাঝারি পণ্ডিতদের সাহায্য বিদেশী পণ্ডিতদের বিশেষ কাজে লাগে ঠিক এই ধরণেরই সাহাষ্য চীনারা করিতেছে সঙ্গে সঙ্গে পুথির বিবরণ, চীন! বইয়ের তর্জম! ইত্যাদি কাজ কিছু কিছু চীনাদের নামেও বাহির

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক ৩৩১

হঈতেছে সবই হ্বাভাবিক, সবই স্থখের কথা কিন্তু মাপকাঠিটা আবার সঙ্গে রাখা আবশ্তক |

তবে আবার ১৯১৪-১৬ সনের কথা মনে পড়িতেছে। সেই সময়ে যুবক চীনের বিদেশী পি, এইচ, ডি উপাধিগারী নান। বন্ধু আমাকে বলিত, "্যাখ,। তোদেরকে আমরা খুব হিংসা করি। কেন জানিস? আজকাল যখনই রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির জার্ণ্যালট৷ *খুলি তখনই দেখি হয় টাকটপ্লনীতে, না ভয় চিঠিতে আর কখনো কখনে। প্রবন্ধের তালিকায়ও ভারতীয় লেখকদের নাম ! কিন্তু চীনাদের এই অবস্থা কবে হবে এখনো বুঝতে পারছি না।”

চীন। সভঃভায় প্রবেশ

সমালোচক উপদংহারে বলিতেছেন, _প্যতদিন তাদের ন। বুঝছি তাদের সভাভাব ভিতর না প্রবেশ করছি ততদিন ধিচার করতে না যাওয়াই উচিত |”

উপদেশ্টা শাঁল, কিন্তু আলো!চনা-সাপেক্ষ কেননা জ্ঞান-বিজ্ঞানের রাজ্যে “বিনয়ী” হওয়া অত্যাবশ্তক সন্দেহ নাই কিন্তু "বিনগ়ের অবতার”, হইতে চেষ্টা করা আহাম্ি

একটা লোকের বৎসর দেড়েক ব্যাপা স্থাশীর অন্থুসন্ধান-গব্ষণার ভিতর রেলের খবর, *রাজশ্বের খবর, ইস্কুল-কলেজের খবর, কুটার শিল্প- ফ্যাক্টারী-ক।রখানার খবর, আইন-কান্রনের খবর, কাব্যনাট্যের খবর, ঘঠ মন্দিরের খবর, পারিবারিক সংস্কার-কুসংস্কারের খবর ইত্যাদি নানা খবর অল্পবিস্তর স্থান পাইল। এই খবরগুল! জুটিল নরনারীর সঙ্গে সহরে পল্লীতে গাঁধেশাঘেশি করিবার ফলে এই খবরগুলার কোনোট। জোগাইল একেলে পণ্ডিত, কোনোটা জোগাইল সেকেলে পণ্ডিত। কোনো কোনো

৩৩২ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

খবর আসিল বুড়া জননায়কদের ধাটি হইতে, কোনো কোনো খবর আসিল তরুণ জীবনের নান! মহল হইতে | আর তাহার উপর চেষ্ট৷ চলিতে থাকিল প্রতিদিন বহুঘণ্ট৷ ধরিয়া] সরকারী-বেসরকারী লাইব্রেরিতে বিদেশী ভাষায় লিখিত গ্রশ্থাবলীর সঙ্গে পরিচয় লাভ। অধিকন্ক প্রত্যেক কথাবার্তায় দোভাষীর সাহায্য আছেই

জানা নই কেবল ভাষাটা আর সময়ের পরিমাণ মাত্র বতসর দেড়েক। এই অবস্থায় ষে একট] সভ্যতায় প্রবেশ লাভের চেষ্টা কর! হয় নাই তাহ! হ্বীকাঁর কর! হয়ত কোনো “বিনয়ের অবতারের+ পক্ষে সম্ভব। আবার কোনও “বিনয়ের অবতার” হত বলিবে যে, এই অবস্থায় সভযতাটা বিচার করিতে না যাওয়াই উচিত। কিন্তু “সাধারণ বিনয়ী” লোকের বাণী হইবে অন্তরূপ। সে বলিবে,_-“যতটুকু ঘথ্য পাইয়াছ সেই তথ্যগুলার উপর টীকা টিপ্লনী চালাইবার একতিয়ার অর্থাৎ জীবনটা বিচার করিবার অধিকার তোমার আছেই আছে অন্তান্ত তথ্য পাইবা মাত্র হয়ত তোমার ব্যাখ্যা, তোমার বিচার, তোমার দর্শন বদলানে। আবপ্তক হইবে। তাহার জন্য তুমি সর্ব প্রস্তত থাকিও। আর যে যে তথ্য তুমি পাইয়াছ তাহা! একদম নিভূঁল এরূপ বিবেচন! করিয়া বসিয়। থাকাও স্ুবিবেচকের কায নয়। ভুলটুকগুলা হামেষ! শুধরাইবার জন্ত চেষ্টা কর! অত্যাবন্তক কিন্তু শেষ পর্য্যন্ত তোমার মতামত, তোমার ব্যাখ্যা, তোমার বিচার সকলেই মানিয়! লইবে কিনা সন্দেহ। কেন না জীবনের বিশ্লেষণ, সভ্যতার বিচার ইত্যাদি বস্ত একমাত্র বা প্রধানতঃ ভাষাঙ্জানের উপর নির্ভর করে না--নির্ভর করে দর্শন, সমাজতত্ব, রাষ্ট্র- বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষ্ভার রাজ্যে কার কিরূপ মতিগতি তাহার উপর |”

ইতিহাসের আথিক ব্যাখ্য!

৯৫ ক্কার্ল, মান ভ্িিজল্লিশ্প, ওীক্ে্ল্তন, *

ধনবিজ্ঞানে যুগাস্তর (১৯) ভারতে ধাহারা ধন-বিজ্ঞ/ন-বিগ্ভার আলোচনা করিদ্বা থাকেন তাহাদের নিকট জান্মাণ, লেখক ক্রিড্বরশ (ফ্রেডরিক্‌) এগ্জেলসের রচনাবলী অজানা জনিষ নয়। এন্গেণ্স্‌প্রণাত “বিপাতী মজুর- -শেণীর সামাজিক আর্থিক অবস্থা” নামক গ্রন্থ ১৮৪৫ খু প্রকাশিত হইয়াছিল, জনগণের পারিবারিক মায়-বার এবং সমাজের অন্ত।্থ আর্থক তথ্য বিধদে আগতের সব্বত্ধ জ্ঞাশলাভের থে প্রচেটা দেখ! যায়, তাহার জন্য সুদীগণ এঙ্গেল্সের এহ গ্রন্থের নিকট অনেক পরিমাণে ধলী। নরনারী্ জীবনে নুথ-নবচ্ছন্দত। মাপিবার বাণ্ুৰ বস্ত্র এগেল্‌সের প্রদর্শিত পথেহ অ1৬৪ সকল মহলে কাদে করা হইতেছে। জাম্মণির সমাজ-চিন্তার এঙ্গেল্সের :১৮৯০-৯৫) ঠাই খুব উঁচু। উনবিংশ শতান্ধার সাদািক দর্শনে ছহজন জীম্মাণ হভ্দী ইয়োরানেরিকায় নামজাদা হন একনের নাম কাল্‌ মাকৃ্‌ (১৮১৮-১৮৮৩ )। দার্শনিক হেগেলের আলোচনা প্রণালার বিরণছ্ধে কলম ধরিয়া ইনি এ্রতিহা (নক তথ্য বিশ্লেষণে এক নবধুগের স্থত্রপাত করেন। অধিকন্ধ খাটি ধন- বিজ্ঞান এবং সমাজ-তত্বের প্রতিপাদ্ত বু বিষয়ে ইহার রচনাবলী জাশ্মাণ পণ্ডিত-মহলের চোথ ছুটাইয়া দিয়াছে।

পা পপ পপ আশ পপ জে আলাদা পা আ্াপ্পসলা শিশিস্পপী শেপ

* “পরিবার, গোটা রা নামক বাদ রস্থর ভূমিক]।

৩৩৪ নয়! বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

মজুর এবং দরিদ্র লোকের! ক্রমশঃ কাল্‌” মাকৃস্‌কে যুগাবতার-জ্ঞানে পূজা করিতে অভ্যস্ত হইয়াছে এই জ্ঞান আজকাল কেবলমাত্র জাম্মীণিতেই আবদ্ধ নয়। ইয়োরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিলও,- জগতের সকল দেশেই--"ও কাল্ঘার্ক, সা নমঃ” বলিয়া মজুরেরা, মজুর-প্রতিনিধিরা এবং সমাদ-লেখফের! কাঘ্য আরম্ভ করিয়া খাকে।

কাল্‌” আাক্‌? সের সময়কার অপর জাশ্মাণ- ইহুদী সমাজ-দার্শনিকের নাম ফাভিনাও লাসাল্‌ ( ১৮২৫-১৮৬৪ )1। ১৯১৮ সালে গণতন্ত্র স্থাপিত হইবার পর পাঁচ ছয় বৎসর ধরিয়া এবাটের সভাপতিত্বে ষে রাষ্ট্রীয় দল জান্মীণিতে রাজত্ব করিতেছে সেই দলের আদি পুরুষই লাসাল্‌্। জাম্মাণ জাতি লাসালকে “সোতাসন্নাল-ডেমোক্রাটিশে পাটাইস্র বা ।সমাজ-সাম্যের দলের ) প্রতিষ্ঠাতা বলিয়া জানে ১৮৬৩ খুষ্টান্দে জান্মাণিতে সর্বপ্রথম মভুর-পরিষত স্থাপিত হয়

মজুর সমাজকে আথিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে স্প্রতিষ্ঠিত কর! ছিল লাসালের জীবনের সাধনা লাসাল্‌ প্রাচীন গ্রীকৃ-দশন এবং রোমাণ আইনকানুন বিষয়ক গবেষণা-মূলক গ্রন্থ রচনা করিয়া স্থধী-মহলে যশ পাইয়াছিলেন সমসামঘ্িক খাঁজন। মজ্জুরি এবং অন্তান্ত আখিক তথ্যের বিশ্লেষণেও তাহার দক্ষতা সেইরূপ যশই পাইয়।ছে।

( )

মার্কসের সঙ্গে লাসালের কোনেো। কোনে! ক্ষেত্রে একত্রে কাজকর্ম্মও চলিয়াছিল। লাপাল্‌ মাঁকৃসকেই গুরুরূপে গ্রহণ করিপ্াছিলেন কিন্তু গুরু-শিষ/রূপ বন্ধুত্বের সম্বন্ধ মাকৃসে এবং একঙ্ষেল্সেই বেশী মাত্রায় পাকিয়া উঠিয়াছিল। মাকৃ্‌ এবং এঙ্গেল্স্‌ “হরিহুর-আত্মা” ছিলেন,

ইতিহাসের আথিক ব্যাখ্যা ৩৩৫

এইরূপ বলিলেই ইহাদের পরস্পর সম্বন্ধ ঠিক বুঝা ষাইবে। এইখানে বলিয়া রাখা উাচত যে, এক্সেল্স্‌ ছিলেন খৃষ্টান, অর্থ ইহুদী নন।

১৮৪৪ থুষ্টাব্ধে মাক্‌ সের সঙ্গে এঙ্গেল্‌সের প্রথম দেখা হয়। মাক্‌ সের বস তখন ছাব্বিশ বৎসর ? এক্ষেল্স্‌ তীহার ছুই বৎসরের ছোট। ঈ'হার! ছইজনে মিলিয়া ১৮৪৮ খুষ্টাব্দে "দুনিয়ার নিধ্যাতিতদের নিকট” কমিউনিষ্দের ( ধন-সাম্য-পন্থীদের ) শ্তাহার প্রকাশিত করেন। মাকৃস্‌- প্রবন্তিত একাধিক সংবাদপত্রে এঞ্জেল্স্‌ সর্বদাই লেখকরগে হাজির থাঁকিতেন . মাকৃসের মৃত্যু পধ্যন্ত পূরাপুরি চল্লিশ বৎসর ধরিয়া ছুই জনের বন্ধুত্ব বজায় ছিল।

এই চল্লিশ বংসরের ভিতর কাল্‌*মাকৃসের বহুসংখ্যক পুস্তিকা, বক্ত.তা, গ্রন্থ, সমালোচন।, তকবিতর্ক ইত্যাদি রচন। বাহর হইয়াছে কিন্তু এইগুলির কোন্‌ কোন্টায় কন্তখানি লেখা এঙ্গেলসের এবং কতখ।নি মার্সের নিছে তাহা বিষ্লেষণ কৰিছে হইলে গভীর গবেষণ।সগ প্রবেশ করিতে হইবে এই তথা হইত্টেই জার্মাণির উনবিংশ শতাব্দীতে এবং ছনিফ্চার ধন-বিজ্ঞানে, সমাদতন্বে আর “দরিদ্র নারায়ণে পুজা এক্সেলসের কৃতিত্ব কথঞ্চিং বুঝিতে পারা যায়।

কাল্মাকৃসের “ডাস্‌ কাপিটাল” (বা প্রাজি ) গ্রন্তে প্রচলিত ধন-বিজ্ঞান-বিদ্যার তীত্র সযালোচনা আন্ছ। ১৮৬৭ শুষ্টাব্দে এই গ্রন্থের প্রথম খণ্ড বাহির হয়) দ্বিতীয় খণ্ডের পাঞুলিপি ছাপাখানা যাইবার পূর্ধেই চার্ক সের মৃত্যু হইফাছিল ! সম্পাদনের ভার ছিল এঙ্গেল্সের ভাতে এক্গেলসের তদ্ববধানে দ্বিতীয় খণ্ড বাহির হয় ১৮৮৫ সালে এবং তৃতীয় খণ্ড ১৮৯৪ সালে এই ছুই থণ্ডে এঙ্গেলসের স্বাধীন হাত প্রান সর্বত্রই লক্ষ্য করিতে হইবে | অর্থাৎ যে গ্রন্থ মাকৃি- নীতির গীতাম্বরূপ তাহার অনেক স্থলেই এঙ্গেল্সের কলম কাজ করিয়াছে

ঙে ঙে

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

এলেল্‌জের গ্রন্থ (১)

যখনই আজকাল যেখানে মার্কসকে যুগাবতার বল! হইতেছে, সেখানে তখনই এঙ্সেল্সও পুজা পাইতেছেন। এই হ্যত্রে বর্তমান গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় এঙ্গেল্স্‌ যাহা বলিয়াছেন, তাহার কিয়দংশ উদ্ধত করা যাইতে পারে। গ্রন্থ প্রকাশিত হুইর়াছিল ১৮৮৪ খৃষ্টাৰে “ভ্যর উরষ্প্রং ড্যর ফামিলিয়ে ডেস্‌ প্রিফাট আইগেণ্ট মৃস্‌ উড. ডেস্‌ ষ্টাটেস্” ( পাঁরিবার, নিজন্ব এবং রাষ্ট্রের উৎপি ) নামে তাহার এক বৎসর পুব্বে মাক্‌ সের মৃত্যু হইয়াছে

এঙ্গেল্স্‌ লিখিয়াছেন ;--”এই গ্রন্থ রচনা করিয়া আমি প্রকারান্তরে একটা উইল-মাফিক্‌ কাঁজ করিতেছি। মর্গ্যানের অন্ুসন্ধানগুলাকে ধনবিজ্ঞানের তরফ. হইতে ব্যাখ্যা করিদ্লা প্রচার করিতে চাহিয়াছিলেন একজন যেসে লোক নন! তিনি হ্বর্গগত মহাপুরুষ কাল্” মাকৃপ্‌। ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা মার্কসের আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক আলোচনা- প্রণালী। এই ব্যাখ্যা-প্রণালী খুটাইয়! তুলিতে আমিও অনেক কাল ধরিয়া তাহাকে যৎকিঞ্চিৎ সাহাব্য করিয়াছি। প্রায় চল্লিশ বৎসর পৃর্বে এই প্রণালী দার্শনিক সাহিত্যে প্রথম প্রবর্তিত হয়

“এক্ষণে মর্ম্যান আমেরিকার আদ্দিমবাসীদিগের জীবন আলোচন৷ করিতে গিয়। সেই প্রণালীই পুনরায় আবিষ্কার করিয়াছেন “বার্ধার” সভ্যতার সঙ্গে “উৎকর্ষে”র যুগের তুলনায় মর্গ্যান প্রার মার্কসের সিদ্ধান্তেই আসিয়া পৌছিয়াছেন। এই কারণেই মার্কস্‌ মর্গ্যানের তথ্যগুলা গ্রহণ করিয়া নিজ দর্শনকে পুষ্ট করিয়া ভুলিতে চাহিয়াছিলেন।

“আমার বজ্ুবর নিজের ইচ্ছা কার্যে পরিণত করিয়া যাইতে পারেন

ইতিহাসের আধিক ব্যাখ্যা ৩৩৭

নাই। কিন্তু তাহার ইচ্ছান্থুরূপ কাজ করিয়া আমি একট! যথাসাধ্য ঠাই পুরণের ব্যবস্থা করিলাম তবে মর্গ্যানের কথা লইয়া মার্কস্‌ যেখানে যেখানে টিপ্লনী ব৷ টাক! করিয়। গিয়াছেন সেগুল! পুরাপুরি ব্যবহার করিতে ছাড়ি নাই।”

কাঁজেই বর্তমান গ্রন্থও মার্কস এবং এঙ্গেল্স ছুই জনেরই সন্তান এইরূপ ধরিয়া না লইলে গ্রন্তের জন্মকথা পরিক্ষার হইবে না।

( )

এঙ্সেল্স ঠাহার রচনাকে “পরিবার, নিজন্ব বা ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং রাষ্ট্রের উৎপত্তি” নামে প্রচানিত কশিয়াছেন। কিন্ত বাস্তবিক পক্ষে এই গ্রন্থে প্রথম বিরত হউর়।ছে পরিবার বা বিবাহ পদ্ধতি যৌন সম্বন্ধের ইতিহাস এই গ্রন্থের দ্বিতীয় আলোচ্য বিষয় গেন্স্‌ বা গোষ্ঠী- প্রথার সমাজ-শাসন | তাহার জন্য আমেরিকার “ইগ্ডিসান্” (এবং [বশেষকপে ইঙোকোআ ) জাতির প্রতিষ্ঠান গুলা আপোচনায় ঠাই পাইরাছে।

এঙ্গেল্সেপ ভতীয় কথা গোন্তীর ভাঙন বাবাগের জন্ম; ইও্ডিয়ান সমাজের লোকেরা গে।ঠী-কেন্দ্র ছাড়াইগঘ্রা উঠিতে পারে নাই তাহাদের সমাজে 'ষ্ট্রের চিহ্ন পাওয়। বায় না। রাগের জন্ম-কথা ঢুড়িয়া বাহির করিবার জন্য প্রাচীন ইয়োবোপের শ্রীকৃ, পোমাণ, কেল্টিক এবং জার্ম্মাণ জাতির ন্মাতশান্্ সংহিতত। গুলা আলোচঢন। কর। হইয়াছে

আলোচ্য বিষয় গুগার তালিকা হহতেই বুঝ! বাইন্তেছে বে, নিজন্ বা ব্যক্তিগত সম্পন্তি এই গ্রন্থের মুখ্য কণা নয় ॥। মুখ্য কথা পরিবার গোষ্ঠী এবং রাষ্ট এই তিন জীবনকেন্দ্রের ইতিহাস এই কারণে বাংল। ভাষার এঙ্গেল্সের রচনা! “পরিবার, গোষ্ঠী রাষ্ট্রের জন্ম-কথা” নামে প্রচারিত হইল।

৩৩৮ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

নিজন্ব বা ব্যক্তিগত সম্পন্ভির উৎপদ্ভি গ্রন্থে মুখ্য কথা নয় বটে, কিন্ত এই বিষয়ই এঙ্লেল্সের “প্রাণের কথা” সেই প্রাণের কথাটা গ্রন্থের প্রত্যেক অধ্যায়ের যেখানে সেখানে পাঠকের কান স্পর্শ করে। বস্ততঃ ধনদৌলতের আকার-প্রকার মানবজাতির শৈশব-কালে কখন, কেন কিরূপ ভাবে বদ্লাইরাছে তাহার আলোচনা করাই এঙ্ষেল্সের উদ্দেশ্য ছিল। আঘধিক ইতিহাসের কোন্‌ স্তরে ব্যক্তিগত ধন-দৌলতের স্থষ্টি হইয়াছে, সে কথা এই গ্রন্থে অতি উজ্জল অক্ষরে বিবৃত হইয়াছে।

খাটি ধনবিজ্ঞান-বিস্ত। বলিলে যে সাহিত্য নজরে আসে, এই গ্রন্থকে সেই সাহিত্যের অন্তর্গত কর! চলিবে না। এই রচন! নৃতত্ববিদ্ভার মহলেই ঠাই পাইবার যোগ্য নৃতত্বের তথ্যগুলার উপরে আর্থিক ব্যাখ্যা চালাইলে যে-তত্ব প্রতিষ্ঠিত হইবার কথা এঙ্গেল্স্‌ এখানে সেই তত্বের প্রচারক | সমাজদর্শন, সভ্যতার ইতিহাস ইত্যাদি বস্ত প্রাচীন মানবের জীবনকথায় ব! পুরাঁকাহিনীতে যতখানি পাওয়! যাইতে পারে, সেই দর্শন সেই ইতিহাসই বর্তমান কেতাবের দান

“নৃতন্ব বিষ্কা

হৃতত্ব দুই শাখায় বিভক্ত £--শারীরিক সামাজিক। এক শাখায় পণ্ডিতের ভিন্ন ভিন্ন জাতির শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙজ মাপিয়া-জুকিয়৷ তুলন। করিয়া মানুষের উৎপত্তি, শ্রেণী-বিভাগ ইত্যাদির আলোচনা করিয়া থাকেন। এই বিদ্ভাকে কম্পারেটিভ আযানাটামর (বা তুলনা-মুলক অস্থি- বিস্তার ) এবং জীববিজ্ঞানের জের বিবেচনা! করা বাইতে পারে।

অপর বিভাগের পণ্ডিতেরা জগতের ভিন্ন ভিন্ন দেশের নরনারীর আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি, ধর্ম-কন্ম, লেন-দেন, স্বৃতিশান্্, নীতি-শান্তর, ু-কু ইত্যাদি জীবনের সকল খুঁটিনাটি আলোচনা করেন। সহজে

ইতিহাসের আধিক ব্যাখ্য। ৩৩৯

এই বিভাগের নৃতত্ববিদ্‌গণকে লোকাচারতত্ববিৎ বলা চলে। ধর্ম, শিল্প, ধন-দৌলত, রাষ্ট্র, সমাজ ইত্যাদি বিষয়ে তুলনা-যুলক বিজ্ঞানগুল! সবই এই সামাজিক নৃতত্ববিদ্ভার সামিল।

এক কথার বলা যাইতে পারে যেঃ “ইতিহাস” নামে যা-কিছু সাহিত্য রচিত হইয়া থাকে সবই নৃতত্ব কিন্তু পারিভাষিক হিসাবে এইখানে আর-একটা প্রভেদ চলিঘ্ব/ আসিতেছে অতি সাবেক কাল, মান্ধ।(তার আমল, প্রাগৈতিহাসিক যুগ ইত্যাদি সময়কার মানব-কথা৷ অথাৎ মানব- সভ্যতার গোড়াট] লইয়া যাহারা অনুসন্ধান চালাইতেছেন একমাত্র তাহাদিগকেই নৃতত্বের গবেষক বলা হয়।

অধিকন্তু বর্তমান জগতের বিভিন্ন জনপর্দে থে সকল “আদিম” অনুন্নত, অসভ্য জাতি “সভ্যতার শৈশবাবস্থার়”" জীবিত রহিয়াছে তাহাদের আচার ব্যবহার এবং শ্বধম্মের সকল প্রকার অঙ্ুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ষে সকল অনুসন্ধানকার;র মনোযোগ আকর্ণণ করে ভাহারাও নৃতত্ববিদরূপে পরিচিত এই হিসাবে পথ)টক, ভৌগোলিক আবিফাঁরক ইতাদি শ্রেণীর লোক নৃতদ্বের সংসারে নাম কারয়া থাকেন

মরগানের সিদ্ধান্ত

মরগ্যান লোকটা কে? চল্সিশ বৎসর পরিয়া এই লেখক আমেরিকার ইপ্ডিয়ান সমাজে তথ। অন্তসন্ধ।নে ব্যাপৃতত ছিলেন হরোকে'মাদের কুটুম্ব-সম্বন্ধ বা আত্মীয়তার প্রথা সম্বন্ধে ইনি ১৮৭১ স।লে যে-সকল তথ্য প্রকাশ করেন তাহার ফলে গোটা লোক চারতত্ব, বিবাহ-পদ্ধতি এবং সামাজিক নৃতত্বে এক নবযুগ সুরু হয়। হহার সর্ববপ্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম

৩৪০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

"এন্শ্রেপ্ট সোসাইটি” ( বা প্রাচীন সমাজ )। “ম্তাছেবজ” (বা সহজ) অবস্থা হইতে মানবজাতি কোন্‌ পথে “বার্বার” সভ্যতা অতিক্রম করিয়া *উৎকধে”র স্তরে আসিয়। ঠেকিয়াছে সেই তথ্যগুলা নির্দেশ কর! এই গ্রন্থের উদ্দেপ্ত ! গ্রন্থ ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত হইয়াছিল।

মর্ম্যানের প্রথম সিদ্ধান্ত এই যে, মানব-সমাজে এককালে “দলগভ” বিবাহ অর্থাৎ অবাধ যোঁনিসংল্রব প্রচলিত ছিল এই অবাধ সংশ্ববে বিধি-নিষেধ কাঁয়েম হইতে থাকে | ক্রমশঃ গেন্স্‌ বা গোষ্ঠী-প্রথ1 দেখা দেয়। গোষ্ঠী-নীতি আবিষ্কার করা মর্গ্যানের ছিতীয় কীর্ডি। গোষ্ঠী সমরক্তজ জীবন-কেন্দ্র। এক গোষ্ঠীর ভিতর পরম্পর-বিবাহু নিষিদ্ধ। গোষ্ঠী পরিচালিত হইত প্রথম প্রথম নারীর তরফ হইতে "জননী-বিধি”র নিয়মে সেই “জননী-বিধি”র গোষ্ঠী আজও চলিতেছে ইরোকোআ সমাজে এই গেল মগ্র্যানের তৃতীয় সিদ্ধাজ।

“নারীর আমল" গোষ্ঠীধন্দ হইতে পরে উঠিয়া যাপ্স। তাহার পরিবর্তে দেখা দেয় “পুরুষ-বিধি', এবং পুরুষাঁধিপত্য গ্রীক্‌, রোমাণ এবং জান্ধাণ সমাজগুলার প্রাচীনতম স্বৃতিশাস্সে পুরুষশ্প্রাধান্তশল গোস্ী- প্রতিষ্ঠানই দেখিতে পাওয়া ধায় মর্গ্যানের এই আবিষ্কার প্রাচীন ইয়োরোপের ইতিহাস-রচনার যুগান্তর আনিয়াছে।

€& )

এই চার সিদ্ধান্ত প্রচার করিয়াই যর্গ্যান আলোচনা খতম করেন নাই। “উত্কর্ষে”্র যুগ সম্বন্ধে অথাৎ যে যুগের ভরা জোয়ারে বর্তমান জগতের “সভ্য নরনারী বসবাস করিতেছে-_সেই সুরের জীবন-যাত্রাকে ইনি চরম ভাষায় তিরস্কার করিয়াছেন লাভের লোভই এই যুগের ধনোৎপাদ্দনের গোড়ার কথা,-_ব্যক্তিগত শ্বার্থসিদ্ধি ছাড়া ধনজীবীরা আর কিছু চিন্তা

ইতিহাসের আধিক ব্যাখ্যা ৩৪১

শা পি সত সিপলাসি িলাসটি শি পিশপািরি পাস্ি লী পিস তি পি পিছ তি পিসি কস্ট শা লিক শান সর সিট বলি উই

করে না, ইহাই র্যানের : মতে উৎকর্ষশীল মানবের মুল মন্ত্র। ফরাসী সোশ্তালিষ্ ফুরিয়ে যে-ভাবে বর্তমান জগতের আর্থিক ব্যবস্থার নিন্দা করিয়াছেন, মর্থ্যানও সেইরূপই করিয়াছেন

প্উৎকর্ষে”র যুগকে গালাগালি দে€য়াটাই মর্গ্যানের শেষ কথা নয়। একটা ভবিষ্য সম'জের স্বপ্নও তাহার মাথায় ছিল, কোথা একটা অনুন্নত আদম অসভ্য জাতির আচার-বাবহার সম্বন্ধে বৃভাস্ত-প্রকাশ এবং প্রাচীন ইয়ারে পের যাক্ধাতার আমলের গ্রীক-রোমাণ-জাম্ম।ণদের জীবন কথার আলোচনা, আর কে।গয় বহমান মানক্রে জন্ত সম!জ-সংস্কার, পরিবার-সংস্কার, আর রাষ্ট্র-সংস্কারের মোসাবিদা ! সমাজ-সংস্কারক হিসাবে মরগ্যান প্রায় মাক্সের বিপ্লব-পণেন্ঠ আসিয়! উপস্থিত হইয়াছিলেন। কাবণ মগ্যানের মতে 'ভবিষ্থ মানব সে মান্গাতাণ আমলেরই যৌথসম্পত্তি- নিমন্ত্রিত গোষ্ীধশ্মের এক নবরূপ প্রকটিত করিবার দিকে অগ্রসর হইতেছে

উনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় পাণ্ডিত্য

এঙ্গেল্সের গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৮৮৪ সালে। উহার ইংরেজী সংস্করণ বাহির হর ১৯০২ সালে। অন্তান্ঠি ভাষা উহার তগ্জমা পূর্বেই হইয়াছিল কিন্তু কি মর্গ্যানের আবিঙ্গারগুলা, কি এক্ষেল্স্-মার্কসের আগিক ব্যাখ্যা উনাবংশ শতাব্দীর ভিতর ভারতীয় সম।জে প্রবেশ লাভ করে নাই

সেকালের কোনে। ভারতীয় লেখক এই সকল তথ্য বা স্ব লইয়া মাথা ঘামাইয়।ছেন কিনা সন্দেহ অধিকন্ক প্রাচ'ন বা মধ্যযুগের ভারত বিবয়ক আর্থক, সামাডিক বা রাষ্ত্রীয় তথ্য গুলা এই মর্গ্যান মার্ক স্‌- প্রবন্তিত সমাজ-বিজ্ঞানের আওতায় আনিয়া! পরথ. করিতেও কোনো ভারতীয় গবেধক চেষ্টা করিয়াছেন বলিয়া শুনি নাই। রামমোহন,

৩৪২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

বঙ্কিম, ভূদেব, চন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ ইত্যাদির প্রবন্ধাবলীতে সে যুগের দৌড় জরীপ কর চলিতে পারে।

ভারতে যা-কিছু ইতিহাস, প্রত্বতত্ব, নৃতত্ব ইত্যাদি সম্বন্ধে অনুসন্ধান প্রায় সবই মাত্র ১৯০৫ সালের সম সম কালে এবং পরে দেখা দিয়াছে রাজেন্্লাল, রমেশচন্দ্র ইত্যাদির এঁতিহাসিক গ্রন্থরাজি উনবিংশ শতাব্দীর ভারতে একট এঁতিহাসিক আন্দোলন স্থষ্টি করিতে পারে নাই। অধিকস্ত বিগত বিশ বৎসর ধরিয়া যুবক-ভারত ধন- বিজ্ঞান, রাষ্ট্র-বিজ্ঞান এবং সমাজ-বিজ্ঞান ইত্যাদি নানা বিদ্যার জন/ও সর্বোচ্চ শ্রেণীর ইয়োরামেরিকান গ্রন্থের সঙ্গে পরিচিত হইতেছে ! কিন্তু 'ধন-বিজ্ঞানের তরফ হইতে ভারতীয় মান্ধাতার বুগকে যাচাই করিবার দিকে অথবা মানব-সভ্যতার ক্রম-বিকাশ বুঝিবার দিকে কোনে! চেষ্টা আজ পর্য্যন্ত বাঙগলাদেশের কুত্রাপি নাই-ই, ভারতের কোথাও দেখি না।

বিষাক্ত “প্রাচ্যামি”

(১)

একদম নাই বলিলে ভূল হুইবে | কেননা প্রাচীন ভারতের রাস্্রীয প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে ভারতীয় লেখকদের কয়েকখানা ইংরেজি কেতাব বাহির হইয়াছে এই সকল গ্রন্থের ঘষে যে অংশ প্রাচীন তথ্যগুলার খাটি বিবরণ মাত্র সেই সকল অংশ প্রত্বতত্ব-হিসাবে অনেক ক্ষেত্ে প্রশংসনীয় সন্দেহ নাই। কিন্তু যেখানেই বিদেশী--বিশেষতঃ ইয়োরামেরিকান তথ্যের সঙ্গে তুলনামন সমালোচনার ইঙ্গিত মাত্র আছে সেইখানেই গোড়ায় গলদ ধরা পড়ে

লেখকগণ প্রাীন ভারতকে বিলকুল হৃষ্টিছাড়। ভূখগ্রূপে প্রচারিত

ইতিহাসের আধিক ব্যাখ্যা ৩৪৩

করিবার জন্য বিজ্ঞান-সাধনায় ব্রতী হইয়াছেন অথবা বিদেশী গ্রতিষ্ঠান- গুলার সন-তারিখ, “জাতিভেদ”, স্তর-বিষ্তাস বা যুগধর্ম্ম সম্বন্ধে ভ্রক্ষেপ ন। করিরাই ই'হার! ভারতীয় “দেশী সমাজে”র শ্বধর্ম, বিশেষত্ব, ম্বাতন্তর্য ইত্যাদি আবিষ্কার করিয়া বসিয়াছেন! ফলতঃ যে-সকল অনুষ্ঠান- প্রাতষ্ঠান ছুনিয়ার সকল জাঁতিরই “সামান্ত ধর্ম” মাত্র সেইগুলাকেও অতি মাত্রায় ভারতাত্মার প্রাচা-জীবনের প্রতিসৃত্তিকপে প্রচারিত করা হইতেছে চিত্রকলা, স্থাপত্য, সাহিতা, সঙ্গীত ইত্যাদি “রসে”র সমালোচনায়ও এই বিষাক্ত প্প্র/চ্যামি”্র জয়জয়-কার চলিতেছে।

এইব্প ভ্রমাত্মক আলোচনায় পথ ধেখাইয়ভেন ইয়োরামেরিকার প্রাচ্যতত্ববিৎ “ওরিয়েপ্্যালিষ্টপ পণ্ডিতগণ তাহাদের জুড়িদারন্বরূপ পাশ্চাত্য, বিজেতা-জাভীয়, সাম্রাজ্য-শ।সক, “কলোনিয়ালিঞ্” (উপনিবেশ- তম্ী) রাষ্টিকেরাওড সমাজ-বিজ্ঞানের বর্তমান ছুরবস্থার জন্ত দাদী এই হই শ্রেণার লোক প্রায় এক শ” বৎসর ধরিয়া পূর্ববকে পশ্চিম হইতে ফারাক করিয়া রাখিবার জগ্ত উঠিয়। পড়িয়া লাগিয়াছেন। ছুনিয়ার শ্বেতাঙ্গ-প্রাধান্ঠের যুগে শ্বেতাঙ্গদিগকে “একঘরে” করিয়া রাখা শ্বেতাঙ্গ বিজ্ঞান-সেবীদের স্বার্থ এবং স্বধন্ম | পশ্চিমের চিন্তে আর পূর্বের চিত্তে কোনে প্রকার মিল ব1 সাদৃশ্য আছে কথা শ্ব'কার করিলে পশ্চিমাদের ইজ্জৎ রক্ষা হয় না। পশ্চিমাদের এই ঘোরতর প্রাচ্য-বিদ্বেষই তথাকথিত প্প্রাচামি”র জনক

তুলনামূলক সমাজ-বিগ্ভার আলোচনাঘ কুল কেন প্রবেশ করিয়াছে এবং এই বিজ্ঞানের সংস্কার কিরূপে সাধিত হইতে পারে, তাহার আলোচনা যত্প্রণীত “ফিউচারিজম্‌ অব. ইয়ং এশিয়া” বা প্যুবক

৩৪৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

এশিয়ার ভবিষ্য-নিষ্ঠা” ( লাইপসিগ্‌ ১৯২২) গ্রন্থে প্রকাশিত হইয়াছে। এই গেল গো] সভ্যতা-বিজ্ঞান বা সমাজ-তত্ব সম্বন্ধে কথ]।

সঙ্কীর্ণ ক্ষেত্রে ভারতীয় রাষ্র-প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্তগুলার কিম্মৎ বাহির করিবার জন্ত “পোলিটিক্যাল ইন্ট্িটিউশ্যান্স্‌ আও থিয়োরিজ অব. দি হিন্ুজ” অর্থাৎ “হিন্দুজাতির শাসন-পদ্ধতি রাষ্ট্রনীতি” ( লাইপৎসিগৃ ১৯২২) নামক গ্রন্থ প্রচারিত হইফছে। প্রাচীন কালের ভারতসস্তান জালয় মন্দয়, গ্রীক, রোমাণ এবং জান্মীণদেরই সমকক্ষ ছিল--এই কথ! সেই গ্রন্থের প্রাণ। বর্তমান ভারত অথবা ভবিষ্য ভারত সম্বন্ধে এই কেতাবে কোনে কথ বলি নাই

ভবিষ্য-নিষ্ঠার দর্শন

ভবিষ্য ভারত কোন্‌ পথে চলিবে? এই সম্বন্গে ধাহার যেরূপ খুসী তিনি সেইরূপ আ'দর্শ প্রচার করিতে অধিকারী গোটা ছুনিয়া৷ কোন্‌ পথে চলিবে? এহ সম্বন্ধে যেমন প্রত্যেক লেখক, সমাজ-সংস্কারক, বৈজ্ঞানিক বা প্রপাগাণিষ্ট, নিজ নিজ মনত জাহির করিতেছে, ভারত সম্বন্ধেও ভবিষ্যবাদীর! সেইরূপ করিবে ইহা] শ্বাভাবিক। ম্বাধীন চিন্তায় বাধা দিবে কে? যাহার মাথায় কিছু কিছু মগ্জ আছে, সেই এক-একট! দল পুরু করিতে অধিকারী

কিন্তু তাহা বলিয়! কোনো-একটা পথকে “পূরবী” এবং অপর কোনো পথকে “পশ্চিমা” দাগে চিহ্নিত করিতে বসিলে তর্ক-বিতর্কের আখব্ড়ীয় আসিয়৷ পাঞ্জা কফিতে হইবে ! এই আখড়ায় আদর্শ, ভাবুকতা, মানব- জাতির আশা, সমাজ-সংস্কারকের স্বপ্ন বা পীরবরের বাণী খাটে না। এখানে খাটে কেবল তথ্য, বাস্তব তথ্য, যাহ ঘটিয়াছে এবং যাহা ঘটিতেছে তাহার নিরেট বিবরণ। অর্থাৎ দেশী-বিদেশী, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য, ভারতীয়

ইতিহাসের আধিক ব্যাখ্যা ৩৪৫

০০ লী % সিলসিলা

এবং অ-ভারতীর সকল প্রকার জীবন-কেমতের গনন্তারিখ- সহিত « এবং দফায় দফায় তুলনা-যূলক ইতিহ।স বা নৃতত্ব।

ধরা যাউক যেন চর্থা চালাইগ়্াই ভবিষ্য ভারত ন্বর্ণে উঠিবে। অথবা যেন পল্তী-কেন্দ্রেই ভারতের ভবিষ)-বিকাশ ঘটিতে বাধ্য অথব! যেন কুটার-শিল্প ছাড়া অন্য।ন্ত সকল প্রকার শিল্প-ব্যবস্থা ভারত হইতে বাহির করিয়া দেওয়া উীচত, অথবা! যেন ভবিধ্য-ভারতে রাষ্ট্র-শাসন চলিবে পল্লী-পঞ্চাতেরই বিধানে | ভবিষ্যবাদীর! এই চার দফায় ভারতীয় জীবন গড়িয়া তুলুন--আপংস্ত কি? কিন্তু এই চার দফার কোনোঢাকে ভারত'য় “আধ্যাত্মিকতার” বিশিষ্ট অবিষ্ক!র বলা ব।ইতে পাে কিসের জোরে? এই “চার মহা-সত্য” জগতের অন্তান্তি দেশে কোনো কোনো যুগে নরনারীর জীবন-কেন্ত্র নিয়ন্ত্রিত করে নাই কি?

এই “সত্য-চতুষ্ঘ্'ই যাঁদ আধ্যাত্মিকতা এবং মানব-সভ্যতার চরম নিদর্শন হয় তাহা হইলে দুনিয়ার আদম, অসভ্য “বাব্ব।4”, অনুন্নত জাতিগুল। চরম মাত্রায় আধ্যাত্মিক এবং সপ্াতাশীল নয় কি? তাহ। হইলে প্রাচীন ইয়োরোপের গ্রীক, রোমাণ, জান্মাণরা এবং মধ্য যুগের পর হইতে ফ্যাক্টরি যুগের কলচ।লিত শিল্প-ব্যবস্থার অমল পর্যাস্ত ইয়োরোপীয় খুষ্টানরা আধ্যাত্মিকতা এবং সভ্যতার দাবী হইতে বঞ্চিত হইবে কেন?

তাহ! হইলে পাশ্চাত্য-সংস'রের সোশ্ঠ!লিই. পন্ঠীর৷ এবং বিশেষতঃ কমিউনিষ্ট বা যৌথ-সম্পত্ভি-পন্থী ধনসাম্যধন্্ীরা কি দোষ করিল? তাহা হইলে লেনিন্‌-ইট্স্কিপ্রবপ্তিত বোল্শেহ্বিক্‌ কশিয়া কম-সে কম দশ হিসাবে আধ্যাত্মিকত। এবং সভ্যতার মাপকঠিতে চরমে গিয়া ঠেকে নাই কি? তাহা হইলে লেনিন্-উ্টস্কির “গুরুর গুরু" জান্মাণ-উন্ন্দীর বাচ্চা কাল মার্কস্‌ তথাকণিত ভারতীয় আধাত্মিকতার এবং

৩৪৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ভারত-ধম্ৰের প্রতিমুর্তি নয় কি? পূর্বাই বা কোথায়? পশ্চিমই বা কোথায়?

তুলনামূলক সমাজ-বিজ্ঞান

এঙ্গেল্সের গ্রন্থ ভারত'য় সমাজে প্রচারিত হইলে ভারতবাসী নিজ নিজ স্মতি-নীতি-ধর্ম-অর্থকাম-মোক্ষশান্ত্র গুলার দিকে এক নূতন চোখে দৃষ্টিপাত করিতে স্তুর করিবে ভারতের ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান সম্বন্ধে যুবক-ভারত বহু বুজরুকি এবং কুসংস্কার বঙ্জন করিতে শিখিবে। তুলনামূলক সমাজ-বিজ্ঞান-বিদ্তা কিছু কিছু করিয়া ভারত-সন্তানের পেটে পড়তে থাকিবে।

মগ্গ্যান, মার্ক স্‌, বা এঙ্রেল্স্‌ কাহারও মত বা বাণীই বেদবাক্য নয় সকলের কথাই তথোর জোরে কষিয়া দেখা আবশ্তক। কিন্তু ইহাদের রচনায় উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় অর্ধের সমাজ-চিন্তা পুষ্ট হইয়াছে। এখনে! এইগুলার দাম বিজ্ঞানের বাজারে ঢের। এই কারণে ভারত- সম্তানের পক্ষে এইগুলা জানিয়া রাখা দরকাব। ১৯২৪ সালের পূর্বে এঙ্গেল্স্রে গ্রন্থ বাংলায় অনুদিত হয নাই, ইহা লজ্জার কথা। এই ধরণের আরও অনেক গ্রন্থ এতদিনে বাংল ভাষায় পাশা উচিত ছিল।

বিগত অদ্ধ শতাব্দীতে পপ্রাচীন সমাজ” সম্বন্ধে বু গবেষণ। হইয়াছে। সম্প্রতি কয়েক বৎসর ধরিয়া নিউইয়র্কে এই সকল গবেষণার ফল নান! গ্রন্থে গুচারিত হইতেছে ( ১৯২০-২২)। রবার্ট লোহ্বি, আর্থার গোন্ডেনহবাইজার্‌ এবং শ্লিনি গভার্ড. এই তিন জন লেখকের রচনাবলী পাঠ করিলে মন্্যানের পরবস্তী কালের সকল সিদ্ধাস্ত ইংরেজিতে পাওয়া যায়। সেই সকলের চুম্বক-প্রকাশ এই তৃমিকায় চলিতে পারে লা।

ইতিহাসের আধিৰ ব্যাখ্যা ৩৪৭

ইতিহাসের “আধিক ব্যাখ্যা” (১)

মানব-জাতির শৈশব সম্বন্ধে তুলনা-মূলক আলোচন! এন্গেলসের গ্রন্থের প্রথম কথা। তুলনাসিদ্ধ ইতিহাস হিসাবে এই রচনা! এক উৎকৃষ্ নিদশন আর এক তরফ. হইতেও এই কেতাব সুধী-মহলের শ্রদ্ধা পাইয়া থাকে সে ইতিহাসের আথিক ব্যাখ্যা বা সভ্যতার আথিক ব্যাখ্যার তরফ

এই “আধিক ব্যাখ্য1”, “ভৌতিক ব্যাখা” ইত্যাদি ধরণের “্বাখ্যাস্টা কি চীজ? এঙ্েল্সের গ্রন্ত স্বয়ংই এই ব্যাখ্যা-প্রণালীর প্রয়োগ-ক্ষেত্র কেতাবট? াটিলেই “ফলেন পরিচীয়তে ।” সেই বাখ্যা-প্রণালী প্রচারের উদ্দেশ্তেই এই কেতাব বাংলায় দেখা দিল

শারত্বাসীর পক্ষে “আথিক ব্যাখ্যা” হজম করা কিছু কঠিন। কেননা লেখার, বক্তৃতার, পাঠশালায়, বাকৃবিতগুঘ, কবিত।য়, ইতিহাসে, খবরের কাগজে, মার রাষ্ টনৈতিক আন্দোলনের সভাগ সভার আমাদের পণ্ডিত এবং জননায়কগণ আমাদিগকে ভুহ পুরুষ ধনিগ্লা একটা যাত্র বুখনি শিখাইয়া আসিয়াছেন সেই বুখ.নির যোটা কথা এই-_“হিন্দ-সুসলমান আমলে নর-নারীরা ইহলোকের ধার ধারিত না। তাহারা পরলোক ল্য়াই মস্গুল থাকিত ! অ.মাদের পৃর্বা-প্ররুষণণ ছিলেন পুরামত্রা আত্মিক। ভৌত্তিক জগৎটা তাহাদের জ্ঞান কশ্দের বহিভূতি ছিল। যদ্দিও বা কিছু অন্র্গহ ছিল তাহা ধর্তবোর মধ নয়।”

( )

প্রাচীন ভারতের লোক গুল থে মান্তষয ছিল, ইহাদের মে রক্ত-মাংসের

শরীর ছিল, অতএব রক্র-মাংসের স্বর্ন হিন্দু-মুসলমানদিগকে নিয়ন্ত্রিত

৩৭৮. নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

করিত--এই কথ বিশ্বাস করা' আমাদের উনবিংশ শতাব্দীর পণ্ডভগণের পক্ষে সম্ভবপর হয় নাই তাহারা ছিলেন বোধ হয় প্রায় সকলেই ইতিহাসের “আত্মিক ব্যাখ্যার” ধৃরন্ধর, অধ্যাত্ববিদ্তার পাঁড় বিশেষ। সভ্যতার এবং মানব-জীবনের একবগ্গা আত্মিক ব্যাখ্য। পাশ্চাত্য মুুকেও বহুকাল চলিয়াছে। পাশ্চাতা পরগুতদের বুখনিটাই বোধ হয় ভারতীয় সমাজ-সংস্কারক এবং ইতিহাস-লেখক-মহলে অতিমাত্রায় প্রচলিত হইয়াছিল

এই একবগৃ্ণ। আত্মিক বাখ্যার উপর চাবুক লাগানো হইয়াছে ১৯১৪ সালে প্রকাশিত মত্প্রণীত “পজিটিভ. ব্যাক্‌গ্রাউণ্ড অব. হিন্দু সোসিঅলজি” ( অর্থাৎ হিন্দু সমাজ-তত্বের বাস্তবভিত্তি ) নামক গ্রন্থে (পাণিনি-কারধ্যালঘ, এলাহাবাদ )। এই গ্রস্থের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম ভাগ বাহির হইয়াছে ১৯২১ সালে। ভারতীয় মানুষের ক্ষিধে পায়, ভারতীয় মানুষ হাওয়ায় উড়িয়া! বেডায় না, পায়ে হাটিয়া চলে, ভারত য় মানত জমি-কজমা লইয়া ফ্লার'মারি করে, ভারতীর মান্তষ লড়াই করিয়। যুদ্ধ-ক্ষেত্রে প্রাণ দিতে চায়, ভারতীয় মানুষ “একাতপত্রং জগতঃ প্রতৃত্বং" কামনা করে, ভারতীয় মানুষ সঙ্ঘবদ্ধ হইসা! সমাজ রাষ্ট শাসন করে, ভারতীয় মানুষ জী-পুত্রের জন্য সম্পন্ভি সঞ্চয় করিয়৷ ভবিষ্য স্ুথ- দ্বচ্ছন্দতার বিধান করিতেও অভ্যন্ত,--$ই সকল অতি মামুলি বস্ত এই গ্রন্থের তথ্য:

"উ্রান্সেত্েণ্টাল্” ব! অতীন্দ্িয় তরফ টাকে ফুলাইয়! তুলিলে হিন্দুজীবন, হিন্বত্ব, প্রাচ্য ধণ্ম, প্রাচ্যের সভ্যতা বুঝিতে পারা যাইবে না। ইতিহাস- রচন।র প্রচলিত “অতীন্দট্রিয়ামি” বা “আধ্যাত্মিকামি”র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ক্রু করিবার জন্যই ভঃরতীয়দের বাস্তবনিষ্ঠা প্রদশিত করা হইয়াছে। ফরাসী দার্শনিক কৎ-প্রবর্তিত “পজিটিভ” শবের ছার! গ্রন্থের পরিচয়

ইতিহাসের আধিক ব্যাখ্যা ৩৪৯

দেওয়া গিয়াছে প্রত্যক্ষ, বাস্তবিক, “লোকায়ত”, ইহলৌকিক, ভৌতিক, “মেটিরিয়ালিষ্টিক্‌* সাংসারিক, "ইক্নমিক্‌” “আধিক"--এসব শব একই অর্থের এপাশ ওপাশ মাত্র বিবৃত করে। সম্প্রতি জার্ম্মাণ ভাষায় প্রকাশিত “ডী লেবেন্স্-আন্শাউং ডেন্‌ ইও্ডার্দ” ( ভারতীয় জীবন-সমালোচন। ) গ্রন্থেও (লাইপংসিগৃ, ১৯:৩) বিজ্ঞানমহলে প্রচলিত কুসংস্কার গুলা খণ্ডন করিতে চেষ্টা করিয়।ছি।

“পিটিশ ব্যাক্গ্রাউণ্ত” গ্রন্থে ভারতীয় ইতিহাসের বাস্তব বা ভৌতিক (এবং সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক "ভিন্তি” মাজ্রের সুচনা কর! হইয়াছে। কিন্তু হতিহাসের আর্থিক বা ভৌতিক “ব্যাখ্যা” বণিলে য|হা বুঝ|য় তাহা ভিত্তি মানের সমন নয়। এহ ভিন্ভিটাকে জাবনের, সভাতার এবং ক্রএবিকাশের "কারণ” রূপে প্রদর্শন না কর! পথ্যস্ত আথিক “ব্যাখ্যা জারি করা হষপ্রা্চে বলা হবে ন]।

অথাৎ ক্ৃষিশিল্প-বাণিজ্যের কতক গুলা তথ্য ইতিহাস-গ্রষ্ঠের অধ্যায়ে অব্যারনে ছড়াইঘ়া দিলেই সভ্যতার আর্থিক “ব্যাখ্যা” করা হইল না। কাখা-কারণ-সম্বন্ব-নিণয় এই ব্যাথ্য।র আসল কথা। খাওয়াপরার ব্যবস্থা দ্বারা, অন্নসংস্থানের উপায়ের দ্বারা, মোজা কথায় ভাত-কাপড়ের প্রভাবে দুনিয়ার ধর্ম, স্কুমার শিল্প, পারিবারিক পীতিনীতি সৌদন্ত, শিষ্টাচার এবং রাষ্শাসন্রে বিধি-নিদেধ সবই নিয়ঙ্জরিত হইয়াছে, হইঈতেছে এবং হইবে, -এই কথ! যে-সকল এঁতিহাদিক ধলিয়া থাকেন একমাত্র তাহারাই সত্যতার ভৌতিক “ব্যাখ্যা” প্রচার করিতেছেন, এইরূপ বুঝিতে হইবে।

ইতালীয় ইত্তহাস-দার্শনিক হ্বিক অষ্টাদশ শতান্দীর শেষদিকে এই

৩৫০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ভৌতিক ব্যাখ্যার ইঙ্গিত করিয়] গিয়াছিলেন। কিন্তু মাক্‌*স্এঙ্গেল্স- প্রচারিত “ডাস্‌ কোমুনিষ্টিশে মানিফেষ্ট” অ্থ।ৎ ধনসাম্যধন্মীদ্ের অনুশাসন বা ইস্তাহার (১৮৪৮) নামক পুন্তিকায় এই ব্যাখ্যা-প্রণালীর মৃলস্থত্রগুলা জগতে সর্বপ্রথম প্রচারিত হইয়াছে বিলাতে থরল্ড, রজান্‌” নামক প্রসিদ্ধ ধন-বিজ্ঞানবিদের “ইকৃনমিক্‌ ইণ্টাপ্রেটেশন্‌ অব. হিষ্টরি” এই সঙ্গে উল্লেখযোগ্য | এই ব্যাখ্যা-প্রণালীর পূর্বাপর ইতিহাস এবং সমালোচন! নিউইঘ্র্কের অধ্যাপক সেলিগম্যানেগ গ্রন্থে দ্রষ্টব্য ফরাসী পণ্ডিত জিদ্‌ এবং রিস্ত, প্রণীত “ইস্তোআরদে দোকৃত্রিন জেকোনোমিক্‌” গ্রন্থের শেষ অদ্ধে এই সকল চিনস্তা-প্রণ।লীর পরিচয় পাওরা যায়। গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ স্থপরিচিত।

প্রাচীন ইতিহাসের আলোচনায় মানব-সভ্যতার উপর ভাত-কাপড়ের প্রভাব বিশ্লেষণ করিয়া মাকৃস্-এঙ্গেল্স্‌ বর্তমান জগৎকে “আত্মিক ব্যাখ্যা”, আগ্যাত্মিকামি এবং অতীন্ট্রিামির কবল হইতে মুক্তি প্রদান করিয়াছেন বর্তমান জগতের মাথাও অনেকটা! পরিষ্কার হই আসিয়াছে |

অন্নচিস্ত! দর্শন-সাহিত্য ( )

“সাধে কি বাবা বলি, গু তোর চোটে বাবা বলায় !*-_এই গু তোর চরম গুতো! হুইতেছেন ভাতক!পড়ের টান, “অনচিস্তা চমতকারা” একথা আজকালকার দিনে কোনে ভারতবাসীকে এমন কি ফসণ কাপড়- জামা-পরা পরীক্ষায়-পাশকর! মন্তিকজীবী “ভদ্রলোক"দ্দিগকে ও--চোখে আঙ্গুল দিয় বুঝাইবার দরকার নাই। ইয়োরামেরিকায় কোনো নরনারীই এই বিষয়ে অন্ধ নয়। সভ্যতার “আর্থিক ব্যাধ্যা” বিংশ

ইতিহাসের আথিক ব্যাখ্যা ৩৫১

শতাব্দীর এক প্রথম ম্বতঃসিদ্ধ। বলা বাহুল্য, হুনিয়ার “হাভাত্যে” “হাঘর্যে” দরিদ্র নিব্যাতিত প্যারিয়াদের পক্ষে ইহাই একমান্র বেদাস্ত।

যাহার! চাষ-আবাদে জীবন ধারণ করে, তাহাদের প্স্বধর্” অর্থাৎ রীতিনীতি লেনদেন শাসন-শোষণ-_-একগ্রকর। আবার যাহারা জানোয়।র চরাইয়! সভ্যতা গডিয়া! তুলে তাহার্দের ধরণ-ধারণ“আত্মিক* জীবন আর একপ্রকার !

সেইব্ূপ যাহারা “রোজ অ।নে রোজ খায়” তাহার! বিশ্বশক্তিকে এক চোখে দেখে আবার যাহ।এ। যে জিনিষ তৈয়ারী করে সেই জিনিষ খায় না, সেইগুলার বদলে বাজার হইতে আর-একপ্রকার জিনিষ “কিনিয়া” আনিয়া খায়, অ|বার কিছু কিছু জমাইয়।ও রাখে 7 তাহাদের নিত্যকন্মপদ্ধতি, ত।হাদের দর্শন, তাহ।দের জীবন-সমালোচনা, তাহাদের বিশ্বদৃষ্টি ( “হ্বপ্টান্শাউউ?, ) অন্যবিধ।

চাষ-আবাদের ফলে বা আওতায় যে বিবাহ-পদ্ধতি, যে শিল্পকলা, যে ভগবদ্াক্ত দেখা দেয় অনু) কোনো প্রক।র ধনস্যষির ফলে বা আওতায় ঠিক সেইব্সপভাবে এইসব ন। গজাইতেও পারে। শিল্পকর্ম হাতের জোরে চলিলে একধরণের পারিবারিক সামাক্জিক নীতিশান্ত্ গড়িয়া উঠে। কিন্তু সেহ শিল্পহ যন্ত্রের দ্বার। চালিত হইলে দর্শন, সাহিত্য, ন্ুকুমার শিল্প, ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের সন্বন্ধ, রাজার সঙ্গে প্রজার সম্বন্ধ, সবই নবরূপে দেখ| দের পল্লাম্বরাজ নামক সমাজ-শাসন বা র।&শাসন যে ধরণের কৃষিশিল্পব।ণিজ্যেএ গ্রতিযৃদ্টি, নগরকেন্দ্র ঠিক সেইরূপ আধিক ব্যবস্থার সন্তান নয় ; ইত্যাদ ইত্যাদি

(২ ) এই সকল বিভিন্নত৷ পার্থক্যের ভিতর জগতে উদ্ভর-দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম দিক-ভেদ নাই শাদ। চার্মড়া, লাল চামড়া, কাল চামডা, হল্দে

৩৫২ নয় বাঙগলার গোড়া পত্তন

চামড়ার প্রভেদও নাই ধনোৎপাদ্দনের প্রণালী ছুনিয়ার ষত জায়গায় এবং যত যুগে একপ্রকার, ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট ইত্যার্দ মানব-সভ্যতার অভিব্যক্িগুল। তত জারগায় এবং তত যুগে একজাতীয় সমশ্রেণীভূক্ত প্রতিষ্ঠান।

বাম্প চালিত শিল্প-বাণিজ্যের যুগারম্ত পধ্যস্ত কি এশিস্তা কি ইয়োরামেরিক সকল ভূখণ্ডের মানবজাতিই এক “আদর্শে” চলিয়াছে। ইয়ে(রামেরিকা বর্তমান জগৎ ত্ষ্টি করিম্াছে হাতের জোরে এবং মাথার জোরে এই হৃষ্টিকাষ্যে এশিয় এক কাচ্চাও সাহায্য করিতে পরে নাহ। এই যুগে এশির।বাস'র মগজ পচিয়া গিরাছিল। কিন্তু বর্তমান জগৎ স্থ্ট হইবামাত্র ইয়োরামেরিকা প্রায় ধোল আনাই বদ্লাইয়া গিয়াছে এই জন্যই 'আজ গতাম্গগতিকপন্থী এশিয়ার নরনারী ইয়োর।মেরিকান্দিগকে কোনো মতেই চিনিয়্া উঠিতে পারিতেছে না।

তবে ইয়োরামেরিকার আবিষ্কৃত বর্তমান জগংটা এশিয়ার়ও আসিয়। হাজির হইয়াছে চীন, জাপান, ভারত, পারশ্ত, মিসর, তূরক্ক ইত্যা্দ দেশের যেখানে যতখানি এই বর্তমান জগতের প্রভাব দেখা যায় সেইখানে ততথানি এশিয়ান নরনারী ইঘ়োরামেরিকান্দের “মাসতৃত ভাইদের" মতনই চলা-ফেরা করিয়া থাকে ট্রাম এঞ্জিন হইতে বোলশেহ্বিজম, পধ্যস্ত বর্তমান জগতের সকল “সমস্তাই” আজ খাটি প্রাচ্য স্বদেশা মাল।

রক্তমাংসের স্বধর্্ম

মার্ক স্-এগ্গেল্স্-প্রচারিত ম্বতঃসিদ্বগুল। অন্তান্ত বিজ্ঞানের শ্বতঃসন্ধ- সমূহেরই অনুরূপ প্রত্যেক শ্বতঃসিদ্ধেরই সীমানা আছে আজকালকার বিজ্ঞান-জগতে আইনষ্টাইনের “রেলেটিহিবটি” বা আপেক্ষিকতা দিগৰি জয়

ইতিহাসের আথিক ব্যাখ্যা ৩৫৩

লাভ করিয়াছে আইনষ্টাইনের তত্বটা যদিও বুঝি না তাহার বোল্টা ব্যবহার করিতে ভয় পাইতেছি না এই পারিভাষিক হিসাবে বলিতে চাই যে, আর্থিক ব্যাখ্যা-প্রণালীর শ্বতঃসিদ্ধগুলাও “রেলেটিভ” অর্থাৎ আপেক্ষিক।

মার্ক স্এক্ষেল্সের কট্টর সেবকের! অবশ্থ এইসকল স্ত্রের আপেক্ষিকতা৷ স্বীকার করিতে প্রস্তুত নন। তাহারা একবগৃগা লোক, অইৈতবাদী “মোনিষ্টিক্‌” কিন্তু বর্তমান লেখক মানবজীবনকে কোনো এক খুঁটায় খাড়াভাবে দেখিতে বুঝিতে বা ব্যাখ্যা! করিতে অপারগ এক সঙ্গে বহু শক্তি জীবনকে পুষ্ট করিতেছে এই বনুত্বের ভিতর শারীরিক কাঠাম, শরীরের শক্তিযোগ, রক্তমাংসের স্বধর্ধ, সংগ্রামধর্ধের স্বাস্থাভিত্তি, আথিক মেরুদণ্ড, “দেহাত্মকবুদ্ধির” বস্তানষ্ঠ। ইত্যাদি সম্পর্কিত শক্তিগুলার ইজ্জৎ খুব বড়। জগতের পণ্ডিতেরা ভৌতিক ধন্মেরি ইজ্জৎ সহজে দিতে রাজি নন। সেই সকল অধ্যাত্মনিই একবগৃগ। পণ্ডিতের একদেশ- দর্শিতা ধ্বংস করিবার জন্ত সভ্যতার আর্থিক ব্যাখ্যার, এমন কি সময় সময় একবগৃগা আর্থিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। “যেমন কুকুর, তেমন মুগ্ডর |”

প্রয়োজনটা ভারতে যতই বুঝ! যাইতে থাকিবে ততই সুকুমার শিল্প, সাহিতা, দর্শন, রাষ্ট, পরিবার, সামাজিক ব্যবস্থা অন্ান্ত জীবন- কেন্দ্রগুল৷ বুঝিবার পক্ষে যুবক ভারত দিন দিন উন্নতি লাভ করিবে। অধিকন্ত ভবিষ্য ভারতকে কোন্‌ পথে চালাইলে কত চালে কি্তীমাৎ হবে তাহার অনেক সঙ্কেতহই এই আঘধিক-ব্যাখ্যাসমনিত ইতিহাস- বিজ্ঞানের আলোচনায় পরিষফার হইয়া আসবে এই ব্যাখ্যাই যুবক- ভারতে যুগাস্তরের দ্বিতীয় স্তর গঠন করিবে ভারতীয় “যৌবন পৃজা”র আন্দোলনে অতীত-নিষ্টা এবং ভবিষ্য-নিষ্ঠা ছুঠই নবরূপে দেখা দিবে।

২৩

৩৫৪ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

এই সকল বিধয় “বস্তমান জগত” গ্রন্থের নানাথণ্ডে ঠারে ঠোরে উত্থাপন করি ন্ুবিস্থৃত গ্রন্থ লিখিবার স্থযোগ সময় জুটে নাই। কিন্তু এ্লেল্সের গ্রপ্ঠে বাঙ্গ।লী পাঠক নবীন ইতিহস-বিজ্ঞানের রস এক খাটি ফোয়ারার শোভেই-বস্ততঃ ম্বগ্ং ভগারথের তত্বাবধানেই--চাখিয়! দেখিবার শ্ুযোগ পাইবেন ঘাহারা হংরেজি জানেন না বা কম জানেন তাহাদের কজে 'মাসিলেত এই অগ্বাদ-গ্রন্থ সাথক হহবে।

লুগানে।, স্থইটসাল যা

৮ই এপ্রিল, ১৯২৪

-২.1 ০০্পালল লাহ্কাছেশ্লি প্রন্*

পারসের “হুহ্বেল রেহ্ব্যি” নামক পত্রিকায় পেল লাফার্ণ প্রণীত “ধনদৌলতের ক্রমবিকাশ" বিধয়ক প্রবন্ধগুলা ধারাবাহিকরূপে প্রকাশিত হইয়াছিল সে প্রায় ভ্রিশ-পয়ত্রিশ বসগ আগেকার কথা। ফ্রান্সের এবং ইংলগ্ডের ভিন্ন ভিন্ন মহলে এই রচনাবলী তারিফ করিয়া সেই সময়ে অনেকে নানা কথা লিখিয়াছিলেন

বিলাতী বিজ্ঞান-লেখক হাকৃস্লে সুইস-ফরাসী প্রকৃতি-পুজক সমাঁজ- লেখক সাহিত্যবীর রুসো কর্তৃক প্রচারিত মানবজাতির সাম্য এঁক্যের বিরুদ্ধে কলম চালাইতেন। হাকৃস্লের মত খণ্ডন করিয়া লাফার্গ প্রাচীন সমাজে সু প্রচলিত ধনসামা এবং যৌথ সম্পত্তির ব্যবস্থা বিবৃত করিয়াছেন। জাতিগত ধনদৌলতের তথ্যগ্তলা লগুনের “ডেলি নিউজ” এবং *টেলিগ্রাফ” ইত্যাদি দৈনিক পত্রের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

তখনকার দিনে স্থইট্সাল[াণ্ডের জুরিখ শহরে জান্্মাণির সোশ্তালিষ্ট- পন্থী রাষ্ীয় দলের তত্বাবধানে “সোৎসিয়াল-ডেমোক্রাটিশে বিবি ওটে ক”

* “ধনদৌলতের রূপান্তর" নামক অনুবাদ গ্রস্থের ভূমিক|।

ইতিহাসের আধিক ব্যাখ্য। ৩৫৫

নামে সযজসাম্যধন্ের গ্রন্থাবলী বাহির হইত লাফার্গের গ্রন্থ তাহার অন্তর্গত হইয়া জাম্মনাণ আকারে দেখা দেয় তাহার পর ইংরেজি, ইতা'লয়ান, পোণ্ি তত্যাদি নানা ইয়োরোপীয় ভাষায় লাফার্গের তথ্য এবং মত প্রচারত হইয়াছে

১৮৯০ সালের “ফাশ্তয অপেরাইঅ" নামক ইতালির মজুরপন্তী রাষ্্রীর দলের দৈনিক কাজের এক সংখ্যা সম্পাদক বলিতেছেন, “ইতিহাসের আথিক ব্যাখ্যা অনুসারে লাফার্গ ধনদৌলতের জন্ম এবং ধারাবাহিক রূপান্তর-গ্রহণ বুঝইতে চেষ্টা কারয়াছেন।”

সেই বত্সরহ জাম্মাণ সোসশ্তালিষ্ট দলের "০সাৎসিয়াল-ডেমোক্র।ট” নামক দৈনিকে নিক্ললিধিত মন্তব্য ”কাশিত হয়--পলাফা্ের পড়া-শুনা আছে বিশ্তর, প্রাগৈতিহ।সিক যুগ বা মান্ধাতার আমল-সম্বন্ধে তাহার জ্ঞান বিশেষরূপেই উল্লেখযোগ্য নুতত্ববিগ্ভার নানাবিধ তথ্যের মালোচনায়ও তিন সমর [যাছেন। কাজেই ধনদৌলতের ভতিহাস রচনার পক্ষে লাফার্গ যথেষ্ট যোগাতা লাভ করিয়াছেন। এই কেতাব ঘিনিই পড়িবেন তিনিই অনেক কিছু শিণিবেন এবং অনেক নুতন দিকে চিন্তা করিব।র ইঙ্গিত সাহায্য পাইবেন ।”

“পুজি” এবং “পরিবার, গোষ্ঠী রাষ্ট্র" (১)

জার্মান কালমাকৃদ্‌ প্রণীত ্কাপিটাল” ' পুজি) গ্রন্থ লাফার্গের চিন্তায় বেদ-বাইবেল-কোরাণ-ম্বরূপ কাজেই এই গ্রন্থের এক বন্ধেৎ লাফার্শের বইঞ্চের মলাটেই স্থান পাইয়াছে।

মার্কস. হইতে উদ্ধৃত বাণী এই»__“মানব সম।জের আর্থিক কাঠামের উপরই নরনারীর স্মৃতি নাঁতিশান্ অর্থাৎ আইন-কানুন এবং রাষ্ট্রীয় বিধি-ব্যবস্থ। প্রন্তিিত হয় | এই আর্থিক জীবনের ম।ফিকই মানুষের!

৩৫৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

সামাজিক জীব-হিসাবে সু-কুর চিস্তা করিয়! থাকে এক কথায় বলিতে পারি যে, যান্ষের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং আত্মিক জীবন তাহার ধনোৎ" পাদন-প্রণালীর প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় ।”

ভাবার্থ :--ভাত-কাপড়ের বিধি-ব্যবস্থা অথব। জীবনের আর্থিক ধাক্কা বাহারা আলোচনা করেন না, তাহারা কোনো জাতির দর্শন, ধর্ম, সুকুমার শিল্প, সাহিত্য, রীতিনীতি, জাতিভেদ, দলাদলি, “জমিদারি-মহাজনি,” আচার-বিচার, আইন-আদালত, পুলিশ-পণ্টন ইত্যাদি কিছুই পুরাপুরি বুঝিতে অসমর্থ। ইহার নাম “ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা” অথবা

"সভ্যতার বাস্তব ভিন্তি।”

লাফার্থের চিন্তায় আর একজন পণ্ডিত ধুগাবতার বিশেষ। তাহার নাম মর্গ্যান। এই ইয়াঙ্কি নৃতত্ববিদের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “এন্শ্বেন্ট সোসাইটা” ( গ্রাচীন সমাজ )। উনবিংশ শতাব্দীর শেষপাদে নৃতত্বসেবীরা, বিশেষতঃ ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যাকারেরা এই কেতাবের ইজ্জধ 'আর একখান৷ বেদ-বাইবেল.কোরাণের কোঠায় আনিয়া ঠেকাইতেন। মর্্যান-পৃজ। আজও কম-বেশী প্রায় সর্বত্রই কিছু না কিছু চলিতেছে।

লাফার্গ-উদ্ধ মরগানের এক হ্থত্র বর্তমান কেতাবের মলাটেই খোদা দেখিতে পাই। মরগ্যান বলিতেছেন £- “ধনদৌলত বিষয়ক চিস্তাধারার ক্রমবিকাশ বেশ খু টিনাটির সহিত সমালোচনা করিতে অগ্রসর হুইলে আমরা মানবজাতির আত্মিক (মানসিক ) ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা আশ্চর্য্য জনক ঘরে আলোক ফেলিতে পারি।”

ধন-বিজ্ঞান-বিগ্কার আলোচনায় মার্কাস যে সিদ্ধান্তে আসিয়। পৌছিয়াছেন, সেই সিদ্ধান্তেই মর্গযানও নৃতত্ব-আলোচনার পথে ম্বাধীনভাবে আসিয়। ঠেকিয়াছেন মাকৃসমর্গ্যানের সমাজ-দর্শন বর্তমান জগণ্তের অন্যতম বিশেষত্ব

ইতিহাসের আধথিক ব্যাখ্য। ৩৫৭

( )

জাম্দীণ এঙ্গেল্স প্রণীত “পরিবার, গোষ্ঠী রা” লাফার্গের ধনদদৌলত বিষয়ক রচনার অগ্রদ্বত। এক্সেল্সের গ্রন্থে যে সকল তথা আংশিকরূপে আলোচিত হইয়াছিল, সেইগুলার উপর সকল নজর ফেঙ্গাই লাফার্গের উদ্দেশ্ত | মাকৃস-মর্্যানের সমাজ-দর্শন এই ছুই কেতাবের সাহায্যে অনেকটা পরিপূর্ণতা ল।ভ করিয়াছে

সেই নবীন সগাজ-চিস্তার সঙ্গে সজীব ঘনিষ্ঠতা লাভ করিবার জন্য বই দ্ুইথাণা ধাট। দরকার এই বুঝিয়। কেতাব দইটা একসঙ্গে বাংলায় প্রচারিত করা গেল।

এই দরণের রচন1 ভারতীয় সাহিতো নাই। মারাগঠা, পাঞ্জাবী, মাদ্রাজী পণ্ডিতের উংরেজিতে ধাহা কিছু লিখিয়াছেন তাহার ভিতর ধাচের কোনো চিজ ঢু'ড়িয়া পাওয়। যায় না। উদ্ভতে শুনা যায় ইয়োরামেরিকান সমাজদর্শনের অনেক কেতাবই নাকি অনুদিত আছে তাহার ভিতর ম।কৃ স-মর্গযান-তত্ব ঠাই পাইয়াছে কিনা বলিতে পারি না। হুন্দীতেও যতটুকু পড়িয়াছি স্থনিয়াছিঃ তাহার ভিতর এসবের নাম গন্ধ প্ই নাই

বাঙ্গালীরা ইংরেজিতে বা! বাংলায় এই দিকে কখনো কিছু লিখিয়াছেন বলিয়া মনে হয় না। মৌলিক গ্রন্ধ নাই-ই-- বোধ হয় তঞ্জমাও বাংল! ভাষার সম্পদ বৃদ্ধি করে নাই

সমাজ-চিস্তায় বাঙালীর দৌড় বাঙ্গালীর সমাজ-চিন্তা দু'এক কথার জরীপ করা যাউক সেকালে

ভূদেব “পারিবারিক প্রবন্ধ,” “সামাজিক প্রবন্ধ,” "আচার প্রবন্ধ" ইত্যাদি গ্রন্থের রচনা করেন বঙ্কিম-সাছিত্যের “প্রবন্ধ'-বিভাগে সমাজ-দর্শন

৩৫৮ নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

বাদ পড়ে নাই; রামেন্দ্রসুন্দরের মাথায় নান! প্রকার চিন্তাই কিলবিল করিত। তাহার কোনো কোনো “কথা"য় সমাজ-বিষয়ক আলোচনা বাহির হইয়ছে। তাহা ছাড়! রবীন্দ্-সাহত্যের এখানে-ওখানে সমাজ লইয়। নাড়া-চাড়া করিবার যুক্তি খেলিয়াছে

খাটি সাহিত্যপদ-বাঁচা রচনা অর্থাৎ কাবা-নাটক-উপন্টাস ইত্যাদির থতিগ্নান করা হইতেছে না। দার্শনিক, বৈচ্জানিক বা প্রতিহাসিক লেখার কথাই বল! হুইতেছে যে চার জনের বাংলা লেখার উল্লেখ করা হইল এই ধরণের আরও বাঙালী লেখক ইংরেজিতে এবং বাংলায় সামাজিক জীবন লইপ্রা কিছু কিছু লিখিয়াছেন, সন্দেহ নাই সকলের নাম উল্লেখ কথা এখানে উদ্দেশ্তা নয়।

ভূদেব, বঙ্কিম, রামেন্দ্র১ন্দর, রবীন্দ্রনাথ উত্যাদি সকলের যাথায়ই ছনিয়ার স্মন্ত। বহিয় গিয়াছে রামমোহনের কাল হইতে আজ পর্য্স্ত কোনো বাঁডালীই গোটা জগতের উঠানামা, প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের তুলনা-সাধন, বিশ্বসভ্যতার ভূত-ভবিষ্য-বর্তমান, এক কথায় মানবজাতির ক্রমবিকাশ ইত'দির ভাবন৷ ঘাড়ে না লইয়৷ তিষ্টিতে পারেন নাই। কিন্তু আশ্চর্যের কথা;___মান্ুষের পেটে যে ক্ষিধে পায়, এবং ক্ষিধে পাইলে যে হয় এই অতি সোজ! কথাটা তাঁহাদের কাহারও মগজে প্রবেশ করে নাই ! মধুচ্ছন্দার আগুনের গাথারও যে ভাতকপড়ের ধাক্কা আছে, এই ধারণ! কোনে বাঙালী দার্শনিকের প্রচারিত জীবন-সমালোচনায় বা বিশ্ব- সমালোচনায় আজ পধাস্ত দেখিতে পাইতেছি না। এন্সেল্স্‌-লাফার্গের তথ্য ব্যাখ্যাগুল৷ যুবক ভারতের গবেষক, লেখক ম্বদশসেবকগণের চোথে আঙ্গুল দিয়া তাহাদের একটা মস্ত অসম্পূর্ণতার মুলুক দেখাইয়া দিবে।

ইতিহাসের আথিক ব্যাখ্যা ৩৫৯

কি

স্ব সপ উর

ইতিহাস বনাম প্রত্ৃতন্ব (১)

এঙ্গেল্স্-লাফার্গের তথ্যগ্তলা শ্রতিহাসিক নৃতত্ববিষয়ক এই ভু ঘরের বগ্তই গোটা ভারতে বিরল প্রথমতঃ, ইতিহাস ধলিলে আমর! বুঝি একমাত্র ভারতবর্ষের ইতিহাসের কথা। দ্বিতীয়তঃ, ভারতবর্ষের ইত্িহাসেও আমর। সবে “হাতে খড়ি” স্থরু করিয়াছি মাত্র এই হাতে- খড়িব্র যুগে চাঁলতেছে পপ্রত্বতত্বেশর আরাধনা ইতিহাস আর প্রত্মতত্ব এক জিনিষ নম

রাজেন্রলাল মিত্র হইতে ভর প্রসাদ শান্সী, যছুনাথ সরকার, রাখালদা'স বন্দ্যোপাধছু পধ্যস্ত ইতিহাস নামে যাহা কিছু চলিতেছে তাহ] ইতিহ।সের কাঠাম-শ্বরূপ প্রত্বতত্ব : তাহা উতিহাস নয় খোট্রা বাদশা চন্দ্রগপ্ত খড়ম পায়ে চলিতে চলিতে পণ্টনকে বৃহ-রচনার হুকুম করিতেন কি মেগাস্ত্েলীসের মারফৎ এশিঘ্রা-মাইনরের বাজ।র হইতে বুট আনাইয় গ্রীক-মার্কা জুতা পরির়! ঘোড়-সন্য়ার *৪হইতেন ; আওরাংজেৰব সকালে উঠিয়। বদন! হাতে পায়খ।নায় যাইতেন কি গাড়, হাতে নিত্যকর্ম্ব-পদ্ধতি পালন করিতে বসিন্নে 3 বাঙালী সেনাপতি সোমনাথের নেতৃত্বে একসঙ্গে কত হাজার ফৌজ যুদ্ধ-শিল্পে ওস্তাদ হইয়া উঠিবার স্রযোগ পাইত ) নেপালী দোহাগুল! বাংল। না প্রাক্কত : যুঘ্ধান চয়াঙের মাথায় টিকি শোভিত কি না; যৌবন-ধন্মের অবতার, অসাধ্য-সাধনের প্রতিমৃত্তি, ভাবুকশ্রেষ্ঠ, জগ্দ্বরেণ্য কর্পশবীর শিবাজ্ি লেকটা নেহাৎ গগমুর্খ ছিল কি না)-এই সকল প্রশ্রে খাটি জবাব জানিবার প্রয়োজন আছে। সন-তারিখ-সমন্থিত ভাবে এই ধরণের ল'খ লাখ খুটিনাটি না জানিলে ইতিহাসের গোড়ায় আসিয়৷ পৌছানো সম্ভন ন£়। কিন্তু এইগুলাকে ইতিহাস বলিলে ভূল করা হইবে।

৩৬০ নয় বাঙলার গোড়া পত্তন

(২ )

মান্নষের জীবনটাকে বুঝিবার প্রয়াস যেখানে নাই সেখানে ইতিহাস নাই। জীবনটাকে বুঝার আর জবন সম্বন্ধে কতকগুল| তথ্য আবিষার করায় আকাশ-পাতাল প্রভেদ। ভারতবাসীর জীবনটাকে ধারাবাহিক- রূপে “বুঝিবার” অথাৎ ব্যাখ্যা কন্বিবার সমালেচিন করিবার প্রয়াস কোনে! লেখকঈ করেন নাই এদিকে যেটুকু প্রয়াস হইয়াছে তাহা ধর্তব্যের মধ্যেই গণ্য নয়

কতকগুলা হাড়মাস, শিরানাড়ী পেশীরক্তের জবরজঙ একত্র করিতে পারিলেই একটা জ্যান্ত ভানোয়ার বা মানুষ খাড়া করিয়া তোল। যায় না। “আনাটমি*তে ( অস্থিবিস্ভায় ) চাই "ফজিঅলজির” ( শারীর- বি্ভার )) দস্তল | তাঁভ। হইলেই মরা-হড়ে ভেক্কি থেলিতে পারে, অথাৎ রক্তমাংসের জীবজজ্ত পায়দা হয়

প্রত্বতত্বকে ইতিহাসে পরিণত্ব করিতে হইলে এই ধরণেরই দস্ভল দরকার। কাঠখোট্র। পাগ্ডিত্য ছাড় প্রত্বতত্ব জন্মিতেই পারে না। কিন্তু একমাত্র এই ধরণের পাগ্ডিত্যের জোরে ইতিহাস স্থষ্টি কর অসম্ভব তাহার জন্ঠ চাই চিত্ত-বজ্ঞানে আধিপত্য, তাহার জন্য চাই বিশ্বশক্তিগুলা লইয়! নাড়াচাড়া করিবার ক্ষমতা, তাহার জন্য চাই হিংসাধন্মী, বিজি গীযু শক্তিধর মানবের সনাতন অধ্যবসায়ের গতিবিধি দেখিয়া তাহার সঙ্গে- সঙ্গে নাচিবার-লাফাইবার উন্মাদনা | অর্থাৎ মেজাজ যাহার তাতিয়। উঠে না, মাথাট: যাহার টগবগ করিয়া ফুটিতে শিখে নাই সে ব্যক্তি রক্ত- মাংসের মাহষের প্রাণম্পন্দমনের সম্মুখে “রাগঘ্ধেষ-বহিষ্কত” এবং নির্বিকার থাকিতে বাধ্য অথাৎ ইতিহাস রচনা শাহার কোষ্ঠীতে লেখে নাই.

ইতিহাসের আথিক ব্যাখ্য। ৩৬১

ভারতীর সাহিতা হইতে,-খুঁটিয়া খুটিয়া! গুত্বতত্বের মালমশলায় “ফিজিঅলজির” দস্তল লাগাইবার দৃষ্টান্ত বাহির করা কঠিন। এলাহাবাদের মেজর বামনরাস বন্থ ১৭৫৭ সালের পরবন্ণ শতবৎসরের ভারত-কথায় কিছু কিছু দস্তল দিতেছেন। লাজপত রায় জেলে বদিয়! গ্রাচীনভারত সম্বন্ধে একখানা কেতাব তৈয়ারি করিয়াছেন। বোধ হয় তাহাতেও প্রতিহাসিক দস্তলের কিছু পরিচয় আছে আর সেকালের চিস্তাবীর মহাদে ওগোবিন্দ রাণাডে মারাঠা-জাতির জীবন-ত্খ্য আলোচন। করিবার সমঘ্র ভারতবাসীর জন্ঠ কিছু কিছু দস্তল বাটিয়া গিয়াছেন। আর সেই দন্ভল প্রযোগের প্রয়াস যৎকিঞ্চিৎ দেখিতে পাই রমেশচন্্র দন্ভের প্র/চীন ভারতীয় সভ্যতার ব্যাখ্যা কাধ্যে। তাহ|দের মতামতগুলা টেকসই কি না অথবা কতখানি শ্বীকার্ষ), সে কথা সম্প্রতি ভুজিতেছি না। এই চার লেখকের কোনো রচনাই বাংল! ভাষার গৌরব নয়। ভবাং ভতহাস রচনার বেটুকু আংশিক আরম্ত ভারতে দেখিতে পাওয়! যায়, তাহার দ্বারা বঙ্গসাহিতোর শুবদ্ধি সাধিত হয় নাই কাজেই এতিহাসিক তথ্যমূলক. একঙ্গেল্স-লাফার্গের রচনাগুলির মতন সাহিত্য তৈরারি করিবার ম্মমতা--ব।ংল। দেশে দেখিতে পাই না।

“নুতন্ত্বে” বিশ্ব-সংবাদ

এঙ্সেল্স্-লাফাগেঁর রচনাবলী- কোনো একদেশের তথ্যে ভরা নয়। মান্ধাতার আমলে ষে সকল “স'ভ্য”-"অসভ্য” জাতি ছন্দময় দাগ রাখিয়া গিঘাছে, আর ইতিহাস-পরিচিত নানা যুগে দ্বনিয়ার নান' যুন্লুকে যে সকল সমাজ উঠাঁবসা করিয়া আসিতেছে, অধিকন্ "ম্যাছ্বেজ, “বারবার” ইত্যাদি নামে যে সকল “অন্ভ্য” জাতি আজও জগতের পথে-বিপথে

৩৬২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

চলা-ফেরা করিয়া! থাকে,--সেই সকল নানা-দেশবাসী, নানারক্তজজ নরনারীর জীবন-কথা এই সকল লেখার আলোচ্য

এই ধরণের কেতাব বাঙালীর পক্ষে লিখিবার যোগ্যতা কোথায় ? এই মাত্র বলিয়াছি,_-গ্রত্যেক বাঙালী মনম্বীকেই ছ্ুনিয়ার ভাবনা ভাবিতে হইয়াছে আসল কখা, এই ভাবনাটা অতি ভাসাবাসা, হাক্কা তরল। বিদেশ সম্বন্ধে বত খানি নিরেট জ্ঞান থাকিলে যানষ সজীবভাবে বিভিন্ন জাতীয় নরনারীর আশহর্ন, স্-কু আলোচনা! করিতে অধিকারী হয়, ততখানি জ্ঞান বাংলার জ্ঞানমণ্ডলে ছড়াইঘ! পড়ে নাহ

ভূদেব বোধ হর ইচ্কুলপাঠ্য কেতাব হিসাবে গ্রীস এবং ইংলগ্ডের ইতিহাস লিখিয়াছিলেন। হাতে শ্বদেশের প্রতি তাহার কর্তব্যজ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়, এই পধ্যন্ত। প্রফুল্পকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত “গ্রীক হিন্দু” সে যুগের এক তুলনামূলক গ্রন্থ! আজকাল গ্রীকভাষা হইতে রজনীকান্ত গুহ মেগাস্ত্েনীস এবং সোক্রাতিসের রচনাবলী বাংলায় আনিম্াছেন। ইংরেজি সাহিত্যের প্রতিহাসিক কথা কিছু কিছু পাওয়া যায় আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের কেতাবে। অধিকস্ক জাপান এবং আমেরিকা সম্বন্ধে ুএক খানা ভ্রমণ-বুত্তাস্তও বাংলায় প্রকাশিত হইয়াছে বোধ হয় বিদেশী তথ্য লইফ্জা আলোচন। চালাইবার দৌড় বাংলায় এই তাঁলক! ছাড়াইয়া ধেশী দুর যায় না। অবশ্ত কিছু অত্যুক্তি করা হহল।

তাহা ছাড়া বাঙালীর ইংরেকজি-সাহিত্যে আছে ভূতত্ববিৎ প্রমথনাথ বন্ধু প্রণীত “সভ্যতার যুগ-পরম্পরা” যঙ্জেশ্বর বন্দোপাধ্যায় “বিলাতী ভূমি-শ্বত্ব' বিষয়ক গ্রন্থের প্রণেতা আর সম্প্রতি বাহির হইয়াছে রাধাকমল মুখোপাধ্যায়ের হাতে “তুলনামূলক ধ্ন-বজ্ঞান” এবং “এ'শয়ার স্বরাজ-প্রতিষ্ঠান” সম্বন্ধীয় গ্রস্থ।

ফ্রান্স বা ইতালি সম্বন্ধে কেনে! কথ। বাঙালী বাংলাভাষা জানিতে

ইতিহাসের আধিক ব্যাখ্যা ৩৬৩

পারে কি? জার্মাণি আর রুশিয়া আও দুরের কথা। কাজেই ছনিয়াব ভিন্ন ভিন্ন স্মৃতিশান্্, নীতিশাস্, জীবনবেদ, ধর্মকম্্ এবং আচার- ব্যবহার সম্বন্ধে বঙ্গালী মাখা গেল'ইবে কিসের ছেরে?

“€ত-কাপড়ের” ক্রমবিকাশ

অ!র এক কথা ধনদৌলতের স্টৎপন্ভি ক্রমবিকাশ, আধিক জীবনের 'নুষ্ঠাপ-প্ুতিষ্ঠান সম্পণন্বর ইতিহাস, সভ্যতার আধিক ব্যাথ্যা ইভ্যাদ বজ্বই মার্ক স্-মর্শ্যান-প্রবর্তিত সমীজ-চিন্ত। প্রাণ সেই প্রাণই এঙেল্স্-লাফা গেঁধি রচনাবলীতে বিশদরূপে আত্ম-গ্রকাশ করিয়াছে এই সকল দিকে বাঙ্গালীর ম!থ! কোনো দিন খেলিয়ছে কি?

টেকটাদ্দের ভাহ কিশোরীষ্ঠান ইংরেজিতে এবং বাংলায় এদেশের কৃষক ইত্যাদি সম্বন্ধে কিছু লেখা রাখিদ্লা গিয়াছেন। বমেশচন্দ্র প্বুটিশ ভারতের আগিক ইতিহাস" বিষয়ক ইংরেজি গ্রস্থে নেক কথা আলোচনা করিয়াছিলেন সেসব তথখ্যেব কিমুদংশ সখাপাম পণেশ দেউস্করের “দেশের কথা” হিসানে বাংলা শানীর নিকট সুপরিচিত হইয়াছে বৎসর ্র“'নেক ধরিয়া দেঁখিতেছি, ইংরেজিতে কোনে। কোনো বাগালা লিখিত্ছেন রেলসন্বন্ধে কোনে কোনো নারাঠ। 'পখিতেছেন মুদ্রাসন্ন্ধে, কোনো কোনো মান্দ্রডী লিখিভেছেন বণাঙ্গ স্শ্বন্ধে | তাহা ছাড়া পলী-ম্বরাজের রোমান্টিক", পুজাজ্জ যোগ দেওয়া আজকাল ওরেতের সর্বত্র একটা বাতিকে দাড়াইয়া হিয়াছে। বাট সন্ভুর বৎসর কাল আড প্রখ। মিল, ফসেট এবং আজকাল মশ্যল ইয়ান্কি পনাবজ্ঞান- বিদ্গণের কেতাব মুপস্থ পরিবার জোর ভার তসম্তান এহ পণ্ন্ত সয়া ঠেকিয়াছে।

৩৬৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

সভ্যতার সঙ্গে মানবের আর্থিক অবস্থার যোগাযোগ আলোচনা করিবার সাধ্য ভারতে এখনে! গজায় নট এত বড় বিশ্বজোড়। চিন্তায় মাথা খেলানো কঠিন বটেই এমন কি ভারতের প্রাচীন এবং মধ্য- যুগে যে সকল সমাজ-ব্যবস্থ, দর্শন-বেদান্ত, শিল্পকন্ম, রীতিনীতি, “ইচি- টিকটিকি,» গজিয়াছে চরিয়াছে, সেইগুলার সঙ্গে খাওয়াপরার কথাটা কতখানি জড়িত তাহ। বুঝিবার দিকে ভারতীয় সাহিত্যের ঝোৌক নাই এঙ্জেল্স -লাফার্গের রচনায় ধনদৌলতের «বিশ্বরূপ” বুঝিবার পক্ষে বাঙালীর স্থযোগ জুটিবে। আধকন্ত, কিরূপে আর্থিক খোলস বদলাইতে বদলাইতে “ভারতাত্মা” যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন মৃত্তি গ্রহণ করিয়াছে সেই বিষয়ে খোঁজ চালাহবার জন্তও অনেকের খেয়।ল জাগবে

বর্তমান জগতের কর্মকাণ্ড চিন্তা-ধারা

(১)

“ইতিহাসের আর্থিক বাখ্য।” বর্তমান জগতের নবীনতম সমাজ চিপ্তার অন্তম বিশেষত্ব স্তর আশী বংসর পুব্বের ইয়োরামেরিকান দার্শনিকের1 এই প্রণালীতে মানব-জীবন বিশ্লেষণ করিতে অভ্যস্ত ছিলেন না, কিন্তু দে'খতে দেখিতে এই দশন যারপর নাই প্রভাবশালী হইয়া উঠিয়াছে।

বিগত দশ বৎসর ধরিয়া বিদেশের শহরে, মফঃম্বলে, হাটে, বাজারে, বড় সড়কে, গলি-ধোচে এই দর্শনের প্রভাব স্পর্শ করিয়া আসিতেছি | কাজেই “বর্তমান জগৎ» গ্রন্থের বিভিন্ন বিভাগে ইহার ছায়া পড়িয়াছে। ইংলণ্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স, জান্মীণি, স্ুইটসার্ল্যাও, ইতালি, জাপান এবং এমন কি চীন বিষয়ক ভ্রমণ-গ্রন্থগুজায় দুনিয়ার এই নবীন আবহাওয়া তাহার শক্তি গ্রকীশ করিযাছে "ছুনিয়ার আবহ।ওয়া” নামক গ্রস্থেও

ইতিহাসের আঘথিক ব্যাখ্যা ৩৬৫

তাহার সবিশেষ প্রভাব দেখিতে পাওয়া যাইবে কি পাঠশালায়ঃ কি কর্মশালায়, কি পণ্ডিতের বৈঠকে, কি মজ্গুরদের মজলিশে কোথাও এই চিন্তার আওত। এড়াইতে পারি নাই

১৯১৮-১৯ সালের বাষ্টবিপ্লবে জাম্মাণি গণতন্ত্রের শ্বরাজে পরিণত হইয়।ছে। সেদিন হইতে আজ পধ্যন্ত পাঁচ ছয় বৎসর ধরিয়া! যে “সোৎসিরাল-ডেমোক্রাটিশ* দল জান্মাণ মুল্ুক শাসন করিতেছে, সেই দলের বেদান্তই এই সম[জ-চিন্তার গোড়ার কথা বিশ বৎসর ধ্বস্তাধবন্তি করিবার পর বিলাতে ষ্জুরপন্থী রাষ্টরবীরের! বৃটিশ সাঅ।জেযের রাজা হইয়া বসিঘাছে (১৯২৪) এই সকল লোকেরাও শয়নে-স্বপনে এই দর্শনেরই সেবা করিতে অভ্যণড |

ফ্রান্সে আজক!ল পৌআকারে রাজত্ব কর্পিতেছ্েন বটে। কিন্তু তাহাকে রাস্তা, ঘাটে, সভায়, ক।গজে প্রতিদিন ঘে সকল লোক নাস্তা- নাবুদ করিয় ছাড়িঙেছে, তাহাদের চিন্তার খোরাক জোগায় এই সুমাজ- দর্শন মুসলিনি ইতালিতে “ফাশি্” ধর্মের দিগৃবিজয় চালাইতেছেন। কিন্তু হান কন্মপ্রণালার প্রধান এবং একমাত্র মুগ্ডরহ হইতেছে এই দর্শনের সেবক উত্তর হতালির সোশ্যালি দল।

তাহ ছাড়া সোহ্বিরেট রুশিয়ার মজুর-সম্াটেরা এক হাতে কাল- মাক স্‌ এবং অপর হাতে বোমা লই ছনিয়ায় সাম্য, ভ্রাতৃত্ব স্বাধীনতার যুগান্তর ঘটাইতে প্রয়াসা। এই চিন্তার আওতা হইতে আত্মরক্ষা কর! ইয়াঙ্ছিস্থান এবং জাপানের শাসনকর্তাদের পক্ষেও এখন আর সম্ভব নয়

৬. ₹€ )

রাষ্ট্রনীতি মুপ্লুকই এই চিস্তাপ্রণালীর একমাত্র ল্যাবরেটরি নয়। ইয়োরামেরিকার সাহিত্য-সমালোচনায়, সুকুমার শিল্পের গবেষণায়,

৩৬৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ডে লা কারও

এহ আবহাওয়া বিরাজ করিতেছে "ট্চাজ্জি-পাড়ার কোনো মিঞাই এহ চিন্তারাশির সঙ্গে গা খেশাঘেশি না কেরা নিজ নিজ টোল চালাইতে পাাতেছেন না

কাণ্ট-হেগেলের প্রশিষ্যেরা, প্লেটো-পাস্কালের প্রশিখের প্রশিষ্তেরা,_ বিলাতা ব্রাডলে-বোসাঙ্কে, ফরাসা বুক্র-ব্র্গীস, জাম্মাম অগ্নকেন, ইতালিয়ান ক্রুচে, ইয়াঙ্ছি রযস্‌ হত।দি দশনবাধণণ “আত্মিক” "শ্ববম্মের ধ্বজা! আডও জোরের সভিত খাড়া পাখিতেছেন | কিন্ত তাহাদের কেল্লার উপর হা*লা চাল।ইতেছে হাজার হাজার বাশ্তবনিষ্ঠ, আথিক ভিদ্ভির ধুরদ্ধরেরা। আর তাহাদে« সকলের মুখেই বোল শুনিতেছি_-“জয় কাল্‌ মাকৃসের জর |”

বর্তমান জগৎ্-সম্বন্ধে যিনিই রির্পোট হইয়া আসুন ভীহাকেই এই বিপুল আন্দোলনের কনম্মকাণ্ড এবং জ্ঞানকাণ্ড উভয়ই লক্ষ্য করিতে হইবে কর্মকাণ্ডের পরিচয় কিছু কিছু দিয়াছি প্রান্র চার হাজার পৃষ্ঠার ফাঁকে ফাকে,_যখন যেবূপ সৃযোগ জুটিয়াছে। এইবার শ'ছসেক পৃষ্ঠা তঞ্জমা করিয়া ছুইখানা বইয়ের মারফৎ জ্ঞানকাণ্ডের কথঞ্চিৎ পরিচয় দিতেছি এই নবীন সমাজ-দর্শনের ন্বপক্ষে-বিপক্ষে বাঙালীরা মাথা খেলাইতে অগ্রসর হউন

তর্জমা-প্রণালী

তজ্জমাগুল! খাটি আক্ষরিক অনুবাদ নয়। পুর্বে “নিগ্রোজানির কম্মবীর” এবং জান্মীণির ফ্রেভরিক লিষ্ট প্রণীত “ন্বদেশী ধন-বিজ্ঞান” গ্রন্থের ধতিহাসিক অধ্যায়শুলার অনুবাদে ষে প্রণালী অবলম্বন করা গিয়াছে, বর্তমান ক্ষেত্রেও তাহাই করা হইল

ইতিহাসের আধিক ব্যাখ্যা ৩৬৭

গ্রন্থকারদের প্রত্যেক তথ্য বজায় বাখিমাছি। একটা তথ্যও নিজের তরফ হইতে জুড়িয়া দিবার চেষ্টা কবি নাই। গ্রস্থকারদের প্রতোক যুক্তিও বথারীতি রক্ষা করিঘাছি ॥। সমালোচনার ওজর করিয়া অথবা বিশদরূপে বুঝাইবার ছলে একটা যু:ক্তও বেশীর ভাগ বসাইতে গুগ্গাসী হঈ নাই বেপানে-সেখানে কাটিয়। ভাটিয়। সংক্ষেপে সা'রবার জন্য নিরেট তথ্য বা যুক্তিগুল! কমাইতে ঝুঁকি নাই অধিকস্ত লেখকদের আসল পারিভাবিক শব্দগুলার ইজ্জদ বাচাই চলা গিয়াছে ফলতঃ মূলে গ্রন্থ হুহটার যতগুল! পাত্তা অন্বাদেও প্রায় ততগুলাই রহিয়। গিয়ছে।

তাহা সত্বেও তজ্জমায় মার যুলে প্রচ্দে লক্ষত হবে বাকো বাক্যে মিল দেখিতে পাওয়া যাইবে না। প্যারাগ্রাফে প্যাবাগ্র।ফেও মিলাইয়। দেখিতে গেলে গোলে পড়িতে হইবে। গ্রন্থকারেরা বাঙালী হহয়া বাঙালী পাঠকেব জন্য বাংলা ভাষাম লিখিতে হইলে ১৯২৭ সালে ভাহার্দিগকে ষে ধরণের বোলচাল লিখন ক।খুদা ব্যবহার করিতে হইত, সেই বোল-চাল এবং লিখন-কায়দাই এই অন্তবাদ-গ্রন্থ ছুইটায় কাঘেম করবার চেষ্টা করা গিয়াছে |

যুবক ভারতের আবহাওয়।

ভারতার সমাজে পপ্ডিতমহলে এই নবীন সমাজ-চিস্তা আজ আর অবজ্ঞাত হইবে না। পারিবারিক সামাজিক বিধি-নিষেধের আথিক ব্যাখ্যা, রাষ্্রীঘ জীবনে ধনদৌলতের প্রভাব, সভ্যতার বাস্তব ভিদ্ভি,-_- সোজা! কথান্স “শরীরমাস্যং খলু ধর্মসাধনম.,”_ ইত্যাদি কথা আজ ভার-- বাসীর মরমে পশিঘ্ধাছে

লড়াইয়ের পর হুইতে ভারতে “শিল্প-বিপ্রবেশর ঢেউ রোজ রোজ নব- শক্তি লাভ করিতেছে। মন্ুরদের ধন্মঘট আর কিষাণদের দাঙ্গা আজকাল

৩৬৮ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

ভারতীয় গৃহস্থের নিত্য সহচর | তথাকথিত মন্তিষজীবী “ভদ্রলোক* এখন আর “পেটে ক্ষিধে, মুখে লাজ” নীতি অনুসরণ করে না। “হরতালের” আবহাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাবুর মজুর-কিষাণদের সঙ্গেই হামদর্দি করিতে অভান্ত হইতেছে অনচিস্তার অগ্নিতাপে সামাজিক শ্রেণীগুলার ভিতর উঠানাম। সাধিত হইতেছে সজোরে সে সব চোখের সম্মুখেই দেখিতে পাইতেছি।

এই আবহাওয়া়,_দর্শনের উপর বাস্তবের প্রভাব যে-কোনো বাক্তির পক্ষেই মন-মাফিক কথা! বিবেচিত হইবে মার্ক জ্-মগ্গ্যানের সমাজ-চিন্তা এক্ষেল্স্-লাফার্গের ব্যাখ্যার সাহায্যে যুবক ভারতেও নবীন ছুনিয়ার উপযোগী নবীন দর্শন গজাইয়৷ তুলিবে।

লুগানো, সুইট্সার্লাওড

এপ্রিল, ১৯২৪।

“বর্তমান জগৎ"-রচনার আবহাওয়। £ আক্সেদ্িক্ষা-ও্রন্বাত্লেন্ল হ্ষঞথা *

১৯১৪ সালের নভেম্বরে নিউইয়র্কে পৌছি, ১৯১৫ সালের মে মাসে ইয়াক্কিস্থানের জের হওয়াহ্‌ দ্বীপ ছাড়ি। এই ছয় মাসের বৃত্তান্ত প্রথন্ন এগ্রারো৷ অধ্যায়ে লেখা আছে তখনও যুক্তরাষ্ই ইরোরোপীয় লড়াইয়ে আতে নাভ

১৯১৬ সাপের নভেম্বরে আবার আমেধিকায় আপি তাহার কয়েকমাস পরে মাকিন নরনার। জাম্মাণির বিরুদ্ধে লড়িতে সরু করে। দ্বিতীয়বারের আমে'রকা-প্রবাস দ্বাদশ অধ্যায় হহতে শেষ পধ্যস্ত বিবৃত রহিয়াছে

ছইবারকার আমেরিকা-দেখার মধ্যে কাটিঘাছে চীন-জাপানে পথ্যটনের কাল। এহ আভতঙ্ঞত!র বিবরণ দেওয়া হইয়াছে “চীনা সভ্যতার অ, আ, ক, খ,” "বন্তমান যুগে চীন সাআ্াজ/” এবং “নবান এশিয়ার জন্মদাতা-_জাপান” এহ তিন গ্রস্থে। এই আওতায়হ ইংরেজিতে লেখ! হয় “হিন্দু চোখে চীন। ধম্ম” ( শাংহাই? ১৯১৬) এবং “ভ।রতবধের প্রেম- সাহত্য” তোকিও, ১৯০৬ )|

দ্বতীপ্নবার আমেরিকায় কাটে পুরাপুরি প্রার চ।র বখসএ। এই চার বৎসরের কাহিনাতে প্রথমবারকার রচন।গ্রণ!লী অবলম্বন কর! হয় নাত। কতকৃগলা মোটা কথা আলোচন! কর! গ্রিদ্াছে মাত্র। প্রথমবার রোজনাঘার বহু দিকেই খু টিন!টির চর্চা করা গিয়াছিল। .

এই চাঁর বৎসরের ভিতর ইংরেজিতে প্রকাশিত হষ্ঘাছে “হিন্দু জাতির বিজ্ঞান-সম্পদ” ( শিউইনুর্ক, ১৯১৮) এবং এক কবিতা"-গ্রস্থ

“ইপলাস্কিস্থান ব! অতিরঞ্জিত ইয়োরোপ” গ্রন্থের ভূমিক]।

৩৭৬ নয়া বাঙ্গলার নি পত্তন

দি শা লিল পি সিটি শা শী জি সিতি শী পটেল চিলি স্পর্ি পরি সরি স্পা স্পা এটি সী সিল ভপািিপশি অপি চিলি কটি স্লি পাটি শি লি ছিল সিিসিপিসীসি লম্পট তিল পালিস্পিশ সপ সী সিপরিসি পি ছি স্টিল পাপা পা পিটিশ

(বষটন, ১৯১৮ )। সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ত্রমাসিক পত্িকাতে কতকগুল৷ প্রবন্ধ বাহির হইয়াছিল

“বর্তমান জগৎ” গ্রন্থের ভিন্ন ভিন্ন কেতাবে কথঞ্চিৎ ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর তথ্য আলোচিত হইয়াছে ধাহারা “ইংরেজের জন্মভূমি” পড়িয়াছেন, তাহার! “ইয়াক্কিস্থান* দেখিলে সহজেই পার্থক্যটা ধরিতে পারিবেন

কোনো লেখকের কোনো মতই তথা কথিত বেদবাক্যম্বরূপ চিরকাল শিরোধার্ধয নয়। এইরূপ চিস্তা ভারতে দেখা দিয়াছে কাজেই আশা করা যায়, “বর্তমান জগৎ”-প্রণেতাকে কথায় কথায় জবাবদিহি করিতে হইবে না। বিশেষতঃ বর্তমান গ্রন্থকার নিজের মত এবং ব্যাখ্যা বেশী দিন পুষিয়া রাখিতে অভ্যস্ত নন

তথ্যগুলা সম্বন্ধে গোজামিল বোধ হয় রাখি নাই যথাসম্ভব নিভু ভাবে বস্ত ঘটনা বিবৃত করিতে চেষ্টা করিয়াছি সেইগুল1 নিরেট সত্য আজও, কিন্তু সেইগুলার ব্যাখ্যা করিতে বসিলে আজ অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো নয়া কথা বলিতে হইবে অর্থাৎ গ্রন্থের ভিতরকার অনেক মতের সঙ্গেই গ্রন্থকারের এখনকার মতের মিল নাই,

এই অমিলে এবং মতভেদেই ছুনিয়। বাড়িয়া চলিতেছে আর অনৈক্য এবং বহুত্ব ভারতীয় জীবনের সকল বভাগেই দেখা যাইতেছে বলিয়। বর্তমান জগতে যূবক ভারতের দাবী সুদৃঢ় ভিত্তির উপর ীড়াই'় যাইতেছে রর

প্গৃহস্থ”, “প্রবাসী”, “উপাসনা”, “ভারতবর্ষ” ইত্যাদি মাসিক পত্রে প্রথম এগারো অধ্যায় বাহির হুইয্াছিল।” “ভারতী” কার্যালয় হইতে দশম অধ্যায়ের অনেকটা পাুলিপি হারাইয়া গিয়াছে তাহাতে স্তান ফ্রান্সিক্ষোর বিশ্বমেলার সচিত্র বিবরণ ছিল

বাপিন, অক্টোবর, ১৯২২

নান সর "রচনার হাতা ৩৭১

শু, দিলারা 4

(১)

এই লেখাগুল। “শঙ্খ”, “বঙ্গবাণী”, “ভারতবর্ষ”, “প্রবা সী”, “বসুমতী” “নব্যভারত”, “সারণী”, “শিশির”, “ভারতী”, “বিজলী” ইত্যাদি সাপ্তাহিক « মাসিক পত্রিকার বাহির হইয়াছিল ১৯২১ সালের অক্টোবর মাঁসের শে দিকে প্রথম বিবৃত ঘটনার তারিখ। কেতাবের জগৎ-কথা খতম হইয়াছে ১৯২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় আড়াই বংসরের দ্রনিয়ার আব হ।ওয়। এই পাতা গুলার ভিতর আটক রহিয়।ছে |

জান্মাণি, আগ্রিয়া, সুহট্সালঢাণ্ড এবং ইতালি এই চার দেশে বসব।সের আওতায় রচনা গুলার উৎপত্তি। জান্মাণ এবং ফর।সী দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক কাগজের মারফৎ খবরগুলা পাওরা গিয়াছে। বিলাতী মার্কিন তথয সমুহও প্রধানতঃ জান্দাণ এবং ফরাসী চোখেই দেখিবার সুযোগ জুর্টিয়াছিল। অধিকন্তু লোকজনের সঙ্গে কথাবার্ত। বলিয়া এবং রাস্তায় হ্থার্টিয়া হাট. বাজারে গ। খেশাখেশি করিয়া! যাহা কিছু বুঝিরাছি সুঝিয়াছি, তাহাও এই সকল সংবাদের ভিতর গু জিয়া দিতে চেষ্টা করিয়াছি

চি ৯৯ লালিত সিল সি সিলাক্ষি

] ) বশ্ব-শক্তির বেপারীরা জগতের মেলাদ্ধ মেলার এক সঙ্গে নানা সওদার দরদস্তর কাঁদতে বাধ্য হয়। মানুষের জীবন “পাচ ফুলে সাজি” ছুনিয়ার আবহাওরায় কোনো এক-তরফ1 শক্তির ঝড় বহিয়! বায় না। নিকিতা বহুমুখে বিভিন্ন টি ছটিতেছে |

স্পা ০০ সপ স্াশি শশী সপ শি

টি “ছুনিয়ার আবহাতা” থর হুনিকা |

৩৭২ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

শক্তিযোগের কোনো কোনো শাখায় বিশেষজ্ঞ হওয়া খুবই দরকার। “সর্বান্‌ ধন্মান্‌ পরিত্যজ্য যামেকং শরণং ব্রজ” ইতা।দি ফর্ম্ন,লা অনুসারে জীবন না চালাইলে কেহই কখনো৷ জগতে একট! কিছু রাখিয়া যাইতে পারে নাঁ। এক-বগৃগা, ”অদ্বৈতবাদী,” শত্তি-বিশেষের ধুরন্ধরগণই নিজ নিজ গণ্ডীর ভিতর জগতের হর্ভতাকর্তাবিধাতা।

কিন্তু জীবনের কোন্‌ রসটা সকল রসের সের? সমাজের কোন্‌ শক্তিটা আগ্ঠাশক্কি? জগতের কোন্‌ “বিশেষজ্ঞ” গোটা ছুনিয়াকে বলিতে অধিকাবী যে “অগ্তান্ত সব কিছু বয়কট করিয়া একমাত্র 'আমার পিছু পিছু ছুট”!

কেহ কেহ হয়তো বলিবেন যে, “রা-নৈতিক রসেই সেই আগ্যাশক্তি বিরাজ করিয়া থাকে। বাস্ট্রীয় বিশেষজ্ঞেরাই ছ্নিয়ার হর্তীকর্তী- বিধাতা” তাহাদিগকে বাধ! দিয়া অন্তেরা বলিবেন,--“ছুনিয়ার আব হাওয়ার আগ্যাশক্তি হইতেছে বিজ্ঞান, দশন, সাহিতা, সুকুমার শিল্প। এক কথায় ইহাকে বলে উৎকর্ষ, সভ্যতা, “কালচ্যর”, “কুল্ট,র” উত্যাদি। কুপ্টরের শক্তিতেই জগতের নরনারী কি ব্যক্তিগত হিসাবে কি রাষ্ত্রীয় সঙ্ঘগত বা সমাজবদ্ধ ভাবে নিয়ন্ত্রিত হইতেছে বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদির গতিবিধি জরীপ করিলেই ছুনিষয়ার আবহাওয়া হাতে হাতে ধর! পড়িবে ৷”

এই ছুই ধরণের অদ্বৈতবাদীকে সমান ভাবে ঠু কিবার জন্ত আর এক প্রকার অৈতবাদী দেখ! যার তাহাদের বিচারে কৃষি-শিক্প-বাণিজ্যের রসই মানবজীবনের সকল রসের গোড়ার কথা টাকা পয়সা, ধনদৌলত, ব্যাঙ্ক, ফ্যাক্টরী ইত্যাদির কল যাহার! টিপিতেছে তাহারাই “কল্ট,র”কে উঠাইতেছে বসাইতেছে। তাহারাই আবার রাষ্ট্র-শাসন, শ্বদ্দেশ-সেবা, সমাজ-সংস্কার ইত্যাদির চাবী নিজ ট্‌যাকে লইয়া ঘুরাফিরা করে।

“বর্তমান জগৎ”-রচনার আবহাওয়া ৩৭৩

(৩)

বর্তমান কেতাবের তথ্যগুলায় দেখা যাইবে যে, দুনিয়া! বাস্তবিক পক্ষে কোনে এক রসে মসগুল নয়। জগৎ খাড়া আছে এবং চলিতেছে এক সঙ্গে তিন খুঁটারই জোরে। মানব জীবনের এই ত্রিধারাকে সমানভাবে ইজ্জদ দিলেই মানুষের সুখ-ছুঃখ, সু-কু দখল করা সম্ভব |

প্রত্যেক তথ্যই মাস্থষের রক্তবিন্দু বিশেষ | নরনারীর মাথার ঘাম, 'আনন্দধবনি, নৈরাশ্টের দীধশ্বাস এই গুলাই এক একট] ঘটনায় মৃষ্তি গ্রহণ করে। মানবজীবনের এই রক্তের দরিয়ায় যে সকল লোকেরা সাতার দিতে পারে তাহারা ইতিহাস হজম করিতে সমর্থ:

যুবক ভারতে আজ যাহা কিছু মাথার ঘাম, আনন্দধ্বনি নৈরাশ্যের দীর্ঘশ্বাসরূপে প্রকটিত হইতেছে, ঠিক সেই সবই ছুনিয়ার অলিতে গলিতে লক্ষ্য করা যায় আবার ছুনিয়ার থাহা কিছু আজ ঘটিতেছে অথবা কাল ঘটিয়াছে, ভারতেও আজ কিম্বা কাল তাহ! ঘটিবে। ভারত স্যপ্ি- ছাড়া মুণ্ুক নয়।

€& )

জগৎ চলিতেছে, কোথায়ও কোনে অনুষ্ঠানে, কোনে। প্রতিষ্ঠঠনে, কোনো আদর্শে, কোনে। কেন্দ্রে বসির়া নাই বিশ্বশক্তির সন্ধানে যাহারা ব্রতী, তাহারা কি রাষ্ট্রীয় জীবনে, কি বিজ্ঞান-দর্শন-সুকুমার শিল্পের ক্রম” বিকাশে, কি ধনদৌলতের রূপান্তরে মানবজীবনের গতি, অগ্রগতি উদ্ধাগতি লক্ষ্য করিতে বাধ্য

ষে আড়াই বৎনসরকে এই কয় পৃষ্ঠার ভিতর বন্দী করির়া রাখা গিয়াছে সেই আড়াই বৎসরের মানব-প্রয়ানগুলা এই গতিশীলতার এবং মানবচিন্ভের উন্নতি-প্রবণতার সাক্ষ্য দিবে এই হিসাবে তথ্য গুল!

৩৭৪ নয় বাঙ্গলার গোড়া

শি লতি পিষ্ট লি আসর রি শন স্টিল পরি শি লিস্ট এপি শি তারি শিস তি তা

পরম্পর-স্বহান বা খাপছাড়। সংবাদ মাত্র মনে হইবে না। মাহুষের রক্তমাংসের গন্ধে, মানুষের প্রাণের স্পন্দনে এই সকলের ভিতর একটা এ্রক্যের বন্ধন পাওয়া যাঁইবে। প্রত্যেক তথ্যে, প্রত্যেক সংবাদে, প্রত্যেক ঘটনার, প্রত্যেক বিজয়-কাহিনীতে, প্রত্যেক পরাজয়ের কথায়ও এক একটা জীবন-সংগ্রাম, স্থার্থদবন্ব, পরম্পর-বিরোধ, অথবা জর্টিল- চক্রান্ত মাখানো আছে। সেই মারপ্যাচগ্তলা, সেই বৈচিত্র্যপূর্ণ লড়াইয়ে ভরা শ্বাস-প্রশ্থাসগুলা» বিভিন্ন শ্রেণীর জাতির জীবনের সাড়াগুল! পাকৃড়াও করিতে পারিবার জন্তই দু'নয়ার আবহাওয়া বিশ্লেষণ কর। আবশ্তাক

আড়াঃ বৎসরের জগৎ-কথায় মাত্র আড়াই বৎসরের ছনিয়ার আবহাওয়াই আছে এইরূপ বুঝা ভুল। জগতের সনাতন কথাগুলাই এই আবহাওয়ার প্রাণ জ্াান্ত নরনারীর জীবনের সাড়াস্মূহ এবং রক্ত-

ংসের “ম্বধন্মী*গুলা কেতাবের পাতায় পাতায় অস্কিত রহিয়াছে

(৫ )

জান্মীণি অষ্রিয়া-হাঙ্গারী ভাঙ্গিয়া যাইবার পর ইয়োরোপে কতকগুলি নয়া রা জন্দিয়াছে। এইগুলাকে সংক্ষেপে মোটের উপর "বক্কান-চক্র” বন্ধান-সমন্তার অন্তর্গত কর! চলে

এই আড়াই বৎসরে সোহিবয়েট রুশিয়ায় অনেক কিছু ঘটিয়াছে। যুবক তুর্কও জগতে নবরূপে দেখা! দিয়াছে তাহ ছাড়া ইতালি ছুনিয়ার আবহাওয়ায় মাথা টাড়িয়া তুলিয়াছে !

কাজেই এই চার জনপদ বর্তমান গ্রন্থে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করিতেছে ইংলগু, ফ্রা্দ এবং আমেরিক! এই তিন যুন্তুকের বনিয়াদি সমাজ ছূনিয়ার সর্বত্রই জ্ঞাতসারে অজ্ঞাতসারে নরনারীর,

“বর্তমান জগৎ”-রচনার আবহাওয়া ৩৭৫

জীবনযাত্রা গড়িয়া তোলে এই ভিন দেশের ছায়া লেখাগুলার উপর পড়িয়াছে।

জান্মীণির হাত-পা খোঁড়া তথাপি “মরা হাতী লাখ টাকা ।” স্গতরাং দ্রনিয়ার আবহা €য়ায় জার্মীণ-কথ। অনিবাধ্য |

জাপান এবং চীনও বাদ পড়ে নাই।

( ৬)

এই গ্রন্থ ভ্রমণ বা ভায়েরী-সাহিত্যের অন্তর্গত নয়। জার্মাণি, অস্ট্রিয়া, স্থইট্সার্লটাণ্ড এবং ইতালিতে পর্যটনের কাহিনী শ্বতন্ত্ আকারে বাহির হইবে।

সেই সকল বৃত্তান্তের ভিতর “কুণ্ট র” বিষয়ক তথ্য ছড়ানো হুইয়াছে। এই কারণে প্ছুনিয়ার আব হাওয়া”য় সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন,শিক্ষা, সভ্যতা ইত্যাদি বিষয়ের দিকে নজ্জর কিছু কম পড়িয়াছে। পক্ষান্তরে ক্বি-শিল্প- বাণিজ্য সন্বস্কীয় ঘটন! এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে এই সমুদয়ের প্রভাব বর্তমান রচনার প্রায় অদ্ধেক স্কান অধিকার করিতেছে

(৭)

সমসাময়িক ইতিহাস, পররাষ্ীনীতি, বর্তমান জগৎ ইত্যাদি বলিলে যাহা কিছু বুঝ! যায় তাহা ১৯০৫ সালে ভারতীয় জ্ঞানমগুলে জান! ছিল না। এমন কি ১৯১৪ সাল পর্ধ্যস্ত ভারতীয় রাষ্্নায়কেরা এবং শিক্ষা- দ্ীক্ষাঁর গুরুস্থানীয় ব্যক্তিগণ এদিকে নজর দেন নাই'।

১৯১৪ সালে লড়াইয়ের হিড়িকে বর্তমান জগৎ আপনা-আপনিই ভারতে আসিয়া হাজির হয় তাহার ফলে ভারত-সম্তান হুনিয়ার আব. হাওয়া] সম্বন্ধে কম বেশী চিন্তা করিতে বাধ্য হইয়াছিল। কিন্তু ১৯২২ সাল পধ্য্ত ভারতীয় সাহিত্যে এই চিস্তার অস্তিত্ব এক প্রকার দেখিতে পাওয়া যায় না।

৩৭৬ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

১৯২৩ সালের বাংলা, হিন্দী ইংরেজি রচনায় যুবক ভারত “পর-চ্চার”” পরিচয় দিতে সরু করিয়াছে জগতের রাষ্ত্রিক কথা, আত্মিক কথা এধং আর্থিক কথা ধীরে ধীরে ভারতবাসীর মাথায় প্রবেশ করিতেছে

(৮)

এই শ্রোতের মুখে “দ্বনিয়ার আবহাওয়া” প্রকাশিত হইতে চলিল। লেখকের পক্ষে এই কেতাব রচনা নান কাজের এক কাজ মাত্র। বাহার! এই ধরণের লেখাপড়াকে জীবনের একমাত্র বা প্রধান কাজরূপে বরণ করিয়া লইতে পারিবেন তাহাদের রচনায় বর্তমান গ্রন্থের অসম্পূর্ণত! সমূহ তিষ্টিতে পারিবে না সন্দেহ নাই

যে সকল তথ্য, ঘটনা, সংবাদ বা বৃত্তান্ত আংশিক অসম্বদ্ধভাবে এই পৃষ্ঠাগুলার ভিতর প্রচার করা যাইতেছে সেই সব সম্বন্ধে অনুসন্ধান, গবেষণা এবং পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা ভারতের কুত্রাপি নাই। কিন্তু ইয়োরামেরিকায় সর্বত্র এবং জাপানেও তাহার জঙ্ত বিশেষ বন্দোবস্ত আছে।

দুনিয়ার আবহাওয়ায় ওস্তাদ হইয়! উঠিবার জন্য ইংরেজ, ফরাসী, জার্্মাণ, জাপানী এবং অন্ঠান্ত দেশীয় যুবকেরা সকলেই সর্বদা! বিদেশে গিয়া আড্ডা গাড়ে না। নিজ নিজ শ্বদেশেই বর্তমান জগৎকে মন্থন করিবার আয়োজন রহিয়াছে | এই সকল আয়োজন ব্যবহার করিয়াই উহ্ারা কেহ “কন্সাল” হয়, কেহ “ত্যাম্্যান্তাডার” হয়, কেহ পররাষ্ট্র সচিব হয়, কেহ বিজিত দেশের “লাট সাহেব” হয়, কেহ আধুনিক ইতিহাসের অধ্যাপক হয়, কেহ দংবাদপত্রের পরিচালক হয়। অবশ্য দেশ বিদেশে টোটে! করিয়া ভবঘুর্যে-গিরি চালাইবার ব্যবস্থাও থাকে

“বর্তমান জগৎ”-রচনার আবহাওয়া ৩৭৭

রর ৬০ উই পপর উস "পপ পলা না অপ হা উজ উস সি লাস পানি লাশ পপ পি সাসপিপপিস্ি শা সর লি পলি স্পস্ট তি আখ ভি সি সস শী শা পালা উই

ভারতে এই ধরণের কোনো জীব একপ্রকার নাই। কিন্ত এই জীবের সাক্ষাৎ পাওয়া চাই তাহাদিগকে গড়িয় তোলা ভারতীয় স্বর/জ-আন্দোলনের অন্যতম কর্তব্য

(৯) ১৯২১ সালে প্যারিসে বসিয়া ”ফরেণ পলিসি অব. ইয়ং ইও্ডিয়া” ( “যুবক ভারতের পররাস্ট্র-নীতি” ) সম্বন্ধে এক প্রবন্ধ লিখিয়াছিলাম সেটা কলিকাতার *মডাণ রিভিউ”য়ে বাহির হইয়াছে পররাষ্ট্রনীতির দার্শনিক এঁতিহাসিক তত্ব আলোচনা করিয়াছিলাম ১৯১* সালে ময়মনসিংহের বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে *“ইতিহাস-বিজ্ঞান মানব জাতির আশা” প্রবন্ধে সেই প্রবন্ধ ছুইটাকে "দ্বনিয়ার আবহ।ওয়া”র ভূমিকা স্বরূপ গ্রহণ করা যাইতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে "বিশ্বশক্তি” (১৯১৪) গ্রশ্থের কোনো কোনো অংশ এবং “বর্তমান জগৎ” গ্রস্থাবলীর অন্তর্গত “বিংশ শতাবীর কুরুক্ষেত্রে”ও দষ্টব্য বোল্ৎসান, ইতালি ১৪ই এপ্রিল ১৯২৫।

২১। ইইস্জাভ্িন-ভ্জক্মনি *্রজ্ভহ্মাম্ন জগ -১১০

(১) ইতালিতে ভবঘুর্যেগিরি করিয়াছি চার বার। ছঈ বার স্গইটসাল্যণ্ডের লুগানো হইতে, একবার রেলপথে, আর একবার হুদ-পথে। এই ছুইবারে পাদহুবা, হ্বেনিস, মিলান, ত্রেস্ত আর লেহ্বিক, প্রধানতঃ এই পাঁচ জনপদের লঙ্গে পরিচয় | ১৯২৪ সনের ফেব্রুয়ারির শেষাশেষি

৩৭৮ নয়৷ বাঙলার গোড়া পত্তন

হইতে জুন মাসের শেষ পর্য্যন্ত এই অভিজ্ঞতার বহর। এই মাস চারেকের ভিতর ইতালিয়ান ভাষায় হাতে খড়ি দিতে চেষ্টা করি নাই। ঢ-একখান! ইতালিয়ান কেতাব কাগজ টণ্টাইতে পাণ্টাইছে চেষ্টা করিয়াছি মাত্র। এই সময়ের মধ্যেই আবার একবার কিছু দিনের জন্য রুগানোয় ফিরিয়া গিয়াছিলাম | খতু হিসাবে, উত্তর ইতালির লম্বাদি, হ্বেনেৎসিয়া আর পাহাড়ী ত্রেত্তিন ( বা জার্মাণ-অস্রিয়ান পারিভাষিকে দক্ষিণ-টিরোল) এই তিন প্রদেশের বসন্ত আর গ্রীষ্ম চাঁখিতে পারিয়াছি।

ইতালিতে শেষ দুইবার আসি অস্রিয়ার ইনস্রুক হইতে প্রথমবার ১৯২৪ সনের সেপ্টম্বর মাসে ' জুলাই আগষ্ট অর্থাৎ গ্রীপ্মের শেবার্দ কাটে *টিরোলী আন্নসের তালে তালে” আর জার্মানির ব্যাহ্বেরিয়া প্রদেশে সেপ্টেম্বর মাস হইতে বসবাস ইতালির বোল্ৎসান ( জান্মাণ, ক্ষেত্রে অগ্রিয়ান নাম বোৎসেন) নগরে। আঙ্গুর-পেয়ারা*আপেল- পীচের এই আবেষ্টনে প্রায় এগার মাস কাটিরাছিল, ১৯২৫ সনের জুন পর্যযস্ত। মেরাণ আর হ্বিপিতেন (জার্াণ ষ্টাৎসিউ ) এই দ্বই অঞ্চলেও মাঝে মাঝে ঘুরাফিরা করিয়াছি

পরে জুলাই-আগষ্ট মাসের কিছুদিন আবার অগ্রিয়ার ইন্স্ক্রকে কাটিয়াছে। আগষ্ট মাসের শেষ পধ্যস্ত কয়েক সপ্তাহ বোল্ৎসানয় কাটায়! সেপ্টেম্বরস্ত প্রথম দিবসে হ্বেনিসে কিন্তী পাকড়াও করিলাম। যথা সময়ে ইতালিয়ান জাহাজ,-_“ক্রাকো হিবয়া”--বিন। দৈবছুষ্রিপাকে বোম্বাই বন্দরে আসিয়া ঠেকিল ( ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫)। সাড়ে এগার বৎসর পূর্বে ১৯১৭ সনের ৮ই এপ্রিল তারিখে বোম্বাইয়েই “যাচ্ছি কোথায় জানিনাক' চল্লাম ছেড়ে হিন্দৃস্থান ।”

ঞব্মান জগৎ”"রচনার আবহাওয়। ৩৭৯

(২)

যাহ! হউক, ইতালির বোল্ৎসান জনপদে কাটিয়াছে প্রায় মাস এগার এই খানেই,--১৯২৫ সনের ১লা জানুয়ারী তারিখে ইতালিয়ান ভাষাদ্র হাতে খড়ি দিই জাম্মীণ লেখক সাওয়ার প্রণীত “ইটালিয়েনিশে কোন্ফাসণট সিয়োনস্-গ্রাম।টিক” ( ইতালিয়ান কথা কওয়া ব্যাকরণ শিক্ষা) নামক প্রন্ত গলাধংকরণ করিতে লাগিয়া যাই পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৪৪ (যুলিযুস গ্রোস কোং, হাউডেলব্যরগঃ ১৯২৩ )। চার সপ্তাধে, প্রতিদিন ঘণ্টা দেড়েক করিয়া আদা-নুন খাইয়া লগা শ' তিনেক পৃষ্ঠা হজম করিয়া ফেলি। এই সঙ্গে সাথী ছিল একখানা জান্মাণ-ইতালিয়ান অভিধান | তাহার পর হইতেই নান। প্রকার ইতালিয়ান কেতাব পড়িয়া চলিতেছি

এইখানে বলিয়া রাখ! ভাল যে? ঢার সপ্তাহে যতখানি বা যতটুকু ইতালিয়ান দখল কারতে পারিয়াছি, ততটুকু জান্মাণ দপল করিতে লাগিয়াছিল পাঁচ সপ্রু।ঃহ, আর ততটুকু ফরাসা দখল করিতে তিন সপ্তাহ দিয়াছিলাম অর্থাৎ ফরাসীর চেয়ে ইতালিয়ান কঠিন বোধ হইগ্লাছে ফরাসীর সাহায্যে ই*(লিয়।নে বেশী দূর অগ্রসর হওয়া যায় নাভ

ফরাসী ভাষায় দখল কটা আছে তাহা ফ্রান্সে থাকিতে গাকিতেই ফরানা নরনারীর মহলে মহলে,_ণ্খোলা মাঠে” বাচাই করাইবার স্থযোগ পাইয়াছি জার্্বাণিণ ঘাটে ঘাটে জান্ম্াণ বিদ্যার দৌড় “কাগজে কলমে” পরখ করানো গিয়াছে | কিস্ ইতভালিয়ানে এইরূপ খোলা মাঠের যাচাই সম্ভবপর হয় নাই ফ্রান্সে, প্রথম হইতেই, লোকজনের সঙ্গে চিঠি-পত্র চালাইয়াছি,_বিশ্ববিদ্তালয়ে, আকাদেমীতে বক্তা করিয়াছি_আর মোলাকাতে বোল ব্যবহার করিয়াছি,--আগাগোড়া

৩৮০ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ফরাসীতে। জার্্মাণিতে, অষ্রিয়ায় আর সুইট. সালাণ্ডেও সর্বত্র সকল ক্ষেত্রেই চালাইয়াছি'এঁ সকল দেশবাসীর মাতৃভাষা জান্্মীণ।

কিন্ত ইতালিতে,_আশ্চর্ষ্যের কথা,--একদ্িনও ইতালিয়ান ভাষায় কথা বলি নাই। নিজে কোনো দিন একখানা চিঠি পথ্যস্ত ইতালিয়ানে লিখি নাই একটা প্রবন্ধ রচনায় হাত মকৃস করিয়াছি মাত্র। সম্পা- দ্কেরা সেট] কাগজে ছাপিয়াছেনও যতদিন ইতালিয়ান জানিতাম না,-যথা পাদহুবা, হ্বনিস, মিলান ইত্যাদি জনপদে,--ততদিন চালাইয়াছি ফরাসী। আর যে দিন হইতে ইতালিয়ান জানি,__যথ| বোল্ৎসানয়, সেদিন হইতে হেবনিসে সওয়ারি হওয়া পয্যস্ত ছয় সাত মাস ধরিয়া প্রতিদিনই আজ এখানে, কাল ওখানে চলাফেরা করার সম্ভাবনা ছিল। ইতালিতে কতদ্দিন থাক' হইবে তাহার স্থিরতাই ছিল ন]। যখন-তখন ইতালি ছাড়িয়া অন্তত্র যাইবার ভন্ত গুস্তত ছিলাম এই অবস্থায় ইতালিয়ান ভাষায় লেখালেখির অভ্যাস করিতে একদম চেগ্টিত হই নাই, প্রবন্ধট] ছাড়া। হরেক রকম ইতালিয়ান বই আর কাগজ পড়িয়াছি মাত্র তবে, ইতালিয়ান নর-নারীর নিকট হইতে পাওয়া ইতালিয়ান ভাষায় লেখা চিঠি বুঝিবার জন্ত কোনো দৌোভাষীর সাহায্য লইতে হয় নাউ

(৩) এই হ্ত্রে ইতালি-প্রবাসের আর একটা বিশেষত্ব উল্লেখ করা আবশ্তক। অধিকাংশ সময়»--মান এগার কাটিয়াছে বোল্ৎসানয়, মেরাণয়, হ্বিপিতেনয়। এই শহর তিনটার নরনারী আগাগোড়া জান্মণ ( অগ্্রিয়ান )। রাষ্্রিক হিসাবে এই অঞ্চল মহাযুদ্ধের পর হইতে ইতালির একটা প্রদেশ বটে। কিন্তু এখানে আসল ইতালির গন্ধ মাত্র নাই।

“বর্তমান জগং-রচনার আবহাওয়। ৩৮১

ইন্সক্রককে অষ্টিয়্ান-জাম্ম্বাণরা জানে উত্তর-টিরোলের কেন্ত্র বলিয়!। তাহার্দের বিবেচনায় বোল্ৎসান ( বোৎলেন ) সেইক্রেপ দক্ষিণ-টিরোলের কেন্ত্র। কাজেই বোল্ৎসানর 'আবহা ওরায় দশ-এগ।ও মাস কাটানো আর ইন্সক্রকে দশ-এগার মাস কাটানে! একই কথা,-কি তাষায়, কি সাহিত্যে, কি সৌজন্ত-শিষ্টাচারে, কি লেনদেনে, কি হাস-ঠা্রায়। স্থতরাঁং এহ কয় মাসের জীবনকে ইতালয়।ন অভিজ্ঞতা দ্ূপে বিবৃত না করিলেই বোধ হয় হতালির প্রাত সুবিচার করা হইবে।

রোম, ফ্লোরেন্স, বোলোনিয়?, নেপল্স ইত্যাদি শহর হইতে বক্তৃতাদির শিমন্্রণ আসিয়াছিল। কিন্তু সে সব গ্রহণ কর! হয় নাই, ওসব দিকে যাওয়া হু নাহ মিলান, পাদহবা ভত্যার্দ শহরগুলা খাট ইতালিয়ান সভ/তারহ কেন্দ্র কাজেই বর্তমান গ্রস্থের যে সকল আভজ্ঞতা এহ সব জনপদের সন্কান, সেই সকল অভিজ্ঞতায় আসশ হ'ত।লির আত্মাই স্পর্শ করা হইতেছে।

বে'ল্খদানয় থাকবার সম্য় ফরর:সাঁ, জান্মাণ ইতালিয়ান দৈনিক, সাপ্চাহিক, মাসিক বা হ্েমাসিক পত্রিকা আর পুস্তকাদি হুঠতে নানা তথ্য তন্ব সংগ্রহ করা গিয়াছে তাহা নান আক।রে প্রকাশিত হইগ্াঙ্ছে বর্তমান গ্রন্থেও তাহার কিঞ্চিং নমুনা দেওয়া গেল,_ পরিশিষ্টে।

“ছুনয়ার আবহাওয়া (১৯২৫) গ্রন্থের কয়েক অধ্যায়ে "ইতালির বন।ম ক্যাবনেট”, “ইতালির দিশ্কত্ত ব্যাক্ক'+, “জেনোয়া কন- ফারেন্সের আবহ! ওনায়'?, পইভাল মধ্য ইয়োরোপ”, ইতালি আর্ষোর।”, “ইতালিতে বোলশেছিবকা»+, “ইতালিতে ম্যালেরিয়া লোপন, “হতালির কফ দখল", “বৃহত্তর ইতালি”, *মুসলিনি দিরিভেরা”, শন্থুইস-ইতালিয়ান স'মানায়”, “উত্তর ইতালির সমাজ-ফ্যন্তা” নামক

০্ত/

৩৮২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পণ্ডন

বিভিন্ন বিষয় বিবুত আছে অধ্যা*গুলা বর্তমান গ্রন্থের সঙ্গে উল্টাইয়। পাল্টাইয়া দেখা যাইভে পারে।

ইতালি বিষয়ক কয়েক অধ্যায় “ইক্নমিক ডেহ্বেলপ মেণ্ট” (আ'থক উন্নতি, মান্্রীজ, ১৯২৬ ), এবং “পলিটিকৃস্‌ অব বাউগারীজ” ( সীমানার রাষ্ট্রনীতি, কলক।তা, ১৯২৬) নামক ছুই ইংরোজ গ্রন্থেও প্রকাশিত হইয়াছে এই বই দুইটার কিয়দংশ ইতালির নানা কেন্দ্রে লেখা হটয়াছল। আর একখান] বই, “বিব্রিওগ্রাফিক্যাল, কাল্চ্যর্যাল ম্যাও এডুকেশ্তান্ত(ল নিউজ ফ্রম আমেরিকা, ফ্রান্স, জারন্নীণি আগ ইত্যালি” নামে বাহির হইতেছে তাহাতেও ইতালির কথা আছে

(৪)

ইংল্যণ্ড, জাম্মাণি (অ&য়া জুইট সালা /, ফ্রান্স এবং আমেরিকার তুলনায় ইতালিকে বর্তমান জগতের সভ্যতাদ্দ* অনেকটা ছোট মনে হইগ়াছে। এই কারণেই ইতালিতে যুবক ভ'রতের পক্ষে শিক্ষা প্রদ বহু খুটিনাটি পাইবার সম্ভাবনা, ইতালির পল্লীতে শহরে অনেকাঁদন ভবঘুর্যেগিরি করিতে পারিলে ভারতসস্তান স্বদেশের জন্য নান। প্রকার সম্কেত ইঙ্গিত সংগ্রহ করিতে পারিবেন। ভারতবর্ষ আজ বর্তমান সভ্)তার অনেক নিন্নগুরে অবস্থিত মাধুনিক মানবের আধ্যাত্মিকত। ভারতীয় নরনার'র জীবনে নেহাঁৎ কম দেখিতে পাওয়া যায়। 'এই স্তরে দাড়াইয়। ইংরেজ, জাম্মাণ, মার্কিণ ফরাসী আধ্যাঝ্সিতার লাগাল পাওয়া যারপর নাই কঠিন। ইতালিয়ানর! ঠিক যেন মাঝামাঝি অবস্থায় রহিয়াছে।

এই সব দেখিয়া-শুনিয়া ভারতের তরফ হইতে ইতালিকে ইয়ো- রোপের জাপান অথবা জাপানকে এশিয়ার ইতালি বিবেচনা কর! আখার

০০০]

“বর্তমান জগৎ্রচনার আবহাওয়। ৩৮৩

দস্তর। ভারতের রাষ্ট্রিক, আথিক আত্মিক উন্নতির কারিগরের ইতালিয়ান-জাপানী শুরটা আগে পাশ না করিয়া পরবস্তী শুরে পা ফেলিতে পার্গিবেন না। হতালির সঙ্গে আর জাপানের সঙ্গে যুবক ভারতের আত্মীয়তা নিবিড়রূপে কায়েম করা আবশ্তক

আর একট] কথা মনে রাখা দরকার ইতালি যুদ্ধের পর হইতে, --বিশেষতঃ মুসলিনির আমলে, লেগে উন্নতি লাভ করিতেছে। রাবীর ডেমোক্রেসী বা শ্বরাজের কথা৷ ভুলিয়া এই মত জার করিতেছি ১৮৭* সনের পর জাম্মাণি ইয়োরোপে যে-বেগে দৌড়িতোছল, ১৯১৯- ২২ সনের পর হাল যেন প্রায় সেই থেগেই দৌড়িতেছে আগামী ত্রশ বৎসরের ।ভতর ইতাল ইঘোপোগের এক প্রধল শ।ক্ততে দাড়াহয়া যাইবে এই কাগণেও উন্নাত-প্রয়াসা যুবক ভারতের পর্ষে ইহতালর সঙ্গে সাহচধ্য 1বশেষ দ্কার।

(৫)

এই কেতাব (এহতালিতে*বারকয়েক”' ) “বর্তমান জগং্-গ্রস্থাবল'র শেধ খণ্ড পৃব্ৰ প্রকাশিত হইয়াছে”_$১) কবরেধ দেশে দন পনর : ১৯৯৫, ২১০পৃষ্ঠা ), (২) ইংরেজের জন্মভূমি (১৯১৬, ৫৮৬ পৃষ্টা, (৩) বিংশ শতাব্দীর কুরুক্ষেত্র (১৯১৫১ ১৩০ পৃষ্ঠা), (৪) ইয়াহ্বস্থান ধা অতিরঞ্জিত উয়োরোপ (১৯২৩১ ৮২৪ পুষ্ঠা)১ (৫) নবীন এশিয়ার জন্মদাতা, জাপ।ন (১৯২৭, ৪৮৫ পৃষ্ঠা , (৬) বর্তমান যুগে চান সাভ্রাজ্য (১৯২৮) ৪৫০ পষ্ঠা )। (৭) স্ুইটসালণান্ড (১৯২৯, ৭৫ পৃষ্টা)

নিম্নলিখিত খণ্ডগুলা যন্তরস্থ (৮) ফ্রান্স (৩০০ পৃষ্ঠা , (৯) জান্মাণি অষ্টিয়া (৫৯৯ পৃষ্ঠা .।

এই দশখগ্ড ছাড়া "্নিঘার আবহা ৪য়া”কে (১৯২৫, *৭৬ পৃষ্ঠা) এই ওস্থাবল'র অন্তর্গত করা চলে! এটা অবস্ পধ্যটনকাহিনী নয়।

৩৮৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

জান্াণিতে, অষ্টি য়ায়,সুইটসার্ল্যাণ্ডে ইতালিতে থাকিবাঁর সময়ে জান্মীণ, ফরাসী ইতালিয়ান কেতাব-কাগজের মারফৎ যাহা! জানা-শুন। গিয়াছে, এই বই তাহারই দ্লিল। এই সঙ্গে “নবীন রুশিয়ার জীবন প্রভাত” (১০ পৃষ্ঠা প্রায় ) উল্লেখযোগ্য বহটা জান্মমাণ গ্রন্থের তর্জমা-স।র। “বর্তমান জগৎ”* গ্রশ্থাবলীর বারখান বইয়ের মোট পুষ্ঠ। সংখ্যা ৪,০০. এর উপর |

পর্যযটন-কাহিনী “ডায়েরি” বা *দিনলাপ” হিসাবে আত্মজীবন- চরিত বিশেষ। “বর্তমান জগৎ" গ্রন্থাবলীকেও আত্মজীবন-চরিত বল! যাইতে পারে। কিন্তু এই সমুদয়ের ভিতর আমি অমুক সময়ে অমুক লোকের সঙ্গে এইব্ব্‌প কথা বলিলাম অথবা অমুক লোকের নিকট এইকপ শুনিলাম কিম্বা আজ সকালে অথবা বিকালে অমুক স্থান ছাঁড়িয়া অমুক স্থানের দিকে রওনা হইলাম ইতাদি শ্রেণীর তথ্য ছাড়া আত্ম-চরিত্ডের আর-কোন বস্ত হয়ভ পাওয়। যাবে না। যথাসম্ভব নিজের হুখ-ছুঃখ, উল্লাস-উচ্ছ্বাস চাপিয়া রাঁখয়া কাঠখোট্টা বস্তনিষ্ভাবে ছুনিয়ার নরনারীকে ভারত-সন্তানের সঙ্গে মোলাকাৎ করাইবার চেষ্টা করিয়াছি তবে জগতের সভ্যতা জরীপ করিবার প্রণালীটার ভিতর আর জরীপের ফলাফল-প্রচারের ভিতর লেখকের নিজন্ব ধরা পড়িতে বাধ!।

এই হাজার চারেক পৃষ্ঠার ছুনিয়ার নানা দেশের জ্ঞান-বিজ্ঞান, ক্ৃষি- শিল্প-বাণিজ্য, শিক্ষা-দীক্ষা, রাষ্ট্র-সমাজ-ধর্ম-পরিবার ইত্যাদি বিষয়ক তথ্য নান' প্রকারে গু জিতে চেষ্টা করিয়াছি সাহিত্য, সুকুমার শিল্প, নৃতত্ব, ভূগোল, সমাজ-তত্ব, তুলনামূলক ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থশাস্ত ইত্যাদি বিগ্ভার অনেক কথাই এই সকল বইয়ের ভিতর আছে। কিন্ত লেখকের পক্ষে গ্রন্থাবলীট। এক বিপুল বিশ্বকোষের সুচীপত্র মাত্র প্রত্যেক খগণ্ডকেই বিভিন্ন দেশ-সন্বন্ধে চাক্ষুষ প্রমাণস্পঞীর সংগ্রহালম্ব মাত্র বিবেচণা করা কর্তব্য।

“বর্তমান জগৎ”-রচনার আবহাওয়। ৩৮৫

তথাপি একথাও বলিয়। রাখা উচিত যে, প্রত্যেক খণ্ডের রচনায়ই হাড়ভাঙা থাটুনি আবশ্যক হইয়াছে লাইব্রেরিতে বহ ঘটাঘ1টি করা, হাসপাতাল-ব্যাঙ্ক-বিজ্ঞানশাল1-চিত্রগৃহ-ফ্যাক্ট রি-মিউজিয়া ম*প্রদর্শনীর বিব- রণা পড়িয়া রাখা, বহুসংখ্যক লোকের সঙ্গে কথাবার্ত1 চালাইয়। ন।ন। মুনির নানা মঙ্র সংস্পর্শে আসা আর প্রত্বিদিনহ দৈনিক অন্ুসন্ধান-গবেষণা- টীকাটিপ্লন। যথাসময়ে সংক্ষেপে বা স্থত্রাকারে কাগজস্থ “করা যারপর নাহ মেহনৎ-পাপেক্ষ তাহার উপর অন্তান্ত লেখাপড়া আর কাজকম্ম আছেহ

বিদেশে বক্তা লেখালেখি

(৯)

বদেশে অনুষ্ঠিত কাজকন্মের তালিকা দুহটা দফণ বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য একটা হহতেছে উচ্চতম বিশ্বাবগ্ভালয়ে আর পগ্ডিত-পরিষদে বন্ত তা। আর একট। উচ্চতম মাঁপক, ত্রেমাসিক বা পরিষৎ-পত্রিকায় প্রবন্ধ-প্রক!শ দফা হুইটা কাগজে-কলমে যত সোজ। মালুম- হইতেছে, প্রকৃত কাষ্যক্ষেত্রে তত সোজা নদ এভ সকল কথা পূর্বে নানাস্থানে আলোচনা করিয়াছি এহখানে ছুএকটা কথা বলিব।

১৯১৪-২৫ সন নেহাত “সেকেলে” যুগ নয় কিন্ত এশিয়ার সঙ্গে (অবশ্য শারঙের সঙ্গেও ) হয়োরামেরিকার আত্মিক'” লেনদেন-ঘটিত কারবারে এহ যুগটা একপ্রকার “সেকেলে” যুগই বটে। কম্সে-কম এই বৎসর বারর ভিতরে একাধিক যুগ আছে। তাহা! ছাড় বিগত তিন- চার বৎসরের ভিতরেই অনেক-কিছু নতুন নতুন ঘটিয়াছে আর ঘর্টিবার সম্ভাবনা দেখা বাইতেছে।

১৯১১-১৮ সনের যুগটা ধরা যাউক | তথনকার দিনে, লড়াইয়ের

খ্ঞ

৩৮৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পতন

মুগে, ষে ইয়োরামেরিকা! বর্তমান ছিল, সেই ইয়োরামেরিকার হোঁম্রা- চোম্রা লোকেরা, অর্থাৎ “বাঘা” “বাঘা” প্ডিত আর জাদরেল প্রতিষ্ঠানসমূহ,_-এশিয়ার অবশ্য ভারতবর্ষেরও) নরদরীকে “স এনে” “সমানে” লেখক, বক্তা, গবেষক ভত্যা'দ সম্ঝিতে অভ্যস্ত ছিল ন1। “ইয়োরামেরিকায় 'ভারতসস্তান? শব্দে? প্রধান বা একমাত্র অর্থই ছিল “ইয়োর।মেরিকান পণ্ডিতদের ভারতীয় ছাত্র ব। শিবা, ডিগ্রিপ্রার্থী বা সার্টিফিকেটের উমেদার 1” কোনো ভ।রতসন্তান ইয়োরামেরিকার বড় বড় পণ্ডিতদের বৈঠকে বস্ত,তা করিতে অধিকার এইরূপ চিন্তা পর্যান্তপসেকালে” পাশ্চাত্য মগজে, - এমন কি আমেরিকায়ও একপ্রকার পাত না। তবে রাস্তায় ঘাটে বস্তুত: করা, ক্লাবে-নৈশমজলিসে আলোচনা, অথবা কচি কখনে! 'দ্বতীয়-তৃতীয় বা আরও 1নয়শ্রেনণার প্রতিষ্ঠানে ভারতীয় নদনদী, স্রীপুরুষের বেশভূষা» সাপব্যাউ হাচিরিকৃটিকি, অহিংসা, বিশ্বপ্রেম ইত্যাদি লইয়1 চিত্তাকষক গল্প শুন।নো হত নেহাৎ অপ্রচলিত ছিল না।

কিন্তু ১৯*৫ হইতে ১৯১৫ পধ্যন্ত আটদশ বৎসরের যুবক এশিয়। ইয়োরামেরিকাঁর “বড় বড় পণ্ডিতমহলে” দত্তস্কুট করিবার সুযোগ একপ্রকার পায় নাই বলা! চলে কে কোথায় কতটুকু সুযোগ পাইয়াছে আর তাহার কিম্মৎ কত তাহ! খুঁজি দেখ! বর্তমান পধ্যটকের অন্যতম ধান্ধ! ছিল। নানাস্থানে তাহার আলোচন! করিয়াছিও। সমাজতত্ব বি্তায় আর রাষ্ট্বিজ্ঞানে যুবক ভারতের ধাহার! অনুসন্ধ ন-গবেবণ। চালাইতেছেন, তাহাদের পক্ষেও এই বিষয়ট1 বেশ গভীরভাবে বস্তনিষ্ঠরূপে তলাইয়া-মজাইয়া আলোচনা করিয়া দেখা আবশ্তক বর্তমান জগতের সভ্যতার ইতিহাসে এই আত্তর্জাতিক তথ্যগুল! মুল্যবান

যাহ! হউক, জগতের সর্বত্র “বড় বড় পণ্ডিতমহলে” ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে এবং ভারতীয় পাঙ্ডিত্যের বিরুদ্ধে প্রবল কুসংস্কার বিদ্বেষ লক্ষ্য

“বর্তমান জগৎ”-রচনার আবহাওয়া ৩৮৭

করা মে।টের উপর আমার অভিজ্ঞতার প্রধন কথা সাধারণতঃ বলা ষহতে পারে ষে, ভারতসন্তানকে কোনো উচ্চ অঙ্গের জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোচন।য় সহযোগীরূপে নিমন্ত্রণ করা তাহাদের মক্জাবিরুদ্ কাগ ছিল। ইয়োরামেরিকানদের এই মজ্জাগত তারতবিছেষ ভাডির। দিবার কাজে এই অধমত্ঠে--অনন্ত নিজ*গীর ভিতর,--অনেক গলদ্ঘন্ম হইতে হইয়াছে বত ধাক্কাধাক্কিণ পর আমেরিকায়, ফ্রান্সে, জাম্মীণিতে এক একটা ভয়!র খোলাইবার বাবস্থা করিতে পারিখাছি। আর প্রত্যেক ক্ষেত্রেই, ধঠারা ভারতসন্তানের জঙ্ এইক্প ধার খুলয়।ছেন, তাহাদের পঙ্গে এরূপ কও নিজ নিজ কোষ্ঠীব সব্বপ্রথম ঘটন। এহ লড়াই মআাজও শেষ হয় নাহ যুবক ভারতকে ব€ছদিন ধারয়া এই বিজ্ঞান-সংগ্রামে লাগিয়া থাকতে হইবে। ভারতসন্তান মাত্রেই যে পাশ্চমাদের ছা নয়, আর তাহাদের “ফ্যাকাল্টি”তে ছীাড়াইদা “ব।ঘা” “বাখা লোকের সঙগথে কোনো কোনো ভারতপন্ু/নও যে মতামত প্রকাশ করিতে অধিকারী, _এঠ দাবী প্রচারিত স্প্রতিিত করিবার জন্য ইযেরামে!রকার গপণ্ডা গণ্ড। উপযুক্ত ভাদতীর পধ্যটকের নিয়মিত শ্ে(ত বহানে আবপ্তক |

উচ্চতম বিশ্ববিস্ভালমে বা প্চিতপঞ্িবদে অথবা অধ্য।পকের “ফ্যাকাপ্টিতে বক্তা করিবার গরযোগ পাহলেই কিস্তী মাত হহল, এইরূপ সমঝিয়া রাখা উচিত নদ “এ সব দৈত্য নহে তেমন কোন্দো কোনো সময়ে হযরত ভদ্রতার খাতিরে কোনো ভারতসন্তানকে কোনো -পণ্ডিত-বকে খানিকটা বন্তৃতা কারবার সুযোগ দেওয়া! হইল। কিন্ধু সে বক্তৃতা কে:নে! উচ্চাঙ্গের মাসিকে, ত্রেমাসিকে বা পরিষৎ-

সি

৩৮৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

পত্রিকায় ছাপাছাপি লইয়া আবার মাথা ফাটাফাটি! কেন না, বে জিনিষটা কোনো বড় কাগজে ছাপ হ্ইয়া যায তাহার ইজ্জৎ তৎক্ষণাৎ বিজ্ঞান-জগতে খুব বেশী, অন্ততঃ পণ্ডিত মহলে লোকজনের ধারণা এইরূপ! লক্ষ্য করিয়াছি যে, এই ইজ্জৎ ভারতপস্তানকে বড় শীপ্ ইয়োরামেরিকান পণ্ডিতের! দিতে প্রস্তুত নয়

ষে যুগের অভিজ্ঞতা বর্ধমান লেখকের জীবন-কথা, সেই যুগে নানান্‌ দেশের নানান্‌ ঘাঁটিতে ভারত-বিদ্বেষ ঘনীভৃত দেখিয়াছি। কোনো একটা “দৈনিক"*কাগজ.__-বিশেষতঃ «“সোশ্তালিষ্ট”” পরিচালিত দৈনিকে-_ “রাষ্টনীতি”-ঘে শা লেখা হয়ত ব। অল্প মেহনতেই ছাপা হইতে পারে। কিন্তু “বুজেণআ”-মহলে “বৈজ্ঞানিক” পত্রিকায়, পদার্শনিক” আখড়ায় ভারতীয় মগজের রচন! ছাপার হরপে খোদা থাকিবে, ইহা! একপ্রকার আকাশ-কুনুম বিশেষ

ঘটনাচক্রে এই অধমকে পত্রিকা-গত লেখালেখির ছুনিয়ায়ও বেশ একটু লড়িতে হইয়াছে বড় বড় ঠাইদ্রের এখানে-ওখানে, ফ্রান্সে, জান্মীণিতে, আমেরিকার, ভারতীয় কলমের আঁচড় রাখিয়া আস পব্যটন- কাণ্ডের একটা লক্ষ্য ছিল। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্ত ভারতসন্তানকে এইরূপ অ'চড মারিবার সাহসে উৎসাহিত করিবার জন্ঠ প্রবাসের সময় চেষ্টা করিয়াছিই, আর আজও করিতেছি হয়ত বা কোনো কোনে ক্ষেত্রে এই ধরণের উৎসাহ-প্রদানের ফল কিছু কিছু ফলিয়াছেও

(৩)

ইয়োরামেরিকার প্রসিদ্ধ পত্রিকায় লেখালেখি করা যত কঠিন, সেখান- কার প্রকাশকদের দ্বার নিজ নিজ বই প্রচার করানো তত কঠিন নয়। “হাতে কলমে” ছুই প্রকার অভিজ্ঞতাই আছে। এই জন্ প্রভেদটা পাকড়াও করিতে পারা গিয়াছে

“বর্তমান জগৎ”*রচনার আবহাওয়া ৩৮৯

লেখকের টা্যাকে যদি পয়সার জোরথাকে আর বইটা যদি টেকৃস্ট বুকরুপে "চলনসই' হয় অথবা ঘটনাচক্রে বইটা যদি বিক্রী করা সম্ভবপর হয়, তাহা! হইলে বিদেশী প্রকাশকেরা ভারতীয় গ্রস্তকারদের বই ছাপিতে বেশী ইতস্ততঃ করে না-ভারত-বিদ্বেষ থাঁকা সন্বেও। তবু আজ পবান্ত বিদেশে-ছাঁপা ভারত-সন্তানের বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। বই ছ্াপাছাপি, অনেকট। একপ্রকার নিছক ব্যবসার কথা। কিস্ত পত্রিকায় প্রবন্ধ-গ্রকাশ পররসার খেলা নদ, এক্গেত্রে প্রদানতঃ খাটি বৈজ্ঞানিক কিম্মৎ অপর দিকে খাটি ভারত-বিদ্বেষ এই দ্বই শক্তির লড়াই চলিয়া থাকে এই লড়।ই/য় ভারতবাসীব কিছু কিছু বিজয়লাভ নেহাত সেদিনকার কথা মাত্র যার যেখানে খতটুকু শত্তি ৰা শ্যোগ আছে, তার সেটুকুর সদ্বাবই!র করা কর্তবা।

যুবক ভাবতের লেখক-বক্ত।-পাঁগুতদিগকে ইত্োরামেরিকার “উচ্চতম” প্রতিষ্ঠানে আর “উচ্চতম” পত্রিকাদ্ধ ভারতীয় মাখার ঘী জাহির করিবার জন্য ব্রতবদ্ধ কর! আমি শ্বদেশ-সেবৰ এক বিপুল অঙ্গ বিবেচন1! করিয়া থাকি। বর্তমান জগতেব উপযোগী “বুহপ্তর-ভ।রভ"" পড়িয়া তুলিবার কাজে এইরূপ মগজের অভিযান অন্যতম খুট।

দুনিয়ার পর্যযটন-সাহিত 61 একালের ছনিয়!য় পধ্যটকদের ভিণ্তর সাহিত্য-সংসারে যে কয়জন লেখক নং শ্রেণীর অন্যর্গহ সুইডেনের সবেন হেডিন, ফ্রান্সের প্যের লগ্তি আর ইংল্যগ্ডের নাখানিয়েল কাঞজজন অন্ততম ঘটনাচক্রে এই তিন জনই এশিয়া-পর্যটক আর এশিরা-বিষ়ক সাহিত্যের অষ্টা। উনবিংশ আর বিংশ শতাবীতে পধ্যটকদের সংখ্যা অগণিত, আর

৩৯০ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

পর্যাটন-সাহিত্যও প্রচুর। রকমারি উদ্দেশ্ট লইয়া জগতের নরনাতরী একালে ছনিয়ায় টোটো করিয়া থাকে আর এই ভবঘুর্যে-বিবরণী হইতে নানান জাতি নান! প্রকাঁ রসকস্‌ নিংড়াইয়া লইতে অভ্যস্ত এই কারণে “বর্তমান জগৎ”'-গ্রন্াবলীর শেষ ভুমিকায় এই তিন জন শ্রেষ্ঠ লেখকের যৎকিঞ্চিৎ পরিচয় দিতেছি

“লর্ড” আর লাট হইবার বভপৃর্বেধ ইংরেজ যুবা নাথানিয়েল কার্জন গোটা এশিয়াকে নখদর্পণে রাখিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন তাহাব ভ্রমণ- কাহিনীসমূহ একাধিক গ্রন্থে বাহির হইয়াছে রাশিয়া ইন্‌ সেপ্টযাল এশিয়া” গ্রন্তে (১৮৯৫ ) মধা এ'শরার খুঁটিনাটি বিবিত আছে। পারশ্রের অলিগলি ইংরেজ সমাজে শ্পরিচিত করিবার জন্ত তিনি “পাশিয়া আও দি পাশির়ান কোয়েস্চ্যন' রচনা করিয়।ছিলেন। তাহার «প্রবলেমস্‌ অব দি ফার 5ষ্ঠ”গ্রস্থ (১৮৯৪ ) জাপান, চীন, কোড়ীয্াকে বিলাতের নরনারীর নিকট খুলিয়া ধরিয়াছে। ১৮৮৪-৯৪ সনের ভ্রমণ- অভিজ্ঞতা তাহার নব প্রকাশিত আফগানিস্থান-বিষক গ্রন্থেও প্রতিষ্ঠিত।

এশিয়-সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ লে'ক-এশিয়ান বা ইয়োরামেরিকান -_ কাজনের সমান খুব অল্পই ছিল কিন্তুত্তাহার গ্রন্থগুলাকে খাটি ভ্রমণ-সাহিতারূপে বিবৃত করা! চলিবে না। ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলা লইয়া পরবস্তীকালে কয়েক বৎসর খাটিয়া আধা-এতিহাসিক আধা- ভৌগোলিক সাহিত্য স্থা্টি করা তাহার বিশেষত্ব এই হিসাবে “বর্তমান জগৎ্,'*্গ্রন্থাবলীব রোজনামচা বা ডায়েরি-রীতি কানের লিখন- প্রণালী হইচ্চে আগাগোড়া শ্বতন্ত্র . এই সাহিত্যে “রোজ আনা রোজ খাওয়া” প্রথা কায়েম করা হইয়াছে প্রায় কোথাও একদিনকার বাসি মালও রাখা হইয়াছে কিন। সন্দেহ শৃঙ্খলাবদ্ধ ইতিহাস বা এঁতিহাসিক ধারার বৃত্বান্ত প্রকাশ করা “বর্তমান জগৎ**বইগুলার মতলব নয়।

*বর্তমান জগং”-রচনার আবহাওয়া ৩৯১

অধিকন্থ ইংরেজ যুবা ছিলেন সাহিত্যের আসরে প্রধানত: বা একমাত্র রাষ্টনীতির বেপারী বর্তমান জগৎ" বাষ্টনীতি ছাড়া মন্তান্ত ঘাটেও ডিউড! লাগাইগ্রা পানি চাঁখিয়া দেখিতে সচেষ্ট

লর্ড কাজনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইয়া বাঙলার নরনারী ১৯০৫ সনে যুবক শারতের জন্ম দ্রি়াছে কাজেই হয়ত যুবক ভারত কাজন-সাহিতাকে স্থুনজরে দেখিতে চাহে কিনা সন্দেহ। কিন্ত ইংরেজদের শ্বদেশ-সেবক হিসাবে কাজনের কর্তব্যজ্ঞান আর শ্বজাতি- শ্রঘিতা যুবক ভারতকে শ্বদেশসেবার আর হ্বরাজ-সাধন।র নন নঘ। পথ দেখাইয়া দিতে সমর্থ অপর পক্ষে কাজনের যাগার জোর, প1িত্য, বিদ্য।ন্তরাগ বিজ্ঞান-গবেষণা অতি উচ্চাঙ্গের বস্তু অধিকস্ধ লিখিদ্ে- পড়িয়ে লোক হিসাবে কাচগ'ন যতখনি পরিশ্রঘ শ্বীকর করিয়াছেন, তাহ। দেখিলে যুবক ভারতও পরিশ্রমী অ'র কম্মযোগী হইতে শিখিবে বলিয়া বিশ্বাস করা চলে।

কাজনের ভ্রমব-সাঠিতা প্রচুর পর্সিমাণে আত্মবিশ্বাস, আত্মনিষ্ঠা, বাক্তিত্বের 'অহঙ্ক।র' ইত্যাদি সদগুণের প্রতিযুহি। সহজেই লোকেরা সাধারণতঃ এই সদ্গুণকে “মাত্মন্তরিত্ব” বা অহঙ্কারের অপদর্থে মহা- দে'বরূপে ধরির়া লঈতে হয়ত প্রলুব্ধ হইবে। কিন্তু মার্কিণ কবি ওয়াপ্ট হুবট মন প্রণীত “লীভস্‌ অব গ্রাস্‌” €( হণ-পন্র ) নামক কাব্য-গঞ্চে বা গগ্ভ-কাব্যে যে ধরণের “আমি, আমি, অহং, অহং” এর ধূয়া দেখিতে পৃ, কাজন-সাহিত্যের “অহ্ঙ্কার”ও অনেকটা যেন সেই ধরণের চীজ। এই চীজ 'ভারতীয় ম'হিত্্যেও অজানা নয় সে খগ.বেদ-অধর্ববেদের আমলে ছুনিরাকে লক্ষ্য করিয়া “পুরুষ” বলিতেছেন £--

“অহমশ্মি সমান উত্তরে! নাম ভূষযাম, | অভীবাড়শ্রি বিশ্বাবাড়, আশামাশাং বিশাষহি ॥৮

৩৯২, নয়৷ বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

অর্থাৎ “পরাক্রমের মূর্তি আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নামে আমায় জানে সবে ধরাতে, জেতা আমি বিশ্বজযী, জন্ম আমার দিকে দিকে বিজয়-কেতন উড়াঁতে ॥% কাজন-সাহিত্য এই বৈদিক “আধ্যাত্মিকতায়”ই ভরপুর যৌবনের অহঙ্কার এই রচনাবলীর প্রাণ। যুবক ভারতে এই সকল রচনা সমাদৃত হইবার যোগ্য। কাজ'ন যৌবনশক্তির অবতার

(২)

এইবার প্যের লতির কথা কিছু বলিব একালের গগ্ভ লেখকগণের আসরে ফরাসীর৷ লতিকে অন্ঠতম শ্রেষ্ঠ আসন দিয়! থাকে তাহার রচনাগুলা এক হিসাবে সবই ভ্রমণমূলক। ফ্রান্স-বিষ়ক এক বইয়ে আছে পিরেনীজ পাহাড়ের পল্লীজীবন চিত্রত আর এক বইয়ের কথাবস্ত ব্রিটানি প্রদেশের চাষী জীবন হইতে গৃভীত। লতির তিনখানা বইয়ে আফ্রিকার জনপদ নরনারী অমর হইয়। রহিয়াছে একখান। মরক্কো- বিষয়ক, একটায় সাহার! মরুর গল্প আর একটায় মিশরের পুরা-কাহিনী মূর্তি পাইয়াছে

এশিয়া-বিষয়ক বইয়ের ভিতর ভারত-কথা একটার আলোচ্য বস্ত। এক গ্রন্থের প্রাণ জেরুজেলেমের থুষ্টকথ1। দ্বই কেতাব লেখা হইয়াছে জাপান সন্বন্ধে। আর শ্তাম-দেশের “ওষ্কারধাম'” চতুথ' বইয়ের কথা জোগাইয়াছে

লতিকে কবি, ওঁপন্তাসিক বা আখ্যায়িকা-লেখক হিসাবে সম্বর্ধনা করিলেই তাহার রচনাবল'র যথার্থ ইজ্জৎ দেওয়] .হইবে। তাহার ভ্রমণ- কাহিনীগুলার ভিতর বন্তনিষ্ঠা চরম মাত্রায়ই দেখিতে পাই; মিথ্যা কথায়,

“বর্তমান জগৎ*্রচনার আবহাওয়া ৩৯৩

অলীক গল্লে বা আজগুবি কল্পনায় লাগাম টিল দেওয়া লতির উপন্থাস- শিল্পের অঙ্গ নয় কিন্তু তথাপি ভৌগোলিক, এ্রতিহাসিক বা নৃতত্ব-শ্ষিয়ক রচনা হিসাবে এই সমুদয় কেতাৰ ঘাটিতে বসিণে অন্তায় করা হইবে। সরস সুকুমাৰ সাহিত্যের উতক্কষ্ট নমুনা চাখিয়া দেখিবার জন্তই লতির সাহচর্য করা উচিত বলা বাঁভলা, “ন-্ম।ন জগৎ্”-গ্রস্থাবলীর ভিতরকার অন্রপ্রেরণা আর সাহিত্য-শক্কি বিলকুল অন্য ধরণের অধিকন্তু লতি প্রধানতঃ বা একমাত্র ধশ্ম, মন্দিব, কাঁরুকাধ্য পরকাল, হ্বর্গ-নর্ক ইত্যাদি লইয়া বাস্ত। বস্তনিষ্ঠ হইয়াও লতি ষোল আনা রোমান্টিক ঝা ভাবুক এই হিসাবে লতির মগজে আর কার্জনের মগজে আকাশ-পাতাল প্রভেদ কার্জন-্সাহিত্োে এশিয়ার শিল্প-ধন্মাদি বস্তব মতি শিরল। তাহ1 ভাড়া এশিয়ার সঙ্গে ইয়োরোপের পরস্পর-সন্বন্ধ বিষয়ে কাঁজন-নীতিধ উল্টা হইতেছে লতি-ন*তি লতি সব্বব্রই শ্বার্ধীনতার পুরোহিত আব কাজন চাহিতেছেন গোটা এশিরাহ হংরেজের প্রদত্ব-বিস্ত!র | লর্তির বইগুলা পড়িলে এশিয়ার নরনারী সম্বন্ধে “রোমার্টিক?, কবিত্বম* রহস্তপূর্ণ মানবজীবনের কঘেকটা দিক্‌ চিত্তাকর্পক চটকদার" রূপে ধরা পড়িবে ছাহাতে যারপরনাই একচোখো অতএব অসম্পূর্ণ ভ্রমাত্মক জ্ঞান জন্কিতে বাধ্য এই কথাট। বলিদ্াা রাখা আবশ্তক | কিন্তু কাজন-সাহুত্যে এশিঘ্পার যে সকল অঙ্গ খুলিয়া! ধরা হহয়াছে তাহাতে লতি-ম্থলভ উল্লাস, মনোহারিত্ব বা কাব্য-ঘে ষ৷ স্বপ্ন জাগিঘা উঠিবে না। তাহাতে বর্তমান এশিয়ার দৈন্ত-দারিদ্য আর দর্দশাই অতি নিষ্ুর কঠিন- কাঠোরভাবে পাঃকদের সন্ুথে উপস্থিত হন হয়ত বা এই চিত্রেও ংশিক সত্যই প্রকাশিহ হইছেছে' কিন্ধু এশিরা- বিষয়ক এই কেঠো ছেতো নিম্মম সত্যের ভিতরই পাঠকেরা সতোর পরিমাণ বেশী

পাইবে বলিয়। বিশ্বাস করি।

৩৯৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

পুর্ব্বেই বলিয়াছি,_-“বর্তমান জগত"-গ্রন্থাবলীর তথা তত্বরাশির ভিতর কার্জনের একবগ গা আলোচনা বর্ছজিত হইয়াছে সেইরূপ লতির একচোঁখো রোমার্টিকতা এই সকল বইয়ের ভিতর প1ওয়া! যাইবে ন1। মানবজীবনের “বত্রিশ বিদ্া, চৌবট্টি কল!" *সবই এক সঙ্গে, -হয়ত বা ছিটে-ফোটার আকারে-_গণ্ু.ষ করিবার চেষ্টা করিয়া?

হেডিনের পধ্যটন মধা এশিয়া, চীন আর তিব্বতের ভিতর সীমাবদ্ধ হেডিন-সাহিতো না আছে রাঈনৈতিক পিপাসা, আর না আছে ভাবুকতাময় উচ্ড্াসমর ধন্মান্ুসন্ধান। হেডিন আগাগোড়া ভৌগোলিক ভূগোলের চৌহদ্দি বাড়াইবার বিজ্ঞান হেডিনের একমাত্র উপান্ত। যে সকল দেশ পৃথিবীতে কেহ কথনো চোখে দেখে নাই, সেই সকল দেশের বন-নদী-মরু-পাহাড় আবিষ্কার করার শিল্পে হেডিন আজাবন সাধনা করিতেছেন। এহ হিসাবে কানের পারশ্ব-বিষয়ক গ্রন্থে হেডিন- শক্তিও কিছু কিছু দেখিতে পাই বলিতে পারি। কেননা পারশ্ঠে আসিয়! ভৌগোলিক অন্তসন্ধানে কার্জন বেশ খানিকটা হাত দেখাইয়াছেন। কিন্তু হেভিন পুরাপুরি ভূগোল-বর আর এই মহলে তাহার কৃতিত্ব তিব্বতী পাহাড়ের মতই উ'চুর্দরের জিনিষ।

একথা বলাই নিশ্রয়োজন যে, বর্তমান জগং*প্গ্রস্থাবলীর কোথায়ও এমন কোন মুগ্ুক নাই, থেটা কোনো মান্থুষ পুর্বে কখনো দেখে নাই এমন কি ভারতসন্তানের অ-দেখা বা অ-শুনা জনপদও এই ভ্রমণ- সাহিত্যের অন্তর্গত নয় ' সবই চেনা-শুন! ঠাই আর চেনাশুনা নরনারীর কাহিনী তবে বাঙলা স'হিত্যে ভৌগোলিক রস নেহাৎ কম। ম্যাটিকুলেশন পাঠ্য ভূগোল ছাড়া দেশদেশীস্তরের প্রক্কৃতি-তত্ব আর

“বর্তমান জগৎ”-রচনার আবহাওয়। ৩৯৫

বৃ-তত্ব আমাদের পাতে বড় একটা অন্ততঃ “সেকালে” পড়িত না। হয়ত বা এই হিসাবে নাঁনান্‌ দেশের, নানান জাতের, নানান্‌ ভাষাঁর বস্তনিষ্ঠ বিবরণ বাঙালীর পক্ষে খানিক্ট। নতুন বোধ হইলেও হইতে পারে বাহার! বস্তনিষ্ঠাৎ আদর করেন, তাহার। এই বাংলা বইগুলায়ও হেডিন-রীতি কিছু কিছু পাইবেন

তঠ।ৎ একটা কথা মনে পড়িয়া গেল! পারিসে থাকিবার সময় একজন ফরাসী পণ্ডিত বর্তমান লেগককে আর একজন ফরাসী পণ্ডিতের সঙ্গে পরিচিত করাইয়া! দিবার উপলক্ষ্যে বলিয়াছিলেন,--"এ এসেছে ভারত হ'তে কলাম্বসের চোখ নিয়ে চার 'মামাদের ফ্রান্স আর পশ্চিম মুন্লুক আবিষ্কার কর্তে 1” এই ধরণের উপমা বা তুথনা ইংল্যাণ্ডে, ইন্সাক্ষিস্থানে, ইতালিতে নানা দেশেই একাধিকবার শুনিতে হইয়াছে। অবশ্য কোন একট৷ ভালমন্দ মতামত বেমালুম হজম করিনা ফেল! এই অধমের হাঁড়মাসে লেখা নাই কাজেই “ভারতীয় কলান্বাস” উপাধি খাইয়া অথবা “কলাশ্বাসের চোখ” পাইয়া বিশেষ কিছু চঞ্চল হইয়া পড়ি নাই

(৪ )

তবে বর্তমান জগৎ্ট। “আবিষ্কার” করা যে যুবক ভারতের পক্ষে একটা মস্ত সমস্তা, সে বিনয়ে এই পবাটকের কোনো দিনত সন্দেহ ছিল না, এখনো নাই শ" ই-দেড়েক বৎসর ধরিয়া প্দর্তমান জগহ* ভারতাত্মাকে খুঃ জোরসে ঘারেন পর ঘা ল!গাইতেছে তবুও “বর্তমান জগৎকে পাকড়া« করিবার আস্তরিক আর বথোচিত প্ররাস ভারতীয় নরনারী করিস্বাছেন কিনা সন্দেহ নিশ্বশক্তির সন্ধ্যবহার সম্বন্ধে ভারত- সন্তান বড়ই উদাসীন এই সম্বন্ধে নানা কণা নানা উপলক্ষ্যে বলিয়াছি বাংলায় ইংরেজিতে,

৩৯৬ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

শা শর শী পি স্পা শপ পিল পপি পরা পা পাস পসরা ছি শা লী পি লীন লাস্টিল লিস্ট তা

জাপানী চরিত্রে আর ভারতীয় চরিত্রে এই ক্ষেত্রে জবর প্রভেদ চুতরাং প্ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ” আ'র শিক্ষাদীক্ষা সব কিছুই ভারতবর্ষের জন্য আবিষ্কার করিবার আকাঙ্জা লহয়াই ভবঘুর্যেগিরি করিতে বাহির হইয়াছিলাম। ছুনিয়ার জলস্থলনভোমগ্ুলের আর জীব-জন্ত-তরুলতার কতটুকু এই “বর্তমান জগৎ*-গ্রস্থাবলীতে দখল করিতে পার! গিয়াছে ভাহার কথা শ্বতন্্। আকাজ্ষাটার কথা বলিয়া রাখিলাম মাত্র

আগে একবার বল! হইয়াছে যে, এই গ্রস্থাবলী এক বিপুল গ্রন্থের মালমশল! বা স্ছচীপত্র বিশেষ | সেই গ্রন্থ এই হারতে কোনো! দিন লেখা হইবে কিন! জানি না। হয়ত যুবক বাঙলার কোনে! কোনো গবেষক- পর্যটক এই ফরমায়েস সঙ্কেত মাফিক কাজ চালাইয়া' বর্তমান পর্যটকের অলিখিত গ্রন্থটা বাঙালী জাতিকে উপহার দিতে উৎসাহী হইবে

বিশ্বশাক্তকে শক্তমুঠায় পাকড়াও করিবার উপর ভারতের আত্মিক, আধিক আর রাষ্টিক শ্বাধীনও1 পুরাপু'র নির্ভর করিতেছে কাজেই বর্তমান জগৎ”সম্বন্ধে অন্ুসন্ধীন-গবেষণা সাহত্য-সংসারের বিলাস-সামগ্রী মাত্র নয়। বহুসংখ্যক চুদরের বাঙ্গালী-মগজকে বিজ্ঞান সাধনার এই কর্মক্ষেত্রে সমবেতরূপে মোতায়েন রাখিতে পারিলেই কাজ হাসিল করা সম্ভবপর হইবে

নান। ঘাটের জল

১৯১৪ সনের এপ্রিল মাসে বোম্বাই ছাড়িয়াছিলাম। ১৯২৫ সনের সেপ্টেম্বর মাসে বোম্বাই ফিরিয়া আসিয়াছি।

এই সাড়ে এগার বৎসর ধরিয়া ক্রমাগত নানা ঘাটের জল খাইয়াছি আর দনান! বর্ণের নান আশ্রমের লোকজনের সঙ্গে জীবন

“বর্তমান জগৎ»”"্রচনার আবহাওয়া ৩৯৭

কাটাইয়াছি। ন্বাধীন, পরাধীন, নিম-ন্বাধীন সকল প্রকার জাতিই অভিজ্ঞতায় ঠাই পাইয়াছে: গরীব লোক, বড় লোক, মামুলি লোক, নামজাদা লোক, পথের কাঙাল হইতে রাজকুমার পর্যাস্ত কোন লোকই নিবিড় আত্মীয়তার গণ্ডীতে বাদ পড়ে নাই।

সকলের সঙ্গে মেল-মেশেই পাইয়াছি মধুর ব্যবহার আর বন্ধুত্বের সম্বন্ধ. সর্বত্রই, সকল সমাজেই, এমন কি বিলাতেও নরনারীর সঙ্গে লেনদেনগুলা অকপট সৌহাদদ্য আনন্দের গ্রতিমুন্তিই ছিল

কাজেই বিফলতা, নৈরাশ্ঠ, গুঃখবাদ বুকভাঙ্গা বেদনার দর্শন আর যুক্তিশান্্র লেখকের মজ্জায বসিতে পারে নাঠ॥ জগতের নরনারীকে সন্দেহ চোখেই দেখিতে অভ্যস্ত হহপ্নাছি। আর পুথিবীকে, পোলাখুলি, মোটের উপর, নানা ছ্ঃখদাবদ্র্য-গোলামী-নিধ্য।তন-নিপাড়ন-হিংসা- পরশ্কাতরতা নিমকহারা।মে সন্ধে ৩,কুখের আস্তানারূপে প্রচার করাই হ্বধন্মে দীড়াইহা গিয়াছে তাই লিখিয়াছি,-

এই' পৃথবী হ্বর্গ আমার

ছাড়ব নাক" আমি এরে, নদ্া ছুনিরার তল্লাসেও

দিল্‌ 'দিবনা ছেটে | চাপ বুক কাল বটে,

দয়ে নাই অগ্রিহার, নাসায় বয়না প্রাণের নিংশ্বাস

পোড়। পাহাড় মৃত্তি তার। হয্যালোকে দীপ্ত সে যে

ময়ূর পাখার কাকের মতন,

৩৯৮

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ধরার যমজ বোন যদিও

ঈদে বসেন আমার মন। “মাএ করছে জগত সৃষ্টি

“লোর়েল” বশ্বামিত্র সম. কলিকাল+__তাই এড়াচ্ছে সে

'ধী* দগ্ি নরমম মাস-এর উত্তর-দক্ষিণ মেক

বরফ-চাপে রয়» ঢাকা, বসন্তে এই বরফ-গল।

জলেই সেথায় জীবন রাখ। : হাজার হাজার মাইল নাকি

খাল কেটেছে “মাস”+বাসী,- শশ্তশ্তামল মহামিশর ,

গড়েছে সে 'মাস-ধাষি ! প্রাণভরা খোল৷ বাতাস

পাব কি সেই “মাস "দেশে দিবারাত্রি যখন তখন

শ্বাধীন খেয়াল উঠলে হেসে? প্রাণের থেয়াল মটিয়ে তাই

মুক্ত নীলাকাশের তলে হুয্যের আগুন বুকে করে?

থাকৃব আমি ধরার কোলে

এই সাড়েএগার বৎসর ধরিয়া অন্ান্ত কাজের সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার কেন্দ্রে কেন্দ্রে যুবক ভারতের কর্মক্ষেত্র ছুড়িয়া৷ বাহির করিতে সচেষ্ট

“বর্তমান জগৎ*-রচনার আবহাওয়া ৩৯৯

ছিলম। ভারতাত্মার প্রতানাধ ত্বপ্ণপ কোথাও বা এক টুক্রা পাথর, কোথাও বা এক ছটাক গ্রকি, কোথ1ও ধা একটা কড়ি বা বর্গা, কোথাও বা একটা ছোট খুঁড়ে খপ রাখিয়া আসরাছ। আজকাল এইদিকে অন্।স্তের পৃষ্টি কছু 'কছু পড়িতেছে জগতে নানাস্থানে এহক্প সমবেত চেষ্টায় একটা বর্তমান যুগের পবৃহত্ওর শাপত” গাড়য়া উঠিতেছে। এই “বৃহলক ভাৎতে”র ইদুড় ইমারত তৈরি করিবার জগ্ত যুবক বাঙলা হইতে দলে দলে প্রবাসাভিঘান গুরু হউক | ভারত-সন্তান কোথাও নেহাৎ আত্মাদ্-হান বন্ধুবান্ধব-হানরূপে জীবন থাপন কাপতে বাধ্য হহবে না, এহবপ বিশ্বাস করবার মতন সাহস রাখি

শিক্ষাবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ধনবিজ্ঞ (ন

১৯০৫-৭ সনের আবহাওয়ায় সুর করিয়।ছিলাম “শিক্ষাবিঞ্ঞান”ত সাহিত]। তাহাএ পরিকল্ননায় নব-প্রস্থত যুবক বাঙলার উৎসাহ, & ভাবুকতা সতসাহস মুন্ভি পাহযাছিল। ঘঢনাচক্রে তাহাকে পরিণতির দিকে ল্যয়া আসিবার হ্যোগ সময় জুটে নাই। অধিকস্ত এই বিশবাইশ বৎসরের ভিতর আসল কন্মক্ষেখজে সেই শিক্ষাবিজ্ঞানের যথোচিত যাচাহয়ের সখোগ জুটিয়াছে বলির বিশ্বাস করিতে পারি না। যাহাহউক, এই অসম্পূর্ণ তার কথা সব্বদা মনে পড়িতেছে।

তাহার পর ১৯১৩ সনে সংস্কৃত “শুক্রনীতি"র ইংরেজি অন্বাদ প্রকাশিত করি তখন হইতে তুলনামুলক ইতিহাস, সমাজ-তত্ব আর রাষ্ট্রনীততির নানা মহলে অন্ুসন্ধান-গবেষণা আর পঠন-পাঠন চলিতেছে। এশিয়ার আর হয়োরামেপিকার একাল-সেকাল এক সঙ্গে আলোচন! করা এই সকল ইংরেজি, বাঙলা, ফরাসী জাম্মাণ রচনাবলীর উদ্দেশ্থা।

৪০৩ নয়া বাঙলার গোড়। পত্তন

সম্প্রতি কয়েক বৎসর ধরিয়া বিদ্যা-চচ্চাও সাহিতাসেবার আর এক মুনুকে চলাফেরা করিতেছি | বোম্বাইয়ে নামবার পরই *ইগ্ডয়ান্‌ ডেলি মেল” (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫; কাগজের প্রতিনিধিকে যে সব কথ বলিয়াছি, তাহার ভিতর এই বিষয়ে কিছু উল্লেখ আছে। প্রথমতঃ আস্তর্জীতিক লেনদেনের জ্ঞানকাণ্ড কর্মকাণ্ড আজক।লকার সাধনায় উচ্চস্থান অধিকার করিতেছে দ্বিতীয়তঃ, ধনাবজ্ঞান আর আথিক জীবন-সম্পকিত গবেষণায় আর আন্দোলনেও প্রচুর সময় দিতে হইতেছে

এই ছুই ধারার কম্ম বিদেশে থাকিতে থাকিতেই মরু হইয়াছে তাহার চিহ্ন “ইকনমিক ডেহ্বেলপ.মেণ্ট৮” আর পলিটকৃ্স্‌ অব বাউগ্ডারীজ” নামক ছুই গ্রন্থ। দেখ। যাউক এই দিকে কত দুর অগ্রসর হওয়। যায় «১৯১৪ সনের গোড়ার দিকে বে বাঙলা দেশ দেখিয়া গিয়াছিলাম, তাহার তুলনায় আজকার বাঙলা! দেশ ঢের উন্নত, বিস্তৃত গভীর বাঙলার নরনারী কর্তব্যজ্ঞানে, কম্মদক্ষতায়, ব্যবসা-বুদ্ধিতে, শিল্প-কন্মে, বিদ্যাচচ্চাঘ্, সাহিত্য-সেবায় অনেক দূর উঠিয়াছে। ১৯০৫।৭ সনের ভাবুকতায় ষে সকল লক্ষ্য আদর্শকে আমর! আমাদের জীবনের ধ্রবতার1 বিবেচনা করিয়া চলিতাম, তাহার কিছু কিছু আজ কাধ্যে পরিণত দেখিতেছি। বাঙালী জাতি এত বাড়িয়াছে যে, ছুই বৎসরের ভিতরও এই ক্রমিক বৃদ্ধির সকল অঙ্গ সম্পৃণরূপে খতিয়ান করিয়া উঠিতে পারিলাম না। ইহা যারপর নাই আশাপ্রদ আননের কথা

বাঙালী আজ এক উচ্চতর ধাপে অবস্থিত। এই ধাপের জন্য জীবনের উচ্চতর আদর্শ লক্ষ্য আবশ্ঠক আর সেই আদর্শ লক্ষ্য

*বর্তমান জগৎ”শরচনার আবহাওয়া ৪০১

শি

মাফিক চিন্তা কাজ চালাইবার জন্য উচ্চতর সমালোচনা আর মাপকাঠিও আবশ্ক এই উচ্চতর আদর্শ, লক্ষ্য, সমালোচনা আর মাপকাঠির যুগেও আবার বঙ্গজননীর উপযুক্ত সেবক থ।কিতে পারিলেই জীবন ধন্ত বিবেচনা করিব

কাশী, সেপ্টেম্বর, ১৯২৭

১৬

বিদেশ-ফের্তীর অত্যাচার *

(১) বিদেশে ভারত-সস্তানেরা বাহ! কিছু করিয়াছেন বা করিতেছেন মাঝে মাঝে তাহার কিছু কিছু পরিচয় দিবার চেষ্টা করিয়াছি মাত্র। সংবাদ হিসাবে এই সকল কৃতিত্বের বিবরণ প্রকাশ করা গিয়াছে। কোনে! কর্মবিশেষের সমালোচনা অর্থাৎ ম্-কুর আলোচনা! করা এই সকল বিবরণের উদ্দেশ্য নয়। বাস্তব ইতিহাসের তথা সঙ্কলনের তরফ হইতে লৌকজনের নাম কাম একত্র কর! হইয়াছে মাত্র। অবশ্ত সকল পধ্যটকের সকল প্রকার কথাই আমার নজরে পড়িয়াছে এরূপ বুঝিতে হইবে না। কোনো বাক্রি-বিশেষের বা বিস্তা-বিশেষের বা ব্যবসা-বিশেষের স্বপক্ষে টালিয়া৷ এই সমুদয় সংবাদ সংগ্রহ করা হয় নাই। অধিকস্ত, কোনে! দল- বিশেষের, জীতি-বিশেষের বা! প্রদেশ-বিশেষের গুণ গাহিবার দিকেও লক্ষ্য ছিল না। কি পধ্যটক, কি বেপারী, কি ছাত্র-ছাত্রী, কি গবেষক, কি বক্তা, কি লেখক, কি রাষ্্রনৈতিক প্রচারক,--সকলেরই বিদেশ- সংক্রান্ত জীবন-কথা ছু ইয়! রাখিবার চেষ্টা করা গিয়াছে। ) সম্প্রতি দেশ হুইতে নানাপ্রকার খবর পাইতেছি। কানাঘুষায় প্রক্শ যে,-আমাদের বিদেশ-ফের্ভতারা দেশের উপর জুলুম

* এই প্রবন্ধ প্রধমধারকার বিদেশ-পর্যটনের শেষ রচনা, ইতালির বোল্‌ৎসানোর লেখা হুইয়াছিজ ১৯২৫ সনের জুন মাসে। তখনও দেশে কবে কেরা হইবে অথবা! শীঘ্র ফেরা হইথে ফিন! ঠিক জানা! ছিল না।

বিদেশ-ফের্ভার অত্যাচার ৪০৩

চালাইতেছেন বাদশাহী-মেজাজে চোখ রাডাইয়া জনসাধারণকে কাবু করিবার প্রবৃত্তি তাহার্দের চরিত্রে দেখা! যাইতেছে

সকল" বিদেশ-ফের্ডী সম্বন্ধেই এইবপ কুখ্যাতি রটয়াছে এরূপ সন্দেহ করিবার বোধ হয় কারণ নাই। কিন্তু হয় বা! কেহ কেহ, যে সকল ভারতধামী বিদেশ দেখেন নাই তাহাদের উপর চাল" মারিতেছেন। বিদেশফের্তাদের সঙ্গে কখাবার্ঠ! চালাহবার সময় নাকি অন্ঠান্তেরা কিছু ভয়ে ভয়ে চলিতে বাধা হন।

কখএ কথায় নাকি বিদেশফের্ত।রা বিদেশের নজির দিয়া থাকেন। বিদেশ-প্রবাসের 'অভিজ্ঞতা, বিদেশী ভাষার পাগ্ডিত্য, বিদেশী-বিদেশিনীদের সঙ্গে চিঠি-বিনিময়ঃ বিদেশী পণ্ডিতদের সঙ্গে বন্ধুত্বের গল্প-শুজব,--ইতাদি তথ্যের জোরে বিদেশ-ফেন্তারা অস্তান্ত নরনারীকে অপ্রতিভ “কানা” করির। ছাডিতেছেন শুনিতেছি সঙ্গে সঙ্গে তাহাদের দেমাকও হু-্ছু কবিরা বাড়িয়া চলিয়াছে

প্রতোক গ্রদেশে এবং বড় বড় সহবেই নাকি এইরূপ দুই চার দশ বিশজন বিদেশ-ফের্ভা “ধরাখানাকে সরা" জ্ঞান করিতে প্রলুন্ধ হইতেছেন। দেশ, ধর্ম, বিদ্ভা, ব্যবসা! ইতা।দি সকল বিষয়েই ইহারা একমাত্র “বোদ্ধা" এইরূপ ইহাদের বিশ্বাস। অন্তান্ত নরনারী নাকি এই বোদ্ধাদের গরমে অস্থির এক নূতন আপদ 'ও অত্যাচার

( )

ধাহারা বেদাস্তবাগীশ এবং অহিংসা-ধন্ী, তাহারা এই অবস্থায় হর দেমাকী লোকজনকে ডাকিয়া হিতোপদেশ শুন।ইতে প্রবৃন্ত হইবেন। তাহারা বোধ হয় বলিতে থাকিবেন £--“দেমাক করা কি ভাল? নাহঙ্কারাৎ পরো রিপুঃ দেশের লোকের। সকলেই ভাই ভাই এক

৪০৪ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

ঠীই। না হয় তুমি কিছু বেশীই বা! জান, তাই বলিয়া অপরকে কি তুচ্ছ করিতে আছে 1? ছিঃ” ইত্যাদি।

কিন্তু অহঙ্কারী লোকের চিত্ত বিশ্লেষণ কর! বর্তমান লেখকের মতলব নয়। অথবা দেশের নরনারীকে “রাগঘ্েষ"্শুন্তা “সত্যযুগের” দেবদেবীতে পরিণত করিবার যন্ত্রপাতি লইয়া! খাটা-ধাটি করাও তাহার ব্যবসা নয়। ধাহারা স্থনীতি-কুনীতির চচ্চা করিয়া থাকেন তীহারা বর্তমান ক্ষেত্রে তাহাদের যাহা ইচ্ছা! তাহা! করিতে পারেন। বদি লাভ হয়, ভালই

তবে ভারতীয় বিদেশ-ফেত্তীদদের ভিতর দেমাকী লোক আছেন,_- এই তথ্যটা একমাত্র “নীতি”, “ধর্ম”, “চরিত্রবতা ইত্যার্দির মামলা নয়। বিদেশের সঙ্গে ভারতবর্ষের লেন-দেন একটা অতি-বড় কাণ্ড এই কাণ্ড ক্রমশই আরও বড় হুইঘা চলিবে কাজেই, বিদেশফের্তাদের সঙ্গে অন্তান্ত ভারতবাসীর যোগাযোগ একট! মস্ত প্রশ্ন গোট। সমাজকে বা দেশকে এই সমন্তাটা এক বিস্তৃততর গভীরতর ক্ষেত্র হইতে সম্ঝিয়া দেখিতে হইবে। এই হিসাবে “নীতি,” প্ধর্ম্্, “বেদাস্ত”, “হিতোপদেশ” ইত্যাদির ধান্ধ! ছাড়িয়। দিলেও বিদেশফের্তাদের লইয়া সকল ভারত- বাসীরই কিছু কিছু মাথা ঘামানে! আবশ্তক |

(৪) “সেকালে” বিলাত-ফের্ীরাই ভারতের একমাত্র ব৷ প্রধান বিদেশ- “ফেরত! ,.ছিলেন। আজকাল ইয়োরামেরিকার সকল দেশ, বস্ততঃ দুনিয়ার প্রায় সকল দেশই ভারতীয় বিদেশ-ফের্ভাদের কিছু কিছু করিয়া কবজায় আসিয়াছে আগেকার দিনে প্রধানত: ছাত্রেরাই ছিলেন বিদেশ-ফের্তী

বিদেশ-ফের্তার অত্যাচার ৪০৫

আজকাল প্রায় সকল বাবসা এবং সকল বয়সের লোকই বিদেশ-ফের্তী হইয়াছেন

সেকালে বিদেশ-ফের্তারা প্রধানতঃ হইতেন বড বড় সরকারী চাকরো বা! ব্যারিষ্টার তাহারা একঘরোে হইয়া থাকিতেন এবং নিজেদের গণ্ভীর ভিতর একটা জাত গড়িয়া তুলিতেন। আজকাল চাকরো্যে ছাড়াও অন্তান্ঠ জীব বিদেশ-ফের্তাদের ভিতর দেখা যায়। “বিদেশ-ফেডাদের জাত” এখনো বোধ হয় কিছু কিছু শ্বাতস্ত্য রক্ষা করিম চলিনা থাকে তবে সেই গণ্ডীর বিশেষত্ব অনেকটা ভাঙ্জিয়া আসিয়াছে, বিশ্বীস করি।

এই সকল কথা ১৯১৫ সালের পরবত্তী দশ বৎসর সম্বন্ধে প্রধানভাবে খাটে ১৯৫ সলেপ যুগে অবশ ভারতীয় বিদশ-ফের্বাদের এই নবযুগের হুত্রপাত |

(৫)

বিদেশ-ফের্তার। অহঙ্কারী কেন হন? প্রথম কথা,--ভীহার। টীক। রোক্তগার করেন কিছু মোটা হারে বাহাদের বেতন পুরু তাহারা দেমাকী। “রুধিরের” দস্তরহই তাই, একালে সেকালে, শ্বদেশে বিদেশে।

কিস্থ সকল বিদেশ-ফের্ভাই মোটা মাহিম্ানা পাইতেছেন কি ঝা উ.চুদরের স্বাধীন রোজগার করিতেছেন কি ? কখনই না'। যাহারা কোনে! দিন বিদেশে পা মাড়ান নাই তাহাদের অনেকেই বিদেশ-ফের্তাদের চেয়ে বেশী রোজগার করিনা থাকেন কাজেই, “তঙখার* তরফ হইতে বিদেশ-ফের্তাদের দেমাকী হওয়া আহাম্মুকি

৪০৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

উত্তরটি লা সপ শা তি লি শিখি লাখে আর ৩৯ 2৬ সি নি সি লেজ, রি লী কস কস্িতি লিলি অতি লী

(৯)

দ্বিতীয় কথা,_-ভাষায় অভিজ্ঞতা যীহার। আমেরিকা হইতে শ্বদেশে ফিরিয়াছেন তীহারা বোধহয় ভাষার “জা ক” করেন না। ফরাসী এবং জান্মাণ তাহাদের কেহ কেহ হয়ত উচ্চতম শিক্ষালয়ে কিছু কিছু গিলিতে অভযস্ত। কিন্তু তাহা সত্বেও এই সকল ভাষায় “পাণ্ডিত্য” তাহাদের দেমাকের খোরাক জোগাইতে পারে না

ধাহারা বিলাতের বাহিরের ইয়োরোপে কিছুকাল কাটাইয়৷ গিয়াছেন তাহার। ফরাসী জার্মাণ এবং ইতালিয়ান শিখিয়াছেন সন্দেহ নাই কিন্ত কতথানি শিথিয়াছেন ?

আমাদের দেশের বি, এ, বি, এস্‌ সি, এমন কি ইণ্টার্ফীডিয়েট বা মাটি কুলেশ্টান ক্লাদে আমরা যতটুকু বা ষতথানি ইংরেজি শিখি ততটুকু বা! ততখানি ফরাসী, জাম্্নাণ এবং ইতালিয়ান দখল কর! কয়জন ভারতীয় বিদেশ-ফের্তার পক্ষে সম্ভবপর হুইয়াছে তাহা ভাবিয়া দেখার কথা। কথাট। খুলিয়া বলা আবশ্তক

ইংরেজি ভাষার সাহায্যে ফ্রান্স, জাম্্মীণিঃ ইতালি ইত্যাদি দেশের গণ্যমান্ ঘাঁটিতে অনেক কাজই চলিয়া যায়। কাজেই ভারতীয় বিদেশ- গ্রবাসীরা প্সম্ভায় যাহা সম্ভব" সেই দিকেই ঝুঁকিয়া থাকেন মান্ুষ "সর্বাপেক্ষা কম বাধার পথটা” ঢু ট়িতেই অভ্যস্ত নতুন নতুন ভাষা শিখিবার চেষ্ট। চলিতে থাকে বটে, কিন্তু এই চেষ্টা 'বেশী দূর অগ্রসর কয় না।

পাস

(৭) অধিকস্ত ভাষা গুল! দখল করা কঠিন। ইংরেজির সঙ্গে করাসীর কিছু কিছু যোগ আছে। কিন্তু ইংরেজির সঙ্গে জার্্মীণের একপ্রকার কোনো

বিদেশ-ফের্তার অত্যাচার ৪০৭

যোগ নাই আর ইতালিয়ানের সঙ্গে জাশম্মাণের সম্বন্ধ ধর্তবোর মধ্যেই গণা নয়। ফরাসী ইতালিয়ানকে যদিও ছুই ল্যাটিন “বোন” বলা হইয়া থাকে, তথাপি ফরাসী-জানা লোকের পক্ষে ইতালিয়ান পড়িতে হুইলে প্রতোক লাইনে তিনবার করিয়। অভিধান খুলিতে হয়

ভাষা-বিজ্ঞানের নজির দেখাইয়া, ব্যাকরণের তুলনা চালাইয়।, শব্ষের খ্যা গুণিয়া ইংরেজি, ফরাসী, জার্্মাণ ইতালিয়ান এই চার ভাষায় “বৈজ্ঞানিক আত্ম'য়তা” প্রতিষিত করা সম্ভব। কথা অস্থীকার করি না। কিন্তু ভাষা শিখিবার মেহনৎ যখন চোখের সম্মুখে উপস্থিত হয় তথন বলিব যে, ইংরেজি-জানা ভারত-সন্তানকে অপর তিনটা ভাষার জন্য তিন তিনবাব নতুন করিয়। গলদ্ঘশ্ম্ হইতে হয়।

ধরা বাউক, কেনো বাক্িি' ফ্রান্সে দেড়, ছুই বা তিন বৎসর কাটাইল। আর ফরাসী ছাড়া অন্য কোনো ভাষার দিকে সে নজর দিল না। তথাপি সে ফরাসী ভাষায় নিতু 'ল চিঠি বা প্রবন্ধ লিখিতে পারিবে কি না! সন্দেহ আটপৌরে কথাবার্তী চালান কঠিন নয়। কিন্তু ষে হাটে দশ বারক্গন ফরাসী নর-নারী কোনো! “অপরিচিত” বিষয়ে খোসগল্প চীলাইতেছে সেই হাটে বসিয়া তাহাদ্দের রসে যোগদান করা সহজ বিবেচিত হইবে না৷

(৮)

তবে একমাত্র ভাষা শিক্ষা করাই বদি মতলব থাকে তাহা হইলে কথা শ্বতন্ত্র। অথবা এমন কি, ঘি ভারতীয় তরুণ-তরুণীর বয়স বিশ বাইশের বেশী না হয় এবং অন্তান্ত কাজের চাপ কম থাকে তাহ! হইলে নতুন দেশে বসবাসের ফলে বিদেশী ভাষাটা “রণ” করা অসাধাসাধন বিবেচিত হইবে না। কিন্তু যে সকল ভারতবাসী ত্রিশ বত্রিশ বৎসর বয়সে বিদেশে আসেন এবং নানা ধান্ধা মাথায় লইয়া আসেন তীহারা দেড় ছুই

৪৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

বা এমন কি তিন বৎসরেও একটা বিদেশী ভাষায় “পণ্ডিত" হইতে অসমর্থ।

বিদেশী কাগজপত্র এবং কেতাব ঘ'টিবার ক্ষমতা জন্মে সন্দেহ নাই বিদেশী চিঠি পড়িয়া বুঝিবার ক্ষমতাও দেখা দেয়। কিন্তু বিদেশী ভাষায় চিঠি লেখা অথবা প্রবন্ধ রচনা করিতে অগ্রসর হওয়া “পাপের ভোগ” বিবেচিত হইতে বাধ্য কথাগুল! সাধরণ ভাবে বলা হইতেছে ব্যতিরেক আছে সন্দেহ নাই, তবে প্রত্যেক ব্যতিরেকেরই কোনো না কোনো “বিশেষ” কারণ দেখানোও সম্ভব

এখন জিজ্ঞান্ত এই,- যে সকল ভারত-সস্তান স্বদেশে বসিয়াই ফরাসী, জান্দীণ বা ইতালিয়ান এবং রুশ বা! জাপানী পড়িতেছেন তাহারা বিদেশ- ফের্ভাদ্দের চেয়ে “ভাষার অভিজ্ঞতা” হিসাবে কম কিসে? তাহারাও বিদেশী ভাার কাগজপত্র এবং কেতাব টিবার ক্ষমতা রাখেন। বিদেশী ভাষার চিঠি পড়িবার ক্ষমতাও তাহাদের জন্মে দরকার হইলে ছুই চার দশ লাইন ফরাসী বা জান্্মাণ লিখিতে যে তাহারা অসমর্থ এরূপ বুঝিবার কোনো! কারণ দেখি না। অবশ্ট “কথা বলিবার” অভ্যাস তাহাদের নাই। কিন্তু ভারতে বসিয়া বিদেশী ভাষায় কথ! বলিবার দরকারই বা পড়ে কখন্‌?

কাজেই ভাষা লইয়া বড়াই করা বিদেশ-ফের্ভাদদেরে আর এক আহাম্মুকি। আর, সমাজের তরফ হুইতেও বিদেশ-ফের্ভার্দিগকে লইয়! নাচা-নাচি করা! অবিবেচকের কাধ্য। দেশের নর-নারী এই কথাট! বুঝিলে বিদেশ-ফের্ভারা আপনা আপনিই “টিট”” হইয়া আসিবেন।

(৯)

বিদেশী নরনারীর! ভারতে কয়েক মাস বা কয়েক বৎসর কাটাইয়া

স্বদেশে ফিরিবার পর ভারত সম্বদ্ধে বক্ততা করেন অথব! কেতাব লিখেন

যিদেশ-ফের্তার অত্যাচার ৪০৪৯

স্পা ০৯৯ পাপ সপ পপ পা

এই সকল কেতাব বক্ত তা ভারতবামীর পক্ষে অনেক সময়েই পছন্দসই নয়। সমালোচনার উপলক্ষ্যে আমরা সাধারণতঃ বলিয়৷ থাকি £-- “লেখক বা বক্তা ভারতের তথ্য বেশী কিছু. জানেন না। রেলে উীমারে উ্রীামে বাঁসয়া আমাদের দেশ সমাজ সম্বন্ধে যতটুকু দেখাশুনা যায় তাহার বেশী অভিজ্ঞতা, এই সকল বিদ্বেশী পর্যটকের নাউ ইত্যাদি ভারতীয় বিদেশ-ফে্তীদের ধবদেশবষয়হ অভি্কত। ননন্ধেও বিদেশী- বিদেশিনীরা ঠিক এইরূপ সমালোচনা করিতেই অধিকারী নয় কি? বান্তবিক পক্ষে, ভারত-সন্তানদের ভিতর ধাহারা বিদেশ-পর্যটটন করিয়াছেন সাহারা বিদেশ-সম্বন্ধে কতখানি জানেন? এই প্রশ্নটা ভারতীয় সমাজে তলাইয়া জ।ইয়া' অ।লোচনা করা দরকার এই দিকে আমাদেব যথোগিত দৃষ্টি পড়ে দাই।

(১৪ )

আলোচনা কর!ও বড় সহজ নয়। যে সকল ভারতী বিদেশ-ফের্তা বিদেশ-পর্যটনের ডাম্পেরি ছাড়িচ।ছেন তাহাদের রচন। এই হিসাবে প্রধান সার্মী। ইংরেজি, বাংল! বা হিন্দীতে এই বিদেশ-সাধ্ত্যি অল্পবিস্তর গড়িয়া উঠিতেছে।

কিস্ত একমাত্র এই সাহিত্যের উপর নির্ভর করিলে বিদেশ-ফের্তাদের প্রবাস-জীবন-সন্বন্ধে নেহাৎ কম পরিচয় পাওয়া যায়। যতটুকু পাওয়া যায় তাহাতে এই বুঝি যে, এই জীবন অতি অল্প পরিমাণ অভিজ্ঞতার ছাপ পাইরাছে। আর এই অভিজ্ঞতার গণ্তীও অতিশয় সঙ্গীর্ণ

ভ্রমণ-বৃন্তাস্তে ষে সকল অভিজ্ঞতা ঠাই পায় নাই সেই সমুদয় জানিবার উপায় পর্যটকদের সঙ্গে মৌখিক আলোচনা করা। কিস্থ হাভার হাজার

৪১৩ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

বেপারী, পধ্যটক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ভিতর কয়জনের সঙ্গেই বা “ভিতরকার কথা”-গুলা স্পষ্টাম্পষ্টি আলোচন! করা সম্ভব ?

যাহ1 হউক, চীনে, জাপানে, বিলাতে, আমেরিকায় এবং ইয়োরোপের নান1 দেশে নানা শ্রেণীর এবং নান! জাতির ভারতীয় মোসাফিরদের সঙ্গে কমবেশী ্োআ-ছু তি করা গিয়াছে দূর হইতেও কিছু কিছু লক্ষ্য করিবার সুযোগ জুটিয়াছে। অধিকস্ব, পরম্পর পরস্পরের চলাফেরা, লেন-দেন ইত্যাদি সম্বন্ধে যাহা কিছু বলাবলি করেন তাহারও কিছু কিছু কানে পৌছিয়াছে। তাহা ছাড়া নিজের দেখাশ্ডনার দৌড় হইতেও অন্তান্য দশ বিশ জনের দৌড় সম্বন্ধে খানিকট! আন্দাজ করা সম্ভব

১১ 0)

ভারতীয় বিদেশ-ফের্ভীর। বিদেশে প্রধানতঃ তিন মুভিতে দেখা দেন। প্রথমত:-_বেপারী, দ্বিতীয়ত:__পর্যযটক, তৃতীয়তঃ__ছাত্র। বিদেশী সমাজ, গাষ্, পরিবার ইত্যাদি সম্বন্ধে এই তিন শ্রেণীর লোকের কাহার কতটুকু বা কতখানি বস্তনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা জন্মিবার সম্তাবন! ? ব্যতিরেকগুল1 ছাড়িয়া দিতে হৃইবে বলাই বাহুল্য আলোচনা করা যাউক।

বিদেশী বেপারীর! ভারতে গণ্যমান্ত লোক। প্রথমতঃ, তাধারা বড় বড় ব্যবসার কর্ণধার ; কাজেই, পয়সাওয়ালা লোক। দ্বিতীয়তঃ, তাহারা মুখ্যতঃ অথবা গৌণতঃ একট উচ্চতর জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষা -দীক্ষ। সভ্যতার প্রতিনিধি

কিন্ত বিদেশে ভারতীয় বেপারীদের ইজ্জৎ আছে কি? এমন কি, জাপানেও তীহারা বড় বিশেষ প্রতিপত্তবিশালী লোক নন। ইয়ো- রামেরিকার দেশগুলার কথা স্বতন্ত্ব। অধিকস্ত পয়সাওয়ালা ভারতীক়

বিদেশ-ফের্তার অত্যাচার ৪১১

বেপারী বলিলে বুঝিতে হুইবে পাশীদিগকে কিন্ত পার্শারা বিদেশে ভারত-সম্তান নামে পরিচিত কিনা সন্দেহ

অন্তান্ত ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিদেশীদের সঙ্গে “আফিসে” দেখা করেন আফিসী জীবনের বাহিরে বিদেশী নর-নারীদের ধরণ-ধারণ কিরূপ তাহা দেখিবার স্থযোগ প্রায়ই জুটে না। শিল্পপতি, ব্যাঙ্কার, মহাজন, ফ্যারির মালিক ইত্যাদি শ্রেনীর লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব কায়েম কর! কয়জন ভারতীয় বেপারীর পক্ষে ঘটিয়া উঠিয়াছে ভাহ| হয় আঙ্গুল গুণিয়! বলা ষায়। এই শ্রেণীর বিদেশীদের পরিবারে প্রবেশ করা এক প্রকার অসম্ভব বড় জোর,কোঁনো ব্েষ্টরাণ্টে বা হোটেলে মধ্যাহণ ভোজন বা! চা পানের নিমন্ত্রণ ছাড়া মাখামাখির অন্য কোনো স্রষোগ নাই

তাহা হইলে,--ভারত-সন্তান বিদেশের কতথানি দেখিতে পান? যে হোটেলে বস-বাঁস করা হয় তাহার ঝি-চাকবাণী হইতেছে বিদেশী- সমাজের প্রধান নারী-প্রতিনিধি রাস্তায় ঘাটে সন্ধ্যাকালে যে সকল বারাঙ্গন! ঘুরাফিরা করে তাহারা হয় দ্বিতীয় প্রতিনিধি অধিকত্ত, সিনেমার এবং নাচঘরের দর্শক-মগ্ুলী বা নট-নটী ভারতীয় বেপারীদের পক্ষে বিদেশী-সমাজের অন্ত এক বড় সাক্ষী

( ১২ )

খাটি পব্যটক বা মোসাফির ধাহাবা, ভীহারা কোনে! শহরে পাঁচ সাত দিনের বেশী থাকেন না। ধাহাঁর যেমন পয়সার জোর তিনি সেইব্নপ হোটেলে বা বাড়ীওয়ালীর ঘরে অতিথি হন। মিউছিয়াম দেখিতে যাওয়া! কাহারও কাহারও সণ আছে তাহার! এই সব দেখিয়া বানও তবে “সহর দেখা” বলিলে বাগ-বাগিচা, বাড়ী-ঘর ইত্যাদি ভিতর বাহির হইতে যে.সব চিজ দেখা! দরকার সেই সবের অনেকগ্লা দেখা! হুইয়!

৪১২ রি টের গোড়া পত্তন

বিডিও বশ পন সানি পিসি ৫৯ ভাপ স্পা সি লস পা পি পাদ পাস সপ পর্পা পল সিল সিল

যায়। বিদেশী লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলিবার ভুযোগ সাধারণতঃ প্রায়ই জুটে না। কোনে ব্যক্তি বা পরিবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব কায়েম করা অসম্ভব বটেই

বিদেশের বড় বড় সহরে আজকাল ভণ্চার জন ভারতীয় নর-নারী প্রান্পই স্থায়ী বা কথঞ্চিৎ স্থায়িভাবে বস-বাস করেন। তাহাদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় কর! অনেক ভারতীয় পর্যটকের এবং বেপারীর পক্ষে সম্ভব। তাহাতে আগন্তকদের সাহায্যও কিছু কিছু হয়। কিন্তু তাহাতে মোটের উপর ভারতীয় “আবহাওয়া”ই গুলজার

আজকাল আবার সর্ধব্রই ছোট বড় “ভারতীয় সমিতি” প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে নামজাদা! ভারতীয় পর্যটক বা বেপারী কোথাও উপস্থিত হইলে তাহাদিগকে এই সমিতির তরফ হইতে অভ্যর্থনা করা হদ়। কখনো কথনেো৷ এই সকল সমিতির মারফৎ ছু'চারজন বিদেশী-বিদেশিনীর সঙ্গে তাহাদের করমর্দন বাক্য-বিনিময় কর! ঘটিয়া উঠে।

( ১৩ )

তবে এই করমর্দন বাকা-বিনিময়ের সময় ভারতীয় বেপারী পর্যটকের বিদেশী-বিদেশিনীদের নিকট দেশের ইজ্জৎ নষ্ট করিয়। ছাড়েন। যে কোনে বিদেশীকে অদ্বিতীয় পীর বিবেচনা! করা ভারত- সম্তানের শ্বভাব। বিদেশদের সঙ্গে ঘাড় থাড়া করিয়া কথ! বলিতে আমাদের অধিকাংশই অসমর্থ দের নীচাশয়তা এবং গোলাম- চরিত্র দেখিয়া বিদেশীরা আমাদের ভবিষ্যৎ সন্বদ্ধে অতি নীচু ধারণা পোষণ করিতে শিখিয়াছেন। সংবাদটা যুবক ভারতের মহলে মহলে প্রচারিত হওয়া আবণ্তক |

বিদেশীদের ভিতর বাহার সত্য সত্যই নামজাদ] বা ক্কৃতিত্বশীল লোক

বিদেশ-ফের্ভার অত্যাচার ৪১৩

তীহার্দের কাহারও কাহারও সঙ্গে দৈবক্রমে কোনো কোনো ভারত-সম্ত/নের মৌথিক আলাপ ঘটে না এমন নয়। কিন্তু সেই সকল ক্ষেত্রে আমরা একেবারে দিকৃবিদিকৃ-জ্ঞানশৃন্ত হইয়। পাড়। তাহাদের পা চাটিতে লাগিয়! যাই অনেক সময়ে-আমার্দের প্রসিদ্ধ জননায়কের।ও নিজ নিজ ব্যক্তিত্ব রক্ষা কিয়! বিদেশীর সঙ্গে সমানে সমানে লেন-দেন চালাইতে পারেন না। অতিমাত্রা্ খোপাযোদ, অতি-প্রশংসা ইত্যাদির দৌরাস্ম্যে ভারতীর নগ্নারা বিদেশীদের চোখে যারপর-নাই ত্বণ্য জীৰে পরিণত হয়

যে সকল বেপারী মোসা?ফর কিছু বেশী দিনের অন্য কেনো সহরে সময় কাটাইতে বাধা হন ঠাহারা বিদেশী লোকজনের ভিতর বন্ধু জুটাইতে পারেন কি? বল! কঠিন। আমাদের অধিকাংশ লোকই “রাহ! খরচ" মাত্র সম্বল কবিঘা1 বিদেশে আসিতে বাধ্য কোনো মতে হোটেলের খরচ চালাইয়া দিনাতিপাত করিতে পারিলেই আমাদের

জীবন সার্থক! বিদেশীদের সঙ্গে মাধাম'খি করিতে হইলে পন্ন1! খরচ হয়। কোনো

পরিবারে বদ্দি কোনে! ভারতীয় অতিথি নিমন্ত্রিত হন তাহাতে পরিবারের খরচ বেশী কিনতু নয় দশ জন খাইতেছে,_তাহার সঙ্গে 'আর একজন খাইলে হিসাব বাড়িয়া ধান্স না কিস্থ কোনো ভারত-সন্তান বদি ছুই একজন বিদেশী-বিদেশিনীকে নিমন্ত্রণ করিতে চাহেন তাহা হইলে খরচ বড় কম নয়। “ভদ্রলোকেরা" যে সকল হোটেলে বা রেষ্টরাণ্টে খায় সেই সকল জায়গা ছাড়া অন্য কোথায়ও নিমন্ত্রণ করা চলে না। কিস্তু এই সকল মহলে একবার পাঁচ সাত জনের নৈশ ভোজন দিতে হইলে ভারত- সন্তানের এক যাসের খরচ পুরাপূরি উজ্জাড় হয়া যাইবার সম্ভাবনা কাজেই, বিদেশীদের সঙ্গে ভারত-সন্তানের «এলে গেলে কুটুম্বু” নীতি বজায়

৪১৪ নয় বাঙলার গোড়া পত্তন

রাখা অসম্ভব ফলতঃ, বিদেশ সম্বন্ধে ভারতীয় বিদেশ-ফের্তাদের অভিজ্ঞতাও যারপর-নাই অগভীর

৬8:১৪ )

ছাত্র-ছাত্রীরা (বদশী সমাজে কত্দুর প্রবেশ করিতে পারেন ? তাহারা প্রধানত: দু তিন সর বিদেশে থাকেন। প্রত্যেকের মাসিক বৃত্তি গড়পরতা৷ দেড় শঃ, হই শ' বা আড়াই শ” টাকা বাহার! “গবেষক” বা অধ্যাপক তাহাদের অবস্থাও এহরপ।

এই টাকায় স্কুল-কলেজের বেতন দিয়া বাকী থাকে অতি সামান্ত। তাহার সাহায্যেই খাওয়া-পর! চ।লাইতে হয়। এই থখোরপোষ অতি নিমদরের হইতে বাধ্য যেসকল “বোডিং হাউসে" “ডমিটরি”তে বা ছাত্রাবাসে দরিদ্রতম লোকের সন্তানের থাকে আমর তাহার উপরে উঠিতে পারি না যে সকল রেষ্টর্যাণ্টে বা ভোজনালয়ে গাড়োয়ান এবং কুলীশ্রেণীর লোক খানা পিনা করে আমাদের দৌড় তাহার চুতে নয্ন।

বৎসরে একবারের বেশী ভাল একট! থিয়েটার দেখা বোধ হয় অধিকাংশ ভারতীয় ছাত্রের পক্ষে সম্ভবপর হয় না। কনসাটে বসিয়৷ উচ্চতর সঙ্গীত শুনিবার সাধ হয়ত আমাদের 'অনেকেরই কষ কিছু জাগে, কিন্তু “উথায় হৃদি লীয়ন্তে দরিদ্রাণাং মনোরথাঃ 1”

অর্থাৎ বেপারীর! এবং মোসাফিরেরা বিদেশী সমাজ সম্বন্ধে যতখানি বুঝিবার স্থঝিবার স্থযোগ পান ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে ন্ুষোগ তাহার চেয়ে অনেকটা কম। “বাড়ীওয়ালীর বেটা বা! ঝি চাকরা'ণী* আর বাড়ীওয়ালীর “মাস্তত বোন” এবং ধরণের অন্তান্ত পাড়া-পড়সী ছাড়া! আমাদের ছাত্রের। বিদেশে অন্ত কোনো শ্রেণীর লোকের সংশ্রবে সাধারণতঃ আসিতে পান না বিদেশ+ বিদেশী সমাজ, পাশ্চাত্য আদর্শ ইত্যাদি সম্বন্ধে আমর!

বিদেশ-ফেস্তার অত্যাচার ৪১৫

হে সকল লম্বাচৌড়া বোলচাল ঝাড়ি তাহার পশ্চাতে বাস্তবিক অভিজ্ঞতা এই পর্য্স্ত।

ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যাপকদের “কেহ কেহ” ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্বন্ধ কায়েম করিতে অভ্যন্তজ। এই স্যত্রে অধ্যাপকের পত্বী, অধ্যাপকের বেটা, অধাপকের শ্বাশুড়ী বা মা ঈত্যাদি ছ্ুএক জনের সঙ্গে বৎসরে হুএকবার করমর্দনের সুযোগ জুটে কিন্তু এই সকল স্থযোগে বিদেশী- সমাজের “আটপৌরে” জাঁবন স্পর্শ করা সম্ভব নয়। অধ্যাপকের পরিবার বা আত্মীঘ শ্ব্গন ভারতীয় শিষ্যকে নিজ নিজ “পোধাকী' আদব- কায়দা! দেখাইবার দিকে বেশী নজর দিয়া থাকেন। অধিকস্ত আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রায়ই অন্ঠান্ত ভারত-সম্তানের মতন বিদেশীদের পদলেছন করিতে স্থপটু। কাজেই মেলা-মেশার আসল বন্ধুত্ব গজিয়া উঠিবার সন্তাবনা খুবই অল্প কথাটা শুনাইতেছে খারাপ কিন্ত যুবক ভারতে কঠোর আত্ম-সমালোচনার যুগ আসিয়াছে

(১৫)

বিদেশ সম্বন্ধে বিস্তৃত এবং গভীর জ্ঞান লাভ কর। ভারতবাসীর পক্ষে বিশেষ আবশ্যক ! এই বিষয়ে ভারতীয় বিদেশ-ফের্তারা আজ পর্যাস্ত বেশী দূর অগ্রসর হইবার হ্ুষোগ পান নাই। মোটামুটি এইরূপ ধরিয়া লওয়া যাইতে পারে। অন্ততঃ এইরূপই আমার বিশ্বাস। গোঁজামিল রাখিয়া কথা বলিতেছি ন!।

ভারত-সম্তানকে বিদেশ সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ বা৷ “বিদেশ-দক্ষ” রূপে গড়িয়া তুলিবার কৌশল ভারতে আলোচিত হওয়া কর্তব্য। সেই আলোচনায় সম্প্রতি মাথ! ঘামাইব না। কেবল বুঝিয়া রাখা গেল যে আজ পধ্যস্ত এই দিকে আমাদের ওস্তাদির মাত্রা খুব কম

৪১৬ নয়৷ বাঙলার গোড়া পত্তন

তবে যে সকল ভারত-সম্তান বিদেশ দেখিবার কোনো সুযোগ পান নাই তাহাদের চেয়ে বিদেশ-ফের্তারা যে বিদ্বেশ-সম্বন্ধে বেশী অভিজ্ঞতা রাখেন সে কথা বলাই বাহুল্য এই হিসাবে তাহার! যদি “দেমাকী” হন তাহা হইলে অন্ত লোকের বলিবার কিছুই নাই। এই মাত্র বারে বারে মনে হইবে যে,--পনিরস্তপাদপে দেশে এরগ্ডোহপি জ্রমায়তে |”

(৬ ১৬ )

তথাপি প্রত্যেক বিদেশ-ফেব্তীকেই বাজাইয়া দেখা দরকার হইবে। প্রথম জিজ্ঞান্ত-_তুমি কত দ্িন কোন্‌ দেশে ছিলে? সেদেশে কতজন লোকের সঙ্গে তোমার করমর্দন এবং বাক্য-বিনিময় ঘটিয়াছে? তাহাদের কয়জনের ঠিকানা তুমি জানিতে বা এখনো জানো? একাধিকবার আলাপ-পরিচয় হইয়াছে কত জনের সঙ্গে? মেলমেশ। ঘটিত তাহাদের বাড়ীতে না কোনো সার্ধজনিক ঠাইয়ে তাহারা কোন্‌ কোন্‌ বয়সের এবং ব্যবসার লোক? ইত্যাদি

দ্বিতীয় জিজ্ঞান্ত--তুমি বিদেশের কোনে! মফংশ্বল দেখিয়াছ কি? ছোটখাটো সহরে অথবা পল্লীগ্রামে কর রাত কাটাইবার স্থষোগ জুটিয়াছে ?

তৃতীয় জিজ্ঞান্ত--তোমার পরিচিত নর-নারীর ভিতর ইহুদ্দির সংখ্য ছিল কিবপপ? ইন্দিদের পরিবারে ব৷ পারিবারিক সামাজিক মজলিসে থুষ্টিযান অতিথি বা বন্ধু-বান্ধবের আগমন দেখিয়াছ কতবার £ আবার খুষ্টিয়ান পরিবারে ইছদি নর-নারীর যাতায়াত লক্ষ্য করিয়াছ কি? ইত্যাদি।

( এইখানে জানিয়া রাখা দরকার যে-_ইহছুদিরা শিক্ষা-দীক্ষায় যত উ“চুই হউন না কেন, ইয়োরামেরিকান্‌ পসমাজে” তাহারা “অন্পৃস্থা” |

বিদেশ-ফের্তীর অত্যাচার ৪১৭

ইহুদিদের সঙ্গে মেলমেশ ঘটিলে “পাশ্চাত্য আদর্শ” বুঝা হইল এইকব্প বিবেচনা করা চলিবে না। অবশ্য খৃষ্টিরানদের ইহুদ্দি-বিদ্বেষ ভারত- সম্তানকেও নকল করিতে হইবে এমন কথা হান্তাম্পদ কিন্ত পাশ্চাত্য

জের “জাতিভেদ” যে অতি .গভীর তাহা ভারতে জানিয়া রাখ! আ'বশ্ঠক

(১৭ 0) বিদ্যা বিফ হইতে ভারতাঁ বিদেশ-ফের্ভাদের দৌড়

জরীপ করা যাউক। যে-সকল ভারতায় বিদ্বান বিদেশে পা মাড়ান নাহ, তাহা(দগকে এহ বিদেশ-ফেন্তী প্িতেগা বিষ্ভায় পরাস্ত করিতে পাখিয়াছেন কি? বস্তমান লেখকের মতে, পারেন নাই অতএব বিদ্ধ'€র মজলিসে বদেশ-ফেত্াদের জাক করা আর এক আহাম্মুকি।

ভারতীয় জনন। মু শিক্ষা-০সবকেরা এই প্রশ্থটা কখনো তুলিয়ছেন কন] জানিনা কিস্ধু ভুলিঘ। দেখা মন্দ নয় আমি সম্প্র।ত সংক্ষেপে ছু'চার কথা বালয়। যভতেছি

আমদের ছাজ্েরা জাপানে, আমেরিকায়, বলাতে, ফ্রান্সে এবং জান্ম'ণিতে বশশ্বা হইপছে অথাৎ জাপানী, ঘাকিণ, ইংরেজ, ফরাসী এবং জান্মাণ ছাত্রদের তুলনায় ভারতীয় শিক্ষাপীরা পশ্চাদ্‌বর্ভী নয়, এইরূপ প্রমাণ পাওয়া গির!ছে

মনে রাখিতে হইবে যে, গেটা ভারত হইতে ঝাটাইপ্া একমান্ত সবসে সের! ছাত্রই বিদেশে পাঠানো হইদাছে এক্সপ বলা চলে না। উত্তদঃ মধ্যম, অধম অর্থাৎ সকল দরের মাথা ওয়ালা ছাত্রের চালান বিদেশে গিয়াছে আর বিদেশী মাপ-কাঠিতে উত্তমদের আসনে ভারতী উত্তম কন্কে পাইয়াছে, মধ্যমদের সঙ্গে উদ্ধর দিয়াছে ভারতায় মধ্যমরা»

২৭

৪১৮ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

ইত্যাদি-_ইত্যাদি। যুবক ভারত যে যুবক ছুনিয়ার যে-কোনো! জাতের সমকক্ষ তাহ] বুঝিতে বিশ্ববাসীর আর বাকী নাই

ইহাঁর দ্বারা বুঝ! গেল কি? এই যে,--যে-সকল ভারত-সন্তান কোনোদিন বিদেশে যাইয়া! বিদেশী-বিদেশিনীদের সঙ্গে টক্কর দিবার স্থষোগ পায় নাই, তাহারাও প্রকারাস্তরে বিশ্বশক্তির কর্মক্ষেত্রে কোনো হিসাবে পশ্চাদপদ নছু। প্রায় যে-কোনো ভারত-সজ্জানের “মাথা” যে” কোনো বিশ্ববাসীর মাথার সমান,--অবশ্থ উত্তম, মধ্যম, অধম ইত্যাদি শ্রেণীবিভাগ মনে রাখিতে হইবে

কিন্ত ইহার দ্বারা এইরূপ প্রমাণিত হয় কি.যে,_বিদেশ-ফের্তা ছাত্রের শ্বদেশে শিক্ষাপ্রাপ্ত বিদ্বানদের চেয়ে উটু? কখনই নয়। বিদেশ-ফের্ভারা যুবক-ভারতের প্রতিনিধিরূপে বিদেশে থাকিবার সময় স্বদেশের ইজ্জৎ বাড়াইয়াছেন সন্দেহ নাই। কিন্তু একমাত্র তাহার জোরে যুবক-ভারতের অন্তান্ত লোক হইতে তাহারা উন্নততর মাথার পরিচদ্ দিয়াছেন এরূপ বলা চলিবে ন।। ধাহারা ছাত্র হিসাবে বিদেশে গা বিদেশ হইতে ডিগ্রী লইম্বা ফিরিয়াছেন, তাহাদের কথাই এখানে বল! হইতেছে।

১৮ )

মাথার ভিতরকার “ঘী* বা মগজট। মাপা সোজা কথা নয়। প্রথমতঃ, আমরা যাহাকে বিস্তা বলি তাহার অধিকাংশই মেহনৎ। আসল মগজের বা ঘীর হিন্তা বিষ্ঠার মুলুকে বেশী নয়।

ছিতীয়তঃ,--বিদ্তার সংখ্যা অগণিত আর প্রত্যেক বিদ্ভারই শাখা-প্রশাখা অজশ্র। এইগুলার ভিতর কোন্টায় কতথানি মেহনৎ লাগে আর কোন্টায় কতখানি মগজ লাগে, তাহা! বিশ্লেষণ করিতে হইলে

বিদেশ-ফের্তার অত্যাচার ৪১৯

পর্বতণ্প্রমাণ বি্ভায় দখল থাকা চাই। বলা বাহুল্য, সেই দখল এই লেখকের কেন ?--কোঁনে। ব্যক্তিবিশেষরই নাই তবে যে-যে বিষয়ে কোনো জ্ঞান নাই তাহার কোনো কোনটা সম্বন্ধে ওস্তাদদের মতামত জিুাসা করিয়া দেখিয়াছি

এমন কতক গুলা বিদ্ভা বিগ্ভার শাখা-প্রশাখা আছে, বে সম্বন্ধে ভারতে উচ্চ শিক্ষা বা এমন কি মামুলি শিক্ষারভত আয়োজন নাই। এইগুল।র যে-বেটা ভ।রতীর বিদেশফেক্ছ।রা বিদেশে থাকিবার সময় শিখি! গিয়াছেন সেহ সকল বিষয়ে তাভারা অন্ু।2) ৬।রত-সন্তানদের চেয়ে শ্রে্ঠ,__-বলাই বাহুল্য নতুনের ইজ্জং আছেই আছে

কিস্ক আসল প্রশ্ন ব্তমান ক্ষেতে অন্তরূপ | যে-ধে বিদ্যা বা খিগ্ার শাখা ভারতে শিখা সম্ভব সেই সকল বিষয়ে বিদেশ-ফেতারা অন্থান্ত ভারনীঘ বিদ্বানকে হারতে সমর্থ হইয়াছেন কি? এহ সম্বন্ধে প্রথমে বলিয়া রাখিয়াছ,--হন নাহ

গণিত্ত, পদীর্থ-বিজ্ঞান, বসায়ণ, ভূতন্ব, জীবতন্ব, ভাষা-বিজ্ঞ।ন, প্রত্থতত্ব, “দর্শন, হতিহাস, শিল্প-শান্জ ইত্যাদি নানা বিষয়ে ভারতীর বিদ্বানের! আজকাল গবেষণা করিতেছেন, শ্রবন্ধ ছাপিতেছেন, বই লিখিতেছেন। এই সকল গবেষণা, অল্গসন্ধ|ন, “রিসার্চ” এবং ছাপাছ।পি কাণ্ডে বিদেশ-ফেন্ভারা অন্তান্তদেপ ঠেয়ে উচ্চতর শ্রেণার লোক নন। হিসাব করিনা দেখিলেই বুঝ] যাইবে যে, শ্বদেশে বসিঘ্াই ভারতীয় বিদ্বানেরা৷ দেশে-বিদেশে বাহা কিছু ছাপিয[ছেন তাহার তুলনায় বিদেশী “ডিগ্রীওয়ালা"দের কাজকন্্ অতি-কিছু নম বিদেশ-ফের্ভা ছাক্জদিগকে মাথায় করিয়া নাচিতে থাকিলে যুবক-ভার্ত নিঙ্গকে বেআকুব সপ্রমাণ করির। ছাড়িবে মাত ব্যতিরেকগুলার কথ বলিতোছ না।

৪২ নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন ( ১৯ )

তবে কি বিদেশে লেখাপড়া শিখিবার কোনে! দরকার নাই ?-- খুবই আছে | নতুন নতুন বিদ্ধা এবং বিগ্ভার শাখা-প্রশাখা দখল ক্দিতে হইলে বিদেশে আসিতেই হইবে তাঁহ' ছাড় যে সকল বিগ্ভা ভারতেই দখল কর! সম্ভব সেই বিষয়েও অনেক “নতুন কিছু” বিদেশে আছে, তাহার জন্যও “যথ| সময়ে” বিদেশে আসা আবশ্যক

“বাঘা-বাঘা” অধ্যাপক বিদেশের নানা সহরে আছেন অনেক। “বাঘা-বাঘা” কাহাকে বলে? তাহার প্রত্যেকে দশ, বিশ, পঁচিশ, পঞ্চাশ, শ”, দেড়শ? তরণ-প্তরুণীকে একসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে “রিসার্চ” অনুসন্ধান, গবেবণা, আবিষ্কার ইত্যাদির কাজে মোতায়েন রাখিতে সমথ। এত ভিন্ন ভিন্ন দিকে মাথা খেলানো যে-সে লোকের পক্ষে সম্ভব নয় ' লড়াইয়ের মাঠে বড় বড় সেনাপতি বা নৌ-নারকের যে দাঘিত্ব বিকার লাইনে *বাঘা-বাঘা”দের সেই দার্রিত্ব-_খানিকট। এবপহই বুঝিতে হইবে

আর এক কথা, “বাঘা-বাঘা”রা সপ্তাহে সপ্তাহে এবং মাসে মাসে নতুন নতুন অস্থু দন্ধান চালাইতে চালাইতে পাকিয়া উঠিয়াছেন প্রত্যেক সপ্তাহের এবং প্রত্যেক মাসের কাজ চিস্তাগুলা লইঘা অন্যান্ত সমকক্ষ পঞ্ডিতদের সঙ্গে তর্কঘন্দ চালানো তাহাদের জীবনের আসল অভিজ্জ্রতা থোল। মাঠের সমালোচনা হজম করিরা করিয়া, প্রতিঘবন্দীকে পাঁচ-ঘা লাগাইয়! এবং প্রতিঘন্বীর ভরফ হইতে সাত ঘসা থাইয়। তাহারা মজবুত হইয়াছেন

এই ধরণের “বাঘা-বাঘা” পণ্ডিত ভারতে কয়জন আছেন? গুণতে স্বর করিলেই দেখিব ষে, যুবক-ভারতকে বিদ্যার লাইনে পাকাইরা তুলিতে হইলে একমাত্র ভারতীয় বিদ্যাপীঠের উপর নির্ভর করিলে চলিবে না।

বিদেশ-ফের্তার অত্যাচার ৪২১

বিদেশী “বাঘা-বাঘা”্দের সঙ্গে গাঁথেশা-থেশি করিবার স্থযোগ পাওয়া যুবক-ভারতের অধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য বাঞ্ছনীঘ় কেবল বাঞ্চনীয় নয়, নেহাৎ আবশ্যক

ভাবতে বসিয়া তরুণ-তক্ণীরা “ভূ ইফোড়” পণ্ডিত হইতেছেন। 'অধ্যাপকদের আসল সাহাধ্য "ভারতে জুটে শ| কেন না যথার্থ অধ্যাপক-পদবাচ্য লোক ভারতে বিরল তাহা সন্ষেও যুবক-ভারত অনেক কিছু করিধ! দেখাউলাছে | “বাঘানবাঘাদের আবহাওয়ায় ছয় মাস দেড বঙ্নর ছুঈ বসব কাট।ঈতে পারলে আর অনেক কিছু দেখ'ইনান "অধিকারী হইতে পারিবে হারতে আজক।ল ধাহারা রুশিতি করিতেছেন, ঠাহাদের “বাঘা-বাঘাশয় পরিণত হইন্ভে এগনো পনেরো! বিশ বহসপ দেরী পারতালিশ পঞ্চাশ বৎসর বয়সের পুর্বে কোনে; বিদেশী পণ্ডিত সাধাবণহঃ “বাঘা-বাঘা” বিবেচিত হন না'

তাও পর আব এক কণা, গ্রন্থশ।লা হেধারী করিতে লাগে লাখ লেখ টাকা। সেই পরিমাণ টাকা দৃরপাব ভয় ল্যাবরেটরি গড়িবার জন্য মিউজিয়াম, চিত্রশালা ইত্যাদিও লাখ লাগ টাকার মামলা এই সকল জ্ঞানবিজ্ঞানের কন্মকেন্দ্র ভারতে দশ শিশ ত্রিশ বৎসরের ভিতর মগা তুলিতে পারিবে কি? সেঈরূপ নিশ্বাস করিবার কোনো কারণ দেখিতে পাইতেছি না, অথচ বিদেশে এই সকল প্রতিষ্ঠানে? ছড়াছড়ি এইগুলা হনে সম্পদ লুট্টিবারর জন্যও যুবক-ভারতকে দলে দলে “্িগবিজদেশ বাহির হইতে হইবে বর্তমান যুগের “রুহ ভারত" অনেক সময়ে এই মুছিতেই দেখা দিবে

২৬ )

দেখিতেছি, দেমাকী হার পক্ষে বিদেশ দের্ডাদের আমল কোনো

কারণ নাই। কিন্ধু দমাকী হাঞু্াটা কোনে যুক্ধিযুক্ত কারণের উপর

হট

৪২২ নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

নির্ভর করে কিনা সন্দেহ। যে ব্যক্তি অহঙ্কারী এবং অত্যাচারী হইবে অথব। নিজকে হাম্-বড়া বিবেচনা করিবে বাহির হইতে তাহাকে বাধা দেওয়া! হয়ত কঠিন। কোনো! প্রকার তর্কশান্্র বা বিজ্ঞান তাহার মুণ্ডর নয়।

দেমাকের আধ্যাত্মিক কারণ যাহাই হউক তাহার ভৌতিক কারণ অতি সোজা যাহ! অন্তের নাই যদ্দি তাহ! তোমার থাকে তাহা হইলে তুমি অন্ত হইতে স্বতন্ত্র এই “পার্থকা” তোমাকে অন্তান্ত লেক হইতে “উচ্চতর” বিবেচনা করাইবার পথে ঠেলিয়া তুলিতে পারে এই ধরণের স্বতন্্রত। এবং পার্থক্যসচক দাগ যাহ!দের গায়ে আছে তাহারা সহজেই অ-দাগীদিগকে অবজ্ঞ! করিবার দিকে অগ্রসর হয়

দেমাকী লোকের.দেমাক ভাঙিবার দাওয়াই তবে কি? *বিষস্য বিষমৌষধম্।” দেশের ভিতর অনেকগুল! দেমাকী লোক স্থপ্টি কর। ইহাই হইতেছে চরিত্র-চিকিৎসার চমৎকার বাবস্থা গীতা-বেদাস্তের হিতোপদেশ একদম নিস্রয়োজন। চাই কেবল গণ্ডা-গণ্ডা, ডজন-ডজন, শতশত দাগ ওয়!লা শ্বাতস্ত্রাবিশি পার্থক্যশীল নর-নারী। তাহা হইলে, দাগীদের আর কোন দাম থাকিবে না।

যতর্দিন বড় বড় সহরে ছ-চার দশজন মাও, বিদেশফের্তী “সবে ধন নীলমণিশ্ধেপে “হংসমধ্যে বকো। যথা” বিচরণ করিবেন ততদিন “পার্থক্য” ইত্যাদি স্পষ্ট থাকিতে বাধ্য ততদিন বুঝিয়া না বুঝিদ্া মামুলিরা বিদেশ-ফের্তীর কদর করিবে সন্দেহ নাই

কিন্ত বদি প্রত্যেক জিলায় আর মহকুমায় বিদেশ-ফের্তী ডাক্তার, এপ্রিনিয়ার, রাসায়নিক, প্রত্বতত্ববিৎ, ব্যবসায়ী এবং অন্ঠান্ত লোক ফ্যাল্‌ ফ্যাল্‌ করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে থাকে তাহা হুইলে প্রত্যেকেরই “গোমর ফ"ক” হইয়া যাইবে কেহ কাহারও দিকে তাকাইবে না, তাকাইবার

বিদেশ,ফের্তার অত্যাচার ৪২৩

অবসরই পাইবে না। বিদেশ-ফের্ভারা যে একটা আল্গা জাত সে কথাই সমাজ ভূলিয়৷ যাইবে চাই এখন হাজার হাঁজার বিদেশ-প্রবাসী ভারতীয় গবেষকঃ পয্যটক, অনুসন্ধানকারী নর-নারী। একমাত্র খাঁটি ছাত্রের কথা বলা হইতেছে না--চাহ বহুসংখ্যক সকল বয়সের এবং সকল ব্যবসার বিদেশ-ফের্ভী।

তখনও যদ্দি কোনো বিদেশ-ফের্ত দেমাকী থাকিতে চাহেন তবে একমাত্র নিজের ল্য/জ নিছে কামড়াইয়া মরা ছাড়া ত'হার আর কোনো গতি থাকিবে ন|।

«আমার নাম ১৯০৫ সন, আমার নাম যুবক এশিয়া” *

এই এলাহি কারখানার ভিতর আহি ষদি ছুএকট1 বেয়ার বেফ?দ কথা বলে ফেলি তা হলে কিছু মনে কর্বেন না। দ্বভাব বদলান কঠিন। তারপর ভাষার উপর জোর রাখা আরো কঠিন। অগ্তদ্ধ ভাষার কগা বল্তে গিয়ে ষদি দোষের কিছু হয় ভাববেন না আমি দৃধণীয় কিছু বল্ছি।

কৃতজ্ঞতা-অকৃতজ্ঞতার বাইরে

আপনার! আমাঁকে যা শুনালেন এজন্ত যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি তাহলে হত যনে কর্বেন লোকট। কি বেয়াক্কেল,_-যা কিছু প্রশংসা! হল সব বেমালুম কোং করে গিলে ফেলে আর যদ্দি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করি তাহলে মনে করবেন লোকটা নিমকহারাম। এই অবস্থায় আমি শুধু বল্তে চাই যে, কৃতজ্ঞতা আর অক্কৃতজ্ঞতা নামক যে বন্ত তার বাহিরে আমি রয়েছি। লড়াইএর যুগে একখানা জার্ম্াণ বই ছূনিয়ায় নামজাদা হয়েছিল। তার ইংরেজি নাম “বেঅণ্ড গুড. আযাণ্ড ঈভ.ল্‌”। লেখক নীটুশে। “ভাল আর যন্দ, দুইএর বাইরে” একট] জিনিস যদি কল্পনা

* বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ কতৃক অন্থচিত (১৮ এপ্রিল, ১৯২৭) সম্র্ধনার উত্তরে প্রদত্ত বক তার সারমর্্দ। শর্টহাও লইয়া ছিলেন প্রযুক্ত ইঙ্্কুমার চৌধুরী। পরিশিষ্ট ুষ্টব্য )।

আমার নাম যুবক এশিয়া ৪২৫

করা সম্ভব হয়, তা"হুলে তারি জুডিদার হচ্ছে এমন ভৌতিক বা আধ্যাত্মিক অবস্থা ষেট। প্কুৃতজ্ঞতা আর অরুতজ্ঞতা নামক ছুই পদার্থের বাইনবে।”।

যুবক বাঙলার চাকর আমি

বা!পাব এই,--যাঁরা আমাকে খেতে পর্তে দেয় আমি তাদের নিন্দা কহে, আর মজার কথা হচ্ছে এই যে, তাদের নিন্দা করি বলেই তারা আমাকে খেতে পরতে দেয়। এইট ধরণের বেদাস্তবাগীশ হওয়া কিছু বিচিত্র বটে কারণটা কিছু তা (সোজা আমার বাবসা কিছু বিচিত্র রকমেব। আমি চাকস। বাঙ্গালী জান্তিব, যুবক বাংলার চাকর আমি চাকরের বাবসা মনিবেহ অভাব পুরণ করা, অসম্পর্ণতাকে সম্পূর্ণ করে দেওয়)। 'আমি ঝংডদার, জঞ্জাল বাটিছে সাফ কর্ব!র জন্য দেশ আমকে লাভাল করেছে কাছেই দেশর নিন্দা করাটা আমার পেশ।গত মজ্ঞাগত কর্কবা বিশেষ দেশে দো, দেশের অসম্পূণ্তা, দেশের ভঃথ, দেশেন *দাবিদ্রা, দেশের দৈন্য সম্ঙ্গে সজাগ থাকা আপ দেশের লোককে সঙ্গাগ কবে দে9ছা আমাশ আন্বন্জ বিশেন। আমি ঝ'ড়, দার অতএব নিন্দনীয় বঙ্জন'য কে।ন কোন জিনিষ আছে তার তালিকা মাদার কাছে বড জিনিম। আমি বেশ বুঝি যে, আমার দেশ বড়, বড হচ্ছে, বার পর্ন আরো বড হচ্ছে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এটাও বেশ বুঝি থে, দেশ যন্চুহ বড় হউক না কেন, ফলাসী আমাদের চেয়ে বড় রছেছে, জান্মাণ শ্বামাদের চেয়ে বড় রয়েছে, জাপানী আমাদের চেয়ে বড় রয়েছে, আর বাঙ্গালীর চেত়ে ইংরেজ বড় বটেই আম চাকগ, আমি ভাবছ যুবক বাংলার যে যে জারগ।য় দৈন্য আছে, দোম আছে, দাবিজ্র্য আছে, সেই সেই ভায়গাণ প্রতিমুহর্তে আদার নতুন নতুন কর্তব্য বাড়ছে।

৪২৬ নয়! বাঙলার গোড়া পত্তন

শা লী তা টি তি

কাজেই বল্ছি কতজ্ঞতা-অকৃতজ্ঞতা৷ নামক বস্তু আমার বিশ্বকোষে দাড়াতে পারে না। এই চাকুরী আমি কর্ছি ২৯২২ বৎসর ধরে আমিই অবশ্ঠ বাঙলার একমাত্র চাকর নই, আরো হাঙ্তার হাজার এই ধরণের চাকর রয়েছে সম্প্রতি শুধু আমার নিজের কথা বল্ছি। দরকার যখন হল, খালি গান্পে, খালি পায়ে, মুদ্রীর দোকানে বসে, রাস্তায় দাড়িয়ে, যে বাঙালী ম্যালেরিয়ায় ভুগছে তাকে ম্যালেরিয়ার প্রতিকার সম্বন্ধে বই পড়ে শুনিয়েছি। যেমন লোকে রামায়ণ পড়ে শুনায়, মহ!ভারত পড়ে শুনায়, সেইরূপ য্যালেরিয়া বা সমবায় সম্বন্ধে বই পড়ে শুনিয়েছি। অথবা লোক বাহাল করে” “কথক” লাগিয়ে এই ধরণের পুঁথি পাঠের ব্যবস্থা কায়েম করেছি। একপ্রক!র জ্যান্ত চলত্ত-পাঠাগার বা লাইব্রেরী বিশেষ। দরকার হল, নতুন বীজের তরীতরকারা পাড়াগ্নীয়ে সুর করা গেল। অথবা স্রু করার জন্ত ব্যবস্থা করা হল। কোথাও এক কাচ্চা ₹স্কত, কোথাও এক ছটাক ইতিহাস, কোথাও এক পোরা ভূগোল এই ধরণের সওদা নিয়ে পাঠশাল! চালিয়েছি। আবার কোথাও বা দরক!র মাফিক “নাইট উস্কুল” করা গেল,

আমার নাম যুবক এশিয়া

ঢে কি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। ঘটনাচক্রে সম্ভার কিন্তী পেয়ে হাজির ঈজিপ্টের কায়রো নগরে। তারপর লগুনে, নিউইয়র্কে, স্তানক্রান্সিস্‌কোয়, হুলুলুতে, জাপানে, কোরিয়ায়, মঙ্গোলিয়া-মাঞ্চুরিয়ায়, চীনে সব জায়গায় চলেছি, ঘুরেছি, ফিরেছি বাংলার চাকর হিসাবে, যুবক বাংলার সেবক হিসাবে ইংরেজের! ইয়াঙ্কিরা জিজ্ঞাসা করেছে "কিরে! তোর নাম কি?” বলেছি “আমার নাম ১৯৯৫ সন”। ভার!

আমার নাম যুবক এশিয়া ৪২৭

বলেছে “এ তো হেয়ালী।” কাজেই বিলাতী মার্কিণ সমাজের কোথাও কোথাও সোজা কথায় বলেছি,_-”আমার নাম যুবক ভারত 1” তারপর বৎসর দেড়দ্রই জাপানের পল্লীতে পল্লীতে, চীনের পল্লীতে পলীতে, কোরিয়ার পল্লীতে পল্লীতে, যাঞ্চরিয়ার পল্লীতে পল্লীতে চাষীর সঙ্গে, মজুরের সঙ্গে, মেধরের সঙ্গে, পণ্ডিতের সঙ্গে, মন্ত্রীর সঙ্গে, মান্দারিণের সঙ্গে, ব্যবসাদারের সঙ্গে, চিত্রশিল্পীর সঙ্গে মাখামাখি করে প্রশাস্ত মহাস।গরের অপর পারে আবার ফিরে এলাম এশহবার ইয়াঙ্ষিস্থানের লোকের! যখন জিজ্ঞাসা করেছে, “কি নাম তোর ?” বলেছি “আমার নাম যুবক এশিয়া ।”

তারপর ফরাসী, জাম্মাণ, অগ্িদান, সুইস ব। ইতালিয়ান চাষী, মঞ্জুর, পণ্ডিত, ব্যবসাদার, চিএ-শিল্পী, কবি, বিজ্ঞানবীর ইত্যাদি লেক যখন জিজ্ঞাসা করেছে, “কি নাম তোর ?” বলেছি “আমার নাম যুবক এশিয়া ।”

সে ১৯০৫ সন থেকে আজ পথাস্ত চলেছি যৃৰক বাংলার সেবক হিসাবে সব চাকর সমান নয়; কম্মদক্ষতা, গুণপন। সব চাকরের সমান হতে পারে না। আমার কোন গুণপন! আছে কিনা, কর্মদক্ষতা আছে কিনা সে সব জরীপ কর্বা অবসএ আমার কথনও জুটে নি আর জুটবেঞ্ না। কেননা মামার মন্ত্র মাত এক--

“যদিও বাহু অক্ষম ঘব্বল ভোমাত্বি কাধ্য সাধিবে ।” তাই আমার আর-কিছু জান্বার দরকার হয় না। এমন কি, আমি কি পারি, কিনাপারি তা পধ্যন্ত বুঝে দেখবার অবসব পাই না।

১৯০৫ সনের বাণী

বিদেশীরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে,_-পকিহে বাপু, মতলব কি ?” “আমি কি জন্ত এসেছি ?” বলেছি, "আহি এসেছি লড়াই কর্তে, শক্তি

৪২৮ নয়! বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

পরগ কর্তে, শক্তিমানদের দৌড় দেখতে “হাত-পার জোরে মাথার জোরে শক্তিমানেরা পূজা পায়, এই হচ্ছে আমার আর এক মন্তর। আমি রয়েভি যুবক বাংলার এক অত্তি সামান্ত অগ্রিশ্ফুলিল্গ, এস হাতাহাতি করি, পাঞ্ী কশাকশি করি ।” ইংরেজ-ফরাসী-জাপানী- জাম্মীণ সকলে বলেছে “তাইত লোকটা অগ্রিশ্ফুলিঙ্গই বটে ১৯০৫ সন ছাড়া আর কিছু বলে না।”

১৯*৫ সনটা কি? সেটা এই উনবিংশ শতাব্দীতে জ্ঞান, বিজ্ঞান, কন্মদক্ষতা, শিল্প, বাণিজ্য, সাহিত্য, রাষ্টনৈতিক আন্দোলন-_-সকল বিষনে ছুনিয়া চলেছিল একমুখো হুদ্ধে! ভা হচ্ছে এশিয়ার নিব্যাতন আর দ্রনিম়া ইয়োরামেরিকার একাধিপত্য-বিস্তার। তার বিরুদ্ধে যখন একটা নবশক্তি জেগে উঠল-_মাঞ্চুরিগ্নার পো আর্থার ঘার এক খু, _ বাঙ্গালীর জী'বন-সংগ্র।মেও তার একটা কণা ছিটকে এসে পড়েছিল সেই জীবন-কণার সোআদ বিতরণ করাই আমার মতলব। রকম সকম দেখে মাফিণদের কলাস্ি্না বিশ্ববিষ্ঠালয়, ফ্রান্সের প্যারিস বিশ্ববিগ্ভালয়, গোটা ঢয়েক ফরাসী আকাদেমী, বালিন বিশ্ববিষ্ঠালয় ইত্যাদি নানা লোকে ডেকে এসে নলে,_“আয়, দিচ্ছি আসন পেতে বকে? বা যুবক এশিরার বাণী” তা! ছানা জগতের কতকগুলা নং শ্রেণীর মাসিক, জ্রৈমাসিক বা পরিষৎ-পত্রিকা আমাকে আমার বক্তব্য আওড়ে যাবার অধিকার দিয়েছে: সর্বত্রই চালিয়েছি হাতাহাতি আর মারামারি

আপনার! জানেন আমার বিস্ভাবুদ্ধি বেশী কিছু নাই। রেল গাড়ীতে, টিমারে, গাধার পিঠে, রাস্তায় রাস্তার টহল মেরে, লোকজনের সঙ্গে গা থেশাধেশি করে ছুচারটা কথা শিখোঁছ মাত্র। তাঁ সত্বেও বিদেশের গলিধোচে,-বাঙ্গালী জাতির যে যেখানে যা কিছু কর্ছে-- নামজাদা

আমার নাম যুবক এশিয়া ৪২৯

হউক বা অতি নগণ্য হউক (বড় লেক সবাই নয় ),-_সকলকেই হিড় হিড় করে টেনে উঠাতে চেষ্টা করেছি আম “বন্দেমাতরম্”এর তিলক কেটে গোটা ভারতকে ঘাড়ে করে নিয়ে ফিরেছি ছনিয়ার সকলকে শুনিয়েছি,_-আমাদের ছোকরারা এই কাজ কর্ছে, পণ্ডিতের এই কাজ করুছে, অমুক পরিষদ এই ক!জ করেছে। যুবক বাঙলার আর যুবক ভারতের বিজ্ঞান-সভা, সাহিত্য-সভা, 1শল্প-আন্দেপন, শ্বরা জ- অ.ন্দোলন, মজুর-আনোলন ইত্যাদি কিছু আমার বিদেশী বোলচালে, বক্তৃতার ব। প্রবন্ধরচনারর বাদ পড়েনি এই ভাবে ছনিয্ার সব্ত্র লেখাপড়া চালিঘেছি। আমান বিশ্বাস-আমি কোথা? আমা৭ জাতির আমার শ্বদেশের ইজ্জত মারিনি। এমন কোনে কম্মক্ষে দে এসে দাড়াইঈনি যেখানে আমাকে ঘাড় হেত করে চল্তে তম

বিদেশীর সামনে ঘাড় সোজা রাখা

আমি বুঝিঘেছি বংংপা দেশের থাডে, ভারতবষের মংথার উপর বিহ'জ করে হিমালু পাহাড আর ত।এ থাড় কনে; হয়ে পড়ে না। আমার চলাফেরা আর কথাবাপায় লোকছগন বুঝেছে খে, ১৯৯৩ মনের পরবর্তী যুবক বাঙজ।ঘ এমন লোক আছে যারা বিদেশীদের সঙ্গে ঘাড় সোজা রেখে বোলচ'ল চলাতে অভ্যস্ত তারা বুঝতে পেরেছে যে, ছুনিঘ্নার যে-কে।নো লোকের সঙ্গে ধখন তখন বুর্চিশন্,। জান-বিজ্ঞান আর নব্য স্তায়ের আখড়ায় পাঞ্ছ। করবার জন্য যুবক বাংলায় মানুষ পায়দা হয়েছে। পণ্ডিতের বৈঠকে, বিজ্ঞান-পরিষদের পত্রিকার, শান্ত মহলে এই টুকু বুঝান আমার কাজ।

আমি বলেছি এই যে, আমাদের এই জঙ্গলী বাংল! দেশ আজ রোদে.পোড়া আধপেটা-খা ওফ বাঙ্গালী জাতের বাসস্থান। কিন্তু এমন

৪৩৩ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পণ্ডন

কি দেড়শ দুশ বংসর আগেকার বাঙালারাঁও যে সকল মন্দির-দেউল- ইমারত খাঁড়া করে গেছে, সে সব এখন পব্যন্ত আজও পরাক্রমের প্রতি" মুর্তিরপেই ঠাড়িয়ে আছে সে সব বারা দেখবে তাওা কথনো৷ ভাবতে পার্বে না যে, সপ্তদশ অষ্টাদশ শতাব্দীর বাঙ্গালী বাস্তশিল্পীরা যে সকল সৌধ কায়েম করে গেছে, সেকালের জান্মাণরা তার চেয়ে বেশী কিছু করেছিল। সেকালের ভারতসন্ত।ন, সেকালের হিন্দুজাতি সমসা'মরিক দুনিয়ায় অন্ত কোনো জাতের চে়ে শতিযোগে, সাংসারিক জ্ঞানে? বৈষয়িক সাধনার কম ওস্তাদ এরূপ বুঝে রাখা বিজ্ঞান-রাজ্যের একটা চরম অসত্য ভারতবাসা যে অলস জাতি, নাদোশনোদোশ, গোলগ!ল অথবা পৃথিবীর মত গোল।কার আর অন্তান্ত জাতি ঘে আমাদের চেয়ে কন্মঠ ইত্যাদি ধারণ] মিথ্যা, কুসংস্কার মাত্র।

গোটা বাঙালীঞ্জা তির বিশ্বপর্যটটন

বিদেশে আমি যা করেছি তা বোধ হয় কোনে বাঙ্গালীকে না বলে না জানিয়ে করিনি। আমি এক সঙ্গে ৩৪৫1৭ হাজার বাঙ্গালীকে আমার সঙ্গে সঙ্গে টেনে নিয়ে গিয়েছি লেখালেখির মারফৎ গোট। বাঙ্গালী জাতিটাকে, চেষ্টা করেছি ছ্ুনিয়া টহল করাতে সকলেই জানেন, ঠিক ষেন সিনেমার সাহায্যে .দেখিয়েছি “ওরে এই দ্যাখ, এখানে খুষ্রিয়ানদের মা-মেরীর মন্দির ভবিষ্যতের চিন্তায়, পরলোকের চিন্তার লাখ লাখ ইয়োরামেরিকান্‌ নরনারী মস্গুল। ওদিকে লোক পড়ে রয়েছে মেরীর কাছে ধব্ণ দিয়ে, হাটু গেড়ে রয়েছে কোথাও বা ভিখারীরা ধর্মের আওতায় ছু পয়সা এক পয়সা কর্ছে। এই দ্যাখ, মন্দিরের এখানে ওখানে হাজার হাজার ভক্তিমান নরনারীর নিদর্শন থাকে থাকে সাজানো রয়েছে। অমুক লোক মানত করেছিল যে,

আমার নাম যুবক এশিয়া ৪৩১ £থ কষ্ট কেটে গেলে সে রোজ মন্দির পরিফার কর্বে। তাই সে করছে গ্ভাখ। আর একজন ছেলে হারিয়েছিল, মানত করে ছেলে পেয়েছে। পরে এসে মানতের নিদর্শন রেখে গেছে। এই গ্ভাখ, ম! মেরীর কাছে দাড়িয়ে লেকের পাল সকলেই পবৈষয়িক”, “গো-খাদক” যদিও তবুও রাঁতিমত প্রণায কর্ছে। এই গ্যাখ, কোনো কোনো ভক্তিমান খুষ্টিানের চোখ দ্বিছে জল পথ্যন্ত পড়ছে ।”

এই ধরণের ছবি পর ছবি তিন চার পাচ দশ হাজার বাঙালাকে ফি হপ্াঘ়ঃ ফি মাসে, ফি বৎসরে দেখিয়েছি গোটা ছনিয়াকে বাঙলায় এনে হাজির করেছি বাঙালীরা আমার সিনেমা-চিত্রে কখনে। দেখেছে) “পাহন-ঢাকা পাহাড়েপ পায়ে দেউল ভাস্ছে স।গরে যেথায়, এসেছি নিপ্লন-শিকষেপ মাঝে দেউল-দবীপ সেই মিম্নাজিমায় |” এশিয়ার ভিতরকাপ “সেকেলে “বৃহস্তর ভারত” আবিষ্কার করা আমার একটা ঝড় কাজ ছিল। কাজেই জাপানে *বৃহান্তর ভারতের খুটাগুলাও ঢুঁঢ়ে বের করতে কল্ুর করিনি বাঙালাকে নারা- হোরিঘুজির সেই সব দৃশ্তও দেখিদ্েছি,_ “হরিণ সেথা ম।নব-সথ। লাঙ্গা-মোড়া তোরী-তলে, ধানের ক্ষেতে সবুজ সেদেশ গম্ভীর ধ্বান সাগর-জলে।” বাঁগালীদেরকে দেখিয়েছি ছুনিপার প্রাকৃতিক সম্পদ আর ধনৈশ্যয্য। কোথাও বা কালিফণিয়ায় কমলা লেবুর ক্ষেত, কখন দক্ষিণ ফ্রান্সের আর উত্তর ইতালির আঙ র-গৌরব। উত্তর চীনের বিরাট, প্রাচীর আর উঈজিপ্টের পিরামিড এসব টপকানোও বাঙালীর অভিজ্ঞতায় এসেছে ইংরেজ-ফরাসী-জাম্মীণ-মাফিণ সকল জাতের ভিরে্র- এঞ্জিনিয়র-পণ্ডিত-রাসায়নিক-ডাক্তার আমাকে অনেক ঘণ্টা খরচ করে

৪৩২ নয়া বাঙ্গলার গোড়৷ পত্তন

তাদের কর্ম্মশীল। দেখিয়েছে, ল্যাবরেটরি দেখিয়েছে, সংগ্রহালয় দেখিয়েছে, হাসপাতাল দেখিয়েছে, লাইব্রেরী দেখিয়েছে, মিউজিয়াম দেখিয়েছে তার! জানে যে, এই সব দেখে শুনে যা পারি আঁ ঘাড়ে করে নিয়ে গিয়ে নবীন বাংলায় ফেল্বই ফেল্ব। এই বুঝে ৬৫।৭০।৭৫ বছরের বুড়োরাও-_নামজাদা পণ্ডিত অবশ্য সবাই”--তবে এখানে আর তাদের নাম প্রচার করে দরকার নাঁই--আমাকে ডেকে থ!ইয়েছে, তাদের পরিবারে পরিচয় করিয়েছে, ভাব করিয়েছে সকলেই ভাইয়ের মত, আপন।র এক জনের মত ব্যবহার করেছে চীনা, জাপানী, ফরাসী, ইংরেজ, জাম্মীণ, মাফিণ, সকল মুল্ুকেই ভাই পেয়েছি মিশর- চীনের মুসলমান নরনারী এই বাঙ্গালী ইন্দো-বাচ্চাকে আপনার জনই ভেবেছে দুনিয়ার কোথাও 1বদেশী ভাবে জীবন কাটাতে হদ্ নি। এই সকল অভিজ্ঞতায় বাঙ্‌ল।র নরনারীকে আমারই সঙ্গে একত্রে ধণী করে তুলবার চেষ্টা সর্বদাই করোছ। অভিজ্ঞতাগুল৷ বাসি করে ফেলে রাখিনি সবই বাঙ্গালীর প।তে পাতে টাটকা পরিবেষণ করেছি

নিজে গিয়ে বিদেশ দেখে একমাত্র নিজের অভিজ্ঞতা বা বিদ্যাবুদ্ধি কন্মদক্ষত। বাড়ানো যেতে পারে কিন্তু বাঙ্গালী জাতের চাকর আমি আমার পক্ষে এরূপ করা অসম্ভব এক সঙ্গে পাচ সাত হাজার বাঙ্গালীকে গোটা ছুনিয়া দেখিয়ে এনেছি বাঙ্গালী জাত এক সঙ্গে বর্তমান জগৎ দেখেছে |

সভ্যতায় পুবও নাই পশ্চিমও নাই

আপনারা জানেন, -পণ্ডিতেরা তর্ক করছে কোন্ট! পূব কোন্টা পশ্চিম ! সভ্যতা-শান্সে, সমজ-বিজ্ঞানে, ইতিহাস-বিদ্বায় এক তুমুল লড়াই। আমি দেখছি পুবও নাই পশ্চিমও নাই পশ্চিমও পশ্চিম

আমার নাম যুবক এশিয়। ৪৩৩

নয় আর পুবও পূব নর ধরুন প্রশান্ত মহাসাগরের এক পারে জাপান আর এক পারে আমেরিকা এদের পুবই বা! কে আর পশ্চিমই বা কে? মামুলি ভূগোল অনুসারে আমেরিকা জ।পানের পক্ষে নিশ্চয়ই পূর্ববদেশ | কিন্তু “সভাতা”র হিসাবে আমেরিকাকে পশ্চিম বলা আজকালকার পণ্ডিতমহলে দস্তর ! জাপান নিশ্চই ভৌগোলিক হিসাবে আমেরিকার পশ্চিম নচ হুনিয়৷ তাকে বল্ছে পৃব !!

এইখানে তর্কশান্ত্রেরে একটা জবর গলদ চলেছে। বিস্তার রাজ্যে আমি হচ্ছি এই গলদের বম। দ্বনিদ্বার লোককে? কেন্বিষ্ট» ইন্দ্র, চন্দ্র, বরুণ, যম সবাইকেই আমি বলেছি সোজা কথা। তার সারমশ্ন এই-- “ভারতবর্ষের লোক, এশিয়ার লোক এখান পক্তমাংসের মানুষ তার মানে কি? তথ:কখিত পশ্চিমারা, তেরা, যেমন রক্ত-মাসের মানুষ, আমরাও, তথাকথিত পূরবর1ও, সেইরপ। ন্দিধে পেলে চোরা খাস, ঘুম পেলে ঘুমোস। আমবাদ ক্ষিধে পেলে খাহ ার ঘুম পেলে ঘুমাই অথচ তোদের হেগেল, ম্যাক্সমূলার, তোদের বাকৃল, কু,» গবিস্ো, আর একালের তোদের হার্টিংউন--একশ বৎসর ধরে' ছুনিয়।কে শেখাচ্ছে, এশিয়ার লোক কোনো প্রন সাংসারিক কাজে পটুতা দেখ!তে পারে নি। এশিয়ার লোক একম।আ পরলো কের চিন্তা করেছে ইয়োরোপের ধাত অন্য রকমের 1 এই “হ/ত'টা বিশ্লেষণ করা, এই ভথাকথিত «জাতীর আদর্শ” গুলা জরীপ করা, নানান জাতের মাথার ঘাট! ওজন করে” বেড়ানো আমার বিষ্টা-সেবার অন্তগ্ত।

হিন্দু জাতির শক্তিযোগ

সোজা কথ।দু সকলকে মন্লঘুদ্ধে ডেকেছি আর ডাকৃছি। আর বল্ছি,-_রক্তমাংসের শ্বধন্মটা ইতিহাসের ইট-কাঠ-কামড়াকামড়ির ভিতরই পাকড়াও করতে হবে। একট] মন-গড়। অলীক দর্শন কায়েম করে?

|

৪৩৪ নয় বাঙ্গলার গোড়া পণ্ডন

তথাকথিত জাতি-ভেদ, জাতীয় বিশেষত্ব জাহির করা চলে না। বস্ত- নিষ্ঠ ইতিহাস বল্ছে,--কি ভারতে ভারতের বাহরে”_রক্তমাংসের বাণী নিম্নরূপ জন্মেছি এই ধগায় আমি রক্তমাংসের শরীর পেয়ে, শরেষ্ধর্ম জানিনা আর ছালয়াট। ভোগ করার চেয়ে চায় ছানয়া আমায় শুধু; চাই আমও কেবল তারে, আমায় ছেড়ে অন্ধ সমান ঘুরবে যে সে অন্ধকারে ! ত্যাগ-সংযম-ব্রহ্মচষ্য শক্তিলাভের যন্ত্র সব, ভোগ করি এই শক্তি-ধলে বীরের মৃত ধরার ধিশব ! রূপের ধরিত্রী, রসের স।গর, শব্ধের আকাশ, গন্ধের বায়, আর স্পর্শের তড়িৎ এরা সবাই মিলিয়। চাঙ্গা করে' মোর প্রাণ বাড়ার যতক্ষণ প্রাণ চাঙ্গ৷ আমার ততক্ষণহ যে অমর আমি হরদম্‌ আসুক নয়া নয়া উত্তেজন। আর প।গলাম। তপ্ত তাজ! রক্তে আমার উঠুক সার অঙ্গ ভরে; জীবনটা চাই হাতপা এবং চোখ নাকে যে রাখতে ধরে? ভর' প্রাণের অশেষ খেয়ালে গড়তব লাখ. লাখ, ধর্মনীতি ছুনিয়া-নুন্দরী বর্ৰে আমায় ভগবান্‌ আর প্রাণের পতি। এই শক্তিযোগ আমাদের ভাগতের অন্যতম শ্বধন্ম। আপনারা সকলেই জানেন, কালিদাস লোকটা যখন কবিতা লিখতে বস্ল তার মেজাজে যে সব কখা বেরুল তার [ত্র দ্িগবিজয় হচ্ছে খুব মোটা “আসমুত্রক্ষিতীশানামানাকরথবস্ম নাম» লোকজনের তারিফ হচ্ছে তার মহাকাব্য সমুদ্র গুপ্তের কবি হরিষেণ বোধ হয় রক্তমাংসের শ্বধর্মপ্রচার হিসাবে কালিদাসকেও নকড়া ছকড়া৷ করে" ছেড়েছে, তার মেজাজে রক্তু-

আমার নাম যুবক এশিয়া ৪৩4

পিসাসা আর হিংসা-ধন্ম এতই বেশী। আমাদের দিগ.বিজম্ী রাজরাজড়া আর দিগ বিজয়ের কবিদের ক।ছে ফ্রান্সের 5তুদ্দশ লুই দাড়াতে পারে কিনা সন্দেহ। হ্র্ষবন্ধনও ক্লে “পা এর স্থুর কর্ছে রে! বড় বেশী! দেখছি বেরুতে হবে দিগবিজগ্চে 1” চল্ল সকলে তাখ সঙ্গে সঙ্গে। এরা দেখিয়েছে শরীরের পরাক্রম এরা বুঁঝগ়েছে, “হাত-পার জোরে মাথার জোরে শক্তিমানেরা পুজা পায়।” সেই চাণকা-চন্দ্রগুপ্র থেকে আরস্ত করে? ধন্মপাল-রাজেন্্রচোল পধ্স্ত লে।কগুলা সবাই শঞ্্ধির সবাই সংসারনিষ্ঠ,) কর্মবীর “তারা এত ভারতে জন্মেছে কিন্তু ইয়োরামেরিকার “দাশনিকেবা” বল্ছে”হিন্দুজ।ত সাংসারিক লে।ক ছিল না।” আর বলেছে “কলকজাম় এদের মাথা খেলবে না, ব!জ-লাধীনত। এদ্রে কাছে বাতুলতা মাত্র!” আর শামাদেব স্বদেশী "দাশনিকেরা” ও, আমদের একলে মহাত্সার।€১--পশ্চিমদের এই কুসংস্কার গুলা গুড়িছে বল্ছে__“ঠিক ত, ভিন্দুজা্ত, ভাপত সন্তান আপাাত্সিক | ছিঃ! বৈষয়িক, সাংসাবক, রাষ্ট্রীয় জীবন অপদার্থ * পথ মাড়িও না, মবক ভারত 1"

দুনিয়ায় কি দেখে এলাম "

সব মহাত্সাদের দর্শনের ভিতর প্রবেশ কণা সম্প্রতি আমার মতলব নন আম আমার কা বলছি ছানধায় কি দেখে এলাম? আমগ! ফেমন দেব [* নই জানো দারও নত, ঠিক মান্থন তারাও তেমনি দেবতা নয় জানোয়ারও নর মানুষ আমরা মনে করি হংরেজেরা জানোয়ার বটে; চীনারা মনে করে ইংরেচ, ফরাসী ইত্যধি সন পশ্চমা লোকই জানোয়ার | যার সঙ্গে বনিবনাগ নাই অথব। বনিবনা কম তাকে জাঁনোগ্ার বিবেচন্ং করা সকল দেশেই একপ্রকার গ্বাভাবিক। আমি বল্ছি ইংরেক্ড দানুষ লটে। ইশরেজ দেবতা নয় জানোয়ারও নয়,

৪৩৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

তেমনি ফরাসীর! দেবতাও নয় জানোয়ারও নয়, মান্থষই বটে আমাদের দেশে কতকগুলি দোষ আছে অশ্বাকার করি না। কিন্তু এই সব দোষ, হুর্বলতা৷ ইত্যাদি কি তাদের দেশে ছিল না? না আজও নাই?

আমি ফরাসী মুচী-মজুরদের ঘরের কথা জানি। ইতালীর আর জান্মাণীর পল্লীতে পল্লীতে গিয়ে”_এক্দিন ছদিন নয়, অনেক দিন,__যার! ভাই বলে ডেকেছে তাদের ঘরে খেয়েছি, রয়েছি, আত্মীয়তা করেছি। মধ্যবিত্ত, উচ্চশ্রেণী, কেরাণী, ব্যাঙ্কার, খাষ্টার ইত্যাদি সকলের সঙ্গেই ভাব হয়েছে ফরাসী মেয়ে, মাকিণ মেয়ে, এমন কি ইংরেজের মেয়ে পর্য্যস্ত, যার! মফঃম্বলের ছোটখাট শহরে বাস কর্ছে--তারা কি ধরণের জীব? একটি করে খোচা মেরে একটুখানি রক্ত বের করলে দেখা যায় যে, সেই মধ্যযুগের ম'নবৰ আজও ইগোরামেরিকায় প্রচুর পরিমাণে বিরাজ কর্ছে। অর্থাৎ সাধারণতঃ তারা নামজাদা! লোক দেখলে ট্রুপী নাখিয়ে সেলাম করে। মেয়ে জাত পুরুষের সঙ্গে স্বাধীনভাবে টক্কর দিতে সুরু করেছে মাত্র পচিশ-ত্রিশ সর হ,ঙ্। এই জিনিষটাকে মেয়েদের রক্ত- মাংসের সঙ্গে মিশাতে এখনো কত বৎসর লাগবে কে জানে? ফ্রান্স- জান্মীণী-আমেরিকা-ইংলগ্ডের পল্লীর সাবডিভিশানের মেয়ে আর আমাদের পল্লীর যারা অশিক্ষিত মেয়ে, তাদের মা-বাপ পব্যস্ত, শ্বামী-ভাই পর্যাস্ত সবাহ প্রায় একই রীতিতে চলে” আস্ছে। রাষ্ট্রনৈতিক শ্বাধীনতায় সব দেশ যতই উন্নত হউক না৷ কেন, এখন পর্যন্ত সেই মধ্যযুগের ধার! এই সকল উন্নত দেশে চলে আস্ছে' যে ধারাকে আমর! তথাকথিত হিন্দুত্ব নামে পুষতে অভ্যন্ত।

আমাদের €ষ মন্দির তার ভিতর ঘে ভ'ক্তভাব, ভগবত আরাধনা! আর আধ্যাত্মিক প্রবৃত্তি দেখতে পাই, সেই সব জিনিষ ইয়োরোপের পল্লীতে তার চেঘ়্ে কম দেখতে পাই না। তাদ্রের সাধু-ফকিরদের ভিতর এমন

আমার নাম যুবক এশিয়া ৪৩৭

অনেক শ্রেণী দেখতে পেয়েছি যারা টাকা ষ্োয় না নোট অন্পৃশ্ত বিবেচনা করে, জাম। পরে না, যদি বা! পরে এমন কাটাঁওয়ালা চট যা গামে ঘসে" ঘসে' পালিশ করতে হয় অর্থাৎ কষ্ট শ্বীক।ব, কৃষ্চ, সাধন বললে যা বুঝায় তা ভারতীয় হিন্দুমুসলমানের একচেটিয়। জিনিষ নর। নিয়া সম্বন্ধে এই সব তত্ব ঘরে-বাইরে সর্বত্রই 'গ্রচাৰ করে' আস্ছি |

দুনিয়াকে ঘাডে করে' ভারতে হাজির

ছেলে ব্লোয় গল্প শুন্তাম, হনুমান মখন লঙ্কা শেল আম খেছে আটিগুলি ছুঁড়ে দিয়েছিল মালের দিকে, সেই জন্তই মালদহের আম নাকি বিখ্যাত সবল লিগ্াবুদ্ধি কিছু থাকুক না থাকুক, ভারত পর্ষকে ঘাড়ে করে” ইমোরামেরিকা-মিশব-জাপান-চীনে ঘুরেছি এখন ছনিয়াকে ঘাড়ে করে, হয়েছি ভারতে হাজির ঈতিমধো বিদেশে থাকৃতে থাকৃতেই ফ্রান্সের এক ট্রকরা, জাপানের এক টুকরা, জান্মাণির এক টুকরা ভারতের এখানে ওখানে ছ'ড়পে দিয়েছি পড়েছে গিরে কোনোটা মাদ্রাঙ্গে, কোনোটা হরিদ্বারে, কোনোটা পুণাতে, খোনোটা বা কলিকাতায় এই ভাবে নানা জায়গায় নানা জিনিষ ছিটকে পডছে। পূর্ববঙ্গের ভাষাম় য!কে বলে “আগালি পাথ।লি”শএকদম বিশৃঙ্খল ভাবে দিকৃবিদিক্‌ জ্ঞানশুন্ত হয়ে দ্রনিয়াব রকমারি শ্বামের আটি ভারতে ছুড়ে ফেলেছি অনেকে বলেন এতে ফল ভয় না, হবে না। কিক কোনো ফল ফলেছে কিনা তা বলতে পারে বোধ হয় মাঁজকালকার যুবক ভারতের কর্মবীরের! আর চিস্তাবীরেরা এর! যদি কখনে! আত্মজীবন-চরিত লিখে” নিজ নিজ ব্যক্তিত্বগঠনের মশলাগুলা বিনা গৌজামিলে বিরত কর্তে চেষ্টা করে, তা'হলে হয়ত এই বাঙালী হন্রমনণের আথালি-পাথালি আটি- ছড়ার ফলাফল কিছু কিছু জান! যেতে পারে থাক্‌ সে কথা অবশ্ঠ

৪৩৮ নয়া বাঙ্গলার গোডভা পত্তন

আহাম্মক ভাবে ছুড়েছি হনুমান যেমন করেছিল! কিন্তু তবুও একটা ফলের কথা উল্লেখ করতে চাই

আপনার! জানেন পচিশ-ত্রিশ লক্ষ টাক। মূলধনে প্রকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় কায়েম হয়েছে পুনাতে। নাম "ম'হুলা বিশ্ববিস্ভালয় ।” তার প্রতিষ্ঠাত! মারাঠা পণ্ডিত অধ্যাপক কার্কে। প্রায় দশ-এগার বৎসর পূর্বে এই বিশ্ব- বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় আমি তখন বিদেশে কার্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বাধষিক বিবরণী প্রদান করেছেন, তাতে এই প্রতিষ্ঠানের জন্মকথা সম্বন্ধে সকল কথা আম্করিকভাবে খুলে বলেছেন। তিনি লিখেছেন - "আমি হিন্দু বিধবাদের জন্য একটা আশ্রয় মাত্র খাড়া করেছিলাম কোন্‌ দিকে ইস্থুলট। চালাব কিছু ঠিক করতে পারছিলাম না। এমন সময় দেখি ডাকঘরের মারফৎ একটা পাঁকেট এসে হাজির হল। কোন্‌ দেশ থেকে এল, কে পাঠাল কিছু জানি ন!। প্যাকেটের লেপাফাটা ফেলে দিয়েছিলাম পড়তে আরম কর্লাম . পড়তে পড়তে দেখি- এটা জাপানের মেয়ে-বিশ্ববিদ্তালয়ের বাধিক রিপোর্ট যত পড়তে লাগ্লাম তত্তহ কৌতুহল বাড়তে লাগল! দেখলাম পচিশ বৎসর ধরে জাপানের একজন কন্দ্ী এদিকে চেষ্টা করেছেন আমি আজ পনর বৎসর ধরে, ভারতবষে তাঁই করছি কোন্‌ পথে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা চ।লান উচিত এখন পর্য্স্ত ঠাওরাতে পাচ্ছি ন। দেখলাম জাপানী প্রণালী ভারতের বেশ কাজে লাগবে তারপর ১।২।৩৪ করে? আসল কর্মক্ষেত্রের জন্য হুবহু সেই বিপোর্টের নকল করলাম। তারপর অমুক অমুক পয়সা ওয়ালা লোকের কাছে গেলাম, তাঁদেরকে পুছ.লাম.- তোমরা এতে রাজী আছ কিনা ম্তার বিঠঠলদাস ঠাকুসে” রাজী হল। ক্রমে ক্রমে প্রতিষ্ঠানট। ঈাড়িয়ে গেছে কিন্তু এই বিশ্ববিদ্ভালয়ের আসল প্রতিষ্ঠাতা কে ? আমি কার্ধে নই, স্যার বিঠঠলদাসও নন প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে সেই লোকটা যে

আমার নাম যুবক এশিয়া ৪৩৯

আমাকে জাপানী প্রতিষ্ঠনের বৃত্তাপ্তটা পাঠিয়েছে ৷” আমর! ভারতবাসী অতিমাত্রায় বিনয়ী মাঁরাঠা পঞ্ডিত কার্কেও অতিমাত্রায় বিনয়ের নিধর্শন দিয়েছেন এই রিপোর্টে

তার দশ বৎসর পর কার্বের একখানি চিঠি আসে আমার কাছে। আমি তখন ইতালীতে তখনও ভারতরবর্ণে ফিব্ব কিনা, অথবা কৰে ফির্ব "কিছু ঠিক চিল না। তিনি লিখেছিলেন, “সম্প্রতি আমাদের এখানে তোমার বন্ধু, কাশীর শিবপ্রসাদ %প্ত এসেছিল | কথায় কথায় বেরিয়ে পড় ল,--জাপানী মেখে পিশ্ববিগ্ালয়ের লুত্তাস্তটা এসেছিল আমার কাছ সেই বৎসর, ষে বহ্সর তোমরা তজনে এক সঙ্গে জাপানে মোসাফার কর্ভিলে। এ-দিনে জান্তে পাদ গেল যে তোমরা যে সব ভারতবাসীর কাছে রিপোর্টটা পাঠিয়েছিলে শাদের ভিতর আমিও একজন ।”

দেখা যাচ্ছে বে, দিকৃবিদিক্‌ জ্ঞানশুন্ত হয়ে বিদেশী আমের আটিগুল। “আথালি-পাথালি* দেশের নানা ধাটিতে পাঠাতে থাকলে অনেক সমম্ে বড় বড় কাজের গোড়াপত্তনে অথবা বিকাশ-সাধনেও অনেক-কিছু সাহায্য কর! সম্ভব আনাড়ি হুনমান অথব; নেহাৎ চিনির বলদও একট উপায়ে দেশের কাঁজ কিছু কিছু করিতে পাগে। এই পরণের বিদেশী অটির অন্ঠান্ত ফল-যুবক ভারতের কত জায়গা কত কি করেছে তার হিসাব অবশ্ত আমার জ্জানা নাই। দারাঠ মুন্তুকের কাহিনীটা দৈবক্রমে মাত্র কাণে এসেছে

বর্তমান যুগের “বৃহত্তর ভারত” প্রতিষ্ঠ।

আপনার! বল্ছেন, আজ আম ফিরে এসেছি ; আমি জানি যে, “ফিরে” এসেছি কথাটা ঠিক নয়। এই পৌনে বার বৎসরের একট দিনও আমি বাংল] দেশের বাইরে ছিলাম না। এই যুগটার প্রতিদিন

৪8৪৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

রাত্রি ৰারটা একটা পর্যন্ত কাজ করেছি। দেশে থাকবার সময় যতটুকু বা যা*কিছু করেছি বিদেশেও নিত্যকশ্মুপদ্ধতি বিলকুল ছিল তাই ভোর ৫টার সময় উঠেছি। সকাল ৬্টা থেকে রাত্রি ১২টা পধ্যস্ত সব কয়টা! ঘণ্টাই কাজে ভরা মিউক্ভিয়াম-ল্যাংরেটরি-লাইব্রেরি-ব্যাঙ্ব-কারথানায় ঘুরাফিরাই হউক, কি বই মুখস্ত হউক, কি কলম পেষাই হউক, কি লিখিয়ে-পড়িয়ে মগুলীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনাই হউক, কি জননায়ক- ্ানীয় নরনারীর সঙ্গে দহরম-মহরমই হউক, কি আর কোনো কাজ-কম্খই হউক, প্রতি মুহুর্ত আমি মনে রেখেছি যে যুবক বাংলার সামাগ্ত অগ্রি- শ্ষলিঙ্গ আমি। প্রতি মুহূর্ত আমাকে সব্ধত্র যুবক বাংলার আর যুবক ভারতের জন্ কর্মক্ষেত্রে ঢুঁঢ়ে বের কর্ভে হয়েছে জগতের ডিহিতে ডিহিতে বর্তমান যুগের উপযোগী একটা "বৃহত্তর ভারত” গড়ে” তোলা রয়েছিল আমার এক বিপুল ধান্ধা। ১৯৩০-৩৫ সনের সেবাধর্ন

আমার কাজ ছিল ভারতের ১৯*৫:৬ সনকে ১৯১৫।১৬ সনের উপযুক্ত করে? দেওয়া তারপর ১৯১৭।,৬ সনকে ১৯২৫।২৬ সনের উপযুক্ত করে, তোলা ছিল আর এক কাজ আজ আমার কাজ হচ্ছে ১৯২৫।২৬ সনের যুবক ভারতকে ১৯৩০।৩৫ সনের উপযুক্ত করে দেওয়া চাকর ভাবে গিয়েছি, চাকর ভাবে ফিরে এসেছি চিরকালই, সর্বত্রই আমি বাংলার সেবক

আজকাল আপনারা কেহ কেহ সন্দেহ কর্ছেন যে, আমি আহাম্মুকের মত কথা বলে” থাকি “পাশ্চাত্য” “পাশ্চাত্ত)” করে' আবল তাবল বকৃছি। আমি বল্তে চাই,_জন্ম অবধি আমি পাশ্চাত্যের অস্থুরাগী। সে কথা অজানা নয় আপনাদের | বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদ্‌ অনেক দিন আগে আমার একখানা বট ছেপেছেন। সেটা আপনাদের ৩৫ নম্বর

আমার নাম যুবক এশিয়া 8৪:

কি ৩৬ নম্বর বই। আর মজার কথা, সেটা আমার একপ্রকার প্রথম বই। নাম “প্রাচীন-গ্রীসের জাতীয় শিক্ষা” এতেই বুঝিতে পার্ছেন পশ্চিমমুখো আমি কখন থেকে তখন আমাব ক্য়স চব্বিশ পার হয় নি। আমার ব্যবসা হচ্ছে__দেশের ঃখ-দারিদ্র-দৈন্ঠ কোথায় তা খুজে বের করা। সেটা ষদ্দি দেশকে নিন্দা করা লেন অ।পত্তি নেই দেশের দাওয়াই যদি পশ্চিম থেকে আমদানি করাটা পাপ হয়, সেই পাপ আমার চরিত্রে আজ পতুন-কিছু নয়। আমি দেশের চাকর,চাকরের ব্যবসা মনিবের অভাব পূরণ করণ।

কলিকাতায় ফিরে আসনার পর আজ বছখ খানেক যাচ্ছে এই বৎসরের ভিতর যোগ পেয়েছি কিছু কিছু, নানা রকম লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে যারা বল্ছে “হান কব্তে চাহ তা।ন করতে চাই” তাদের সকলকে বলেছি “কর্‌, করে? যা, যে যা পারিস” গত তিন চার দিনের ভি-র হাওড়া জেলার মানতে আর শাস্তিপুরে নানা রকম প্রস্তাব

ঢছি। এই সব প্রস্তাবের ভিতর সেই ১৯ ৫1১ উত্যাদি যুগের দেশ-্ধন্ম্রত একমাত কণা

মুয়ান-চুয়াডের বস্তা

আমাদের দেশে যুয়ান-চুয়াঙ নামে চীনের একজন পণ্ডিত এসেছিল। সে হচ্ছে চীনেদের সমাজে প্রারর ভারতীয় শঙ্করাচান্যের মত নামজাদা আবার যুয়ান-চুচাঙ কর্মব'র, ধুরন্ধর লোকও বটে পনর-যোগগ বৎসর ভারতে বসবাস করে? দে বস্তা বও1 মাল গাধার পিঠে, উটের পিঠে চাপিয়ে ভাএতবধ লুটে নিয়ে গিয়েছিল চীনে গিরে দেখে-_-তার মনিব তাগু, তাইচুউ. মারা গেছে তখনকার সম্রাট যিনি তিনি বল্লেন-__“আমি অবশ্য তোকে চিনি না। কিন্তু তোকে সাহায্য করতে চেষ্টা কর্ব। লেগে বা। দেখি কদ্দর করতে পারিস।” এই যে যুয়ান-চুয়াঙ বস্তা

৪৪২ নয়া বাঙলার গোড়া পত্তন

বস্তা মাল নিয়ে গিয়েছিল তাই দিয়ে ভাবতবর্ধকে সে প্রচার করতে চেয়েছিল চীনে কি করা হল? বাদশাহী বন্দোবস্তে কতকগুলি লোককে খরচ-পত্র দিয়ে পড়ানো হুল। তারা ভারতবর্ষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, উপনিষদ্‌, তন্ত্র, রসায়ন, চিকিৎসাবিদ্া, দর্শন--যত রকম যা কিছু থাকৃতে পারে-_স্বগুলিকে চীন! তর্জমার সাহাষ্যে চীনা করে" ছাড়লে ভারতবর্ষ থেকে যে জিনিষ চীনে গিয়েছে সব জিনিষকে তারা *বৌদ্ধ” সমঝে" নিয়েছে চীনে ভারতবর্ষের লজিক, থিয়েটার মার ডান্টাগুলি সবই “বৌদ্ব*। চীন-জাপানের ভাষায় ভারতবর্মের অর্থ বগভৃমি (তিয়েন্চু বা তেন-জি-কু )। কেন ন! বুদ্ধদেব এখানে জন্মেছেন অতএব বুদ্ধদেবের দেশ থেকে যা কিছু এসেছে সবই বৌদ্ধ। তারপর চীনে পাচ সাত শত বৎসরের যে যুগ তাকে প্রকাণ্ড ভারতী যুগ বলা যায়। সঙ আমল আব বাংলার সেন রাজাদের যুগ সমসাময়িক এই ছঈ আমল এশিয়ার অন্যতম চরম গৌরবের যুগ যে সময়ে চীনা বাদশার! ভারতীয় জিনিষ গুলাকে চীনের পল্লীতে পল্লীতে প্রশর করেছেন, তথন বাংল দেশে সংস্কৃত সাহিতোর এক শেঠ অবস্থা সেই যুগটা চীনে সত'সতাই বৃহত্তর ভারতের যুগ। যুয়ান-চুয়াঙের ভারতীয় বস্তা গুলা চীনে “বৃহত্তর ভারত" প্রতিষ্ঠার কাছে খুব বড় সাহায্য করেছে সন্দেহ নাই। চাই ভারতে আটলাশ্টিকের নুন

যুয়ান-চুয়াঙের বস্তা ছিল / আমার তাবে বস্তা নাই গীটরি বৌচকা পর্ধ্যস্ত নাই ' ছুনিয়ার সম্পদ লুটে আন্বার মতন ঝুলিও একটা আমার ছিল না। তবে যুয়ান-চুয়ঙের সাধনা! আমার আছে। ভারত-সেবক আর বাংলার চাকর হিসাবে আমি ছুনিয়াকে ভারতে সপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই বিশ্বশক্তির স্রোত যাতে গঙ্গা-গোদাবরীতে বয়ে যেতে পারে তার চেষ্টা করাই আমার লক্ষ্য

আমার নাম যুবক এশিয়া ৪৪৩

চা

আট্লান্টিককে তাই বলে এসেছি)-_

“ছুড় মুড়িয়ে আট্লার্টিক, তুই ছুটে" যাস কোথায়?

আয় তোরে বাধব নিয়ে এশয়ার পায়

ভারত সাগর বুড়িয়ে গেছে, জলে নাই তার নূন

নৃণ না পেয়ে পাশী-হিন্দুচীনার হাড়ে খুন

ভারত সাগর টেঁচে কৰ্ব আটলান্টিকের খাল,

আর সনার আগে চাঙ্গা ভয়ে উঠবে দেশ বাঙ্গাল ।৮ ইয়োরামেরিকাকে উপ.ভিয়ে যাদ ভারতে আনতে পাব্তাম, তাহলে বুঝতাম কাজের মতন একটা কাজ করেছি বটে, যেমন করেছিল চীনের শ্বদেশ-সেবক কর্থবীর যুয়ান-চুয়া চীনে ভারতবর্ণকে প্রচার করে'। সে স্রযোগ আর সে আবহ:ওয়া আমার নাই তাই আমি রামান্তামাকে, রাস্তার লোককে ডেকে বল্ঙি, “ভাই এই কর্‌, শী কব্‌। আমি যদি পারি তা হলে এই করব, এই কলুব" ইত্যাদি।

সাহিত্য-পবিবদের এই মজালশে সম্প্রতি একট। কথা মাত্র বলতে

চাহ আমাদের দেশে অথশান্স বা ধন-বিচ্ঞান বিস্তাটার চর্চা অতিশয় কম চল্ছে দেশে পণ্ডিত-মাষ্টাপ-রীসার্চওয়ালা রয়েছে বটে। তবুও, ১৯২৭ সনের ছুনিগঘ্াধ তে মাপ সে হসাবে আমাদের বিদ্যা নেহাৎ নগণ্য বিশ্ববিদ্ভালয়েখ চরম ্ণাতে পড়! সাঙ্গ করে" তারপর বৎসর পাঁচেক স্কুলে যদি রীতিতমত্ত ক্লাস কবে” পড়া যায়, তবু আমরা উপযৃক্ত হতে পারি কিনা সন্দেহ “ইয়োরামেরিকা অথবা জাপান এই করছে, এই কর্ছে, এত বড়, এত চু” ইত্যাদি মত আমি ঝাড়ছি:; মুয়ান- চুয়াড, স্বদেশে ফিরে ভারত সম্বন্ধে এইরূপ লগ্বা-চৌড়া বোলই ঝেড়ে- ছিল। যুরান-চুাড কে বিশ্বাস কর্বার লোক ছিল আমি বল্ছি না যে,

৪88 নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন

আপনার! আমাকে সেইরূপ বিশ্বাস করুন, কিন্তু স্বচক্ষে ছুনিয়াখানাকে দেখবার আর বুঝবার ফিকির বান্লিয়ে দেওয়াই সম্প্রতি আমার লক্ষ্য

বসায় ধনবিজ্ঞান-পরিষদের ঘমাসাবিদা

আমি বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের চাকর কিন্তু সাহিত্যপরিষদ্‌কে ভেঙ্গে নতুন চার পাঁচটি পরিষদ গডে” তোলা দরকার কথাটা হেয়াশীর মত বোধ হচ্ছে। ফরাসীদের ১৫* বৎসরের পুরাণো যে আকাদেমী ছিল সেট! ভেঙ্গে পাচসাতট' আকাদেমী গড়ে তোল! হয়েছে তাছাড়া আরও গণ্ডা গণ্।! সমিতি, পরিষৎ বা সভার সাহায্যে জ্ঞানবিজ্ঞান-শিল্পকৃষির চর্চা চলেছে। বাংলাদেশে সাহিত্য-পরিষদ্‌ খুব বড় প্রতিষ্ঠান। পরিষদের কর্মের ফলে বাংলাদেশে অনেক নতুন নতুন কর্ম্মবীর পণ্ডিত দ্ীডিয়ে যেতে পেরেছে কিন্তু তাদের জন্য আজ নতুন নতুন কর্্ম-কেন্দ্র চাই

আজ একটা মাত্র কর্মকেন্দ্রের গোসাবিদা দিয়ে যাচ্ছি। এজন্ত €1৭।.০ জন লোককে খোরপোষ দিয়ে রাখ! দরকার! এরা কোথাও চাকরী টাকৃরী কর্বে না। এর! কব্বে লেখা পড়া, বই মুখস্থ আর বই লেখা তার! মাথ। খেলাবে,_ কেহ এঞ্জিনে, কেহ জাহাজে, কেহ কৃষিতে, কেহ পাটে, কেহ স্বাস্থ্য-সমন্তায়॥ ফ্রান্স, জাশ্মাণি, ইতালীতে আজ কি কি আধিক আইন-কানুন দাড়াল. সে সব হজম করে তারা বাংলা ভাষায় বই লিখবে কাউকে আমার কথা" আমার মত মেনে নিতে বল্ছি না। জন্ত আমার প্রস্তাব হচ্ছে,_তার্দেরকে বৎসর পাঁচেকের জন্ত বাহাল করুন। পাঁচ বৎসর পরীক্ষা করে দেখুন। পাঁচ বৎসরের কাজ হবে ২৫ খানি উচ্চ অঙ্গের বই--এম এ, বি এর পাঠ্য-_ধনবিজ্ঞান সম্বন্ধে বই তৈয়ার করা উপযুক্ত লোক বেছে ২৮।৩।৩২ বৎসর বয়সের যে সব ছোকরা কাজ-কর্শোয় আর লেখা-পড়ার সোয়াদ পেয়েছে তাদেরকে

আমার নাম যুবক এশিয়া 8৪৫

বৃত্তি দিয়ে যদি পাঁচ বৎসরের ছন্ঠ রাখতে পারেন, তাহলে বাংল: সাহিত্যে ধনবিজ্ঞানট! দাড়িয়ে যাবে।

বাংল! দেশের মফঃশ্বলে তিনচারশ লোন অফিস রয়েছে তা ছাডা দেশের আধিক অবস্থা উন্নত কব্বার নানা রকম চেষ্টা চল্ছে। সে সম্বন্ধে চিন্তা কর্বার জন্ত খোরপোষ দিয়ে পথিবদে লোক কায়েম করুন| “বঙ্গীয় ধনখিজ্ঞন-পরিষৎ” নামে একটা নতুন পরিষৎ গড়ে তুলুন। কলেজ বিশ্ববিদ্ভালয়ের মাষ্টারের যে বেতন তাদের তার চেয়ে কম ব্তেন হওয়া! উচি* নঘন। পাঁচ বংসর কাজ কর্তে হলে লাখ ছুই টাকা লাগ বে। টাক? বাংলাদেশ থেকে তুলুন। তার জন্য আন্দোলন রুজু করুন। আমাকে যদ্দি সেবক ভাবে বাাল কর্তে চান তাহলে আমি কাজে লেগে ষেতে রাগ আছি দি এই ধরণের কাজ করতে প!রেন তাহলে আঘথিক সাহি-ন্া সম্বন্ধে বাংলাদেশে চু ধরণের একটা কিছু হতে পারবে।

এই ধরণের আরও অন্যান্য দিকে উচু মাপকাঠি লাগিয়ে কাজ সুরু কর্বার দিন এসেছে। বাঙালী শক্তিযোগের নানা প্রতিষ্ঠান 9 নানা আন্দোলন আজ কায়েম করা চাঠ। বাংলার চাকর হিসাবে আপনাদের কাছে মামার নবেদন এই ঘে, আজ ১৯২ সনের কোঠে ছাড়িয়ে আগাম ভ'বন্যতের জন্থ একট। উল্লেখযোগ্য কিছু খাড়া কর্বার সুযোগ আপনার! শ্ষ্টি করুন। তাহলে চনে যুয্লান-চুয়।ঙ -প্রবথিত ভারত” প্রাবনের সমান না হক, বাড়ল! দেশে বিশ্বশক্তির ধন্যাটাকে জগদ্‌- বাসীরা একট! দর্শনযোগ্য গ্রুপে সন্মন কর্তে শিখবে আর বিশ্ব শক্তির ভরা জোয়ারে নিয়মিতরূপে সাতার কাটবার শ্থযোগ পেলে যুবক বাও.লার হাত-পা"র জোর আর মাথাপ্ন জোরও সহজেই ছুনিয়ার মালুম হতে থাকৃবে।

পারাশিষট বেজল টে কৃনিক্যাল ইন্ষিটিউটে সম্বর্ধনা বনোমাতরম্‌ পূজনীয় আচাম্য শ্রযুক্ত “বনয় কুমার সরকার হো শ্রীচরণ কমলেষু

০হ আচাষা,

সুদীর্ঘ কাল দেশ দেশাস্তবে াকিরা অংপনি পুনরা« আমার্দের মধ্যে ফিরিয়া আসিয়াছেন॥ এই ছুলভ সৌভ।গাকে সসম্থমে বরণ করিবার জন্য জাতীয় শিক্ষা পরিষদের বিগ্ভাথিগণ আমরা এঞ্ধমুদ্ধ হাদছে সমবেত হইয়া আপনার চরণে প্রণতি +নবেদন করিতেছি আপনার প্ুণা দশন প্রেহপৃত আশীর্বাদ আমরা আঙ্চ ধন্ঠ ভ্ইব

আপনার এই উপস্থিতি অতীতের কত কথাহ না স্মরণ করাভগা দিতেছে | সেই স্বদেশী আন্দোলনের দিনে যখন নব শ|বের বন্তাণ সমগ্র ভারতবষ উদ্বেলিত হইয়া উঠিযাছিল সে দিন আপনি সমস্ত কোলাহল হইতে দুরে সরিয়া জাতীয় বিগ্চায়তন গড়িবার মহ'মৌন তপন্তার মধ্যে ড্রাবয়া গিয়াছিলেন। সউভ সংকলে জাগ্রত, হে কম্মকঠো? তপস্থি ! আপনার এই সাধনার সিদ্ধি আজ যুণ্তি গ্রহণ ক্য়াছে।

হে হুঃখব্রতী সাধক, সেদিন অ।পনি কদরের দক্ষিণ মুখের উপর প্রশাস্ত নির্ভর দৃষ্টি রাখিয়া নিরহস্ক.ত কর্তবোর সাধনা আপনার বুদ্ধিকে, জ্ঞানকে নিয়োজিত করিয়াছলেন। সেহ মহান আদর্শ আজিও জাতীয় শিক্ষা পরিষদে প্রাণ ন্বরূপ হইঘা আছে। তরুণ জীবনের বুদ্ধি, মন চরিত্র লইয়। আপনি যে নৰধুগ্রে নৃতন মানিষ গড়িতে চাহিয়াছিলেন, তাহাকে

৪৪৮ পরিশিষ্ট

যে সাধনার দীক্ষ! দ্িয়াছিলেন, তাহা জাতীয় শিক্ষা পরিষদের স্থায়ী সম্পদরূপে অব্যাহত থাকিয়া আজিও আমাদের জীবনের উচ্চতর প্রেরণা, হুম্পরণীয় ছুরাকাঁঙ্খা, জাগ্রত জীবনের আনন্দ প্রদান করিতেছে ্বদেশীর প্রথম প্রশাতে ধাহারা জাতীম শিক্ষা দ্বারা দেশের ভবিষ্যৎ গড়িয়া তুলিতে প্রাণপাত চেষ্টা করিয়াছিলেন, আপনি তাহাদের অগ্ততম প্রধান খত্বিকি বলিয়া আমরা আপনাকে আজ প্রাণের অর্থ্য প্রদান করিতেছি।

' নব্যভারতের প্রাচীন একনিষ্ঠ সেবকগণের অন্তপ্ধীনের সঙ্গে সঙ্গে অতীত যুগ শাস্ত স্থন্দর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিকট বিদ।য় লইবার নিমিত্ত প্রস্তুত হইতেছে জাতীয় জীবনের এই সন্ধিক্ষণে আপনার দেশবাসী আপনার নিকট অনেক কিছুই আশা করিতেছে।

হে জ্ঞানের গুরু, জ্ঞানার্জনের মহতী ছরাশায় আপনি সমুদ্্র'মেখল। ধর্রিত্রী পরিভ্রমণ করিয়াছেন বিশ্বের 1বপুল শোতে অনির্দেশ যাত্রায় আপনি একদিন তরী ভাসাইয়া ছিলেন, আজ সেই তরী নান! বাচত্র জ্ঞানের পণ্য সম্তারে পরিপূর্ণ হুইয়! দেশের ঘাটে ভিড়িয়াঙ্চে। জাতিৰ জন্য আহরিত এই জ্ঞান-সম্পদ আপনি দুহাতে বিতরণ করিবেন, আমর! সে প্রসাদকণ! হইতে বঞ্চিত হইব না। আপনার সেহ মহৎ দ্বান ক্কৃতাঞ্জলিপুটে গ্রহণ করিবার জন্ত আজ আমরা নতশিরে দণ্ডায়মান হহয়াছি। হে আচার্ষ)শ্রেষ্ঠ, পরা অপরা এই উভয় বিগ্ভ আপনি আমাদের প্রদান করুন, “শিষ্যস্তেহং সাধি মাং ত্বাং প্রপন্নম্”। ইতি।

যাদবপুর বিনয়াবনও ১৬ ডিসেম্বর ] বেঙ্গল টেকৃনিক্যাল্‌ ১৯৫ ইন্ট্রিটিউটের ছাত্রবুন্দ

পরিশিষ্ট

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে অন্ধর্ধনা

পরম কল্যাপবর অধ্যাপক শ্রীমান্‌ বিনয় কুমার সরকার এম্‌. | কল্যাণবরেষু কল্যাণীয় বিনয়কুমার,

তুমি দিগ্বিজয় করিয়া দেশে ফিরিয়া আমিলে। তুমি খন যাও, আমর! সকলে কতই আশা করিয়াছিলাম, কতই ভরসা করিয়াছিলাম, তুমি নান! দেশে গিয়া অক্ষয় জ্ঞান ভাণার সঞ্চয় করিয়া দেশে ফিরিবে। আমাদের সে আশা সে ভরসা পুরা দত্তর সফল হইয়াছে। তুমি যাহা আনিয়াছ, তাহার পার নাই এখন তুমি সেই অক্ষয় জ্ঞান-ভাগার দুই হাতে আপনার দেশী লৌকদিগকে বিতরণ কর।

তুমি যখন যাও, তখন দেশের বড় বড় লোক, বড় বড় পণ্ডিত তোমার পাণ্ডিত্যে তোমার ম্বভাঁবের গুণে মুগ্ধ হইয়াছিলেন। স্বর্গীয় অক্ষয়চন্্র সরকার মহাশয় বলিতেন, তুমি একজন বিশ্বপ্রেমিক | ্বগাঁয় রামেন্জ হুন্নর ত্রিবেদী মহাশয় বলিতেন, দেশীয় লোকের শিক্ষার জন্য তুমি যেরূপ প্রাণ ঢালিয়া দিয়াছ, সেরূপ আর দেখ। যায় না! নানা অবস্থায় পড়িয়া, নানারূপ কষ্ট পাইয়া তোমার স্বভাব আরও মধুর হইয়াছে আরও কোমল হইয়াছে, তাহাতে আমরা, যাহারা আজও বীাচিয়া আছি, আরও যুগ্ধ হইয়াছি। আমরা আশীর্বাদ করি, তুমি চিরজীবী হও দেশের দুখ

উজ্জ্বল কর।

8৫, পরিশিষ্ট

তুমি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের অক্কত্রিম বন্ধু। যে দেশেই যখন গিয়াছ, সাহিত্য পরিষদ্দের মঙ্গল কামনা বরিয়াছ। তোমারই কল্যাণে সাহিত্য পরিষদের নাম নান] দেশে বিস্তৃত হট্য়াছে এবং প্রায় সকল দেশ হইতেই তাহার নানারপ নিদর্শন পাওয়৷ যাইতেছে তুমি যখন এদেশে ছিলে, তখন হ্বতঃ পরতঃ পরমেশ্বরতঃ অনবরত, সাহিত্য পরিষদের মঙ্গল করিয়াছ। এখন অনেক বড় হুইয়৷ আবার হ্বদেশে ফিরিয়াছ। সাহিত্য- পরিষদের অনেক মঙ্গল তোমার নিকট আকাঙ্জা করি পরিষৎ আমার মুখ দিয়া তোমায় অন্তঃকরণের সহিত আশীর্বাদ করিতেছেন, তুমি চির- জীবী হও পরিষদের মুখ উজ্জল কর।

গুদ্ধ পরিষৎ নহে, সমস্ত বাঙ্গালী, এমন কি সমস্ত ভারতবাসী তোমার নিকট অনেক আশা আকাজ্ষ! করে। তুমি সকল রকমে বন্গবাসী ভারতবাসীর উন্নতি সাধনে চেষ্টা করিতেছ। তাহারা সকলে একবাক্যে তোমায় আশীর্বাদ করিতেছে, তুমি চিরজীবী হইয়া দেশের মুখ উজ্জ্বল কর।

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মন্দির, গুভাথা কলিকাতা শ্রুহর প্রসাদ শাস্ত্রী বঙ্গাক ১৩৩৪, ৫ইঈ বৈশ।থ। সভাপতি

বঙ্গীয়-সাহিত্য পরিষং

বর্ণানুক্রমিক সুচী

পৃ পৃ অতীতের কিম্মৎ ১৮০ আথিক স্বার্থ হিন্দু মুসলমান ২৬৪ অদ্বৈতবাদের বুজরুকি ১৫০ জ্যালায়্যান্স বাস্ক পতনের ফল ২৬৬ অন্নচিস্তা দর্শন-সাহিতা ৩৫০ ইতালি ভারত ৩৪ অর্থনৈতিক মতামতের ওলট- ইতালির কিষাণ-মালিক আধিয়া

পালট অসম্ভব নয় ২১২৭ আর লাতিফন্দি ৭৫ অধ্রীয়ার বেষ্টাবস রাট, ১১৮ ইতালির দ্বরবস্থা ৫১ ১৮৯০--৯১ সনের জাম্মীণ ইতিহাস বনাম প্রব্নততু ৩৫৯

আইন বিপ্লব ৮৮ ইতিহাসের আথিক ব্যাথা ৩৪৭ ১৮৭ সনের ফরাসী ব্যাঙ্ক ৩৯ ইয়োরোপের শ্রতিহাসিক আধথেনীয় “স্বরাজের” অনুপাত ২৯০ ভঁগোল রাষ্ট্রীয় ধারা ২৯২ আমার নাম যুবক এশিয়া ৪১৬ উৎসর্গ ৩১৫, ৩১৭ আথিক অবস্থায় অবনতির উত্তরাধিকারের আইনে

কোনো চিত নাই ২১৪ বুগান্তর (১৮৮২) ৯৭

আথিক আইন-কানুন ২৫৮ উপনিবেশের প্রবাসী-ভারত ২৪৩ আথিক আন্দোলন ১০৭ উনবিংশ শতার্দীর ভারতীয় আথিক উন্নতির বনিয়াদ ১৪৭ পাণ্তিতা ৩৪১ আধিক জগতে আধুনিক নারী ১৪৪ ১৯১৮ সনের জার্্মাণ-ফরাসী আধিক জগতের স্তর বিভাগ ১০৫ আইন ১৩১ আধিক জনপদ ১৩৭ ১৯১৬ সনের ছুনিয়। ১০৭ আঘধিক জীবন বিষয়ক ফরাসী ১৯২৬ সনের বাণী ৪০

আইন ২৬১ ১৯৩০--৩৫ সনের দেশ-ধর্খা ৪৪

৪৫২

প্ষ্ঠা ১৯০৫ সনের বাণী ৪২৭ এই ব্যাক্কটা বাঙ্গালীর “সবেৎ ধন নীলমণি” নয় একভার পথ অনৈক্যে একালের সমাজনিষ্ঠ! বনাম সেকেলে হিবলেজ কমিউনিটি ৮৬ এঙ্গেল্সের গ্রন্থ ৩৩১ এশিয়া ইয়োরামেরিকার গুরু নয় এশিয়ার প্রত্বুতত্ব-গবেষণা কর্শদক্ষতার ভিত্তি ৪৮ কলের জল বালাম চাউল কাউন্সিল বাছাইয়ের খচ্চা কার্ল মার্কস বনাম বিস্মার্ক ৬২ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই কেতাবের আত্মকাহিণী ক্লষিকর্খের নববিধান ্রীন্িয়ান জগতের পুরুত-বিদ্ভালয় ১২৮ গভডলিকার দর্শন ২১৮ গড়ন-বিজ্ঞানের জাতিবিভাগ গাড়ে! আড্ডা বিদেশে গিন্নীপনায় পয়স। রোজগার

হ৬৯

০৬

৯৪৪

২৮৩৬ ২৪০

১৬১

বর্ণানুক্রমিক স্থৃচী

পৃষ্ঠা

গোটা বাঙ্গালী জাতির

বিশ্বপর্য্যটন ৪৩০ গোটা শ?য়েক টেকৃনিক্যাল স্কুল ১৩৯ ্রন্থ-পঞ্জী ৩০৩ গৃহস্থালী ১৫৮ চরিত্রহীনতায় বাঙ্গালী ২২১ চাই তরুণের আত্মচৈতন্য ২০২ চাই নতুন নতুন আয়ের পথ ১৩২ চাই পাশ চাপরাশ ' ১৬৯ চাই ফ্রান্সে বাঙ্গালীর অভিযান ১৪২ চাই বিদেশে ভারতীয় মোসাফির২৪৭ চাই বিভিন্ন আথিক নীতি ২৬৩ চাই বিশ্বশক্তির ভারতীয় জরি ২৫১ চাই ভারতে আট লার্টিকের নূন ৪৪২ চাই ভারতে বিদেশী ভাষা শিক্ষার

ব্যবস্থ। ২৪৯

চাষী আর পন্লী ভারতের

একচেটিয়া নহে ৬৮ চাবী প্রতি জমির পরিমাণ ৮* চাষী-ম্ুর-কেরাণীর স্বার্থ ২৫৭ চাষীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ৭১ চিত্তরঞ্নের গুরু,_-যুবক

বাঙ্গলা ১০৭

বর্ণানুক্রমিক সুচী

পৃষ্টা চীনাদের বিদেশী উপাধি ৩২৫ চীনে ভারতাভিযান ৩১৩ চীনা পণ্ডিতের কৃতিত্ব ৩২৯ চীন! ভাষ। ৩২০ চীনা ভাষায় চীনা পাগ্ডিত্য ৩২৬ চীনা সভাতায় প্রবেশ ৩৩১ চেক-খালাসে ভারত দ্বনিয়া ১৬ চেকের চলন ৩৭৩ ছড়ার বুড়োদেরকে মানছে না২১৪ জমিদার-দলন নীতির এক অধ্যায় (১৯১৯) ৯১ জরীপ করিবার যন্ধ ১৮৪ জাপানকে ভাল করিয়া জানা ৩৯৭ জাপানী কায়দা ২৩৮ জাপানীরা কতটা ফেণপরা ৩২৪ জাপানে ভারত-নিন্দা ৩২৪৯ জাপানের স্বদেশ-সেবক রাষ্ঈ ৪৬ জাম্াণ আমেরিকান বাঙ্কের কথা ২৫ জাম্মাণ নারীর আথিক কম্মক্ষেত্র ১৫৮ জ্তান্মীণ ব্যাঙ্কের ত্রিশ বৎসর ৩৭

জান্মাণি বনাম ফ্রান্স ১৪১

৪8৫৩

জীবন পুজার দেবতা,--যৌবন ১৮২ জীবন-যাত্রার বাস্তব মাপকাঠি ১৮ ঝি-রাধুনির নব-বিধান টাকাকড়ির বাজার ১৭ ট্রেড ইউনিয়নের পরের ধাপ ১১৮ ডেনমার্কের কন্ধপ্রণালী ( ১৮৯৯) ৯০ তথাকথিত নিন্দা প্রশংস।' ১৭৮

১৬৩

তথাকথিত প্রাদেশিক একা ২০৪ তথাকথিত ভারতীয় এঁকা ১০৩ তর্জম।-প্রণালী ৩৬৬ ত্যাদড়ের জগতৎকথ। ২১৯ তিব্বত চান ৩২০ তুলনামূলক সমাজবিজ্ঞান ৩৪৬

১৮৭

দিগ বিজয়ের মন্থর মুখনিবারণের সেকেলে দাওয়াই ৪৯ দ্রনিয়াকে দ্বাড়ে করে? ভারতে

হাজির ৪৩৭

ছুনিয়ার কি দেখে এলাম ? ৪৩৫

ছনিয্ায় ফাম্সের ঠাই ১৩৩

ছনিয়ার পথে ভারত ১২১

দ্রনিয়ার পর্যাটন-সাহিতা ৩৮৯ ছুনিয়ার বাটখারায় ভারত-

সন্তানকে মাপো! ২৪৫

8৫৪ পৃষ্টা হনিয়ার মাপে ভারত দেড় কোটি জান্বাণির ব্যাধিবীমা ৫২ দৈব বীমা ৫৫ ধনবিজ্ঞানে যুগাস্তর ৩৩৩ নবীন বাংলার মেরুদণ্ড কারখানার মজুর ২৩২ নান। ঘাটের জল ৩৯৬ নানা শক্তির সমাবেশ ১২৬ নৃতত্ বিস্তা ৩৩৮ “বৃতত্বে” বিশ্বসংবাদ ৩৬১ পয়গম্বর, যুব! ছুনিয়। ৮৩ পরাধীনতা৷ বনাম স্বাধীনতা ২২২ পরিবার-নিষ্ঠায় ল্যাটিন নারী ১৫৬ পশ্চিমের যে পথ পুরবেরও সেই পথ ১৪৬ প্রাচীন ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ২৪২ পারিবারিক খরচের নয়া দফা ২৫৫ পাশ্চাতা দও-বিধি ২৯৪ পাশ্চাত্য নারীর অ-স্বাধীনতা ১৫৩ *্পুটজি” এবং “পরিবার, গোষ্ঠী রাষ্ট্র” ৩৫৫ প্রক্ব বনাম পশ্চিম ৩৩

বর্ণানুক্রমিক স্থৃচী

পাটি পাট পি সপ পি শসা লি 0১ এজি জপ এট উস টে ওলি ০৯ উর ০৪ সই ০০ সত

পৃষ্ঠা ফরাসী আইনে আথিক ব্যবস্থা ২৫৯ ফরাসীদের আত্মপ্রশংসা ৬৩ ফরাসী প্িতদের তর্ক ৬১

ফরাসী পার্ল্যমেণ্টের কাজ- কম্প ফরাসী সমাজের ভূমি-ব্যবস্থা ৭৬ ফ্রান্সে কষিদৈব কানুন ফ্রান্সে কৃষিশিক্ষা ফ্রান্সে তেরটা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রান্সের এগার জনপদ ১৩৭ ফ্রান্সের বিশেষত্ব ৬৪ বঙ্কিম-অষ্টা ১৯০৫ সন বঙ্গীয় ধনবিজ্ঞান পরিষদের মোসাবিদ। বর্তমান চীনের বিদ্য। চচ্চা বর্তমান জগতের কন্মকাণ্ড চিস্তাধার। বর্তমান জগতের জন্ম ৫৯ বর্তমান জগতের নানা স্তর ৪৪ বর্তমান বৎসরের প্রথম

৬১

স্,১০

১৪৩

১৩৫

১৯৩

8৪8৪

৩২৩

৩৩৩৪

অবস্থা ২৬৬ বর্তমান ভারতে পাশ্চাত্য আধ্যাত্মিকতা ২৩৭

বর্ণানুক্রমিক সূচী ঢু

পৃষ্টা বর্তমান ভারতের ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান ২১ বর্তমান যুগের *্বুহত্তর ভারত” প্রতিষ্ঠা ৪৩৯ বাবসার জন্ত বিদেশী ভাষা দরকার ২৫০ ব্যাঙ্ক*ব্যবসায় বাঙালীর দৌড় ২৩ ব্যাঙ্কের কর্জ ১৩৭

ব্যাঙ্কের বর্তমান অবস্থা) বাংলার আসল লোকসংখ্য! বাংলার জেলায় জেলায় জয়েপ্ট. ষ্টক ব্যাঙ্ক বাঙ্গালার শারীরিক অসম্পুণত! ১২০ বাজে খরচ না ভাবুকত। বাড়তির পথে ছ্নিয়া “বাপরে ! গ্রীস? বাপরে ! রোম “” বাপ্ধক্যবীমা ৫৬ বিদ্ামাত্রই অর্থকরী বিদেশী পুজি নবীন ভারতীয় সভ্যতা ২০৯ বিদেশীর সামনে ঘাড় সোজ। বাখা ৪$৭

৪8৫৫

পৃষ্টা

বিদেশে বক্ত্‌ তা লেখালেখি ৩৮৫

বিধব] সমস্তা ৫৮

বিলাতী ব্যাঙের বহর ২৩ বিলাতের “ছোট্ট চাষী” বিষয়ক

আইন ৮৬

বিবেকানন্দের বাঘা চোখ ১৯১

বিশ্ব-বিদ্ালয়ের শিল্প বিভাগ ১৩৬

বিশ্বাসতক জাতীয় চরিত্র ২৯

বিষাক্ত “প্রাচামি”

বীম! আইন-সম্ঘ্গে ফরাসী মজুর ৬৬

বুঝ! কাহাকে বলে?

৩৪২

১০৩৬ বেঙ্গল স্তাশন্তাল ব্যাঙ্কের পতন ২৬৫ রেষ্টাবস্রাটের সঙ্গে মনিবের

সম্বন্ধ ১২২ বেটী স-রাটের বাক্ত্য সীমা ১২০ তনুর ভারত ১৩৬ রহন্তর ভারতে রবীন্দ্রনাথ ২৯৯

পুহত্তর ভারতের একাল-সেকাল ২৪৩ ভবিষানিষ্ঠার দর্শন ৩৪৪ “ভাত-কাপড়ের” ক্রমবিকাশ ৩৮৩ ভারত কোথায়? ১৩১ ভারতীয় ব্যাঙ্কের হিসাব পত্র ২৭

রি অনিক লা্টিএটি পেস লী তলা রা শী ৯০টি শি শাস্ছি লী সি লীন্তি পি ওর সি এসি হিলি এটা ওটিসি টি তি টি শি (লি পন পদ সি রী পিন তা

৪৫৬

পৃষ্ঠা ভারতীয় শ্রমিক পত্তিক। ১১৪ ভারতের বিদেশী ব্যাঙ্ক ১৬

ভারতবাসীর আধুনিক ব্যাঙ্ক ১৬ ভারতবাসীর মাথার ঘী ৪৩ ভূমি-গোলামীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ৭৭

ভূমিবিধানে ব্যক্তি-নিষ্ঠা বনাম

সমাজ-নিষ্ঠা ৮৪ ভূমি ভারত কোথায়? ১০১ “ভোকেশন্তাল স্কুল” জগতের

নবীন আবিষ্কার ১২৯ ভোটপ্রার্থীদের ইন্তাহার ২৫৭ মজুর কেরাণীর স্বরাজ ১২১ মুর কোন্‌ প্রকার জীব « ১০৮ ম্জুর-ুনিয়ার নবীন স্বয়াজ ১০৪ মজুর-ভারতের লোকবল ১১০ মজুর-সমস্যায় ভারত

ছুনিয় ১১৬ মজুর সংখ্যায় ভারত ছুনিয়া৷ ২৩৪ মধ্যবিত্তের স্যষটি পুষ্টি ২২৮ মনিবের উপর মজুরের

কত্বামি ১২৩ মর্গ্যানের সিদ্ধান্ত ৩৩৯ মহাভারতের আদশ ৪৭

'__ বর্ণান্থক্রমিক সূচী

মামুলি ট্রেড ইউনিয়ন মেয়েলী শিল্পের তিন মহল মৃত্যুবীমা যুগপ্রবর্তক বিস্মাক যুবক এশিয়ার দায়িত্ব যুবকবঙ্গের দিপ্বিজয় যুবকবঙ্গের নবীন সাধন! যুবক বাঙ্গলার চাকর আমি যুবক ভারতের আবহাওয়া যুবক ভারতের ইজ্জৎ রক্ষা যুবক ভারতের সমস্তা ষৌবননিষ্ঠায় আশুতোষ যৌবনের স্রোত যুয়ান চুয়াঙের বস্তা রক্তকরবীতে যুবার ইজ্জৎ রক্তমাংসের স্বধশ্ধ রকমারি টেকনিক্যাল সহকারিণী রকমারি ব্যাঙ্ক-ব্যবসা রাইনলাগ্ডের জাশ্বাণ দৃষ্টান্ত

রাষ্ত্রনীতিই একমাত্র পদার্থ নয়

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তর্কশাস্ত্র

রাষট্রশক্তির আধিক সদ্বযবহার

লা লরি সি এত রি সি খিরাশি। তা

পৃষ্টা

১১৭ ১৬৬ ৫৭ ৫০ ৯৮ ৯৮৮ 5১ ৪৯৫

৩৬৭

৬৬ ১৯৩ ১৮৫

৪8৪১

৩৫২

্ানগুক্রমিক সূচী

লোকটা বখিয়া গিয়াছে ২১৭

শাপে বর, আত্মমালোচনার স্ত্রপাত

শিক্ষাবিজ্ঞান, সমাজ-বিজ্ঞান ধনবিজ্ঞান

শ্রমিক বনাম ধনিক

শ্রেণী-বিপ্লব

সভ্যতায় পূৰও নাই পশ্চিমও নাই

৭৭৩

৩৯৭ ১১২ ২৩৯

৪৩৭

সমগ্র মধ্যবিতের আয় ২৩০ সমাজ-চি্তায় বাঙ্গালীর দৌড় ৩৫৭ সমাজ-সেবায় অন্-সংস্থান ১৭১ সমাজ-সেবায় মহিলা-বিস্তালয় ১৭৩ সমাজের উৎকর্ষবুদ্ধি ২২৯

সরভারী আইন বনাম স্বাধীন বীমা

8৫৭

ঠা

সাড়ে তিন কোটির দেশে এক- লাখ এঞ্জিনিয়ার স্বদেশসেবা কাহাকে বলে? ৪৫ স্বরাজ-সাধনার পয়া সমম্যা ২১৪ ্বাধীনতা--(১) আইনগত (২) রাষট্রগত (৩) অর্থগতা ৭৮

১৩৪

ূ্্য উঠে পশ্চিমে ১৭৬ হিনু আইনে রোমাণ ব্যজি- নিষ্ঠা ধ২ হিন্দু জাতির শক্তিযোগ ৪৩৩ হিন্দু হষ্ঠেলের আড। ২১৩ “ছ্বিলেজ কমিউনিটির" প্রাচ্য পাশ্চাতা ৭১ ন্রতিগ্রস্ত কাহার। ? ২৫১ কষুদ্রীকরণের আথিক ক্ষতি ৯৪

লা জি জা, নিশির বি ইং জী তন